গত পর্বে আমরা জেনেছি কীভাবে জীবনযাত্রাকেও সহজেই স্বাস্থ্যকর করে তোলা যায় এর তিনটি উপায় সম্পর্কে। আজ জানব বাকিটুকু। স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করতে চাইলে একটু নিয়ম মেনে চলতে হবে আর গড়ে তুলতে হবে কিছু দরকারী অভ্যাস। প্রাত্যহিক জীবনে ছোট ছোট কিছু ভালো পরিবর্তন আনতে পারলেই কিন্তু অনেকটাই রোগমুক্ত থাকা যায়।
(৪) শর্করার পরিমাণ কমানো
অধিক শর্করা আমাদের দেহ ও মনের ক্রিয়াশীলতা কমিয়ে দেয়। তাছাড়া শর্করা ওজন বাড়াতে সাহায্য করে ও বাড়তি ওজন কমাতে বাধা দেয়। কাজেই সুস্থ ও প্রফুল্ল থাকতে চাইলে নিদির্ষ্ট পরিমাণের বাইরে বেশি পরিমাণ শর্করাজনিত খাবার পরিহার করা উচিত। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়েবেটিস রোগীদেরও শর্করা কমিয়ে অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়া দরকার। ভাত, চিনি, আলু ইত্যাদিতে প্রচুর শর্করা থাকে। তিন বেলা ভাতের পরিবর্তে অন্তত এক বেলায় লাল আটার রুটি, চিনির পরিবর্তে মধু ও আলুর জায়গায় প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাক-সবজি খাওয়া যেতে পারে। সবই কিনতে পারবেন এখান থেকে ।
(৫) খাবারে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যুক্ত করা
আজকাল অনেকেই গ্রীন টি বা সবুজ চা পানে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছেন। যারা এখনি শুরু করেননি তাদের প্রত্যেকেরই চিরাচরিত দুধ চায়ের পরিবর্তে গ্রীন টি, তুলসি টি, জিঞ্জার টি, জেসমিন টি, রোজমেরি টি ইত্যাদি ট্রাই করা উচিত। এগুলো অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ও দেহে বাড়তি মেদ জমতে দেয় না, সেই সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও বাড়ায়। সাশ্রয়ী মূল্যে সব রকম চা-ই পেয়ে যাবেন এখানে।
(৬) প্রোটিন গ্রহণ বাড়ানো
প্রতিদিনের খাবারে সব রকম পুষ্টি উপাদানের সমতা থাকা জরুরি। ঠিক মাত্রার প্রোটিন গ্রহণে অনেকক্ষণ ভরপেট মনে হতে পারে, এতে বারবার খাবার গ্রহণের আগ্রহ ও শর্করার পরিমাণ কমাতে সুবিধা হয়। তাই দিনের যে কোন সময় খুধা নিবারণে বেছে নিতে পারেন নানা রকমের ড্রাই ফ্রুট যেমন খেজুর, কাঠ বাদাম, আখরোট, কিসমিস, কাজু, পেস্তা ইত্যাদি। মজার মজার ড্রাই ফ্রুটসের বিশাল সম্ভার রয়েছে এই পেজটিতে।
(৭) তেলের পরিমাণ কমানো
খাবারে বাড়তি তেল যতটা সম্ভব কমিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন।ভাজা খাবার যত এড়িয়ে চলা যায় তত উত্তম।ভালো ভোজ্য তেল ব্যবহার করুন এবং পরিমাণে কম ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তুলুন।ভাজা কোন খাবারের অতিরিক্ত তেল দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন কিচেন ন্যাপকিন। ভোজ্য তেল ও ন্যাপকিন কিনতে পারেন এখান থেকে ।
(৮) যোগাসন ও ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ
সুস্থ থাকতে হলে ও স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করতে হলে ব্যায়ামের জুড়ি নেই; তা সেটা যোগ ব্যায়াম হোক কিংবা খালি হাতের কোন আসন। নিয়মিত হাঁটলে, ঘরের টুকটাক কাজ করলে, সিড়িতে উঠানামা করলেও এক্সারসাইজ করা হয়ে যায়। নিজের বাসায় বা কর্মস্থানে ফাঁকা সময়ে চেষ্টা করতে পারেন যোগাসন।এতে শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকে, দুশ্চিন্তা দূর হয়, কাজ-কর্মে মন বসে ও উদ্দমী করে তোলে।
আজকের মত এ পর্যন্তই। সময় মূল্যবান, কাজেই সময় বাঁচান এবং অনেক অনেক ভাল থাকুন সবাই। সবার সুস্বাস্থ্যতা কামনায় এখানেই শেষ করলাম।
লিখেছেন – রোজা স্বর্ণা