Quantcast
Channel: Shajgoj
Viewing all 3052 articles
Browse latest View live

 ম্যাগাজিন হোল্ডার

$
0
0

ঘরে অনেক সময় বই,ম্যাগাজিন ছড়িয়ে থাকে।যা দেখতে যেমন ভাল লাগে না,তেমন ঘরের সৌন্দর্য নষ্ট করে।ম্যাগাজিন হোল্ডারে বই এবং ম্যাগাজিন দুটিই গুছিয়ে রাখা যাবে।তাহলে কীভাবে তৈরি করতে হয় জেনে নেয়া যাক।

যা যা লাগবে:

  • এন্টি কাটার
  • টেপ
  • কাগজ বক্স(দুধ বা কর্ণফ্লেক্সের বক্স)
  • মোটা কালার পেপার

 holder 1

পদ্ধতি:

১. প্রথমে কাগজ বক্সের উপরের অংশ কেটে নেই।

 holder 2

২.এবার উপর থেকে মাঝ বরাবর কেটে নেই,ঠিক এভাবে।।

 holder3

৩.এবার কালার পেপার দিয়ে টেপের মাধ্যমে সম্পূর্ণ কাগজ বক্স আবৃত করি।

 holder 4

৪.এখন ইচ্ছা মত বিভিন্ন বই ও ম্যাগাজিন রাখা যাবে।

 holder cover

এখন পছন্দ মত তৈরি করুন ম্যাগাজিন হোল্ডার।

লিখেছেন – মুমতাহিনা তাবাসসুম

ছবি – পিন্টারেস্ট


চিকেন অরেঞ্জ কাবাব

$
0
0

শুনতে কেমন লাগলেও চিকেনের সাথে অরেঞ্জের মেলবন্ধন কিন্তু দারুণ! বিকেলে চায়ের সাথে অথবা পরোটা, পোলাওয়ের সাথেও কিন্তু বেশ লাগে খেতে। বাড়িতেই একবার হলেও ট্রাই করে দেখুন দারুণ সুস্বাদু চিকেন অরেঞ্জ কাবাব।

উপকরণ

  • চিকেন ব্রেষ্ট – ১ কাপ
  • টকদই – ২ টেবিল চামচ
  • অলিভ অয়েল – ১ টেবিল  চামচ
  • লেবুর রস – ১ টেবিল  চামচ
  • অরেঞ্জ জুস ( মাল্টার) – ১ টেবিল  চামচ
  • টমেটো কেচাপ – ১ টেবিল  চামচ
  • ব্রাউন সুগার – ১ চা চামচ
  • গোলমরিচ গুঁড়া – ১ টেবিল  চামচ
  • আদা বাটা – ১ চা চামচ
  • রসুন বাটা – ১ চা চামচ
  • দারচিনি গুঁড়া – আধা চা চামচ
  • শুকনা মরিচ গুঁড়া – ১ চা চামচ
  • পাপরিকা – আধা চা চামচ
  • তেল – পরিমানমত
  • লবন – স্বাদমত

প্রণালী
প্রথমে একটি পাত্রে হাড় ছাড়া মুরগীর মাংসের সাথে টক দই, অলিভ অয়েল , লেবুর রস, গোল মরিচ গুঁড়া , আদা বাটা, রসুন বাটা, লবন, শুকনা মরিচ গুঁড়া , পাপরিকা, অরেঞ্জ জুস, টমেটো কেচাপ দিয়ে মেরিনেট করে নিন। এবার সাসলিকের কাঠিতে গেঁথে নিন। সরিষার তেল এর সাথে চিলি ফ্লেক্স মিশিয়ে সাসলিকের সাথে লাগিয়ে শ্যালো ফাই করে পরিবেশন করুন।

ছবি এবং রেসিপি - আফরোজা নাজনীন শুমী

জেনে নিন আর বেরিয়ে পড়ুন একদিনের ঝর্ণাবিলাসে!

$
0
0

ঝর্ণার দেশে একটা দিন গা ভাসিয়ে বেড়ানোর চিন্তা যাদের, তাদের জন্য ভ্রমণ পরিকল্পনা থাকছে এই লেখায়। বর্ষার ঢল থাকতে থাকতেই ঘুরে আসুন ঝিরি-ঝর্ণার কাছে। জল থইথই ঝর্ণায় ভিজে শীতল হওয়ার এটাই তো সময়!

একদিনের ভ্রমণে চট্টগ্রামের মিরসরাই দারুণ একটি জায়গা। যাতায়াত ব্যবস্থা  ভালো হবার কারণে এই অঞ্চলটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বেশ। পাহাড়ের গায়ে গায়ে, বুনো পথের শেষে ঝর্ণার দল দাঁড়িয়ে আছে যেখানে, সেখানে নিজের সব ক্লান্তি ধুয়ে নিতে চলে যান একবার সময় করে। ওখানকার পথঘাটের খবর থাকছে এখানে, জেনে নিন আর বেরিয়ে পড়ুন ঝর্ণাবিলাসে। খৈয়াছড়া ঝর্ণা আর নাপিত্তাছড়া ট্রেইলের ঝর্ণার দল, তাদের দেখে আসুন এইবার।

মিরসরাইয়ের বাসে চেপে নিজের শহর ছাড়বেন রাত করে। রাতের যাত্রাও কম রোমাঞ্চকর নয়। হাইওয়ের অন্ধকারের মাঝে যানবাহনের আলো, ক্লান্ত শরীরকে অনেকটাই চনমনে করে দিতে যথেষ্ট। পরের দিনটা যেহেতু পুরোই পথে কাটবে তাই রাতে ঘুমিয়ে নেয়া উচিত। বুনোপথে হাঁটতে গিয়ে ঘুমে ঢলে পড়বেন না যেনো!

বাস আপনাকে নামিয়ে দেবে মিরসরাই বাসস্ট্যান্ডে। এলাকাটা বাজারের কাছেই। খাবারের হোটেল পাবেন, নাস্তার পালা সেরে নিন ওখানে। ফিরতি টিকেট কেটে রাখুন সকালেই। অবশ্যই রাতের বাসের টিকেট করবেন। আলো ফোটার আগেই মিরসরাই পৌঁছে গেলে কাছাকাছি কোন চা-দোকানে অপেক্ষা করুন। গাইড ঠিক করে রাখতে পারেন আগেই, ওখানে চেনা কেউ থেকে থাকলে তার মাধ্যমে করতে পারেন কাজটা। কিংবা ওখানে গিয়ে স্থানীয় কাউকে সাথে নিয়ে নেবেন।

পেটে খাবার চালান দিয়ে আর সময় নষ্ট না করে ঝর্ণা দেখার উদ্দেশ্যে পা বাড়ান। বাজারের কাছেই লেগুনা পাবেন, যা আপনাকে নিয়ে যাবে খৈয়াছড়ার বাড়ির দুয়ারে। লেগুনা থেকে নেমে একটু ভেতরে আবার সিএনজি দেখবেন, তাতে চেপে বসুন। ঝর্ণার আরো কাছাকাছি নিয়ে যাবে সিএনজি আপনাকে। হাঁটাপথ শুরু হবে গ্রামের অনেকটা ভেতরে। আঁকাবাঁকা মেঠোপথের স্বাদ পেয়ে যাবেন ঝর্ণায় পৌঁছানোর আগে। আধা ঘন্টার বেশি লাগবে না খৈয়াছড়ার দেখা পেতে। এই ঝর্ণায় যাবার পথে ঝিরি পড়বে না খুব বেশি, ঝিরিপথের মজা ভরপুর পাবেন নাপিত্তাছড়ায়।

খৈয়াছড়ার প্রথম দর্শন একরাশ মুগ্ধতা দিয়ে যাবে। সেই অনুভূতি কাটিয়ে জলদি জলদি পানিতে নেমে পড়ুন। পরের গন্তব্যে সময় হাতে নিয়ে যেতে হবে যে! খৈয়াছড়ায় যতো সকালে পৌঁছাতে পারবেন ততো ভালো, ঝর্ণা ফাঁকা থাকবে। বেলা গড়ানোর সাথে মানুষের দলও ঢল নামায়। সাতখানা ধাপ আছে এই ঝর্ণার। যতোগুলো দেখতে চান, পাহাড় বেয়ে উঠতে পারেন যতো ধাপ, দেখে আসবেন। শরীর পরিশ্রান্ত হবে কিন্তু ভালো লাগা বাড়বে আরো অনেক।

এই ঝর্ণার যেতে যে গ্রামখানা পেরোবেন, তাতেই মিলবে খাবারের দোকান। যাবার বেলা ফরমায়েশ দিয়ে গেলে ফিরে এসে খাবার তৈরি পাবেন। ঝর্ণা থেকে ফেরার পথে দুপুরের খাবার সারতে পারবেন ভাত-তরকারি দিয়ে। অমন পরিবেশে বসে সামান্য কিছু খেয়েও তৃপ্তি হবে। তারপর খানিক জিরিয়ে নিন। এরপরে খৈয়াছড়ার বাড়ি থেকে ফেরার পালা। ফিরে আসুন একই ভাবে, বড় রাস্তায় এসে আবার লেগুনার জন্য অপেক্ষায় থাকুন। এবার গন্তব্য নাপিত্তাছড়া।

নয়দুয়ারী আসবেন লেগুনায় করে। নেমেই গ্রামের রাস্তায় হাঁটতে শুরু করবেন। ট্রেইলটা দারুণ, পাহাড়ে চড়া, ঝিরির স্রোত ঠেলে এগোনো সবকিছুর স্বাদ পাইয়ে দেবে। চারটি ঝর্ণা মিলবে এই ট্রেইলে। টিপরাখুম, কুপিকাটাখুম, নাপিত্তাছড়া আর বাঘবিয়ানী। খেয়াল রাখবেন, চারটা ঝর্ণা সময় নিয়ে ভালো মতন ঘুরতে চাইলে যেতে হবে যতো জলদি সম্ভব। ঝিরির স্রোতে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে হবে খুব, মন চাইবে ঝর্ণায় গা ডুবিয়ে সময় ভুলে যেতে কিন্তু তা করলে তো হবে না। ফেরার তাড়া থাকা চাই। সন্ধ্যা নামার আগেই গ্রামের পথে ফিরে আসতে হবে। ফিরে চাইলে গ্রামের ঝুপড়ি দোকানেই চা-পর্ব মিটিয়ে নিন। তখনও পাহাড় থাকবে চোখের সামনে, দূরের হাতছানি হয়ে। সেই পাহাড়ের বুকে লুকিয়ে থাকা ঝর্ণায় খানিক আগেই দাপিয়ে এসেছেন। অদ্ভুত ঘোরলাগা ভাবনারা সব এসে জড়ো হবে মনের ভেতর।

ঘোর না কাটতেই নিজের ঠিকানায় পা বাড়ানো লাগবে। আবার সেই রাতের বাস, হলুদ আলো লুটিয়ে পড়া অন্ধকার হাইওয়ে, সারাদিনের ক্লান্ত শরীর আর অজস্র মুগ্ধতার ঘোর মনে নিয়ে ফিরে আসুন নিজের শহরে।

ছবি – ৫০০পিএক্স
লিখেছেন –  মুমতাহীনা মাহবুব

বিফ ষ্টার ফ্রাই

$
0
0

ঈদে মাংসের রেজালা, ভুনা  তো খাওয়াই হবে। হালকা মসলায় তৈরি এই বিফ ষ্টার ফ্রাই ভাতের সাথে কিংবা ফ্রায়েড রাইস এর সাথে দারুন লাগে। চলুন তাহলে শিখে নেয়া যাক, সিম্পল বিফ ষ্টার ফ্রাই রান্নার কৌশল।


উপকরণ 

  • লম্বা করে কাটা মাংস হাফ কেজি
  • পেয়াজ কিউব করে কাটা হাফ কাপ
  • সয়া সস ৩ টেবিল চামচ
  • ফিস সস ১ চা চামচ
  • ওয়েস্টের সস ৩ টেবিল চামচ
  • ভিনেগার ১ চা চামচ
  • আদা লম্বা করে কুচি ১ টেবিল চামচ
  • পেয়াজ কলি লম্বা করে কাটা হাফ কাপ
  • লাল সবুজ লম্বা করে ক্যাপসিকাম কাটা ১ কাপ
  • তেল ৩ টেবিল চামচ
  • লবন স্বাদমত

প্রণালী
একটা বাটিতে সয়া সস,  ফিস সস, ওয়েস্টের সস, ভিনেগার আর আদা কুচি নিয়ে মিক্স করে রাখুন। এখন প্যান এ তেল দিয়ে তাতে লম্বা করে কাটা মাংস দিয়ে দিন। নাড়চাড়া করে রান্না করুন ১৫ মিনিট । মাংস থেকে পানি বের হবে ওই সময় ওই সস এর মিশ্রনগুলো মাংসে দিয়ে সাথে লবন স্বাদমত দিয়ে নাড়াচাড়া করে নিন। রান্না করুন আরো ৫ মিনিট।যখন একটু লাল হয়ে আসবে এই সময় ক্যাপসিকাম দিয়ে দিন। ২ থেকে ৩ মিনিট পর পেয়াজ কলি আর পেয়াজ কিউব দিয়ে রান্না করুন ৫ মিনিট। হয়ে গেল ইজি ষ্টার ফ্রাই ।

 

ছবি ও রেসিপি - Romantic Kitchen Stories

ঈদ-উল-আযহা স্পেশাল: কপার আই মেকাপ লুক

$
0
0

কেমন চলছে ঈদের প্রস্তুতি? ঈদ উল আযহায় মাংস রান্না-বান্না নিয়ে ব্যস্ততার শেষ থাকবে না তা খুব স্বাভাবিক। কিন্তু শত ব্যস্ততার মাঝেই হালকা মেকাপ না করলে কিন্তু অপূর্ণতাই রয়ে যাবে। এই দিনটিতে সাজগোজের বন্ধুদের সজীব এবং প্রাণবন্ত দেখাতে সাহায্য করবেন আমাদের সবার প্রিয় মেকাপ আর্টিস্ট লিন্ডা। ঈদের ব্যস্ততা, ঈদের দিনের বা পরের দাওয়াতের কথা মাথায় রেখে স্পেশালি  সাজগোজের বন্ধুদের জন্য এই মেকাপ লুকটি করে দেখিয়েছেন তিনি। তবে আর কথা না বাড়িয়ে দেখে নেয়া যাক, মেকাপ ম্যানিয়াক বাই লিন্ডার করা ঈদ উপযোগী দারুণ এই  কপার আই মেকাপ লুকটি।

ছবি এবং টিউটোরিয়াল –   মেকাপ ম্যানিয়াক বাই লিন্ডা

জেনে নিন, ওয়েডিং ফটোগ্রাফির এপিঠ-ওপিঠ

$
0
0

ওয়েডিং ফটোগ্রাফি আজকাল বিয়ের বাজারে সবচেয়ে জরুরী জিনিষগুলির মাঝে একটি। উচ্চবিত্তদের জমকালো বিয়ের অনুষ্ঠান তো বটেই, মধ্যবিত্তের বিয়েও এখন এই বিশেষ ছবি তোলার আয়োজন ছাড়া যেন জমে না। সামনেই বিয়েশাদি করে নতুন জীবনে পা রাখতে চলেছেন তো ওয়েডিং ফটোগ্রাফির এপিঠ-ওপিঠ একটু বুঝে রাখুন, কাজে দেবে।

ছবি তোলায় হাত ভালো তেমন জানাশোনা মানুষ থেকে থাকলে তাকে আগেভাগেই বাগিয়ে রাখুন। স্বস্তি আর সুবিধা সবটাই বেশি পাবেন। আবার ডিএসএলআর থাকা মানেই কেউ একজন যে ফটোগ্রাফার হয়ে গেলো, তাও তো নয়, খেয়াল রাখুন সেদিকে। আপনি ফটোগ্রাফার চাচ্ছেন, ক্যামেরাওয়ালা যেকোন লোককে না!

বাঙ্গালী বিয়ের সাধারণত তিনটা ভিন্ন ভিন্ন অনুষ্ঠান হয়েই থাকে। গায়ে হলুদ, বিয়ের মূল পর্ব আর সবার শেষ দিনে বৌ ভাত। প্রতিটা দিনের জন্যই প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার চাই নাকি কেবল বিয়ের দিন, তা সিদ্ধান্ত নিন আগে। যাকে ঠিক করতে যাচ্ছেন ফটোগ্রাফার হিসেবে, তার কাজ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিন। ফেসবুক পেইজে ফটোগ্রাফারদের অন্যান্য কাজের নমুনা থাকে, তো পেইজে ঢুঁ মারুন কাজ দেখতে। আবার কোন প্রতিষ্ঠানের নাম জেনে তাদের কাজ দিলেও ওখানকার যে ফটোগ্রাফার আপনার অনুষ্ঠানে ছবি তুলবে তার সাথে কথা বলে নিন।

শুধু প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারের জন্যই ক্যামেরা-রেডি থাকবেন, পোজ দেবেন, সেটা কিন্তু একদম ভুল হবে। বিয়ের পুরোটা সময়জুড়ে কাছের-দূরের বন্ধুবান্ধব আর অন্যান্য মানুষদের হাতে বহু ছবি উঠবে, তার মাঝেই অসাধারণ কিছু ছবি পাবেন। তাই ক্যামেরা হাতে যে কাউকেই হেলাফেলার নজরে দেখবেন না যেনো!

wedding photography 4

নিপুণ নির্দেশনায় তোলা হাজার ছবির ভীড়ে হুট করে তোলা অপ্রস্তুত কিন্তু স্বতঃস্ফূর্ত কিছু ছবি বেড়িয়ে আসবে, যা আরো অনেক দামী হয়ে থাকবে। বিয়ের অনেক এমন ন্যাচারাল মোমেন্টের খোঁজ মিলবে অপেশাদার আলোকচিত্রীদের সংগ্রহেই। কাজেই তাদের সুযোগ করে দিন ছবি তোলার।

ছোট ছোট সব নিয়মকানুন, রীতিনীতি যা বিয়েতে পালন করা হয়, সব কয়টা মুহূর্ত যত্নে ধরে রাখুন। তখন হয়তো ফটোগ্রাফার গ্রুপ ফটো তুলতে ব্যাস্ত, এদিকে কোন একটা রীতি পালিত হচ্ছে। সময় যা যাবে তা তো আর ফিরে আসবে না, তাই খেয়াল রাখুন আপনার এই সময়টা ছবিবন্দী হচ্ছে কিনা। এমন অনেক মুহূর্ত বাদ পড়ে যেতে পারে আপনার স্মৃতির অ্যালবাম থেকে, তা হতে দেবেন না। পরে আফসোস না হয়!

wedding photography collage 1

বেশি রঙঢঙ অপছন্দ হলে খুব জেনেশুনে ফটোগ্রাফার ঠিক করুন। আজকাল অতিরিক্ত নাটকীয়তার চর্চা করতে গিয়ে ওয়েডিং ফটোগ্রাফি পুরো ড্রামাটিক ব্যাপার হয়ে গেছে। এসবের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত ছবি তোলায় ভালো হাত রয়েছে তেমন ফটোগ্রাফার খুঁজে পাওয়া অসুবিধা হতে পারে। বিয়ের আসরে দেখা গেলো ফটোগ্রাফার বলে চলেছে, একজন আরেকজনের দিকে খুব রোমান্টিক চোখে তাকান তো! আর আপনি ফটোগ্রাফারের দিকেই জ্বলন্ত চোখে তাকিয়ে আছেন! কী বাজে ব্যাপার হবে, ভাবুন দেখি?

আপনার বিশেষ দিনটির প্রতিটা বিশেষ মুহূর্ত খুব যতনে তোলা থাকুক স্মৃতির পাতায়। ছবির দল যেনো বহু বছর বাদেও এই সময়টার মুগ্ধতা নিয়ে আসে নতুন করে।

ছবি- ফটোগ্রাফারস.ক্যানভেরা.কম, ওয়েডিংবেল.কম, ৫০০ পিএক্স.কম

লিখেছেন – মুমতাহীনা মাহবুব

মেজবানী মাংস

$
0
0

ঈদের আয়োজনে রান্না করতে পারেন মেজবানী মাংস । পোলাও বা গরম ভাতের সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন । এই উপকরনে ৫-৬ জন কে পরিবেশন করা যাবে । আপনাদের জন্য সহজ রেসিপি দেয়া হল।

উপকরণ

  • গরুর মাংস ১ কেজি ( হাড়, চর্বি, কলিজা সব সহ )
  • টমেটো কুচি ১ কাপ
  • পেয়াজ বাটা আধা কাপ
  • আদা বাটা ২ চা চামচ
  • রসুন বাটা দেড় চা চামচ
  • মরিচ গুড়া ১ চা চামচ
  • হলুদ গুড়া ১ চা চামচ
  • ধনিয়া গুড়া ১ চা চামচ
  • গোলমরিচ গুড়া সামান্য
  • গরম মসলা গুড়া সামান্য
  • জায়ফল ও জয়ত্রী গুড়া একসাথে আধা চা চামচ
  • মেজবানী মসলা ১ চা চামচ ( মৌরি, রাঁধুনী, সরিষা,মেথি, তিল ও কাবাব চিনি একসাথে গুড়া করা )
  • কাঁচা মরিচ ৫-৬ টা
  • সাদা এলাচ ২ টা
  • তেজপাতা ১ টা
  •  দারুচিনি ২ টুকরা
  • পেয়াজ বেরেস্তা আধা কাপ
  •  লবন স্বাদমত
  • সয়াবিন + সরিষার তেল ১ কাপ
  • পানি পরিমানমত

প্রণালী

(১ ) প্রথমে মাংস ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে মাংসের সাথে পেয়াজ বাটা, আদা, রসুন, মরিচ, ধনিয়া, হলুদ, গোলমরিচ গুড়া, টমেটো কুচি, লবন ও সরিষার তেল দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে আধা ঘন্টা রেখে দিতে হবে ।

( ২ ) এবার চুলায় একটি পাত্রে সয়াবিন তেল গরম করে তাতে এলাচ, দারুচিনি ও তেজপাতা দিয়ে মসলা মাখানো মাংস দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিতে হবে । চুলার আঁচ কম থাকবে ।

( ৩ ) এরপর মেজবানী মসলা ও জায়ফল- জয়ত্রী গুড়া দিয়ে মাংস কষাতে হবে । কষানো হলে ২ কাপ পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে । এখন চুলার আঁচ মাঝারি থাকবে ।

( ৪ ) মাংস সিদ্ধ করার জন্য প্রয়োজনে আরও পানি দেয়া যাবে । মাংস সিদ্ধ হলে পেয়াজ বেরেস্তা, গরম মসলা গুড়া ও কাঁচা মরিচ দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিতে হবে । তেল উপরে উঠে এলে নামিয়ে ফেলুন । ব্যস, এবার তৈরী আপনার মেজবানী গরুর মাংস ।

ছবি ও রেসিপি - আফরুজা শিল্পী

নারকেলের পাতা দিয়ে নিজেই তৈরি করুন গ্লাস ম্যাট !

$
0
0

পাটি বোনা দেখেছেন কখনো? আজ সেই বুননের কৌশল অ্যাপ্লাই করে আমরা গ্লাস ম্যাট তৈরি করবো। কিন্তু এই শহরে নারকেলের পাতা পাতা কি চাইলেই পাওয়া যায়!কখনো গ্রামে যাওয়া হলে সেই সুযোগটি হাতছাড়া করবেন না। একটু সময় বের করে নারকেলের পাতা কাউকে দিয়ে যোগার করিয়ে নিন। গ্রামের উঠনে বসে গল্প করতে করতে নিজেই তৈরি করে ফেলুন। তারপর যদি কোন কারণে নারকেলের পাতা যোগার সম্ভব না হয় তবে আপনি ফিতা দিয়েও এই বুননটি করতে পারবেন।

Weaving-patterns-herringbone-pattern-step-by-step-pictures-1

যা যা লাগবে

  • চিকন করে কাটা অনেকগুলো নারকেলে পাতা/ ফিতা
  • আর একটু ধৈর্য বা ইচ্ছা শক্তি

Weaving-patterns-herringbone-pattern-step-by-step-pictures-2

নারকেলের পাতা লম্বালম্বিভাবে চিকন করে কেটে নিন। এবার ছবির মতো করে মোট ৮টি  স্টিক এভাবে রাখুন। বঝার সুবিধার্থে  আমরা আরেক গোছা স্টিক নিব এর নাম দিই আড়াআড়ি সেকশন। তবে শুরু করা যাক।

Weaving-patterns-herringbone-pattern-step-by-step-pictures-3

১ম ধাপ

এবার আমরা আরও একটি স্টিক নিয়ে ঠিক ছবির মতো করে আড়াআড়িভাবে রাখব। ভালো করে খেয়াল করে দেখুন প্রথমে লম্বালম্বি স্টিকের  দুটি উপরে এরপরের দুটি নিচে ঠিক এভাবে উপরে ২টি আবার নিচে দুটি করে স্টিক বুনে যেতে হবে।বুনা শেষের দিকে আসলে থেমে যান।

Weaving-patterns-herringbone-pattern-step-by-step-pictures-4

২য়ধাপ

 এবার আরেকটি স্টিক নিন। একটু  ভিন্নতা এনে লম্বালম্বি স্টিকের ১ নম্বর স্টিক নিচে রেখে পরের ২ এবং ৩ নম্বর স্টিক উপরে রাখুন। এভাবে এখন থেকে ৪ নিচে আবার ৫ এবং ৬ উপরে। সোজা কথা এই ধাপে এসে  লম্বালম্বি সেকশনের একটি স্টিক নিচে পরের দুটি স্টিক উপরে এভাবে এই ধাপের বুনন শেষ করুন।

Weaving-patterns-herringbone-pattern-step-by-step-pictures-5

৩য় ধাপ

এই ধাপে এসে  লম্বালম্বি সেকশনের ১ ও ২ নম্বর স্টিক নিচে রেখে  আড়াআড়ি সেকশনের স্টিকটি দুকিয়ে দিব। এবারের রিদমটি হবে ২টি নিচে ২টি উপরে।

Weaving-patterns-herringbone-pattern-step-by-step-pictures-6

৪র্থ ধাপ

এখন আর নতুন করে কিছু পরিবর্তন করার নেই। জাস্ট ২য় ধাপটির  পুনরাবৃত্তি করে শেষ করুন।তারপর আবার ৩য় ধাপ এর মতো করে করুন। এভাবে গ্লাস ম্যাটের সাইজ করে নিন।

Weaving-patterns-herringbone-pattern-step-by-step-pictures-6

শেষ ধাপ

বুনন শেষের দিকে এলে উল্টে ফেলুন । বাড়তি অংশগুলো সমান করে কেটে ফেলতে পারেন অথবা বাড়তি অংশগুলো বুননের ভেতর দিয়ে ধুকিয়ে টাক দিয়ে দিন। সোজা কথায় উল্টো দিকের বুননের ভেতরের একটি উপরে রেখে আরেকটি নিচে রেখে  আটকে নিন।

Weaving-patterns-herringbone-pattern-step-by-step-pictures-15

ছবি – প্যারেন্টসফোরাম.কম


ঈদ স্প্যাশাল: বিহারি কাবাব 

$
0
0

ঈদের আগে রান্নাবান্নার প্রস্তুতি নিয়ে রাখলে কাজের  অনেকটা গুছিয়ে আনা যায়।  তাই ঈদের দিনে বা পরের দিনগুলোতে  কাবাব তৈরির ইচ্ছা থাকলে এই রেসিপিটি ট্রাই করে দেখতে পারেন।  চলুন শিখে নিই, বিহারি কাবাব তৈরির পুরো প্রণালী

উপকরণ

  • চর্বি ছাড়া আধা কেজি গরুর মাংস পাতলা করে কাটা
  • টক দই- ৩ টেবিল চামচ
  • গরম মসলা গুড়া ১ চামচ
  • ধনে পাতা মিহি কুচি ১ চামচ
  • জিরা ১ চা চামচ
  • লাল মরিচ গুড়া ২ চা চামচ
  • হলুদ আধা চা চামচ
  • লবণ পরিমাণ মতো
  • সরিষার তেল ২ চামচ
  • সয়াবিন তেল আধা কাপ
  • আদা বাটা ১ চা চামচ
  • রসুন বাটা ১ চা চামচ
  • কাঁচা পেঁপে বাটা ২ টেবিল চামচ
  • মেথি পাউডার ১ চা চামচ

 প্রণালী

সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। এর মধ্যে মাংস আর টক দই দিয়ে আবার মেখে নিন। ভালোভাবে মাখার পর ১ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। এবার নামিয়ে এনে শিকের মধ্যে মাংসের টুকরো গুলো গেঁথে নিতে হবে। তারপর গ্রিলে দিয়ে মাঝারি আঁচে ১৫ মিনিট রাখুন। মাঝে মধ্যে ঘুরিয়ে তেল দিতে হবে। বাদামি রং হওয়ার পর নামিয়ে আনলেই হলো। এবার পরিবেশন করুন গরম রুটি বা পরোটার সঙ্গে।

ছবি ও রেসিপি –   সামিয়া’স হোম কিচেন 

 

“অন্যরা কী ভাবছে” এই দুশ্চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসার ৭ কৌশল

$
0
0

চারপাশের মানুষজন আপনাকে নিয়ে কী ভাবছে! অন্যজনের ধ্যান ধারণা আপনাকে নিয়ে কেমন? ভালো কি মন্দ? আশেপাশের মানুষ আপনাকে নিয়ে কী চিন্তা করে সেটা নিয়ে ভাবা মানব জাতির বৈশিষ্ট্য।

যখন একজন মানুষ সম্পর্কে আরেকজন ভালো মন্তব্য করেন তখন মস্তিস্কের রিওয়ার্ড সেন্টার কাজ করার ফলে এক ধরনের হরমোন নিঃসরণ হয় যা আমাদের ভালো অনুভব করায়। আর এই অনুভবই পরবর্তীতে আমাদের আচার আচরণে প্রভাব ফেলে। তবে এটা তখনই সমস্যার সৃষ্টি করে যখন আমরা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগি। কী পরলে, কীভাবে কথা বললে, কোন ক্যারিয়ার বেছে নিলে লোকজন আমার সম্পর্কে ভালো বলবে এবং প্রশংসা করবে। আর এই ভালো লাগার পেছনে ছুটতে গিয়েই আমরা নিজেদের অস্থির করে তুলি।

দুঃখজনক হলেও সত্যি এই স্বভাব থেকে বেরিয়ে আসা অসম্ভব! কিন্তু আপনি চাইলে কিছু ট্রিক্স অ্যাপ্লাই করে মানুষ আপনার সম্পর্কে কী ভাবছে এই দুশ্চিন্তাকে নিয়ন্ত্রণে  নিয়ে আসতে পারবেন।

(১) স্পট লাইট জোন থেকে বেরিয়ে আসুন

চারপাশে বড় বড় চোখ আপনার আপাদ-মস্তক ঘুরে ঘুরে দেখছে! কানাঘুষা করছে মেয়েটি কেমন ড্রেস পড়েছে? মেয়েটির চলন বলন কেমন? মেয়েটি একদম কাজ পারে না! আরও অনেক কিছু।এসব নিয়ে চিন্তা করতে করতে অনেক সময় আমরা সাবলীল থাকতেও ভুলে যাই। জড়তা চলে আসে। খুব বেশী ভাবতে ভাবতে নিজেই নিজেকে দুশ্চিন্তায় ফেলে দেই।  ব্যাপারটি আসলে এমনটা নাও হতে পারে।

এসবই হয় কারণ আমরা নিজেকে অনেক বেশি প্রাধান্য দেই এবং মনে করতে থাকি সকল ইন্টারেস্টের কেন্দ্রবিন্দু আমি নিজেই। কিন্তু আসলে তা নয়। যারা আপনাকে দেখছে তাদের মাথায় আসলে কী খেলা করছে পজেটিভ/নেগেটিভ তা আপনার পক্ষে  রিড করা সম্ভব নয়। এই আমার আমি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কাজেই আমাকে নিয়ে লোকজন কী ভাবছে এমন দুশ্চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলে নিজেকে বোঝাতে হবে যে, অন্যরা আসলে আপনাকে নিয়ে ততটা ভাবছে না বা আগ্রহী নয়।

(২) নিজেকে ব্যালেন্সে নিয়ে আসুন

অনেক সময় নিজের রেপুটেশন নিয়ে চিন্তা করতে গিয়েই অন্যদের চিন্তা ভাবনাকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে ফেলি। এটা করা যাবে না। “বেশী” টাকে কমিয়ে মোডারেট অবস্থায় আনতে হবে। না হলে আবার সেই স্পট লাইট জোনে ফেলে দেয়া হবে নিজেকে। পুরো ব্যাপারটি আসলে নিজেকে ব্যালেন্সে নিয়ে আসা। অন্যরা কী ভাবলো তা নিয়ে খুব বেশী মাথা ঘামানো যাবে না!

 (৩) চিন্তা ভাবনায় পরিবর্তন আনুন

যদি আপনি হঠাৎ করে পড়ে যান এবং আসেপাশের লোকজন হেসে উঠে। ভাবুন আপনি আসলে কতজনের হাসির কারণ হতে পেরেছেন। দেখবেন পড়ে গিয়ে নিজেকে স্টুপিড ভেবে যতটুকু খারাপ লাগবে চিন্তায় পরিবর্তন আনার ফলে ব্যাপারটি আপনাকে আর হীনমন্যতায় ভুগাবে না। কারণ এমন অ্যাকসিডেন্ট যে কারোই যখন তখন হতে পারে। কে, কী ভাবলো তা না ভেবে একটু অন্যরকম করে ভেবেই দেখুন না!

কাজেই অন্য কারো আচার আচরন আপনাকে ভাবাতে বাধ্য করায় না বরং আপনি কীভাবে ব্যাপারটিকে ইন্টারপ্রেট করছেন তার উপর নির্ভর করে।

(৪) নিজের ধ্যান ধারণাকে নিয়ন্ত্রণ করুন

যা আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করা বন্ধ করুন। দৃঢ় মনোবলের একজন  সেসব ব্যাপারে ফোকাস করেন না যা তার পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। যেমন মানুষের চিন্তা ভাবনা। নিজের ধ্যান ধারণায় মনোযোগ দিন এবং নিয়ন্ত্রণ করুন।  অন্যজনের ধ্যান-ধারণা আপনার পক্ষে পরিবর্তন করা সম্ভব না কাজেই এসব ব্যাপার থেকে নিজেকে আলাদা করে দেখুন প্রফুল্ল এবং আনন্দেই থাকবেন।

(৫) অপরজনের পরিস্থিতি বিবেচনা করুন

নিজেকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে অন্যের সমস্যার কথা বেমালুম ভুলে যাই। এমন কাউকে তার সমস্যা থেকে উঠে আসতে মানসিক বা যে কোনরকম সাহায্যে এগিয়ে আসুন। দেখবেন সব ধরনের স্ট্রেস বাতাসে মিলিয়ে গেছে।

(৬) সবাইকে খুশি করার গুরু দায়িত্ব আপনার একার না

খুব পরিচিত একটি কথা। সবাইকে খুশি করা আপনার একার পক্ষে সম্ভব না। আপনার কোনও না কোনও কর্মকাণ্ডে কেউ খুশি হলে কেউ বেজার হবেই। একজনের কাছে যা ভালো লাগবে তা আরেকজনের কাছে খারাপ লাগতেই পারে। কারণ আমরা প্রত্যেকে ভিন্ন সত্ত্বা। কাজেই সবাইকে খুশি করা একজনের পক্ষে সম্ভব নয়।এটা করার চেষ্টাই আপনাকে সবথেকে বেশী স্ট্রেসের মধ্যে ফেলে দিবে।

(৭) ভিন্ন ভিন্ন মতামতের মানুষের সাথে মিশুন

ওই যে একটু আগেই বললাম  আমরা সবাই ভিন্ন সত্ত্বা প্রত্যেকরই রয়েছে ভিন্ন বৈশিষ্ট্য।কোন একটি ঘটনাকে একেকজন একেক রকমভাবে দেখে এবং সেভাবেই সংজ্ঞায়িত করে। কাজেই মানুষের সাথে যত বেশী মিশবেন কথা বলবেন ততই জীবনে দেখার ভঙ্গী পালটাবে। তবে এখানে আপনাকে একটু কৌশলী হতে হবে যাদের চিন্তা ভাবনা পজেটিভ এমন লোকদের সাথে মিশা উচিত।

ছবি – মাইউইশহাব.কম

 লিখেছেন – নিলা

দারুণ ইয়াম্মি চটপটি!

$
0
0

চটপটি খেতে কার না ভালো লাগে ? কিন্তু ইয়াম্মি চটপটি খেতে সবসময়ই কি বাইরে যাওয়া যায়। রাস্তার পাশের  চটপটির ভ্যান থেকে খাওয়ার মজা অন্যরকম হলেও স্বাস্থ্যের জন্য যে তা ভালো না জানি সবাই। কিন্তু জিভকে সামাল দেয়া যে দুষ্কর!

তবে এই মজার খাবারটির রেসিপি জানা থাকলে কিন্তু মন্দ হয় না! চটপটি খাওয়ার ক্রেভিং হলে চট করে যেন নিজেই বানিয়ে খেতে পারেন তার জন্যই আজকে সবচেয়ে সহজ এবং ইয়াম্মি চটপটির রেসিপি দেয়া হল। তাহলে বানিয়ে ফেলুন দারুণ ইয়াম্মি চটপটি।

উপকরণ:

চটপটির ডাল রান্নার জন্য-

  • ডাবলি বুট ২ কাপ
  • আলু মাঝারি সাইজের ২-৩ টা
  • পেয়াজকুঁচি আধা কাপ
  • মরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ
  • জিরা গুঁড়া ২ চা চামচ
  • ধনিয়া গুঁড়া দেড় চা চামচ
  • বেকিং সোডা ১ চা চামচ
  • লবন স্বাদমতো
  • সয়াবিন তেল ২ টেবিল চামচ

তেতুলের টক তৈরির জন্য -

  • পাকা তেতুল আধা কাপ
  • শুকনা মরিচ ২ টা
  • ভাজা জিরা গুঁড়া আধা চা চামচ
  • বিট লবন ১ চা চামচ
  • লবন সামান্য
  • চিনি সামান্য
  • সরিষার তেল ২ চা চামচ
  • পানি প্রয়োজন মত

পরিবেশনের জন্য-

  • সিদ্ধ ডিমের ঝুরি ১ কাপ
  • শসা কুঁচি ১ কাপ
  • ধনিয়া পাতা কুঁচি ১ কাপ
  • কাঁচা মরিচ কুঁচি আধা কাপ
  • পেঁয়াজ কুঁচি আধা কাপ
  • নিমকপারা (নিমকি) পছন্দ মত

প্রণালী

( ১ ) প্রথমে ডাবলি বুট একটি বড় বাটিতে নিয়ে বেশি করে পানি দিয়ে ৫-৬ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। ডিম ও আলু ভালোভাবে সিদ্ধ করে আলু ছিলে হাত দিয়ে ভেঙ্গে ছোট ছোট দানা করে রেখে দিতে হবে । আলু শুধু ভেঙ্গে দিবেন, পেষ্ট করবেন না ।

( ২ ) ডাবলি বুট ভেজানো হলে ভালোভাবে ধুয়ে একটি বড় পাত্রে নিয়ে এর সাথে পেঁয়াজ কুচি, মরিচ গুঁড়া, জিরা, ধনিয়া, বেকিং সোডা, লবন, তেল ও প্রয়োজনমতো পানি দিয়ে সিদ্ধ করতে হবে । চাইলে প্রেসার কুকারে সিদ্ধ করে নিতে পারেন, তাড়াতাড়ি হবে ।

( ৩ ) ডাল সিদ্ধ হলে তারপর হলুদ দিতে হবে, আর সিদ্ধ করে ভেঙ্গে রাখা আলুগুলোও এখন দিয়ে নেড়ে দিন। ডালের পানি পছন্দমত ঘন হয়ে এলে লবন দেখে (লাগলে দিয়ে) নামিয়ে ফেলুন । চটপটির জন্য ডাল রেডি, এবার তেতুলের টক তৈরির পালা ।

( ৪ ) এখন তেতুলগুলো ১ কাপ পানিতে ভিজিয়ে রেখে হাত দিয়ে কচলে তেতুলের ক্বাথ বের করে নিতে হবে । তেতুলগুলো নরম হয়ে পানিতে মিশে গেলে তেতুলের বীচি ও আঁশ বেছে ফেলে ছেঁকে নিতে হবে । এবার টক তৈরির জন্য তেতুলের ক্বাথ রেডি ।

( ৫ ) এবার একটি পাত্রে তেল গরম করে শুকনা মরিচ ছিড়ে কুঁচি করে তেলে দিয়ে ভাজতে হবে । মরিচ পুড়িয়ে ফেলবেন না, ভাজা হলে জিরা গুড়া দিয়ে তেতুলের ক্বাথ দিয়ে নাড়তে থাকুন ।

( ৬ ) এরপর এতে বিট লবন, লবন ও চিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন । চটপটির জন্য যে তেতুলের টক বানানো হয় তা একটু ঘন হয় আর ফুচকারটা একটু পাতলা হয় । আপনি আপনার প্রয়োজন মত পানি মিশিয়ে পাতলা বা ঘন তেতুলের টক তৈরি করতে পারেন । টেষ্ট করে দেখুন , লবন বা চিনি লাগলে দিন । ২-৩ মিনিট পরেই নামিয়ে ফেলুন, সহজেই তৈরি হয়ে গেল তেতুলের টক । এবার আপনি চটপটি পরিবেশনের জন্য রেডি।

পরিবেশন
একটি পরিবেশন পাত্রে প্রথমে ডালের মিশ্রণ নিয়ে তার উপর ধনিয়া পাতা কুঁচি, কাঁচা মরিচ কুঁচি, পেঁয়াজ কুঁচি, শসা কুঁচি, সিদ্ধ ডিমের ঝুরি এবং সবশেষে ফুচকার ঠোসা বা নিমকপারা ভেঙ্গে দিয়ে তেতুলের টকের সাথে পরিবেশন করুন দারুণ মজার চটপটি ।

সংরক্ষন
চটপটির ডাল রান্না করে বক্সে ভরে ডীপ ফ্রিজে রেখে দেয়া যায়, পরে প্রয়োজনে বের করে শুধু গরম করে বাকি উপকরণ দিয়ে পরিবেশন করা যায় । তবে টাটকা বানিয়ে খেতে বেশি মজা ।

ছবি ও রেসিপি - আফরুজা শিল্পী

সান ট্যান দূরীকরণে ঘরোয়া মাস্ক

$
0
0

রোদে পুড়ে ত্বকের বিশ্রী অবস্থা!  কিছুতেই এই রোদে পোড়া দাগ থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। ছাতা, সানস্ক্রিন ব্যবহার করার পরেও ত্বকে কালো কালো ছোপ দাগের উপদ্রব। আসলে রোদের তিব্রতা থেকে ত্বককে রক্ষা করা দুঃসাধ্য। তবে ঘরোয়া কিছু উপানের সাহায্যে আপনি এই সান ট্যান থেকে রেহাই পেতে পারেন।

কী কী উপকরণে আর কীভাবে দূর  করবেন এই জেদি সান ট্যান তাই দেখানোর চেষ্টা করেছেন  আমাদের সবার প্রিয় মেকাপ আর্টিস্ট লিন্ডা। চলুন দেখে নিই, সান ট্যান দূরীকরণে ঘরোয়া উপায় স্কিন কেয়ার টিউটোরিয়ালটি।

ছবি এবং টিউটোরিয়াল –   মেকাপ ম্যানিয়াক বাই লিন্ডা

কোঁকড়া চুলের বিশেষ যত্ন

$
0
0

কোঁকড়া চুল দেখতে সুন্দর কিন্তু সব সময় খুব বেশী ঝামেলাপূর্ণ। আর এই উদ্ধত চুল যাদের তারা অনেক সময় এটাকে সামলে রাখতে অনেক বেশী যন্ত্রণা ভোগ করে। তাই কোঁকড়া চুলের যত্নে কিছু বিশেষ টিপস আর ট্রিক্স আপনার জানা থাকলে এই চুল নিয়ে বেশী ঝামেলায় পড়তে হবে না। তো আসুন জেনে নিই, কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি যার মাধ্যমে আমরা আমাদের কোঁকড়া চুলের ভালো যত্ন নিতে পারব।

(১) চুল ময়েশ্চারাইজ করুন

আপনি জানেন কি কোঁকড়া চুলের বেশী ময়েশ্চারাইজর লাগে! কোঁকড়া চুল সাধারনত একটু দুর্বল ও শুষ্ক হয়। তাই এদের ময়েশ্চারাইজও বেশী লাগে। এরা একটু ভঙ্গুর প্রকৃতির। তাই কোঁকড়া চুলের প্রতিদিন ময়েশ্চারাইজিং করা জরুরী। তাই কোঁকড়া চুলের যত্নে সবার প্রথমে তেল ব্যবহার করতে হবে। কোঁকড়া চুল শক্ত করতে অল্প গরম তেলের ম্যাসাজ খুব ভালো। নিয়মিত ম্যাসাজ করবেন তেল দিয়ে আপনার চুলের গোঁড়ায় গোড়ায় কারণ কোঁকড়া চুলের ত্বক প্রাকৃতিক উপায়ে মাথার ত্বক থেকে খুব বেশী তেল পায় না।

কোঁকড়া চুলের জন্য শ্যাম্পু কেনার সময় অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার সমৃদ্ধ শ্যাম্পু কিনবেন। আর এটা মনে রাখবেন শ্যাম্পুটি যেন স্বাভাবিক বা শুষ্ক চুলের শ্যাম্পু হয়। এই শ্যাম্পুগুলো আপনার কোঁকড়া শুষ্ক চুলকে ভালোভাবে ময়েশ্চারাইজ করবে। ময়েশ্চারাইজিং শ্যাম্পু আপনার মাথার ত্বককেও হাইড্রেড করবে। তাই শ্যাম্পু পছন্দের ক্ষেত্রে সাবধান থাকবেন যদি আপনার চুল কোঁকড়া হয়। কোঁকড়া চুল একসাথে  দুই বার শ্যাম্পু করবেন না যদি দরকার না নয়। একবার শ্যাম্পু করার পর খেয়াল করুন আপনার চুলে আবার শ্যাম্পু করার দরকার আছে কিনা । যদি না লাগে তবে একবার শ্যাম্পু করার যথেষ্ট । আর চুল পরিষ্কার রাখা চুল সুন্দর করার অন্যতম উপায়।

(২) ডিপ কন্ডিশনিং করুন চুল

আপনার কোঁকড়া চুলে নিয়মিত কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।আপনি যদি খুব ব্যস্ত হন তাহলে সময় বাচাঁনোর জন্য শ্যাম্পুর সাথে কন্ডিশনার মিশিয়ে একসাথে ব্যবহার করুন। ডিপ কন্ডিশনার জন্য সালফেট ফ্রি (মাইল্ড) শ্যাম্পু এর সাথে বেশী পরিমাণ কন্ডিশনার মিশিয়ে আস্তে আস্তে মাথার চুল পরিষ্কার করুন। এতে চুল ধোয়ার সময়ই চুল ময়েশ্চারাইজ হবে। এই শ্যাম্পু আর কন্ডিশনারের মিক্স দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এভাবে পরিষ্কার করলে আপনার মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ঠিক থাকবে যার ফলে চুল শুষ্ক  হয়ে উঠবে না ।  এটা আপনার কোঁকড়া চুল নরম আর ময়েশ্চারাইজ রাখার একটি ভালো উপায়।এটি আপনার চুল নরম আর চুলের স্বাস্থ্য সুন্দর রাখবে।

(৩) কোঁকড়া চুলের জট খুলুন

কোঁকড়া চুলের সবচেয়ে বড় শত্রু হল এর জট। এর জট আপনি শুকনা অবস্থায় ছাড়ানোর চেষ্টা করবেন না এতে চুল ভেঙ্গে যেতে পারে । চুলের জট ছাড়ানোর জন্য স্প্রে ব্যবহার  করুন। আর চুল অল্প ভিজা থাকতে আঁচড়ে নিবেন। আর  কোঁকড়া চুলের জন্য বড় দাঁতের চুরুনি ব্যবহার করবেন যাতে চুলে খুব প্রেসার করতে না হয় চুল আঁচড়ানোর জন্য।

(৪) যেভাবে চুল শুকাবেন

কোঁকড়া চুল শুকানোর জন্য টাওয়েল খুব মোলায়েমভাবে ব্যবহার করবেন। খুব  ঘষে ঘষে চুল শুকানোর চেষ্টা করলে চুল ভেঙ্গে যেতে পারে। কোঁকড়া চুল ভেঙ্গে যাওয়া দেখতে যেমন খারাপ তেমনি এটা আপনার চুলে আরও বেশী জট তৈরি করবে। তাই আস্তে আস্তে চুল মুছবেন এবং চুল টাওয়েল দিয়ে পেঁচিয়ে রেখে চুল শুকাবেন।

(৫) হিট ট্রিটমেন্ট থেকে বিরত থাকুন

কোঁকড়া চুলে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার না করা ভালো কারণ এটি ব্যবহারে আপনার চুল আরও শুষ্ক হয়ে যায়। ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকালে বা চুল সোজা করার যন্ত্র ব্যবহারে কোঁকড়া চুলের স্বাভাবিক কোঁকড়া ভাবটি নষ্ট হয় । যদি আপনার হাতে চুল শুকানোর মতো সময় না থাকে তাহলে ড্রায়ার ব্যবহার করার সময় এর সাথে ডিফিউজার ব্যবহার করবেন।

যেসব চুল স্টাইল করার পণ্যে অ্যালকোহল থাকে সেগুলো ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন কারণ এগুলো চুল শুষ্ক করে তোলে। তাই জেল বা পানীয় টাইপের হেয়ার স্টাইল পণ্য ব্যবহার করুন কোঁকড়া চুল স্টাইল করার জন্য।

টিপস

  • যাদের চুল কোঁকড়া তারা অনেক বেশী পানি পান করেবন যাতে চুল হঠইড্রেড থাকে।
  • গরম পানি দিয়ে চুল ধোবেন না। আপনি অল্প কুসুম কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন যদি শীতকাল হয়।
  • ভেষজ তেল ব্যবহার করুন যেমন নারকেল তেল, সরিশার তেল বা জলপাই তেল।
  • কোঁকড়া চুলে চুল রঙ করার পণ্য কম ব্যবহার করেবন। যদি করেন তাহলে অবশ্যই ময়েসচারাইজ ও কন্ডিশনিং আছে এমন পণ্য ব্যবহার করেবন।
  •  ভিজা চুলে ব্রাশ করবেন না। জট ছাড়াতে আঙ্গুল ব্যবহার করুন।
  • চুল কাটার সময় চুল শুকনা রাখবেন। কারণ ভিজা অবস্থায় কাটলে দেখবেন চুল শুকিয়ে যাবার পর স্টাইল আলাদা হয়ে গেছে।
  • যাদের কোঁকড়া চুল তারা বালিশের কভার সিল্কের ব্যবহার করবেন এতে চুলে কম জট লাগবে যখন আপনি ঘুমাবেন।

ছবি – স্টাইলক্রেজ.কম

লিখেছেন –  রোকসানা আকতার

চিকেন সেমাই চাপ

$
0
0

চিকেন চাপ শুনেছেন কিন্তু চিকেন সেমাই চাপ এই প্রথম দেখলেন? অবাক না হয়ে ঝটপট রেসিপি দেখে তৈরি করে ফেলুন চিকেন সেমাই চাপ। উপরটা কুড়মুড়ে সেমাইয়ের উপস্থিতি আর ভেতরে চিকেনের সফটনেস আপনাকে মুগ্ধ করতে বাধ্য!

উপকরণ

  • পেঁয়াজ বাটা – ১ চা চামচ
  • চিকেন কিমা – ১ কাপ
  • আদা বাটা – ১ চা চামচ
  • রসুন বাটা – আধা চা চামচ
  • কাঁচা মরিচ বাটা – আধা চা চামচ
  • মরিচ গুঁড়া  আধা চা চামচ
  • গরম মসলা গুঁড়া  আধা চা চামচ
  • গোলমরিচ গুঁড়া – আধা চা চামচ
  • লেবুর রস  ১ টেবিল চামচ
  • চিনি – আধা চা চামচ
  • সয়াসস – আধা চা চামচ
  • কাবাব মসলা – আধা চা চামচ
  • সেমাই ঝুরি – ১ প্যাকেট
  • ডিম – ২টা
  • ধনেপাতা কুঁচি - ১ টেবিল চামচ
  • কর্নফ্লাওয়ার – ১ টেবিল চামচ
  • বেসন – ১ টেবিল চামচ
  • তেল – পরিমানমত
  • চিলি সস – আধা চা চামচ
  • লবন – স্বাদমত

প্রণালী

প্রথমে মুরগির কিমাতে পেঁয়াজ বাটা , আদা বাটা , রসুন বাটা, কাঁচা মরিচ বাটা, শুকনা মরিচ গুঁড়া ,গরম মসলা গুঁড়া, গল মরিচ গুঁড়া, লেবুর রস, লবন মিশিয়ে নিন। সয়াসস , কাবাব মসলা , কর্নফ্লাওয়ার, চিলি সস, ধনেপাতা কুঁচি ও ডিম ভালো করে মাখিয়ে নিন। এবার মাখানো কাবাব হাতে গোল আকৃতির করে বানিয়ে ফেটানো ডিমে ভালো করে চুবিয়ে চিকন সেমাইয়ে গড়িয়ে নিন । সেমাইতে গড়ানো শেষ হলে কড়াইর গরম তেলে ভালো করে ভেজে নিন। ব্যস তৈরি হয়ে গেল কুড়মুড়ে মজাদার চিকেন সেমাই চাপ।

ছবি এবং রেসিপি - আফরোজা নাজনীন শুমী

স্মোকি আইয়ের সাথে মানাবে যে লিপ কালারগুলো

$
0
0

স্মোকি আই মেকাপ প্রায়ই সবাইকেই মানিয়ে যায়। কিন্তু গোলযোগ বাধে লিপ কালার নির্বাচনে। একটু ভুল হলেই মেকাপ লুকটি বাজে লাগতে পারে। আমরা যারা মেকাপ করেন তারা জানেন যে স্মোকি আইয়ের সাথে শকিং কালারের বদলে খুব হালকা ন্যুড কালারগুলো দারুন মানিয়ে যায়। তাই আজ এই স্মোকি আই মেকাপের সাথে যায় এমন ৫টি লিপ কালারের সোয়াচ দেখানো হবে।

আজকের এই সোয়াচে মূলত জনপ্রিয় মেকাপ ব্র্যান্ড Maybelline এবং L’oreal’র লিপস্টিকের এমন কিছু কালারের সোয়াচ দেয়া হল যেগুলো ঠোঁটে ক্রিমি ফিল দিবে। এবং চাইলে এই উপর অন্য কালার বুলিয়ে নিতে পারেন(সেটা লিপস্টিক/ লিপ গ্লস হতে পারে )। এই সোয়াচ থেকে পছন্দের রং নির্বাচন এবং পছন্দের প্রোডাক্ট কিনতে প্রতিটি প্রোডাক্টের নিচে BUY HERE দেয়া লিঙ্কে ক্লিক করুন।

1. MAYBELLINE PINKALICIOUS

pinklicious

PRICE – BDT 950 .00

BUY HERE

2. MAYBELLINE CORAL BRUST

Coral-Burst

PRICE – BDT 950 .00

BUY HERE

3. MAYBELLINE PEACH & POPPY

IMG_0402

PRICE – BDT 950 .00

BUY HERE

4. L’OREAL TROPICAL CORAL

TROPICAL-CORAL-1

PRICE – BDT 1250 .00

BUY HERE

5. L’OREAL FAIREST NUDE

fairest-nude

PRICE – BDT 1250 .00

BUY HERE

ছবি – স্টাইলউইক্লি.কম, ইএন.পেপারব্লগ.কম, মেকাপবাইবার্জ.কম


রুই মাছ দিয়ে আলুর ঘাটি

$
0
0

এক এক অঞ্চলের রান্নার স্বাদ ও ধরন একেক রকম। আর এই ভিন্নতাই আমাদের তৃপ্তি দেয়। এই তৃপ্তি আরেকটু বাড়িয়ে বা ঝালিয়ে দিতেই আজকের রেসিপি আয়োজনে রইল বগুড়ার একটি খুব সাধারণ কিন্তু স্বাদে অনন্য রুই মাছ দিয়ে আলুর ঘাটি। বগুড়ার দইয়ের আলাদা সুনাম থাকলেও এই অঞ্চলের অন্যান্য রান্নাও কিন্তু বেশ। চলুন দেখে নিই, রুই মাছ দিয়ে আলুর ঘাটি তৈরির পুরো প্রণালী।

উপকরণ 

মাছের জন্য যা যা লাগবে

  •  রুই মাছ ৪ টুকরা
  •  পেঁয়াজ কুঁচি ১ টেবিল চামচ
  •  পেঁয়াজ বাটা ১ চা-চামচ
  •  আদা বাটা আধা চা-চামচ
  •  জিরা বাটা ১ চা-চামচ
  •  মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ
  •  হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ
  •  লবন স্বাদমতো ও তেল পরিমাণমতো

মাছ রান্নার প্রণালী

গরম তেলে পেঁয়াজ কুঁচি ভেজে তাতে বাটা পেঁয়াজ দিয়ে নেড়ে বাকি সব মসলা দিয়ে একটু পানি দিয়ে কষিয়ে নিন। মাছগুলো দিয়ে আরও একটু কষিয়ে নিন। কষানো হলে পরিমাণমতো পানি দিয়ে ঢেকে দিন। ঝোল মাখা মাখা হলে নামিয়ে রাখুন পরবর্তীতে ধাপের জন্য।

আলুর ঘাটির জন্য যা যা লাগবে

  • সেদ্ধ আলু আধা কাপ করা ২ কাপ
  • পেঁয়াজ ২ টেবিল চামচ
  • পেঁয়াজ বাটা ১ চা-চামচ
  • আদা বাটা ২ চা-চামচ
  • রসুন বাটা আধা চা-চামচ
  • মরিচ গুঁড়া ২ বা দেড় চা-চামচ
  • হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ
  • আস্ত গরমমসলা পরিমাণমতো
  • পাঁচফোড়ন আধা চা-চামচ
  • জিরা বাটা ২ চা-চামচ
  • লবন স্বাদমতো
  • তেল পরিমাণমতো
  • ধনেপাতা কুঁচি পরিমাণমতো
  • কাঁচা মরিচ ফালি ১ টেবিল চামচ ও টমেটো ফালি ২টা

আলু ঘাটি তৈরির প্রণালী

গরম তেলে পাঁচফোড়ন দিয়ে তাতে পেঁয়াজ কুঁচি ও আস্ত গরম মসলা দিয়ে ভেজে সব বাটা ও গুঁড়া মসলা একটু পানি দিয়ে কষিয়ে তাতে আধা ভাঙা সেদ্ধ আলু দিয়ে নেড়ে অল্প অল্প পানি দিয়ে খুব ভালোভাবে আলুটা কষিয়ে নিন। তারপর বেশ খানিকটা পানি দিয়ে ঢেকে দিন। মাঝে মাঝে নেড়ে দিন। তারপর এতে আগে থেকে রান্না করা রুই মাছ ও টমেটো দিয়ে নেড়ে মাছগুলো আধা ভাঙা করে দিন। ধনেপাতা ও কাঁচা মরিচ ছড়িয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

 রেসিপি - আফরোজা নাজনীন শুমী

১০ উপায়ে খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ করুন দীর্ঘদিন

$
0
0

খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ নিয়ে গৃহিণীদের প্রায়ই বিপাকে পড়তে হয়। বিশেষ করে শুকনো খাবার বা খাদ্য সামগ্রী নিয়ে চিন্তা বেশি হয়। তবে শুকনো খাদ্য সামগ্রী সংরক্ষণের কিছু উপায় জেনে নিলে সংরক্ষণ করতে সুবিধা হয় এবং চিন্তামুক্ত থাকা যায়।তাহলে জেনে নেয়া যাক উপায়গুলো।

 

(১) সুজি ভেজে বৈয়ামে রেখে দিন,অনেক দিন ব্যবহার করতে পারবেন।

(২) টক জাতীয় ফল দীর্ঘ দিন টাটকা রাখতে চাইলে ফ্রীজে নয়,সাধারন তাপমাএায় রাখুন।

(৩) ডালের টিন বা পাএে শুকনো নিমপাতা দিয়ে রাখুন ডাল ঝরঝরে থাকবে। এছাড়া সপ্তাহে দু’দিন রোদে দেবেন।

(৪) আদা সংরক্ষণ করতে চাইলে বালি ভর্তি পাএের মধ্যে ডুবিয়ে রেখে দিন। দেখবেন ৩/৪ মাস আদা টাটকা থাকবে।

Grow-a-Ginger-Plant-Step-1(৫) আদা কুঁচি  করে কেটে তাতে লবণ ও মরিচগুড়ো মিশিয়ে রোদে শুকিয়ে বৈয়ামে রেখে দিন।এটি পেটের জন্য খুব উপকারি।

(৬) চালের ড্রাম বা পাএে রসুনের কোয়া ছড়িয়ে রাখুন। এতে চালে পোকা ধরবে না।

(৭) পান তাজা রাখতে,পানের উপর সরিষা ছিটিয়ে রেখে দিন।

(৮) লবন ঝরঝরে রাখতে লবনের উপর কিছু চাল ছড়িয়ে দিন।

(৯) তেল, ঘি ইত্যাদি সংরক্ষণের জন্য যথা সম্ভব ঠান্ডা ও শুকনো স্থানে রাখুন।

(১০) পনির পরিষ্কার মসলিন কাপড়ে অল্প ভিনেগার ছিটিয়ে রেখে দিন। অনেক দিন ফ্রেশ থাকবে।

 ছবি – মাইঅরগানিক.ব্লগ স্পট.কম, ইএন.পিপল.সিএন

লিখেছেন – মুমতাহিনা তাবাসসুম

ভেজিটেবল বিফ স্যুপ

$
0
0

বাড়িতে মুরগির মাংস নেই, আছে গরুর মাংস কিন্তু খুব স্যুপ তৈরি করে খেতে ইচ্ছে করছে! তাহলে ঝটপট তৈরি করে ফেলুন  ভেজিটেবল বিফ স্যুপ। গরুর মাংস থাকা সত্ত্বেও তৈরি করে দেখুন, বেশ মজাদার হবার সাথে সাথে এতে থাকা সবজি আপনাকে সারা দিন হালকা অনুভব দিবে।

উপকরণ

  • ৪০০ গ্রাম বিফ কিমা
  • ১টি পেঁয়াজ কুঁচি
  • ৩টি আলু কিউব করা
  • ৩টি গাজর কিউব করা
  • ২ কাপ সিদ্ধ বরবটি
  • ২টি শশা কিউব করা
  • ২ কাপ টমেটো জুস
  • লবন স্বাদমতো
  • টমেটো সস ৩ চামচ
  • ১চা চামচ গোলমরিচ গুড়া
  • ১ কাপ বিফস্টক ২ কাপ পানি
  • তেল ২ টেবিল চামচ

প্রণালী 

একটি বড় পাত্রে তেল দিয়ে বিফ কিমা কিছুক্ষন কষিয়ে গোলমরিচ গুঁড়া, লবন, আলু, গাজর, পেঁয়াজ দিয়ে ১০/১৫ মিনিট রান্না করতে হবে কিমা বাদামী হওয়া পযর্ন্ত। এরপর বিফস্টক, টমেটো সস, টমেটো জুস, পানি, শশা, বরবটি, দিয়ে ২০ মিনিট রান্না করতে হবে মৃদু আঁচে। ব্যস, হয়ে তৈরি হয়ে গেল ভেজিটেবল বিফ স্যুপ। এবার গরম গরম পরিবেশন করুন।

ছবি ও রেসিপি - রান্না কথন

নিখুঁত বেজ মেকাপের পূর্ব শর্ত ‘ক্লিয়ার স্কিন’

$
0
0

মেকাপ করতে কে না পছন্দ করে? সেটা প্রতিদিনকার মেকাপ হোক, বা পার্টি মেকাপ। দারুণ একটি মেকাপ লুক আনতে প্রয়োজন নিখুঁত বেজ মেকাপের।কিন্তু মেকাপের বেজ করতে গিয়ে অনেকেই অনেক সমস্যার মুখোমুখি হন। কারো মুখে মেকাপ বসে না, কারো মেকাপ ভেসে থাকে, কারো মেকাপ ফেটে যায়। এই সমস্যাগুলো অনেকটাই এড়ানো যায়, যদি আমরা মেকাপের জন্য আমাদের স্কিনকে প্রস্তুত করে নিই।

এখন কথা হলো, কীভাবে মেকাপের জন্য স্কিনকে প্রস্তুত করবেন? এবং কোন কোন প্রোডাক্ট বেজ মেকাপের জন্য ইউজ করা হয়? মোট কথা, ফ্ললেস মেকাপ লুকের জন্য যেসব স্টেপ আপনাকে ফলো করতে হবে তা নিয়ে আজকের লেখনি।

তাহলে একেবারে প্রথম ধাপ থেকেই শুরু করা যায়। এই ধাপে আমরা স্কিনকে মেকাপের জন্য প্রস্তুত করে নিবো।  

(১) ক্লিঞ্জিং

মেকাপ শুরুর আগে অবশ্যই মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। এজন্য আপনি আপনার ক্লিঞ্জারের সাহায্যে মুখ পরিষ্কার করে নিতে পারেন। স্কিন টাইপ অনু্যায়ী ক্লিঞ্জার নির্বাচন করতে হবে। অয়েলি স্কিন হলে এমন ক্লিঞ্জার ব্যবহার করতে হবে যেটা ভালোভাবে ফেস এর অয়েল দূর করে। ড্রাই/ নরমাল স্কিন হলে ময়েশ্চারাইজিং ক্লিঞ্জার ব্যবহার করবেন। কিছু ক্লিঞ্জারের  নাম – বডি শপ ভিটামিন ই ক্রিম ক্লিনজার, সিউইড পিউরিফাইং ফেসিয়াল ক্লিঞ্জার,  ক্লিন এন্ড ক্লিয়ার ক্লিঞ্জিং লোশন

(২) স্ক্রাবিং  

স্কিনকে প্রস্তুত করার জন্য এই স্টেপ টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ।  স্ক্রাবিং এর মাধ্যমে ফেস এর ডেড স্কিন সেল, ব্লাকহেডস দূর করা যায়। যার ফলে ফেস অনেক বেশী মসৃন লাগে, আর মেকাপ ও ভালো বসে, ভেসে থাকে না। বাজারে অনেক ধরনের স্ক্রাবার পাওয়া যায়। কিছু স্ক্রাবের নাম -সেন্টইভস অ্যাপ্রিকট স্ক্রাব, নিউট্রোজিনা ভিজিব্লি ক্লিয়ার পিঙ্ক ডেইলি  স্ক্রাব। এছাড়া ঘরেই স্ক্রাব তৈরী করে নিতে পারেন।এজন্য চালের গুড়া, মধু, লেবুর রস মিশিয়ে নিন।চালের গুড়া একদম মিহি হওয়া যাবে না। এগুলো একসাথে মিশিয়ে চোখের এড়িয়া বাদে পুরো মুখে এন্টি-ক্লোকওয়াইজ ম্যাসাজ করুন ২-৩ মিনিট। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

(৩) মাস্ক

প্রতিদিনকার মেকাপের হ্মেত্রে ফেস মাস্ক আমার কাছে অতটা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় না। তবে কোনো পার্টি/ উৎবের মেকাপের আগে ফেস মাস্ক লাগিয়ে নেয়া আবশ্যক। বাজারে অনেক ধরনের ফেস মাস্ক পাওয়া যায়। এছাড়া নিজের স্কিনের ধরন অনুযায়ী ঘরেও বানিয়ে নিতে পারেন ফেস মাস্ক। যেকোনো ফেস মাস্ক মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলবেন।

(৪) টোনিং

স্কিনে ব্যালেন্স আনার জন্য এবং মুখে বড় পোর থাকলে তা ছোট করে আনার জন্য টোনার ব্যবহার করা হয়। কটন বলে কয়েক ফোটা টোনার নিয়ে পুরো মুখ মুছে নিবেন। এর পরে মুখ ধোয়ার প্রয়োজন নেই। সেক্ষেত্রে বডি শপ টি ট্রি টোনার, বুটস ফেসিয়াল টোনার, বডি শপ অ্যালো  কামিং টোনার ব্যবহার করতে পারেন। অথবা নিজেই ঘরে গোলাপজলের টোনার তৈরি করে নিতে পারেন।

(৫) ময়েশ্চারাইজিং

মেকআপ স্মুদলি ফেস এ বসানো এবং মেকাপ ফেটে যাওয়া রোধ করতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরী। স্কিন টাইপ অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম/ লোশন ব্যবহার করতে হবে। কিছু ময়েশ্চারাইজারের নাম – সেন্টইভস কোলাজেন ইলাস্টিন ময়েশ্চারাইজার, বডি শপ ভিটামিন ই ইন্টেন্স ময়েশ্চারাইজ ক্রিম, ল্যাক্টো ক্যালামাইন ময়েশ্চারাইজার, ক্লিনিক ড্রামাটিকাললি ডিফারেন্ট ময়েশ্চারাইজিং লোশন।

এখন আপনি পুরোপুরি প্রস্তুত মেকাপ করার জন্য। এই ধাপে বেজ মেকাপের প্রতিটি স্তর সংক্ষিপ্তভাবে বোঝানো হল।বেজ মেকাপের ১ম ধাপ থেকে শেষ পর্যন্ত কী কী প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে হয় তাই জানবেন।

(১) প্রাইমার

ময়েশ্চারাইজার লাগানোর ৫ মিনিট পর ফেস প্রাইমার লাগিয়ে নিতে হবে। প্রাইমার খুব অল্প পরিমানে নিয়ে ব্যবহার করতে হবে। কিছু প্রাইমারের নাম - রিমেল ফিক্স অ্যান্ড পারফেক্ট প্রাইমার, বেনিফিট পোর ফেশনাল প্রাইমার, ইএলএফ প্রাইমার।

(২) ফাউন্ডেশন

প্রাইমার লাগানোর ৫ মিনিট পর  ফাউন্ডেশন লাগাতে হবে। ভেজা স্পঞ্জ অথবা ব্রাশের সাহায্যে  ফেস এ ফাউন্ডেশন ব্লেন্ড করে নিতে হবে।  কিছু ফাউন্ডেশনের নাম – ম্যাক স্টুডিও ফিক্স ফাউন্ডেশন,  মেইবিলিন ফিট মি ফাউন্ডেশন,  রিমেল স্টে ম্যাট ফাউন্ডেশন।

(৩) কনসিলার

স্কিনে কালো দাগ থাকলে, ডার্ক সারকেল থাকলে কনসিলার ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া  ক্রিম হাইলাইটও করা যায় কনসিলার দিয়ে।এটিও ভেজা স্পঞ্জ/ ব্রাশের সাহায্যে ব্যবহার করতে হবে। কিছু কনসিলার নাম – এল.এ গার্ল কনসিলার, মেইবিলিন ফিট মি কনসিলার, ম্যাক প্রো লং ওয়্যার কনসিলার

(৪) ফেস পাউডার

ফেসের ফাউন্ডেশন, কনসিলার সেট করে নেয়ার জন্য ব্রাশ/ পাফের সাহায্যে ফেস পাউডার পুরো মুখে বুলিয়ে নিতে হবে।কিছু ফেস পাউডারের নাম – রিমেল স্টে ম্যাট পাউডার, ফ্লোরমার ওয়েট অ্যান্ড  ড্রাই ফেস পাউডার, ম্যাক স্টুডিও ফিক্স পাউডার প্লাস ফাউন্ডেশন

(৫) কন্টুরিং

ফেস স্লিম দেখাতে, ফেস এ শেডিং তৈরী করতে  কন্টুরিং এর বিকল্প নেই। ডার্ক ব্রাউন কন্টুরিং পাউডার দিয়ে চোয়ালের নিচে, নাকের দুই পাশে, হেয়ার লাইনে, থুতনিতে কন্টুরিং করে নিতে হবে। কিছু কন্টুরিং পাউডারের নাম –  বি এইচ কন্টর অ্যান্ড ব্লাশ প্যালেট, স্লিক কন্টর কিট, মেকাপ রেভ্যুলেশন আলট্রা কন্টর প্যালেট।

(৬) ব্লাশ

গালে সুন্দর আভা আনার জন্য  ব্লাশ ব্যবহার করতে হবে। ব্রাশের সাহায্যে গালের উপরে ব্লাশ ব্যবহার করতে হবে এবং সেটা কন্টুরিং এর সাথে ভালো ভাবে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। কিছু ব্লাশের নাম – মেকাপ রেভ্যুলেশন সুগার অ্যান্ড স্পাইস ব্লাশ প্যালেট, স্লিক ব্লাশ, মেকাপ একাডেমী ব্লাশ।

(৭) হাইলাইটার

ফেসে গ্লো আনার জন্য ব্রাশের সাহায্যে চিক বোনে, নাকের উপরে, কপালে, ব্রো বোনের উপরে হাইলাইটিং পাউডার ব্যবহার করতে হবে। কিছু হাইলাইটারের নাম – মেকাপ একাডেমী হাইলাইটার, মেকাপ রেভ্যুলেশন হাইলাইটার, ম্যাক সফট অ্যান্ড জেন্টল।

(৮) সেটিং স্প্রে  

মেকাপের পাউডারী ভাব দূর করার জন্য এবং মেকাপ লং লাস্টিং করার জন্য পুরো মুখে সেটিং স্প্রে ব্যবহার করতে হবে। কিছু সেটিং স্প্রে এর নাম – ম্যাক ফিক্স প্লাস, ইএলএফ স্টুডিও মেকাপ সেটিং স্প্রে,  মেকাপ রেভ্যুলেশন অয়েল কন্ট্রোল সেটিং স্প্রে।

এই তো হয়ে গেল বেস মেকাপ।আশা করি আপনাদের কিছুটা হলেও মেকাপের আগে ত্বককে কীভাবে প্রস্তুত করবেন এবং বেস মেকাপের প্রাথমিক ধারনা দিতে পেরেছি।

ছবি – ওয়ালপেপারবেষ্ট.কম

লিখেছেন – জান্নাতুল মৌ 

গরু/খাসির মগজ ভুনা

$
0
0

এক রেসিপিতে দুইয়ের মগজ ভুনা করতে পারবেন। খেতে ভীষন মজা গরু বা খাসির মগজ ভুনা। রেসিপিটি অনেক সহজ এবং খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন পড়ে না। কাজেই ঝটপট শিখে নিন, গরু বা খাসির মগজ ভুনা তৈরির পুরো প্রণালীটি।

উপকরণ

  •  গরু/খাসির মগজ ২ টা
  •  পেঁয়াজ কুঁচি আধা কাপ
  •  আদা বাটা ২ চা চামচ
  •  রসুন বাটা দেড় চা চামচ
  •  মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ
  •  জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ
  •  ধনিয়া গুঁড়া আধা চা চামচ
  •  হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ
  •  দারুচিনি ২/৩ টুকরা
  •  তেজপাতা ১ টা
  •  সাদা এলাচ ২ টা
  •  গোলমরিচ গুড়া সামান্য
  •  কাঁচা মরিচ ৩-৪ টা
  •  লবন স্বাদ মত
  •  তেল ২ টেবিল চামচ
  •  পানি প্রয়োজন মত

 প্রণালী

( ১ ) প্রথমে মগজগুলো পানিতে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে । মগজ থেকে ভালো করে লাল রঙের রগগুলো যতোটা সম্ভব ফেলে দিতে হবে ।

( ২ ) এবার একটি পাত্রে তেল গরম করে তার মধ্যে আস্ত গরম মসলা দিয়ে তারপর পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে ভাজুন । পেয়াজ হালকা বাদামি হয়ে এলে কাঁচা মরিচ বাদে সব মসলা দিয়ে একটু ভেজে আধা কাপ পানি দিয়ে কষাতে হবে ।

( ৩ ) এরপর ঝোল শুকিয়ে এলে আবার আধা কাপ পানি দিয়ে কষাতে হবে । এভাবে দুইবার কষানো হলে মসলাগুলোর কাঁচা ভাব চলে যাবে আর মসলাগুলো নরম হয়ে ঝোলের সাথে মিশে যাবে । ২য় বার কষানো হয়ে গেলে এবার ১ কাপ পানি দিতে হবে ।

( ৪ ) এখন ঝোলের পানি ফুটে উঠলে মগজ দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিতে হবে । মাঝে মাঝে ঢাকনা খুলে মগজ নেড়ে ঝোলের সাথে মিশিয়ে দিতে হবে । এভাবে নেড়ে দিয়েই মগজ ঝুরা ঝুরা করে ফেলা যায় । তবে ঝুরা না করতে চাইলে সাবধানে নেড়ে দিলে ভেঙ্গে যাবে না ।

( ৫ ) প্রয়োজনে আরও পানি দিতে পারেন । মগজ পছন্দমত সিদ্ধ হয়ে গেলে কাঁচা মরিচ দিয়ে কিছু সময় ঢেকে দিন । তেল উপরে উঠে এলে নামিয়ে ফেলুন ।

পরিবেশন:
পরোটা বা রুটির সাথে পরিবেশন করতে পারেন আর গরম ভাতের সাথে গরম গরম মগজ ভুনার কোন তুলনাই হয়না । মগজ টাটকা টাটকাই খেয়ে ফেলা ভালো, ফ্রিজে রাখবেন না । এই উপকরণে ৪-৫ জনকে পরিবেশন করা যাবে ।

ছবি – ফুডরেসিপিজথিসিক্সটি.কম

রেসিপি - আফরুজা শিল্পী

Viewing all 3052 articles
Browse latest View live