জীবন একটাই। এই জীবনের প্রতিটি দিন যেন সুস্থতায় কাটে তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদেরই। আর এটি আমরা খুব সহজেই করতে পারি। শরীর সুস্থ থাকলে মন ও ভালো থাকে, কাজ-কর্মে আলাদা মনোযোগ পাওয়া যায়। স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করতে চাইলে একটু নিয়ম মেনে চলতে হবে আর গড়ে তুলতে হবে কিছু দরকারী অভ্যাস। আমি কিছু ধারাবাহিক আর্টিকেলের মাধ্যমে এ বিষয়টি বিস্তরভাবে চুলে ধরার চেষ্টা করব। চলুন তবে জেনে নিই, কীভাবে আপনার জীবনযাত্রাকেও সহজেই স্বাস্থ্যকর করে তুলতে পারেন।
(১) দাঁত ব্রাশ ও ফ্লসের ব্যবহার
আপনার মূল্যবান দাঁত ও মাড়িকে সবল রাখতে প্রতিদিন ২ বার ব্রাশ করা ও ১ বার ফ্লসিং করা জরুরি। দু’বার ব্রাশ করার কথা আমরা প্রায় সবাই জানি, কিন্তু নানা কারণে মানতে চাই না। ফলে দাঁত ও মাড়ির নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। অথচ যদি প্রতিদিনের এ স্বাস্থ্যকর অভ্যাসটি রপ্ত করা যায় তবে অকালে দাঁত ব্যথা, হলদে ভাব, ক্ষয়, দাঁত থেকে রক্ত পড়া, দূর্বল মাড়ির নানা রকম সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। প্রতিদিন ফ্লস করলে দাঁতের গোড়া থেকে সব ময়লা বেড়িয়ে আসে এবং স্কেলিং এর কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। আরো একটি কথা, ফুটপাতের সস্তা টুথব্রাশ এর ব্রিস্টল আপনার নাজুক মাড়ির জন্য ভীষণ ক্ষতিকর, যার ফলে অনেকেই কোন কারণ ছাড়াই দাঁত ও মাড়ির ফাঁকে ফাঁকে রক্ত দেখতে পান। সেক্ষেত্রে ডেন্টিস্টদের অনুমোদিত ভাল ব্র্যন্ডের নরম ও আঁকা-বাঁকা ব্রিস্টলের ব্রাশ ব্যবহার করুন।
সঠিক টুথব্রাশ, টুথপেস্ট, ডেন্টাল ফ্লস ও মাউথ ওয়াশ কিনতে পারেন এখান থেকে । এতে আপনি ঘরে বসেই পেয়ে যাবেন আপনার দরকারি জিনিস গুলো আর এসব খুঁজে যে সময়টা নষ্ট হত সে সময়ে আপনি আরামে আপনার দাঁত ও মাড়ির যত্ন নিতে পারবেন।
(২) প্রচুর পরিমাণে পানি ও পানীয় পান করা
একথা আর নতুন করে বলার কিছু নাই। পানির অপর নাম জীবন। প্রতিদিন কম পক্ষে ২ লিটার পানি আপনাকে পান করতেই হবে, এর কোন বিকল্প নেই। সেই সাথে মৌসুমী ফলের ও সব্জির জুস, শরবত, গ্রীন টি আপনাকে দিতে পারে সজীবতা। আম, কমলা, আপেল, আনারস, আঙ্গুর, কলা, পেঁপে, গাজর, পুদিনা, শশা ইত্যাদি দিয়ে তৈরি হতে পারে দারুন সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর জুস। যা দিনের যে কোন সময় স্ন্যাক্সের পরিবর্তে ব্যবহৃত হতে পারে সহজেই।
ফলের জুসের ক্ষেত্রে চেষ্টা করবেন টাটকা ফল ব্যবহার করতে। নিকটস্থ সবজি ও ফলের দোকানগুলো থেকে ফ্রেশ, ফরমালিন মুক্ত ফল সংগ্রহ করতে পারেন অথবা ঘরে বসে কিনতে চাইলে চলে যেতে পারেন এখানে।
(৩) পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম
ব্যস্ততার কারণে দেরী করে রাতে ঘুমানো আজকাল অনেকেরই অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, যা স্বাস্থের জন্য খুবই ক্ষতিকর। রাত ৯ টার মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে ১১ টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস করতে হবে। পর্যাপ্ত ঘুম স্ট্রেস দূর করে, ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে সেই সাথে ক্ষুধার ভারসাম্য বজায় রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা দেরি করে ঘুমান তাদের ‘হাঙ্গার হরমোন’ ভারসাম্যতা হারায় আর মোটা হতে সাহায্য করে।
(চলবে)
লিখেছেন – রোজা স্বর্ণা