Quantcast
Channel: Shajgoj
Viewing all 3053 articles
Browse latest View live

দারুণ মজাদার চিকেন পেটিস !

$
0
0

উপকরণ আর প্রণালী দেখে ভয় পেয়ে যাবেন না  যেন! মজাদার এই চিকেন পেটিসটি তৈরি করতে একটু ধৈর্যের  প্রয়োজন। তবে চলুন দেখে নিই কীভাবে তৈরি করতে হয় চিকেন পেটিস।


খামিরের রেসিপি জন্য

  • ময়দা ২ কাপ
  • বাটার ১ কাপ
  • বেকিং পাউডার ১/২ চা চামচ
  • লবন ১ ১/২ চা চামচ

পাফ খামির বানানোর নিয়ম

বাটারটা নরমাল টেম্পারেচারে ২/৩ ঘন্টা রেখে একটু নরম করে নিন। ময়দা, বেকিং পাউডার, লবন আর ১/২ কাপ ঠান্ডা পানি মিশিয়ে মথে নিন। ভাল করে মথে নিয়ে খামিরটা ১৫ মিনিট ভিজা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। ১৫ মিনিট পর পিড়িতে ময়দা ছিটিয়ে ১/৪ সে.মি. পুরু করে বেলে নেবেন। মাঝখানে বাটার সবটা রাখুন এবং সমান ভাবে চারিদিকে ছড়িয়ে দিন। যেন কিনারায় ১ ইঞ্চি পরিমান খালি থাকে। এবার পরোটার মত চার ভাজ করে নিন। তারপর একটা বর প্লেটএ কাপড় দিয়ে ঢেকে অথবা ফোয়েল পেপার দিয়ে মুরে নিয়ে রেফ্রিজারেটরে রেখে দিন। ঠান্ডা জায়গায় রাখলেও হবে। আবার ১৫ মিনিট পরে রেফ্রিজারেটর থেকে খামির নামিয়ে পিড়িতে ময়দা ছিটিয়ে তার উপর রাখুন। খামির শক্ত হলে বেলনি দিয়ে পিটিয়ে বড় করুন এবং আবার বেলে নিয়ে আগের মত শুধু ভাজ করুন। আবার রেফ্রিজারেটরে রাখুন। ১৫ মিনিট পর আবারও একইভাবে পিটিয়ে বেলে বড় করে নিন। এবার ৮ ভাজ করুন এবং শেষবারের মত রেফ্রিজারেটরে রেখে দিন। কমপক্ষে ১-২ ঘন্টা রাখতে হবে এবং তারপর থেকে যে কোনো সময় বানাতে পারেন। এই খামির দিয়ে,বীফ প্যাটিস, চিকেন প্যাটিস, ক্রীমরোল ইত্যাদি তৈরী করতে পারেন।

পুর বানানোর জন্য রেসেপি

  • চিকেন কিমা ৩ পাউন্ড
  • পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ
  • আদা/রসুন একসাথে ব্ল্য্যান্ড করা ১ চা চামচ
  • লবন ১ চা চামচ
  • গরম-মসল্লা পাউডার ১/২ চা চামচ
  • ধনে ১/২ চা চামচ
  • জিরা ১/২ চাচামচ
  • চাট-মসল্লা ১ টেবিল চামচ
  • কাঁচা-মরিচ ৫/৬ টা
  • ধনেপাতা ১/২ কাপ
  • পেঁয়াজ বেরেস্তা ১/২ কাপ
  • বাটার অথবা তেল ৩ টেবিল চামচ
  • একটা বড় ডিম (ব্রাশ করার জন্য)

পুর তৈরী নিয়ম

কড়াইতে বাটার বা তেল গরম করে পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে ব্রাউন করে ভাজতে হবে। সব মসল্লা দিয়ে একটু ভেজে সামান্য একটু পানি দিন একটা বলগ আসতে দিন। চিকেন কিমাটা দিয়ে ভাল করে নাড়তে থাকতে হবে .. যেন জমাট বেধে না যায়। ৩/৪ মিনিট পর ধনেপাতা দিয়ে আবারও ৩/৪ মিনিটের জন্য ঢেকে রেখে দিন অল্প আচে। ওভেনে ২০০ সে: তাপ দিন। খামির একটু নরম করে নিয়ে ১/২ সে.মি. করে বেলে পরটার মত স্কুয়ার (৬ x ৬সে.মি.) করে কেটে নেবেন। প্রতিটা টুকরার কিনার ফেটানো ডিম ব্রাশ করে দিন এবং মাঝখানে ১ টেবিল চামচ পুর দিয়ে অর্ধেকটায় একটু ছড়িয়ে দিন।তারপর টুকরোটার বাকি অর্ধেকটা টেনে এনে পুর ঢেকে দিন.তারপর সব গুলাতে ডিম ব্রাশ করে দিন ,১৮০ ডিগ্রী তে প্রি হিট ওভেন এ ১৫ থেকে ২০ মিনিট বেক করে নিন।

ছবি ও রেসিপি - সামিয়া’স হোম কিচেন 


ভালোবাসার মানুষের চোখে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলতে কিছু মেকাপ টিপস

$
0
0

পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মত আমাদের দেশে ও ভালোবাসা দিবস এখন একটি সার্বজনীন অনুষ্ঠান হিসেবে উদযাপিত হচ্ছে। মাঝবয়সী থেকে শুরু করে টিন-এজার, কলেজ, ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলে-মেয়ে সবাইকেই দেখা যায় প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে রিকশা করে ঘুরে বেরাতে, কিংবা রেস্টুরেন্ট এ একসাথে খাওয়া দাওয়া করতে অথবা বন্ধু-বান্ধব মিলে মজা করতে। মেয়েদের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ দিন মানেই হচ্ছে একটু বিশেষ ভাবে সাজগোজ, একটু অন্যরকম ভাবে নিজেকে উপস্থাপন করার প্রবনতা। কিন্তু এর জন্য কত রকমের ঝক্কি- ঝামেলা যে পোহাতে হয় তা কেবল একটি মেয়ে ই জানে। আর তাই ভালোবাসা দিবসে নিজেকে ভালোবাসার মানুষের চোখে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে আজকে আমার তরফ থেকে সব আপুদের জন্য রইল কিছু টিপস। আশা করছি আপনাদের সবার ভালো লাগবে এবং উপকারে আসবে।

11041719_1048865761797482_4166729730464828632_n

আমাদের দেশে একটি প্রচলন দেখা যায় যে ভালোবাসা দিবসে প্রায় সবাই লাল টাইপের ড্রেস পরে। আমার মনে হয় ভালোবাসা ব্যাপারটার সাথে গাড় নীল রঙ কিংবা শুভ্র সাদাটা ও খুব ভালোভাবে মানিয়ে যায়। তাই আপনারা যদি নিজেকে একটু ডিফ্রেন্ট লুকে সাজাতে চান নীল বা সাদা এই দুটো রঙ রাখতে পারেন আপনাদের পোশাক নির্বাচনের তালিকায়। পোশাক নির্বাচনের পরের ধাপ ই হল সাজগোজ বা মেকাপ।

এক্ষেত্রে প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে পোশাকের রঙ কী সেটা এবং আপনি সকাল এ বের হচ্ছেন না সন্ধ্যায়। সকাল এ বের হলে খুব হালকা বেস মেকাপ নিয়ে স্কিন কালার বা ন্যুড কালার কিংবা অন্য যে কন হাল্কা কালারের লিপস্টিক ইউজ করে আপনার মেকাপ কমপ্লিট করতে পারেন। যারা মেকাপের ক্ষেত্রে একেবারেই অনভিজ্ঞ তাদের জন্য বলছি বেস মেকাপ নিতে প্রথমে মুখ ভালো করে পরিস্কার করে একটু টোনার লাগিয়ে নিতে হবে। তারপর প্যান সটীক মুখে, ঘাড়ে, চোখের নিচে খুব ভালো করে হাত দিয়ে চেপে চেপে লাগাতে হবে।

যদি কারো মুখে ব্রণের দাগ বা গর্ত থাকে সেখানে একটু বেশি পরিমাণে লাগিয়ে নিয়ে হাত দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর একটু সময় দিতে হবে মেকাপটা যাতে স্কিন এ মিশে ভালোমত। এরপর পাফটা একটু ভিজিয়ে নিয়ে প্যান কেক  লাগিয়ে নিন আপনার গায়ের রঙের শেড এর সাথে মিলিয়ে। যদি আপনি চান মেকাপটা একটু দীর্ঘস্থায়ী হোক এবং থাকুক অনেকক্ষণ ফ্রেশ তাহলে আপনি আপনার রেগুলার ফেসপাওডার ভালো করে মুখে, ঘাড়ে বুলিয়ে নিন। যাদের খুব বেশি মাত্রায় তৈলাক্ত ত্বক  তাদের ক্ষেত্রে এটা খুব কাজে দেয়। এবার চোখে শেডের লাগিয়ে আইলাইনার বা কাজল দিয়ে সুন্দর করে চোখটা এঁকে নিন। আইব্রো পেন দিয়ে ব্রুটা একটু শেপ করে নিন। গালের মাঝ বরাবর থেকে কান পর্যন্ত খুব হাল্কা শেডের কোন ব্লাশন দিয়ে নিন। এতে করে ফেসটা শার্প লাগে দেখতে। এবার বাকী রইল শুধু লিপস্টিক। দিনের বেলা হলে হাল্কা কোন কালার আর সন্ধ্যা হলে গাড় কোন কালার এর আপনার পছন্দমত লিপস্টিক দিন।

মুখের সাজ তো হয়ে গেল এখন বাকী রইল চুল। আপনি সালোয়ার কামিজ পরলে চুল খোলা রাখতে পারেন। এতে কেজুয়াল একটা লুক আসবে। আর যদি শাড়ী পরেন তাহলে হাত খোঁপা করে একপাশে গুঁজে দিতে পারেন একটি বা দুটি জারবেলা। আর হ্যাঁ শাড়ী পরলে কপালে একটা টিপ দিতে কিন্তু একদমই ভুলবেন না।

এইতো হয়ে গেল খুব অল্প সময়ে খুব সিম্পল একটি সাজ যা আপনাকে করে তুলবে অন্যান্য দিনের চেয়ে একটু বেশীই সুন্দর।

ভালোবাসা দিবসের মত আপনার জীবনের প্রতিটি দিন ই হয়ে উঠুক ভালোবাসাময়…

লিখেছেন – রিভা খান

মডেল – সাবিনা রিমা

ছবি – মর্তুজা আলম

পুরনো গয়নায় আনুন নতুন রূপ!

$
0
0

সাধের গয়না, আলমারিতে তুলে রাখা আছে ঠিকই কিন্তু সময়ের সাথে সাথে হারিয়েছে ব্যবহারের উপযোগিতা। ভাবেন আবার যদি এই গয়নাটা পরতে পারতেন কখনো! প্রিয় জিনিষ বলে কথা, মায়া কাটানো মুশকিল। খানিক কৌশল খাটিয়ে পুরনো বা বাতিল গয়নার চেহারা পাল্টে নিচ্ছেন না কেনো তবে? নতুন রূপে ঠিকই আবার পরতে পারবেন সেই জিনিষগুলো। দরকার কেবল একটু বুদ্ধি, কিছুটা সময় আর আপনার ধৈর্যের।

পুরনো কাঠের চুড়িকে ঘরে থাকা নেইলপলিশ দিয়েই রাঙিয়ে নিন।চুড়িগুলো কাপড় দিয়ে মুছে পরিষ্কার করে ফেলুন আগে। তারপর নেইলপলিশের রঙে ইচ্ছে মতো রাঙাতে থাকুন। নেইলপলিশের ব্রাশটাই ব্যবহার করতে পারেন রঙের চওড়া স্ট্রোক বা প্রলেপ দেয়ার সময়। চুড়িতে সূক্ষ্ম নকশা করার ইচ্ছে থাকলে চিকন তুলি কাজে লাগান।

il_340x270.554782027_lnch

চুড়ির রঙের বিপরীত রঙ বাছুন নেইলপলিশে। অল্প দামের নেইলপলিশ কিনেও নিতে পারেন, তাতে পুরোপুরি মনের মতন রঙের নকশা করতে পারবেন চুড়িতে। সবুজ রঙের চুড়ি হলে নেইলপলিশে বেছে নিন গোলাপি, কমলা, লাল এসব রঙ। তেমনি গোলাপি রঙের চুড়িতে হলুদ, বেগুনি, সবুজ এমন রঙগুলো ভালো মানাবে। সহজ উপায়ে নকশা করতে চাইলে কিছু প্যাটার্ন বা ধরন ঠিক করে নিতে পারেন। যেমন, পুরো চুড়িতে পাশাপাশি একেকটা রঙ দিয়ে গেলেন। এমন দাগকাটা নকশা হতে পারে অনেক রঙের। আবার ছোপছোপ করেও নেইলপলিশটা লাগানো যায় চুড়িতে। যেমন খুশি তেমন একেকটা নেইলপলিশ এলোমেলো করে লাগিয়ে নিন পুরো চুড়িতে।স্বছ নেইলপলিশ দিয়ে কাজের শেষে পুরো চুড়িতে সমানভাবে রঙ করে নিন স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য।

মাটির বা কাঠের মালা, কানের দুলেও ঠিক এমন করেই নেইলপলিশের নকশা করা যায়। খুব সাদামাটা কোন গয়নার গায়ে মানানসই একটা রঙের নেইলপলিশে ছোট্ট নকশা এঁকে দিতে পারেন। একরঙা কোন পুতির মালায় অন্য রঙ যোগ করতেও কাজে লাগাতে পারেন পুরনো নেইলপলিশ। মলিন হয়ে আসা পুরনো গয়নাগুলো এমন নতুন চেহারায় খারাপ লাগবে না অবশ্যই।

yellow_millefiori_pendant

রেশমি সুতোর গাছিতে পুরনো ধাতব চুড়ি মুড়িয়ে নিয়ে ভিন্ন মাত্রা আনা যায়। ইচ্ছে অনুযায়ী রঙের কয়েক গাছি রেশমি সুতো লাগবে কেবল। চুড়ি সম্পূর্ণ ভাবে একগাছি সুতোয় পেঁচিয়ে নিন, চাইলে কয়েক রঙের কয়েক গাছি সুতো মিলিয়ে নিতে পারেন আপনি। গিঁটটা দিন সাবধানে, খুব নিপুণ ভাবে যাতে বাড়তি অংশের সুতো দেখা না যায়। অব্যবহৃত পুরনো চুড়ি এবার নতুন করে পরা হবে নিশ্চয়ই!

পছন্দের ঝুমকো জোড়ার একটা হারিয়ে গেছে, বা নষ্ট হয়ে গেছে। পরা যাবে না আর। দুল থেকে তবে অন্য গয়নাই বানিয়ে ফেলুন! একটা দুলের ঝুমকোর অংশটা খুলে নিন। এবার গলার কোন মালা বা চেইনে সেটাকে লকেট বানিয়ে ফেলুন, আর কী লাগে! চাইলে সুতোর মাঝে ঢুকিয়েও হার বানাতে পারেন। সাদা, লাল, সবুজ এমন গাঢ় রঙের পাথরের ঝুমকো হলে কালো সুতোর হারে চমৎকার লাগবে কিন্তু। একই জিনিষ কাজে লাগাতে পারেন টিকলি হিসেবে। টিকলির উপযোগী চেইন কিনে এক মাথায় ছোট দুলের ঝুমকো জোড়া লাগিয়ে নিজের টিকলি তৈরি করে নিতে পারেন চাইলেই।

লিখেছেন – মুমতাহীনা মাহবুব

ছবি – ফ্লিকার.কম

পিৎজা পিন হুইল

$
0
0

আজকের রেসিপি আয়োজনে রয়েছে দারুণ সুস্বাদু  পিৎজা পিন হুইল। চলুন তবে দেখে নিই, পিৎজা পিন হুইলের পুরো প্রণালী।

উপকরণ 

  • ময়দা আড়াই কাপ
  • ইস্ট দেড় চা-চামচ
  • লবণ আধা চা-চামচ
  • চিনি ১ টেবিল-চামচ
  • গুঁড়াদুধ ২ টেবিল-চামচ
  • গলানো মাখন ৩ টেবিল-চামচ
  • কুসুম গরম পানি পরিমাণ মতো

পিৎজার ফিলিংয়ের জন্য:

  • চিকেন সসেজ কুচি করা ২,৩ টি
  • পেঁয়াজকুচি৩ টেবিল-চামচ
  • ক্যাপসিকাম কুচি ছোট ১টি
  • তেল ১ টেবিল-চামচ
  • টমেটো কুচি করা মাঝারি ১টি
  • টমেটো সস ৪ টেবিল-চামচ
  • ড্রাই অরিগানো ১ চা-চামচ
  • মোৎজরেলা চিজ ঝুরি করা আধা কাপ

12713962_660757284064773_1007456246_n

 

প্রণালী 

প্রথমে একটা বড় বাটিতে ময়দা, লবণ, চিনি, ইস্ট, গুঁড়াদুধ ও গলানো মাখন মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর পরিমাণ মতো কুসুম গরম পানি দিয়ে একটু নরম ডো বা খামির তৈরি করে হাত দিয়ে পাঁচ-ছয় মিনিট ভালো করে ময়ান করতে হবে। পিৎজার এই ডোয়ের উপরে অল্প তেল মাখিয়ে ঢেকে, গরম জায়গায় এক ঘণ্টা রাখতে হবে ফুলে ওঠার জন্য। পিৎজার খামির ফুলে উঠলে হাত দিয়ে চেপে ভেতরের বাতাস বের করে হালকা ভাবে একটু ময়ান দিয়ে নিন।

একটা প্যানে এক টেবিল-চামচ তেল দিয়ে এর মধ্যে চিকেন সসেজকুচি, পেঁয়াজকুচি ও ক্যাপসিকাম-কুচি দিয়ে মাঝারি আঁচে দু তিন মিনিট ভেজে নামিয়ে ঠাণ্ডা করতে হবে। পুরো খামির দিয়ে একটা বড় এবং আয়তাকার রুটি বেলতে হবে। পুরো রুটির উপরে টমেটো সস ছড়িয়ে দিন। সসের উপরে ভাজা চিকেন সসেজ, সবজি, টমেটো-কুচি, মোৎজারেলা চিজ ছড়িয়ে দিন।তারপর এই রুটির একপাশ থেকে মুড়িয়ে জ্যাম রোলের মতো করে রোল করুন আস্তে আস্তে। রোলটি একটি ধারালো ছুরি দিয়ে এক ইঞ্চি মোটা করে চাক চাক করে কাটুন। এখন একটা বেকিং ট্রে তে অল্প করে শুকনা ময়দা ছিটিয়ে দিয়ে রোলের টুকরাগুলো একটু দুরে দুরে রাখুন। ইলেকট্রিক ওভেন ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় প্রিহিট করুন ১০ মিনিটের মতো। এখন পিৎজরোলগুলোর ওপরে গলানো মাখন ব্রাশ করে দিন। তারপর প্রতিটির ওপরে কিছু অরিগানো, ও দুই টেবিল-চামচ ঝুরি করা চিজ ছড়িয়ে দেবেন।ওভেনের মাঝের র‍্যাকে রেখে ২০ থেকে ২৫ মিনিট বেইক করুন। উপরে হালকা বাদামি রং হলে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন পিৎজা পিন হুইল।

ছবি ও রেসিপি - সামিয়া’স হোম কিচেন 

আপনি কি কাজের প্রতি আগ্রহ ফেলেছেন?

$
0
0

“জব স্যাটিসফ্যাক্সন” বলে একটা শব্দ এখন বুঝি বইয়ের পাতাতেই পাওয়া যায়। বন্ধুর সঙ্গে আড্ডা দিতে বসলেই প্রথম কথা, “ আজকাল অফিস যেতে আর ভালো লাগে না”। হয়তো অন্য কোথাও চাকরি করতে পারলে ভালো হত। এর মানেই হচ্ছে আপনি ঐ কাজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। উপরন্তু বেশির ভাগ মেয়েদের বেলায়ই চাকরিটা করতে হয় সংসার সামলে। তাই দেখা যায়, একটা পর্যায়ে অনেকেই মোটিভেটশন হারিয়ে ফেলেন। এভাবে দিনের পর দিন কাজ না করে আনন্দ না পেলে কিন্তু প্রোডাক্টিভিটি কমে যায়। এই অবস্থায় নতুন করে আবার পুরনো কাজকেই ভালো লাগাতে হবে।

১) পরের দিনের কাজগুলোকে একটা টার্গেট হিসেবে নিন। একটা নোট করে রাখুন কী কী করবেন। সেগুলো শেষ না করে উঠবেন না। খুব বড় টার্গেট নেবেন না প্রথমেই। টার্গেট পূরণ হলে আবার সেই পুরনো আমেজ ফিরে আসবে।

frustrated with job

২) নতুন কাজ হাতে নিন। যেমন মাস শেষের প্রেজেন্টেশান হয়তো আপনার বসই করে থাকেন, আপনি হয়তো সেটাতে সাহায্য করেন। এবার সেটা নিজেই করে ফেলুন। তাতে আপনার আত্মবিশ্বাসও বাড়বে , সেই সাথে আপনার বস ও খুশি হবেন। তবে একটা ব্যাপার খেয়াল রাখবেন। যে কাজটি আপনি করলেন তার স্বীকৃতি যেন আপনিই পান, অন্য কেউ নয়।

৩)  কাজের ক্ষেত্রে অন্যদের সাহায্য করুন । তবে লক্ষ্য রাখবেন আপনার বেশি কাজ করার প্রবণতা কে কেউ যেন তাদের স্বার্থে না লাগায়। অন্য কেউ তাদের কাজের ভার আপনাকে দিলে যথাসম্ভব বিনয়ের সাথে না করে দিন।

৪) জব পলিটিক্স বা সেক্সুয়াল হ্যারাসমেনট কাজের প্রতি আগ্রহ তো কমিয়ে দেয়ই, সেই সেই সাথে মানসিকভাবে আপনাকে দুর্বল করে দেয়। সমস্যার কথা চেপে না রেখে  অফিস কর্তৃপক্ষকে জানান। মনে রাখবেন, যেখানে আপনি কোন অন্যায় করেন নি, সেখানে আপনার ভয় বা লজ্জা পাবার কিছু নেই।

৫) মাঝে মাঝে আপনার পুরনো কোন সাফল্যের কথা মনে করুন। কীভাবে কঠিন কাজগুলো শেষ করেছিলেন। এতে করে নিজের পুরনো আত্মবিশ্বাস অনেকখানি ফিরে আসে।

office politics

৬) টাইম ম্যানেজমেন্ট করুন। আপনি যখন কোন কাজ করছেন, কোনভাবেই সেটা থেকে যেন আপনার মনোযোগ না সরে যায় সেটা খেয়াল রাখুন। অন্য কেউ যেন আপনার কাজের বা চিন্তা করার সময়টাতে ব্যাঘাত না ঘটায় সেদিকেও খেয়াল রাখুন।

৭) মাঝে মাঝেই আপনার সহকর্মীদের ধন্যবাদ দিন, তাদের কাজের প্রশংসা করুন, কেন প্রশংসা করছেন সেটাও বলুন। এতে তারা খুশি হবেন এবং অন্যকে  খুশি করার চাইতে ভালো অনুভূতি আর কিচ্ছু নেই। পাশাপাশি এতে আপনার কাজের পরিবেশ ভালো থাকবে। তারাও আপনার প্রতি পজিটিভ থাকবেন।

৮) কাজের ক্ষেত্রে শত্রুতার মনোভাবের মত ক্ষতিকর আর কিছু নেই। কেও সেরকম আচরন করলে শুরুতেই এগ্রেসিভ আচরন করবেন না। তার অবস্থান, তার সমস্যা বোঝার চেষ্টা করুন। সম্ভব হলে সাহায্য করুন। তবে তিনি যদি আপনার ক্ষতি করার উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করেন, সেক্ষেত্রে সুকৌশলে পদক্ষেপ নিন।

saree in office

৯) রোবটের মত কাজ করবেন না। লাঞ্চের সময়টাতে কলিগদের সাথে আড্ডা দিন। আপনি আর আপনার স্বামীর কাজের জায়গা এক হলে বা কাছাকাছি হলে দুজনে একসঙ্গে লাঞ্চ সেরে নিন। বা ছোট্ট কফি ব্রেকে কোন বন্ধুকে ফোন করুন। এই কয়েক মিনিটের আলাপ কয়েক ঘণ্টার স্ট্রেস কমিয়ে দিতে সক্ষম।

১০) এক জায়গায় বসে সারাদিন কাজ করবেন না। এতে করে বিরক্তি চলে আসবে। তবে সেটা এমনভাবে করবেন যাতে তা অন্য কারোর বিরক্তির কারণ হয়ে না দাঁড়ায়।

১১) যখনই সময় পাবেন ইন্টারনেটে পড়াশোনা করুন, বিভিন্ন আর্টিকেল পড়ুন, নিউজ দেখুন। অর্থাৎ নিজের জানার পরিধি বাড়ান। এটা আপনাকে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।

১২) Look good to feel good. প্রতিদিন কোনরকম নিজকে গুছিয়ে নিয়ে দৌড়ে অফিস যাবেন না। হালকা সাজগোজ, সামান্য পারফিউম, আপনার পুরো মুডটাই বদলে দেবে। প্রতিদিন আটপৌরে শাড়ি না পড়ে একদিন একটু পছন্দের তুলে রাখা শাড়িটা পড়ুন। ভালো লাগবে।

ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

লিখেছেন – মাহবুবা বীথি

ছবি –  র‍্যান্ড.কম, দিজার্নাল.ইআই

পোলাও কিংবা ভাতের সাথে দারুন মজাদার চিংড়ি মালাইকারী

$
0
0

বাড়িতে মেহমান আসবে!  কারি আইটেম হিসেবে রাখতে পারেন চিংড়ি মালাইকারী। অনেকেই হয়ত জেনে থাকবে চিংড়ি মালাইকারী রান্না করার পদ্ধতি তবে যারা জানেন না আজকের রেসিপি তাদের জন্য। চলুন দেখে নিই, কীভাবে তৈরি করতে হয় চিংড়ি মালাইকারী।

উপকরণ 

  • বড় চিংড়ি ১০ টি (ধুয়ে বেছে নেয়া )
  • সবুজ কাঁচা মরিচ ৫ টি
  • হলুদ গুঁড়ো আধা চা-চামচ
  • মরিচ গুঁড়ো ১ চা-চামচ
  • লবণ আধা চা-চামচ অথবা স্বাদ অনুযায়ী
  • চিনি ১ চা-চামচ
  • নারকেলের দুধ ২ কাপ
  • জিরা বাটা ১ চা-চামচ
  • আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
  • রসুন বাটা – আধা চা চামচ 
  • ধনেগুঁড়ো আধা চা-চামচ
  • পেঁয়াজ কুচি -কাপ
  • সয়াবিন তেল আধা কাপ
  • এলাচ- ২/৩ টি 


প্রণালী 
চিংড়িতে সামান্য লবণ ও হলুদ মাখিয়ে নিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন। ফ্রাইপ্যানে তেল গরম করে মাছগুলো ভেজে তেল থেকে উঠিয়ে রাখতে হবে। একই তেলে পেঁয়াজ কুচি হালকা করে ভেজে এতে এলাচ হলুদ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, লবণ, জিরা বাটা, আদা বাটা,রসুন বাটা , ধনেগুঁড়ো ও ১ কাপ নারকেলের দুধ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিতে হবে। এরপর ভেজে রাখা চিংড়ি দিয়ে ভালো নেড়ে বাকি ১ কাপ নারকেলের দুধ দিয়ে দিন। চিনি, কাঁচা মরিচ দিয়ে চুলার আঁচ কমিয়ে দমে রাখুন ১০ মিনিট। ঝোল মাখা মাখা হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন।পোলাউ কিনবা সাদা ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।

ছবি ও রেসিপি - সামিয়া’স হোম কিচেন 

পরিবারে বড় মেয়ে? জেনে নিন ছোট ভাই/বোনের প্রতি আপনার দায়িত্বগুলো!

$
0
0

একটি পরিবারে বড় বোন মানেই হচ্ছে বাড়তি দায়িত্ব। বড়ভাই বা বোনের দায়িত্বই হচ্ছে ছোটভাই/বোনদের একমাত্র বন্ধু হওয়া। মাঝে মাঝে এই কাজটি হতে পারে আপনার জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু অল্প কিছু টিপস ফলো করেই কিন্তু আপনি আপনার পরিবারে বড় সন্তান হিসেবে ভাইবোনদের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য ঠিকমত পালন করতে পারেন। লেখার নিচের অংশে টিপসগুলো নিয়ে আলোচনা করলাম –

 

১. আপনার ভাই বোনের সাথে সময় ব্যয় করুন। এখনকার দিনে দেখা যায় অনেক পরিবারে ভাই বোন দের মধ্যে একধরণের দূরত্ব কাজ করে। কাজ শেষ করে সবাই নিজ নিজ কাজ নিয়ে ব্যস্ত্ থাকে এবং কেউ কারো খোঁজ নেয়না যার কারনে এই দূরত্ব বাড়তে পারে। একজন বড় বোন হিসেবে আপনার দায়িত্ব হবে সবার আগে আপনার ছোট ভাই/বোন এর খবর নেয়া। তার সাথে সময় ব্যয় করার চেষ্টা করুন। তার সাথে খেলুন, মুভি দেখুন, বই পড়ুন এবং আনন্দে কিছু সময় কাটান।

 

২. নিজের মধ্যে শোনার মত মনোভাব গড়ে তুলুন। ছোট শিশুরা কথা বলতে খুব ভালোবাসে। আর যে তার কথা শোনে তাকে সে সবচাইতে বেশি পছন্দ করে। তাই বড় বোন হিসেবে আপনি যদি আপনার ভাই/বোন এর সবচাইতে প্রিয় মানুষ হতে চান তাহলে ধৈর্য্য ধরে তার কথাগুলো শোনার অভ্যাস গড়ে তুলুন। সে যাই বলুক, মনোযোগ দিয়ে শুনুন, তাকে আরো বলতে উৎসাহ দিন। এতে সে আপনার প্রতি আকৃষ্ট হবে এবং আরো কথা বলতে চাইবে।

 

৩. তাদেরকে উদাহরণের সাথে শৃঙ্খলা শেখানোর চেষ্টা করুন। পরিবারে আপনার যদি একাধিক ছোট ভাই/বোন তাহলে অনেক সময় তারা মারামারি বা ঝগড়া করতে শুরু করে। এটা স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে বড় বোন হিসেবে আপনি তাদের ধমক না দিয়ে কাছে ডেকে ঠান্ডা মাথায় বোঝানোর চেষ্টা করুন কেন ঝগড়া করা জিনিসটা খারাপ। দরকার হলে অভিযোগ শুনুন, তারপর সেটা খুব সহজে সমাধান করুন। এতে আপনার প্রতি তাদের নির্ভরতা বেড়ে যাবে অনেকগুণ।

 

৪. বাবা মা কে সাহায্য করুন। ভাই বোন বেশি ছোট হলে তার উপর সার্বক্ষণিক নজর রাখা লাগে। একসময় আপনার বাবা মা ক্লান্ত হয়ে যেতে পারেন। এক্ষেত্রে পরিবারের বড় মেয়ে হিসেবে আপনি আপনার ছোট ভাই বোনের কিছুক্ষণের জন্য দেখাশোনা করতে পারেন। এতে পরিবারে আপনার প্রতি নির্ভরতা বাড়বে। আপনিও আপনার ভাইবোনের কাছে পছন্দের হয়ে উঠবেন।

 

৫. ছোট ভাই/বোনের প্রতি দায়িত্বগুলো আলাদা করে বুঝে নিন। আপনি যদি বুঝতে পারেন আপনার ভাইবোনের প্রতি আপনার দায়িত্ব কতটুকু বা কিরকম তাহলে সেই অনুসারে আপনি কাজ করলে সহজেই তাদের সাথে মানিয়ে নিতে পারবেন।

 

৬. শুধুমাত্র আপনিই তাদের জন্য না করে বরং তাদেরকেও আপনার জন্য কিছু করতে দিন। শিশুরা বড় কাউকে কিছু উপহার দিতে, বা কোন কাজে নিজের ইচ্ছায় সাহায্য করতে পছন্দ করে। তাই সে যদি আপনার জন্য কিছু করতে চায়, সেটা তার জন্য ক্ষতিকারক না হলে তাকে করতে দিন। এতে বন্ধন আরো দৃঢ় হবে।

 

৭. আপনার সাথে আপনার ভাই বোন এর তুলনা করবেন না। এতে তারা হতাশ হয়ে পড়তে পারে। তাদেরকে যত বেশি সম্ভব উৎসাহ দিন। আপনি যা পারেন সে তা নাও পারতে পারে, কিন্তু সেই কারণে মন খারাপ করে যাতে তারা যেটা ভালো পারে সেটাতে দক্ষতা নষ্ট না হয় তা খেয়াল রাখুন।

 

৮. আপনার ভাই/বোন এর জন্য একটি উদাহরণ হোন যা তাদেরকে ভালো হতে সাহায্য করবে। তাদের সামনে উত্তেজিত হবেন না, রাগ দেখাবেন না।

 

৯. আপনার ছোট ভাই বোন আপনাকে অনেক কাছের মনে করে। তাই আপনি যা বলবেন তাই তারা শুনবে। এদিক থেকে চিন্তা করে আপনি তাদেরকে পড়ানোর চেষ্টা করুন। এতে তারা পড়ায় মনোযোগী হবে।

 

১০. শিশুরা অবুঝ। তাই মাঝে মাঝে তারা আপনার সাথে জেদ করতে পারে, বা যেটা করা উচিত নয় এমন কাজ করতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি বাবা মায়ের সাহায্য নিন।

 

উপরের এই সাধারণ ব্যাপারগুলো মেনে চললে আপনি আপনার ভাই বোনের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্যগুলো পালন করতে শিখে যাবেন। এতে পরিবারে আপনার গুরুত্ব যেমন বৃদ্ধি পাবে, তেমনি আপনার ভাইবোনের কাছেও আপনার গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।

 

লিখেছেন – ফরহাদ রাকিব

ছবি –  ফটোগ্রাফারস.ক্যানভেরা.কম

নো বেক লেয়ার চিজ কেক

$
0
0

আজকের রেসিপি আয়োজনে রয়েছে  নো বেক লেয়ার চিজ কেক ! জি ঠিকই শুনেছেন কন রকম বেক করা ছাড়াই এই কেক তৈরি করতে পারবেন। কাজেই যারা কেক তৈরি করতে গিয়ে পুরিয়ে ফেলেন তাদের জন্য পারফেক্ট রেসিপি।

উপকরণ

  • ডাইজেস্টিভ বিস্কুট৩০ ৪০ টা
  • ক্রীমচীজ-২কাপ
  • হেভী ক্রিম-২কাপ
  • চিনি-১কাপ
  • কোকো পাউডার-২টেবিল চামচ
  • বাটার ৪টেবিল চামচ
  • চিজকেক প্যান

প্রণালী 

ক্রীমচীজ,হেভী ক্রিম,চিনি একসাথে বিট করুন একদম ক্রীমি টাইপ হওয়া পর্যন্ত। এখন এই মিশ্রণটি দুইভাগে ভাগ করুন একভাগের সাথে কোকো পাউডার মিক্স করে চকোলেট ক্রীম বানিয়ে নিন। ডাইজেস্টিভ বিস্কুট গুড়া করে নিয়ে বাটার দিয়ে মাখিয়ে নিন। এখন কেক প্যানে এক লেয়ার বিস্কুট গুড়া সমান করে বিছিয়ে দিন। এর উপর এক লেয়ার চকোলেট ক্রীম চিজ দিন। তার উপর আবার এক লেয়ার হোয়াইট ক্রীম চিজের মিশ্রণ দিন। এভাবে পুরো কেক প্যানটি ফুল না হওয়া পর্যন্ত লেয়ার দিন। এইবার কেক প্যানটি ফ্রীজে রেখে দিন সারারাত অথবা ৭ থেকে৮ ঘন্টা তারপর সারভিং ডিশে নিয়ে ইচ্ছামতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার নো বেক লেয়ার চিজ কেক ।

ছবি ও রেসিপি - সামিয়া’স হোম কিচেন 


একদিনে ঢাকার আশেপাশেই ঘুরে আসার মতো মনোরম ৫টি জায়গা

$
0
0

বাংলাদেশে যারা ঢাকা শহরে থাকেন তাদের প্রকৃতির দেখা পাওয়া বা মনোরম কোন জায়গায় যেতে হলে অনেক দূর পথ পারি দিতে হয় ঢাকার বাইরে। আবার ঢাকার বাইরে যেকোনো জায়গায় যাওয়াটা এবং যাতায়াত,থাকা,ঘুরা অনেক সময়ের ব্যাপার। আর খরচও লাগে অনেক।

তাই কম সময়ে ঢাকার আশেপাশেই ঘুরা যায় এমন অনেক সুন্দর জায়গায় আছে ঘুরার মতন। যেখানে আপনি একদিনে ঘুরে আসতে পারবেন। আপনার অবশ্যই এসব জায়গায় ঘুরে ভালো লাগবে এবং কিছু দিনের জন্য হলেও আপনার মধ্যে একটি ঝরঝরে ভাব এনে দিবে।

চলুন জেনে নেই ঢাকার আশেপাশের এমন কয়েকটি জায়গা সম্পর্কে –

১। গোলাপ গ্রাম-

নদী পথ পার হয়ে ছোট্ট একটি গ্রাম। তবে গ্রাম হলেও পুরোটাই গোলাপের বাগান দিয়ে পরিপূর্ণ । এখানে গেলে আপনার মনে হবে যেন বিশাল একটি গোলাপের বাগানে ভেতর আপনি ঘুরছেন। সরু পথ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে দেখবেন রাস্তার দুপাশ গোলাপের বাগান দিয়ে ঘেরা।

যাতায়ত ব্যবস্থাঃ

মিরপুর দিয়াবাড়ি বটতলা ঘাট থেকে সাহদুল্লাহপুর ঘাটের উদ্দেশ্যে ৩০ মিনিট পরপর ইঞ্জিনচালিত বোট ছাড়ে। সাহদুল্লাহপুর যেতে যেতে ৪৫ মিনিট- ১ ঘণ্টা লাগবে।সেখানে একেক জনের জন্য ২০-৩০ টাকা করে নিবে। অথবা নিজেরা হাতে চালানো বোট নিতে পারেন, যেতে দেড় ঘন্টার মতো লাগবে।

 1

২। পানাম ও মেঘনার পার-

পানাম সিটি ঢাকা শহর থেকে একদমই আলাদা এবং অন্য রকম। পুরনো বাড়িগুলো দেখে দেখেই দিন পার হয়ে যাবে।

পৃথিবীর ১০০ টি ধ্বংস প্রায় ঐতিহাসিক শহরের একটি পানামনগর।World Monument Fund ২০০৬ সালে পানামনগরকে বিশ্বের ধ্বংস প্রায় ১০০টি ঐতিহাসিক স্থাপনার তালিকায় প্রকাশ করে। ঈসাখাঁ-র আমলের বাংলার রাজধানী পানামনগর। এখানে কয়েক শতাব্দী পুরনো অনেক ভবন রয়েছে, যা বাংলার বার ভূইয়াঁদের ইতিহাসের সাথে সম্পর্কিত।

ওখান থেকে কাছেই মেঘনা নদী। নদীর ওপারে গেলেই দেখবেন কাশফুলে ঘেরা বিস্তৃত মাঠ! চাইলে পানাম ঘুরা শেষে সেখানেও ঘুরে আসতে পারেন।


যাতায়ত ব্যাবস্থাঃ 

ঢাকার অদূরে ২৭কি.মি দক্ষিণ-পূর্বে নারায়নগঞ্জ এর খুব কাছে সোনারগাঁতে অবস্থিত এই নগর।ঢাকা থেকে যাতায়াত ব্যবস্থাও সহজ।গুলিস্থান থেকে ‘মোগরাপারা ‘ এর যেকোনো বাসে (সোনারগাঁপরিবহন) করে চলে আসা যায় ‘মোগরাপারা’, সেখান থেকে অটোরিকশাযোগে দশ-পনের মিনিটে চলে আসা যায় পানামনগরীতে।

 2

৩। বালিয়াটি জমিদার বাড়ি-
বালিয়াটি জমিদার বাড়ি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জমিদারবাড়িগুলোর একটি। ঢাকা জেলা সদর থেকে পয়ত্রিশ কিলোমিটার দূরে সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি গ্রামে অবস্থিত।মোট সাতটি স্থাপনা নিয়ে এই জমিদার বাড়িটি অবস্থিত। জমিদার বাড়ির পুরটাই মনোরম পরিবেশে ঘেরা!

যাতায়ত ব্যবস্থাঃ

ঢাকার গাবতলী থেকে মানিকগঞ্জ বা সরাসরি সাটুরিয়া যাওয়ার বাস পাওয়া যাবে। জন প্রতি ভাড়া পড়বে ৬০-৭০ টাকা। সাটুরিয়া পৌঁছে সেখান থেকে রিকশা বা লোকাল সিএনজিতে করে জমিদার বাড়ি যাওয়া যাবে। জন প্রতি ভাড়া ১০ টাকা। বালিয়াটি জমিদার বাড়ি রোববার পূর্ণদিবস আর সোমবার অর্ধদিবস বন্ধ থাকে। অন্যান্য সরকারি ছুটির দিনগুলোতেও বন্ধ থাকে।

জমিদার বাড়িতে প্রবেশের জন্য টিকেটের মূল্য জন প্রতি ১০টাকা।

 3

৪। মহেরা জমিদার বাড়ি, টাঙ্গাইল-

টাঙ্গাইলে ঘুরার মতন অনেক জায়গা আছে যা আপনি এক দিনে ঘুরে শেষ করতে পারবেন না। তবে তার মধ্যে মহেরা জমিদার বাড়ি সবচেয়ে সুন্দর। এটি তিনটি স্থাপনা নিয়ে তৈরি। বাড়ির ভেতরের দিকে বিশাল খাঁচায় বিভিন্ন রকম পাখি পালা হয়।

তিনটি স্থাপনার প্রতিটাতে অসাধারণ কারুকার্য করা। এসব কারুকার্য দেখলেই মন ভরে যাবে।

যাতায়ত ব্যবস্থাঃ

টাঙ্গাইলের জমিদার বাড়ি দেখতে হলে খুব সকালে বাসা থেকে বের হতে হবে। কারণ যেতে প্রায় ৩-৪ ঘণ্টা লাগবে। মহাখালি থেকে “ঝটিকা সার্ভিস” নামে বাস ছারে। এছাড়া টাঙ্গাইল জাওয়ার আরো বেশ কিছু ভাল বাস আছে। মহেরা জমিদার বাড়ির বর্তমান নাম মহেরা পুলিশ ট্রেইনিং সেন্টার। ওখানে যেতে হলে নামতে হবে”নাটিয়া পাড়া” বাস স্ট্যান্ড এ। সময় লাগবে ২-২.৩০ ঘন্টার মত। নেমে একটা অটো রিকশা নিয়ে যেতে হবে। রিক্সায় করে সরাসরি মহেরা জমিদার বাড়িতে যাওয়া যাবে। ভাড়া ২০-৩০ টাকা। জমিদার বাড়ি ঢুকতে টিকেট কিনতে হবে,জন প্রতি ২০টাকা।

 4 4i

৫। পদ্মারিসোর্ট-

ঢাকা থেকে ৪০ কি.মি. দূরে মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং নামক স্থানে পদ্মা নদীতে চড়ের উপর এই রিসোর্টটি অবস্থিত।পদ্মা নদীর পারে অবস্থিত বলেও জায়গাটি অতি মনোরম আর সুন্দর। বর্ষা ঋতুর সময় গেলে আপনার বেশি ভালো লাগবে।

যাতায়ত ব্যবস্থাঃ

ঢাকার গুলিস্তান, সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ী থেকে এই রুটে বিভিন্ন পরিবহনের অসংখ্য বাস প্রতি ১০/১৫ মিনিট পর পর চলাচল করে। গুলিস্তান সুন্দরবন স্কোয়ার মার্কেটের পূর্ব পাশ এবং যাত্রাবাড়ী গোলচত্ত্বরের পূর্ব-দক্ষিণ দিক থেকে ঢাকা-মাওয়া ও ঢাকা-লোহজং এর বাস ছেড়ে যায়। ঢাকা থেকে সড়কপথে এই জেলার ভাড়া ৬০ টাকা। মাওয়া ফেরিঘাট থেকে রিসোর্টে যাওয়ার জন্য রিসোর্টের নিজস্ব স্পীডবোট রয়েছে।

5

পদ্মা নদীর টাটকা ইলিশের তৈরি বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে চাইলে যেতে পারেন পদ্মা রিসোর্টে।এছাড়া আরও রয়েছে টাটকা শাকসবজি, গরু, মুরগি ও হাসের মাংস। এছাড়া মৌসুমি ফলমূল তো রয়েছেই। সকালের নাস্তার জন্য জনপ্রতি খরচ পড়ে ১০০ টাকা এবং দুপুর ও রাতের খাবারের জন্য জনপ্রতি খরচ পড়ে ৩০০ টাকার মতো।

পর্যটকগণ ইচ্ছা করলে অর্ধেক বেলা অথবা পুরো ২৪ ঘন্টার জন্য কটেজ ভাড়া নিতে পারেন।সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ভাড়া ২,০০০ টাকা।সকাল ১০ টা থেকে পরের দিন সকাল ১০ টা পর্যন্ত ভাড়া ৩,০০০ টাকা।

অনেক দিনের ক্লান্তি দূর করার জন্য আর আসলেইমন ভালো করে দেয়ার মতো জায়গা এগুলো।তাই একদিন ছুটি পেলে ইচ্ছে করলেই কাউকে সাথে নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন এসব জায়গায়।

লিখেছেন – সোহানা মোরশেদ

ছবি – আইসিওয়াওব্লগস্পটকম , ভ্যাকেশনবিডিকম, নিঝুমকম

ঐতিহ্যবাহি চিটাগাং-এর আখনি বিরিয়ানি

$
0
0

চিটাগাং এর আখনি বিরিয়ানি কে কে খেয়েছেন? আজকের রেসিপি আয়োজনে রয়েছে ঐতিহ্যবাহি চিটাগাং-এর আখনি বিরিয়ানি। দেরি না করে চলুন জেনে নিই  এর পুরো প্রণালী। 

উপকরণ:

মাংসের জন্য:

  • গরুর মাংস ১ কেজি
  • তেল আধা কাপ
  • পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ
  • আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
  • রসুন বাটা ১ চা-চামচ
  • জিরা বাটা ১ চা-চামচ
  • ধনে বাটা ১ চা-চামচ
  • লবণ স্বাদমতো
  • মরিচ গুঁড়া ২ চা-চামচ
  • হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ
  • গোলমরিচ আধা চা-চামচ
  • জায়ফল-জয়ত্রী আধা চা-চামচ
  • মেথি ও মৌরি বাটা আধা চা-চামচ
  • তেজপাতা ৩-৪টা
  • গরম মসলা বাটা আধা চা-চামচ
  • পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ
  • বাদাম বাটা ১ টেবিল  চামচ


পোলাওয়ের জন্য:

  • সেদ্ধ চাল ১ কেজি
  • মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ
  • আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
  • রসুন বাটা ২ চা-চামচ 
  • লবণ পরিমাণ মতো
  • তেল আধা কাপ
  • ঘি ২ টেবিল চামচ
  • পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ
  • এলাচি দারুচিনি কয়েকটা
  • কাঁচা মরিচ ৮-১০টা
  • কিশমিশ ১ টেবিল চামচ
  • পানি ৭ কাপ
  • কেওড়া ৩ টেবিল চামচ


প্রণালী 

মাংসে সব মসলা মেখে আধা ঘণ্টা রেখে তেলে পেঁয়াজ লাল করে ভেজে মাংস ঢেলে দিতে হবে। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। মাংস সেদ্ধ হওয়ার জন্য প্রয়োজনে পানি দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে নিতে হবে। এবার পোলাওয়ের সব মসলা ৭ কাপ পানিতে ফুটিয়ে নিতে হবে। ফুটানো পানিতে চাল ঢেলে পানি শুকিয়ে এলে মাংস দিতে হবে। ভালোভাবে নেড়ে কিশমিশ ও মরিচ দিয়ে কম আঁচে ঢেকে রাখতে হবে। কেওড়া জল দিয়ে নামাতে হবে।

ছবি ও রেসিপি - সামিয়া’স হোম কিচেন 

শ্যাম্পু করতে ভুল করছেন না তো?

$
0
0

চুল শ্যাম্পু তো আমরা সবাই করি, তবে তা ব্যবহারের সঠিক নিয়ম জেনে বা মেনে কি করি? জী হ্যাঁ পাঠক, সঠিক উপায়ে চুলে শ্যাম্পু আর কন্ডিশনার ব্যবহার করে শ্যাম্পুর গুণাগুণের সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে পারা যায়। শ্যাম্পু হয়ত প্রায় প্রতিদিনই করি আমরা, তবে সঠিকভাবে চুল ধোয়ার এই কাজটি করলে চুলের স্বাস্থ্য জেল্লা দুইই রক্ষা করতে পারা যায়। আর যদি ঠিকভাবে না করে থাকেন তবে আপনার অজান্তেই চুলের ক্ষতি করে চলেছেন। তাই সাধারণ ভুলগুলো শুধরে দিতেই আজকের এই লেখা।

শ্যাম্পুর আগে

মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিন। অনেকেই শ্যাম্পুর সময় চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যায় ভোগেন।  শুকনো চুল আঁচড়ে নেওয়ার অভ্যাস থাকলে এই সমস্যা কেটে যাবে সহজেই।

চুল ভিজিয়ে নিন প্রথমেই

উষ্ণ পানিতে চুল ভিজিয়ে নিন প্রথমেই। গরম পানি চুলে দেওয়া ঠিক না একথা সবাই জানি। তাই কুসুম কুসুম গরম পানি ইউজ করুন। চুল ধোয়ার কাজে  এটা বেশ উপকারী। এতে স্কাল্পের উপরে ধুলো ময়লার যে আস্তরন পড়ে, সেটা কিছুটা লুজ হয় আর চুলের গোড়ার ময়লা দূর করতে সাহায্য করে।

চুল যদি লম্বা হয়

আপনার চুল যদি লম্বা, অর্থাৎ কাঁধ ছাড়িয়ে পিঠ বা কোমর বরাবর হয়, তবে চুল ভিজিয়ে শ্যাম্পু দেওয়ার আগে একটু কন্ডিশনার দিয়ে নিন চুলে। লম্বা চুলের অধিকারীদের একটা সাধারণ সমস্যা হল তাদের চুলের উপরিভাগ থাকে বেশ স্বাস্থ্যজ্জল। আর মাঝ থেকে নিচ অবধি চুলগুলো কেমন যেন রুক্ষ আর প্রাণহীন হয়ে থাকে। একই চুলের মধ্যে এই দুরকম বৈষম্য দূর করতেই লম্বা চুলের শ্যাম্পুর আগে প্রিকন্ডিশনিং করে নেওয়া ভালো।

শ্যাম্পু দিন মাথার ত্বকে

অনেকে মনে করেন শ্যাম্পু “চুলে” দেওয়ার জন্য। আসলে শ্যাম্পুর প্রধান কাজ মাথার ত্বক এর তৈলাক্তভাব আর ধুলো ময়লা দূর করে চুলকে ঝরঝরে রাখা। তাই “পুরো চুল ঘষে ফেনা না তুললে চুল ধোয়া হবে না” এই ভুল ধারনা থেকে বেরিয়ে এসে মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখাতে নজর দিন। আর শ্যাম্পু ধুয়ে ফেলার সময় তা তো চুল বেয়েই নামবে, তখনি চুল পরিষ্কার হয়ে যাবে।

ঘষাঘষি নয় একদমই

অনেকেই শ্যাম্পু করার সময় অযথা চুল ঘষতে থাকেন। তাদের বলছি, একটু ভেবে দেখুন। এটা আপনার বিছানার চাদর বা পাপোশ নয় যে জোরে ঘষা মাজা করলেই সব ময়লা উঠে সাফ সুতরো হয়ে যাবে। আস্তে ধীরে কোমল ভাবে শ্যাম্পু করুন। খুশকি বা ময়লা থাকলে কেউ কেউ শ্যাম্পু দিয়ে একবারে নখের আঁচড়ে সব পরিস্কার করতে চান। এতে কিউটিকল ড্যামেজ হয়ে চুল ক্ষতিগ্রস্থ হয়। শ্যাম্পু দেবার পর মিডিয়াম প্রেসারে চিরুনির মত করে চুলে আঙ্গুল চালান। এতে স্কাল্পে ব্লাড সারকুলেশন হবে আর চুল বৃদ্ধির সহায়ক হবে। সার্কুলার মোশনে মাথার ত্বকে মাসাজ করবেন না। এতে চুলে জট লেগে যায় ও শ্যাম্পুর পরে জট ছাড়াতে গেলে চুলও পড়ে।

২য় বার শ্যাম্পুর আগে

শ্যাম্পুর বোতলে একটা কথা প্রায়ই লেখা থাকে। সেটা হল Rinse. Repeat. আপনি যদি নিয়মিত চুল পরিষ্কার করেন, তবে দুইবার করে শ্যাম্পু করার কোন প্রয়োজন নেই।  চুলে অতিরিক্ত ময়লা ও ধুলাবালির কারণে চুল যদি নোংরা হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে প্রথমবার চুলে শ্যাম্পু দিলে ফেনা কম বা নাও হতে পারে। তখন ২য় বার শ্যাম্পু ব্যাবহার করুন।

কন্ডিশনার দেওয়ার আগে জেনে নিন

অনেকেই কন্ডিশনার দেওয়ার সময় পুর মাথা জুরে লাগিয়ে ফেলেন। কন্ডিশনার শুধু চুলে লাগানর জন্য। মাথার তালু থেকে এক ইঞ্চি চুল বাদ রেখে কন্ডিশনার লাগান চুলের ডগা পর্যন্ত। মাথার ত্বকে লাগানো যাবেনা কারন চুলের গোড়ার অংশ স্কাল্পের ন্যাচ্রাল অয়েলের কারণে আগে থেকেই ময়েশ্চার ধরে রাখে। চুলের মাঝ থেকে ডগা পর্যন্ত কন্ডিশনার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় তাই ওই অংশেই মনোযোগ দিন সব থেকে বেশি।

শেষ করুন ঠাণ্ডা পানি দিয়ে  

ঠাণ্ডা মানে বরফ শীতল পানি নয়, নরমাল পানি। চুল ধোয়ার সময় নরমাল পানিতে চুল ধুয়ে নিন। এতে স্কাল্পের ওপর একটা শীতল পরত সৃষ্টি হবে যা চুলের পরিচ্ছন্নতাকে নিশ্চিত করবে এবং মাথার ত্বককে ভালো রাখবে।

কন্ডিশনার চুল থেকে ধোয়া হয়ে গেলে পিঠের দিকেও একটু নজর দিন। চুল পরিস্কার হয়ে গেলেও অনেক সময় পিঠ থেকে কন্ডিশনার ভালোভাবে না ধোয়ার দরুন পিঠে ছোটখাটো র‍্যাশ, পিম্পল হয়। তাই নজর রাখুন সেখানেও। প্রয়োজনে বডি ক্লিনিং ব্রাশ ব্যাবহার করতে পারেন।

লিখেছেন – চৌধুরী তাহাসিন জামান

ছবি – স্টেপটুহেলথ.আরইউ

বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা ল্যাপারোস্কপি কখন এবং কেন করা হয়?

$
0
0

ল্যাপারোস্কপি একধরনের সার্জিক্যাল চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে পেট কাটা ছাড়াই শুধুমাত্র কয়েকটি ছিদ্র করে ক্যামেরা এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি প্রবেশ করিয়ে সরাসরি রোগ নির্নয় ও অপারেশন করা হয়।এর ফলে অপারেশনের পর রোগী খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে পারে। তাই বর্তমানে এটি একটি প্রয়োজনীয় এবং জনপ্রিয় চিকিৎসা পদ্ধতি।

কোন কোন রোগীর ক্ষেত্রে ল্যাপারোস্কপি  করার দরকার হতে পারে?

বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় সব রোগীর  ল্যাপারোস্কপি করার দরকার হয় না।যারা দীর্ঘদিন ধরে বাচ্চা নেবার চেষ্টা করে যাচ্ছেন এবং বাচ্চা গর্ভধারন না করার তেমন কোন কারন খুজে পাওয়া যাচ্ছে না তাদের ক্ষেত্রেই প্রধান তল্যাপারোস্কপি করাহয়।

কী কী সমস্যা ল্যাপারোস্কপির মাধ্যমে নির্ণয় করা যায়?

বন্ধ্যাত্বের কিছু কারণ আছে যা আল্ট্রাসনোগ্রাম এবং অন্যান্য সাধারন পরীক্ষায় ধরা পড়ে না। এই সমস্যাগুলো ল্যাপারোস্কপিতে সরাসরি দৃশ্যমান হয় এবং একই সাথে রোগের চিকিৎসাও সম্ভব।  এমন কিছু বন্ধ্যাত্বের কারণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি নিচে আলোচনায় তুলে ধরা হল।

এন্ডোমেট্রিওসিস

এটি বন্ধ্যাত্বের একটি অন্যতম প্রধান কারণ যা বেশি ভাগ ক্ষেত্রেই  ল্যাপারোস্কপির  মাধ্যমে ডায়াগনোসিস হয়।এই রোগের কারণে জরায়ু এবং এর আশেপাশের অংগপ্রত্যংগ একটির সাথে আরেকটি জোড়া লেগে থাকে এবং নরমাল পজিশন নষ্ট হয়। এই রোগের তীব্রতা এবং পরবর্তী চিকিৎসা পদ্ধতি  নিরূপণের জন্য এটি একটি উপযুক্ত পরীক্ষা।রোগ নির্ণয়ের পাশাপাশি এর্ন্ডোমেত্রি ও টিকসিস্টেক্টমি এবং এডহেসিওলাইসিস করে অংগ-প্রত্যঙ্গের নরমাল এনাটমি ঠিক করা হয়।

পি আই ডি বা প্রজনন তন্ত্রের ইনফেকশন

ইনফেকশনের কিছু লক্ষন  প্রজনন তন্ত্র সরাসরি পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে ধরা পড়ে যা আলট্রা সাউন্ড এর দ্বারা নির্ণয় সম্ভব নয়।  ইনফেকশনের কারণে ফেলোপিয়ান টিউব বন্ধ হয়ে যেতে পারে যা ল্যাপারোস্কপিক ডাই (রঙ) টেস্ট করে বোঝা যায়।

পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রম( পিসিওএস)

এই সমস্যা শরীরে হরমোনের স্বাভাবিক তারতম্যকে নষ্ট করে ডিম্বস্ফুটন ব্যাহত করে, ফলে আক্রান্তরা গর্ভধারনে অসমর্থ হয়।এই সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের ওষুধ বা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ডিম্বস্ফুটন করানো হয়। এই চিকিৎসায় ডিম্বস্ফুটনে ব্যর্থ হলে ল্যাপারোস্কপি করে সিস্ট রাপচার করা হয় যা ওভারিয়ান ড্রিলিং নামে পরিচিত।এই চিকিৎসা পদ্ধতি ওভারি থেকে হরমোনের অস্বাভাবিক নি:সরনকে স্বাভাবিক করে ডিম্বস্ফুটনের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।

জরায়ুর টিউমার

জরায়ুর ফাইব্রয়েড টিউমারের অবস্থান , সাইজ সরাসরি ল্যাপারোস্কপি করে দেখা যেতে পারে। অভিজ্ঞ সার্জনের দ্বারা  সাবসেরাস ফাইব্রয়েড মায়োমেক্টমি করে  ফেলে দেয়া সম্ভব।

প্রজনন তন্ত্রের জন্মগত ত্রুটি 

বিভিন্ন ধরনের ত্রুটি রয়েছে যা বাইরে থেকে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে বোঝা যায় না। বন্ধ্যাত্বের কারণ খুজতে গিয়ে ল্যাপারোস্কপি করার সময় এই ধরনের সমস্যা ধরা পড়ে।

বন্ধ ফেলোপিয়ান টিউব

বিভিন্ন ইনফেকশনের কারণে বা জন্মগতভাবে ফেলোপিয়ান টিউব বন্ধ থাকতে পারে। ল্যাপারোস্কপিক ডাই টেস্ট করে এটা সঠিকভাবে নির্ণয় করা যায়।

এই পরীক্ষার আগে কোন প্রস্তুতি আছে কি?

এটি একটি ইনভেসিব পরীক্ষা, যাতে অন্যান্য পরীক্ষার চেয়ে কিছুটা ঝুকিপূর্ন ও ব্যায়বহুল। তাই এ পরীক্ষা করার আগে অন্যান্য পরীক্ষা করে দেখে নিতে হয় বন্ধ্যাত্বের কারন হিসেবে আর কোন সমস্যা দায়ী কিনা।  ডিম্বস্ফুটনের প্রমাণ হিসেবে   হরমোনের কিছু পরীক্ষা করা যায়। ফেলোপিয়ান টিউব এবং জরায়ুর ভিতরকার অবস্থা বোঝার জন্য হিস্টারোস্যালফিংগগ্রাম করা হয় এবং হাজবেন্ডের স্পার্ম পরীক্ষা করা হয়। এসব কিছু নরমাল থাকার পরও যখন কোন দম্পতি বাচ্চা কনসিভ করতে ব্যার্থ হয়, তখন করে অন্য  সমস্যা নির্নয়ের জন্য  ল্যাপারোস্কপির পরামর্শ দেয়া হয়।

ল্যাপারোস্কপি করার খরচ সার্জন এবং প্রতিষ্ঠান ভেদে তারতম্য হয়। রোগীকে এক থেকে দুইদিন হসপিটালে থাকা লাগে। অপারেশন পরবর্তী জটিলতা খুব বেশি নাই বললেই চলে।

ডা: নুসরাতজাহান

সহকারীঅধ্যাপক(গাইনী-অবসবিভাগ)

ডেলটামেডিকেলকলেজ

মিরপুর,ঢাকা।

সুজির লাড্ডু!

$
0
0

আজকে আপনাদের জন্য তুলে ধরা হল সুজির লাড্ডুর রেসিপি। যারা লাড্ডু খেতে ভালোবাসেন তারা  সুজি দিয়ে তৈরি এই লাড্ডুটি বাসায় তৈরি করে দেখতে  পারেন। চলুন শিখে নিই, কীভাবে সুজি দিয়ে লাড্ডু তৈরি করা যায়।

উপকরণ

  • সুজি – ১ কাপ
  • চিনি – ১ কাপ এর অল্প কম
  • ডিম – ১ টা
  • দুধ – ২ ১/২ কাপ
  • ঘি – ৪ চা চামচ
  • লবন – ১ চিমটি
  • এলাচ – ২ টা
  • দারুচিনি – ১ টুকরা
  • ফুড কালার – সামান্য
  • বাদাম, কিশমিশ – ইচ্ছেমত

প্রণালী

- সুজি শুকনো খোলায় ভেজে নিন।

- এলাচ গুড়ো করে আলাদা রাখুন।

- কালার ও বাদাম, কিশমিশ ছাড়া সব উপকরণ মিশিয়ে নিন।

 - প্যান গরম হলে মিশ্রণ দিয়ে অনবরত নাড়তে থাকুন।

- ফুটে উঠলে ঘন হতে থাকবে।

- ঘি বের হয়ে প্যান এর গা ছেড়ে আসলেই নামিয়ে নিন।

- বাকি উপকরন মেশান।

- গরম থাকতেই লাড্ডু বানিয়ে নিন।

সুন্দর করে সাজিয়ে দিন। বড়রা তো  মজা করে খাবেই , তাছাড়া বাচ্চাদের জন্য খুবই পুষ্টিকর। শুভ কামনা সকলের জন্য।

ছবি ও রেসিপি - খুরশিদা রনী

গাছ দিয়ে কম্পিউটার টেবিল ডেকোরেশনের কিছু দারুণ আইডিয়া!

$
0
0

অফিসের কম্পিউটারে একটানা তাকিয়ে থাকতে থাকতে মাথা ধরে গেছে? চোখ সরালেই এক টুকরা সবুজ। মনিটরের পাশেই রাখা ছোট্ট একটা গাছ। তবে শুধু অফিস কেন আমরা যারা কলেজ কিংবা ভার্সিটিতে তে পড়ি তারাও সারাক্ষন ল্যাপটপ নিয়ে পরে থাকি। কিন্তু একবার কি এর সাইড ইফেক্ট এর কথা চিন্তা করি? এবার চিন্তা করেও লাভ কি? বিভিন্ন কারনে আমাদের এর সাথে থাকতেই হয় সাইড ইফেক্ট আছে বলে কি কম্পিউটার ব্যবহার বাদ দিব? না বাদ দিব না বরং একটু সচেতন তো হতেই পারি।

com 1

কম্পিউটার ব্যবহারের ফলে আমাদের চোখের যে সমস্যা গুলো হয় তা হল ,
- মাথা ব্যাথা- অনেক সময় ধরে কম্পিউটার এ কাজ করার পর মাথা ব্যাথা অনুভূত হয় এ জন্য অনেক সময় আমাদের ঘুম আসে না। কেমন যেন একটা অসস্থি মনে হয়। আমরা যখন ল্যাপটপ বা কম্পিউটার এ কাজ করি তখন খুব কাছ থেকে মনিটর দেখি। যার ফলে কম্পিউটার থেকে যে ক্ষতিকর রশ্মি নির্গত হয় তা আমাদের চোখের উপর খুব বাজে প্রভাব ফেলে। ফলে আমাদের মাথা ব্যাথা অনুভুত হয়।

excellent-contemporary-small-office-furniture-ideas-plus-white-interior-decorating-design-also-green-side-chair-as-well-as-computer-and-simple-plant-pots-700x762
- ড্রাই আই- আমরা সাধারণত কিছুক্ষন পরপর আমাদের চোখের পাতা ফেলি। প্রায় কয়েক সেকেন্ড পরপর। কিন্তু আমরা যখন কম্পিউটার এ কাজ করি তখন অনেক সময় পর চোখের পাতা ফেলি। এর ফলে আমাদের চোখের ভেতর যে ন্যাচারাল পানি থাকে তা শুকিয়ে যায়। এর ফলে চোখ জ্বালা করা বা চুলকান এ ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে।

furniture-interior-ideas-white-glossy-wooden-computer-desk-with-l-shaped-open-shelf-and-white-lamp-also-plant-decor-on-green-corner-wall-fascinating-corner-desk-with-shelves-and-drawers-936x936
- দৃষ্টি শক্তি ধিরে ধিরে কমে যাওয়া- আমরা বেশির ভাগ সময় কম্পিউটার এর ব্রাইটনেস অনেক বেশি দিয়ে কাজ করি। আর সাদা আলো চোখের জন্য খুব একটা ভাল না। অনেক সময় আমরা রাতে লাইট অফ করে কম্পিউটার এ বসে কাজ করি যা আমাদের চোখের জন্য খুবি ক্ষতিকর।
চলুন এবার এসব সমস্যা মাথায় রেখে কিভাবে কম্পিউটার টেবিল টি সাজাব তা জেনে নিই।

interior-ideas-furniture-walnut-brown-wooden-computer-desk-with-single-drawer-and-open-shelf-ornate-with-rattan-boxes-and-plants-on-dark-wooden-floor-fascinating-corner-desk-with-shelves-and-drawers
• কেমন হবে যদি মনিটরের পাশেই রাখি ছোট একটা গাছ। এটি আপনার চোখে প্রশান্তি এনে দিতে পারে। কাজের ফাকে অথবা চোখে ক্লান্তি এলে গাছটির দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকুন ফ্রেশ লাগবে। সবুজ রঙ চোখের দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখে। এবার দেখি কি ধরনের গাছ কম্পিউটার টেবিলে রাখা যায়।
• যেকোনো গাছই অফিসে বা বাসায় রাখা যায় না। এর যত্নআত্তিও কিছুটা ভিন্ন। বেশির ভাগ অফিস বা বাসা শীতাতপনিয়ন্ত্রিত থাকে। প্রাকৃতিক আলো-হাওয়াও প্রবেশ করে না তেমন। এ রকম পরিবেশে আকারে ছোট, কিছুটা লতানো আর দেখতে বাহারি—এ রকম গাছগুলোই সাধারণত অফিসে বা বাসায় রাখা হয়। এ ধরনের কিছু গাছ হলো হার্টলিফ , ফিলোডেনড্রন, পিস লিলি, লাকি ব্যাম্বু, অ্যারেকা পাম, পেপেরোমিয়া, অ্যান্থুরিয়াম ইত্যাদি। এ ছাড়া নানা রকম ক্যাকটাসও রাখা হয়। বনসাইও এখন বেশ জনপ্রিয়।

• হার্ট লিফ- মানি প্লান্ট জাতীয় এটি এক ধরনের লতানো উদ্ভিদ। আকারে ছোট বলে টেবিলের কোনায় এটি বেশ মানানসই।

com 2

• পিস লিলি
গ্রীষ্মের শুরুতে ফুল ফোটে এবং এক সপ্তাহ থাকে। ফুল বিবর্ণ হয়ে এলে বৃন্তসহ ফুল কেটে ফেলতে হয়। যদি ফুল না ফোটে, তবে কিছুটা উজ্জ্বল আলোতে নেওয়া যেতে পারে, কিন্তু সরাসরি সূর্যালোকে নয়। পাতা চকচকে উজ্জ্বল সবুজ। গাছটি কিছুটা বিষাক্ত, তাই ফুল বা পাতা ছাঁটাইয়ের পর ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিন।

com 3

• লাকি ব্যাম্বু
অনেকের ধারণা, লাকি ব্যাম্বু সৌভাগ্য আনে, তাই এমন নাম। এর জন্য মাটি খোঁজার প্রয়োজন নেই। পানিভর্তি পাত্র বা বোতল হলেই হলো। এবার পাত্রে বা বোতলে গাছটা দাঁড় করিয়ে রাখতে পানিতে নুড়িপাথর ঢালুন। নুড়িপাথর পাবেন অ্যাকুরিয়াম বিক্রির দোকানে, কেজিপ্রতি ২০ টাকা। নতুন চারা দরকার? মাতৃ গাছের বাড়তি কাণ্ড কেটে পানিতে রাখুন। সপ্তাহ না যেতেই শিকড় গজাবে তাতে।

com 4

• অ্যারেকা পাম-
ডেস্ক, টেবিল, স্তম্ভের পাশে ও সিঁড়ির গোড়ায় দারুণ মানায় অ্যারেকা পাম। আকারে প্রায় সাত ফুট লম্বা হয়, তবে গাছের আকার ছোট রাখতে চাইলে শুধু টবের আকারটা ছোট হলেই চলবে। সপ্তাহে একবার পানি দিলেই যথেষ্ট।

com 5

• পেপেরোমিয়া-
পেপেরোমিয়ার পাতা বেশ উজ্জ্বল। পাতার বেগুনি, সবুজ, লাল রঙের কিনারা, তরমুজের মতো ডোরাকাটা দাগ আর ঢেউখেলানো আকার দেখতে ভালো লাগে।

com 6

• অ্যান্থুরিয়াম-
সাদা, লাল, কমলা, গোলাপি বা বেগুনি রঙের ফুল উপহার দেবে অ্যান্থুরিয়াম। অতি শুষ্ক বা অতি আর্দ্র কোনোটাই এর পছন্দ নয়—চাই এ দুয়ের মাঝামাঝি।

com 7

• ক্যাকটাস-
ক্যাকটাসে খুব বেশি পানি দিলে এর গোড়া পচে যায়। সপ্তাহে একদিন বা দুইদিন সামান্য পরিমাণ পানি গাছের গোড়ায় দিয়ে দিন। লক্ষ্য রাখুন পানি জমে না থাকে।

com 8

• বন্সাই-
টেবিলের কোনে এরকম একটি বনসাই হলে কিন্তু খুব সুন্দর হয়। এমব হাজার রকমের বনসাই বাজারে কিনতে পাওয়া যায়।

com 9

লিখেছেন –  পাপিয়া সুলতানা।

অল্প কিছু উপকরণ দিয়েই এই সুস্বাদু ডেজার্ট ক্রিম ব্রুলে !

$
0
0

আজকের রেসিপি আয়োজনে রইল দারুণ মজাদার ডেজার্ট ক্রিম ব্রুলে ।  এই  ডেজার্টিকে বার্ন  ক্রিমও বলা হয়। অল্প কিছু উপকরণ দিয়েই এই সুস্বাদু ডেজার্টটি তৈরি করা সম্ভব। তবে চলুন শিখে নিই পুরো প্রণালী।

উপকরণ 

  • ডিমের হলুদ অংশ-৪টি
  • চিনি-৫ টেবিল চামুচ
  • হেভি ক্রিম -২ কাপ 
  • ভ্যানিলা এসেন্স-১/২ চা চামুচ

প্রণালী
ওভেন ৩০০ ডিগ্রি ফারনেহাইটে গরম করে নিন (প্রিহিট)।
একটি বাটিতে ডিমের কুসুম আর চিনি ভালো করে মিশিয়ে নিন এইবার ক্রিম আর ভেনিলা এসেন্স এই মিশ্রন এর সাথে ভালো করে মিশিয়ে দিন। মিশ্রনটি এখন ৪ টি রামিকিনে ঢালুন। রামিকিন (কাপ)গুলোকে পানি সহ বেকিং প্যানে বসিয়ে ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট বেইক করুন। এবার বাটি গুলো কে নামিয়ে ২ ঘন্টা ফিজে ঠান্ডা করুন। পরিবেশন করার আগে কিছু চিনি ছড়িয়ে নিয়ে রামিকিনগুলোকে ব্রয়লারে রাখুন চিনি গুলোকে পুড়িয়ে বাদামি রঙ করার জন্য। যাদের কিচেন টর্চ আছে আছে তারা ঐটা দিয়েও উপরের ক্যারামেল ক্রাস্ট করে নিতে পারেন। গরম অথবা ঠান্ডা পরিবেশন করুন।

ছবি ও রেসিপি - সামিয়া’স হোম কিচেন 


চুলকে খুশকিমুক্ত করার সহজ কিছু উপায়

$
0
0

আহ, এত সুন্দর চুল! কি ঝলমলে! একথা তা শুনতে কার না ভাল লাগে।কিন্তু এই সুন্দুর চুলে যদি খুশকি থাকে, নিমিষেই আপনার আনন্দ মাটিতে পরিনত হবে।সাধারনত আমাদের মাথার ত্বকের শুষ্কতার কারণেই চুলে খুশকি হয় ।এছাড়া মাথার ত্বকে একজিমা বা ফাংগাস আক্রমনের ফলেও খুশকি হতে পারে।আমাদের শহুরে জীবনে অতি মাত্রা্র ধুলাবালি আর ময়লা থেকেও আমাদের মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে ওঠে আর তা থেকেই খুশকি জন্ম নিতে পারে।বাজারে অনেক ধরনের  Anti -dandruff শ্যাম্পু রয়েছে ।সব শ্যাম্পু যে কার্যকরী তা নয়।বিজ্ঞাপনে খুশকিকে যত দ্রুত তাড়ানো যায়, আসলে কিন্তু খুশকি আমাদের মাথা থেকে তত তাড়াতাড়ি যায় না ।আর আসলেই যায় কিনা সেটাও ভেবে দেখার বিষয় ।  তাই আসুন না,  নিজে ঘরোয়া পদ্ধতিতে  খুশকিকে দূর করি ।জেনে নেই ঘরোয়া সেই পন্থাগুলিঃ

এস্পিরিন

এস্পিরিনেরয়েছেএকইউপাদান(সালসায়লিক এসিড)যাAnti -dandruff শ্যাম্পুতেব্যবহারকরাহয় ।তাই দুটো এস্পিরিন গুড়া করে প্রতিবার মাথা শ্যাম্পু করার সময় শ্যাম্পুর সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করবেন ।এস্পিরিন মিশানো শ্যাম্পু মাথায় ১-২ মিনিট রাখতে হবে এবং এরপর ধুয়ে ফেলে পুনরায় এস্পিরিন ছাড়া শ্যাম্পু করতে হবে ।

টি ট্রি অয়েল

গবেষণায় দেখা গেছে যে, শ্যাম্পুর সাথে ৫% টি ট্রি অয়েল এর ব্যবহার খুশকি দূর করতে খুবই কার্যকর ।এজন্য আপনার নরমাল শ্যাম্পুর সাথে কয়েক ফোটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিয়মিত মাথা শ্যাম্পু করবেন ।

বেকিং সোডা

খুশকি দূর করার মুল মন্ত্র আপনার কিচেনেই রয়েছে।  ভিজা হাতে বেকিং সোডা নিয়ে মাথার ত্বকে ঘষে ঘষে লাগাতে হবে। এরপর শ্যাম্পু করবেন না ।মাথা ধুয়ে ফেলবেন। বেকিং সোডা মাথার ত্বকের ফাঙ্গাসকে বাড়তে দেবে না, তবে আপনার চুল কিছুদিনের জন্য রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। তবে,চিন্তার কিছু নেই ।কয়েক সপ্তাহের ভিতরেই আপনার মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক ওয়েল আপনার চুলকে স্বাভাবিক করে তুলবে ।কিন্তু,ইতিমধ্যে খুশকি আর থাকবে না ।

আপেল সিডার ভিনেগার

আপেল সিডার ভিনেগার এর এসিডিটি আপনার মাথার ত্বকের ph লেভেল কে  পরিবর্তন করে এটিকে শক্ত করে তোলে ।ফলে ফাঙ্গাস জন্মাতে পারে না । এজন্য  কোয়াটার কাপ আপেল আপেল সিডার ভিনেগার, কোয়াটার কাপ পানির সাথে মিশিয়ে স্প্রে বোতলের সাহায্যে মাথার ত্বকে স্প্রে করে মাথাকে টাওয়েল দিয়ে পেঁচিয়ে  রাখতে হবে ১৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা । এরপর, সাধারনভাবে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে এবং সপ্তাহে ২ বার এই পন্থা অবলম্বন করতে হবে ।

মাউথ ওয়াশ

খুশকিতে আসলে যখন খুব খারাপ অবস্থা তখন, মাথা শ্যাম্পু করার পর এলকোহল  বেইজড মাউথ ওয়াশ দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলতে হবে ।এরপর চুলেconditioner ব্যবহার করতে হবে । মাউথ ওয়াশ এর এনটি ফাঙ্গাল উপাদান ফাঙ্গাস জন্মানোকে রোধ করবে ।

নারকেল তেল

খুশকি দূর করার জন্য  নারকেল তেলের ব্যবহার  অপরিহার্য ।মাথা শ্যাম্পু করার আগে নারকেল তেল দিয়ে মাথা ভালভাবে মাসাজ করে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। এরপর নরমালি শ্যাম্পু করতে হবে ।

লেবু 

দুই টেবিল চামচ লেবুর রস মাথায় মাসাজ করে পানিয়ে দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।  এরপর আবার এক চামচ লেবুর  রস এক কাপ পানির সাথে মিশিয়ে, পানি দিয়ে মাথা আবার ধুয়ে ফেলতে হবে । এটা যতদিন খুশকি না যায়, ততদিন নিয়মিত করতে হবে ।

রসুন

রসুন ছেচে হাত দিয়ে মাথার ত্বকে মাসাজ করতে হবে শ্যাম্পু করার আগে। রসুনের গন্ধ দূর করার জন্য মধু মিশিয়ে নিতে পারেন । রসুন খুশকির জন্মদায়ক ব্যাকটেরিয়ার জন্ম রোধ করে ।

অলিভ ওয়েল

১০ ফোটা অলিভ ওয়েল মাথার ত্বকে মাসাজ করে শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে সারা রাত মাথা পেঁচিয়ে রাখতে হবে এবং সকাল বেলা শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে।

 

উপরে বর্ণিত পন্থাগুলি খুবই সহজ এবং কার্যকরী । এখানে যেসব উপাদান ব্যবহার ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলির কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও নেই। তাই আপনি নিশ্চিন্তে এর যেকোনো একটি উপায় অবলম্বন করে দেখবেন। তবে যেটাই করবেন নিয়মিত করবেন। আপনার চুল হয়ে উঠবে খুশকিমুক্ত আর ঝলমলে।

 

লিখেছেন – রোকসানা আকতার

ছবি – আরডি.কম

 

ডিফারেন্ট ফ্লেভারের চিকেন মিট লোফ!

$
0
0

আজকের রেসিপি আয়োজনে রয়েছে ডিফারেন্ট ফ্লেভারের চিকেন মিট লোফ। তবে চলুন দেখে নিই ের পুরো প্রণালী।

উপকরণ 

  • মুরগীর কিমা ৫০০ গ্রাম
  • চিকেন স্টক পাওডার – ১ প্যাকেট 
  • পেঁয়াজ বেরেস্তা- ২ টেবিল চামচ
  • রসুন বাটা ১চা চামচ
  • আদা বাটা ১চা চামচ
  • কাচামরিচ বাটা ২ চাচামচ 
  • গোল মরিচের গুঁড়ো ১ চা চামচ
  • ধনে পাতা কুচি ১/৪কাপ
  • পুদিনা বাটা ১ চা চামচ
  • লবণ পরিমান মতো
  • ডিম ২ টি
  • ব্রেড ক্রাম্ব বা টোস্ট বিস্কুটের গুঁড়ো ১/২ কাপ
  • টমেটো সস ২ টেবিল চামচ
  • সয়া সস ১ টে্বিল চামচ
  • চিলি সস ১ টেবিল চামচ

প্রণালী 

প্রথমে ওভেন ১৮০ ডিগ্রীতে প্রিহিট করে নিতে হবে।একটি পাউন্ড কেক প্যান বা লোফ প্যানে তেল মাখিয়ে নিতে হবে।মুরগীর সাথে সিদ্ধ আলু, ব্রেড ক্রাম্ব এবং একে একে সব উপকরণ ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে।এখন লোফ প্যানে মুরগীর খামির দিয়ে ভাল করে চেপে চেপে সমান করে বিছিয়ে দিতে হবে।প্রি-হিটেড ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে ৪০ মিনিট বেক করতে হবে। নামিয়ে বেকিং ট্রেতে উল্টে রেখে কিছু সস চিকেনলোফ এর উপরে, চারিদিকে ব্রাশ করে দিতে হবে।আবার ওভেনে দিয়ে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে ৫ মিনিট বেক করতে হবে। এরপর কেটে পরিবেশন। এটা দিয়ে বার্গার ,স্যান্ডউইস এর ফিলিং বানানো যায়।

গ্রেভি তৈরির উপকরণ 

  • রসুন বাটা ১ চাচামচ 
  • চিকেন স্টক পাওডার ১ টেবিল চামচ 
  • ময়দা ২ টেবিল চামচ 
  • দুধ -১ কাপ 
  • হেভি ক্রিম ১ কাপ 
  • লবন স্বাদমত 
  • সাদা গোলমরিচ গুড়া স্বাদমত 
  • বাটার ২ টেবিল চামচ
  • মাশরুম – ইচ্ছামত 

প্রণালী 

ননস্টিক প্যান এ বাটার দিন বাটার গলে গেলে রসুন বাটা দিন একটু ভাজুন হালকা ভাজা হলে ময়দা দিন ভাজতে থাকুন ময়দার কাচা ভাব চলে গেলে দুধ দিয়ে দিন সাথে মাশরুম ও দিয়ে নাড়তে থাকুন ২ মিনিট, এরপর ক্রিম, চিকেন স্টক পাওডার আর লবন-গোলমরিচ গুড়া স্বাদমত দিয়ে দিন। ঘন হয়ে আসলে নামিয়ে নিন।

ছবি ও রেসিপি - সামিয়া’স হোম কিচেন 

সাধারণ জর্জেট শাড়িতে নিজেই নিয়ে আসুন গর্জিয়াস লুক

$
0
0

বাজারেসবসময় হরেক রকমের শাড়ি পাওয়া যায়, যেমন-বেনারসি, জামদানি, সিল্ক, তাঁতের শাড়ি, মিলের শাড়ি, সুতি শাড়ি, জর্জেট, শিফন, টাঙ্গাইল শাড়ি, পাবনার শাড়ি, ঢাকাই শাড়ি, বিভিন্ন নামের প্রিন্ট শাড়ি ইত্যাদি।এছাড়া রয়েছে বাটিক, বুটিক, টাই-ডাই, ব্লক-প্রিন্ট, ফেব্রিক, নকশি কাঁথাসহ হাজারো রকম শাড়ি। এর মধ্যে সাধারণ ব্যবহার্য শাড়িগুলি হয় সুতির এবং জর্জেটের।পছন্দের শাড়ি বাজারে পাওয়া গেলেও উচ্চমূল্যের কারণে তা থাকে অনেকের নাগালের বাইরে।কাতান, জামদানি, সিল্ক, বেনারসি ইত্যাদি উৎসব/অনুষ্ঠানে পরার শাড়ি।

ধনী পরিবারের মেয়েদের কাছে এসব নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হলেও মধ্যবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েরা তা বিয়ে বা অন্য কোন বড় অনুষ্ঠান ছাড়া পরার সুযোগ পান না। তবে অনুষ্ঠানাদিতে প্রায় সব পরিবারের মেয়েরাই শাড়ি পরে। আর জর্জেট শাড়ি সব মহলে সাধারণ ব্যবহার্যশাড়ি হিসেবে সমাদৃত। তবে তার মান ও আভিজাত্য নির্ভর করে ডিজাইনের ওপর। আবার যে কোন অনুষ্ঠানে এক কালারের জর্জেট চওরা পাড়ের শাড়ি মানিয়ে যায়। বিয়ে, বৌভাত, মেহেদি অনুষ্ঠান, গায়ে হলুদ ইত্যাদি যে কোন অনুষ্ঠানে জর্জেট শাড়ি;প্রিন্ট বা এক কালারের পরে থাকেন অনেকেই।

তবে একদম সিম্পল থাকলেও অনেক সময় সিম্পলের ভেতর গর্জিয়াস ভাবটা আনা জরুরি। যেটা আপনার নিজের কাছেও ভালো লাগবে!

জর্জেট শাড়ি যে কোন যায়গায় এবং মহলে মানিয়ে যায়। তাই জর্জেটের সাধারণ এক রঙা বা প্রিন্টের শাড়িতে আপনি নিজেই নিয়ে আসতে পারেন গর্জিয়াস লুক;

  • বাজারে বিভিন্ন রকম, ছোট, বড় লেইস পাওয়া যায়।এক রঙের জর্জেট শাড়িতে পছন্দ মতো লেইস পাড় হিসেবে সিলাই করে নিন।লেইস মোটা পাড় হিসেবে ব্যবহার করা ভালো।এতে শাড়ির রঙ ফুটে উঠবে। একদম সাধারণ হলেও আকর্ষণীয় লাগবে দেখতে।
  • এক রঙা জর্জেট শাড়িতে রঙ্গিন সুতোর হাল্কা হাতের কাজ করে নিতে পারেন। পুরোটা করতে না চাইলে শুধু আঁচল আর বুক থেকে কোমর পর্যন্ত কাজ করতে পারেন। শাড়ির সাথে যেই রঙ মানাবে সেই রঙের সুতো ব্যবহার করুন। দেখতে ভালো লাগবে আর যে কোন জাকজমক অনুষ্ঠানে মানিয়ে যাবে।

sharee 1

  • সিম্পল এক কালার জর্জেট শাড়ির উপর এক কালারের পাড় লাগিয়ে নিতে পারেন।তবে এর সাথে আপনার সাজটা ঘন হতে হবে। তাহলে সিম্পল শাড়িতে আপনাকে আকর্ষণীয় দেখাবে।
  • রঙিন কাজ করা লেইস বা চওরা ডিজাইনের লেইস কিনে শাড়ির আঁচল আর বুকের উপরের দিকে লাগিয়ে নিন। বুকের কাজের ক্ষেত্রে বড় বড় ইয়োকগুলোও ব্যবহার করতে পারেন। সাথে মানানসই পাথর নিজে ঘরে বসে বসিয়ে নিতে পারেন।
  • জর্জেট শাড়ি মোটা হলে সেটাতে বেশি কাজ করার প্রয়োজন নাই। অল্প হাতের কাজ করাই ভালো।তা না হলে শাড়ি ভারি লাগবে। আপনার যেভাবে সুবিধা হয় সেভাবে শাড়িতে কাজ করে নিন।
  • প্রিন্টের জর্জেট হলে প্রিন্টের ডিজাইনের মাঝে মাঝে চুমকি বসাতে পারেন।বাজারে বিভিন্ন রকমের আর সাইজের চুমকি পাওয়া যায়, সেগুলো ব্যবহার করুন। এতে শাড়ি দেখতে উজ্জ্বল লাগবে।
  • হাল্কা প্রিন্টের জর্জেট শাড়ি হলে শুধু পাড় লাগিয়ে নিতে পারেন। এতে শাড়ির কাজ ঘন দেখাবে।

sharee 3.png

  • পাতলা জর্জেট পরতে অসুবিধা হলে কারচুপির কাজ করে নিতে পারেন। আচলে আর পাড়ের কাছে কারচুপির কাজ করলে শাড়ি ভারি হবে। এছাড়া শাড়ি পাতলা দেখাবেনা।
  • অনেকে শাড়ি পুরোটাই একদম একরঙা রাখতে চান।তাহলে জর্জেট শাড়ির সাথে প্রিন্টের বা কাজ করা কাতান ব্লাউজ পরতে পারেন। এছাড়া সুতি কাপড়ের উপর কাজ করা ব্লাউজ পাওয়া যায়, সেগুলোও পরতে পারেন। এতে শাড়ি একরঙা হলেও রঙিন দেখাবে।
  • জর্জেট শাড়ি দুপুর, রাতে, যে কোন সময়ই উজ্জ্বল দেখায়। তাই অতিরিক্ত কাজ না করাই ভালো।
  • বাজারে বিভিন্ন ২ কালার বা ৩ কালারের শেডের জর্জেট কাপড় পাওয়া যায়। সেগুলো কিনে তাতে হাল্কা রঙের পাড় লাগিয়ে নিন। শেডের জর্জেটে সাথে এক রঙা ব্লাউজ পরুন, দারুণ মানিয়ে যাবে।

shari last

  • বাজারের কিছু দোকানে কাপড়ের উপর অনেক কাজ করায় নেয়া যায়, সে ক্ষেত্রে কারচুপির কাজের লোক থাকে অনেক দোকানেই।নিজে কাজ করতে না চাইলে সেখানে কম খরচে কাজ করে নিতে পারেন। এতে আপনার কষ্ট কম হবে।

 

দেখলেন তো কতো কম খরচে সিম্পল জর্জেট শাড়ি আপনাকে কিভাবে গর্জিয়াস লুক দিতে পারে! নিজের মন মতো আপনিও একটু চেষ্টা আর ধৈর্য নিয়ে জর্জেট শাড়িতে কাজ করে দেখতে পারেন।

লিখেছেন – সোহানা মোরশেদ

 ছবি –  ক্র্যাফটসভিলা.কম, আর্টিসানগ্লিটজ.কম

সব বয়সীদের জন্য পুষ্টিকর ডিম সুজির হালুয়া

$
0
0

বাচ্চাদের খাওয়াতে মাদের কম বেগ পেতে হয় না! তবে একটু স্বাদের সাথে সাথে যদি খাবারটি দেখতে কালারফুল হয় তবে খায়ানোটা একটু সহজতর হয়। আজকের রেসিপি আয়োজনে এমন একটি আইটেম রয়েছে যা বড়রা তো পছন্দ করবেই সাথে বাচ্চারাও আগ্রহ করে খাবে।

উপকরণ

  • সুজি – ১ কাপ
  • চিনি – ১ কাপ এর অল্প কম 
  • ডিম – ১ টা
  • দুধ – ২ ১/২ কাপ
  • ঘি – ৪ চা চামচ
  • লবন – ১ চিমটি
  • এলাচ – ২ টা
  • দারুচিনি – ১ টুকরা
  • ফুড কালার – সামান্য
  • বাদাম, কিশমিশ – ইচ্ছেমত


প্রণালী

- সুজি শুকনো খোলায় ভেজে নিন।
- এলাচ গুড়ো করে আলাদা রাখুন।
- কালার ও বাদাম, কিশমিশ ছাড়া সব উপকরণ মিশিয়ে নিন।
- প্যান গরম হলে মিশ্রণ দিয়ে অনবরত নাড়তে থাকুন।
- ফুটে উঠলে ঘন হতে থাকবে।
- ঘি বের হয়ে প্যান এর গা ছেড়ে আসলেই নামিয়ে নিন।
- বাকি উপকরণ মেশান।


ইচ্ছেমত কালার দিন। বাচ্চাদের সাজিয়ে দিন।মজা করে খাবে।তাছাড়া বাচ্চাদের জন্য খুবই পুষ্টিকর। শুভ কামনা সকলের জন্য।

ছবি ও রেসিপি - খুরশিদা রনী

শীত কি গ্রীষ্ম সারা বছর ব্যবহারযোগ্য এই একটি ক্রিম!

$
0
0

শীতকাল তো এবার চলেই গেল প্রায়। শীতকাল আসলেই কমবেশি সবাই কোন না কোন moisturizer ব্যবহার করে থাকে। তবে প্রতিদিনের ধুলাবালি, ময়লা এগুলোর কারনে সারা বছরই আমাদের অনেকের ত্বক থাকে রুক্ষ ও প্রাণহীন। আর শীত যাচ্ছি যাচ্ছি এই সময়টাতে কিন্তু আমাদের ত্বক অনেক বেশী টানে। আর তাই আমি আজকে লিখছি এমন একটি Product নিয়ে যেটি আসলে শীত কিংবা গরম সারা বছর ব্যবহার করা যায়। আর এটির সবচেয়ে বড় যে সুবিধাটি তা হল এটা যেমন আপনি সারা শরীরে use করতে পারবেন আবার অনায়াসে মুখে এবং ঠোঁটেও লাগাতে পারবেন। আমি বলছি PALMER’S Cocoa Butter Formula এই প্রোডাক্টটির কথা। এক কথায় এটি আপনার পুরো শরীরের moisturizer হিসেবে কাজ করবে। যারা এই প্রোডাক্টটি ব্যবহার করেছেন তারা সত্যিই এর ভক্ত হয়ে গেছেন।

গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপাদান

১. Theobroma Cacao (Cocoa) Extract,

২. Mineral Oil,

৩. Microcrystalline Wax,

৪. Seed Butter ও

৫. Nice Chocolate Fragrance

উপাদানগুলো যেভাবে কাজ করে

১. Cocoa Butter vitamin E সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি আমাদের ত্বক কে নরম ও কোমল করে তোলে। এই crème টি শরীরের অনাকাঙ্ক্ষিত ফাটা দাগ খুব কার্যকরী ভাবে দূর করে।

২. Mineral Oil শরীরের আদ্রতা রক্ষা করে এবং শরীরের moisturizer লক করে শুষ্কতার হাত থেকে রক্ষা করে।

৩. Microcrystalline Wax উপাদানটি মূলত এই crème টি কে elastic ও adhesive করেছে। এর ফলে এটি খুব অল্প পরিমাণে use করলেই হয়ে যায়।

৪. Seed Butter হল সানফ্লাওয়ার বীজ থেকে তৈরি এক ধরনের butter যা seed butter বা sun butter নামে পরিচিত। এটি ত্বক কে কোমল ও মসৃণ করতে সাহায্য করে।

৫. Nice Chocolate Fragrance আপনাকে দিবে এক সুন্দর ও প্রানবন্ত অনুভূতি।

কোথায় পাবেন?

স্যাফায়ার’ এর রাইফেলস স্কয়ার এবং যমুনা ফিউচার পার্ক ব্রাঞ্চ থেকে আপনি নিজে দেখে কিনতে পারবেন অথবা ওয়েবসাইট থেকে ঘরে বসে অর্ডার করতে পারবেন।

ব্যবহারের উপকারিতা

১. প্রথমত যাদের ত্বক অত্যন্ত শুষ্ক ও প্রাণহীন তারা এই crème টি ব্যবহার করে আশা করছি খুব ভাল ফল পাবেন।

২. মাতৃত্ব জনিত কারনে, অতিরিক্ত মোটা হবার কারনে যাদের শরীরে ফাটা দাগ পরেছে তারা PALMER’S Cocoa Butter Formula এই crème টি ব্যাবহার করে অত্যন্ত উপকৃত হবেন। এটি খুব অল্প দিনে লক্ষণীয় ভাবে ফাটা দাগ কমিয়ে ত্বক কে টানটান করে তোলে। অনেক Doctor ও শরীরের ফাটা দাগ কমাতে এই crème টি recommend করে থাকেন।

৩. যাদের মুখে ব্রণের বা এলারজির সমস্যা আছে তারা সাধারণত মুখে কোন crème লাগাতে পারেন না। কিন্তু এই crème টি আপনি নিশ্চিন্তে সারা বছর মুখে লাগাতে পারেন। এটি কোন ধরনের skin problem arise করে না। আমি নিজে ব্রণের ভুক্তভোগী এবং কোন ধরনের moisturizer মুখে লাগাতে পারতাম না। শুধুমাত্র এই একটি crème যেটি ব্যবহারের পর আমি কোন ধরণের skin problem face করিনি। তবে আপনি প্রথম একদিন দুইদিন ব্যবহার করে খেয়াল রাখতে পারেন যে আপনার skin এ কোন ধরনের সমস্যা হচ্ছে কি না। যদি আপনি comfort feel না করেন তবে যত ভালো প্রোডাক্ট ই হোক না কেন সেটি ব্যবহার করা একদম ই উচিত না। কারন সব মানুষের skin type এক রকম হয় না।

আমি নিজে এই crème টি ব্যবহার করছি প্রায় ২ বছর যাবত। আমি অত্যন্ত Satisfied এবং আমার সেই সন্তুষ্টির জায়গা থেকেই আজকে আপনাদের জন্য এই লিখা। আশা করছি এই Product টি আপনার ত্বকের প্রতিদিনকার সমস্যা দূর করে আপনাকে করে তুলবে প্রাণবন্ত।

লিখেছেন – রিভা খান

Viewing all 3053 articles
Browse latest View live