Quantcast
Channel: Shajgoj
Viewing all 3052 articles
Browse latest View live

কীভাবে দিনের মেকাপ লুককে রাতের লুকে রূপান্তরিত করবেন?

$
0
0

সারাদিন অফিস, ইউনিভার্সিটি এবং বিভিন্ন কাজের মধ্যে ব্যস্ত আমাদের জীবন। আর নিজেদের আলাদা করে ফুটিয়ে তুলতে প্রতিদিন কম – বেশি মেকাপ আমরা প্রায় সবাই-ই করি। দিনের বেলার মেকাপ সাধারণত হালকা এবং ন্যাচারাল হয় কিন্তু হঠাৎ, সন্ধ্যা বেলা যদি থাকে কোনো পার্টি অথবা বিয়ের দাওয়াত!!! 

সারাদিনের কাজের পরে নতুন করে নিজেকে পার্টির জন্য সাজিয়ে তোলার সময়/ইচ্ছা অনেকেরই হয় না। তাই বলে কি রাতের পার্টিতে সাধারণভাবেই যাবেন?? অবশ্যই না।  তাই চলুন জেনে নিই কিছু টিপস, কীভাবে দিনের বেলার মেকাপ লুককে রাতের লুকে রূপান্তরিত করবেন।

(১) প্রথমেই দিনের বেলা করা বেইজ মেকাপে একটু টাচ আপ করে নিতে পারেন। অয়েলি স্কিন যাদের, তারা ব্লটিং পেপার দিয়ে ফেস এর অয়েল দূর করে ফেলতে পারেন। এছাড়া ফেস পাউডার দিয়ে বেইজ মেকাপটিকে সুন্দর করে সেট করে নিতে পারেন।

(২) শিমারী আইশ্যাডো: চোখের পাতায় লাগিয়ে নিন শিমারী ধরনের আইশ্যাডো। এতে আপনার চোখটি অনেক সুন্দর ভাবে ফুটে উঠবে। যেকোনো শ্যাম্পেইন, গোল্ডেন, কপার, ব্রোঞ্জি কালার ভালো লাগবে।

(৩) স্মোকি আই মেকাপ: পার্টি মেকাপে স্মোকি আই লুক অনেক বেশী মানানসই। তাই আপনি চাইলে এবং হাতে সময় থাকলে স্মোকি আই মেকাপ করে নিতে পারেন।

(৪)  সাদা কাজলের ব্যবহার: চোখ দুটিকে বড় দেখাতে এবং সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলতে চোখের ওয়াটার লাইনে ব্যবহার করুন সাদা কাজল।

(৫) ফলস আইল্যাশ: ড্রামাটিক আই লুক এ ফলস আইল্যাশের জুড়ি নেই। শুধুমাত্র মাশকারা না লাগিয়ে এর সাথে এক জোড়া ফলস আইল্যাশ লাগিয়ে নিন।

(৬)  হাইলাইটার: রাতের মেকাপ লুক সাধারণত একটু গ্লামারাস ধরনের হয়ে থাকে। তাই নিজেকেও গ্লামারাস করে তুলতে ব্যবহার করুন শিমারী হাইলাইটার। আইব্রো বোন, চিক বোন, থুতনিতে, নাকের উপরে ব্যবহার করুন। এতেই আপনার লুক অনেক খানি বদলে যাবে।  ব্লাশকেও একটু ইনটেন্স করে নিন।

(৭) বোল্ড লিপস্টিক: রাতের বেলার লুক এ ব্যবহার করুন যেকোনো বোল্ড কালার লিপস্টিক। রেড, পার্পল, মেরুন, প্লাম ইত্যাদি কালার বেছে নিন।  এটি আপনার মেকাপ কে অনেক বেশী গর্জিয়াস দেখাতে সাহায্য করবে।

(৮) লিপগ্লস: রাতের পার্টির জন্য লিপগ্লস পুরোপুরিভাবে মানিয়ে যায়। তাই লিপস্টিক এর উপরে একটু লিপগ্লস লাগিয়ে নিতে পারেন।

(৯) কন্টুরিং: রাতের মেকাপ লুক এ কন্টুরিং করে নিন। এতে আপনার ফেস অনেক স্লিম এবং শার্প দেখাবে। কন্টুরিং আপনার ফেস এ শিমারী হাইলাইটারের সাথে একটা সামাঞ্জস্যতা  নিয়ে আসবে।

(১০) সেটিং স্প্রে: আপনি নিশ্চই চাইবেন না আপনার মেকাপ দ্রুতই নষ্ট হয়ে যাক। সে জন্য সবশেষে একটা মেকাপ সেটিং স্প্রে দিয়ে পুরো মেকাপ সেট করে নিন।

 
ব্যাস, আপনি রেডি রাতের পার্টির জন্য। খুব অল্প সময়ে, অল্প পরিশ্রমে দিনের বেলায় করা মেকাপকে এভাবেই রাতের বেলার লুকে পরিণত করতে পারেন।

ছবি  - ৫০০ পিএক্স

লিখেছেন – জান্নাতুল মৌ


চিকেন মাফিন

$
0
0

আজকের রেসিপি আয়োজনে রাখা হল মজাদার চিকেন মাফিন। তবে চলুন দেখে নেয়া যাক, কী কী উপকরণ  দিয়ে  এবং কীভাবে তৈরি করতে হয় চিকেন মাফিন।

উপকরণ

  • চিকেন কিমা – ২ কাপ
  • পেঁয়াজ কুঁচি – ১ টে. চামচ
  • টেষ্টিং সল্ট –  আধা চা চামচ
  • গোল মরিচ গুঁড়া – ১ চা চামচ
  • মরিচ গুঁড়া –  আধা চা চামচ
  • চিলি সস – ১ চা চামচ
  • ভিনেগার – আধা চা চামচ
  • পাপরিকা – আধা চা চামচ
  • পানিতে ভেজানো পাউরুটি – ১ টুকরা
  • পার্মেসান চিজ – ১ টে. চামচ
  • ডিম – ১টা
  • ধনেপাতা কুঁচি – ১ টে. চামচ
  • ড্রাই পার্সলে – আধা চা চামচ
  • সয়াসস – আধা চা চামচ
  • ওয়েষ্টার সস – আধা চা চামচ
  • আদা বাটা – আধা চা চামচ
  • রসুন বাটা – আধা চা চামচ
  • তেল – পরিমানমত
  • লেবুর রস – ১ চা চামচ
  • চিনি – আধা চা চামচ
  • ময়দা – ১ টে. চামচ
  • কাঁচামরিচ কুঁচি – ১ চা চামচ
  • মোজেরেলা চিজ – ১ টে. চামচ
  • লবন –  স্বাদমত

প্রণালী
প্রথমেই মোজেরেলা চিজ ও তেল ছাড়া বাকি সব উপকরণ একসাথে মেখে বেকিং কাপ সেপের ডাইসে ঢেলে দিন। এবার প্রতিটি কাপের উপর মোজেরেলা চিজ ছড়িয়ে দিয়ে ২২০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ২০-২৫ মিনিটের জন্য বেক করুন। বেক করা হয়ে গেলে নামিয়ে কাপ থেকে উঠিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার চিকেন মাফিন।

ছবি –  স্কিনিমম.কম

রেসিপি - আফরোজা নাজনীন সুমি

ওজন কমানোর জন্য সবচেয়ে ভালো অথচ অবহেলিত খাবার

$
0
0

ওজন কমানোর খাবারগুলো আমাদের পেট ভরে রাখে, ফলে স্বাস্থ্যকর খাবার  বেশি খেয়ে ফেলার প্রবণতা কমে যায়।  এই খাবারগুলো পরিপাকতন্ত্রের ক্রিয়ার গতিবেগ বাড়িয়ে দেয়, ফলে শরীরে জমা  ক্যালোরিও চটপট পুড়িয়ে ফেলা যায় এবং আমাদের শরীরে ফ্যাট বা চর্বি জমার  সুযোগ থাকে না।  ওজন কমানো ছাড়াও, এই খাবারগুলো খুবই পুষ্টিকর এবং আপনার শরীরের ভিটামিন এবং  মিনারেলসের ঘাটতি পূরণ করে। আপনার শরীর ও মনকে সুস্থ এবং চনমনে রাখে।  তাছাড়াও, আপনার ত্বকে আরো জ্যোতি আনে, চুলের গোড়া শক্ত করে। তবে ওজন কমানোর জন্য সবচেয়ে ভালো অথচ অবহেলিত খাবার কোনগুলো! জেনে নেওয়ার  জন্য পড়তে থাকুন।

নাশপাতি

আপনি কি জানেন যে নাশপাতিও আপনার ওজন কমিয়ে দিতে পারে? নাশপাতিতে আছে ৬  গ্রাম সলিউবল ফাইবার, যা আপনার কোলেস্টেরল কমায়এবং আপনার ওজন কমাতে  সাহায্য করে। একটি নাশপাতিতে থাকে মোটে ১০০ ক্যালোরি, যা কিনা অধিকাংশ ফলেরই ক্যালোরির মাত্রার থেকে কম।

মাঠাতোলা দই

মাঠাতোলা দই এবং দুধ খেয়েও আপনি আপনার ওজন কমাতে পারেন। এই খাবারগুলোও ওজন  কমানোর দাওয়াই হিসেবে তেমন গুরুত্ব পায় না। দইয়ে উপস্থিত উপকারী  ব্যাক্টেরিয়া সহজে ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়াও দইয়ে থাকে হজমে সহায়ক প্রো্টিন যা তাড়াতাড়ি আপনার শরীরের ক্যালোরি পুড়িয়ে ফেলতে সাহায্য করে।

ব্রাউন রাইস এবং হোল-গ্রেনস

গবেষণায় দেখা গেছে যে ব্রাউন রাইস বা লাল চাল ওজন কমাতে সাহায্য করে, কারণ  এতে কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা কম থাকে, অথচ ফাইবার বেশি পরিমাণে থাকে।  ব্রাউন রাইস এবং হোল-গ্রেনস আ  পনার পেট ভরিয়ে রাখে আর সেই কারণে বেশি পরিমাণে খাওয়া হয়ে যায় না, ফলে ওজন  কমতে থাকে।

কুমড়ো

কুমড়োতে ক্যালোরির মাত্রা থাকে খুবই কম অথচ কুমড়োর পুষ্টিগুণ খুবই বেশি।  কুমড়োয় ফাইবারের মাত্রাও বেশ বেশি যা কিনা ওজন কমানোর জন্য সহায়ক।কুমড়ো  খেলে অনেকক্ষণ পেটভরা থাকে এবং কুমড়োয় বিটাক্যারোটিনও(এক ধরণের ভিটামিন এ)  বেশি মাত্রায় থাকে। ওজন কমানোর জন্য দরকারী এই খাবারটিকেও আমরা অবহেলা করে  থাকি।

আপেল

ওজন কমানোর জন্য খাবারগুলোর মধ্যে সেরা হল আপেল। একটি আপেল খাওয়ার পর  অনেকক্ষণ আপনার পেট ভরা থাকে এবং আরো বেশি খাওয়ার লোভ এড়ানো সহজ হয়। আপেল  আপনার পরিপাকতন্ত্রের ক্রিয়া বাড়িয়ে দিয়ে হজমশক্তি বাড়িয়ে দেয়। আপেল  ভিটামিনসমৃদ্ধ এবং ফাইবারের মাত্রাও বেশি। তাই, খোশাসুদ্ধু আপেল খান ওজন  কমানোর জন্য।

দারুচিনি

এটি এমন একটি মসলা যা ওজন কমানোর জন্য খুবই উপকারী। আপনি এটি চা হিসেবেও  খেতে পারেন অথবা এটি মধুর সঙ্গেও খেতে পারেন। যদি দ্রুত ওজন কমাতে চান,  তাহলে অবশ্যই রোজ দারুচিনি খেতে হবে।

ছবি – বিউটি. এএস

লিখেছেন – লিন্নি

মুচমুচে পুঁই পাকোড়া

$
0
0

কথায় আছে শাকের মধ্যে ‘পুঁই আর মাছের মধ্যে রুই’। এ থেকে বোঝাই যাচ্ছে ভোজনরসিকদের কাছে এর গ্রহণযোগ্যতা। বাজারে দু’ধরনের  (লাল এবং সবুজ রঙের) পুঁই পাওয়া গেলেও রান্নায় সবুজ পুঁইয়ের ব্যবহার বেশি।আজ এই পুঁই শাক নিয়েই রেসিপি আয়োজন। আচ্ছা , বিকেলের নাস্তায় বা দুপুরে গরম গরম ভাতের সাথে পুঁই পাকোড়া খাওয়া হয়েছে কখনো?  না খাওয়া হয়ে থাকলে আজই ট্রাই করে দেখুন। রান্নার সুবিধার্থে পুরো প্রণালী দেয়া হল।

উপকরণ 

  • পুঁই শাকের শুধু পাতা বড় বড় করে কাটা ১ বাটি
  • বেসন ১ কাপ
  • চালের গুঁড়া ১ টেবিল চামচ
  • কর্ণফ্লাওয়ার ১ চা চামচ
  • মরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ
  • হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ
  • জিরা গুঁড়া আধা চা চামচ
  • আস্ত কালোজিরা আধা চা চামচ
  • লবন স্বাদমতো
  • পানি পরিমাণমতো
  • তেল ডুবিয়ে ভাজার জন্য

প্রণালী

( ১ ) প্রথমে কেটে রাখা পুঁই শাকের পাতাগুলো ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝড়ানোর জন্য রেখে দিতে হবে ।

( ২ ) এবার একটি বাটিতে বেসনের সাথে তেল বাদে অন্য সব উপকরণ এক সাথে মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করে নিতে হবে । মিশ্রনটা ভালোভাবে স্মুদ করে মেশাতে হবে যেন এর মধ্যে কোন দলা না থাকে । আর মিশ্রনটা বেশি পাতলা করা যাবে না, একটু ঘন হবে বেশি নয় ।

( ৩ ) ভালো স্মুদ মিশ্রন তৈরী হয়ে গেলে ঢেকে রেখে দিন ১০-১৫ মিনিট। ভাজার আগে মিশ্রণটা আবার একটা ছোট চামচের সাহায্যে নেড়ে নিতে হবে ।

( ৪ ) ভাজার সময় তেল গরম করে পুঁই শাকের কাটা পাতা এক সাথে ২-৩টা করে নিয়ে বেসনের মিশ্রনে ভালোভাবে ডুবিয়ে তেলে ছাড়ুন । ছবি দেয়া আছে, দেখলে ভালোভাবে বুঝতে পারবেন । মাঝারি আঁচে ভাজতে হবে । এক সাইড ভাজা হয়ে গেলে উল্টে দিন এভাবে বাদামী করে ভেজে ফেলুন সবগুলো ।

( ৫ ) তেল বেশি গরম হয়ে গেলে চুলার আঁচ কমিয়ে দিন । সাবধানে ভাজুন যেন পুড়ে না যায়, শাক পুড়ে গেলে খেতে ভালো লাগবে না । তেল থেকে তুলে টিস্যুতে রেখে বাড়তি তেল ঝড়িয়ে ফেলুন ।
ব্যস, তৈরী হয়ে গেল গরম গরম মুচমুচে পুঁই শাকের পাকোড়া ।

পরিবেশন
পরিবেশনের আগে গরম গরম ভেজে পরিবেশন করুন দারুন মজার মুচমুচে পুঁই শাকের পাকোড়া । আগে ভেজে রাখতে চাইলে ভেজে ঠান্ডা করে এয়ার টাইট বক্সে ভরে রাখুন । এভাবে আধা ঘন্টা ভাল থাকবে । এই উপকরণে ৬-৭ জনকে পরিবেশন করা যাবে ।

ছবি ও রেসিপি - আফরুজা শিল্পী

রাতে শান্তির ঘুম চান? জেনে নিন কিছু গোল্ডেন রুল

$
0
0

এই আর্টিকেলে আমরা আপনাকে কিছু সহজ নিয়ম এর কথা বলব তাদের যারা ঘুমাতে গেলে সহজে ঘুম আসে না বা ঘুম ভালো হয় না কিছুতেই। সারাদিন ক্লান্ত লাগে  আর মেজাজও খিটখিটে হয়। তাই আসুন ঘুমানোর এই গোল্ডেন রুল মেনে চলি।

(১) প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাবেন ও  নির্দিষ্ট সময়ে বিছানায় যাবেন ঘুমানর জন্য  । এতে রাতে যেমন আপনার ভালো ঘুম হবে তেমনি দিনে আপনি অনেক বেশী কর্মক্ষম থাকবেন।

(২) সকালে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠুন । এর ফলে রাতে আপনার  তাড়াতাড়ি ঘুম আসবে।

(৩) যে গান বা যে কণ্ঠের কথা শুনলে আপনার ঘুম আসে বা যে পাশে ঘুমালে আপনি তাড়াতাড়ি ঘুমান, ঘুমাতে গেলে সেটি শুনুন বা সেইভাবে শুয়ে পড়ুন।

(৪) যদিও আমরা আমাদের ঘুমকে খুব বেশী নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না বিভিন্ন শারিরিক কারণে। মূলত আমাদের মস্তিস্ক ঘুম নিয়ন্ত্রণ করে তাই তার প্রয়োজনমত সে ঘুমকে প্রভাবিত করবে।

(৫) দুঃস্বপ্ন নিয়ে ভাববেন না। আমরা যা সপ্ন দেখি সাধারনত আমারা যখন জেগে উঠি তা ভুলে যাই।

(৬) কোন কিছু নিয়ে ঘুমানোর সময় অতিমাত্রায় ভাববেন  না। আপনার বাচ্চা ঘুমের মধ্যে হাটছে দেখে ঘাবড়ে যাবেন না। এটা খুব দ্রুতই চলে যাবে আর সকালে সে এটা ভুলে যাবে। যদি দিনের বেলায় এমন কিছু ঘটে যা তার রাতের দুঃস্বপ্নের কারণ -এমন মনে হয় তবে সেটা নিয়ে সহজ সমাধান বের করুন। তাড়াহুড়া করে নিজের ঘুম নষ্ট করবেন না। সাধারন ড্রাগ বা এলকোহলের জন্য ঘুমের মধ্যে হাটা বা দুঃস্বপ্নের মতো ঘটনা ঘটে থাকে। আর রাতে ঘুমের মধ্যে হাঁটার ঘটনা ঘটলে যাতে কোন কিছুতে আঘাত না লাগে সেই ব্যবস্থা নিন।

(৭) কোন কারণের আপনার যদি কোনোদিন ঘুম না আসে তাতে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবেন না। কারণ ঘুম একটি সেলফ রেগুলাটেড বিষয়। সে তার প্রয়োজনমতো ফিরে আসবে।

(৮) আপনি যতটা ঘুমাতে চান ততটা ঘুম যদি আপনার না হয় এটা নিয়ে অসহ্য হয়ে উঠবেন না। এটা নিয়ে পরিবারের অন্যদের মাঝে আতংক ছড়াবেন না। একে অপরকে সাহায্য করুন , মনকে খোলামেলা রাখুন আর মস্তিস্ক রিলাক্স রাখুন।

(৯) নুতন কাজ, সাহচর্য আর পরিতৃপ্তি আপনাকে দ্রুত ঘুমাতে সাহায্য করবে।

(১০) রাতে ভালো ঘুমানোর জন্য দিনের বেলায় বেশী পরিশ্রম করুন বিশেষ করে কায়িক পরিশ্রম। কোন ব্যায়াম নুতন শুরু করলে তা হালকাভাবে প্রথমে শুরু করুন।

(১১) আপনি আপনার ঘরের জন্য কোন বিলাশ বহুল আইটেম কিনতে গেলে প্রথমে চিন্তা করুন  এই কেনা জিনিসটা দরকারী নাকি – ঘুমানোর জন্য একটি সুন্দর আরামদায়ক বিছানা কিনবেন। একটি আরামদায়ক সুন্দর ও মনোরম বিছানা আপনার ভালো ঘুমের জন্য  অতি ভালো ও প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ।

(১২) আপনি যদি ধূমপান করেন আর রাতে ঘুম ভালো না হয় তাহলে স্মোকিং ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করুন। আর সন্ধ্যায় কফি বা চা পান করবেন না যদি রাতে ভালো ঘুমাতে চান।

(১৩) ঘুমানর জন্য স্লিপিং পিল খাবেন না।

(১৪) ঘুম আনার জন্য কখনও মদ্য পানের আশ্রয় নিবেন না।

(১৫) যদি কোন কারণে আপনার পারিবারিক ডাক্তার আপনাকে স্লিপিং পিল খেতেও বলে আপনার ঘুমের অভ্যাসকে ফিরিয়ে আনার জন্য তবে, পর পর ৩ দিনের বেশী এটি নিবেন না।

(১৬) শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। আপনি যদি ওভার ওয়েট  হন আর যখন ডায়েট নিয়ে ওজন কমানোর চেষ্টা শুরু করবেন তখন আপনার স্লিপ- লস হতে পারে।

(১৭) আপনার খাবার খাওয়ার সময় নির্দিষ্ট রাখুন। একদিন আগে আগে খাবেন আর একদিন দেরিতে খাবেন এমন যেন না হয়। রাতের খাবারে দিকে বিশেষ নজর দিন যেন সহজে হজমযোগ্য হয়। রাতের জন্য সঠিক খাবার আপনার ভালো ঘুমের জন্য বিশেষভাবে সহায়ক।

(১৮) সবশেষে,যা কিছু আপনার আছে-আপনি যেমন-  যা কিছু আপনার ছোটোখাটো ভুল বা অসফলতা তা সহজভাবে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাবার চেষ্টা করুন । আপনার অপূর্ণ কোন ইচ্ছা নিয়ে খুব সময় দিলে আপনার ঘুমের সমস্যা প্রকট হতে পারে।

আমরা জানি ভুল , অপূর্ণতা বা কোন  আশা যা আপনি পুরণ করতে পারেননি তা ভুলে থাকা হয়ত খুব সহজ নয় কিন্তু মনে রাখবেন আমরা কেউ জানি না আসলে সামনের দিনে আমাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে। হয়ত কোন সোনালী ভোর । তাই আজ রাতে ভালো ঘুমান  আগামীকালের ভোর উপভোগ করার জন্য।

ছবি – ফ্রেশডিজাইনপেডিয়া.কম

লিখেছেন – রোকসানা আকতার

ঝাল পুয়া পিঠা

$
0
0

বিকেলের নাস্তায় কিছু ঝটপট তৈরি করতে চাইলে ঝাল পুয়া পিঠার পারফেক্ট চয়েস! রান্না ঘরের সাধারণ  উপকরণ দিয়ে  খুব সহজে এবং ঝামেলা ছাড়াি তরি করে ফেলা যায় এই পিঠাটি। তবে চলুন দেখে নিই এই ঝাল পুয়া পিঠা তৈরির পুরো প্রণালী।

উপকরণ

  • চালের গুঁড়া ১/২ কাপ
  • ময়দা ১/২ কাপ
  • ডিম ২ টা
  • পেঁয়াজ কুঁচি ১/৪ কাপ
  • কাঁচা মরিচ কুঁচি ৩ টেবিল চামচ
  • ধনেপাতা ১ টেবিল চামচ
  • মরিচ গুঁড়া ১/২ চা চামচ
  • জিরা গুঁড়া ১/২ চা চামচ
  • খাবার সোডা ২ চিমটি/ বেকিং পাউডার ১/২ চা চামচ
  • লবন স্বাদমতো
  • পানি পরিমানমতো

প্রণালী 

- পেয়াজ কাচামরিচ ধনেপাতা লবন দিয়ে ডলে নিয়ে বাকি সব আর ১ কাপ মতো পানি দিয়ে তেলের পিঠার ব্যাটার এর মতো মাঝারি ঘন ব্যাটার বানিয়ে নিন।
- ডুবো তেল গরম করে তা তে গোল ডাল এর চামচ এর ১ চামচ করে দিয়ে বাদামি করে ভেজে নিন।
- ঝাল ঝাল মজার ডিমের ঝাল পুয়া পিঠা।

ছবি –  ইউটিউবকম

রেসিপি – সামিয়া জামান

 

রুক্ষ চুল থেকে মুক্তি চাই?

$
0
0

সিল্কি অ্যান্ড সাইনি হেয়ার সবার কাম্য। কাঙ্ক্ষিত স্মুদ চুল পেতে কতো প্রোডাক্টই না আমরা ব্যবহার করি! কিন্তু হাতের কাছে থাকা প্রাকৃতিক উপাদানএর চেয়ে ভালো  চুলের জন্য আর কিছুই হতে পারে না। এই ব্যাপারটি মাথায় রেখে আমাদের সবার প্রিয় বিউটি ব্লগার লিন্ডা এমন একটি হেয়ার প্যাক  তার ভিডিও টিউটোরিয়ালের মাধ্যমে দেখানোর চেষ্টা করেছেন, যা চুলকে সফট, সিল্কি  এবং সাইনি করে তুলবে।

ছবি এবং টিউটোরিয়াল –   মেকাপ ম্যানিয়াক বাই লিন্ডা

মাটন কোরমা

$
0
0

কেমন আছো সাজগোজের ভোজনরসিক বন্ধুরা? দুপুরে কিংবা রাতের খাবারের টেবিলে জিভে জল আনা  মাটন কোরমা হলে কিন্তু দারুণ  হয়। তবে চলুন শিখে নিই কীভাবে রান্না করতে হয় মাটন কোরমা।

উপকরণ 

  • খাসির মাংস- আধা কেজি
  • পেঁয়াজ- ২টি বড় মাপের (কুচনো)
  • পেঁয়াজ বাটা- ২ টেবিল চামচ
  • আদা ও রসুন বাটা- ১ টেবিল চামচ
  • জাফরান- ১ চিমটি
  • দুধ- ১ টেবিল চামচ
  • লবন- স্বাদমতো
  • ফ্রেশ ক্রিম- ২ টেবিল চামচ
  • কাজু বাদাম পেস্ট- ১ টেবিল চামচ
  • দই- ১/২ কাপ
  • ধনে গুঁড়ো – ১ চা চামচ
  • গরম মসলা – ১ চা চামচ
  • তেল- ২ টেবিল চামচ
  • হালকা গরম পানি- ১ কাপ
  • কাচামরিচ -৭/৮ টি


প্রণালী
১ চামচ দুধের মধ্যে জাফরান প্রায় আধ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। মাংস ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। তবে বেশিক্ষণ পানিতে ধুবেন না, তাহলে স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। এবার দই, ধনে গুঁড়ো, কাজু বাটা, পেঁয়াজ বাটা, আদা ও রসুন বাটা এবং স্বাদমতো লবন দিয়ে মেখে প্রায় ২ ঘণ্টা রেখে দিন।ম্যারিনেট হয়ে গেলে, একটি পাত্রে তেল গরম করুন। এতে কুচনো পেঁয়াজ দিন। মাঝারি আঁচে ৪-৫ মিনিট ভালো করে ভাজুন।

এর মধ্যে ম্যারিনেট করা মাংস দিয়ে দিন। প্রায় ১৫-২০ মিনিট রান্না করুন, মাঝে মাঝে নাড়াচাড়া করুন। মাংসের পানি বেরিয়ে মসলা শুকিয়ে আসতে দিন।এবার এতে গরম মশলা গুঁড়ো, দুধে ভেজানো জাফরান এবং প্রয়োজনমতো লবন দিয়ে ভালো করে মিলিয়ে নিন। এবার মাংস ভালো করে রান্না হতে দিন। মাংস আধসিদ্ধ হয়ে গেলে ফ্রেশ ক্রিম দিয়ে ও কাঁচা মরিচ দিন এর মধ্যে। ক্রিম দেওয়ার সময়ে আঁচ একদম কমিয়ে দেবেন নয়তো একেবারেই বন্ধ করে দেবেন।

এবার এর মধ্যে হালকা গরম পানি দিয়ে ভালো করে মিলিয়ে নিয়ে, ৩০ মিনিট হাল্কা আঁচে ঢাকা দিয়ে রান্না করুন। তবে মাঝে মাঝে নাড়িয়ে নেবেন। এবার দেখে নিন মাংস ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে গিয়েছে কিনা। মাংস সিদ্ধ হয়ে গেলে পরিবেশন করুন।

বিঃ দ্রঃ

(১) চাইলে আপনি এর মধ্যে মরিচের গুঁড়ো দিতে পারেন। তাহলে অবশ্য রং-টা একটু বদলে যাবে।

(২) আপনি চাইলে সময় বাঁচাতে প্রেসার কুকারেও রান্না করতে পারেন। তবে মাংসের মান বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকমের হয়। কখনো অল্প সময়েই সিদ্ধ হয়ে যায়, আবার কখনো অনেক সময় লাগে। তাই মাংসের মান বুঝতে না পারলে প্রেসার কুকারে রান্না না করাই ভালো। মাংস খুব বেশি গলে গেলে কোরমা ভালো লাগবে না।

ছবি ও রেসিপি - সামিয়া ‘স হোম কিচেন


সিলেট: রাতারগুল, বিছানাকান্দি, জাফলং ট্যুর

$
0
0

পাহাড়ের শহর সিলেট। সবুজের শহর সিলেট। এই বছরের এপ্রিলে আমরা বন্ধু-কলিগরা মিলে ঘুরে এলাম সিলেট থেকে। এবারের টার্গেট ছিল রাতারগুল সোয়ার্ম ফরেস্ট ও বিছানাকান্দি দেখা, সেই সাথে তৃতীয়বারের মতো দেখে এলাম জাফলং। ট্যুর ছিল দুইদিনের।

আমরা ঢাকা থেকে রাতের বাসে রওনা দিয়ে সকালে গিয়ে পৌঁছাই সিলেটে।

গ্রীণলাইনের বাসের টিকেটের দাম হল ৯৫০ টাকা , ট্রেনে গেলে খরচ পড়বে ৭৫০ টাকার মতো।

হোটেল আমরা আগেই বুকিং দিয়ে রেখেছিলাম, সিলেট বাসস্টান্ড / ট্রেন স্টেশন থেকে মাত্র ২ কিলো দূরে মীরাবাজারের হোটেল সুপ্রিম সহজেই খুঁজে নিতে পেরেছি পৌঁছানোর পর।

প্রতি রাতের খরচ পড়েছে ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকার মধ্যে।

পরিবহণ

আমরা ঢাকা থেকেই পরিচিত একজনের মাধ্যমে একটি নোয়াহ গাড়ি ভাড়া করে রাখি , দুই দিনের জন্য ভাড়া ছিল ৮০০০ টাকা।  ড্রাইভার ভালো ছিল, তবে এসব ক্ষেত্রে যেমন হয়, বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে কিছু ভাড়া বাড়িয়ে নেয়াড় চেষ্টা করেছিলো, সেক্ষেত্রে আমার পরামর্শ থাকবে প্রথমেই শক্তভাবে ডিল করলে পরে গিয়ে সমস্যা হবে না। আপনারা সিলেট পৌঁছানোর পর ও গাড়ি খুঁজে নিতে পারবেন হোটেল এর স্টাফদের সাহায্যে, সেক্ষেত্রে ভালোভাবে দামাদামিটা করে নিবেন। এছাড়া গাড়ি নিতে না চাইলে বাস পাবেন, কিন্তু বাসে হয়তো ঘোরার মজাটা পাবেন না, বাস বাদে আছে সি,এন,জি সেক্ষেত্রে একদিনের জন্য ১৫০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন।

আমরা প্রথমদিন যাই রাতারগুল ও বিছানাকান্দি।

শহর থেকে বের হতে না হতেই চার ধারে পাহাড়ের সারি একদম মন ভালো করে দেয়। রাস্তাগুলো বেশ ভালোই বলা যায়। রাতারগুল পৌঁছাতে কতক্ষণ লেগেছিল মনে নেই , পৌঁছানোর পরে ওখানে নৌকা ভাড়া করতে হবে , প্রতি নৌকা ভাড়া ছিল ৭০০ টাকার মতো। সোয়ার্ম ফরেস্ট সম্পর্কে যারা বিশেষ কিছু জানেন না, গুগলে সার্চ করে পড়ে নিতে পারেন, দুই শব্দে বলতে গেলে এটি পানিতে ডুবে থাকা বন। অসম্ভব সুন্দর এই বন, আর নৌকায় যেতে যেতে চারিদিকের নিস্তব্ধতা , পানির শব্দ , বাতাসে পাতা নড়ার শব্দ আপনাকে অন্য এক জগতে নিয়ে যাবে।

BeFunky Collage 1

রাতারগুলে নৌকা করে আমাদের নিয়ে যায় টাওয়ারের কাছে, এই টাওয়ারের উপর থেকে পুরো ফরেস্ট দেখা যায়। সেখানে কিছুক্ষণ কাটিয়ে আমরা আবার বনের ভেতর দিয়ে ফেরত আসি।

রাতারগুল দেখে আমরা দুপুরেই রওনা দেই বিছানাকান্দির উদ্দেশ্যে। বিছানাকান্দি পৌঁছাতে বিকাল হয়ে যায়। হাদারপাড় নৌকা ঘাটে পৌঁছে আমরা ইঞ্জিন চালিত নৌকা ভাড়া নেই একটা , ভাড়া ছিল ১০০০ টাকার মতো ।

নৌকায় চড়ে বিছানাকান্দি যাওয়ার এই পথের সৌন্দর্য ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। নিজের চোখেই  দেখে আসুন , দেশের ভেতর এমন একটা জায়গা ভাবা যায় না। পানির উপরের মিষ্টি ঠাণ্ডা বাতাস  , স্বচ্ছ পানি , চারিদিকে ঘেরা পাহাড়  মিলিয়ে অসাধারণ এক পরিবেশ। পুরো পথ পাড়ি দিয়ে বিছানাকান্দি মেইন স্পটে পৌঁছালে স্বচ্ছ পানির নিচের পাথরের স্তর আপনাকে মুগ্ধ করবে। কাঁচের মতো এতো সুন্দর পানি আমি কখনো দেখিনি।

বিছানাকান্দি থেকে সন্ধ্যার পর আমরা ফিরে আসি হোটেলে, রাতে পৌঁছে সিলেটের বিখ্যাত পাঁচ ভাই-তে খেতে যাই, যদিও অনেক রাত হয়ে যাওয়ায় তেমন কোন খাবার পাইনি, খুব ব্যস্ত হওয়ায় কারণে সার্ভিস ও ভালো ছিল না। সব মিলিয়ে পাঁচ ভাই-য়ে খাওয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের ভালো ছিল না।

BeFunky Collage 2

পরদিন আমাদের রওনা দিতে একটু দেরি হয়ে গিয়েছিলো। প্রথমে আমরা যাই জাফলং এ। জাফলং এ এটা আমার তৃতীয়বার যাওয়া, বলতে গেলে প্রতিবার ই গিয়ে আমি জাফ্লং এর অবস্থা করুণ থেকে করুণতর হতে দেখেছি। পাথর তুলে তুলে জাফ্লং এ দেখার মতো তেমন কিছু অবশিষ্ট নেই, পাহাড় বেয়ে নেমে ৫০০ টাকা দিয়ে নৌকা ভাড়া করে আমরা জাফলং মেইন স্পটে যাই, নৌকার পথ শুরু হওয়ার আগেই শেষ হয়ে যায় এটি অল্প রাস্তা, ইন্ডিয়ার টেরিটরির পাশ দিয়েই সেখানে একটি মরণফাঁদ আছে যেখানে নাকি প্রতি বছর ই ১০/১২ জন মারা যায় বলে শুনলাম। আমাদের সামনেই দুটি ছেলে তলিয়ে যাচ্ছিলো, একটি নৌকা গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। তাই জাফলং যারা যাবেন খুব সাবধানে থাকবেন, দেখলে পানি অগভীর মনে হলে পাথর উঠিয়ে ফেলার কারণে অনেক জায়গা-ই ফাঁপা হয়ে গিয়েছে। জাফলঙ এ একটি ঝর্ণা আছে যেটি বেশ ভেতরে জাফলং থেকে। আপনাদের সময় থাকলে দেখে আসতে পারেন, আমরা যাইনি। আমাদেরকে জমিদার বাড়ি দেখানো নাম করে খাসিয়া পল্লীর ভেতরে সি,এন,জি দিয়ে নিয়ে যায় আমাদের মাঝি দেখানে আসলে দেখার মতো কিছুই নেই। একটি খুব ছোট চা বাগান আছে , এতোটুকুই। তাই আপনাদের এমন কোন জায়গার কথা বললে গিয়ে সময় নষ্ট না করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

দুপুরে আমরা জাফলং এর পাশেই একটি রিসোর্টের হোটেলে খাই, খাবার বেশ ভালো ছিল।

জাফলং ঘুরে আমাদের প্লান ছিল লালাখালে ঘুরবো। কিন্তু লালাখাল ঘাটে পৌঁছে জানতে পারি ৫টার পরে আর নৌকা চলাচল নিষেধ। যাইহোক লালাখাল ঘাটের পাশের দোকানে চা সিঙ্গারা খেয়ে ঘুরে ফিরে আমরা ফিরে আসি হোটেল এ। সেদিন রাতেই রাতের ট্রেন ধরে  রওনা দেই ঢাকার উদ্দেশ্যে। ট্রেন জার্নি ভালোই ছিল, যদিও বাস বেশি কমফর্টেবল।

সবমিলিয়ে খরচ খুব বেশি না, তাই আসছে পুজা আড় আশুরার ছুটি মিলিয়ে দুইদিনে ঘুরে আসতে পারেন সিলেট, ঘরের কাছের স্বর্গ রাজ্যে।

লিখেছেন - তাসিয়া নাজিন

মজাদার চিংড়ী বিরিয়ানি

$
0
0

এতো মজার একটা বিরিয়ানি যে সাথে কিছুই লাগে না, শুধু সালাদের সাথে পরিবেশন করা যায় । চাইলে সাথে বোরহানি রাখতে পারেন, না হলে কোন সমস্যা নেই । এই উপকরণে ৫-৬ জন কে পরিবেশন করা যাবে ।

উপকরণ

চিংড়ী রান্নার জন্য
- মাঝারি সাইজের চিংড়ি মাছ আধা কেজি
- পেয়াজ কুচি আধা কাপ
- পেয়াজ বাটা আধা কাপ
- আদা বাটা ১ চা চামচ
- রসুন বাটা ১ চা চামচ
- মরিচ গুড়া ১ চা চামচ
- জিরা গুড়া ১ চা চামচ
- গরম মসলা গুড়া আধা চা চামচ
- নারিকেলের দুধ ২ কাপ ( নারিকেলের দুধ না থাকলে গুড়ো দুধ বা গরুর দুধ দিয়েও করতে পারেন )
- লবণ আপনার স্বাদ মতো
- তেল বা ঘি ২ টেবিলচামচ
- চিনি ১ চা চামচ

বিরিয়ানি রান্নার জন্য
- বাসমতি বা পোলাও এর চাল ২ কাপ
- কাঁচা মরিচ ৫-৬ টি
- সাদা এলাচ ৪ টি
- দারচিনি ৩-৪ টি
- তেজপাতা ২ টি
- আস্ত গোলমরিচ ৬-৭ টি
- লবঙ্গ ২ টি
- পছন্দের বাদাম কুচি অল্প
- তেল ১ টেবিল চামচ
- ঘি ১ টেবিলচামচ
- পেয়াজ বেরেস্তা পরিমান মত
- কিসমিস অল্প
- লবন পরিমান মত
- গরম পানি ৪ কাপ

 প্রণালী

( ১ ) প্রথমে চিংড়ী ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝড়িয়ে সামান্য লবন মাখিয়ে রেখে দিন । একটি প্যানে তেল গরম করে চিংড়ীগুলো হালকা ভেজে রাখুন। বেশি ভাজবেন না, শক্ত হয়ে যাবে । 

( ২ ) এরপর তেল গরম করে পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে ভেজে নিয়ে তার সাথে সব বাটা ও গুড়ো মশলা দিয়ে দিতে হবে । আধা কাপ পানি দিয়ে মসলাগুলো একটু কষিয়ে নারিকেলের দুধ দিতে হবে ।

( ৩ ) ফুটে উঠলে চিংড়ী মাছগুলো দিয়ে নেড়ে ঢেকে মাঝারি আঁচে রান্না করে ঝোল কমে তেল উপরে উঠে আসা শুরু হলে চিনি দিয়ে ১ মিনিট রান্না করে নামিয়ে রাখতে হবে।

( ৪ ) এবার একটি পাত্রে তেল গরম করে আস্ত গরম মশলা ও চাল দিয়ে ঘন ঘন নেড়ে ভাজতে থাকতে হবে । কাঁচা মরিচ, বাদাম কুঁচি ও কিসমিস দিয়ে ভাজতে থাকুন ।

( ৫ ) চাল ভালোভাবে ভেজে নিলে পোলাও ঝরঝরে হয় । চাল যখন একটু সাদা সাদা হয়ে আসবে তখন বুঝা যাবে ভাজা হয়ে গেছে , গরম পানি ও লবন দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিয়ে ফুটতে দিন।

( ৬ ) এখন চাল ফুটে পানি শুকিয়ে কমে এলে ঝোলসহ চিংড়ীগুলো দিয়ে সাবধানে নেড়ে মিশিয়ে দিন । এখন চুলা কমিয়ে দিন । একটু পরে লবন চেক করুন, লাগলে উপরে ছিটিয়ে দিন ।

( ৭ ) তারপর পানি একেবারে শুকিয়ে এলে আর একবার হালকাভাবে নেড়ে পেঁয়াজ বেরেস্তা ও ঘি ছিটিয়ে ঢেকে একদম অল্প আঁচে দমে রাখুন। আর ঢাকনা খুলবেন না, ১৫-২০ মিনিট পর চুলা বন্ধ করে দিন । ব্যস, তৈরী হয়ে গেল মজাদার চিংড়ী বিরিয়ানি ।

ছবি – কিচেন.নাইন.কম.এইউ

রেসিপি - আফরুজা শিল্পী

ওজন কমাতে যোগব্যায়ামের ৪টি আসন

$
0
0

কর্মব্যস্ত লাইফস্টাইল, প্রচুর কাজের চাপ, স্ট্রেস সব কিছু মিলিয়ে হেলদি একটা রুটিন মেনে চলা যেন অনেক কঠিন। সেই সাথে খাওয়া দাওয়ার অনিয়ম। সব মিলিয়ে ফলাফল ওজন বেড়ে যাওয়া। অনেক বেশি ওজন বেড়ে গেলে তখন আর হয়তো শুধু খাওয়া কমিয়ে ওজন কমিয়ে আনা সম্ভব হয় না। আবার বাইরে জিমে গিয়ে ব্যায়াম করাও অনেকের পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না। সেক্ষেত্রে ঘরে বসেই কিছু যোগব্যায়ামের মাধ্যমেই চাইলে আপনি ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন। নিচে সেরকম কিছু যোগ ব্যায়াম এর বিবরন দেয়া রইল-

(১) সেতুবন্ধ আসন

প্রথমে শুয়ে পড়ুন। আস্তে আস্তে পা ভাঁজ করে নিন। খেয়াল রাখবেন আপনার হাঁটু এবং গোড়ালি যেন একই রেখা বরাবর থাকে। হাত দুটো দুপাশে নিচের দিকে মুখ করে রাখুন। এবারে আস্তে আস্তে শ্বাস নিতে নিতে আপনার পিঠ উপরে তুলতে থাকুন। সেই সাথে হাত দুটি দিয়ে পায়ের গোড়ালি ধরার চেষ্টা করুন। এসময় আপনার পুরো শরীরের ওজন থাকবে আপনার কাঁধ, বাহু এবং পায়ের ওপর। এভাবে ২০ সেকেন্ড থাকুন। তারপর হাত ছেড়ে দিয়ে পিঠ আস্তে আস্তে নামিয়ে আনুন। এভাবে ৩ থেকে ৪ বার করুন।

 exercise q

(২) ধনুরাসন

প্রথমে উপুর হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাত দুতিকে উপরমুখি করে শরীরের দুপাশে রাখুন। নিঃশ্বাস ছাড়তে ছাড়তে আপনার হাঁটু বাঁকিয়ে নিতম্বের কাছে নিয়ে আসুন। হাত পেছনের দিকে নিয়ে এবার গোড়ালি শক্ত করে চেপে ধরুন। এসময় দুই হাঁটুর মাঝে অবশ্যই ফাঁক রাখবেন। এবার শ্বাস নিতে নিতে গোড়ালি দুটোকে নিতম্ব থেকে দূরে সরিয়ে নিন এবং একই সাথে উরুও ফ্লোর থেকে উপরের দিকে উঠে যাবে। এসময় শোলডার ব্লেড পেছন দিকে চলে যাবে এবং বুক মাটি থেকে একটু উপরে উঠবে। এসময় শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে। ২০ সেকেন্ড পরে আস্তে আস্তে আসন ছেড়ে দিন। এভাবে ৩ বার করুন। একবারে ছবির মতন হবে, আস্তে আস্তে আসনে আসার চেষ্টা করতে হবে।

exercise q.jpg 2

(৩) ভুজঙ্গাসন

এমনভাবে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন যাতে আপনার কপাল মাটি ছুয়ে থাকে। হাত ভাঁজ করে কাঁধ বরাবর আনুন। হাতের তালু নিচের দিকে রেখে হাত দুটোকে কাধের নিচে রাখুন। এবার শ্বাস নিতে নিতে আপনার হাত সোজা অবস্থায় নিয়ে আসুন যাতে আপনার বুক উপরের দিকে উঠে যায়। এভাবে উপরের দিকে তুলতে থাকুন (নাভি পর্যন্ত) যতক্ষণ না আপনার শরীরের উপরের অংশে একটা কার্ভ তৈরি হচ্ছে। এভাবে ২০ সেকেন্ড থাকুন। তারপরে নিঃশ্বাস ছাড়তে ছাড়তে আগের অবস্থায় ফিরে আসুন।

exercise 3

(৪) উস্ত্রাসন

এই ব্যায়ামটি করার সময় নিচে নরম কাপড় দিয়ে নেবেন। ছবিতে যেভাবে দেখানো আছে, সেভাবে প্রথমে হাঁটু ভাঁজ করে হাঁটুর ওপর দাঁড়ান। শরীরের দুপাশে হাত রাখুন। এবার আস্তে আস্তে পেছনের দিকে বাঁকিয়ে প্রথমে এক হাত পরে দুই হাত দিয়ে পায়ের গোড়ালি ধরতে হবে। এবার আস্তে আস্তে পেছনের দিকে বাঁকিয়ে বুক এবং পেট প্রসারিত করতে হবে। এসময় শরীরের ওজন হাত ও পায়ের ওপর থাকবে। এইভাবে ৩০ সেকেন্ড থেকে এক মিনিট পর্যন্ত থাকতে পারেন। তারপর আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসুন।

exercise 4

উপরে উল্লেখিত ৪ টি ব্যায়ামই আপনার পেট, কোমর ও পিঠের ওপর চাপ ফেলবে। তাই প্রথম কয়েকদিন শরীরের এই অংশগুলোতে ব্যাথা করবে। এটা কয়েকদিন পরে ঠিক হয়ে যাবে। তবে শুধু ব্যায়াম করলেই ওজন কমবে না। সেই সাথে সঠিক ডায়েট মেনে চললে কয়েক মাসেই আপনি অতিরিক্ত ওজন ঝেড়ে ফেলতে পারবেন শরীর থেকে।

ভালো থাকুন।

ছবি –  ইয়োগাজার্নাল.কম, ফিটনেসজিমইয়োগা.কম

লিখেছেন –  মাহবুবা বীথি

চকোলেট হালুয়া

$
0
0

আজকের রেসিপি আয়োজনে রইল মজাদার চকোলেট হালুয়া। সুজির প্রতি অনিহা থাকলেও চকোলেট দিয়ে তৈরি এই সুজির হালুয়া কিন্তু আপনার খাওয়ার আগ্রহ বাড়িয়ে দিবে। চলুন দেরি না করে দেখে নেয়া যাক, চকোলেট হালুয়া তৈরির পুরো প্রণালী।

উপকরণ 

  • সুজি ১ কাপ
  • তরল দুধ ২ কাপ
  • চিনি ১/৩ কাপ
  • চকোলেট এসেন্স ৩ ফোটা
  • ডার্ক চকোলেট কুঁচি ১/২ কাপ
  • অথবা কোকো পাউডার ২ চা চামচ
  • ঘি / গলানো মাখন ২ টেবিল চামচ

13710681_1079793198777194_523554611751073892_o

প্রণালী

- সুজি একটা শুকনা কড়াইতে নিয়ে হালকা আঁচে একটু ভেজে নিয়ে ঠান্ডা করে নিন।

– ননস্টিক পাত্রে দুধ, চিনি, কোকো পাউডার বা ডার্ক চকোলেট গলিয়ে (যেটা দিতে চান) ভালো মতো মিশিয়ে নিন। এবার ঠান্ডা ভাজা সুজি  দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে কড়াইটা চুলায় দিন। মাঝারি আঁচে অনবরত নাড়তে থাকুন।নয়তো নিচে লেগে যাবে।

- এবার সুজি সেদ্ধ হয়ে দুধ শুকিয়ে আঠালো হয়ে এলে ঘি / বাটার দিন ১ চামচ। কিছুক্ষণ নেড়ে মিশিয়ে নিন। এবার বাকি ঘি/ বাটার দিন। আবার নাড়ুন।

- এবার তেল উঠে একটু ভাজা ভাজা হলে নামিয়ে একটু ঠান্ডা করে নিয়ে ছোট গোল লাড্ডুর মত করে নিয়ে নকশির খাঁজে ঘি/বাটার মেখে খাঁজ ২ টার মাঝে লাড্ডুটা রেখে হাকলা চাপ দিন এবার খাঁজ থেকে তুলে নিন। ব্যাস হয়ে গেলো! চাইলে ইচ্ছা মতো যে কোন ডিজাইন সেপ দিতে পারেন।

ছবি – রেসিপিটেবিল.কম

রেসিপি - সামিয়া জামান

নবরূপে সাজবে অন্দরমহল!

$
0
0

দীর্ঘ সময় যাবৎ ঘরদোরের সেই একই চেহারা। নিজেরা নিত্যদিন কতো ভিন্ন রূপে সাজি, সাজপোশাকে বদল আনি। অথচ সাধের ঘরখানা পুরনো হয়ে থেকে যায়। এবার বদলে নিতে চাচ্ছেন ঘরের সাজসজ্জা? আবার দমে যাচ্ছেন এটা ভেবে যে, বিরাট খরচের কাজ এটা। এতো বেশি খরচ করতে পারবেন না ঘর সাজানোর জন্য।

বিরাট খরচের ধাক্কা একবারে আসবে, তা কেনো ভাবছেন? ভেবেচিন্তে কৌশলে কাজের পরিকল্পনা করুন, তারপর অল্প অল্প করে এগিয়ে নিন আপনার পরিকল্পনা। খরচটা একবারে সব হবে না, কিছু কিছু করে হবে। তাতেই তো সমস্যা অনেকটা কমে যাচ্ছে, তাই নয় কি?

কিছুটা সময় নেবে ঠিক, কিন্তু অন্দরমহলের রূপবদলের আপনার ইচ্ছেটা পুরণ হয়ে যাবে অনায়াসে।

 

মাথায় রাখুন, চটজলদি কিছু করে ফেলার কাজ শুরু করেননি। আস্ত ঘরখানার পুরনো চেহারা পালটে নতুন চেহারা আনতে চলেছেন, এই কাজে কয়েক মাস সময় তো বরাদ্দ করাই লাগবে। মাসে মাসে কিছু টাকা রাখুন এই সংক্রান্ত খরচের জন্য। নতুন যা সব কেনা লাগবে, কিনবেন বলে ভাবছেন, তালিকা করে নিন। কোন মাসে কোন জিনিষগুলি কেনা হবে তাও ঠিক করে রাখুন। এটা করা খুব জরুরী না হলেও এতে কাজের সামান্য সুবিধা হবে।

শুরুতেই বদলে নিতে পারেন ঘরের ছোটখাটো জিনিষপত্র। যেমন ধরুন, দেয়ালে সাজিয়ে রাখার কয়টা নতুন জিনিষ কিনলেন। আগে থেকে দেয়ালে কিছু রাখা না থাকলে তো আরো ভালো, এখন ঝুলিয়ে দিন কিছু ফুলের ঝাড়, বা ফ্রেমে আটকানো নিজেদের কয়েকটি ছবি। হালকা উপাদানে তৈরি দারুণ সব ফটোফ্রেম পাওয়া যায় বাজারে, কাঠ, বাঁশ বা কাগজের সেসব ফ্রেমে প্রিয় মুহূর্তগুলি যখন দেয়ালে আটকে দেবেন, ঘরখানা এমনিই হাসিখুশি দেখাবে। আবার হুট করে এই বদলটা বেশ চোখেও পড়বে। পালটে নিতে পারেন বহু আগের দেয়ালঘড়িটাও, নতুন ঘড়ি আসুক দেয়ালে।

 1

বড়সড় চমক আনতে ঘরে লাগাতে পারেন ওয়াল স্টিকার। পছন্দ মতন নকশার ওয়াল স্টিকারে ঘর নতুন রূপে সাজবে নিমিষেই!

 2

অন্তত কিছু গাছ রাখুন ঘরে। বারান্দায় নয়, ছাদে নয়, ঘরের ভেতর আপনার কাছে। অন্দরসজ্জায় সবুজ ছোঁয়ার বিকল্প আর কিছুতেই পাবেন না কিন্তু।

 4

ভাড়া বাসায় থেকে দেয়ালে রঙ নিজেদের ইচ্ছে মতন করা যায় না, এই এক মুশকিল। কিন্তু দেয়ালটা অন্য অনুষঙ্গে সাজাতে তো মানা নেই তাইনা? কাগুজে প্রজাপতি, ফুল, চাঁদ বা তারা যা খুশি সেঁটে দিন দেয়ালে। নিজের হাতে বানিয়ে নিতে পারেন এসব। পছন্দ মতন জিনিষ কিনতেও পারেন বাজার থেকে। এসবে ঘরের মনমরা ভাবটাও কেটে যাবে দেখবেন।

 5

পর্দা হলো আরেক জিনিষ যা অন্দরমহলের চেহারায় বড় ভূমিকা রাখে। সম্পূর্ণ ঘরের পর্দা বদলে নেয়া বড় খরচের ধাক্কা, কাজেই একবারে করা সম্ভব নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে এই কাজও অল্প অল্প করেই করুন। অবাক হবার কিছু নেই, একেক ঘরের জন্য পর্দা কিনুন একবারে। পুরো ঘরের পর্দা এক হলে তাতেও কিন্তু একঘেয়েমি তৈরি হয়। শোবার ঘরে থাকুক এক রঙের পর্দা, তো বসার ঘরে ভিন্ন রঙের ভিন্ন ধাঁচের পর্দা হোক। ঘরের সাজে বৈচিত্র আসবে এতে। তো এই মাসে কোন এক ঘরের পর্দা বদলে নেয়ার কথা ভাবুন বরং?

এমনি করে ধীরে ধীরে আস্ত ঘরটাই সাজবে নতুন রূপে। নবরূপে ঝলমলিয়ে উঠবে আপনার সাধের অন্দরমহল।

ছবি – গার্ডেনিস্তা, ওয়ালপেপারজোন, ফ্রেশহোম ডট কম

লিখেছেন –  মুমতাহীনা মাহবুব

মতিচুরের লাড্ডু

$
0
0

ছেলেবেলায় এই মিষ্টি খাওয়া হত অনেক! কিন্তু আজকাল মিষ্টির দোকানে এই মিষ্টি পাওয়া গেলেও সেই স্বাদ পাওয়া যায় না বললেই চলে। তাই  আজকের রেসিপি আয়োজনে রয়েছে মজাদার মতিচুর লাড্ডু। চলুন দেখে নিই, কীভাবে তৈরি করা হয় মতিচুরের লাড্ডু।

উপকরণ

  • ১/২ কেজি বেসন
  • ১/৩ কাপ দুধ
  • ১ টেবিল চামচ পেস্তা কুঁচি
  • ১/২ কেজি চিনি
  • ১ টেবিল চামচ কিসমিস
  • ১ চিমটি বেকিং সোডা
  • কয়েক ফোঁটা কমলা ফুড কালার/ জাফরান দানা (ঐচ্ছিক)
  • ভাজার জন্য ঘি বা তেল

 প্রণালী

- বুন্দিয়া তৈরি করতে যা করবেন- বেসন ও বেকিং পাউডার একসাথে মিশিয়ে নিন।
- ২ টেবিল চামচ ঘি ও প্রয়োজনমতো পানি দিয়ে ঘন করে মিশ্রন তৈরি করুন। প্যান কেকের ব্যাটারবা বেগুনী ভাজার বেসন গোলার মতন হবে ঘনত্বে।
- ঘি গরম করে ঝাঁঝরি চামচ দিয়ে বেসনের মিশ্রণ তেলে দিন।
- বুন্দিগুলো ভালো করে লাল করে ভেজে নিন। সবটুকু বেসনের বুন্দি ভাজা হয়ে গেলে একটি পাত্রে রেখে দিন।

লাড্ডু তৈরি করতে-
- আরেকটি চুলায় চিনির ও পানি মিশিয়ে শিরা বানাতে দিন। শিরায় দুধ ও ফুড কালার দিন। শিরা ঘন ও আঠালো হয়ে গেলে শিরায় বুন্দিগুলো দিয়ে দিন কিসমিস ও পেস্তা বাদাম মিশিয়ে দিন। মিশ্রণ শুকিয়ে
মাখা মাখা হলে নামিয়ে নিন।
- হাতের তালুতে ঘি মেখে নিন মিশ্রণটি হাতে ধরার মতো সহনশীল মাত্রার গরম থাকতেই হাতের তালুতে ঘুরিয়ে গোল আকৃতি দিন।
- চাইলে দোকানের কেনা বুন্দিয়া দিয়েও তৈরি করতে পারবেন। বুন্দিয়ার আকৃতি আপনার ইচ্ছা মতন বড়/ছোট হতে পারে।
- উপরে বাদাম দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

ছবি – ফটোলিয়া

রেসিপি – রাশেদ আহমেদ রাজু

প্রতিটি চল্লিশোর্ধ মহিলার যে ১০টি স্বাস্থ্য পরীক্ষা স্বাস্থ্য পরীক্ষা

$
0
0

আপনি কি চল্লিশোর্ধ ও পরবর্তী পর্যায় প্রবেশ করছেন? তাহলে অন্য সব কাজ সরিয়ে রেখে এই দশটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নিন। হ্যাঁ, এই পরীক্ষা চল্লিশোর্ধ মহিলাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেমন বলা হয় যে প্রতিরোধ প্রতিকারের চেয়ে উত্তম। মহিলাদের জীবনে প্রাক রজোবন্ধ(মেনোপজ) পর্যায় অতন্ত্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই সময়ে তাদের মধ্যে হরমোনাল পরিবর্তন, মোটা হবার প্রবণতা ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।  এই বয়সের মহিলাদের বিভিন্ন রোগে ভোগার প্রবণতা থাকে। তারা প্রকৃত চেহারার পরিবর্তন সহ হার্ট, হাড় ও চোখের সমস্যারও সম্মুখীন হন।

প্রাক রজোবন্ধ পর্যায়ে শরীরের ইস্ট্রজেন মাত্রা হ্রাস হয় এবং নারীরা তাদের মাসিক চক্রের একটি চরম পরিবর্তন অনুভব করেন। কখনো অত্যাধিক আবার কখনো সামান্য রজঃস্রাব বেদনাদায়ক হতে পারে। এবং এটি মহিলাদের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়াও, এই পরিবর্তনের সময় হজম ক্ষমতা হ্রাস পায় ফলে মহিলাদের ওজন বাড়তে থাকে ও তারা মোটা হতে থাকেন।তাই ঋতুজরার পরে স্বাস্থ্য সমস্যার প্রতিরোধ করার ভালো উপায় হলো কিছু অপরিহার্য স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া । এখানে চল্লিশোর্ধ মহিলাদের জন্য দশটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য পরীক্ষার একটি তালিকা দেওয়া হল। সেগুলি এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।
 

(১) প্যাপ স্মেয়ার

এটি একটি অত্যন্ত  সহজ পরীক্ষা যা আমরা অধিকাংশ মানুষই উপেক্ষা করে থাকি। প্যাপ স্মেয়ার পরীক্ষা চল্লিশোর্ধ মহিলাদের আবশ্যক কারণ এই পরীক্ষা সার্ভিকাল ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তিরিশ বছরের উর্ধে মহিলারা এই পরীক্ষা শুরু করতে পারেন কিন্তু চল্লিশ পেরোলে এই পরীক্ষা দুই -তিন বছরে একবার করা খুবই আবশ্যক।

(২) থাইরয়েড সক্রিয়তা

সবচেয়ে অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যা যা আজকের নারী মোকাবেলা করে থাকেন তা হলো থাইরয়েড সমস্যা। কিছু মহিলা হাইপোথ্যারয়ডিজমে ভোগেন আবার কিছু মহিলা হাইপারথ্যারয়ডিজমে। পা ফোলা, হাত পা ও জয়েন্টগুলোতে ব্যাথা থাইরয়েড সমস্যার সাধারণ উপসর্গ।

(৩) ম্যামোগ্রাম

চিকিৎসা সংক্রান্ত পত্রিকাতে বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে দেখা যায় যে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত নারীর সংখ্যা বিশেষত চল্লিশোর্ধ মহিলাদের মধ্যে বৃদ্ধি পাচ্ছে।তাই স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য সবচেয়ে ভাল উপায় হল একটি সহজ ম্যামোগ্রাম পরীক্ষা।

(৪) হাড়ের ঘনত্ব

বয়স বাড়ার সাথে হাড়ের অবনতি শুরু হতে থাকে।চল্লিশের পরে হাড়ের ঘনত্বের পরীক্ষা অত্যন্ত দরকারি। এটি অস্থিভঙ্গ প্রতিরোধ করে।

(৫) হৃদরোগ

এটা দেখা যায় যে বয়সের সঙ্গে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে থাকে।  তাই চল্লিশ পেরোলেই নিয়মিত হৃদযন্ত্রের পরীক্ষা ও হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন। নিয়মিত চেকআপে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট থেকে আকস্মিক মৃত্যু প্রতিরোধ করা যায়।

(৬) ওভারিয়ান ক্যান্সার

মহিলাদের মধ্যে ওভারিয়ান ক্যান্সার বেশিরভাগই ঋতুজরার পরে দেখা যায়।  তাই ওভারিয়ান ক্যান্সারের ঝুঁকি এড়াতে ঋতুজরার আগেই মহিলাদের নির্দিষ্ট পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত।

(৭) ভিটামিন ডি

ভিটামিন ডি-এর অভাবে হাড়ের ক্ষয় এবং অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়ে। চল্লিশোর্ধ মহিলাদের ভিটামিন ডি এর বেশি প্রয়োজন যা ক্যালসিয়াম শোষণ করে এবং হাড়ের ক্ষয় রোধ করে। তাই ভিটামিন ডি এর মাত্রা পরীক্ষা করা খুবই প্রয়োজন।

(৮) ডায়াবেটিস

চল্লিশোর্ধ মহিলারা টাইপ -টু ডায়বেটিসে বেশি আক্রান্ত হন। শরীর গ্লুকোজের সমত্ব বজায় রাখার জন্য যথেষ্ট ইনসুলিন উৎপাদন করতে পারে না, তাই ডায়বেটিসের হানা রুখতে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা অত্যন্ত জরুরি।

(৯) রক্তচাপ

মহিলাদের ঋতুজরার পরে উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা খুব বেশি মাত্রায় দেখা যায়। তাই ঋতুজরার আগেই এটিকে নিয়ন্ত্রণে আনা প্রয়োজন।চল্লিশে পৌঁছলেই নিয়মিত পরীক্ষার মাধ্যমে রক্তচাপে নজর রাখা আবশ্যক।

(১০) চোখ

বয়সের সাথে আমাদের দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পেতে শুরু করে। দৃষ্টি ঝাপসা এবং চোখ শুষ্ক হতে আরম্ভ করে। এছাড়া ছানি বা গ্লকৌমা ক্রমে দেখা দিতে পারে আর তাই চল্লিশ পেরোলেই নিয়মিত চোখের পরীক্ষা ভীষণ জরুরি।

ছবি – ফটোগ্রাফারসক্যানভেরা.কম

লিখেছেন  -  লিন্নি


আমড়ার আচার

$
0
0

আমড়া সাধারণত ভর্তা করে অথবা লবণ মরিচ দিয়ে খাওয়াটাই বেশি জনপ্রিয়। তবে সেই সাথে আমড়া দিয়ে অনেক রকম রান্নাও করা হয়। সারা বছর আমড়া খেতে চাইলে আচার বানিয়ে রাখতে পারেন। আমড়ার আচার খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু, বানাতেও ঝামেলা বিশেষ নেই। আসুন জেনে নেয়া যাক আমড়ার আচারের রেসিপি।

উপকরণ

  • আমড়া ২০টি
  • সরিষার তেল ১ লিটার
  • আদা বাটা ৬ টেবিল চামচ
  • রসুন বাটা ৬ টেবিল চামচ
  • লবণ ২ টেবিল চামচ
  • চিনি আধা কাপ
  • কাটা শুকনামরিচ ৪/৫টি
  • কাটা আদা ২ টেবিল চামচ
  • পাঁচফোড়ন ২ চা-চামচ
  • মরিচ গুঁড়ো ২ চা-চামচ

প্রণালী

আমড়া ধুয়ে খোসা ছিলে ফালি ফালি কাটুন। চাইলে ডুমো করেও কাটতে পারেন এবং খোসাসহই রাখতে পারেন। আঁটি ফেলে দিন। ছোট আমরা হলে আস্তও করা যায়। সেক্ষেত্রে খোসা ফেলে দিতে হবে। নাহলে মশলা ঢুকবে না।  তেল ও আদা-রসুন-চিনি বাদে সব মসলা মেখে ১ দিন রোদে শুকিয়ে নিন।

চুলায় পাত্রে তেল দিয়ে পাঁচফোড়ন দিন। আদা রসুন দিয়ে ভালো মতন কষিয়ে নিন। সামান্য পানি দিন। ফুটে উঠলে মাখানো আমড়া দিন। ভালোমতো কষিয়ে চিনি দিন। মাঝারি আঁচে রান্না করুন। তেলের ওপরে উঠলে নামিয়ে নিন।

এভাবে একদিন আচারটা রেখেদিন। পরের দিন আবার আচারকে ভালোমতো জ্বাল দিন।হাল্কা গরম থাকতেই বৈয়মে ভরে ফেলুন। তবে
ঢাকনা বন্ধ করবেন না। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে ঢাকনা লাগিয়ে দিন।

ছবি – ফটোলিয়া

রেসিপি – রাশেদ আহমেদ রাজু

একনে প্রন স্কিনের জন্য চাই পারফেক্ট মেকাপ !

$
0
0

একনে/ পিম্পল/ ব্রণ যেটাই বলুন না কেন, এটি আমাদের অনেকের জন্যই একটি বড় সমস্যা। যার কারণে অনেকেই মেকাপ করতে ভয় পান। কিন্তু বিভিন্ন অকেশনে অনেক সময় মেকাপ নেয়ার প্রয়োজন পড়ে। আবার যাদের একনে প্রন স্কিন তাদের ব্রণ বেড়ে যাওয়ার ভয় তো রয়েছেই।  কিন্তু  অনুসরণ করলে আপনার ব্রণ নিয়ে চিন্তা একটু হলেও কমবে এবং ব্রণ বেড়ে যাওয়ার ভয়ও থাকবে না।  চলুন জেনে নিই।

(১) মেকাপ শুরুর আগে একটি মাইল্ড ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। খেয়াল রাখবেন ফেসওয়াশটি যেন আপনার একনে প্রন স্কিনের জন্য মানানসই হয়।
(২) একনে প্রন স্কিনে মেকাপের আগে স্ক্রাবিং না করাই ভালো। এতে পিম্পল বেড়ে যেতে পারে।
(৩) মেকাপ শুরুর আগে লাগিয়ে নিন একটি লাইটওয়েট, অয়েল ফ্রি ময়েশ্চারাইজার। যেটি আপনার স্কিনের সাথে মানানসই।
(৪) এরপর একটি ম্যাট প্রাইমার লাগিয়ে নিন। প্রাইমার আপনার ফেসে একটি মসৃন ক্যানভাস তৈরি করতে এবং মেকাপ অনেকক্ষন ধরে রাখতে সাহায্য করবে। ম্যাট প্রাইমার আপনার ফেসের অতিরিক্ত অয়েল কন্ট্রোল করবে।

(৫) এবার ফাউন্ডেশন এর পালা। একটি লাইটওয়েট, ম্যাট ফাউন্ডেশন নির্বাচন করুন। স্যালসিলিক এসিড আছে এমন ফাউন্ডেশনগুলো একনে প্রন স্কিনে ভালো কাজ করে এবং পিম্পলের পরিমান কমিয়ে আনতেও সাহায্য করে।
এক্ষেত্রে, ই.এল.এফ একনে ফাইটিং ফাউন্ডেশনটি ভালো কাজে দিবে।
 ব্রাশ/স্পঞ্জের সাহায্যে ফাউন্ডেশন ব্লেন্ড করে নিন।
(৬) এরপর আপনার দাগ, ডার্ক সার্কেল ঢাকার জন্য কনসিলার ব্যবহার করুন। ভালো কভারেজ এবং লাইটওয়েট একটি কনসিলার  বেছে নিন।
(৭) ফাউন্ডেশন /কনসিলার যেটিই ব্যবহার করুন না কেন, সেটি ব্রাশ/স্পঞ্জের সাহায্যে আপনার স্কিনের সাথে ঘষবেন না অথবা জোড়ে চেপে বসানোর চেষ্টা করবেন না। যত সম্ভব ধৈর্য নিয়ে আস্তে আস্তে ব্লেন্ড করবেন।
(৮) এবার ফাউন্ডেশন এবং কনসিলার সেট করে নেয়ার জন্য একটি লাইটওয়েট পাউডার লাগিয়ে নিন। এটিও জোরে প্রেস করার চেষ্টা করবেন না।
(৯) মেকাপ ব্রাশ/ বিউটি স্পঞ্জ যেটিই ব্যবহার করুন না কেন, তা যেন পরিষ্কার হয়। অপরিষ্কার মেকাপ ব্রাশে ব্যাক্টেরিয়া জমে। যা স্কিনে পিম্পল বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট। এছাড়া আপনার হাতও পরিষ্কার হওয়া দরকার। এজন্য মেকাপ শুরুর আগে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের সাহায্যে হাত পরিষ্কার করে নিন।
(১০) এরপর আপনার পছন্দমত ব্লাশ, কন্টুরিং, হাইলাইটারআই মেকাপ এবং লিপস্টিক লাগিয়ে নিন।
(১১) মেকাপের ফেস এ থাকাকালীন সময়ে ফেস যদি অয়েলি হয়ে যায়। তাহলে হাতের কাছে ব্লটিং পেপার রাখুন। যখনই ফেস অয়েলি মনে হবে। তখন একটি ব্লটিংপেপার নিয়ে ফেসে হালকা চাপ দিয়ে ধরে অয়েল শুষে নিন। ব্লটিং পেপার না থাকলে টিস্যুপেপার ব্যবহার করতে পারেন।
(১২) মেকাপ করার পরে মেকাপ তুলে ফেলতে ভুলবেন না। অধিকাংশই এই কারণে পিম্পল বাড়তে পারে। তাই অবশ্যই মেকাপ রিমুভ করে নিবেন। একটি ওয়েট ওয়াইপ মেকাপ রিমুভারে ভিজিয়ে নিয়ে পুরো ফেস এর মেকাপ তুলে নিন। এরপর ক্লিনজারের সাহায্যে ফেস পরিষ্কার করে নিবেন।
 
এভাবে, কিছু সাবধানি টিপস ফলো করলে অতিরিক্ত পিম্পলের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন।  আশা করি, এ লেখা থেকে আপনার একনে প্রন স্কিনে মেকাপের ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও উপকার হবে।

ছবি – বিউটিকেয়ার.কম

লিখেছেন – জান্নাতুল মৌ

নারকেল বিস্কিট পিঠা

$
0
0

বিকেলের নাস্তায়, বাচ্চার টিফিন কিংবা মেহমান আপ্যায়ন এ চায়ের সাথে বেশ যায় এই বিস্কিট পিঠা। মজাদার নারকেল বিস্কিট পিঠা তৈরি করার জন্য দেখে নিন এর পুরো প্রণালী।

উপকরণ

  • চালের গুঁড়া ১.৫ (দের) কাপ
  • ময়দা ১/২ (হাফ) কাপ
  • নারকেল কোরা ২ কাপ (হালকা বেটে নিন)
  • চিনি ১/২ কাপ এলাচ
  • দারচিনি ২ টা
  • তেল ৩ চামচ
  • ড্রাই কোকোনাট পাউডার ১/৪ কাপ
  • লবন সামান্য

প্রণালী
নারকেল কোরা, চিনি, এলাচ, দারচিনি, লবন আর পরিমান মতো পানি কিছুখন বলক দিয়ে একটু ঘন করে নিন। এলাচ দারচিনি ফেলে চালের গুরা আর ময়দা দিয়ে রুটির ডো এর মতো ডো করে নিন। নামিয়ে তেল দিয়ে ভালো মতো ময়ান করে নিন। ১/২” মোটা রুটি করে গোল মুখ এর স্টিল এর গ্লাস বা কুকি কাটার দিয়ে কেটে নিন। এবার ড্রাই কোকোনাট পাউডার পিঠার ২ পাশে একটু চেপে চেপে লাগিয়ে দিতে হবে। একইভাবে সবগুলো করে নিতে হবে। ডুবো তেল এ বাদামি করে ভেজে নিলেই রেডি।

সংরক্ষণ
পিঠা গুলো ঠান্ডা করে এয়ারটাইট বক্সে ভরে রাখতে পারবেন ১ সপ্তাহ পর্যন্ত।

ছবি ও রেসিপি - সামিয়া জামান

পোষাপ্রাণীর যত্ন-আত্তি : খেয়ালে থাকুক কিছু বিষয়

$
0
0

পরিবারে যাদের মানুষ বাদে অন্য জাতের সদস্যও আছে, আছে দুপেয়ে প্রাণীর পাশাপাশি চারপেয়ে প্রাণীর বসবাস, লেখাটা তাদের জন্য। পোষাপ্রাণীর সার্বিক দেখভাল সঠিক উপায়ে হচ্ছে কিনা তার দিকনির্দেশনা নিয়েই টুকিটাকি কথা বলা হচ্ছে এখানে।

বাসার ভেতর সাধারণত বিড়াল, খরগোশ কিংবা কুকুর পোষা হয় অনেক পরিবারে। পাখি, মাছ, কাছিমও আছে অনেক ঘরেই। পাখি খাঁচার ভেতরেই থাকে, মাছ রাখা হয় ছোট্ট জলাধারে। কিন্তু বিড়াল, কুকুর বা খরগোশ, তারা ঘরময় ছুটে বেড়ায়। নিজেদের হুটোপুটি ছড়িয়ে দেয় সবার মাঝে। তাই তাদের খেয়াল রাখার ধরণটাও আলাদা হতে হয়, একটু বেশি সতর্কতার দরকার পড়ে।

  • খাবার হোক বুঝে-শুনে

দিনে কয়বার খাবার দেবেন, কী পরিমাণে দেবেন তার একটা মোটামুটি মাপকাঠি থাকা চাই। যেমন অনেক বেশি বার খাবার দেয়া কোন মতেই ঠিক নয়। তিন থেকে চার বার তাদের খাবার দেয়া যেতে পারে, নির্দিষ্ট সময় মেনে। পরিমাণ নির্ভর করবে আপনার আন্দাজ কিংবা আপনার পোষাপ্রাণীটির খিদের মাত্রার উপর।

নিজেদের জন্য রান্না করা সব খাবার অবশ্যই আপনার পোষাপ্রাণী খেতে পারবে না। অতিরিক্ত মশলাদার খাবার, কাঁচা মাছ-মাংস, চকোলেট দেয়া কেক বা রুটির টুকরো যদি কুকুর বা বিড়ালকে দেয়ার অভ্যাস থেকে থাকে, তবে তা পরিহার করুন। পানি পান করা নিয়ে তাদের বিশেষ অনীহা থাকতে পারে, সেটা খেয়াল রাখুন এবং পানি পান করানোর চেষ্টা করুন।

  • জন্মনিরোধ প্রক্রিয়া

জন্মনিরোধ ব্যবস্থা নেয়াটা অতি জরুরী বিষয়গুলির মাঝে একটি। বাসার কুকুর বা বিড়ালকে জন্মনিরোধী করিয়ে নেয়া তাদের জন্যই সর্বাত্মক মঙ্গলের। এতে করে তাদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত হয়, এবং অনেকগুলি ছানা জন্ম দিয়ে সেই বাচ্চাগুলিকে অনিশ্চিত জীবনের দিকে ঠেলে দেয়ার অঘটনও চিরতরে দূর হয়। অনেকেই জন্মনিরোধ করানোর ঘোর বিরোধী। এটা তো মানবেন, আপনার আদরের প্রাণীটা তার জীবনে সর্বমোট যে কয়টি বাচ্চার জন্ম দেবে, তাদের সবাইকে লালনপালন করা আপনার পক্ষে অসম্ভব? তবে কেনো তাকে সন্তান জন্মদান প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে বারবার যেতে দেবেন? এতো বেশি সন্তানের জন্ম দেয়া তার শরীরের পক্ষেও ভালো কিছু নয়, প্রতিবার নিজের বাচ্চাদের থেকে বিচ্ছেদও তার জন্য কষ্টের। এবার ভাবুন, তবে কেনো জন্মনিরোধের কথা ভাববেন না?

  • টিকাদান সময় মতো

অনেকেই এটাকে জরুরী মনে করে, অনেকে করে না। আপনি নিজের পোষাপ্রাণীকে টিকা দেবেন কিনা তা আপনিই ঠিক করবেন, তবে সাবধানের মার নেই নীতি মাথায় রেখে টিকা দিয়ে আনলেই ভালো করবেন। তাদের এবং আপনার সুরক্ষার জন্যই টিকাদান দরকার।

  • ওষুধপথ্য খুব সাবধানে

প্রাণী যখন, অসুখবিসুখ তো থাকবেই। সচেতন হলে তার ডাক্তারও নিশ্চয় দেখাবেন। সেটাই করা উচিৎ আসলে। অনেকে হেলাফেলা করে নিজেরাই ওষুধ দিয়ে দেয় পোষাপ্রাণী অসুস্থ হলে। এটা করা মোটেও ঠিক নয়, কেননা মানুষের সব ওষুধ তাদের জন্য প্রযোজ্য না। যারা দীর্ঘদিন ধরে পশূপ্রাণী পালছেন তারা হয়তো অভিজ্ঞতা থেকে ওষুধের পরামর্শ নিজেরা দিতে পারেন, তাই বলে সবাই নয়। এমন পরিস্থিতিতে চেষ্টা করুন ভেট মানে তাদের ডাক্তারের পরামর্শ নিতে। কিংবা চেনাজানা অভিজ্ঞ কেউ থেকে থাকলে তার কাছে সাহায্য চাইতে পারেন। ওষুধ দিতে গিয়ে বিষ দিয়ে বসবেন না আদরের প্রাণীটাকে! এই যেমন, প্যারাসিটামল কিন্তু তাদের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর, অথচ যারা জানেন না তারা অনেকেই জ্বর বা ব্যাথার জন্য দিব্যি এই ওষুধ গেলানোর বুদ্ধি দিয়ে দেবে!

  • গোসল করানো ভারী মুশকিল

খরগোশের বা বিড়ালের বাচ্চাটা পানিকে ভালোবেসে একদম হাবুডুবু খাবে, এমন আশা আপনি করছেন নাকি? তারা পানি থেকে দূরে থাকবে এটাই স্বাভাবিক! আদরের কুকুরছানাটাও গোসলের আশঙ্কায় গা ঢাকা দিতে পারে। তাদের এই ভীতি তাড়াতে হবে আপনাকেই। গোসল প্রক্রিয়াটা মজাদার করে তুলুন। খেলতে খেলতে গোসল করান তুলার পুতুলগুলাকে, আদর দিতে থাকুন যাতে তা্রা গোসল বিষয়টাকে অত্যাচার না মনে করে।

বিড়ালকে গোসল করানো বেশিই কঠিন হয়, সেক্ষেত্রে নিয়মিত ভেজা কাপড়ে পুরো শরীর মুছিয়েও রাখতে পারেন। তাতেই পরিষ্কার থাকবে। আর গোসল করালেও প্রতিদিন নয়, সপ্তাহে দুইদিনই যথেষ্ট হবে।

  • নখের ধার সামলানো চাই

নখ তো থাকবেই, মাঝেমাঝে আঁচড় খেতেও হবে বটে। তাই বলে কি ধরে নখ কেটে দেবেন? মোটেও নয়, বরং নখ ছেঁটে দেয়াটা হলো আপনার করণীয় কাজ। সামান্য একটু কাটবেন নখের ডগা। ধারটা কমে যাবে তাতে। ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় এটা করতে পারেন কেননা সজাগ থাকলে তারা এই কাজ করতে দিতে একটুও খুশি হবে না!

এই বিষয়গুলি একটু নজরে রাখুন, তাদের সাবধানে রাখুন আর নিজেরা সতর্ক থাকুন। পশমিনা বাচ্চাগুলি মানুষের ঘরে অফুরান আনন্দের ঝুলি নিয়েই আসে। ভালো থাকুক আপনার ঘরের খুশির ঝুলিটাও!

ছবি – পপস্ক্রিন.কম

লিখেছেন –  মুমতাহীনা মাহবুব

চিকেন পরাটা রোল

$
0
0

বাচ্চার টিফিনে বা বিকেলের নাস্তায় তৈরি করে দেখতে পারেন মজাদার চিকেন পরাটা রোল। খুবই সহজ  এবং রান্নাঘরের দৈনন্দিন মসলা দিয়েই তৈরি করে ফেলা যায় এই আইটেমটি। চলুন দেখে নিই, চিকেন পরাটা রোল তৈরির পুরো প্রণালী।

উপকরণ

  • ডিম – ১টা
  • পরোটা – ১টা
  • পেঁয়াজ কুঁচি – ১ টেবিল চামচ
  • চিকেন ব্রেষ্ট টুকরা – আধা কাপ
  • আদা বাটা – আধা চা চামচ
  • রসুন বাটা – আধা চা চামচ
  • ধনে গুঁড়া – আধা চা চামচ
  • জিরা গুঁড়া – আধা চা চামচ
  • মরিচ গুঁড়া – আধা চা চামচ
  • চাট মশলা – আধা চা চামচ
  • ক্যাপসিকাম কুঁচি – ১ টে: চামচ
  • ধনেপাতা কুঁচি – ১টে চামচ
  • লেবুর রস – ১ চা চামচ
  • টমেটো কুঁচি – ১ টে. চামচ
  • পানি – পরিমান মত
  • টমেটো কেচাপ – ১ চা চামচ
  • আদা কুঁচি – আধা চা চামচ
  • লবন – স্বাদমত

প্রণালী

- প্রথমেই চিকেন ব্রেষ্ট টুকরায় আদা, রসুন বাটা, ধনে, জিরা, মরিচ গুঁড়া ও লবন দিয়ে মেখে মেরিনেট করে গরম তেলে ভেজে আলাদা একটি পাত্রে তুলে রাখুন।

- এবার গরম তেলে পেঁয়াজ ভেজে তাতে টমেটো কেচাপ, ভাজা মাংস, লেবুর রস, চাট মশলা, ধনেপাতা কুঁচি, আদা কুঁচি দিয়ে নামিয়ে নিন।

- এখন পরাটা কড়াইতে দিয়ে তার উপর এক পাশে তেল লাগিয়ে ফেটানো ডিম ছড়িয়ে দিন।

- তারপর উল্টিয়ে ভেজে নামিয়ে ডিম লাগানো অংশের ভেতর রান্না মুরগির মাংস, পেঁয়াজ কুঁচি, ক্যাপসিকাম ও টমেটো কুঁচি দিয়ে লেবুর রস ছড়িয়ে পরাটা রোল করে পরিবেশন করুন মজাদার চিকেন পরাটা রোল।

ছবি এবং রেসিপি - আফরোজা নাজনীন শুমী

Viewing all 3052 articles
Browse latest View live