Quantcast
Channel: Shajgoj
Viewing all 3053 articles
Browse latest View live

বিকেলের নাস্তায় ইজি চিজি চিকেন রোল

$
0
0

বিকেলে  চা এর সাথে টা হিসেবে এই চিজি চিকেন রোল হলে কিন্তু মন্দ হয় না!  বাসায় সব উপকরণ থাকলে  চটপট বানিয়ে ফেলুন চিজি চিকেন রোল। কীভাবে বানাবেন? চলুন দেখে নিই চিজি চিকেন রোল তৈরির পুরো প্রণালী।

উপকরণ

  • মুরগির বুকের টুকরা –  ২টা
  • রোজমেরি –  ১ টে. চামচ
  • গোলমরিচের গুঁড়া – ২ চা চামচ
  • আদা বাটা – ১ চা চামচ
  • রসুন বাটা – আধা কাপ চামচ
  • মরিচ গুঁড়া – ১ চা চামচ
  • পাপরিকা – আধা চা চামচ
  • সয়াসস – ১ চা চামচ
  • উষ্টার সস – ১ চা চামচ
  • চিলিসস – ১ চা চামচ
  • ভিনেগার – ১ চা চামচ
  • চিনি – ১ চিমটি
  • পনির কুচি – ২ টে. চামচ
  • তেল – পরিমান মত
  • ডিম – ১ টা
  • ময়দা – পরিমানমত
  • ব্রেডক্রাম – পরিমানমত
  • লবন – স্বাদমত

প্রণালী

প্রথমে হ্যামার দিয়ে চিকেন পিসগুলো থেঁতে নিন। এবার তেল,ডিম,ব্রেডক্রাম,পনির ছাড়া সব উপকর দিয়ে মাংস মেরিনেট করুন। মেরিনেট করা মাংসের মধ্যে পনির এর পুর ভরে নিয়ে রোল বানিয়ে টুথপিক দিয়ে আটকিয়ে দিন। এরপর ময়দা এবং ব্রেডক্রাম মিশিয়ে গরম তেলে ভাজতে থাকুন। ভাজা শেষ হলে পরিবেশোন করুন চিজি চিকেন রোল।

ছবি এবং রেসিপি - আফরোজা নাজনীন শুমী


খেলাধুলা শুধু ছোটদের নয় বড়দেরও দরকার

$
0
0

ইন্টারনেটের এই যুগে আমরা স্মার্টফোনের গেইম খেলতে খেলতে সত্যিকারের খেলা প্রায় ভুলতেই বসেছি! কিন্তু খেলাধুলা করা দেহের জন্য যেমন দরকারি তেমনি মনের সুস্থতায়ও উপকারী। আর হ্যাঁ, খেলাধুলা শুধু ছোট বাচ্চাদের জন্য না, বড়দের জন্যও খেলাধুলা অনেক দরকারি।

তাই ছোট বাচ্চাদের খেলার উপকারিতা শেখাতে গিয়ে নিজের ব্যপারটাও ভুলে যাবেন না। ঘর ও কাজের মাঝে প্রতিদিন ৩০ মিনিট সময় বের করুন খেলার জন্য, পরিবারের সবাইকে উদ্বুদ্ধ করুন এই ব্যাপারে। আর অবশ্যই একে বাধ্যবাধকতা না মনে করে খেলাকে শখ হিসেবে গ্রহন করুন, পরিবারের সাথে খেললে পারিবারিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে সাথে সময়টাও কাটবে আনন্দে। বিভিন্ন রকম খেলা খেলতে পারেন যেমন, সাইক্লিং, সুইমিং, রানিং ইত্যাদি। এছাড়া শুধুমাত্র হাঁটার মাধ্যমেও এই প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারেন, তবে তা করা উচিত দলগতভাবে কারণ একা করে এর প্রকৃত আনন্দ পাওয়া সম্ভব না। তাই অনেক দেশে খেলাধুলাকে কিছুকিছু রোগের চিকিৎসা হিসেবে গ্রহন করা হয়।

খেলাধুলার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবেনা। এটি মানুষের জীবনিশক্তি বাড়িয়ে দেয়। কিছু উপকারিতা এখানে বর্ণনা করা হল-

হৃৎপিণ্ডের সুস্থতা দান

আমাদের হৃৎপিণ্ডেরও প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে কাজ করা প্রয়োজন, খেলার সময় এটিকে বেশি পরিমাণে রক্ত পাম্প করতে হয়। তাই এটি প্রয়োজন মত কাজ করার সুযোগ পায় আর সুস্থ থাকে।

ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ

ডায়বেটিস রোগীদের একটি ওষুধ হিসেবে দেয়া হয় নিয়মিত খেলা করাকে। এর ফলে ইনসুলিন সঠিকভাবে কাজ করে। অতিরিক্ত ক্যালরি নিঃশেষ করে খেলার মাধ্যমে ওজনও ঠিক থাকে।

উচ্চ রক্তচাপ কমানো

উচ্চ রক্তচাপ স্ট্রোক ও হৃৎপিণ্ডের সমস্যার কারণ হতে পারে। খেলাধুলা নিয়মিত করলে হৃৎপিণ্ড ও রক্ত গহ্বর ভাল থাকে এবং উচ্চ রক্তচাপের কারণগুলো স্তিমিত থাকে।

কোলেস্টেরল লেভেল

খেলাধুলা ও নিয়মিত ব্যায়াম করলে দেহের কোলেস্টেরল লেভেল ঠিক থাকে।

রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখা

রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে দেহের সব অঙ্গে পুস্টি পৌছায়। খেলার সময় রক্ত সঞ্চালন বেশি হয় তুলনামূলক, তাই দেহের সব অংশে পুস্টি উপাদান পৌঁছাতে সাহায্য করে এবং এতে করে দেহে রক্তের পরিমাণ ও হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো

খেলাধুলার সময় শ্বেত রক্ত কণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, তাই দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া এসময় যে ঘাম হয় তার সাথে অনেক বিষাক্ত উপাদান ও টক্সিন বের হয়ে যায়।

মাংসপেশি ও হাড় গঠনে

খেলার সময় দেহের পেশিসমূহ সবচেয়ে বেশি অংশ নেয়। তাই পেশি শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং হাড়ের ঘনত্বও বৃদ্ধি পায়।

নিজেকে ও অন্যকে শ্রদ্ধা করতে শেখা

খেলা আপনার মন ভালো রাখবে, জীবনকে আরও সুন্দরভাবে উপস্থাপন করবে এবং নিজেকে ও অন্যকে শ্রদ্ধা করতে উদ্ধুদ্ধ করবে।

নিয়মানুবর্তিতা, দলগত কাজ ও লক্ষ্য নির্ধারণ

নিয়মিত খেলাধুলা দৈনন্দিন জীবনের সব কাজে শৃংখলা নিয়ে আসে।

পরিশেষে, খেলাধুলার কিছু নিয়ম থাকে যা অবশ্যই মেনে চলতে হবে,না জেনে উল্টাপাল্টাভাবে খেললে উপকারের চাইতে অপকার হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

ছবি – স্ন্যাপড.এফএনএস.ইউএসডিএ.গভ

লিখেছেন –  সারাহ

 

 

ছোট বেগুন দিয়ে কেচকি শুঁটকি ভুনা !

$
0
0

ইরি চালের মোটা ভাত আর ছোট বেগুন দিয়ে কেচকি শুঁটকি ভুনা ! ঝাল বোম্বাই মরিচ কচলে এক গামলা ভাত । হ্যাপি লাঞ্চ টাইম!

উপকরণ

  • কেচকি শুঁটকি ১ কাপ ( ধুয়ে নিয়ে প্যান এ হালকা টেলে নেয়া )
  • ছোট বেগুণ টুকরা হাফ কাপ পরিমাণ
  • রশুন কুচি ১ কাপ ( একটু মোটা করে কুচি করা )
  • পেয়াজ কুচি দেড় কাপ
  • হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ
  • মরিচ গুঁড়া ২ চা চামচ ( ঝাল কম খেতে চাইলে কম করে দিতে পারেন)
  • ধনিয়া গুঁড়া ১ চা চামচ
  • তেল ১/৪ কাপ
  • লবন স্বাদমত

প্রণালী

প্রথমে প্যান এ তেল দিয়ে এতে পেয়াজ কুচি দিন। মিডিয়াম আঁচে পেয়াজ তা নরম হবার আগ পর্যন্ত রান্না করুন। এখন রশুন কুচি দিয়ে রান্না করুন ৩ থেকে ৪ মিনিট । এখন সব গুঁড়া মশলা দিয়ে নাড়াচাড়া করে অল্প পানি দিয়ে মশলা কষিয়ে নিন । এবার টেলে রাখা শুঁটকি দিয়ে নাড়াচাড়া করে আরেকটু কষিয়ে নিন । এতে বেগুন টুকরা , স্বাদ অনুযায়ী লবন , কয়েকটা কাঁচামরিচ আর ১/৪ কাপ পানি দিয়ে ঢাকনা লাগিয়ে মিডিয়াম আঁচে রান্না করুন আরও ১০ থেকে ১২ মিনিট ,তরকারিতে তেলটা উপরে উঠে আসলে নামিয়ে গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন এই বেগুন দিয়ে কেচকি শুঁটকি ভুনা !

ছবি ও রেসিপি - Romantic Kitchen Stories

 

সৌন্দর্য চর্চায় অ্যালোভেরার বহুরূপী ব্যবহার

$
0
0

ত্বক গ্লো করা, সজীব রাখা, চুল পড়া রোধ করা, চুল ঘন ও লম্বা করা এসব এর জন্য যেসব কসমেটিক্স  আছে তার একটি সাধারণ উপাদান হল এলোভেরা। অ্যালোভেরাতে অনেক ধরণের ঔষধি উপাদান আছে বিধায় সৌন্দর্য জগতে অ্যালোভেরার ব্যবহারও অনেক বেশী ।

কী কী  করতে পারে এই অ্যালোভেরা-

  • একনে বা পিম্পল দূর করে
  • পায়ের গোড়ালি ফাঁটা কমায়
  • সান বার্ন দূর করে
  • ত্বকে বলিরেখা রোধ করে
  • ত্বকের যৌবন ধরে রাখে
  • ত্বককে  সজীব রাখে
  • চুলের বৃদ্ধি  ঘটায়
  • মেকআপ  উঠাতে প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

আসুন জেনে নিই অ্যালোভেরার কিছু সহজ ব্যবহার-

শুষ্ক ত্বকের যত্নের কসমেটিক্স এ অ্যালোভেরা থাকে কারণ এটি ত্বককে সজীব করে যা আপনিও বাসায় করতে পারেন। ছুরি দিয়ে অ্যালোভেরার ভিতরের জেল বের করে  মুখের ত্বকে লাগালে ত্বক মসৃণ , উজ্জ্বল আর নরম হবে।

বয়সের বাড়ার সাথে আমাদের চামড়ায় ভাজ পড়ে  যা আপনি সহজেই রুখতে পারেন এই অ্যালোভেরা ব্যবহার করে কারণ এটি এন্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান সমৃদ্ধ।   এই জেল ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে এবং এর  ভিটামিন এ,বি,সি ও এ  উপাদান ত্বকের পুস্টি যোগায়।

রোদে পোড়া  দাগ দূর করে ত্বকের আদ্রতা ঠিক রাখতে এটি ব্যবহার করা হয়। ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল আর অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে এই মাস্ক সান বার্ন হয়ে যাওয়া ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

অ্যালোভেরা দিয়ে ত্বকের মৃত কোষ দূর করার মাস্ক তৈরি করার জন্য আপনার লাগবে ১ চা চামচ ফ্রেশ অ্যালোভেরা জেল যা  ব্লেন্ড করে নিন। এরপর এক চা চামচ ওটমিলের গুড়া আর ১/২ চা চামচ অলিভ ওয়েল মিশিয়ে মাস্কটি মুখে আর গলায় লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখবেন। এরপর ঠাণ্ডা  পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন । সপ্তাহে ১ বার এটি ব্যবহার করুন।

অ্যালোভেরার প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান একনে  সারাতে আর  নুতন কোষ জন্মাতে কার্যকর। অ্যালোভেরার জেল আইস কিউব ট্রেতে  করে এলোভেরার আইস কিউব  তৈরি করে এই কিউব দিনে দু তিনবার আপনার একনেতে ঘষলে একনের সমস্যা কমে যাবে।

ত্বকের পাশাপাশি  চুলের জন্য অ্যালোভেরা অনেক দরকারি । অ্যালোভেরার ব্যবহারে মাথার ত্বকের পি এইচ ঠিক থাকে আর খুসকিও দূর হয় । ২ঃ ১ অনুপাতে  এলেভেরা জেল আর  ক্যাস্টর ওয়েল মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগিয়ে সারারাত রেখে সকালে শ্যাম্পু  করতে হবে। চুল খুসকিমুক্ত থাকবে।

ঠোঁট এর রঙ উজ্জ্বল রাখতে ঠোঁট নরম আর মসৃন করতে অ্যালোভেরা ব্যবহার করা যায়। নিয়মিত অ্যালোভেরা জেল ঠোঁটে লাগলেই  ঠোঁট উজ্জ্বল হবে। এক টেবিল চামচ  চালের গুড়া, আর অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে আস্তে আস্তে এই মিশ্রণ ঠোঁটে লাগিয়ে  ৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে । দেখুন ঠোঁট কত উজ্জ্বল, মসৃণ আর নরম।

অ্যালোভেরার এন্টিসেপটিক গুনাগুনও উল্লেখযোগ্য ।  অ্যালোভেরার পাতার জেল বের ফ্রিজে রাখুন আর অল্প কেটে গেলে বা ক্ষত হলে লাগান । দিনে দুই বা তিন বার লাগালেই ক্ষত আরাম হবে।

অতি অল্প খরচে বাজারে এই অ্যালোভেরা পাওয়া যায়। আপনার রূপচর্চার এই  ঘরোয়া উপাদান টি আপনাকে সতেজ, সুন্দর আর  উজ্জীবিত রাখবে।

ছবি –  হেলথঅ্যান্ডমাইন্ডকেয়ার.কম

লিখেছেন – রোকসানা আকতার

মজাদার পকেট শর্মা

$
0
0

আজকের রেসিপি আয়োজনে রয়েছে  মজাদার পকেট শর্মা। বিকেলের নাস্তায় তৈরি করে ফেলুন পকেট শর্মা।

মুরগির জন্য উপকরণ 

  • মুরগির বুকের মাংস ছোট করে কাটা – ১ কাপ
  • সরিষা বাটা – আধা চা চামচ
  • আদা বাটা – আধা চা চামচ
  • রসুন বাটা – আধা চা চামচ
  • সয়াসস – আধা চা চামচ
  • অয়েষ্টার সস – আধা চা চামচ
  • কিসমিস – ১চা চামচ
  • সিসেমি অয়েল – আধা চা চামচ
  • তন্দুরি মশলা – আধা চা চামচ
  • গরম মশলা গুঁড়া – আধা চা চামচ
  • মরিচ গুঁড়া – আধা চা চামচ
  • সাদা গোল মরিচ গুঁড়া – আধা চা চামচ
  • কর্ণফ্লাওয়ার – ১ টে. চামচ
  • লবন – স্বাদমত

শর্মার জন্য উপকরণ

  • পিটা রুটি – ২টা
  • শসা,টমেটো,গাজর কুচি – ১ কাপ
  • ক্যাপসিকাম কচি – ১ টে. চামচ
  • মেয়োনিজ – ২ টে. চামচ
  • চিজ স্প্রেড – ১ টে. চামচ
  • টমেটো সস – ১ চা চামচ
  • গোল মরিচ গুঁড়া – আধা চা চামচ
  • আপেল কুচি – ১ টে. চামচ
  • আঙ্গুর কুচি – ১ টে. চামচ
  • কাচামরিচ কুচি – ১ চা চামচ
  • লেবুর রস – ১ টে. চামচ
  • চিনি – আধা চা চামচ
  • চাট মশলা – ১ চা চামচ
  • লবন – স্বাদমত

প্রণালী 
প্রথমেই মুরগির মাংসে সব উপকরণ একত্রে মেখে মেরিনেট করে নিন। মেরিনেট করা মুরগির মাংসগুলো গরম তেলে ভেজে আলাদা একটি পাত্রে তুলে রাখুন। লেটুস ও পিটা রুটি ছাড়া শর্মার সব উপকরণএকত্রে মেখে নিন ।

এখন পিকেট শর্মার জন্য পিটা রুটিগুলোর মাঝ বরাবর কেটে দুই টুকরা করে প্রতিটার মাঝখানে পকেট তৈরী করে নিন। এবার চিকেন ও বাকি উপকরণের মিশ্রনটা মেখে এই রুটির পকেটের মাঝে ঢুকিয়ে লেটুসপাতা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন রুচির হট টমেটো সস দিয়ে মজাদার পকেট শর্মা।

ছবি এবং রেসিপি - আফরোজা নাজনীন শুমী

খুব সহজে তৈরি করুন পর্দা বন্ধনী

$
0
0

বাড়িতে খুব সহজে বানিয়ে নিতে পারেন পর্দা বন্ধনী।কম উপকরণ ও সহজে তৈরি করা সম্ভব। এতে ঘর দেখতেও ভাল লাগে।তবে বানানোর পদ্ধতি শিখে নেয়া যাক।

 যা যা  লাগবে

  • সিডি
  • গ্লু
  • কালার ফিতা
  • স্টিক
  • কাঁচি

 

পদ্ধতি

১.সিডি গোল করে মাঝে কেটে নিতে হবে।

 curtai 2

২.কালার ফিতা দিয়ে গ্লুর সাহায্যে আবৃত করতে হবে।

 curtai 3

৩.এবার স্টিকটি কালার ফিতা ও গ্লু দিয়ে আবৃত করে নিতে হবে। চাইলে কাপড় দিয়ে ফুল বা প্রজাপতি তৈরি করে সাজানো যাবে।

 curtai 4

এবার মন মতো বিভিন্ন কালারের পর্দা বন্ধনী তৈরী করতে পারবেন খুব সহজে।

ছবি – হেন্ডিডাই

লিখেছেন – মুমতাহিনা তাবাসসুম

চিলি ক্র্যাব

$
0
0

ক্র্যাব খেতে যারা ভালোবাসে তারা প্রায়ই রেস্তোরাঁয় ঢুঁ মারেন এই একটি ডিশ খেতে! তবে চাইলে বাড়িতেই আপনি নিজে ট্রাই করে দেখতে পারেন । চলুন শিখে নিই, চিলি ক্র্যাব তৈরির পুরো প্রণালী।

উপকরণ

  • ক্র্যাব -১০/১২ টি 
  • পেঁয়াজ কুচি –১ টি 
  • শুকনো মরিচ ক্রাশড – ১ চা চামচ ( যদি ঝাল বেশি পছন্দ করেন বেশি দিবেন ) 
  • রসুন কুচি – ১ টেবিল চামচ 
  • অদা কুচি – দেড় চা চামচ 
  • কাঁচা মরিচ ফালি- ৬/৭ টি 
  • ফিশ সস- ১ চাচামচ 
  • ভিনেগার – ১ চা চামচ 
  • টমেটো কেচাপ- ১ টেবিল চামচ 
  • লবন- স্বাদমতো 
  • চিনি – ১ চা চামচ 
  • তেল – ২ টেবিল চামচ

প্রণালী 
প্রথমে ক্র্যাব কেটে নিয়ে পরিষ্কার করে ভালো করে ধুয়ে টুকরা করে নিন। এইবার একটা পাতিলে পানি গরম হতে দিন। পানি ফুটতে থাকলে কেটে রাখা ক্র্যাব গুলো দিয়ে দিন ৫ মিনিট সিদ্ধ করুন , রং পাল্টে কমলা হয়ে আসলে নামিয়ে নিন পানি ছেঁকে রাখুন। এইবার পাতিলে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে একটু ভেজে নিয়ে এতে আদা-রশুন কুচি , লবন দিয়ে কষিয়ে অল্প পানি দিতে হবে, তারপর দিতে হবে সিদ্ধ করে রাখা ক্র্যাবগুলো। নেড়ে ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে মশলার সাথে। তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়ে রান্না করতে হবে ৭/৮ মিনিটের জন্য। এর মাঝে টমেটো কেচাপ , ভিনেগার , ফিশ সস , চিনি দিয়ে মিশ্রণ তৈরী করে নিন এই মিশ্রণটি ক্র্যাব এর মধ্যে ঢেলে দিয়ে মিশিয়ে নিন সাথে , ক্রাশড চিলি, কাঁচা মরিচ ফালি দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন এইবার আরো ৫ মিনিট ঢাকনা দিয়ে রান্না করুন , ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে নিন। লেবুর রস ছিটিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার চিলি ক্র্যাব।

ছবি ও রেসিপি –   সামিয়া’স হোম কিচেন 

ফ্রেঞ্চ ব্রেইড বনাম ডাচ ব্রেইড

$
0
0

“গেইম অব থ্রোন্স” টিভি সিরিজ অনেকেই দেখেছেন আর না দেখলেও নাম শুনেছেন। এই টিভি সিরিজের আকর্ষণীয় হেয়ার ব্রেইডগুলো দেখে অনেকেই হয়তো ভেবেছেন ওইগুলো ফ্রেঞ্চ ব্রেইড। ফ্রেঞ্চ ব্রেইড আমরা প্রায় সবাই পারি, কিন্তু টিভি সিরিজের হেয়ার ব্রেইডগুলো ছিল ডাচ ব্রেইড। এই ডাচ ব্রেইড দেখতে কিছুটা ফ্রেঞ্চ ব্রেইডের মতই, কিন্তু অনেকাংশে ভিন্ন ও বেশি আকর্ষণীয়।

তাহলে শিখে ফেলা যাক ফ্রেঞ্চ ব্রেইড ও ডাচ ব্রেইডের পার্থক্যগুলো, সাথে ডাচ ব্রেইড কীভাবে করতে হবে সেটাও।

শিখতে যা যা লাগবে-

  • হেয়ার ব্রাশ
  • হেয়ার ব্যান্ড
  • সেট করার জন্য হেয়ার স্প্রে
  • হেয়ার পিন

 

ধাপসমূহঃ

প্রথমেই চুলকে প্রস্তুত করে নিতে হবে,  শ্যাম্পু করে ও ভালোভাবে আঁচড়ে নিয়ে জট ছাড়িয়ে নিতে হবে।

  • ধাপ ১-

এখানে প্রথম ছবি দেখানো হয়েছে ফ্রেঞ্চ বেনীর জন্য ও ২য় ছবি দেখানো হয়েছে ডাচ ব্রেইডের জন্য কীভাবে চুল প্রথমে ধরতে হবে। চুলকে তিন অংশে ভাগ করে নিতে হবে। লেফট, সেন্টার ও রাইট অংশের চুল দুটি ব্রেইডের জন্য একইভাবে ধরতে হবে।

fb vs db 2

  • ধাপ ২

এই ধাপে ফ্রেঞ্চ ব্রেইডে সেন্টার অংশের উপর দিয়ে লেফট অংশের চুলগুলো দেয়া হয় আর ডাচ ব্রেইডের ক্ষেত্রে সেন্টার অংশের নিচে দিয়ে লেফট অংশের চুল আনতে হবে ছবিতে দেখানো ভাবে।

fb vs db 3

  • ধাপ ৩

১ম ছবিতে দেখানো হয়েছে ফ্রেঞ্চ ব্রেইডে আমরা লেফটের উপর দিয়ে রাইট অংশের চুল নিয়ে আসি কিন্তু ডাচ ব্রেইডে তেমনটা হয় না। এক্ষেত্রে রাইট অংশের চুল লেফট অংশে  প্রথমে যেই চুল ধরা থাকে তার নিচে দিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

 fb vs db 4

এভাবে বাকিটা করে ফেলতে হবে। চুল সেট করে নেয়ার জন্য আমরা হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করতে পারি।

 fb vs db 1

ছবি –  হেয়ারবাইজুল.ব্লগস্পট.কম

লিখেছেন – সারাহ


চটপটা আলু চাট ! 

$
0
0

একঘেয়েমি স্বাদ পাল্টে দিতে তৈরি করতে পারেন চটপটা আলু চাট। চলুন শিখে নিই, আলু তৈরির পুরো প্রণালী।


উপকরণ 

  • আলু সিদ্ধ করে টুকরা করে নেয়া ১ কাপ
  • ধনিয়া পাতা মিহি কুচি ২ টেবল চামচ
  • পেঁয়াজ ছোট কিউব ৪ টেবল চামচ
  • কাঁচামরিচ পছন্দ মত
  • আস্ত ধনিয়া দেড় চা চামচ
  • আস্ত জিরা ১ চা চামচ
  • আজওয়াইন আস্ত হাফ চা চামচ(বাংলাতে এটাকে জৈন বলে এক রকম জিরার মতো দেখতে কিন্তু ছোট ,যদি না পাওয়া যায় তাহলে বাদ দিয়েও করতে পারেন )
  • বিটলবণ হাফ চা চামচ
  • শুকনামরিচ ফাঁকি হাফ চা চামচ ( কমবেশি করা যাবে )
  • লবন স্বাদমত

প্রণালী 
- প্রথমে আস্ত ধনিয়া, আস্ত জিরা ,আস্ত আজওয়াইন একটা প্যান নিয়ে কম আঁচে হালকা লাল করে ভেজে নিন ,খুব বেশিক্ষন না , মিনিট হাফ এ হয়ে যাবে ! বেশিক্ষন করা যাবে না , তিতা হয়ে যাবে !

- আস্ত ভাজা মশলা গুলু এবার ছেচনি নিয়ে ছেচে নিন , একটু আধা ভাঙলেই হবে মিহিদানার মতো গুঁড়া না।

- এখন একটা প্যান এ একদম অল্প তেল দিয়ে সিদ্ধ আলু টুকরা দিন , বাদামি করে ভাজুন , এবার এতে পেঁয়াজ কুচি , মরিচ কুচি , ধনিয়াপাতা কুচি , ছেচে রাখা ড্ৰাই মশলাগুলো , বিট লবন , স্বাদমত লবন, শুকনামরিচ ফাঁকি দিয়ে ৩ থেকে ৫ মিনিট রান্না করে নামিয়ে নিন!

- আলু চাট পরিবেশন এর জন্য তৈরি !  টক দই , বিটলবণ ,চিনি ,জিরা গুঁড়া , মিহিকুচি ধনিয়া পাতা , মিহিকুচি পুদিনা একসাথে বিট করে দই এর মিশ্রণ বানিয়ে নিন ! বাটিতে আলু চাট নিন এবং এর উপর খানিকটা দই এর মিশ্রণ দিন , অল্প তেতুলের মাড় আর ভুজিয়া দিয়ে পরিবেশন করুন আলু চাট !

ছবি ও রেসিপি - Romantic Kitchen Stories

ঢাকার আশেপাশে ৫ কাশবন

$
0
0

শুভ্রতার ছোঁয়া নিয়ে শরৎ এলো আবার। প্রকৃতির ছয়টি কালের একটি ঋতু এই শরৎ, যেই কালে সাদা মেঘের মতন কাশফুল ফোটে। এই কাশফুল প্রকৃতির এক দারুণ আকর্ষণ।পাথরের নগরীরও আছে কাশফুলের সৌন্দর্যময় আবেদনে সাড়া দেয়ার তাড়না। তাই নগরবাসী খুঁজতে শুরু করবে, কোথায় দেখা মিলবে বিস্তৃত কাশবনের, মাঠে ফুটে থাকা মেঘফুলের রাজ্যে মিশে যাওয়া যাবে কোথায়। খোঁজ শুরু হবার এখনই সময়। রাজধানীর ভেতর আর আশেপাশে ফুটে থাকা কাশফুলের খোঁজখবর নিয়েই এখানে কথা হবে। দু’চোখ ভরে শুভ্রতা দেখার বাসনা থেকে হোক বা নেহাৎ সাদা ক্যানভাসে রঙের ছোঁয়া লাগিয়ে নিজেকে ছবিবন্দী করার ইচ্ছে, কাশবনের কাছে একটিবার নিশ্চয় যেতে চাইবেন?

দিয়াবাড়ি

উত্তরার দিয়াবাড়ি জায়গাটা কাশবনের বাস হিসেবে ভালোই লোকচেনা হয়ে গেছে। কাছাকাছির মধ্যে থাকায় মানুষজন সেখানে ভীড় জমাবে এই সময়। কাশফুলের মাঝে ছবি তোলার হিড়িক পড়বে মেয়েদের। এসব বাড়াবাড়িতে বিরক্ত হয়ে হয়তো কোন বেরসিক মানুষ আর ওইমুখো হবে না দিনকয়েক। দূরে কোথাও যেতে মানা হলে আপনার কাশবন দর্শন দিয়াবাড়িতেই হতে পারে। দেখার জায়গা হিসেবে দিয়াবাড়ি খারাপ নয়, তবে যতো কাছ থেকেই যান না কেনো ফিরতে হবে সন্ধ্যা নামার আগে।

দক্ষিণখান

এই এলাকায় খানিক বড়সড় পরিসরে কাশের বন দেখার সুযোগ হতে পারে। খিলক্ষেত বাজার হয়ে উত্তরমুখী রাস্তায় দেখা পাবেন কাশফুলেদের। রাস্তার দুপাশ জুড়েই কাশের রাজ্য। চোখ জুড়িয়ে যাবে, মন তো জুড়োবেই। কোথাও হারিয়ে যাবার মানা না থাকলে বেরিয়ে পড়ুন একদিন এই পথে। কাশবনের আনন্দ ভরপুর নেয়া যাবে।

আশুলিয়া
কাশফুলের আরেক রাজ্য এই আশুলিয়া।মিরপুর বেড়িবাঁধ হয়ে আশুলিয়ার দিকে চলে যান, কাশবনের দেখা মিলবে। সড়কপথের ভ্রমণটাও মন্দ হবে না কোন এক শরৎশুভ্র দিনে। এলোমেলো বাতাসের সাথে খোলা রাস্তায় হেঁটে বেড়ানো, দুইধারে সাদা মেঘের মতন ফুলের মেলা, একটা দিন ভালো যেতে আর কী লাগে?

কেরানীগঞ্জ

ঢাকার কাছেই জায়গাটা, একদিন সময় করে ঘুরে আস্তে পারেন এখানে। শহর থেকে পালানো হবে, ঘুরে বেড়ানোর স্বাদ সেই সাথে কাশবনে হারিয়ে যাবার হাতছানি, মন্দ হবে না। একটা গোটা দিনের চড়ুইভাতিই হয়ে যাক না ঢাকার বাইরে এভাবে?

পদ্মার চর

প্রমত্তা পদ্মার বুকে বসত গড়া চরেও কাশফুলেরা আছে। মাওয়ার শিমুলিয়া ঘাট থেকে যাত্রা করতে পারেন কোন চরের উদ্দেশ্যে, নদীতেও ভ্রমণ হয়ে যাবে এক সুযোগে। চরে পৌঁছে কাশফুলের দেখা তো মিলবেই। তবে এমন নির্জন কোন জায়গায় যেতে হলে নিরাপত্তার বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে সবার আগে। শহরের ভেতরেও কাশবনগুলো অনেক নিরিবিলি হতে পারে। তাই সাবধান থাকতে হবে সেসব জায়গায়। নিজের সুরক্ষা তো নিজেরই হাতে, সেদিকে খেয়াল থাকা চাই।

ছবি – ওয়াশিংটনবাংলা.কম

লিখেছেন –  মুমতাহীনা মাহবুব>

পোলাও, বিরিয়ানির সাথে মুখরোচক শসার রায়তা!

$
0
0

একঘেয়ে শসা, গাজর, টমেটোর সালাদের বদলে খাবারের সাথে পরিবেশনের জন্য শসার রায়তা বানিয়ে নিন । অনেক মজার এই শশার রায়তার রেসিপি  দেয়া হল আপনাদের জন্য ।

 উপকরণ

  •  শসা কুচি ১ কাপ
  •  টক দই ৩- ৪ টেবিল চামচ
  •  পুদিনা পাতা কুচি অল্প
  •  পেয়াজ মিহি কুচি ১ চা চামচ
  •  শুকনা মরিচ গুড়া সামান্য
  •  ভাজা জিরা গুড়া সামান্য
  •  লবন স্বাদ অনুযায়ী
  •  বিট লবন আধা চা চামচ

 প্রণালী

( ১ ) প্রথমে শসা চিকন কুচি করে কেটে একটি বাটিতে রেখে দিন । পুদিনা পাতা ও পেয়াজ মিহি কুচি করে আলাদা করে রেখে দিন ।

( ২ ) এরপর একটি বড় বাটিতে দই নিয়ে দই এর পানি ছেকে নিয়ে ভালো করে ফেটে নিন । এর মধ্যে মরিচ গুড়া, ভাজা জিরা গুড়া, বিট লবন ও লবন দিয়ে ভালো করে ফেটে নিন । মনে রাখবেন, দইয়ে পানি থাকা যাবে না । পানি থাকলে রায়তা ভালো হবে না ।

( ৩ ) এখন শসা কুচিগুলো হালকা চিপে পানি ঝেড়ে ফেলে দিন, বেশী কষে চিপার দরকার নেই । শসা কেটে রাখলে পানি বের হয় । এই পানি চিপে ফেলে না দিলে আপনার রায়তাকে নষ্ট করে ফেলবে, রায়তা বানানোর পর দই আর পানি আলাদা হয়ে যাবে । আপনার সব কষ্ট বৃথা হয়ে যাবে ।

( ৪ ) এবার ফেটানো দইয়ের মধ্যে শসা, পুদিনা কুচিও পেয়াজ কুচি দিয়ে ভালো ভাবে মেশালেই তৈরী হয়ে যাবে শসার রায়তা ।

পরিবেশন
বিরিয়ানী, তেহারী, খিচুরী বা নানের সাথে ফ্রেশ রায়তা পরিবেশন করুন । রায়তা বানিয়ে বেশীক্ষন রাখলে এর রঙ ও স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়, তাই আগে শুধু প্রস্তুতি নিয়ে রেখে পরিবেশনের আগে রায়তা মেশানো ভালো । এই উপকরণে ৪-৫ জন কে পরিবেশন করা যাবে ।

ছবি ও রেসিপি –  আফরুজা শিল্পী

ব্রাউন ম্যাট আই মেকাপ লুক

$
0
0

অফিস থেকে সোজা দাওয়াত অ্যাটেন্ড করতে হবে কাজের ব্যস্ততা সব মিলিয়ে নতুন করে মেকাপ করার সময় নেই, এভাবেই যেতে হবে। এমন সমসসার সমাধান হতে পারে এমন একটি মেকাপ লুক যেটা কিনা দিন এবং রাত দুই সময়ের জন্যই সামঞ্জস্যপূর্ণ। তেমন একটি মেকাপ লুক নিয়ে এলেন নিলয় ফারহানা।

প্রয়োজনীয় প্রোডাক্টগুলো ঘরে বসেই পেতে  পারেন। সেক্ষেত্রে  SAPPHIRE এই লিঙ্কে ক্লিক করে পছন্দের পণ্য বেছে নিন। ধন্যবাদ।

ছবি: শিরি ফারহানা

চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় ৫টি অনন্য খাদ্য

$
0
0

চুল আমাদের শরীরের অন্যতম প্রধান অংশ, যা অন্যান্য অংশের তুলনায় অপেক্ষাকৃত বেশি খোলা অবস্থায় থাকে এবং পরিবেশের সাথে প্রতিনিয়ত খাপ খাওয়ানোর প্রয়াসে থাকে। কিন্তু এই খাপ খাওয়ানোর প্রক্রিয়ায় চুলে নানা প্রকার ক্ষয় সবসময় হতেই থাকে। এছাড়া চুলে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নতুন নতুন হেয়ার-স্টাইল করে থাকি। এই স্টাইল করতে গিয়েও চুলের ক্ষয় হতে পারে।

চুলকে বাইরে থেকে দেখতে সুন্দর রাখার পাশাপাশি এর ভিতরের সুস্থতার কথাও আমাদের ভাবা উচিত। আমাদের প্রায় সবারই কমবেশি চুলের সমস্যা রয়েছে যেমন চুল পড়ে যাওয়া, রুক্ষ হয়ে যাওয়া, আগা ফাটা, চুল বড় না হওয়া ইত্যাদি। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই সমস্যা আরও বেশি বেড়ে যায়। এইসব সমস্যা অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব একটি সুশৃঙ্খল ডায়েট চার্টের সাহায্যে যেখানে রাখতে হবে চুলের প্রয়োজন মত খাদ্য।

চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় যেসব উপাদান বিশেষ ভূমিকা পালন করে তাদের মধ্যে অন্যতম হলো জিঙ্ক, সেলেনিয়াম, আয়রন বায়োটিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড। তাই খাদ্য তালিকায় এইসব উপাদানসমৃদ্ধ খাদ্য রাখতে হবে। বাজারে হাজারো খাদ্য আছে যাতে এই উপাদানগুলো বিদ্যমান।  এখানে এইসব উপাদানে সবচেয়ে বেশি উপাদেয় ৫টি খাদ্য তালিকা দেয়া হলো-

ডিম

ডিমে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন যা চুলের সবচেয়ে বড় উপাদান। এছাড়াও এতে রয়েছে সালফার, আয়রন, সেলেনিয়াম ও জিঙ্ক। আয়রন মাথার স্ক্যাল্পের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, জিঙ্ক চুল মজবুত করে। প্রোটিনের ভাল উৎস হিসেবে মুরগির মাংসও বেশ ভালো, এতে ভালো মানের প্রোটিনের পাশাপাশি ভিটামিন বি থাকে।

ডাল

ডিমের মতই ডাল প্রোটিনের একটি ভাল উৎস। আমাদের চুল কঠিন ক্যারাটিন নামক প্রোটিনে তৈরি। তাই চুলের স্বাস্থ্যের জন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য আমাদের তালিকায় রাখতেই হবে। ডাল খুবই সহজলভ্য খাবার তাই এটি অনায়াসেই আমাদের ডায়েট চার্টে রাখতে পারি। প্রোটিনের পাশাপাশি এতে থাকে আয়রন। এটি মেটাবলিজম, সারকুলেশন বাড়ায় এবং কোষে অক্সিজেনের যোগান দেয় তাই চুলের ফলিকলগুলো সুস্থ থাকে।

সবুজ পাতাযুক্ত শাকসবজি

বিভিন্ন ধরণের সবুজ পাতাযুক্ত শাকসবজি যেমন  পালং শাক, বাঁধাকপি ইত্যাদিতে থাকে আয়রন, ভিটামিন সি এবং বেটা ক্যারোটিন যা চুলের বৃদ্ধিতে ও আর্দ্রতা রক্ষায় সাহায্য করে। এছাড়া এটি সারকুলেসন বাড়ায় এবং চুলের রঙ ঠিক রেখে চুলকে উজ্জ্বল করে তুলে।

দই

চুলের ফলিকলের স্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন বি প্রয়োজন। দইতে থাকে বেশ ভালো পরিমাণ ভিটামিন বি ও ভিটামিন ডি, তাই প্রতিদিনের খাদ্যের তালিকায় কিছু পরিমাণ দই রাখলে ভাল।

আয়োডিনযুক্ত খাদ্য

অনেক চুলের সমস্যা থাইরয়েড গ্ল্যান্ড ঠিকমত কাজ না করার কারণে হয়ে থাকে। যেমন, চুল পাতলা হয়ে যাওয়া, বৃদ্ধি কমে যাওয়া, বিবর্ণ হয়ে যাওয়া, রুক্ষ হয়ে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দেয় এটির কারণে। থাইরয়েড গ্ল্যান্ডকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে আয়োডিন। তাই আয়োডিনযুক্ত খাবার (সামুদ্রিক মাছ ও সমুদ্র উপকূলের শাকসবজি) সম্ভব হলে নিয়মিত গ্রহন করতে হবে।

চুল রক্ষার্থে চুলের অভ্যন্তরীণ পুষ্টির চাহিদা সবার আগে ঠিক রাখতে হয়। তাই আমাদের খাদ্য নির্বাচনে সজাগ হতে হবে।

ছবি – নিউবিউটি.কম

লিখেছেন – সারাহ

নাইজেরিয়ান জালফ রাইস

$
0
0

নাইজেরিয়ান জালফ রাইস ! যা একটি ওয়ান পট রাইস ডিশ , ওয়েস্ট আফ্রিকান দেশগুলোতে খুবই জনপ্রিয় । গ্রিল চিকেন,বারবিকেউ করা রেড মিট এবং সালাদের সাথে পরিবেশন করা হয় এই মজার ওয়ান পট জালফ রাইস ! এই ঈদ এ ট্রাই করে দেখতে পারেন এমন ভিন্ন কিছু ! ঈদের সকালে মাংস রান্না হতে হতে চটপট নাস্তায় পরিবেশন করতে পারেন  কাবাব আর ফ্রেশ সালাদের সাথে !

উপকরণ

  • পোলাও চাল / বাসমতী চাল ৩ কাপ
  • পেয়াজ মিহি কুচি ১ কাপ
  • ক্যাপসিকাম ( লাল ) ছোট কিউব দেড় কাপ
  • টমেটো টুকরা ২ কাপ
  • ভেজিটেবল স্টক কিউব ৫ থেকে ৬ টি ( এতে অনেক বেশি লবণ থাকে ,যখন লবণ দিবেন এক্সট্রা লবণ কিন্তু চেখে দেখবেন)
  • বোম্বাই মরিচ ১ টি বড় টুকরা করা ( বাচ্চাদের টিফিন হলে বাদ দিয়ে করবেন , এটা দিলে খুবি সুন্দর খুশবু হয় , ঝাল পছন্দ না করলে এটা না দিয়েও করা যাবে )
  • টমেটো পেস্ট ৪ টেবল চামচ
  • লবন স্বাদমত
  • তেল ১/৪ কাপ

প্রণালী

প্রথমে ব্লেন্ডার এ টমেটো পেস্ট , বোম্বাই মরিচ, ক্যাপসিকাম ( লাল ) কিউব অল্প পানি দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন ।

এখন হাড়িয়ে তেল দিয়ে তেল গরম হলে পেঁয়াজ  কুচি দিন , পেঁয়াজ  বাদামি করে ভেজে নিন , সাথে দিন টমেটো টুকরা , রান্না করুন ১০ থেকে ১২ মিনিট।  এবার এতে ভেজিটেবল স্টক কিউব হাতে ভেঙ্গে গুড়া করে দিয়ে দিন ( এতে অনেক বেশি লবন থাকে ,যখন লবন দিবেন এক্সট্রা লবন কিন্তু চেখে দেখবেন) , আগে বানিয়ে রাখা টমেটো পেস্ট দিয়ে নাড়াচাড়া অল্প কিছুক্ষণ কষিয়ে নিয়ে এতে চাল দিয়ে দিন ,ভালোভাবে মিশিয়ে গরম পানি দিন ( আমি ৩ কাপ চালে ৫ কাপ পানি দিয়েছি , মাখা মাখা করে করেছি কিন্তু আপনি যদি একদম ঝরঝরে পোলাও এর মত করে করতে চান তাহলে পানি আরেকটু কম দিলেই হবে ) আর স্বাদমত লবন দিয়ে ঢাকনা লাগিয়ে রান্না করুন চাল সিদ্ধ হবার আগ পর্যন্ত , নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন সালাদের সাথে এই অয়ানপট ডিশ !

এই রাইস চাইলে  ২ থেকে ৩ দিনের জন্য রান্না করে ফ্রিজে রেখে  দিতে পারেন , লাঞ্চ বক্স এ পরিমিত পরিমাণ রাইস এর সাথে ফ্রেশ সালাদ কিংবা সিদ্ধ ডিম দিয়ে লাঞ্চ হিসেবে অফিসেও নিয়ে যেতে পারেন !

ছবি ও রেসিপি - Romantic Kitchen Stories

প্রতিদিনই কি স্ক্রাব করা উচিত? জানুন, স্ক্রাব করার নিয়মকানুন

$
0
0

স্ক্রাবিং হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যা মৃতকোষ দূর করে ত্বক সজীব রাখে। ত্বকের সার্বিক সুস্থতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এটি। স্ক্রাবিং করার জন্য বেশ কিছু নিয়ম আছে। সেসব নিয়ম না মেনে যাচ্ছেতাইভাবে স্ক্রাব ব্যবহার করে গেলে ত্বকের উল্টো ক্ষতিই হবে, ভালো কোন ফল আসবে না।

কতোদিনে কতোবার স্ক্রাব করা যাবে?

মাইল্ড কিছু স্ক্রাব প্রতিদিনই ব্যবহার করা যাবে বলে পণ্যের গায়ে লেখা থাকে। তবে কিনা, স্ক্রাব জিনিষটাই একটু কঠিন। তাই মাইল্ড বলা হলেও তাকে ব্যবহার করার বেলায় একটু খেয়াল রাখা লাগবে। প্রতিদিন স্ক্রাবিং না করে বরং সপ্তাহে দুই-তিন দিন করা যায় ।মনে রাখবেন, মৃতকোষের উপস্থিতি কম লাগলে এমন হালকা স্ক্রাব ব্যবহার করা ভালো। খুব বেশি মৃতকোষ থাকলে হার্ড স্ক্রাব ব্যবহার করা যাবে, তা সপ্তাহে দুইদিনের মতো করা উচিত। এর বেশি কখনোই নয়।

স্ক্রাবিং হবে কী উপায়ে?

হার্ড স্ক্রাব, যেগুলো কিনা খুব শক্ত দানাদার হয় সেগুলো কখনোই সরাসরি ত্বকে লাগানো যাবে না। পানির সাথে মিশিয়ে সেটা ত্বকে ব্যবহার করা লাগবে। আধা মিনিটের আলতো মাসাজ যথেষ্ট স্ক্রাবিং করতে। এর বেশি সময় না নেয়াই ভালো, ত্বকে বেশি মৃতকোষ থাকলেও না।

যেমন ত্বকে স্ক্রাব লাগানো মানা-

ত্বকে পিম্পল বা র‍্যাশ থাকলে স্ক্রাবিং করা নিষেধ, একেবারেই করা যাবে না। অনেকেই এমন অবস্থাতেও স্ক্রাব ব্যবহার করে থাকেন তবে করাটা অনুচিত। কেননা স্ক্রাব আপনার ত্বকের আরো বারোটা বাজাবে এই সময়ে। পিম্পল বা র‍্যাশকে আরো ছড়িয়ে দেবে যদি সেগুলিকে স্ক্রাব করতে যান, যাতে ত্বকের অন্য জায়গাও আক্রান্ত হবে।

প্রাকৃতিক স্ক্রাবিং উপাদান-

প্রকৃতিতে অনেক উপাদান আছে যা ত্বকের মৃতকোষ দূর করে সজীবতা এনে দেয়। বাজারজাত প্রসাধনে ভরসা না থাকলে বা প্রাকৃতিক উপায়েই ত্বকের যত্ন নিতে বেশি স্বচ্ছন্দ হলে এসব উপাদান বেছে নিতে পারেন নিজের সুবিধা বা দরকার মতন।

  • চিনি
  • চালের গুঁড়ো
  • ওটমিল
  • আমন্ড গুঁড়ো
  • লেবু
  • পেঁপে
  • অ্যাভোকাডো

এগুলির একেকটির সাথে প্রয়োজনীয় অন্য উপাদান মিশিয়ে ব্যবহারের উপযোগী স্ক্রাব বানাতে হবে। যেমন চিনির সাথে মেশাতে পারেন লেবুর রস, কিংবা মধু, চাইলে আবার এই দুটি এক মিশ্রণে নিয়ে আসা যায়।গুঁড়ো জাতীয় উপাদানগুলি শুধুই লাগাতে পারেন ত্বকে, পানি মিশিয়ে মিশ্রণ করে নিতে হবে কেবল। আবার অন্য উপাদানের সাথেও মিলিয়ে তবে ব্যবহার করা যাবে। একটু সময় নিয়ে ত্বকচর্চা করতে পারলে প্রাকৃতিক উপায় বেছে নেয়াই ভালো।

ছবি – টিপসফরগর্জিয়াসওমেন.কম
লিখেছেন –  মুমতাহীনা মাহবুব


শাহী চিকেন রোস্ট

$
0
0

দুপুরের খাবারের আয়োজনে তৈরি করে নিতে পারেন শাহী চিকেন রোস্ট। পোলাও, বিরিয়ানী বা সাদা ভাতের সাথে উপরে বেরেস্তা ও বাদাম কুচি ছিটিয়ে পরিবেশন করুন এই সুস্বাদু শাহী চিকেন রোস্ট । এই উপকরনে ৬-৮ জন কে পরিবেশন করা যাবে ।

উপকরণ

  • চিকেন লেগ পিস বা রান ৬-৮ টি
  • টক দই আধা কাপ
  • বেরেস্তার জন্য কাটা পেঁয়াজ ১ কাপ
  • পেঁয়াজ বাটা আধা কাপ
  • কাঁচা মরিচ বাটা ১ চা চামচ
  • আদা ২ চা চামচ
  • রসুন ২ চা চামচ
  • ধনিয়া আধা চা চামচ
  • জিরা ১ চা চামচ
  • বাদাম বাটা ২ চা চামচ
  • পোস্তদানা বাটা ১ চা চামচ
  • গোল মরিচ গুড়া সামান্য
  • অালু বোখারা ২ টা
  • জায়ফল সামান্য
  • জয়ত্রী সামান্য
  • দারুচিনি ২-৩ টুকরা
  • এলাচি ৪ টা
  • মালাই বা ঘন দুধ ১ কাপ
  • জর্দার রং সামান্য
  • গোলাপ জল ২ চা চামচ
  • লবন পরিমান মত
  • চিনি ১ চা চামচ
  • ঘি ১ কাপ
  • মাওয়া ১ টেবিল চামচ
  • লেবুর রস ১ চা চামচ
  • কিসমিস অল্প

 প্রণালী

( ১ ) প্রথমে চিকেন পিসগুলো ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে পানি ঝরিয়ে লেবুর রস, সামান্য লবন ও জাফরান রঙ মাখিয়ে রেখে দিতে হবে ।

( ২ ) এবার একটি পাত্রে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ দিয়ে বেরেস্তা করে তুলে রেখে দিতে হবে । অন্য একটি পাত্রে ঘি গরম করে তাতে চিকেন পিসগুলো মাঝারি আঁচে অল্প ভেজে তুলে রেখে দিতে হবে।

( ৩ ) এখন এই ঘি এর মধ্যে সব গরম মসলা, পেঁয়াজ বাটা, কাঁচা মরিচ বাটা, আদা, রসুন, ধনে, জিরা, সব গুড়া মসলা দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে । আধা কাপ পানি দিয়ে কষাতে হবে, কষানো হয়ে গেলে টক দই দিয়ে নেড়ে একটু পরে চিকেন পিসগুলো দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিতে হবে ।

( ৪ ) অল্প আঁচে রান্না করতে হবে আর মাঝে মাঝে মাংসের পিসগুলো উল্টে দিতে হবে । ঝোল কমে এলে মালাই বা ঘন দুধ দিয়ে নেড়ে দিতে হবে ।

( ৫ ) মাংস সিদ্ধ হয়ে আসলে সামান্য জাফরান রঙ অল্প পানিতে গুলে দিয়ে দিতে হবে । তারপর পেঁয়াজ বেরেস্তা, চিনি, আলু বোখারা, কিসমিস ও গোলাপ জল দিয়ে আরো ২০ মিনিট অল্প আঁচে দমে রাখতে হবে।

( ৬ ) রোস্টের পানি শুকিয়ে তেল উপরে উঠে এলে মাওয়া এবং ২ চা চামচ ঘি দিয়ে নেড়ে চেড়ে নামিয়ে ফেলুন ।

ছবি ও রেসিপি –  আফরুজা শিল্পী

জীবনকে সহজ করে দেখুন, বাঁচুন শান্তিতে!

$
0
0

জীবনটা মাঝে মাঝে বড্ড জটিল লাগে তাইনা? মনে হয় কিছুই আর সহজ নেই, সবকিছুতে কেমন তালগোল পাকানো অবস্থা। বিরক্তি এসে যায় তখন জীবন নিয়ে, নিজেকে নিয়ে। আমরা কিন্তু নিজেরাই জীবনকে অনেক ক্ষেত্রে কঠিন করে তুলি। সহজ জিনিষগুলো জটিল বানিয়ে দিই, সোজা পথ রেখে ঘুরপথে পা বাড়াই।

এগুলো মানুষের সহজাত স্বভাব। স্বভাবের বাইরে আমরা সহজে যেতে পারি না, তা ঠিক। তবে চাইলে আর চেষ্টা করলে সেই স্বভাবের উল্টোপথে গিয়ে কিছুই যে করা সম্ভব না, তা কিন্তু নয়। জীবনকে সহজ থাকতে দিতে চান তো নিজেকে সবকিছুতে সহজ করুন, নিজের চিন্তাভাবনা বেশি জটিল হতে দেবেন না। দেখবেন কতো সমস্যা আপনা-আপনিই মিটে যাবে!

খুচরো আনন্দে বাঁচতে শিখুন। ছোট ছোট ঘটনায় খুশি খুঁজে নিন। সবসময় বিশাল প্রত্যাশার চাপে হাতে থাকা আনন্দগুলোকে গলা টিপে মারবেন না। হতেই পারে জীবন নিয়ে অনেক উচ্চাশা আপনার। তার সবকিছু পূরণ হয়নি, হচ্ছে না, বা কখনো হবার উপায় নেই। তাই জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা জমা হয়েছে মনে। তাতে করে লাভটা কার হচ্ছে ভাবুন? ছোটবেলায় কতো তুচ্ছ জিনিষে মুগ্ধতা থাকে আমাদের, সেই দিনগুলি মনে করুন তো। কেনো বড় হতে হতে জীবনটাকে তুমুল একটা প্রতিযোগিতা বানিয়ে ফেলি, যেখানে হারজিত আমাদের জীবন-মরণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়? বড় বড় লক্ষ্য স্থির করে রাখি, সেগুলো পূরণ না হলেই ব্যাস নিজেদের ব্যর্থ বলে মেনে নিই, জীবনে আর কোন আনন্দ বাকি নেই সে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি! জীবনটা কি কেবলই বিশাল সব লক্ষ্যভেদী একটা খেলা? তা তো নয়!

আনন্দরা সামান্য জিনিষেই বাসা বাঁধে। প্রিয়জনের সাথে একান্তে কাটানো সময়, মা-বাবার জন্য কেনা উপহার, কোন অসহায় মানুষের একবেলার খাবারের দায়িত্ব, দূরে কোথাও ঘুরতে বেরিয়ে পড়া, অফিস-ফেরত টং দোকানের চা-আড্ডা, এসব হলো জীবনের আনন্দের উৎস। অফুরান খুশি পাবেন এই জীবনে, যখন বড় বড় স্বপ্নের পিছু না ছুটে জীবনকে এসব ছোট্ট ঘটনায় ভাগ করে দেবেন।

ক্ষমাশীল হওয়া যে সহজ তা বলবো না, তবে খুব শান্তির, এইটুক বলতেই পারি। বড় বড় বাজে ঘটনা যা আমাদের সাথে ঘটে, সেসব মন থেকে সহজে মোছার নয়। কিন্তু আমরা প্রায় সময় সামান্য সব বাজে ঘটনাও মনে চেপে রাখি। আমাদের সাথে একটু ভুল কিছু করা মানুষটাও হয়তো দিনের পর দিন ঘৃণার পাত্র হয়ে মনে থেকে যায়। অথচ ক্ষমা করে দেখুন তাকে, নিজের মন কতো হালকা হয়ে গেছে। আপনার ঘৃণায় তার কিছুই হবে না কিন্তু আপনার মনটা যে বিষিয়ে থাকছে, তা কি আপনার পক্ষে ভালো?

উদারতা ভুলে যাবেন না কখনো। উদার হবার মানে তো এই নয় যে নিজেকে সবকিছুতে বঞ্চিত করে রাখলেন, নিজের সব বিলিয়ে দিলেন অন্যকে। উদার হন দৃষ্টিভঙ্গীতে। যেকোন পরিস্থিতিতে অন্যদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে বিচার করার অভ্যাস রাখুন। আমার কথাই শেষ কথা, আমার ভাবনাই সঠিক, আমিই সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত নেয়ার যোগ্য এই রকম চিন্তাধারা থেকে থাকলে সেটা পাল্টান। দুনিয়ার সব বোঝা নিজের কাঁধে নেবেন তো জীবন একটু বেশি ভারী হবেই! উদার হন মানুষের প্রতি নিজের চিন্তাভাবনায়, দেখবেন জীবনও আপনার প্রতি উদার হচ্ছে।

সব মানুষের ভালো-মন্দ দুইটা দিকই থাকে। আমাদের সবচেয়ে প্রিয় মানুষটারও কিছু মন্দ বা অসুবিধাজনক ব্যাপার থাকে, থাকবেই। তারা আমাদের কাছের হয় বলে আমরা সেসব জিনিষ উপেক্ষা করে যেতে পারি। তবে কেনো এই কাজটা সবার জন্য করি না? কেনো আর মানুষদের খারাপ দিকগুলি বড় বেশি চোখে লাগে? একটু চেষ্টা তো করাই যায় সবারই খারাপটা রেখে ভালো দিকটা মনে রাখতে। তাতে কোন অসুবিধা না হলে তবে কেনো করবো না? আর কিছু হোক বা না হোক, অন্তত নিজের মধ্যে ইতিবাচক ভাবনা বেশি থাকবে যেটা মনের শান্তির জন্য খুব প্রয়োজনীয়।

ছবি – ফটোগ্রাফারস.ক্যানভেরা.কম

লিখেছেন –  মুমতাহীনা

কলিজা ভুনা

$
0
0

দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে!  গরম গরম ভাতের সাথে  কলিজা ভুনা খেতে দারুণ লাগে।বাড়িতে উপকরণগুলো থাকলে চট করে বানিয়ে ফেলুন মজাদার কলিজা ভুনা। রান্নার সুবিধার্থে দেখে নিন এর পুরো প্রণালী।

উপকরণ

  • (গরু বা খাসির) কলিজা ১/২ কেজি
  • পেঁয়াজ ১ কাপ
  • আদা বাটা ১ চা চামচ
  • রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ
  • পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ
  • মরিচ গুঁড়ো ১ চা চামচ
  • হলুদ গুঁড়ো ১/২ চা চামচ
  • জিরা বাটা ১/২ চা চামচ
  • ধনে গুঁড়ো ১ চা চামচ
  • লবন স্বাদমতো
  • দারুচিনি, এলাচ, লং একত্রে বাটা ১/২ চা চামচ
  • তেজপাতা ১ টি
  • পাঁচফোড়ন গুঁড়ো ১ চিমটি পরিমাণ
  • দারুচিনি টুকরো ৩ টি
  • জায়ফল ও জয়ত্রী বাটা ১/৩ চা চামচ
  • চিনি ১ চিমটি পরিমাণ
  • টালা জিরা গুঁড়ো ১/২ চা চামচ
  • তেল ৩ টেবিল চামচ

প্রণালী 

কলিজা ছোট ছোট টুকরো (১ ইঞ্চি লম্বা আর পাশে ১/২ ইঞ্চি) করে কেটে ভালো করে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। তাহলে রক্ত থাকবে না। তারপর একটি বাটিতে কলিজার টুকরোগুলো নিয়ে তারমধ্যে তেল, টালা জিরার গুঁড়ো,কেটে রাখা পেঁয়াজ বাদে বাকী সব উপকরণ/মশলা একসঙ্গে মেখে নিন। এবার একটা পাত্রে তেল গরম করে তারমধ্যে মশলা মাখানো কলিজাগুলো দিয়ে অল্প আঁচে নেড়ে কষাতে থাকুন।যতক্ষণ না কলিজার পানি শুকিয়ে তেল ওপরে ঊঠে আসে ততক্ষণ নাড়তে থাকুন। এ অবস্থায় কেটে রাখা পেঁয়াজ দিয়ে দিন, নেড়ে আরো ১৫ মিনিট রান্না করুন। এরপর টালা জিরার গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়ে আরো ৫ মিনিট পরে চুলা থেকে নামিয়ে নিন।গরম গরম কলিজা ভুনা পরিবেশন করুন।

 

ছবি  ও রেসিপি –  সায়মা সায়েদ

গুজরাটি সেলাই কৌশল

$
0
0

খুব সম্প্রতি সাজগোজ হাতের কাজের নানা কৌশল পিকটরিয়ালের মাধ্যমে শেয়ার করার প্রথম থেকে  গুজরাটি সেলাই কৌশল ধাপে ধাপে দেয়ার জন্য অনেকেই অনুরোধ করেছিলেন। তাই আজ আপনাদের সুবিধার্থে গুজরাটি সেলাইয়ের  সহজ এবং  ছবি দেখে দেখে  করতে পারেন তেমন একটি গুজরাটি সেলাই ফর্ম দেয়ার  চেষ্টা করা হল।

Kutch-Embroidery-basic-motif-Diamond-hand-embroidery-tutorials-1Kutch-Embroidery-basic-motif-Diamond-hand-embroidery-tutorials-2Kutch-Embroidery-basic-motif-Diamond-hand-embroidery-tutorials-3Kutch-Embroidery-basic-motif-Diamond-hand-embroidery-tutorials-4Kutch-Embroidery-basic-motif-Diamond-hand-embroidery-tutorials-6Kutch-Embroidery-basic-motif-Diamond-hand-embroidery-tutorials-7gujrat collage 7Kutch-Embroidery-basic-motif-Diamond-hand-embroidery-tutorials-9Kutch-Embroidery-basic-motif-Diamond-hand-embroidery-tutorials-10Kutch-Embroidery-basic-motif-Diamond-hand-embroidery-tutorials-11 (1)Kutch-Embroidery-basic-motif-Diamond-hand-embroidery-tutorials-12Kutch-Embroidery-basic-motif-Diamond-hand-embroidery-tutorials-13Kutch-Embroidery-basic-motif-Diamond-hand-embroidery-tutorials-14Kutch-Embroidery-basic-motif-Diamond-hand-embroidery-tutorials-15Kutch-Embroidery-basic-motif-Diamond-hand-embroidery-tutorials-16Kutch-Embroidery-basic-motif-Diamond-hand-embroidery-tutorials-17Kutch-Embroidery-basic-motif-Diamond-hand-embroidery-tutorials-18Kutch-Embroidery-basic-motif-Diamond-hand-embroidery-tutorials-19

ছবি –  প্যারেন্টসফোরাম.কম

নান, পরোটার সাথে দারুণ মজাদার হাড়ি কাবাব!

$
0
0

কাবাবের নাম শুনলেই  খেতে ইচ্ছে করে। আর এই হাড়ি কাবাব সামান্য গ্রেভি হওয়ার কারণে  নান রুটি, পরোটা কিংবা পোলাও দিয়ে খেতে খুব মজা লাগবে। তবে আর অপেক্ষা কেন! শিখে নেয়া যাক, কীভাবে তৈরি করা যায় হাড়ি কাবাব ।

উপকরণ

  • গরুর মাংস হাড় ছাড়া ১ কেজি
  • পেঁয়াজকুচি ৩ কাপ
  • দই ৪-৫ টেবিল-চামচ
  • আদাবাটা ২ টেবিল-চামচ
  • রসুনবাটা ১ টেবিল-চামচ
  • পেঁয়াজবাটা ১ টেবিল-চামচ
  • তেঁতুলের কাথ ২ টেবিল-চামচ
  • মরিচ গুঁড়ো  ২ চা-চামচ
  • জিরা গুঁড়ো  ২ চা-চামচ
  • হলুদ গুঁড়ো  ১ চা-চামচ
  • জায়ফল গুঁড়ো  চা-চামচের চারভাগের একভাগ
  • জয়ত্রি গুঁড়ো  আধা চা-চামচ
  • দারুচিনি গুঁড়ো  আধা চা-চামচ
  • গোলমরিচ গুঁড়ো  ১ চা-চামচ
  • এলাচি ৪-৫টি
  • লবঙ্গ ৫-৬টি
  • শুকনামরিচ ৩-৪টি
  • লবন স্বাদমতো বা ২ চা-চামচ
  • তেল আধা কাপ

প্রণালী 

- প্রথমে মাংস চিকন চিকন করে কেটে নিন। এরপর ধুয়ে নিয়ে এর সঙ্গে অর্ধেক পরিমাণ আদা ও রসুনবাটা, জিরা গুঁড়ো, তেঁতুল, শুকনামরিচ, দই আর লবণ দিয়ে মাখিয়ে রেখে দিন।

-  পেঁয়াজ ভাজুন বেরেস্তা করে।

- এবার জায়ফল, জয়ত্রি, দারুচিনি, লবঙ্গ, গোলমরিচ সব একসঙ্গে তেল ছাড়াই চুলায় একটু ভেজে নিন। তারপর পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে একটু নেড়ে মিশিয়ে দিন।

- প্যানে তেল দিয়ে পেঁয়াজ, রসুন ও আদাবাটা, মরিচ গুঁড়ো এবং লবন দিয়ে এক মিনিটের জন্য রান্না করুন। এবার গরুর মাংসে ভালো করে মসলা দিয়ে মাখিয়ে এক কাপ গরম পানি ঢেলে দিন। প্যান ঢেকে দিন।

- কিছুক্ষণ পর পর ঢাকনা উঠিয়ে দেখুন মাংস। মসলা যখন তেলের উপর উঠে আসবে তখন আগে করে রাখা বেরেস্তা-মসলার মিশ্রণ দিয়ে ৫ মিনিট দমে রাখুন।

- তারপর নামিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার হাড়ি কাবাব। 

ছবি ও রেসিপি –   সামিয়া’স হোম কিচেন 

Viewing all 3053 articles
Browse latest View live