Quantcast
Channel: Shajgoj
Viewing all 3052 articles
Browse latest View live

ত্বকের যত্নে বরফের কিছু ব্যবহার

$
0
0

সুন্দর সতেজ ত্বক তো সবাই চায়।কিন্তু সারাদিনের ব্যস্ততার ফাকে ত্বকের যত্নের জন্য খুব বেশি সময় বের করে নেয়া হয় না।তাই ঝটপট ত্বকের যত্নের জন্য সহজ উপায়গুলোই খুঁজে নেন রূপ সচেতনরা।আর সহজেই ত্বকের যত্নের জন্য খুব সহজলভ্য একটি উপাদান হলো বরফ।

বহু বছর আগে থেকেই ত্বকের যত্নে শীতল পানি কিংবা বরফের ব্যবহার হতো।যুগে যুগে এই প্রথাটি রূপ সচেতন নারীদের কাছে আরো বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।ত্বককে নিমিষেই সতেজ করে তুলতে, দাগ কমাতে, বয়সের ছাপ এড়াতে এবং ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে বরফের জুড়ি নেই।জেনে নিন, ত্বকের যত্নে বরফের ব্যবহার সম্পর্কে কিছু তথ্য।

মসৃণ ত্বক

নিয়মিত ত্বকে বরফ ব্যবহার করলে ত্বকের পোরগুলো ধীরে ধীরে ছোট হয়ে আসে। ফলে ত্বককে অনেক বেশি মসৃণ দেখায়।

রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি

নিয়মিত ত্বকে ক্লকওয়াইজ বরফ ঘষে ব্যবহার করলে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। ফলে ত্বক হয়ে ওঠে দীপ্তিময় ও উজ্জ্বল।

ফোলা ভাব কমানো

ঘুম থেকে ওঠার পর কিংবা কম ঘুম হলে অনেক সময় ত্বক কিছুটা ফুলে থাকে। অনেক সময় ক্লান্তির কারণে চোখের নিচেও ফোলা ভাব থাকে। এই সমস্যার সমাধান হলো বরফ ম্যাসাজ। ত্বক ফুলে থাকলে বেশ কিছুক্ষণ বরফ ম্যাসাজ করুণ। ফোলা ভাবটা অনেকটাই চলে যাবে।

দাগ ও রিঙ্কেল দূর করা

ত্বকের দাগ ও রিঙ্কেল দূর করার জন্য বিশেষ পদ্ধতিতে বরফ ব্যবহার করতে হবে। জেনে নিন পদ্ধতিটি।

- প্রথমে পুরো মুখ ভালো করে ধুয়ে নিন।

- একটি অথবা দুটি বরফের কিউব নরম কাপড়ে পেঁচিয়ে নিন।

- ত্বকের বিভিন্ন স্থানে এবং দাগযুক্ত স্থানগুলোতে বরফটা কয়েক সেকেন্ড ধরে রাখুন

- এবার বরফটাকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করে নিন।

- নরম টাওয়েল দিয়ে মুছে নিন।

- এক রাত পর পর এই পদ্ধতিটি অনুসরণ করুন।

- শুষ্ক ত্বকে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। ত্বক তৈলাক্ত হলে টোনার লাগিয়ে নিতে হবে।

কিছু টিপস

  • ত্বকে বরফ সরাসরি ব্যবহার না করাই ভালো। তাই যখনই ব্যবহার করবেন নরম কাপড় পেঁচিয়ে ব্যবহার করবেন।
  • এক স্থানে খুব বেশীক্ষণ বরফ ধরে রাখবেন না। যতক্ষণ সহনীয় মনে হবে ততক্ষণ রাখলেই হবে।
  • বরফটা জমানোর সময় চাইলে পানিতে গোলাপজল, লেবুর রস কিংবা সসার রস মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে ত্বক আরো দ্রুত সুন্দর ও দাগমুক্ত হবে।

 

ছবি – ১২৩আরটিএফ.কম

লিখেছেন – নুসরাত সারমিন


ঝামেলা ও সময় দুটিই কমাতে রান্নার কিছু সহজ টিপস

$
0
0

রান্না করার সময় টুকটাক টিপস জানা থাকলে রান্না ভালো হয়, সুরক্ষিত থাকা যায় এবং সময় বাঁচে।কর্মব্যস্ত জীবনে নিজেদের প্রয়োজনে আমাদের সবাইকেই কম বা বেশি রান্না করতে হয়।আর রান্না করতে গিয়ে হাজারটা অসুবিধার সম্মুখিন হতে হয়।আর যারা নতুন নতুন রান্না করছেন তারা অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।কিন্তু কিছু সহজ টিপস জানা থাকলে রান্না করতে সুবিধা হওয়ার সাথে  সাথে সময়ও কম লাগে।তবে জেনে নেয়া যাক, রান্নার এমন কিছু সহজ টিপস সম্পর্কে যা অসুবিধা এবং সময় দুটিই কমাবে।

(১) ডাল বা তরকারিতে লবন বেশি হয়ে গেলে আটা বা ময়দা মেখে ছোট ছোট বল তৈরি করে রান্নায় দিয়ে কিছুক্ষন পর তুলে ফেলুন।লবনের স্বাদ কমে যাবে।

(২) মাংস তাড়াতাড়ি সেদ্ধ করতে চাইলে খোসাসহ এক টুকরো কাঁচা পেঁপে দিন।

(৩) লেবু কাটার আগে গরম পানিতে ১ ঘন্টা ডুবিয়ে এতে লেবুর রস বেশি হবে।

(৪) মাইক্রো ওভেনেও ইলিশ রাঁধতে পারেন৷ তবে তার ঘণ্টা দুই আগে লবন হলুদ মাখিয়ে রাখুন৷ মাইক্রো ওভেনে সরষে ইলিশ রাঁধতে হলে ইলিশের গায়ে একেবারে সরষে বাটা মাখিয়ে তারপর ওভেনে দিন৷

(৫) তরকারির ঝোল ঘন করতে চাইলে কিছু কর্ণ ফ্লাওয়ার পানিতে গুলিয়ে নিয়ে ঢেলে দিন। লক্ষ্য রাখবেন কর্ণ ফ্লাওয়ারের দ্রবণটি যেন ভালোমতো তরকারির সাথে মিশে যায়।

(৬) ভাত রান্না করতে গিয়ে অনেক সময় দেখা যায় ভাত ঝরঝরা হয় না।তার জন্য চাল ধোয়ার পর ১০ মিনিট রেখে দিয়ে তারপর রান্না করুন অথবা রান্নার সময় ১ চা চামচ রান্নার তেল দিন। দেখবেন সুন্দর ঝরঝরে ভাত রান্না হয়েছে।

(৭) সবুজ সবজি রান্না করতে চাইলে এক চিমটি চিনি দেন। দেখবেন সবজি কেমন সবুজ দেখাচ্ছে।

(৮) চিনেবাদাম ও কাজুবাদাম তেলে ভেজে পরে রান্নায় ব্যবহার করুন। খাবারের স্বাদ বাড়বে।

(৯) চিনির বয়ামে পিঁপড়া তাড়াতে চিনির উপর ৩-৪ টি লবঙ্গ রেখে দিন।

(১০) কৌটোর মধ্যে বিস্কুট রাখার আগে সামান্য চিনি বা ব্লটিং পেপারের টুকরো রেখে দিন।বিস্কুট অনেকদিন মচমচে থাকবে।

(১১) বেরেস্তা করার সময় পেঁয়াজ ভেজে নামানোর আগে সামান্য পানি ছিটিয়ে দিন। তাড়াতাড়ি লালচে হবে।

(১২) কাঁচা মাছ বা মাংস ছুরি-চপিং বোর্ডে কাটতে চাইলে বেশ কিছুক্ষণ আগে থেকেই পানিতে ভিজিয়ে নরমাল করে নিন।

(১৩) অনেক সময়ই তাড়াতাড়ি স্যুপ রান্না করলে পাতলা হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে দুটি সিদ্ধ আলু ম্যাশ করে স্যুপে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। স্যুপ ঘন হবে।

(১৪) পরদিন কী রান্না করবেন তা আগের রাতেই ঠিকঠাক করে প্রস্তুতি নিন। তাহলে অল্প সময়ে রান্না হবে।

(১৫) ডিম সিদ্ব করতে পানিতে সামান্য লবন দিন। ডিম খেতে সুস্বাদু হবে। গরমাবস্থায় ডিমের খোসা ছাড়াবেন না, ঠান্ডা করে খোসা ছাড়ান  এতে খোসায় লেগে ডিম নষ্ট হবে না।

(১৬) স্যান্ডউইচ বানিয়ে রেখে দিলে সেগুলো শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়। স্যান্ডউইচ বানানোর পর তুলি দিয়ে সামান্য দুধ পাউরুটির ওপর বুলিয়ে দিন। আট ঘণ্টা এটা ভালো থাকবে।

(১৭) খেজুরের গুড় দিয়ে পায়েস করতে গিয়ে অনেক সময় দুধটা ফেটে যায়। দুধ ঘন হয়ে গেলে নামিয়ে একটু ঠান্ডা করে তারপর গুড় মেশাবেন। ভালো করে নেড়ে আবার কিছুটা ফুটিয়ে নেবেন, দুধ ফাটবে না।

(১৮) সেমাই বা মিষ্টিজাতীয় খাবারে অনেকে বাদাম ব্যবহার করেন। বাদামে যদি তেল মেখে পরে তাওয়ায় ভাজেন তাহলে তেল কম লাগবে। নয়তো শুকনো ভাজতে গেলে তেল বেশি লাগবে।

(১৯) কেক বানাতে যদি ডিমের পরিমাণ কম হয়, তার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন কর্নফ্লাওয়ার।

(২০) আলু ও ডিম একসঙ্গে সেদ্ধ করুন। দুটো দুই কাজে ব্যবহার করলেও সেদ্ধ তাড়াতাড়ি হবে।

ছবি – পিন্টারেস্ট ডট কম

লিখেছেন – মুমতাহিনা তাবাসসুম

মিক্সড টেম্পুরা

$
0
0

অতিথি আপ্যায়নে বা বিকেলের নাস্তায় রান্না ঘরে থাকা উপকরণ দিয়ে মজাদার কিছু তৈরি করে ফেলাটাই পাকা রাঁধুনির বৈশিষ্ট্য! মিক্সড টেম্পুরা এমনই একটি আইটেম। খেতে মজাদার কিন্তু তৈরিতে তেমন একটা ঝামেলা পোহাতে হয় না। তাহলে শিখে নিন, মিক্সড টেম্পুরা তৈরির পুরো প্রণালী।

উপকরণ 

  • সেদ্ধ আলু ফালি – ৮ টুকরা 
  • সেদ্ধ গাজর ফালি – ৮ টুকরা
  • সেদ্ধ পেঁপে লম্বা ফালি – ৮ টুকরা
  • চিংড়ি মাছ – ৮ টা
  • চিলি ফ্লেক্স – আধা চা চামচ
  • টেম্পুরা মিক্স – ১ কাপ
  • গোলমরিচ গুঁড়া – ১ চা চামচ
  • টেষ্টিং সল্ট – স্বদমত
  • লবন স্বাদমত

প্রণালী

প্রথমে একটি পাত্রে চিংড়ি মাছ , সেদ্ধ সবজি , চিলি ফ্লেক্স, গোল মরিচ গুঁড়া, লবন, টেস্টিং সল্ড, চিলিসস, টমেটো সস , ঘইস সস , সয়াসস, আদা বাটা , মরিচ গুঁড়া ও পেপরিকা দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে মেরিনেট করে নিন এবার আর একটি পাত্রে টেম্পুরা পানি দিয়ে গুলিয়ে নিন । এমন গমর তেলে মেরিনেট করা চিংড়ি ও সবজি ঠেম্পুরা গোলনোতে গড়ীয়ে তেলে ভাজতে থাকিন। বাদামি রং হয়ে গেলে উঠিয়ে হট টমেটো সস দিয়ে পরিবেশন করুন মিক্সড টেম্পুরা।

ছবি – জাস্টওয়ান্সকুকবুক ডট কম

রেসিপি - আফরোজা নাজনীন শুমী

মেকাপ সেরে নিন মাত্র ৫ মিনিটে!

$
0
0

খুব অল্প সময়ে মেকাপের কথা চিন্তাই করা যায়!  কিন্তু আজ কীভাবে খুব অল্প সময়ের মধ্যে মেকাপের পালা শেষ করতে পারবেন তাই  দেখানোর চেষ্টা করবেন মেকাপ আর্টিস্ট লিন্ডা । এই মেকাপ লুকটি অফিস ও কলেজের জন্য দারুণ মানানসই। চলুন আর দেরি না করে  দেখে নেয়া যাক ৫ মিনিটের মেকাপ লুকটি।

ছবি এবং টিউটোরিয়াল –   মেকাপ ম্যানিয়াক বাই লিন্ডা

পাস্তা উইথ হোয়াইট সস

$
0
0

উপরে চীজের লেয়ার ভেতরে মাংস আর পাস্তার মেলবন্ধন দেখলেই জিভে জল চলে আসার উপক্রম।এই খাবারটি খেতে প্রায়ই রেস্টুরেন্টে যাওয়া হয়। তবে চাইলেই কিন্তু রেস্টুরেন্টে না গিয়ে বাড়িতে নিজেই তৈরি করে খেতে পারেন রেস্টুরেন্ট স্বাদের পাস্তা উইথ হোয়াইট সস।

উপকরণ

  • প্যানে পাস্তা ২ কাপ ( আমি যে লম্বাটে পাস্তা ব্যাবহার করেছি, এটাকে পেনে পাস্তা বলে । এটা না থাকলে অন্য পাস্তা ও নিতে পারেন )
  • হাড় ছাড়া মুরগীর মাংস ছোট আর পাতলা করে কেটে নেয়া আধা কাপ ( না দিলেও কোন সমস্যা নাই )
  • মাশরুম কেটে নেয়া আধা কাপ
  • বেবি কর্ণ আধা কাপ
  • তরল দুধ ২ কাপ
  • ময়দা দেড় টেবিল চামচ
  • রসুন মিহি কুঁচি ১ চা চামচ
  • কালো গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ
  • জায়ফল গুঁড়া সামান্য
  • লবন স্বাদমতো
  • বাটার বা মাখন ২ টেবিল চামচ
  • অলিভ ওয়েল ২ টেবিল চামচ
  • চীজ পরিমান মত ( পারমিজান চীজ হলে বেশি ভালো )

প্রণালী

( ১ ) প্রথমে একটি পাত্রে ফুটন্ত পানিতে সামান্য লবন দিয়ে পাস্তা সিদ্ধ করুন, খেয়াল রাখবেন যেন বেশি সিদ্ধ হয়ে ভেঙ্গে না যায়। সিদ্ধ হলে পানি ঝরিয়ে রেখে দিন।

( ২ ) এবার একটি পাত্রে মাখন গরম করে রসুন কুঁচি দিয়ে একটু ভেজে নিন, বাদামি করে ফেলবেন না। রসুন কুঁচি ভাজা হলে এতে ময়দা দিয়ে ভাজতে হবে। ভাজা হলে দুধ দিয়ে ঘন ঘন নাড়তে থাকুন।

( ৩ ) কালো গোলমরিচ গুঁড়া , জায়ফল গুঁড়া আর লবন দিয়ে নাড়তে থাকুন , বেশি ঘন করবেন না। ঘন হয়ে পাতলা সসের মত হলে চুলা বন্ধ করে দিন। তৈরি হয়ে গেল হোয়াইট সস।

( ৪ ) তারপর মাংসের টুকরোগুলো একটি বাটিতে নিয়ে তার সাথে সামান্য পরিমানে আদা বাটা, গোলমরিচ গুঁড়া, সয়া সস ও লবন মাখিয়ে রেখে দিন। এরপর একটি পাত্রে অলিভ অয়েল গরম করে মাশরুম দিয়ে একটু ভেজে তারপর মাংসের টুকরোগুলো দিয়ে ভেজে নিয়ে এর সাথে আধা কাপ দুধ ও বেবি কর্ণ দিয়ে রান্না করুন ।

( ৫ ) মাংস সিদ্ধ হলে চুলা একেবারে কমিয়ে দিন। এবার এর সাথে পাস্তা এবং হোয়াইট সস দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে দিন। পাস্তার সাথে সবকিছু ভালোভাবে মাখানো হলে চুলা বন্ধ করে দিন।

পরিবেশন

গরম পাস্তার উপরে চীজ ঝুরি করে ছিটিয়ে দিন আর গরম গরম পরিবেশন করুন। এই উপকরণে ৪-৫ জনকে পরিবেশন করা যাবে।

ছবি - হ্যাপিমানিসেভার ডট কম

রেসিপি - আফরুজা শিল্পী

মেকাপের ভুলগুলোর চটজলদি সমাধান

$
0
0

সাজুগুজু, মেকাপ কার না পছন্দ! কিন্তু মেকাপ করতে গিয়ে অনেক সময় অনেক ভুলভ্রান্তি হয়ে যায়, বিশেষ করে যখন আমরা তাড়াহুড়ো করে মেকাপ করি। কিন্তু মেকাপের মধ্যে কোথাও ভুল হয়ে গেলে কি আবার নতুন করে শুরু করবেন? মোটেই না! তাই মেকাপের মধ্যেকার হয়ে যাওয়া ভুলগুলো কীভাবে চটজলদি সংশোধন করবেন, তা নিয়েই আজকে রয়েছে কিছু টিপস। চলুন জেনে নিই-

 
 (১) ফাউন্ডেশন

ফাউন্ডেশন আমাদের মুখের খুতগুলো ঢেকে দেয়। কিন্তু এই খুতগুলো ঢাকতে গিয়ে আমরা প্রায়শই একগাদা ফাউন্ডেশন মুখে ব্যবহার করে ফেলি। যার ফলে মুখ কেকি, আন-ন্যাচারাল দেখা যায়। মেকাপ ফেটে ফেটে যায়। মুখে ফাউন্ডেশন অতিরিক্ত ব্যবহার করা হয়ে গেলে, তার সমাধানও রয়েছে। 

  • একটি বিউটি স্পঞ্জ নিন। এটিকে পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিন এবং অতিরিক্ত পানি চিপে ফেলে দিন। এ স্পঞ্জটি দিয়ে পুরো মুখের ফাউন্ডেশন আস্তে আস্তে চেপে চেপে ব্লেন্ড করুন। বিউটি স্পঞ্জগুলো ফাউন্ডেশন নিখুঁতভাবে ব্লেন্ড করে এবং মুখে যতটুকু ফাউন্ডেশন দরকার ততটুকু রাখে।অতিরিক্ত ফাউন্ডেশন স্পঞ্জে শুষে নেয়।
  • এছাড়া ফাউন্ডেশন ব্যবহার এ আর একটি ব্যাপার যেটি আমাদের প্রায়ই হয়। তা হলো, ভুল শেডের ফাউন্ডেশন মুখে ব্যবহার করা। ফাউন্ডেশন লাগানোর পর আপনার স্কিনের থেকে লাইট/ ডার্ক লাগলে, তার উপর আমরা আর একটু ডার্ক /লাইট ফাউন্ডেশন ব্যবহার করে স্কিনের কাছাকাছি শেড আনার চেষ্টা করি। এতে আমাদের স্কিন দেখতে অদ্ভুত লাগে। এজন্য সমাধান হলো, আপনার স্কিনের সাথে ম্যাচ করে ফেস পাউডার নিন এবং এটি ফাউন্ডেশন এর উপর ব্যবহার করুন। এতে আপনার ফাউন্ডেশনও আপনার স্কিনের সাথে ম্যাচ করবে এবং ন্যাচারাল লুক এনে দিবে।

(২) ব্লাশ

গালে সুন্দর আভা আনতে আমরা ব্লাশ ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু অনেক সময় যে ভুলটা হয় তা হলো অতিরিক্ত ব্লাশ ব্যবহার করে ফেলা। যা দেখতে অত্যন্ত বাজে লাগে। 

  • সবসময় একটি ব্লাশ ব্রাশে অল্প একটু ব্লাশ নিবেন এবং এক্সট্রা ব্লাশ ব্রাশ থেকে ঝেড়ে ফেলে দিবেন। তারপর তা গালে ব্যবহার করবেন এবং ব্লেন্ড করতে থাকবেন। এভাবে অল্প অল্প নিয়ে ব্যবহার করলে, গালে কতটা ব্লাশ ব্যবহার উচিত, তা বুঝতে পারবেন।
  • যদি ব্লাশ অতিরিক্ত ব্যবহার করা হয়ে যায়, তবে একটু ট্রান্সলুসেন্ট সেটিং পাউডার ব্রাশে নিয়ে ব্লাশ যেখানে ব্যবহার করেছেন, সেখানে লাগান এবং ব্লেন্ড করে নিন। এতে ব্লাশের অতিরিক্ত কালারটা হালকা হয়ে যাবে।

(৩) আইশ্যাডো 

চোখের পাতা দুটি সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা আমাদের বরাবরই পছন্দ। এজন্য আমরা আইশ্যাডো  ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু অতিরিক্ত আইশ্যাডো দেয়া হলে সেই অতিরিক্ত  কালার অনেক সময় দেখতে খারাপ লাগে। 

  • একটি পরিষ্কার ব্লেন্ডিং ব্রাশ নিন। এটি দিয়ে আইশ্যাডোগুলো ভালোভাবে ব্লেন্ড করতে থাকুন। এতে আইশ্যাডোর কালার হালকা হয়ে যাবে। এছাড়া , ব্লাশের ট্রিকসটিও এক্ষেত্রে  কাজে দিবে।

 (৪) আইলাইনার

আই মেকাপে আই লাইনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আই লাইনারের মাধ্যমে চোখ দুটি টানা টানা করে তোলা হয়। কিন্তু আইলাইনার দিতে গিয়ে অনেক সময় আইলাইনার ছড়িয়ে যায় অথবা যেমন করে লাইন আঁকতে চাচ্ছেন, তেমন করে হচ্ছে না। 

  • একটি কটন বাড মেকাপ রিমুভারে ভিজিয়ে নিন। এক্সট্রাটুকু টিস্যু পেপারে শুষে নিন। এবার কটন বাডটি দিয়ে খুব সাবধানে যেখানে লাইনার ছড়িয়ে গেছে, সেখানে হালকা চেপে চেপে লাইনার মুছে নিন। এরপর নতুন করে লাইনার লাগান।

(৫) মাশকারা 

 চোখ দুটিকে পটলচেড়া করে তুলতে মাশকারার তুলনা নেই। মাশকারা ব্যবহারের মাধ্যমে চোখের পাপড়ি গুলোকে ঘন এবং বড় করে তোলা হয়।

  • কিন্তু মাশকারা লাগাতে গিয়ে প্রায়শই চোখের আশেপাশে মাশকারা লেগে যায়। এই সমস্যার সমাধানের জন্য,  যেখানে মাশকারা লেগে গিয়েছে সেখানের মাশাকারা শুকাতে দিন। শুকিয়ে গেলে একটি কটন বাড মেকাপ রিমুভারে ভিজিয়ে জায়গাটির মাশকারা মুছে নিন।
  • এছাড়াও আমরা যখন চোখের পাপড়িতে কয়েক কোট মাশকারা লাগাই, তখন দেখা যায় চোখের পাপড়িগুলো একসাথে জড়িয়ে গেছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে, একটি পুরোনো মাশকারার ব্রাশ নিন। এটি দিয়ে জড়িয়ে থাকা পাপড়িগুলো ব্রাশ করতে থাকুন এবং ছাড়িয়ে নিন। এখন থেকে, মাশকারা শেষ হয়ে গেলে ব্রাশটি আর ফেলে দিবেন না। সেটিকে পরিষ্কার করে ভালোভাবে শুকিয়ে রেখে দিন। এটি দিয়ে জড়িয়ে থাকা মাশকারা ছাড়িয়ে নিতে পারবেন।


(৬) লিপস্টিক

মেকাপের আর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে লিপস্টিক।  কিন্তু লিপস্টিক লাগাতে গিয়ে অনেক সময় দেখা যায় লিপস্টিক ছড়িয়ে গেছে। 

  • যেখানে লিপস্টিক ছড়িয়ে গেছে সেখানে হালকা মুছে নিয়ে একটুখানি কনসিলার লাগিয়ে ব্লেন্ড করে  নিন। এছাড়া ব্যবহার করুন যেকোনো লুজ পাউডার।  ঠোটের চারদিকে লুজ পাউডার লাগিয়ে নিন। এতে পরবর্তিতে লিপস্টিক ছড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবেন।

 এই তো জেনে নিলেন, কীভাবে মেকাপের ভুলত্রুটিগুলোকে সমাধান করে মেকাপ কে নিখুঁত করে তুলবেন। আশা করি আপনাদের টিপসগুলো অনেক হেল্প করবে।

ছবি – সেভেনথিমস ডট কম

লিখেছেন – জান্নাতুল মৌ

ডিম দিয়ে তৈরি মজাদার বিস্কিট পিঠা

$
0
0

বিকেলের নাস্তায়, বাচ্চার টিফিন কিংবা মেহমান আপ্যায়নে চায়ের সাথে বেশ যায় এই বিস্কিট পিঠা। চলুন দেখে নিই, কীভাবে তৈরি করা যায় ডিম দিয়ে তৈরি মজাদার এই  বিস্কিট পিঠা।

উপকরণ

  • চালের গুঁড়া ১.৫ (দের) কাপ
  • ময়দা ১/২ (হাফ) কাপ
  • ডিম ২ টা
  • চিনি ১ কাপ এর একটু কম
  • এলাচ, দারচিনি ২ টা করে
  • তেল ৩ চামচ
  • লবন সামান্য

প্রণালী 

- চিনি, এলাচ, দারচিনি, লবন আর পরিমানমতো পানি কিছুক্ষণ বলক দিয়ে একটু ঘন করে নিন। এলাচ দারচিনি ফেলে চালের গুঁড়া আর ময়দা দিয়ে শক্ত রুটির ডো এর মতো ডো করে নিন। নামিয়ে ডিম আর তেল দিয়ে ভালো মতো ময়ান করে নিন।

- ১/২” মোটা রুটি করে গোল মুখ এর স্টিল এর গ্লাস বা কুকি কাটার দিয়ে কেটে নিন। একইভাবে সবগুলো করে নিতে হবে।

- ডুবো তেলে বাদামি করে ভেজে নিলেই রেডি। ডিম বিস্কুট পিঠা।

সংরক্ষণ 

 পিঠাগুলো ঠান্ডা করে এয়ারটাইট বক্সে ভরে রাখতে পারবেন ১ সপ্তাহ পর্যন্ত।

ছবি এবং রেসিপি – সামিয়া জামান

অনিয়মিত পিরিয়ডের কিছু ঘরোয়া সমাধান

$
0
0

অনেকের হয়তো মাঝে মাঝে পিরিয়ড এর তারিখ পেরিয়ে গেলেও পিরিয়ড হতে সবসময় দেরি হয়। সাধারনত অনেক বেশি স্ট্রেস, পরিশ্রম, দুর্বলতা, জীবনযাত্রায় বড় কোনও পরিবর্তন এসব কারণে অনিয়মিত পিরিয়ড হতে পারে। অনেক সময় ঘরোয়া কিছু উপায়ে এসব সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। কিন্তু তাতে কাজ না হলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। নিচে রইল এমনি কিছু সমাধান-

(১) আদা

আদা অনিয়মিত পিরিয়ড ঠিক করার পাশাপাশি পিরিয়ড চলাকালীন পেটের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে। আধা চাচামচ আদা কুঁচি এক কাপ পানিতে ফুটিয়ে নিন ৬ থেকে ৭ মিনিট। তারপরে এতে মেশান সামান্য চিনি বা মধু। এরপরে মিশ্রণটি ছেঁকে নিন। দিনে তিনবার খাওয়ার পরে এই মিশ্রণটি এক মাস খেতে হবে।

(২) হলুদ

হালকা গরম দুধের সাথে মেশান ১/৪ চাচামচ হলুদ গুঁড়ো। হালকা গরম থাকতেই খেয়ে নিন। প্রতিদিন খেলে অবশ্যই পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন।

(৩) ধনে

দুকাপ পানিতে এক চা চামচ আস্ত ধনে দিয়ে অল্প আঁচে পানিটা ফুটিয়ে নিতে থাকুন, যতক্ষণ না সেটা অর্ধেক হচ্ছে। পিরিয়ডের ডেট আসার আগের সপ্তাহ থেকে দিনে তিনবার এই পানি খান।

(৪) তুলসি পাতা

এক চামচ তুলসি পাতার রস আর এক চামচ মধু মিশিয়ে নিন, সাথে সামান্য গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে দিনে দু’বার খেতে পারেন।

(৫) তিল ও গুড়

এক মুঠো তিল টেলে নিয়ে এক চামচ গুড় এর সাথে মিশিয়ে বাটতে হবে। এই মিশ্রণ প্রতিদিন খালি পেটে খেতে হবে।

(৬) দারুচিনি

দারুচিনি অনিয়মিত পিরিয়ডের পাশাপাশি পিরিয়ড চলাকালীন পেটের ব্যথাও কমাতে সাহায্য করে। আধা চা চামচ দারুচিনি গুঁড়া দুধের সাথে মিলিয়ে খেতে পারেন। অথবা নিয়মিত চায়ের সাথে দারচিনি দিতে পারেন।

(৭) গাঁজর

গাঁজর আয়রনের একটি ভালো উৎস, যা শরীরের হরমোন ফাংশনকে সঠিকভাবে চলতে সাহায্য করে। অনিয়মিত পিরিয়ড এর ক্ষেত্রে এক গ্লাস গাঁজরের রস প্রতিদিন খেতে হবে তিনমাস পর্যন্ত ।

(৮) মৌরি

দুই টেবিল চামচ মৌরি এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে সারারাত। পরদিন সকালে পানিটা ছেঁকে নিয়ে খেতে হবে। কার্যকর ফলাফল পেতে এক মাস নিয়মিত খেতে হবে মৌরি ভেজানো এই পানি।

(৯) কুঁচি ধনেপাতা (Parsley)

ধনেপাতার রস পিরিয়ড সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে খুব উপকারী। ধনেপাতার রস খেতে না পারলে, ধনেপাতা বাটা খেতে পারেন ভাতের সাথে।

(১০) করলার রস

পিরিয়ডের সমস্যা সমাধানে করলার রস ও বেশ কার্যকরী। দিনে একবার বা সম্ভব হলে দুবার করলার রস খানে টানা কয়েক সপ্তাহ। এছাড়াও করলার রস ডায়াবেটিস এর ক্ষেত্রেও বেশ উপকারী।

(১১) ভিটামিন সি

অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যায় ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খুব জরুরি। পিরিয়ডের আগের সপ্তাহ থেকে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার রাখুন ডায়েটে।

(১২) পুদিনা পাতা

একচামচ মধুর সাথে পুদিনা পাতার রস মিশিয়ে দিনে তিনবার খেতে হবে একটানা কয়েক সপ্তাহ।

এগুলোর পাশাপাশি জেসব বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত যেমনঃ

  • শরীরের ওজন ঠিক রাখা, নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করা
  • স্বাস্থকর খাবার খাওয়া
  • ধূমপান বা অন্য কোন এলকহলিক পানীয় না খাওয়া ইত্যাদি।

 

তবে উপরে যেসব সমাধানের কথা বলা হয়েছে, সেগুলো নিতান্তই ঘরোয়া সমাধান। বড় কোন শারীরিক সমস্যা না থাকলে হয়তো দুতিন মাসেই এর ফলাফল পাওয়া যাবে। কিন্তু দীর্ঘসময় ধরে যদি আপনার অনিয়মিত ভাবে পিরিয়ড হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। ভালো থাকুন।

ছবি – স্টেপটুহেলথ ডট কম

লিখেছেন – মাহবুবা বীথি


খিরসা পিঠা

$
0
0

শীত আসি আসি করছে। আর শীতের সময় নানা রকমের পিঠা তো খাওয়াই হয়। তাই আজ দারুণ মজাদার খিরসার পিঠার রেসিপি দেয়া হল। চলুন দেখে নিই  খিরসা পিঠা তৈরির পুরো রেসিপি।

উপকরণ

খিরসার জন্য

  • দুধ ১ কেজি
  • গুরা দুধ ১/২ কাপ
  • কনডেন্স মিল্ক ১/২ কাপ
  • এলাচ গুঁড়া  ১ চিমটি

ডো এর জন্য

  • চালের গুঁড়া ২ কাপ
  • লবন সামান্য
  • পানি পরিমান মতো

প্রণালী 

- প্রথমে দুধ কিছুক্ষণ জাল করে নিন। এবার খিরসার জন্য রাখা বাকি উপকরণ দুধে দিয়ে নাড়ুন। ঘন হয়ে যাওয়া পর্যন্ত নেড়ে নেড়ে জ্বাল দিতে থাকুন। এবার একটু আঠালো ভাব  হয়ে এলে নামিয়ে চ্যাপ্টা প্লেটে ঢেলে ঠান্ডা করে নিন।

- এবার ডো তৈরির জন্য চালের গুঁড়া  একটু হালকা নেড়ে নেড়ে ভেজে নিতে হবে। এরপর রুটির মতো ডো করে নিন। পরোটার চেয়ে একটু মোটা রুটি করে খিরসাটা দিয়ে আঙ্গুলে চেপে মুক বন্ধ করে কেটে নিন।

- এখন ডুবো তেল এ বাদামি করে ভাজুন। এবার পরিবেশন করুন মজাদার খিরসা পিঠা।

ছবি ও রেসিপি –  সামিয়া তাসমিন

নাইট ক্রিম ব্যবহার করা কেন এতো জরুরি ?

$
0
0

ত্বকের যত্নে নাইট ক্রিমের ভুমিকা  অনেক বেশি। সারাদিনের কর্মব্যস্ততার শেষে আপনার মতো আপনার ত্বকেরও বিশ্রাম ও যত্ন প্রয়োজন। আর রাতে আপনার ত্বকের যত্নে নাইট ক্রিম অনস্বীকার্য।  আপনি যদি নাইট ক্রিম না লাগিয়েই ঘুমাতে যান তবে কিন্তু ভুল করছেন। আপনি যতটা ভাবছেন নাইট ক্রিম তার চেয়েও বেশি দরকারী আপনার ত্বক সুন্দর রাখতে। আসুন জেনে নিই, নাইট ক্রিমের কিছু উপকারীতার কথা  আমাদের ত্বকের জন্য-

(১) আপনার ত্বককে সারা রাত ধরে নাইট ক্রিম ময়েশ্চারাইজ রাখে। ফলে ত্বকের সজিবতা ঠিক থাকে ।

(২) ত্বক মসৃণ রাখে আর ত্বকে আরাম দেয়।

(৩) আপনার ত্বকের কোলাজেন বৃদ্ধি করে।

(৪) নাইট ক্রিম মাসাজ করার ফলে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়।

(৫)  ত্বক মসৃণ রেখে ত্বকের টেক্সচার ঠিক রাখে।

(৬) ত্বকের বলিরেখা আর অন্যান্য ভাঁজ কমায়।

(৭) ত্বক রুক্ষ হওয়া থেকে রক্ষা করে ।

(৮) ত্বক নরম ও ফুটফুটে রাখে।

(৯) ত্বকে বুড়িয়ে যাওয়া ছাপ পড়তে বাধা দেয়।

(১০) ত্বকে নুতন কোষ জন্মাতে ও ত্বকে পুষ্টি জোগাতে  নাইট ক্রিম অসাধারণ।

কোন ধরনের নাইট ক্রিম লাগাবেন?

আপনার ত্বকের সাথে যুতসই নাইট ক্রিম বেছে নিন । বাজারে অনেক ধরণের নাইট ক্রিম রয়েছে। স্বাভাবিক ত্বক, তৈলাক্ত ত্বক বা মিশ্র ত্বক ইত্যাদি সব ধরণের ত্বকের জন্যই আলাদা আলাদা নাইট ক্রিম আপনি বাজারে পাবেন এবং অনেক বিশ্বস্ত ব্রান্ডের নাইট ক্রিম পাবেন। নাইট ক্রিম কেনার সময় খেয়াল রাখুন ক্রিমটি যেন খুব ঘন না হয়। ঘন নাইট ক্রিম আপনার ত্বকের লোমকূপ বন্ধ করে দেবে যার ফলে ত্বকে ঠিকমতো বাতাস সরবারাহ হবে না । আর নাইট ক্রিম যেন সুঘন্ধিযুক্ত  না হয় আর এটি যেন অবশ্যই হাইপোএলারজিক হয় ।

কেন নাইট ক্রিম লাগাবেন?

আগেই বলেছি  ত্বকের জন্য কী কী ভালো কাজ করে এই নাইট ক্রিম । এটা বলা হয়ে থাকে যে, নাইট ক্রিমের একটিভ উপাদানগুলো রাতের বেলা আপনার ত্বকে ভাল কাজ করে দিনের বেলার ক্রিমের তুলনায়। আর রাতে আপনার ত্বকের কোষ রিজেনারেশানের ক্ষমতাও বেশী থাকে যখন আপনি ঘুমান।

সাধারণত কী কী উপাদান থাকে এই নাইট ক্রিমে?

নাইট ক্রিমে সাধারণত যেসব উপাদান থাকে তা হল – ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন এ, জোজোবা ওয়েল, অলিভ ওয়েল, আপ্রিকট ওয়েল, রোজ ওয়েল, অ্যালোভেরা, মধু, শিয়াবাটার, জেসমিন, অ্যান্টি এইজিং উপাদান, রেটিনল, এমিনো এসিড, এএইচএস, কপার, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, কোলাজেন।

ভালো এবং উন্নত মানের কিছু নাইট ক্রিমের নাম

The body shop Aloe Soothing Night Cream, The body shop Vitamin E Night Cream,  Neutrogena Light Night Cream, The body shop Nutriganic Smooth Night Cream, The body shop Shiso Brightening Night TreatmentL’oreal Night Cream For Mature Skin, Olay Night Recovery Cream

 কিভাবে নাইট ক্রিম লাগাবেন

যেমন তেমন করে নাইট ক্রিম লাগাবেন না। তাতেত্বকের উপকার হবে না। নাইট ক্রিম লাগানোর পদ্ধতি হবে  নিম্নরুপ-

 (১) নাইট ক্রিম লাগানোর আগে অবশ্যই ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করুন।

(২) হাতের আঙ্গুলের ডগায় ক্রিম নিয়ে ফোটা ফোটা করে মুখের ত্বকে লাগান।

(৩) উপরের দিক থেকে নীচের দিকে বৃত্তাকারভাবে  ম্যাসাজ করে ক্রিম ত্বক মিশিয়ে দেবেন আস্তে আস্তে আলতো করে।

(৪) চোখের পাতায় নাইট ক্রিম লাগাবেন না ।

তাই আজ থেকেই আপনার ত্বকের যত্নে নাইট ক্রিম ব্যবহার করুন । রাতে ঘুমানোর আগে আপনার নাইট ক্রিমের যত্ন সাথে নিয়েই ঘুমাতে যান যাতে সকালে আপনার মতো আপনার ত্বকও সজীব ও ফ্রেশ থাকে।

ছবি – স্কিনকেয়ার ডট টিকে

লিখেছেন –  রোকসানা আকতার

সাবুদানার আলুর চপ!

$
0
0

বিকালের নাস্তার জন্য র তুলনা নাই! চলুন শিখে নেই ভিন্ন স্বাদের এই চপ তৈরির পুরো প্রণালী।

উপকরণ 

  • সাবুদানা- ১ টেবিল চামচ (একটি পাত্রে সাবুদানা অল্প পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। ২ মিনিট পর সাবুদানাগুলো পানি থেকে তুলে একটি প্লেটে মেলে রাখতে হবে। ফ্যানের নিচে রাখলে বেশ ঝরঝরে হয়ে যাবে।)
  • বড় আলু- ৩টি (সিদ্ধ করে মথে নিতে হবে)
  • চীনাবাদাম- ৪ চা চামচ (গুড়ো করে নিতে হবে)
  • পেঁয়াজ কুঁচি- ৩ চা চামচ
  • মরিচ কুঁচি আর ধনেপাতা কুঁচি - ইচ্ছা মতো
  • গরম মশলা গুড়া- ১/২ চা চামচ
  • লবন স্বাদমতো
  • ২টি ডিমের সাদা অংশ
  • তেল ভাজার জন্য

 


প্রণালী
আলুর মধ্যে বাদাম, পেঁয়াজ, কাঁচা-মরিচ, ধনেপাতা কুঁচি, গরম মসলা, লবন দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর সাবুদানার অর্ধেক আলুর সাথে মিশিয়ে পছন্দমতন আকারে গড়ে নিন। এরপর গোল করা চপের বাইরের দিকে একটু করে সাবুদানা চেপে লাগিয়ে নিন, এতে বাড়ি একটা ক্রাঞ্চ আসবে। ডিমের সাদা অংশ সামান্য লবণ দিয়ে ফেটিয়ে নিন ও চপ গুলো সেই মিশ্রণে ডুবিয়ে ডুবো তেলে লাল লাল করে ভেজে নিন।

ছবি – উইরেসিপি ডট কম

রেসিপি – রান্না কথন 

হোয়াইট হেডস মুক্ত ত্বকের জন্য করণীয়

$
0
0

আমাদের সবার ত্বকের ধরন ভিন্ন। তাই আমাদের ত্বকের সমস্যার ধরনও অনেক সময় ভিন্ন। কিন্তু আমাদের ত্বকের জন্য একটি কমন সমস্যা হোয়াইট হেডস। তাই হোয়াইট হেডস থেকে কীভাবে নিজের ত্বককে মুক্ত রাখতে পারবেন সেটাই আপনাদের সাথে আজ শেয়ার করবো।

প্রথমেই জেনে নেব, হোয়াইট হেডস কি? হোয়াইট হেডস হল এক ধরনের ছোট সাদা ব্রণ যা আমাদের ত্বক দ্বারা নির্গত তেল বা মৃত কোষ দিয়ে গঠিত হয়। যার ফলে ত্বকের পোর ব্লক হয়ে যায়। অতিরিক্ত ধুলাবালি, ময়লা থেকেও এটি সৃষ্টি হতে পারে। এটি সাধারনত কম্বিনেশন  এবং অয়েলি স্কিনে বেশী দেখা যায়। নাকের উপরে এবং চারপাশে, কপালে, থুতনিতে, গালে হোয়াইট হেডস দেখা যায়। এটি দেখতে ছোট ছোট সাদা ফুস্কুড়ির মতো। তো চলুন এবার জেনে নিই, কীভাবে হোয়াইট হেডস মুক্ত ত্বক পেতে পারেন।



(১) স্কিনের উজ্জলতা এবং বয়স ধরে রাখতে ত্বকে উৎপাদিত অয়েল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু স্কিনের অতিরিক্ত অয়েলের কারণে হোয়াইট হেডস দেখা দেয়। তাই আপনার স্কিন কেয়ারের দিকে নজর দিতে হবে। দিনে অন্ততপক্ষে ৩ বার মুখ পরিষ্কার করবেন একটি ভালো ফেসওয়াশ দিয়ে। যা আপনার স্কিনের সাথে মানানসই। এক্ষেত্রে আপনি সকালে, সন্ধ্যায় এবং রাতে শোয়ার আগে মুখ পরিষ্কার করে নিবেন। এর সাথে টোনার এবং ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিবেন।


 (২) ত্বকের আসল সৌন্দর্য আসে ভেতর থেকেই। আপনার খাদ্যাভ্যাস এর প্রভাব আপনার স্কিনে পরবেই। তাই যথাসম্ভব হেলদি খাবার গ্রহনের চেষ্টা করুন। প্রচুর পানি পান করবেন এবং আপনি একটি DETOX ড্রিংক তৈরি করে নিতে পারেন। এছাড়া প্রচুর সালাদ, ফলমূল, শাকসবজি খাবেন। ভাজা পোড়া এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। মনে রাখবেন, নিজেকে ভেতর থেকে ফিট এবং সতেজ না রাখলে স্কিনও ভালো থাকবে না এবং নানা সমস্যা দেখা দেবে।


(৩) স্কিনে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। অনেকে মনে করে তৈলাক্ত ত্বকে ময়েশ্চারাইজারের কোনো প্রয়োজন নেই। এই ধারনা একদম ভুল। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার না করলে হোয়াইট হেডসের বৃদ্ধি বাড়ে। কারণ, ময়েশ্চারাইজার ত্বকে ব্যালেন্স আনে এবং অতিরিক্ত ড্রাইনেস দূর করে। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার না করলে আমাদের ত্বকের ড্রাই ভাব দূর করার জন্য ত্বক অতিরিক্ত অয়েল উৎপাদন করে। আর এই অতিরিক্ত অয়েলের ফলে দেখা দেয় হোয়াইট হেডস। তাই মুখ পরিষ্কারের পর অবশ্যই একটি লাইটওয়েট, হাইড্রেটিং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।


(৪) আপনার ত্বক যদি হোয়াইট হেডসযুক্ত হয় তবে অবশ্যই মেকাপের কাজ শেষে মেকাপ রিমুভ করতে ভুলবেন না।কারণ, মেকাপ নিয়ে শুয়ে পড়লে এক রাতেই আপনার ত্বক অতিরিক্ত হোয়াইট হেডস এর জন্ম দিবে। তাই অবশ্যই মেকাপ ভালোভাবে রিমুভ করে পরিষ্কার মুখে ঘুমাতে যাবেন।


(৫) অতিরিক্ত হোয়াইট হেডস দূর করতে ব্যবহার করুন ডিমের একটি মাস্ক। এই মাস্কটি পরিপূর্ণভাবে ব্যবহার করতে পারলে আপনার হোয়াইট হেডস উঠে আসবে।এজন্য,
ডিমের সাদা অংশ হালকা ফেটিয়ে নিন। এবার একটি গরম তোয়ালে আপনার হোয়াইট হেডস এরিয়াতে চেপে নিন ৫ মিনিট। এতে আপনার পোরগুলো ওপেন হবে। 

এবার ডিমের সাদা অংশ নিয়ে ওই সকল স্থানে লাগান, এবার একটি টিস্যু পেপার নিয়ে সাদা অংশের উপরে বসিয়ে নিন। এবার আর এক লেয়ার ডিমের সাদা অংশ এবং টিস্যু পেপার লাগান। এভাবে ৪-৫ লেয়ার করবেন। এবার এটি শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে। টিস্যু পেপারের এক মাথা ধরে আস্তে আস্তে টান দিয়ে তুলে ফেলুন। পুরো টিস্যুপেপার তুলে ফেলার পর আপনি নিজেই দেখতে পারবেন, টিস্যু পেপারের সাথে আপনার হোয়াইট হেডসগুলো উঠে এসেছে। এই মাস্কটি খুবই এফেক্টিভ।


(৬) হোয়াইট হেডস দূর করতে স্ক্রাবিং করুন। কারণ স্ক্রাবের বিডসগুলো হোয়াইট হেডস দূর করে দেয়। তাই সপ্তাহে অন্তত  ৩ দিন স্ক্রাবিং করবেন।


(৭) হোয়াইট হেডস-এর কথা মাথায় রেখে আপনার ফেস মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। এক্ষেত্রে আপনি যেকোনো ক্লে অথবা চারকোল মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। ক্লে অথবা চারকোল মাস্কগুলো হোয়াইট হেডসপ্রোন স্কিনের জন্য খুব ভালো কাজে দেয়।
 
 এই তো জেনে নিলেন, কীভাবে আপনি আপনার ত্বককে হোয়াইট হেডস মুক্ত রাখতে পারবেন। আশা করি, আজকের এই লেখা থেকে আপনাদের কিছুটা হলেও সাহায্য হবে।

ছবি – স্কিনহোয়াইট ডট কম

লিখেছেন –  জান্নাতুল মৌ

চুলায় তৈরি করুন সুস্বাদু নানরুটি

$
0
0

খাবার সময় একটু ভিন্ন স্বাদ পেতে কার না মন চায় বলুন। শীতের রাতে গরম গরম সবজি বা মাংসের তরকারির সাথে রুটি পরোটা খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। বিশেষ করে নানরুটি হলে তো কথাই নেই। এছাড়াও রাতে বাসায় বার-বি-কিউ করা হলে এর সাথেও খাওয়া হয় নানরুটি। বাইরে রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে কাবাব আইটেমের সাথে সকলেই নানরুটি অর্ডার দিয়ে থাকেন। কিন্তু কেমন হয় যদি ঘরেই সুস্বাদু নানরুটি তৈরি করে ফেলা যায়? চলুন তবে আজকে শিখে নিই ঘরে স্পেশাল নানরুটি তৈরির সবচাইতে সহজ পদ্ধতিটি।

 উপকরণ

  • ময়দা ৩ কাপ
  • গমের আটা ১ কাপ
  • বেকিং সোডা ১ চা চামচ
  • বেকিং পাউডার দেড় চা চামচ
  • চিনি ১ টেবিল চামচ
  • ইস্ট ৩/৪ চা চামচ
  • দুধ ১/৪ কাপ
  • দই ১ কাপ
  • ঘি (ব্রাশ করার জন্য)
  • টপিং এর জন্য রসুন, বাদাম বা চীজ (ইচ্ছা)

প্রণালী 

– ইস্ট, চিনি ও সামান্য হালকা গরম পানি একসাথে মিশিয়ে ৫-১০ মিনিট আলাদা করে রাখুন। এরমাঝে আটা, ময়দা, বেকিং পাউডার ও বেকিং সোডা একসাথে মিশিয়ে নিয়ে মাঝে একটু গোল জায়গা করে রাখুন।
– দুধ এবং দই একসাথে ভালো করে মিশিয়ে নিন। ইস্টের মিশ্রণ একটু ফোম ধরণের হয়ে এলে তা দই ও দুধের মিশ্রণে দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন এবং তা ময়দার মিশ্রণে গোল করে রাখা স্থানে ঢেলে দিন।
– এবার রুটি বেলার মতো করে ভালো করে মিশিয়ে নরম ডো তৈরি করে ফেলুন। এরপরএকটি বাটিতে তেল/ঘি দিয়ে ব্রাশ করে নিয়ে ডোটি রেখে একটি পাতলা প্লাস্টিক দিয়ে বাটিটি
ঢেকে একটু গরম জায়গায় রেখে দিন।
– ডো ফুলে দ্বিগুণ হয়ে গেলে বুঝবেন তা রুটির জন্য তৈরি হয়ে গিয়েছে। ডো দ্বিগুণ হতে প্রায় ৩০-৪৫ মিনিট সময় নেবে। এরপর ডো টি আবার একটু মথে নিয়ে ১৬ টি ভাগে ভাগ করে
নিন।
– এবার একটি বেলন দিয়ে প্রতিটি ভাগের ডো ভালো করে বেলে নিন। পুরো গোল নয় একটু ডিম্বাকৃতি করে ৬ ইঞ্চি পরিমাণে বেলে নিন যার পুরুত্ব ১/৮ ইঞ্চি রাখার চেষ্টা করবেন।
– এবার একটি লোহার তাওয়া চুলায় দিয়ে মাঝারি আঁচে গরম করে নিন। তাওয়া ভালোমতো গরম হয়ে এলে বেলে রাখা রুটির দুইপাশ বাটার/ঘি দিয়ে ব্রাশ করে নিন।
– যদি সাধারন নানরুটি চান তবে এভাবেই তাওয়ায় দিয়ে দিন। আর যদি স্পেশাল কোনো স্বাদ চান তবে টপিংয়ে যা দিতে চান তা রুটির একপাশে একটু চাপ দিয়ে রুটির ভেতরে আটকিয়ে তাওয়ায় দিয়ে দিন।
– তাওয়ার উপর ১ মিনিট রেখে দিন অথবা একটু ফুলে উঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে থাকুন। একপাশ হয়ে গেলে ওপরে আরেকটু ঘি/বাটার ব্রাশ করে উল্টে অপর পাশ ভেজে নিন।
– এভাবে সব রুটি ভালো করে ভেজে নিন। ব্যস, এবার গরম গরম কাবাব, মাংস ও সবজির তরকারির সাথে মজা নিন সুস্বাদু নানরুটির।

ছবি – ইউটিউব ডট কম

রেসিপি – রাশেদ আহমেদ রাজু

চুল পাতলা হয়ে যাচ্ছে! কী করবেন? 

$
0
0

সাধারণত সব মেয়েরই চুলের স্টাইল নিয়ে অনেক বেশি সচেতন। তারা সবাই চান চুল হবে মসৃণ, ফুরফুরে নরম আর ঘন। আর ঘন চুল থাকলে আপনি অনেক বেশী হেয়ার স্টাইল করতে পারবেন যেমন চুল কোঁকড়ানো, বা সোজা করা এমনকি লেয়ার করার জন্য ঘন চুল খুব ভালো। লেয়ার কিন্তু ঘন চুলেই অনেক বেশী ভাল লাগে। আপনার চুল যদি পাতলা  হয় তাহলে চুলে লেয়ারিং তা কিন্তু ভালো হয় না বা ভালো ফোটে না। কিন্তু এটাও সত্যি আজকাল অনেক কারণেই আমারা চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছি। আর এই চুল পড়ে যাওয়া রোধে সবাই অনেক শ্যাম্পু কন্ডিশনার ব্যবহারও করছি। বিভিন্ন তেল ইউজ করছি। তবে চুল পড়ে যাওয়া রোধে কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী চুলের যত্ন নেয়া উচিৎ। কারণ ওনারাই ভালো জানেন কেন চুল পড়ে  পাতলা হয়ে যাচ্ছে আর কীভাবে এই চুল পাতলা হওয়া বন্ধ করা যাবে।

অনেক কারণেই আমাদের চুল পড়ে। যা আমাদের দৈনন্দিন জীবন যাপন চুল পড়ে যাওয়ার সাথে এমনভাবে জরিত যা আমারা উপেক্ষা করতে পারি না। কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ যেমন-

দুশ্চিন্তা আর মানসিক চাপের কারণে চুল পড়ে সবচেয়ে বেশি। কারণ দৈনন্দিন জীবনে নানারকম স্ট্রেসের কারণে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় আর স্বভাবতই আমাদের চুল এই অতিরিক্ত তাপমাত্রার ফলে পড়ে যেতে শুরু করে।

এর পরের কারণটা হল আমাদের খাদ্যাভাস। যখন আপনি ঠিকমতো সঠিক পুষ্টিকর খাবার না খাবেন, আপনার চুলও সঠিক পুষ্টি না পেয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে। আর তা থেকেই শুরু হয় চুল পড়া ।

পরিবেশগত বিষয়টি আমাদের চুল পড়ার অন্যতম কারণ। ধুববালি দূষণের কারণে চুল অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় আর যা থেকে চুল পড়ে যাওয়া শুরু হয়।

অনেক অনেক ধরনের ঔষধ খান যার কারণে চুল পড়ে যেতে পারে। অনেক ঔষধে অনেক বেশি ডোজ থাকে যার ফলে আপনার চুল পড়ে পাতলা হয়ে যেতে পারে।

কীভাবে চুল পড়া রোধ করবেন?

অনেক ধরনের সমাধানই হতে পারে আপনার চুল পড়া বন্ধ করতে। অনেক হেয়ার পণ্য যেমন শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার আছে যা চুল পড়া বন্ধ করে। আবার আপনার চুলের স্টাইল পরিবর্তন করেও আপনার পাতলা হয়ে যাওয়া চুল দিয়ে অনেক রকম স্টাইল করতে পারেন যাতে চুল কিছুটা ঘন দেখাবে।যারা হেয়ার স্টাইল এক্সপার্ট তারা জানেন কীভাবে ও কোন হেয়ার স্টাইল করলে পাতলা চুল ঘন লাগবে। তাই হেয়ার স্টাইল করার সময় আপনার সমস্যার কথা আপনার পার্লারের হেয়ার স্টাইলিস্টের কাছে খুলে বলুন। এছাড়া রুপ বিশসজ্ঞদের পরামর্শ নিন আপনার খাবারের তালিকা ও ভাল চুলের পণ্যের জন্য। তবে চুল বিশেষজ্ঞরা অনেক ধরনের ট্রিটমেন্টের সাথে আপনার চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন। ঘরোয়া আর প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করেও আপনি আপনার চুল পড়া রোধ করতে সক্ষম হতে পারেন।

তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল আপনি যদি আপনার জন্য একটি ভালো খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন আর স্ট্রেস থেকে নিজেকে দূরে রেখে মানসিকভাবে ভালো থাকতে পারেন তবে আপনার চুলের স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে যা চুলকে ঝরে যেতে বাধা দেবে। তাই আপনার ডাক্তার বা রূপ বিশেষজ্ঞ  এর পরামর্শ নিন ও তা অনুসরণ করুন।

 ছবি – গ্রুপঅন ডট কম

লিখেছেন –  রোকসানা আকতার

বিফ কাবাব শর্মা

$
0
0

চিকেন শর্মা খাওয়া হয়েছে অনেক! তাই এবার একটু ভিন্ন স্বাদের বিফ কাবাব শর্মা ট্রাই করলে কেমন হয়? নিজেই আজকের দেয়া রেসিপিটি বাসায় চেষ্টা করে দেখতে পারেন স্বাদে অতুলনীয় এই বিফ কাবাব শর্মা । চলুন শিখে নিই, বিফ কাবাব শর্মা তৈরির পুরো প্রণালী।

কাবাব তৈরি  উপকরণ

  • গরুর হাড় ছারা মাংশ পাতলা করে কাটা ২ কাপ
  • টকদই ১/২ কাপ
  • আদারসুন বাটা ২ টেবিলচামচ
  • মরিচ গুঁড়া ২ চা চামচ
  • জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ
  • ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ
  • গরম মশলা গুঁড়া ১/২ চা চামচ
  • কাবাব মশলা ১ চাচামচ
  • লবন সাধ মত
  • সরসের তেল ২ টেবিল চামচ

সব একসাথে মেখে ৫-৬ ঘন্টা বা সারা রাত ফ্রিজ-এ রেখে দিন। তারপর বের করে সামান্য তেল দিয়ে দুপাশ বাদামি করে ভেজে নিন। একটু ঠান্ডা করে কুঁচি করে নিন।

শর্মা ব্রেড এর জন্য  উপকরণ

  • ময়দা ২ কাপ
  • চিনি ১ চা চামচ
  • ইস্ট ১/২ চাচামচ
  • হালকা গরম পানি ১/৩ কাপ
  • তেল ৪ চামচ
  • লবন সামান্য

গরম পানিতে চিনি আর ইস্ট দিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখুন। এবার ময়দায় লবন দিয়ে তাতে ইস্ট গোলানো পানি দিয়ে ময়ান করা শুরু করুন মাঝারি শক্ত ডো হবে। প্রয়োজনে আরেকটু গরম পানি দিন। এবার ডোটার চারপাশে তেল মেখে। ভাল মত ঢেকে ২০ মিনিট রেখে দিন। এর পর ডোটা ময়ান করে ছোট ছোট গোল্লা করে হালকা ভারি রুটি বানিয়ে চুলায় ভেজে নিন রুটির মত।

সালাদ এর জন্য  উপকরণ

  • সসা কুঁচি ১/৩ কাপ
  • গাজর কুঁচি  ১/৩ কাপ
  • পেপে কুঁচি  ১/৩ কাপ
  • বাধাকপি কুঁচি  ১/৩ কাপ
  • পেয়াজ কুঁচি  ১/৪ কাপ
  • কাচামরিচ কুঁচি  ২ টেবিল চামচ
  • ধনেপাতা কুঁচি  ২ টেবিল চামচ
  • লেবু কুঁচি  ১ চা চামচ
  • সিদ্ধ ডিম কুঁচি  ১ টা
  • সিদ্ধ আলু কুঁচি করে লবন দিয়ে বেশি তেল এ ভেজে নেওয়া ১/৩ কাপ
  • টমেটো সস ৩ টেবিল চামচ
  • মেয়োনিজ ৩ টেবিল চামচ
  • কাবাব কুঁচি করা
  • লবন সাদমত

সব একসাথে মেখে নিয়ে শর্মা ব্রেড চুলায় হালকা সেঁকে নিয়ে তার একপাশে মেয়োনিজ টমেট সস মাখিয়ে তাতে ৩ টেবিল চামচের মত পুরটা দিয়ে একপাশ শর্মা রেপার দিয়ে মুড়িয়ে   পরিবেশন করুন।

ছবি ও রেসিপি –  সামিয়া তাসমিন


চাপা গায়ের রংয়ের অধিকারীদের জন্য কিছু মেকাপ টিপস

$
0
0

আমাদের সবার স্কিন কালার এক নয়। যখন  আমরা আমাদের জন্য মেকাপ নির্বাচন করি, তখন স্কিন কালারের কথা মাথায় রাখতে হয়। কারণ সব ধরনের মেকাপ সবার স্কিন কালারে মানিয়ে যায় না। তাই আপনার নিজের জন্য পারফেক্ট মেকাপ নির্বাচন করে আপনার সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে হবে আপনাকেই। আমাদের এশিয়ানদের মধ্যে চাপা গায়ের রংয়ের অধিকারী অনেকেই।চাপা গায়ের রংয়ের  অধিকারীদেরকে ফাউন্ডেশন কেনার সময় খুব সাবধানে, দেখে শুনে, বুঝে কেনা উচিত। তাই আজ চাপা গায়ের রংয়ের  অধিকারীদের জন্য রয়েছে কিছু মেকাপ টিপস।

  • লিকুইড ফাউন্ডেশন তাদের জন্য ভালো কাজে দিবে। থিক/ স্টিক ফাউন্ডেশন স্কিনে ন্যাচারাল লাগবে না। ফাউন্ডেশন কেনার সময় শেড মিলিয়ে কিনতে হবে। ফাউন্ডেশনের শেড যাতে তাদের স্কিনের সাথে পারফেক্ট ম্যাচ হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ চাপা ধরনের স্কিনে ভুল শেডের ফাউন্ডেশন খুব বাজেভাবে ফুটে উঠবে।
  • ফাউন্ডেশন ব্যবহার করার সময় খুব অল্প অল্প করে ব্যবহার করতে হবে। আস্তে আস্তে কভারেজ বিল্ড করতে হবে। একগাদা ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা যাবে না। এতে স্কিনে ফাউন্ডেশন ভেসে থাকতে পারে।যা খুবই বাজে লাগে দেখতে। ফাউন্ডেশন ব্লেন্ড-এর জন্য বিউটি স্পঞ্জের ব্যবহার ভালো কাজে দিবে।

  • স্কিনে ডার্ক সার্কেল, স্পট থাকলে ব্যবহার করুন অরেঞ্জ কারেক্টর। ডার্ক স্কিনে অরেঞ্জ  কালার অনেক ভালো কাজে দেয়। অরেঞ্জ কারেক্টর লাগিয়ে এর উপর আপনার কনসিলার লাগিয়ে নিন। এতে দাগ পুরোপুরিভাবে ঢেকে যাবে।
  • স্কিন শেডের থেকে ২-৩ শেড লাইট কালারের কনসিলার ব্যবহার করুন।  কনসিলারের সাহায্যে ফেস হাইলাইট করে নিতে হবে। তাহলে ফেসে একটি ফ্রেশ  লুক আসবে। এজন্য কনসিলারটি চোখের নিচে, নাকের ব্রিজে, কপালে, থুতনিতে ব্যবহার করে ব্লেন্ড করে নিবেন।
  •  ব্লাশের ব্যবহারের ক্ষেত্রেও কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে।
  • কোরাল, রোজি, ডিপ অরেঞ্জ কালারগুলো ব্লাশ হিসেবে ডার্ক স্কিনে ভালো মানিয়ে যায়। এ কালারগুলো দিনের বেলার জন্য পারফেক্ট। রাতের বেলার জন্য বেছে নিন প্লাম, ব্রোঞ্জ, ওয়াইন কালারগুলো।
  • লাইট পিংক, পীচ, ব্রাউন কালারগুলো ব্যবহার না করাই ভালো।
  • পাউডার ব্লাশ না ব্যবহার করতে চাইলে ব্যবহার করুন ক্রিম ব্লাশ।
  •  কন্টুরিংয়ের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখুন কন্টুরিং কালার যাতে ফেসে অতিরিক্ত ডিপ না লাগে। অতিরিক্ত ডিপ কন্টুরিং দেখতে বাজে লাগে এবং ন্যাচারাল লাগে না।
  • শিমারি হাইলাইটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেছে নিন ওয়ার্ম কালারগুলো। রোজ গোল্ড, হালকা ব্রোঞ্জি কালারগুলো ব্যবহার করুন। লাইট কালারের হাইলাইটার ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। কারণ এই লাইট কালার ব্যবহারে আপনার স্কিন গ্রে দেখতে লাগবে।
  • আইব্রো আর্ট করার জন্য ব্লাক কালার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। ডার্ক ব্রাউন, কফি ইত্যাদি কালার আপনার স্কিনে মানানসই হবে। তাই চেষ্টা করুন আইব্রোতে এই ধরনের কালার ব্যবহার করতে।
  •  আইশ্যাডো-এর জন্য বেছে নিন, ব্রোঞ্জ, ব্রাউন, বারগেন্ডি শেডগুলো। এছাড়া ব্লাক কালার ভালো মানাবে। স্মোকি আই মেকাপও বেশ ভালো লাগবে।
  • লিপস্টিক নির্বাচনে সাবধানী হোন। বুঝতে চেষ্টা করুন, কোন কালারগুলো আপনাকে মানাবে। একটু ডার্ক ধরনের লিপস্টিকগুলো আপনার স্কিনে ভালো মানাবে। তাই রেড, বেরী, প্লাম, ওয়াইন শেডগুলো বেছে নিতে পারেন রাতের জন্য। দিনের বেলায় ডীপ কোরাল,রোজি, ব্রাউন কালারগুলো বেছে নিন। ডার্ক স্কিনে ক্রিমি/গ্লসি লিপস্টিকের থেকে ম্যাট লিপস্টিকগুলো ভালো মানাবে।

ছবি – ওমেনঅনলি ডট কম

লিখেছেন – জান্নাতুল  মৌ 

ব্যাং ব্যাং চিংড়ি নুডলস / পাস্তা

$
0
0

বিকেলের  নাস্তায় অথবা বাচ্চাদের টিফিনের জন্য পারফেক্ট আইটেম ব্যাং ব্যাং চিংড়ি নুডলস।  ক্রিমি টেক্সচারের  দারুণ মজাদার এই  রেসিপিতে চাইলে আপনি নুডলসের পরিবর্তে পাস্তা দিয়েও তৈরি করতে পারেন। তাহলে দেখে নেয়া যাক, ব্যাং ব্যাং চিংড়ি নুডলস/ পাস্তা তৈরির পুরো প্রণালী। 

উপকরণ

  • ৮ আউন্স চিংড়ি (সিদ্ধ করা)
  • ৮ আউন্স নুডলস\ পাস্তা
  • ১/২ কাপ মেয়োনিজ
  • ১/৪ কাপ চিলি সস
  • ১ চা চামচ অনিওন পাউডার
  • লেবুর রস
  • ১ চা চামচ পাপরিকা পেপার (মরিচ গুঁড়া)
  • ১ চা  চামচ আদা বাটা
  • সামান্য পরিমানে তিল
  • ক্যাপসিকাম (পরিমানমতো )
  • লবন (স্বাদমতো)

প্রণালী 

(১) প্রথমে একটি বাটিতে মেয়োনিজ, চিলি সস, আদা বাটা, লেবুর রস, অনিওন পাউডার,পাপরিকা পেপার দিয়ে ভালো করে পেস্ট তৈরি করতে হবে। তারপর আরেকটি বাটিতে চিংড়িতে (সিদ্ধ) পাপরিকা পেপার দিয়ে মাখাতে হবে।

(২) একটি প্যানে তেল দিয়ে তেলটি গরম করে নিয়ে তার উপর কিছু তিল দিয়ে ভেজে নেন।তিলটি বাদামি রং হলে মাখানো চিংড়ি ছেড়ে দিতে হবে।চিংড়ি একটু ভাজা মতো হলে নুডলস আর একটু ভালো লাগার জন্যে লাল-সবুজ-হলুদ  ক্যাপসিকাম ঢেলে দিয়ে তার উপর পেস্টটি দিয়ে ভালো করে নেড়ে নিতে হবে। ভালো করে মিক্স হয়ে গেলে একটি প্লেটে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন। হয়ে গেল সুস্বাদু ব্যাং ব্যাং চিংড়ি নুডলস।

ছবি এবং রেসিপি - নাজমুন নাহার তন্বী

বিশেষজ্ঞের দৃষ্টিকোণ থেকে স্তন ক্যান্সার: কিছু ভ্রান্তিমূলক ধারণা (পর্ব ০১)

$
0
0

স্তন ক্যান্সার পৃথিবীজুড়ে মেয়েদের সবচেয়ে বড় ঘাতকের নাম। প্রতি বছর সারা পৃথিবী জুড়ে প্রায় দেড় থেকে দুই মিলিওন (১৫-২০ লক্ষ!) নতুন স্তন ক্যান্সারের রোগী পাওয়া যায়, যার মধ্যে ৫-৭ লাখ মারা যায় স্তন ক্যান্সারের কারণে। তবে এই রোগটি নিয়ে  সচেতনতার পাশাপাশি অনেক অহেতুক ভীতিও ছড়ানো হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন জায়গায়  “সূত্র: ইন্টারনেট” থেকে যে যা পারছে তুলে দেয়া হচ্ছে। যা আসলেই খুব দুঃখজনক। এবং অনেক জায়গায় দেখলাম নিজে নিজে স্তন ক্যান্সার নির্ণয়ে সুবিধার জন্য রেগুলার সেলফ এক্সামের উপর জোর দিচ্ছে। 

অক্টোবর স্তন ক্যান্সার সচেতনতার মাস। সাজগজের সব সময়ই প্রয়াস থাকে  তার বন্ধুদের সঠিক এবং বিশ্বস্ত তথ্যটি পৌঁছে দিতে। স্তন ক্যান্সার গবেষক, ক্যালগেরিতে পি,এইচ,ডি প্রাপ্ত  শান্তনু বণিক এই রোগ নিয়ে তার গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য এবং  স্তন ক্যান্সার নিয়ে ভ্রান্তিমূলক ধারণাগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। চলুন বিশেষজ্ঞ  শান্তনু বণিকের দৃষ্টিকোণ থেকে স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে জেনে নিই।

প্রথমেই কিছু ভুল ধারণা দূর করা যাক। স্তন ক্যান্সার নিয়ে নিয়ে গবেষণা করি এমন পরিচিতির কারণে পরিচিত-অপরিচিত মানুষের কাছ থেকে এ পর্যন্ত প্রচুর প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে। সেগুলোর অল্প কয়েকটা এখানে তুলে দিচ্ছি।

  • বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ালে স্তন ঝুলে পড়ে, ফিগার নষ্ট হয়ে যায়

সম্পুর্ণ ভুল ধারণা । ১৫-২০ বছর আগে মানুষ এসব বিশ্বাস করতো। স্তন ঝুলে পড়ার সাথে বা ফিগার নষ্ট হবার সাথে বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর কোন সম্পর্ক নেই। স্তন ঝুলে পরার জন্য দায়ী বয়স, স্তনের সাইজ-আকার-আকৃতি, স্তনে কোন ধরনের টিস্যু বেশি (ফাইব্রাস, গ্রান্ডুলার, নাকি ফ্যাটি), শারীরিক গঠন, মাতৃত্ব, বংশগতি বা জেনেটিক ফ্যাক্টর (মা-খালাদের যেরকম), হরমোন, সঠিক ব্রা এর ব্যবহার ইত্যাদি।  বাচ্চাকে স্তন দান করা ব্যক্তিগত ইচ্ছা অনিচ্ছা এবং আরও হাজারো ফ্যাক্টরের উপর নির্ভরশীল। প্রাসঙ্গিকভাবে বলতে গেলে, যদি সম্ভব হয় বাচ্চাকে জন্মের প্রথম ৬ মাস শুধু বুকের দুধ খাওয়ালেই হয়, বিশ্বজুড়ে শিশু বিশেষজ্ঞরা অন্তত এক বছর পর্যন্ত খাওয়ানোর কথা বলেন (৬ মাসের পর পর্যাপ্ত অন্য খাবারের সাথে) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দুই বছর পর্যন্ত খাওয়ানোর জন্য রেকমেন্ড করে। আবারও বলি, “যতটুকু সম্ভব্য হয় বা আদৌ যদি সম্ভব হয়”।  এখানে ব্রেস্ট ফিডিং এর কথা কেন আসলো? কারণ, বুকের দুধ যে সন্তানকে সারা জীবনের হাজারো শারীরিক-মানসিক সমস্যা থেকে সুরক্ষা দেয় শুধু তাই-না, মা- কেও দেয়! ব্রেস্ট ক্যান্সারের রিস্ক ফ্যাক্টর কমানোর একটা বড় অস্ত্র এই ব্রেস্ট ফিডিং। মায়ের শরীরে অন্যান্য হাজারো সুফলের কথা বাদই দিলাম।  নিয়মিত ব্রেস্ট ফিডিং যেসব দেশে করানো হয় (যেমন আমাদের দেশে) সেসব দেশে বয়স্কদের স্তন ক্যান্সারের হার উন্নত বিশ্বের চেয়ে একটু কম হবার অন্যতম একটি কারণ হতে পারে এই ব্রেস্ট ফিডিং।

  • ব্রা পরলে ব্রেস্ট ক্যান্সার হয়

একটা গবেষণা এরকম দাবী করেছিল। এবং অনেক বিশেষজ্ঞ এটা বিশ্বাস করেন। কিন্তু এখনও এর পক্ষে কোন জোরালো প্রমাণ পাওয়া যায় নি। তবে দিনের অনেক সময় ধরে প্রচণ্ড টাইট ব্রা না-পরাই উত্তম। কারণ টাইট ব্রা বা পুশ- আপ ব্রা অতিরিক্ত সময় ব্যবহার করলে তা মেরুদণ্ড এবং রক্ত-লসিকা (রোগ প্রতিরোধকারী রস, লিম্ফ) সার্কুলেশন সিস্টেমের উপর চাপ তৈরি করে। যেটা লং টার্মে নানা রকম সমস্যার জন্ম দেয় (কেউ কেউ বিশ্বাস করেন ক্যান্সারও!) । সঠিক সাইজের ব্রা সিলেক্ট করা এবং পরা তাই গুরুত্বপূর্ণ। তবে কেউ কেউ কিছু সময় বা ঘুমের সময় ফ্রি থাকতে বলেন।

  • ব্রেস্ট বড় করলে (সিলিকন ইমপ্লান্টেশন) ক্যান্সার হয়

সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। তবে সিলিকন ইমপ্লান্ট করলে ব্রেস্ট ক্যান্সার ধরা অনেক বেশি কঠিন হয়ে পড়ে, ম্যামোগ্রাম এ ঢেকে যায় বলে তাদের প্রায়ই আল্ট্রাসাউন্ডও করাতে হয় ম্যামোগ্রামের সাথে সাথে।

  • ব্রেস্টে শক্ত কিছু/লাম্প/পিন্ড মানেই ক্যান্সার

প্রায় ৮০-৯০% লাম্পই বিনাইন টিউমার মাত্র, ক্ষতিকর না (একটু পরেই আসছি এগুলো নিয়ে)। তবে এগুলো অবশ্যই নিয়মিত অবজারভেশনে রাখতে হবে। কারণ বিনাইন টিউমারও ম্যালিগন্যান্ট ক্যান্সারে রূপ নিতে পারে বা ম্যালিগনেন্সিকে লুকিয়ে রাখতে পারে। আরেক ধরনের সমস্যা হয় মহিলাদের বাচ্চা হবার পর, বুকের দুধ জমে গিয়ে স্তন অনেক শক্ত হওয়ে যায়। একে বলা হয় “মাস্টাইটিস”- এটা টিউমার না, ভয়ের কিছুই নেই।

  • ব্রেস্ট ক্যান্সার বুকে শক্ত পিণ্ডের মত মনে হয়

শক্ত পিণ্ড মানেই যেমন ব্রেস্ট ক্যান্সার নয়, তেমনি ক্যান্সার সাধারণত পিণ্ডের আকারে থাকতেও পারে নাও পারে। সাধারণত বিনাইন (ক্ষতিকর না) টিউমার গুলো শক্ত পিণ্ডের আকার নেয়, ম্যালিগন্যান্ট (ক্যান্সার) যেকোন আকার, আকৃতি, নরম, শক্ত, যেকোন যায়গায় হতে পারে।

  • ডিওডোরেন্ট ব্যবহারে ক্যান্সার হয়

আরেকটি “সূত্র:ইন্টারনেট” থেকে প্রাপ্ত হোক্স/মিথ্যা প্রচারণা। এরকম কোন কিছুর প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি।

  • ব্রেস্ট ছোট হলে ক্যান্সার রিস্ক কম

ব্রেস্ট ক্যান্সার ব্রেস্টের সাইজের সাথে কোনভাবেই সম্পর্কিত নয়। ছোট ব্রেস্টে অনেক সময় ক্যান্সার ধরা সহজ হয়। কিন্তু সেটাও ব্যক্তির স্তনের অন্যান্য অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে।

  • ফ্যামিলিতে কারো না থাকলে আমার ব্রেস্ট ক্যান্সার হবে না

যাদের ফ্যামিলিতে ব্রেস্ট ক্যান্সার আছে তাদের এটা হবার চান্স অনেক বেশি এটা যেমন সত্য তেমনি প্রায় ৭০% ক্যান্সার রোগীর কোন ফ্যামিলি হিস্ট্রি পাওয়া যায় না।

(চলবে…)

লিখেছেন - শান্তনু বণিক, পি,এইচ,ডি   (প্রাক্তন)

স্তন ক্যান্সার গবেষক, ক্যালগেরি

ঘরেই তৈরি করুন মজার সিঙ্গারা

$
0
0

সিঙ্গারাপ্রেমীরা প্রস্তুত তো! মজার সিঙ্গারা খেতে আর হোটেলে ঢুঁ মারতে হবে না।  খুঁটিনাটি কিছু বিষয় খেয়াল করে সিঙ্গারা বানালে দোকানের চাইতে আপনার বানানো সিঙ্গারা অনেক গুণে ভালো হতে বাধ্য। নিজের হাতে খাবার বানান। পরিবারের সবাইকে খাইয়ে আনন্দে থাকুন।

উপকরণ

  • ময়দা – ২ কাপ
  • লবন – ১/৪ চা চামচ
  • তেল / ঘি – ৪ চা চামচ
  • কালিজিরা – ১/২ চা চামচ
  • পানি – পরিমান মত

পুরের জন্য -

  • আলু – ৪ টা
  • পেঁয়াজ কুঁচি - ২ চা চামচ
  • জিরা – ১/২ চা চামচ
  • তেল – ২ চা চামচ
  • কাচামরিচ কুচি – ২ চা চামচ
  • রাঁধুনি মাংসের মশলা – ২ চা চামচ
  • বাদাম – ৪ চা চামচ
  • ধনেপাতা কুঁচি - ২ চা চামচ
  • ডাবলি বা মটর সেদ্ধ – ১/২ কাপ
  • লবন – স্বাদ মত
  • ভাজার জন্য তেল – পরিমান মতো

singara Collage

প্রণালী  

- ময়দাতে ঘি / তেল ময়ান দিন। বাকি সব দিয়ে একটা শক্ত ডো বানান।

-পাতলা ভেজা কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখে দিন ১/২ ঘন্টা।

- পুরের জন্য আলু কিউব কাট করে সামান্য হলুদ দিয়ে সিদ্ধ করে নিন।

- প্যানে তেল গরম করে জিরা / পাঁচফোড়ন দিন।

- পেঁয়াজ কুঁচি ও বাকি মশলা ভুনে আলু সেদ্ধ দিন। মাখা মাখা হলে বাদাম, ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে নিন। চাইলে নিজের পছন্দমত সবজি / কলিজা দিয়েও আলুর পুর বানিয়ে নিতে পারেন।

- এবার শক্ত ডোটা আবারো একটু মথে নিন।

- একটু লম্বাটে রুটি বেলে মাঝখান থেকে কেটে নিন।

- ছবিতে দেখানো ভাজ অনুযায়ী আলুর পুর ভরে সিঙ্গারা বানিয়ে নিন।

- ডুবো তেলে অল্প আঁচে সময় নিয়ে ভাজুন।

টিপস 
- ডো অবশ্যই বেশ শক্ত হতে হবে এবং খুব পাতলা রুটি বেলা যাবে না। নয়তো সিঙ্গারার শেপ নস্ট হয়ে যাবে।
- পুর ঠান্ডা করে নিবেন।
- ভাজ দেবার সময় জোড়ার জায়গাগুলোতে পানি লাগিয়ে জোড়া দিবেন নয়তো তেলে ভাজার সময় জোড়া খুলে যাবে।
- সিঙ্গারা অল্প আঁচে সময় নিয়ে ভাজতে হয়।
- আঁচ বেশি দিলে সিঙ্গারার গায়ে ফোস্কা বা ছোট ছোট বাবল দেখা যায়।

ছবি এবং রেসিপি –   খুরশিদা রনী

উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত! এড়িয়ে চলুন এই খাবারগুলো

$
0
0

উচ্চ রক্তচাপ আজকাল একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। উচ্চ রক্তচাপ খুব অস্বাস্থ্যকর এবং সত্যিই বিপজ্জনক হতে পারে। আপনার যদি উচ্চ রক্তচাপ নির্ণয় হয়ে থাকে তাহলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন কারণ উচ্চ রক্তচাপ দীর্ঘস্থায়ী এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের প্রবণতা বাড়িয়ে তোলে। অনেক ওষুধ আপনাকে নিয়মিত সেবন করতে হবে উচ্চ বিপি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য। এছাড়া নির্ধারিত ঔষধ খাওয়ার থেকে, উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত মানুষের একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য অনুসরণ করা প্রয়োজন। উচ্চ রক্তচাপ প্রধানত অনিয়মিত জীবনধারার কারণে হয়ে থাকে। অ্যালকোহল ব্যবহার, মানসিক চাপ, বিরতিহীন কাজ, অনুপযুক্ত খাদ্য আর ব্যায়ামের অভাব উচ্চ রক্তচাপের প্রধান কারণ। “অস্থির জীবন ও কাজের চাপের এই পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে আমাদের বাধ্য করেছে। যাই হোক, যদি আপনার উচ্চ রক্তচাপ থেকে থাকে, তাহলে নিজেকে রক্ষা করতে আপনার জীবনধারা পরিবর্তন করার প্রয়োজন আছে। আপনার জীবনধারা এবং খাদ্যের মধ্যে কিছু স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন আনয়ন এই উচ্চ রক্তচাপ এড়ানোতে সাহায্য করতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য অনেক উপায় আছে।

উদাহরণস্বরূপ, নির্দিষ্ট খাবার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। অনেক গবেষণা অনুযায়ী, ভিটামিন সি এর সঠিক ভোজনে উচ্চ রক্তচাপের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। যেমন কমলা, কিউই, ক্র্যানবেরি, পেয়ারা, আঙ্গুর এবং স্ট্রবেরি ফলের ভিটামিন সি সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাবার রক্তচাপ স্বাভাবিকভাবেই কমিয়ে থাকে। যাই হোক, কিছু খাবার আছে যা উচ্চ রক্তচাপ ব্যক্তিদের এড়িয়ে চলা উচিত। এখানে একটি তালিকা দেওয়া হল-

লবন

লবন উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ আক্রান্ত মানুষের জন্য খুবই খারাপ। আমেরিকানদের খাদ্যতালিকাগত নির্দেশিকা অনুযায়ী, উচ্চ রক্তচাপ বা প্রি-হাইপারটেনশন ব্যক্তিদের সোডিয়াম ভোজন সীমিত করা উচিত। আপনার খাদ্যে অতিরিক্ত লবন যোগ এড়িয়ে চলুন।

আচার

লবন ক্যানিং এবং লম্বা সময়ের জন্য সংরক্ষণের জন্য আচারে সংযোজন করা হয়। আপনি যদি উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন, তাহলে খাদ্য তালিকা থেকে আচার বাদ দিয়ে দিন।

ডেলি মাংস

প্রক্রিয়াজাত মাংসে সোডিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে আর তাই আপনার রক্ত চাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। আপনার খাদ্যে এই ধরণের প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।

টিনজাত খাবার

টিনজাত খাবার লবন দিয়ে সংরক্ষিত করা হয় এবং এতে সোডিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে। টিনজাত খাবার, সূপ ঝোল এবং স্টক খুব খারাপ হতে পারে। জৈব খাদ্য যাতে কম সোডিয়াম আছে এমন খাবার বেছে নিন।

চিনি

অত্যধিক চিনি খাওয়া শুধু ডায়াবেটিস ও স্থূলতার সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে তাই নয়, এটি আপনার রক্ত চাপ ও বাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া, উচ্চ রক্তচাপ মাত্রাতিরিক্ত ওজনের এবং মোটা মানুষের মধ্যে বেশি প্রচলিত। সুতরাং, চিনি-যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।

মুরগীর চামড়া

মাংস নয় তবে মুরগীর চামড়ায় চর্বির মাত্রা বেশি থাকে যা রক্তচাপ প্রভাবিত করে। লাল মাংস এবং মাখন চর্বিতে পরিপূর্ণ যা রক্ত চাপ রোগীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

কফি

কফি বা ক্যাফেইনে যদি আসক্ত হন, তাহলে এই পানীয়কে বিদায় বলার সময় হয়েছে। কফি অস্থায়ীভাবে রক্তচাপ বাড়িয়ে তোলে।

অ্যালকোহল

গবেষকদের মতে, এক সঙ্গে তিন গ্লাস অ্যালকোহল পানে অস্থায়ীভাবে উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা বাড়াতে পারে। তাছাড়া, অ্যালকোহল উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ওষুধগুলো প্রভাবিত করে।

ছবি – ওয়ালপেপার ডট কম

লিখেছেন –  লিন্নি

Viewing all 3052 articles
Browse latest View live