Quantcast
Channel: Shajgoj
Viewing all 3053 articles
Browse latest View live

ন্যাচার রিপাবলিক অ্যালো সুদিং জেল- একটি পয়সা উসুল পণ্য!

$
0
0

আজকে আমার অনেক প্রিয় একটি প্রোডাক্ট সম্পর্কে বলব। আমার স্কিন হচ্ছে এমন সেনসিটিভ যাতে প্রায় কিছুই ছোঁয়ানো যায় না। স্যুট না করলে সাথে সাথে ব্রণ উঠে যায়। সাথে সাথে অয়েলিনেস এর সমস্যা তো আছেই। তো আমি সবসময় খেয়াল রাখি যেন আমার সব কসমেটিক আমি যেসব উপাদানে সেনসিটিভ সেগুলো ছাড়া ফর্মুলেটেড হয়। আর এজন্যই খুব ভালোভাবে প্রোডাক্টের যত রিভিউ নেটে পাওয়া যায় সব না পড়ে কখনই কিছু কিনি না।

সেনসিটিভ স্কিন হওয়ার জন্য সবসময় অ্যালোভেরা আমার স্কিনে বেশ ভালো কাজ করে। তাই ন্যাচারাল অ্যালোভেরা ইউজ করার পাশাপাশি কসমেটিক অ্যালো জেল (অবশ্যই যেগুলো কোন আর্টিফিশিয়াল কালার ছাড়া ফর্মুলেটেড) সেগুলো প্রায়ই কিনি এবং ইউজ করি। আর ন্যাচারস রিপাবলিক ৯২% সুদিং অ্যালো  জেল ঠিক তেমনি একটি প্রোডাক্ট।

এটা বিখ্যাত কোরিয়ান ড্রাগস্টোর ‘ন্যাচারস রিপাবলিক’ এর বেস্ট সেলিং প্রোডাক্ট। বাংলাদেশে এটা এখন পাওয়া যাচ্ছে জানতে পেড়ে সাথে সাথেই আমি কিনে ফেলেছি। সেটা প্রায় ৪ মাস আগের কথা। তো আজ বলব এই মাল্টিপারপাস ৯২% অ্যালো  জেল আমি কীভাবে ইউজ করেছি।

দামঃ

বাংলাদেশে এটা ১০০০ টাকা করে পাওয়া যায়। প্রতি জারের সাইজ ৩০০ মিলি। পরিমানে প্রচুর!

কোথায় পাবেন?

একটি কি দুটি অনলাইন কোরিয়ান কসমেটিক শপে আমি এটা প্রথম দেখেছি। এছাড়া এখন ‘স্যাফায়ার’ এর রাইফেলস স্কয়ার এবং যমুনা ফিউচার পার্ক ব্রাঞ্চ থেকে আপনি নিজে দেখে কিনতে পারবেন অথবা ওয়েবসাইট থেকে ঘরে বসে অর্ডার করতে পারবেন।

aloe 4

কীভাবে ইউজ করবেন?

আগেই বলেছি এটা একটা মাল্টিপারপাস জেল। এতে ঠিক ৯২% পিওর অ্যালোভেরা আছে, এবং বাকিটা অ্যালকোহল, প্রিজারভেটিভ ইত্যাদি। ন্যাচারস রিপাবলিকের ওয়েবসাইট থেকে নেয়া ছবিটা নিচে দিয়ে দিলাম-

aloe 3

দেখতেই পাচ্ছেন, এখানে এই জেলের বিভিন্ন ইউজের কথা বলা আছে। তো এর মধ্যে আমি যতভাবে এটা ইউজ করেছি এবং কেমন রেজাল্ট পেয়েছি দেখুন-

aloe 2

১।ময়েশ্চারাইজার হিসেবে-

 এভাবে এই জেলটা ইউজ করতেই আমার সবচেয়ে বেশি ভালোলাগে। এতে অল্প মেনথল থাকায় মুখে দেয়ার সাথে সাথে একটু ঠাণ্ডা লাগে। এতে করে আমার স্কিনে কোন র‍্যাস/ লালছে ভাব থাকলে সেটা বেশ কমে আসে। তাছাড়া স্কিনে নতুন র‍্যাস/ হোয়াইট হেড উঠছে টের পেলেও আমি জেলটা ফ্রিজে ঢুকিয়ে ঠাণ্ডা করে মুখ ধুয়ে হাল্কা করে মাখিয়ে নেই। র‍্যাস ওঠার আগেই চুলকানি/ রেডনেস চলে যায়। এতে কোন অয়েল বেসড উপাদান না থাকায় এটা আমার অয়েলি স্কিনে দেয়ার কিছুক্ষন পড়েই একদম ম্যাট হয়ে মিশে যায়।

কোন আর্টিফিশিয়াল কালার ছাড়া একেবারে স্বচ্ছ অ্যালো জেল।

২। ফেস মাস্ক হিসেবে-

উইকে ৩-৪ বার ঠাণ্ডা করা অ্যালো জেল আমি মাস্ক হিসেবে ইউজ করি। বেশ অনেকটা জেল নিয়ে আমি ধোয়া পরিস্কার মুখে লাগিয়ে নেই এবং ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলি। মাঝে মাঝে ঘরে তৈরি অন্যান্য মাস্কেও মেশাই। আবার মাঝে মাঝে স্কিনে ব্রণ থাকলে রাতে ঘুমানোর আগে একটু মোটা করে স্লিপিং মাস্কের মত লাগিয়ে নেই। সকাল নাগাদ ব্রণের রেডনেস এবং ইরিটেশন কমে যায়। ফোলা ভাবও কমে।

৩। আই মাস্ক হিসেবে-

আমার ২য় পছন্দের উপায়, এই জেলটা ইউজ করার। আমার চোখের চারপাশের মাসল অনেক টায়ার্ড। সারাদিন টান টান লাগে। স্পেসালি পিসির দিকে তাকিয়ে থাকলে/ বাইরে রোদ থেকে আসলে। তখন আমি অনেকখানি ঠাণ্ডা অ্যালোভেরা জেল মোটা লেয়ার করে চোখের চারপাশে লাগিয়ে রাখি। এটুকু বলতেই হবে যে সারাজীবন চোখে শসার কুচি দিয়েও যে চোখের টান টান ভাব দূর করতে পারিনি ফার্স্ট ঠাণ্ডা অ্যালো জেল দিয়ে সেটা পেরেছি!!

৪। বডি ময়েশ্চারাইজার হিসেবে-

এটা এত লাইট যে ইজিলি গোসলের পর অয়েলি স্কিনে বডি ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ইউজ করা যায়। এতে একটুও চিটচিটে ভাব হয় না। কিন্তু যাদের স্কিন অনেক ড্রাই তারা এই ওয়েতে ইউজ করে ভালো ফল পাবেন না কারণ আমার মনে হয় নি এত লাইট জেল ড্রাই স্কিনের নিড ফুলফিল করতে পারবে।

৫।বিভিন্ন হেয়ার প্যাকে-

যেকোনো হেয়ার প্যাকে ইজিলি ১ -২ টেবিল চামচ অ্যালো জেল ইউজ করতে পারবেন। একদম ন্যাচারাল অ্যালোভেরা পাতা থেকে আপনি যে রেজাল্ট পান তেমন ফলই পাবেন। অনেকে ভাবতে পারেন এটা একটা প্রিজারভেটিভ দেয়া কসমেটিক, হোমমেড মাস্কে মেশানো যাবে কিনা। হ্যাঁ, যাবে। এটা খুবই  ভারসেটাইল প্রোডাক্ট। আপনার চুলে যদি এমনি অ্যালোভেরা স্যুট করে তবে এই জেলটাও আপনি যেকোনো মাস্কে ইউজ করতে পারবেন।

৬। লিভ-ইন কন্ডিশনার হিসেবে-

গোসলের পর চুলের এক্সট্রা পানি ঝরিয়ে নিয়ে/ চুল একটু শুকিয়ে আসলে, ভেজা ভেজা চুলে আধা চামচ অ্যালো জেলে আধা চামচ পানি মিশিয়ে স্ক্যাল্প ছাড়া শুধু চুলের বডিতে নরমাল লিভ ইন কন্ডিশনারের মত আমি প্রায় ইউজ করি। চুলের ফ্রিজি ভাব, লালচে ভাব এবং ফ্লাই আওয়ে হেয়ার প্রিভেন্ট করে।

এই প্রোডাক্টের যে দিকগুলো আমার ভালো লেগেছে-

-   রকমারি ব্যবহার! আমি যেসব ইউজ বললাম এছাড়াও এটাকে সেভিং জেল, হেয়ার জেল, কিউটিকল কেয়ার,মেকাপ রিমুভার অথবা সানবার্ন সুদিং জেল হিসেবে ছেলে মেয়ে সবাই ইউজ করতে পারে। এবং আমি অনেক ব্লগারকে দেখেছি কাঁটা ছেড়ার উপরে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল মলমের মত এটা ইউজ করতে। নরমাল ন্যাচারাল অ্যালো জেলের মতই এটা সব ক্ষেত্রে কাজ করে।

-   দাম… এটার পরিমান, কার্যকারিতা চিন্তা করে অন্যান্য বিদেশি কসমেটিকের সাথে তুলনা করলে এটার দাম বেশ কমই বলা যায়।

-   আমি সবসময় যখনি টের পাই যে ব্রণ উঠবে/ র‍্যাস হচ্ছে। মুখের কোন অংশ লাল হয়ে চুলকাচ্ছে… সাথে সাথে মুখ ক্লিন করে এটা মেখে বসে থাকি। এই সময় শুধু এই জেল ছাড়া আর সব কসমেটিক ইউজ বন্ধ করে দেই। এটা প্রতিবারই আমাকে ম্যাজিক দেখায়।

-   এর কোন উপাদানই তৈলাক্ত সেনসিটিভ স্কিনের উপরে কোন ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে না, সুতরাং যারা অতিরিক্ত সেনসিটিভীটির জন্য মুখে কিছু ইউজ করতে পারেন না, তাদের জন্যই বিশেষ করে আমি এই প্রোডাক্টটি সাজেসট করব।

যা যা মনে রাখবেন-

-   আমি খেয়াল করেছি, হাল্কা অ্যালকোহল আর মেনথল থাকার কারণে এটা স্কিনে একদম মিশে যায় এবং স্কিন অনেকক্ষন ড্রাই রাখে। তাই আমার মনে হয় যারা ড্রাই স্কিনের অধিকারী তারা এটা ইউজ করে অতটা ভালো ফল পাবেননা। উলটো এটা ড্রাই স্কিনকে আরও ড্রাই করে দিতে পারে।

-   বিশেষ করে মনে রাখবেন, যাদের আলভেরাতে অ্যালার্জি আছে তারা কোনভাবেই এটা ইউজ করবেন না। এটা একেবারেই প্রিজারভ করা ন্যাচারাল অ্যালো জেল। সুতরাং, ন্যাচারাল অ্যালোতে যদি আপনার অ্যালার্জিথাকে, এই প্রোডাক্ট ইউজ করলেও অ্যালার্জিহবে।

আমার রেটিং-

৯/১০, বাড়িয়ে বলছি না। কিন্তু আমার কাছে এটা একটা পয়সা উসুল প্রোডাক্ট। সব মিলিয়ে আমার মত সেনসিটিভ, একনে আর র‍্যাস প্রন স্কিন যাদের, তাদের এসব ইমারজেন্সি সমস্যা মোকাবেলার জন্য এক কৌটা ন্যাচারস রিপাবলিক অ্যালো  জেল হাতের কাছে রাখা মাস্ট … !! আর এটা এত ভাবে ইউজ করা যায়, কোনভাবেই আপনি এটা কিনে পস্তানোর সুযোগ পাবেন না।

লিখেছেন – তাবাসসুম মুস্তারি মিম


জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহারের কিছু আদবকেতা

$
0
0

জীবনের কাজে-অকাজে নানা ব্যস্ততায় জীবনটা অনেক বেশি যান্ত্রিক বানিয়েই রাখছি আমরা। আজকাল ভাব-ভালোবাসার প্রকাশেও সামাজিক মাধ্যমগুলিকে বেছে নিই। অপরিচিতদের সাথে তো বটেই, কাছের মানুষদেরকেও ভার্চুয়ালি কাছে কাছে রাখছি বেশি। সার্বক্ষণিক যোগাযোগ এই ভার্চুয়াল দুনিয়াতেই। দিনদিন মুঠোফোনে ক্ষুদেবার্তা দেয়ার হারও কমে যাচ্ছে, বার্তা চালাচালি সব ফেসবুক, ভাইবার বা হোয়াটসঅ্যাপে। আমাদের দেশে সবচাইতে জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম হিসেবে ফেসবুকের নাম উঠে আসবে নিঃসন্দেহে।

ফেসবুক আইডি আজকাল বারো বছরের ছোট্ট মানুষটিরও আছে, কেননা তার হাতের মুঠোয় ইন্টারনেটের জাদুর চেরাগ দিয়ে রেখেছে অভিভাবক। ঠিক তেমনই ফেসবুকে আইডি খুলতে পারছে নিতান্তই অশিক্ষিত জনগোষ্ঠী যারা ব্যবহার বিধিমালা জানতেও সমর্থ নয়। অন্যদিকে তথাকথিত শিক্ষিতদের মাঝে রয়েছে এমন সব মানুষ যারা তাদের বিদ্যাকে কাজে লাগিয়েই একের পর এক অনর্থ করে যাচ্ছে। অসভ্যতা যাদের কাছে অত্যন্ত স্বাভাবিক আচরণ।

সব রকমের মানুষ নিয়েই এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলি চলছে। ব্যতিক্রম নয় ফেসবুকের নীলসাদা দুনিয়াও। হরেক রকম মানুষের বসতি এইখানে। প্রত্যেক মানুষের জন্য কোন নতুন জিনিষ ব্যবহার করার শুরুতেই তার নিয়ম বা কিছু আদবকেতা জানাটা জরুরী। ফেসবুকেও আছে তেমন কিছু সাধারণ নিয়মনীতি। একজন সভ্য নাগরিক বা নিদেনপক্ষে ভদ্র মানুষ হিসেবে যা আপনাকে মানতেই হবে। অন্যথায় নিজের মান খুইয়ে বসবেন।

ফেসবুকের আদবকেতার মধ্যে আছে এই বিষয়গুলি-

একদমই অচেনা কাউকে বন্ধু হবার অনুরোধ পাঠানো থেকে বিরত থাকাটা সবচেয়ে ভালো, যদি না আপনি তার কাজের মাধ্যমে প্রভাবিত বা তার কাজের প্রতি আগ্রহী হয়ে থাকেন এবং সেই কারনে তাকে বন্ধু তালিকায় পেতে চান। এটা খুবই সাধারণ ভদ্রতা, কারো না বোঝার কিছুই নেই। বন্ধুতালিকা লম্বা বানিয়ে যে কোন মেডেল পাবেন, তা নিশ্চয় নয়!

মিউচুয়াল ফ্রেন্ড দেখলেই রিকোয়েস্ট পাঠাতে হাত নিশপিশ করে, এমন মানুষ কম নেই এই ফেসবুকে। দেখা গেলো অযথাই বেশি আগ্রহী হয়ে নতুন মানুষকে তো পেলেনই না বন্ধু হিসেবে, বরং আপনার পুরনো বন্ধুটিই আপনাকে বিদায় দিলো নিজের তালিকা থেকে! তাই একটু হলেও ভাবুন কী করছেন, কেনো করছেন।

পোক বা গুঁতা দেয়াটা ফেসবুকের অনর্থক এক ফিচার বলে অনেকেই মনে করেন। চেনা নেই জানা নেই হুট করে একদম অচেনা কারো কাছ থেকে পোকড হবার নোটিফিকেশন পেলে সত্যিই বিরক্ত লাগে। ফেসবুকে নতুন হন বা পুরনো, খুব কাছের বন্ধুদের সাথে মজা করা বাদে আর কোন ক্ষেত্রে এই পোক করার স্বভাব বাদ দিন। এই কারণে যদি কোনদিন কারো কাছে অপমানিত হতে হয়, সেটা কিন্তু অযথা হবে না, মনে রাখবেন।

ফেসবুকে ইমোটিকনগুলি আবেগ না বোঝাক, ব্যক্তির সামান্যতম মনোভাব তো বোঝায়ই। তাই ইমোটিকনের ব্যবহার করুন বুঝেশুনে। কাকে দিচ্ছেন, কী কথার প্রেক্ষিতে দিচ্ছেন, আপনাদের সম্পর্ক কেমন, ইমোর আদানপ্রদান নির্ভর করবে এসব বিষয়ের ওপর। কথা বলতে শুরু করেছেন মাত্রই, মানুষটার সাথে প্রথম আলাপ, পরিচয় হবার শুরুতেই তাকে চোখ টিপ দেয়ার ইমো দিয়ে বসলেন আপনি, নিজেই ভাবুন এটা খুব সভ্য আচরণের মাঝে পড়ছে কিনা।

আবার কথা বলছেন এমন কারো সাথে যিনি নিজে ইমোর ব্যবহার বলতে গেলে করছেনই না, তাকে একের পর এক ইমোর সাথে বার্তা পাঠানোটা কি ভালো দেখাচ্ছে? তিনি হয়তো আপনার সাথে খুব জরুরী কাজের কথাটুকু বলার আগ্রহও হারিয়ে ফেলছেন। সব পরিস্থিতি বিবেচনায় রাখুন নিজেই। নাহয় অন্যের কাছে বিরক্তির কারন হবেন হরহামেশা।

কেউ অনবরত আপনার বন্ধুত্বের অনুরোধ অগ্রাহ্য করছে। মানে আপনার পাঠানো ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট রিমুভ করে দিচ্ছে বারবার। সে হয়তো একেবারেই অপরিচিত, বা স্বল্প পরিচিত আপনার। দেখছেন যখন সে যখন আপনাকে এড়াতেই চাইছে, নিজে থেকে সরে আসাটা কি ভালো নয় আপনার পক্ষে? আপনি অবাক হয়ে থাকলে তাকে একটি মেসেজ দিতে পারেন, কথা বলতে পারেন কিন্তু গোঁয়ারের মতো বারবার ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে নিজেকেই আরো হাস্যকর বানাচ্ছেন তার কাছে!

আমি এমন মানুষদের চিনি যারা যথেষ্ট ভদ্র ও শিক্ষিত, অন্তত সামাজিক অবস্থানের প্রেক্ষিতে, কিন্তু ফেসবুকে এই ধরনের আচরণ তাদের কাছ থেকে প্রায়ই দেখা যায়। কয়েকবার ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে তারা এমন একজনের বন্ধু তালিকায় জায়গা করে নেয় এবং সেটা অন্যদের কাছে গল্পও করে! অন্যদিকে সেই অপরিচিত বা স্বল্পচেনা ব্যক্তিটি হয়তো নিতান্তই চক্ষুলজ্জায় পড়ে এমন একটা রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করতে বাধ্য হয়েছেন!

কম পরিচিত বা অপরিচিত যে কাউকে বন্ধুত্বের অনুরোধ পাঠানোর আগে একটিবার তার প্রোফাইলে গিয়ে তার সম্পর্কিত তথ্যের খোঁজ নিয়ে আসুন। কারো কারো প্রোফাইলে লেখাই থাকে তিনি কেমন মানুষের কাছ থেকে বন্ধুত্বের আবেদনে সাড়া দিতে ইচ্ছুক আর কেমন মানুষের বন্ধুত্বের আবেদন তিনি মোটেও গ্রহণ করবেন না। পরে দেখা গেলো আপনার আবেদন সেই “মোটেও গ্রহণ করবেন না” মানুষের দলে পড়ে যাবে। তাই আগে থেকেই জেনে নেয়াটা ভালো নয় কি?

কমেন্টিং বা মন্তব্য করার আদবকেতা জানুন আগে, তারপরই যে কারো পোস্টে মন্তব্য করুন। আপনার কোন মন্তব্য হয়তো পোস্টদাতার কাছে চরম বিরক্তিকর হবে। হয়তো তার কোন গুরুত্বপূর্ণ পোস্টে আপনি মজা করলেন বা খোঁচা দিয়ে কিছু বললেন, তাতে যে তিনি চটে যাবেন সেটা আপনার বোঝা উচিত আগেই। অনেকেই ফটো কমেন্ট বেশ অপছন্দ করেন। যতোই আপনার নিজের পছন্দের হোক না কেনো তাদের পোস্টে কমেন্ট করার ক্ষেত্রে আপনাকে ফটো কমেন্টের মায়া কাটাতে হবে। অন্যথায় কমেন্ট না করলেও নিশ্চয় কোন ক্ষতি নেই, তাইনা?

মোট কথা, আপনি যেনো কোনভাবেই অন্যের কাছে এড়িয়ে চলার পাত্রে পরিণত না হন সেটা নিশ্চিত করতে হবে আপনাকেই। নিজে ভালো থাকুন এবং সেটা অন্যের কাছে নিজেকে ভালোভাবে উপস্থাপন করে তবেই। হ্যাপি ফেসবুকিং!

লিখেছেন –   মুমতাহীনা মাহবুব

ছবি – ডেইলিমেইল.কো.ইউকে

দারুণ মজাদার বিবিখানা পিঠা!

$
0
0

প্রচ্ছদের ঐতিহ্যবাহি এই পিঠার নাম  বিবিখানা।  আর এই পিঠা নিয়েই আমাদের আজকের আয়োজন। ছোটবেলায় নানি-দাদির হাতে এই পিঠাটি খাওয়ার যাদের অভিজ্ঞতা আছে তারা জানেন এই পিঠাটি কত সুস্বাদু। আর যারা এই পিঠাটি নিজেই তৈরি করতে চান তারা দেখে নিন  এর পুরো প্রণালী।

উপকর

  • চালের গুড়া – ১ কাপ
  • ময়দা – ১/২ কাপ
  • নারকেল কোরা – ১/২ কাপ
  • লবন – ১/৪ চা চামচ
  • ডিম – ২ টা
  • বেকিং পাউডার – ১/২ চা চামচ 
  • খেজুরগুড় – ১/২ কাপ
  • চিনি – ১/২ কাপ
  • ঘি – ১/৪ কাপ


প্রণালী

- একটা বোলে সব উপকরণ একসাথে ভালো করে মিক্স করে নিন।

- টিফিন বক্স এর বাটিতে বা কেক টিনে তেল মেখে নিয়ে গোলা ঢেলে দিন।

- প্রিহিটেড ওভেনে ১৮০ তাপে ৪০মিঃ বেক করে নিন।

- চুলায় করতে চাইলে তাওয়া বা কড়াইয়ে বালি গরম করে তাতে বক্স টা বসিয়ে দিন।

- মাঝারী তাপে আধাঘণ্টা রেখে দেখে নিন। পিঠা পুরোপুরিভাবে সিদ্ধ হয়েছে কিনা।

- ভালোভাবে হয়ে গেলে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে কেটে নিন।

ছবি ও রেসিপি - খুরশিদা রনী

চুলের আগা ফাটার কারণ এবং পরিত্রাণের উপায়!

$
0
0

লম্বা চুল রাখতে চাচ্ছেন , কিন্তু কোন ভাবেই আগা ফাটা থামাতে পারছেন না!! এর চেয়ে বিরক্তিকর কিছু কি আর আছে? আর তারচেয়েও বাজে ব্যাপার হচ্ছে, চুল যত লম্বা হবে , আগা ফেটে চুলের নিচের দিক লাল, পাতলা হয়ে যাওয়ার প্রবণতা ততই বাড়বে… কারণ চুলের আগা স্ক্যাল্প থেকে অনেক দূরে থাকায় স্ক্যাল্পের সেবাম চুলের আগায় পৌছাতে পারে না। আর তাই চুল ড্রাই আর ড্যামেজড হয়ে ফেটে একসা হতে থাকে। এমনকি আমার স্ক্যাল্প প্রচণ্ড অয়েলি হওয়া সত্ত্বেও আগা ফাটা থামাতে অনেক বেগ পেতে হয়!! যাদের চুল ড্রাই, তাদের কথা আর নাই বা বললাম…

তাই আজ আপনাদের চুলের আগা ফাটা রোধ করার জন্য কী করবেন আর কী কী একেবারেই করবেন না, সেই বিষয়ে কিছু টিপস দেব-

যা যা একেবারেই করবেন না-

১। অনেকেরই অভ্যাস আছে রোজ রোজ চুল হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে শুকানোর। যার ফলে চুলের আদ্রতা হিটের কারণে ধীরে ধীরে চলে যায়, এবং কিছু বোঝার আগেই পুরো চুল লাল হয়ে ফেটে যায়। সুতরাং কোন ভাবেই হিট প্রটেক্টর ছাড়া চুলে হেয়ার ড্রায়ার কেন, ফ্ল্যাট আয়রন, কারলার খবরদার ছোঁয়াবেন না। চুল যদি অলরেডি ফেটে গিয়ে থাকে তাহলে তো নাই…

২। আবার অনেকের অভ্যাস আরও বাজে, গামছা দিয়ে চুল ঝেড়ে চুলের বারটা বাজিয়ে দিয়ে চুল শুকানোর ফার্স্ট আউট কাম হচ্ছে একগাদা ফাটা চুল!! এমনকি মোটা তোয়ালে দিয়ে গোসলের পড়ে চুল পেচিয়ে রাখলেও চুলের আদ্রতা তোয়ালে টেনে নিতে পারে। বিখ্যাত হেয়ার স্টাইলিস্টদের মতে গোসলের পর চুল থেকে চেপে চেপে পানি বের করে ফেলতে হবে… কোন ভাবেই চুল মুচড়ে পানি ঝরানোর চেষ্টা করা যাবে না। মোচড়ানোর হ্যাবিট থাকলে ফাটা চুল তো ভালো… সব চুল ধীরে ধীরে ভেঙ্গে যাবে কয়দিন পর সেই হিসাব করতে হবে।

চুলের জন্য সবচেয়ে ভালো হচ্ছে পাতলা গেঞ্জি কাপড়। পানি একেবারেই সহ্য করতে না পারলে গেঞ্জি কাপড় দিয়ে চুল চেপে পানি ঝরাতে পারেন, কিন্তু অন্য কোন কাপড়, গামছা, তোয়ালে ভুলেও চুলে ছোঁয়াবেন না।

৩। চুলে অতিরিক্ত ড্রাইয়িং শ্যাম্পু ইউজ করবেন না। যদি মনের মত শ্যাম্পু খুঁজেনা পান। জাস্ট বেবি শ্যাম্পু ইউজ করুন। সাথে সাথে মনে রাখবেন কোন ভাবেই, কন্ডিশনার মিস করবেন না!! এবং যাদের চুলের ফাটা সমস্যা সবসময় থাকে তারা কোনভাবেই চুলের বডিতে তেল না দিয়ে শ্যাম্পু করবেন না।

৪। কোন ভাবেই গরম পানি চুলে দেবেন না। গরম পানিতে চুলের তন্তু গুলো আস্তে আস্তে আদ্রতা হারিয়ে এদিকে ওদিকে ছড়িয়ে যায়। যে কারণে চুল লালচে দেখায় এবং  ফাটা শুরু করে। খুব বেশি হলে ঈষদুষ্ণ পানি নিন। এবং গোসলের শেষে এক্সদম ঠাণ্ডা পানি চুলে ধেলে তাপমাত্রা নরমালে নিয়ে আসুন। এতে চুলের তন্তু ঠিক জায়গায় থাকবে, চুল দেখতে অনেক সিল্কিও লাগবে আর আগাও ফাটবে না…

তাহলে কী করবেন?

-   সবার আগে এটা জেনে নিন যে, কসমেটিক বিক্রেতারা যাই বলুকনা কেন… চুল একবার ফেটে গেলে সেটা জোড়া লাগে না। সুতরাং আপনি জোড়া লাগার আশায় ফাটা চুল নিয়ে বসে থাকলে আস্তে আস্তে সেই ফাটা  নিচের ছবির মত করে উপরের দিকে উঠতে থাকবে, এবং আপনি হঠাৎ একদিন দেখবেন আপনার অর্ধেক চুল লালচে, দুর্বল, পাতলা… কপাল খারাপ হলে অন্য কেউ আপনাকে দেখিয়ে দেবে, আপনার চুলের অবস্থা…

hair split 1

ফাটা শুরু হবে এভাবে…

hair split 2

শেসে গিয়ে এই অবস্থা হবে… আরেকটু ভালো করে দেখাই-

hair split 3

দেখছেন??

তো বুঝতেই পারছেন… এই অবস্থায় যাওয়ার আগেই চুল কেটে ফেলতে হবে। আর তাই প্রতি ৬-৮ সপ্তাহ পর চুল থেকে খুব অল্প মানে- ১ সে মি/ ০.৫ সে মি কেটে ফেলুন। যাদের অলরেডি মাথায় ফাটা চুল আছে, তারা পুরো ফাটা অংশ কেটে ফেলুন এবং তার পর ৮ সপ্তাহ পর পর ট্রিম করুন। চুল দেখতে অনেক হেলদি লাগবে, এবং পাতলা, লাল হয়ে থাকা কোঁকড়ানো আগা আর খুজে পাবেন না…

-   প্রতি সপ্তাহে ৩ দিন অথবা শ্যাম্পু করার আগে মাথায় নারকেল তেল, অলিভ অয়েল, ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে মিনিমাম ৪ ঘণ্টা রেখে তারপর শ্যাম্পু করুন। স্কাল্প যদি বেশি অয়েলি লাগে তবে মাথায় লাগাতে না পারলেও চুলের বডিতে অবশ্যই তেল লাগান। অ্যাটলিস্ট চুলের আদ্রতা বজায় থাকবে…

কিছু প্যাক-

-   একটা ডিমের কুসুম (হলুদ অংশ) , দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েল আর এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে চুলে লাগান। ১-২ ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন।

-   চুল অতিরিক্ত ড্রাই হলে মাথায় মেহেদি দেবেন না। মেহেদি চুল আরও বেশি ড্রাই করে ফেলে।

-   ২ টেবিল চামচ টক দই , এক টেবিল চামচ নারকেল তেল, এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ইউজ করতে পারেন। আগা ফাটা রোধ করা সহ চুল সিল্কিও করবে…

লিখেছেন –  তাবাসসুম মুস্তারি মিম

ছবি – মাইবিউটিবানি.কম

জেনে নিই রূপচর্চার সেই বহুল ব্যবহৃত প্রাচীন পন্থাগুলো

$
0
0

প্রাচীন রূপচর্চা যা আপনার দাদী হয়ত করত কিন্তু আজও সমানভাবে কার্যকরী এমন কিছু শক্তিশালী ভেজজের কথা আজকে আমার বলবো । কখনও কি আপনার দাদীর সাথে গল্প করেছেন, কী দিয়ে তিনি তার রূপ কে ধরে  রাখার চেষ্টা করেছেন। তখনতো এসময়ের মত এত গ্লামারাস রূপচর্চা সামগ্রী  ছিল না আর যা  ছিল তা হয়ত তার নাগাল সীমার মধ্যেও ছিলনা । তাই বলে কি তিনি রূপচর্চা করতেন না! অবশ্যই করতেন। তার ব্যবহৃত  সেসব প্রাকৃতিক ভেষজ আজও আপনার রূপকে ধরে রাখেত সমান কার্যকর। প্রাচীন সেই রূপচর্চার সবচেয়ে শক্তিশালী দিক হল সব কিছুই ন্যাচারাল আর সস্তা । আসুন দাদীর ডাইরী থেকে জেনে নিই রূপচর্চার সেই বহুল ব্যবহৃত প্রাচীন পন্থাগুলো-

কাঁচা হলুদ

হলুদে আছে এন্টিব্যাকটেরিয়াল এন্টিসেপটিক এবং এন্টিঅক্সিডেন্টাল উপাদান যা একত্রে মুখের দাগ দূর করে এবং একনে প্রতিহত করে। হলুদের ক্রমাগত ব্যবহার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। কাচা হলুদ আজকাল সারাবছর বাজারে পাওয়া যায়।

লেবু আর শসার ব্লিচ

প্রাচীন আমলে লেবু আর শসার রস একত্রে মিশিয়ে ব্যবহার করা হতো মুখের ময়লা আর ট্যান দূর করার জন্য । লেবু আর শসা দুটোর মধ্যেই আছে প্রাকৃতিক  ব্লিচিং উপাদান ।

লেবু দিয়ে একনে দূর

এখনকার দিনে একনে একটি নিয়মিত সমস্যা । প্রাচীন যুগে সমপরিমান লেবুর রস আর পানি একত্রে মিশিয়ে একনের উপরে লাগিয়ে রাখা হতো । আর তাতেই হতো একনে দূর । এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা  বাড়াতেও কার্যকর  বলে বয়স্করা  বলে থাকেন ।

Carrot juice

চোখের কালো দাগ দূর করতে আলু

দাদীরা বলেন যে চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে আলু তুলুনাহীন। এটি চোখের নিচের ফোলাভাবও দূর করে। শুধু যা করতে হবে তা হল আলু পাতলা করে কেটে এটিকে ধুয়ে চোখের উপরে ৫-১০ মিনিট রেখে দিতে হবে এবং নিয়মিতভাবে এটি করতে হবে।

ফেইসপ্যাক  হিসেবে মধু

মধুর ফেইসপ্যাক ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা  বাড়ে যা আপনি নিমিষেই করে দেখতে পারেন।

চির নবীন ত্বকের জন্য গাজরের রস

দাদীরা প্রায় বলে থাকেন যে প্রতিদিন গাজরের রস পান করলে অকালে ত্বকের বয়স বাড়বে না।  গাজরে রয়েছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং মিনারেল যা ত্বকের  এবং চুলের জন্য বিশেষ উপকারী  এটা আপনার চোখের জন্যও ভালো।

তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে গমের আটা

দাদীদের ত্বক পরিস্কার করার জন্য প্রধান উপাদান ছিলো গমের আটা দুধ বা পানির সাথে মিশিয়ে  বানান পেস্ট।

কন্ডিশনার  হিসেবে নারকেল তেল

চুলকে নরম রেশমি স্বাস্থ্যকর করে তুলতে আদিমকাল থেকেই নারকেল তেল ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তাই  বাজারে অন্য যেকোনো রাসায়নিক কন্ডিশনার থেকে নারকেল তেল কন্ডিশনার হিসেবে অনন্য।

বর্তমানে আমাদের বাজারে রয়েছে অনেক রূপচর্চা পণ্য যার সবগুলো কিন্তু ভাল নয় । যার তথৈবচ ব্যবহার আমাদের ত্বককে  বা চুল্ কে অনেকসময় সুন্দর আর মসৃণ করার পরিবর্তে করে তুলছে রুক্ষ আর প্রাণহীন । তাই আসুন রূপচর্চায় আমরা প্রকৃতিকেই আপন করে নেই । প্রাচীন সেইসব প্রাকৃতিক ভেষজ অবশ্যই আপনার ত্বককে  বা চুলকে অবশ্যই সুন্দর রাখবে।

লিখেছেন – রোকসানা আকতার

ছবি –  গুডহেলদিলাইভস.ব্লগস্পট.কম

ঘরেই রেস্টুরেন্ট স্বাদের সিজলিং চিলি চিকেন!

$
0
0

সিজলিং আইটেম খেতে রেস্টুরেন্ট যেন অবধারিত। কিন্তু ঘরে বসেই কিছু উপকরণের সাহায্যে তৈরি সম্ভব সিজলিং আইটেম। স্বাদটাও কিন্তু একেবারে রেস্টুরেন্টের শেফের তৈরি সিজলিং থেকে কম নয়! আর আজকের সিজলিং আইটেমে রয়েছে চিলি চিকেন।  চলুন দেরি না করে দেখে নিই কী কী উপকরণ  দিয়ে  আর কীভাবে তৈরি করা যায় সিজলিং চিলি চিকেন।

উপকরণ 

  • হাড় ছাড়া মুরগির মাংস ৫০০ গ্রাম,
  • ভাঁজ খোলা পেঁয়াজ ১ কাপ,
  • মাখন ৩ টেবিল চামচ, 
  • কাঁচা মরিচ ৭/৮টি,
  • রসুন কুচি ৩ টেবিল চামচ,
  • আদা কুচি ২ টেবিল চামচ,
  • ময়দা ৪ টেবিল চামচ,
  • ডিমের সাদা অংশ ২টি,
  • সয়াবিন তেল আধা কাপ,
  • টমেটো সস ২ টেবিল চামচ,
  • চিলি সস ৩ টেবিল চামচ,
  • লবণ পরিমাণমতো,
  • সিজলিং ডিশ ১টি।
  • চাইলে সাথে বিভিন্ন ধরনের সবজি সিদ্ধ করে দিতে পারেন।

প্রণালী 

মুরগির মাংস চত টুকরা করে কেটে নিন।মাংসের সঙ্গে লবণ, ডিমের সাদা অংশ ও ময়দা একসঙ্গে মেখে ডুবো তেলে ভেজে নিন। কড়াইয়ে অল্প তেল দিয়ে রসুন কুচি ভেজে পেঁয়াজ ও মাংস (সবজি দিতে চাইলে এখনই দিয়ে দিন) দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে লবণ, কাঁচা মরিচ, টমেটো সস ও চিলি সস দিয়ে আরও কিছুক্ষণ রেখে নামিয়ে নিন।সিজলিং ডিশ চুলায় ৩০ মিনিট গরম করুন। চুলা থেকে নামিয়ে বাটার দিয়ে মাংসের মিশ্রণ ঢেলে ফ্রাইড রাইস, পোলাও বা পরোটার সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন।

ছবি ও রেসিপি – সামিয়া’স হোম কিচেন 

বিয়ের কার্ডগুলো কি ফেলে দিচ্ছেন? না ফেলে তৈরি করুন দারুণ ফটো ফ্রেম

$
0
0

পরিবারে কেউ না কেউ প্রায়ই বিয়ের দাওয়াতে কার্ড পেয়ে থাকেন। কিন্তু ওগুলো ঘরেই পরে থাকে। এগুলো দিয়েই মনের মতো করে বানিয়ে ফেলা যায় ফটোফ্রেম! চলুন দেখে নেই ফটোফ্রেম বানানোর ২টি খুব সহজ পদ্ধতি।

১ম পদ্ধতি- 

  • একটি কার্ড নিয়ে তার উপর লিখার কাগজটি তুলে নিন।
  • তার উপর যে কোন রঙের একটি কাগজ তার থেকে এক ইঞ্চি ছোট করে এবং চারকোণা করে কেটে মাঝে লাগিয়ে দিন।
  • কাগজের বক্সের কাগজ লম্বা লম্বা করে এবং সমান করে ৩টি কাগজ কেটে নিন। বক্সের কাগজ মোটা হয় তাই এটা ব্যবহার করাই ভালো।
  • এবার কার্ড এর উপর থাকা দ্বিতীয় কাগজের সমান করে উপরের অংশ বাদে কাগজ ৩টি কেটে নিন।
  • লম্বা লম্বা কাগজগুলো রঙিন সুতো দিয়ে আঠার সাহায্যে মুড়িয়ে নিন।
  • বামে, ডানে এবং নিচে তিনটি লম্বা করে কাটা কাগজের শুধু এক পাশে অর্থাৎ বাহিরের দিকে আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিন। এতে ছবি আটকে থাকতে সুবিধা হবে। নিচের ছবিগুলো লক্ষ্য করুন-

card 1card 2

  • এবার উপরের দিকে আপনার পছন্দমতো পুঁথি নিয়ে একটি একটি করে আঠার সাহায্যে আটকিয়ে দিন। ফ্রেমের উপরও দিতে পারেন।

আপনার ইচ্ছা মতো ফ্রেমটি সাজিয়ে নিন।

card 3

  • বক্সের একটি কাগজ বড় করে কেটে নিন। কার্ডের পিছনে এটির একপাশ নিচের ছবিটির মতো করে আটকিয়ে হালকা ভাঁজ করে দিন। চাইলে এটি রঙিন কাগজে মুড়িয়ে আটকাতে পারেন।

card 4

বক্সের কাগজ মোটা হয় আর সহজে ভাঁজ হয় না। তাই যেকোনো জায়গায় এটি ব্যাল্যান্স করে থাকতে পারবে।

২য় পদ্ধতি-

  • প্রথমে একটি কার্ড নিয়ে তার উপর লিখার কাগজটি সাবধানে তুলে ফেলুন। এবার তার উপর যে কোন রঙের একটি কাগজ চারকোণা করে কেটে আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিন। অথবা কার্ড রঙিন হলে তার থেকে এক ইঞ্চি ছোট করে কাগজ চারকোণা করে কেটে মাঝে লাগিয়ে দিন।
  • এরপর যেকোন কাগজের বক্সের কাগজ লম্বা লম্বা করে এবং সমান করে ৪টি কাগজ কেটে নিন।
  • লম্বা লম্বা কাগজগুলো রঙিন কাগজে আঠা দিয়ে মুড়িয়ে নিন।
  • এবার কার্ড এর উপর থাকা দ্বিতীয় কাগজের সমান করে কাগজ ৪টি কেটে নিন।
  • বামে, ডানে এবং নিচে তিনটি লম্বা করে কাটা কাগজের শুধু এক পাশে অর্থাৎ বাহিরের দিকে আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিন।
  • বাকি একটি লম্বা করে কাটা কাগজের শুধু দুই পাশ আঠা দিয়ে উপরের দিকে আটকিয়ে দিন। না হলে ছবি ঢুকবেনা।
  • বক্সের একটি কাগজ বড় করে কেটে নিন। কার্ডের পিছনে এটির একপাশ আগেরটির মতো করে আটকিয়ে হালকা ভাঁজ করে দিন।
  • এখন আপনার ইচ্ছা মতো এটি কাগজ দিয়ে সাজিয়ে নিন।

নিচের ছবিটির মতো আপনিও বানিয়ে ফেলুন ফটোফ্রেম!

card 5

প্লাস্টিক সহ ছবি ফ্রেমে আটকিয়ে দিন। এতে ছবি নোংরা হবে না। এভাবে সহজেই তৈরি ফটোফ্রেমে রাখুন আপনার সবচেয়ে পছন্দের ছবিটি!

লিখেছেন – সোহানা মোরশেদ

উৎসবের ঋতুতে রূপচর্চার খুব সহজ কিছু পদ্ধতি!

$
0
0

আমাদের দেশে শীত মানেই উৎসবের মৌসুম। দেখা যায় প্রায় প্রতি সপ্তাহেই একটা বিয়ের দাওয়াত লেগে আছে। এছাড়াও বিজয় দিবস, ইংরেজি নববর্ষ, পিঠা উৎসব, পিকনিক, বেড়াতে যাওয়া তো আছেই। একে তো ঠাণ্ডা, রুক্ষ আবহাওয়া, তারপর আবার এসব অনুষ্ঠান উপলক্ষে মেকাপ, সব মিলিয়ে ত্বকের অবস্থা শোচনীয়। এক অনুষ্ঠানে গেলেন, তো পরের অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগেই ত্বকের বারোটা বেজে আছে। কি করে এর হাত থেকে মুক্তি পাবেন? খুব সিম্পল। এর জন্য আপনাকে রোজ পার্লারেও ছুটতে হবে না বা গাদা গাদা টাকা খরচ করে কসমেটিক্সও কিনতে হবে না। মেনে চলতে হবে কয়েকটি সহজ পদ্ধতি।

আজ আলোচনা করবো খুব সহজ কিছু পদ্ধতি, যা আপনি প্রতিদিন চর্চা করতে পারবেন। সেই সাথে যেদিন কোন বিশেষ উপলক্ষ থাকবে সেদিন ত্বকের বাড়তি যত্ন কিভাবে নিতে হবে। কেননা মেকাপের আগে ত্বককে প্রস্তুত করা যেমন জরুরি, ঠিক তেমনি মেকাপ করার পরেও কিছু বাড়তি যত্নের প্রয়োজন রয়েছে। নাহলে পরের অনুষ্ঠানে ত্বকের লাবন্য কিভাবে ধরে রাখবেন? চলুন জেনে নেই তাহলে।

ত্বকের যত্নঃ

প্রথমেই আসি শুষ্ক ত্বকের যত্ন নিয়ে

১)যাদের ত্বক শুষ্ক তারা এ সময় সাবান জাতীয় কোন কিছু একদমই ব্যবহার করবেন না। খুব মৃদু কোন ফেসওয়াশ ব্যবহার করবেন।

২) এসময় মুখে ভাপ নেয়া যাবেনা। তাহলে ত্বকের স্বাভাবিক তেলটুকুও চলে যাবে। ব্ল্যাকহেডস বা হোয়াইটহেডস এর সমস্যা থাকলে ১৫ দিনে একবার ভাপ নেয়া যেতে পারে।

৩) প্রতিদিন ঘুমানোর আগে বাদাম তেল দিয়ে ৫ মিনিট ম্যাসাজ করে সারারাত রেখে দিন।

এতো গেলো স্বাভাবিক যত্নের কথা। কিন্তু ত্বকের দীপ্তি বাড়াতে চাই আরেকটু বেশি যত্ন।

১) শুষ্ক ত্বকের জন্য শীতের সবচেয়ে ভালো  এবং সহজ ফেসপ্যাক হল মধু ও কাঁচা দুধের মিশ্রণ। কাঁচা দুধ না পাওয়া গেলে গুঁড়া দুধই পানিতে গুলে ব্যবহার করতে পারেন। এটি চাইলে আপনি প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন।

২) যেদিন আপনার কোন দাওয়াত আছে, সেদিন আপনি আরেকটু বেশি যত্ন নিন। এজন্য লাগবে ২ চামচ বেসন, ১ চামচ টক দই, ১ চামচ মধু। এই প্যাকটি ত্বকের আদ্রতা দেয়ার পাশাপাশি স্ক্রাব হিসেবেও কাজ করবে।

৩) দাওয়াত বা অনুষ্ঠান থেকে ফিরে এসে খুব ভালোভাবে মেকাপ তুলুন। এজন্য অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এরপরে একটি কলার পেস্ট,১ চামচ মধু ও এক চামচ টক দই বা দুধের সর মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এরপরে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

ব্যস পরের অনুষ্ঠানের জন্য আপনি তৈরি। যাদের ত্বক নরমাল তারাও এই প্যাকগুলো ব্যবহার করতে পারেন।

এবার আসি তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে

১) তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারি যারা, তারা প্রতিদিনের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন  মধু ও গোলাপজলের মিশ্রণ। সারা মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। অথবা  ২/৩ চামচ টমেটোর পাল্প, ২ ফোঁটা লেবুর রস ও সামান্য মুলতানি মাটি।

২) কোন দাওয়াত বা অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে ১ চামচ মধু, ১ চামচ টকদই ও ১ চামচ মীনা হারবালের চন্দন মিশিয়ে  মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। তারপরে হালকা ঘসে ধুয়ে ফেলুন। প্যাক এর পাশাপাশি স্ক্রাব হিসেবেও কাজ করবে।

৩) অনুষ্ঠান বা দাওয়াত থেকে ফিরে ভালোভাবে মেকাপ তুলে নিন। তৈলাক্ত ত্বক মানেই একনে প্রবণতা। তাই এসময় ত্বককে ভালো রাখতে এই প্যাকটি খুব কার্যকর। ২ চা চামচ পুদিনা পাতা বাটা ও মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। তারপর ধুয়ে অয়েল ফ্রি কোন ময়েশচারাইযার লাগিয়ে নিন।

চুলের যত্নঃ 

১) চুল ভালো রাখতে তেলের কোন বিকল্প নেই। অন্তত আমি এটাই বিশ্বাস করি। ২/৩ দিন পরপর চুলে তেল লাগান। এক্ষেত্রে চুলের গোঁড়ায় লাগান অলিভ অয়েল, ক্যাস্টর অয়েল ও বাদাম তেলের মিশ্রণ। আর বাকি চুলে লাগান অলিভ অয়েল আর নারকেল তেলের মিশ্রণ। সারারাত রেখে পরদিন ধুয়ে ফেলুন।

২) একটি বাটিতে ১ ডিম ও চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী টকদই মিশিয়ে নিন। সারা চুলে লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এই প্যাকটি আপনি সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করতে পারেন। আর মাসে একদিন এই প্যাকের সাথে মেশান মেহেদি। একই ভাবে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন।

৩) অনুষ্ঠান বা দাওয়াতের দিন চুল ধোয়ার আগে পুরো চুলে লেবুর রস লাগিয়ে রাখুন ৭/৮ মিনিট। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। চুলে আগে থেকে তেল দেয়া থাকলে শুধু লেবুর রস লাগিয়ে নেবেন। আর তেল দেয়া না থাকলে লেবুর রস ও নারকেল তেলের মিশ্রণ বানিয়ে চুলে লাগান। এতে আপনার চুল উজ্বল ও সিল্কি হয়ে উঠবে।

৩) চেষ্টা করুন হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার না করতে। আর স্প্রে বা মুজ দিয়ে চুল সেট করলে অথবা স্ট্রেটনার বা কার্লার মেশিন  ব্যবহার করলে ফিরে এসে অবশ্যই চুলে ভালো করে তেল লাগাবেন। পরদিন সকালে ১ টি ডিম ও আধা কাপ দুধ মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। তারপরে ধুয়ে কন্ডিশনার লাগান।

এভাবে নিয়ম করে যত্ন নিলে পুরো শীতের মৌসুম আপনার ত্বক থাকবে দীপ্তিময় এবং চুল থাকবেন ঝলমলে। তাহলে আর দেরি কেন, আজ থেকেই শুরু করে দিন যত্ন আর আর হয়ে উঠুন লাবণ্যময়।

লিখেছেন – মাহবুবা বীথি

ছবি – ফটোগ্রাফারস.ক্যানভেরা.কম


গরম গরম ধোঁয়া উঠা থাই স্টাইল স্যুপি নুডুলস!

$
0
0

ঠান্ডার দিনে  গরম গরম ধোঁয়া উঠা থাই স্টাইল স্যুপি নুডুলস বেশ লাগে। কেবল এই একটি ডিশই যথেষ্ট। বিভিন্ন সবজি আর মাংস থাকার কারণে পুষ্টি গুণেও ভরপুর এই স্যুপি নুডুলস।

উপকরণ 

  • মুরগীর বুকের মাংস ১/২ কাপ পাতলা করে কেটে নেয়া 
  • ডিমের কুসুম ২ টা
  • চিংড়ি মাছ (খোসা ছাড়ানো) ১/২ কাপ
  • আদা পাতলা স্লাইস ১ চা চামচ
  • রসুন কুচি হাফ চা চামচ
  • টেমেটো সস দেড় টেবল চামচ 
  • সয়াসস দেড় টেবল চামচ
  • সুইট চিলি সস ১ টেবল চামচ 
  • লাল মরিচ গুড়া হাফ চা চামচ
  • কর্ণফ্লাওয়ার ৩ চা চামচ
  • লেমন গ্রাস ৮/১০ টুকরা
  • লেবুর রস দেড় টেবল চামচ
  • চিনি ১ চা চামচ
  • টেস্টিং সল্ট ১/২ চা চামচ
  • চিকেন স্টক ২ কাপ
  • পানি ৪ কাপ
  • সিদ্ধ নুডুলস ১ কাপ 
  • কাঁচামরিচ ৪/৫ টি
  • লেবু পাতা ১-২ টি 
  • ধনিয়া পাতা মিহি কুচি ৪ টেবল চামচ
  • মাশরুম স্লাইস হাফ কাপ
  • বক চৈ পাতা 
  • বেবি কর্ন অল্প কয়েকটা 

প্রণালী 

প্রথমে যেই হাড়িতে স্যুপ রান্না করবেন তাতে নুডুলস আর লেবুর রস বাদে সবগুলো উপকরণ একসাথে মিশিয়ে মিডিয়াম আঁচে চুলায় জ্বাল দিতে থাকুন। ১০ থেকে ১২ মিনিটেই মাংস সেদ্ধ হয়ে যাবে এবং সুপ এর মিশ্রন ঘন হয়ে আসতে থাকবে এখন চুলার আঁচ কমিয়ে এতে সিদ্ধ নুডুলস আর লেবুর রস দিয়ে ধিমি আঁচে রান্না করুন ৫/৬ মিনিট , নামানোর আগে অল্প ধনিয়া পাতা ও গোলমরিচ ফাকি ছিটিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন। স্যুপ যদি বেশি ঘন চান তাহলে কম আঁচে একটু বেশি জ্বাল দিলেই হবে।

ছবি ও রেসিপি - Romantic Kitchen Stories

প্রিয়জনের কাছে এই ভালোবাসা দিবসকে করে তুলুন স্মরণীয়!

$
0
0

 এ বছর দেখতে দেখতে ভালোবাসা দিবস চলে আসছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি; দিনটি যেন সারা বিশ্বকে লাল ভালোবাসার রঙে রাঙিয়ে দিয়ে যায়। তবে ভালোবাসার দিন কিন্তু প্রতিদিন। আবার কারো কাছে অনেক প্রতীক্ষার পর একটি দিন। তাই অনেকে তার ভালোবাসা প্রকাশের জন্য বিশেষ করে এই দিনটি বেছে নেয়।

সারা পৃথিবীতে এই দিনটি ব্যাপকভাবে পালিত হয়। এই দিনটি নিয়ে সবারই অনেক চিন্তা ভাবনা থাকে। কোন ছেলে বা মেয়ে চায় তার প্রিয় মানুষটিকে সবচেয়ে সুন্দর উপহার দিয়ে চমকে দিতে! কিন্তু এসব ভাবতে ভাবতে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান অনেকেই। মানুষটি সেই উপহার পছন্দ করবে কিনা, তা নিয়ে ভাবনার শেষ থাকে না! তাই চলুন জেনে নিই কিছু টিপস, কীভাবে আপনি এই বিশেষ দিনটিকে সবচেয়ে সুন্দর করে তুলতে পারবেন -

  • প্রথমেই ভেবে নিন আপনি আপনার প্রিয় মানুষটিকে কোথায় নিয়ে যাবেন। জায়গা ঠিক করার পরই আপনার বাকি চিন্তা। তবে মোটামোটি নীরব হলে ভালো হয়। এতে আপনি বিব্রত কম হবেন। তাছাড়া বিব্রত হবার কোন কারণ নাই, আপনি অপরিচিত কাউকে না বরং আপনার সবচেয়ে পছন্দের মানুষকেই আপনার মনের কথা বলছেন।
  • আপনি যা উপহার দিতে চান দিবেন। তবে এলোপাথাড়ি অনেক কেনাকাটা করলে সব চিন্তা গুলিয়ে ফেলতে পারেন।
  • নিজে কিছু বানিয়ে দিন। এতে আপনার প্রিয় মানুষটি অবশ্যই অনেক বেশি খুশি হবেন।love 2
  • আজকাল কেউ চিঠি লিখে না। ফেসবুক আর মোবাইলে উইস করে ফেলেন অনেকেই। তবে কিছু কথা বলার থেকে লিখে দিলে কথার মানে ভালো বুঝা যায়।
  • যদি কমন কিছু করতে না চান তাহলে আগে এটা ভাববেন যে আপনার প্রিয় মানুষটি কি পছন্দ করেন। তাহলেই সব উত্তর পেয়ে যাবেন।
  • অনেকে সাধারণভাবে দিবস পালন করা পছন্দ করেন। যেমন- গিফট হিসেবে চকলেট সবাই পছন্দ করেন। টেডি,চকলেট অথবা কোন একটা ব্যবহারের জিনিস নিজে পছন্দ করে কিনে দিতে পারেন।
  • গল্পের বই দিতে পারেন।আবার কার্ড বানিয়েও দিতে পারেন অথবা কিনেও দিতে পারেন। কিনে দিলে সেখানে অবশ্যই নিজে কিছু লিখে দিবেন। চাইলে আপনার বা আপনার প্রিয় মানুষটির পছন্দের কথা বা কবিতার দুটি লাইন লিখে দিতে পারেন।
  • খুব বড়সড় করে দিনটি পালন করতে চাইলে আপনার কাছের কয়েকটি বন্ধু-বান্ধব কে নিয়ে প্ল্যান করে ফেলেন। এতে আপনার সুবিধা হবে।
  • বিবাহিত দম্পত্তিরাও এই দিনটি বাদ দেন না। সংসারের ব্যস্ততায় হয়তো সময় বের করা হয় না খুব একটা। তাই তাদের জন্য এই দিনটিতে একটু সময় বের করে নেয়াই ভালো। আপনার প্রিয় মানুষটি হয়তো তাহলে অনেক দিন পর অনেক আনন্দ একসাথে পাবেন।

love 1

  • যদি আপনি প্রথমবারের মতো আপনার প্রিয় মানুষটিকে আপনার মনের কথা বলতে চান। তাহলে একটু রয়ে সয়ে বলাই ভালো। তা নাহলে হিতের বিপরীতও হতে পারে। তাই সময় নিয়ে ভেবে দেখেন যে অপর পক্ষ থেকে কিছুটা সম্মতি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা। এরপর ভাববেন আপনি কিভাবে তাকে এই কথা বলতে চান; খুব সাধারণ ভাবে অথবা একটু ভিন্ন ভাবেও বলতে পারেন।

 

  • ভালোবাসা দিবস আর ফুল দেবেন না। তা কি হয়! কিছু না হলেও ফুল তো লাগবেই। আর তা হতে হবে লাল গোলাপ। সাথে অন্য ফুলও নিতে পারেন। তবে ভালোবাসা রঙই তো লাল রঙ। অন্য সময় ফুল দিয়ে থাকলেও এই দিনটিতে চাইলে অনেকগুলো গোলাপ একসাথে সাজিয়ে দিতে পারেন।
  • অনেকে ফোনে কথা বলতে পারেন অথচ সামনে আসলে গলা দিয়ে আওয়াজই আসে না। তাই হাত ধরে কথা বলুন,আপনার প্রিয় মানুষটির সাথে কাটানো সময়গুলো মনে করে কথা বলুন। দেখবেন সহজে মনের কথা বলতে পারছেন।
  • রিকশায় ঘুরতে পারেন বা কোন রেস্তোরাতে অল্প কিছু সুন্দর সময় কাটাতে পারেন।
  • একা কিছু করতে চাইলে কারো পরামর্শ না নিয়ে নিজেই এই দিনটির জন্য সব প্ল্যান করা ভালো। কারণ আপনার প্রিয় মানুষটির পছন্দ শুধু আপনিই বুঝবেন।
  • মনে রাখবেন আপনার প্রিয় মানুষটি আপনার দেয়া যে কোন কিছুই পছন্দ করবেন। তাই খুব বেশি চিন্তার কোন কারণ নেই।
  • কারও মতো না, নিজের মতো করে দিনটি পালন করুন। আপনার ভালবাসার মানুষটির সামনে সুন্দরভাবে কথা বলুন, একসাথে হাসুন, মোটকথা … ভালোবাসুন।

আপনাদের আনন্দময় মুহূর্তগুলো ছবি করে রাখতে ভুলবেন না। এই বিশেষ দিনটি আনন্দে কাটান।

লিখেছেন – সোহানা  মোরশেদ

ছবি – ফটোগ্রাফারস.ক্যানভেরা.কম

পুরনো বোতল দিয়ে তৈরি করুন দারুণ ল্যাম্পশেড

$
0
0

প্রতিনিয়ত কোল্ড ড্রিংক খাওয়া হয় এমন আছেন অনেকেই।বিভিন্ন সময়ে খাওয়া এই প্লাস্টিক বোতলগুলো স্টোররুমে জমতে জমতে অনেকসময় বড় স্তুপ হয়ে দাঁড়ায়।সেই পরে থাকা বোতলকে কি করে ঘর সাজানোর কাজে সুন্দর ও কার্যকরীভাবে  কাজে লাগানো যায় তেমন দুই পন্থাই জেনে নিন আজ।

বোতলে শোভিত ল্যাম্পশেড

pot lamp 1

খুব অল্প কিছু উপকরণে কম খরচেই ঘরের জন্য ল্যাম্পশেড বানিয়ে ফেলতে পারেন পরে থাকা পরিত্যাক্ত বোতল দিয়ে।ল্যাম্পশেড বানানোর এই প্রক্রিয়াতে  আপনার যেসব উপকরণ লাগবে সেগুলো হলোঃ

১।১০টি পরিষ্কার বোতল (আপনি ইছেমতো রঙ্গিন বা সাদা বোতল নিতে পারেন)।

২। ১টি প্লাস্টিক লাইট বাল্ব কেস(কাছের ইলেকট্রিক যেকোন দোকানেই পাবেন এটি, দাম পরতে পারে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার মতো।

৩। ১০ টি প্লাস্টিক জিপ টাই (এটিও প্লাস্টিক বা ইলেকট্রিক দোকানে কিনতে পাওয়া যায়)।

৪।কাঁচি।

প্রক্রিয়া:

pot lamp 2

১। প্রথমেই বোতলের মুখের দিকের অংশ থেকে অর্ধেক কেটে নিন। এরপর নিচ থেকে মুখের কাছাকাছি অংশ পর্যন্ত চিকন লাইনের মত করে কেটে নিন।

২।এবার বাল্ব কেস এর দুই ফাঁকের মাঝে ছবিতে দেখানোমতো বোতলের মুখ ঢুকিয়ে নিন  আর প্লাস্টিক জিপ টাই দিয়ে ভালোভাবে আটকে নিন। বোতলের কেটে নেওয়া লাইনগুলো চারপাশে ছড়িয়ে দিন যাতে করে ফুলের মতো আকার নেয়।

pot lamp 3

৩।এবার বাকী বোতলগুলোও এভাবে আটকে নিন। সবদিক থেকে কেস বোতলে ঢেকে গেলে সুন্দর ফুলেল একটি আকারে দাঁড়িয়ে যাবে কেসটি।

pot lamp 4

৪। সবশেষে কেসের বাল্ব বসানোর অংশে রঙ্গিন কিংবা সাদা নিজের ইচ্ছেমতো বাল্ব বসিয়ে ঝুলিয়ে দিলেই তৈরি হয়ে গেলো সাধারণ বোতল দিয়ে অসাধারণ এক ল্যাম্পশেড।

pot lamp 5

ঘরের সাদামাটা সিলিংকে অসাধারণ রঙ্গিন ও সুন্দর করে তুলতে এমন হাতে বানানো ল্যাম্পশেড হয়ে উঠতে পারে ঘরের  আভিজাত্য ও রুচিশীলতা প্রকাশের অংশ।

পুনশ্চঃ

  • কেস না পাওয়া গেলে আয়রনের তার দিয়ে নিজের মতো করে বেস বানিয়ে নিতে পারেন সহজেই। এতে করে গোল ছাড়াও বিভিন্ন শেপ এ ল্যাম্পশেড বানানো যাবে।
  • আটকানোর ক্ষেত্রে  রঙ্গিন একটু শক্ত ফিতা ব্যবহার করতে পারেন।  এটি ল্যাম্পশেডে ভিন্ন লুক দিতে পারবে।

লিখেছেন –  জান্নাতুল ইসলাম

রাইস পেপার রোল

$
0
0

আজকের রেসিপি আয়োজনে রয়েছে দারুণ একটি ডিশ রাইস পেপার রোল।  তবে চলুন দেখে নিই, কীভাবে তৈরি করতে হয় রাইস পেপার রোল। 

উপকরণ 

  • ১০-১২টি বড় চিংড়ি
  • ১টা টুকরা মুরগির বোনলেস বুকের মাংস সিদ্ধ করে টুকরা করে নেয়া
  • ৮ৃটি রাইস পেপার সিট (কিছু অতিরিক্ত যদি রাইস পেপার ছিঁড়ে যায়)
  • ১টি টমেটো কুচি করে কাটা
  • ১টি শসা কুচি করে কাটা
  • ১টি গাজর কুচি করে কাটা
  • লেটুসপাতা
  • পাকাআম কুচি করা
  • রাইস নুডলস ১ পেকেট সিদ্ধ করে নেয়া

প্রণালী 
একটা বাটিতে পানি নিন পানিতে রাইস পেপার ডুবান ১৫সেকেন্ড । রাইস পেপার নরম হলে সাবধানে রাইস পেপার পানি থেকে তুলে একটা একটি সমান জায়গাতে সমান করে বিছিয়ে দিন নিচে একটা কিচেন টাউয়েল দিলে ভাল ,তারপর এতে সিদ্ধ করা নুডলস,শশা, মুরগির মাংস,চিংড়ি,লেটুস, গাজর,আম দিয়ে শক্তভাবে রোল করে নিন যেভাবে ভেজিটেবল রোল বানায় সেভাবে.তারপর সসের সাথে পরিবেশন করুন।

ছবি ও রেসিপি –  সামিয়া’স হোম কিচেন 

ভ্যালেন্টাইন ডে স্পেশাল গ্ল্যাম মেকাপ লুক

$
0
0

কেমন আছো সাজগোজের বন্ধুরা? নিশ্চয়ই ভালো। আর কিছু দিন বাদেই তো ভ্যালেন্টাইন ডে। এই দিনটির কথা মাথায় রেখেই আমাদের সবার প্রিয় মেকাপ স্পেশালিষ্ট শাহ্‌নাজ শিমূল রহমান ভ্যালেন্টাইন ডে স্পেশাল মেকাপ লুক নিয়ে হাজির হয়ে গেলেন। তবে চলুন দেখে নিই, ভ্যালেন্টাইন ডে স্পেশাল গ্ল্যাম মেকাপ লুক।

টিউটোরিয়াল এবং ছবি: শাহ্‌নাজ শিমুল রহমান

আপনার দেয়া উপহার বন্ধুর পছন্দ হবে তো!

$
0
0

প্রিয় বন্ধুর বিয়ে খুব আনন্দের উপলক্ষ হয়ে আসে যে কারো কাছেই। বিয়ের হাজারটা আয়োজন, বন্ধুর সাথে আরেকটু বেশি সময় কাটানো বা অনুষ্ঠানের সব রকম পরিকল্পনা করার মাঝেও নিজের মনে চিন্তা উঁকি দেয়, কী উপহার দিব তাকে! বন্ধুই তো, আপনি তাকে সেরাটাই দেবেন, বিশ্বাস রাখুন। আর কিছুটা ভেবেচিন্তে ঠিক করুন কেমন জিনিষ দিতে চাচ্ছেন। আপনার দেয়া উপহার বন্ধুর পছন্দ হবে না, এমনটা হবার কোন সুযোগই নেই!

 

উপহার একা কিনছেন নাকি বন্ধুদের দল মিলে কিনছেন তার ওপর নির্ভর করবে অনেক কিছুই। বন্ধুরা কয়েকজন মিলে কিছু দিতে চাইলে একটা সুবিধা হলো বড় কোন জিনিষ দেয়া যায় সহজেই। যেটা নতুন বর-কনের নতুন নতুন সংসারে অনেক কাজে লাগবে। কিচেন-সামগ্রী কিছু নিতে পারেন বন্ধুর জন্য, রান্নাবান্নার চুলাটাই উপহার দিতে পারেন আপনারা। আপনাদের উপহারের চুলাতে রেঁধে পরে আপনাদের দাওয়াত করে খাওয়াবে নবদম্পতি। বৈদ্যুতিক-সামগ্রী যেমন রাইস কুকার, প্রেসার কুকার বা কফি মেকার জাতীয় জিনিষপত্রও কিনে দিতে পারেন বন্ধুর নতুন বাসার জন্য। এর সবই টোনাটুনির নতুন বাসার জন্য খুব কাজের জিনিষ।

 

কনের জন্য কিনতে পারেন গহনা। বাজেট বেশি নেই যে, সেটা ভাবলেন? কাছের সম্পর্কগুলোতে অন্তত উপহারের মূল্য তার দামে মাপা হয় না, এটা নিশ্চয় জানেন। কনের জন্য গহনা মানেই সোনার গহনা, বেশ ভারি কিছু, এই চল শেষ হয়েছে। অনেক নতুন বৌ এখন নিজের জন্য রূপোতে সোনার প্রলেপ দেয়া গয়না বানিয়ে নেয়। সেসব গয়না তারা সবসময় স্বচ্ছন্দে ব্যবহার করতে পারে। মুক্তোর গয়নাও অনেকের ভীষণ পছন্দ। তাই নির্দ্বিধায় এমন কোন গহনা বেছে নিতে পারেন কনের উপহার হিসেবে। নিজে নকশা করে বানিয়ে নিতে পারেন দোকান থেকে। হতে পারে গোল্ড প্লেটেড এক জোড়া ঝুমকো দিলেন, মিনা করানো কাজের বা মুক্তো বসানো। আবার রূপোর নুপূর অথবা কারূকাজ করা এক জোড়া বালাও পছন্দ করতে পারে কনে সুন্দরী। অন্যরকম নকশায় সুন্দর একটা নথ বা টিকলিও হতে পারে আপনার দেয়া উপহার। বিয়ের পরের সময়টায় ঘরোয়া নানা অনুষ্ঠান বা দাওয়াতে নতুন বৌ সেগুলো পরতে পারবে।

 

বর-কনের বিয়ের আগেই জানাশোনা থাকলে বা প্রেমের বিয়ে হলে তাদের দিতে পারেন ছবি, বিয়ের আগের জীবনের টুকরো স্মৃতিচিহ্ন। সুন্দর কোন ছবি ফ্রেম করিয়ে দিন। ছোট ছোট কয়েকটি ফ্রেমেও কয়েকটি ছবি বাঁধিয়ে উপহার দিতে পারেন। বন্ধু খুশিই হবে আপনার উপহার পেয়ে!

 

বই কোনদিন পুরনো হয় না। বই চিরদিনের বন্ধু। কাজেই আপনার বিবাহযোগ্য বন্ধুটি পরুয়া গোত্রের হলে প্রিয় লেখকের বা তার পছন্দের ঘরানার বই উপহার দিন। বিয়ে যেহেতু, একটি বই না দিয়ে কয়েকটিই দিন বরং! মনের মতো এক সেট বই হাতে বন্ধুর বিয়ের পরের আনন্দ বাড়বে, কমে যাবে না কখনোই।

 

কনের জন্য বাড়তি কিছু প্রসাধনের ডালা সাজিয়ে দেয়া যায়। ছোট্ট একটি ব্যাগে মেয়ের প্রিয় শেডের লিপস্টিক, কাজল, আই লাইনার, নেইলকালার আর ছোট আইশ্যাডো বক্স উপহার দিলেন। সাজতে ভালোবাসে এমন মেয়েদের জন্য মেকআপের জিনিষপত্র প্রিয় উপহার হবে।

 

বন্ধুর যদি গাছগাছালির শখ থাকে, তার নতুন সংসারের সদস্য করে কিছু গাছ উপহার দিতে পারেন। বর্ণিল টবে করে দিতে পারেন, দেখতে ভালো লাগবে তাতে। খুব গতানুগতিক না হোক, উপহার হিসেবে অন্য অনেক জিনিষের চেয়ে গাছ ঢের বেশি ভালো।

 

বিশাল একটা বাক্স নিন। তাতে মনের মতন অনেক ছোটখাটো জিনিষপত্র ভর্তি করুন। বন্ধু ও তার জীবনসঙ্গীর রোজকার জীবনে কাজে লাগবে তেমন যেকোন কিছু, সাথে রাখতে পারেন কিছু ঘর সাজানোর জিনিষও। খুব সামান্য সেই জিনিষপাতিও অনেকগুলি একসাথে পেয়ে নবদম্পতির ভালো লাগবে। আর বাক্সটা সাজান নিজের মনের মতো। দারুণ উপহার হবে এটা।

 

 

লিখেছেন –  মুমতাহীনা মাহবুব

ছবি – ওয়েডিংইভ.কম

 

 

ভিন্ন স্বাদে তেলাপিয়া মাছের শাশলিক!

$
0
0

গরুর নয় তো মুরগীর মাংস দিয়ে শাশলিকে একঘেমি চলে আসলে ট্রাই করে দেখতে পারেন ভিন্ন স্বাদে তেলাপিয়া মাছের শাশলিক! শুনে ভাবছেন, কেমন লাগবে খেতে। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই রেসিপিটি করেই দেখুন নিরাশ হবেন না। চাইলে বাচ্চাদের টিফিন হিসেবেও দিতে পারেন তেলাপিয়া মাছের তৈরি শাশলিক।

উপকরণ 

  • তেলাপিয়া মাছের ফিলে-৩ টি
  • লবন – স্বাদমত
  • গার্লিক পাওডার – ১ টেবিল চামচ ( না থাকলে গার্লিক পেস্ট ও দেয়া যাবে )
  • ওয়েস্টার সস – ১ টেবিল চামচ 
  • ফিস সস – ১ চাচামচ 
  • গোল মরিচ এর গুড়া – স্বাদমত 
  • লাল ক্যাপ্সিকাম – ১ টি 
  • সবুজ  ক্যাপ্সিকাম  - ১ টি 
  • পেয়াজ -১ টি 
  • টমেটো- ১ টি 
  • লেবুর রস – ১ টেবিল চামচ 
  • তেল – ১ টেবিল চামচ 


প্রণালী 
মাছের ফিলে কিউব করে কেটে নিন , কাপ্সিকাম , পেয়াজ , টমেটো কিউব করে কেটে নিন। এইবার সব কিছু সস ,গার্লিক পাওডার , লেবুর রস ,লবন আর গোলমরিচ গুড়া দিয়ে মাখিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন। এরপর কাঠিতে গেতে নিন তারপর ননস্টিক প্যান অথবা গ্রিল প্যান এ অল্প তেল দিয়ে শাশলিকগুলো ভেজে নিন। ছেকা তেলে ভাজবেন ডুবো তেলে না। হয়ে গেলে সস দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন মজাদার শাশলিক। 

ছবি ও রেসিপি –  সামিয়া’স হোম কিচেন 


সর্বক্ষণের সাথী চশমাটার সাথে কোন মেকআপ লুক কেমন যাবে?

$
0
0

একচুয়ালি বেশ কয়েকজন রিডারের ফিডব্যাক, আমরা সবসময় মেকআপ টিপস দেই, ভিডিও টিউটোরিয়াল দেই। কিন্তু তারা ঠিক বুঝতে পারে না তাদের সর্বক্ষণের সাথী চশমাটার সাথে সেই মেকআপ লুকগুলো কেমন যাবে। অনেকে আবার চোখে চশমা থাকলে লুক নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে খুবই ভয় পান। ফলাফল… সারাজীবন সেই এক বোরিং কালো আইলাইনার ছাড়া আর কিচ্ছু ট্রাই করা হয় না।আজ তাই আমাদের চশমা চোখের রিডারদের জন্য কিছু মেকআপ টিপস নিয়ে এলাম। আশা করি ট্রাই করবেন…

আপনার চশমাই আপনার বেস্ট এক্সেসরি-

জানেনই তো আজকাল বাজারে কতো ধরণের চশমার ফ্রেম পাওয়া যায়। তো আর ভয় না পেয়ে ডিফারেনট ফ্রেমে নিজের লুক নিয়ে একটু এক্সপেরিমেনট করুন না!! অন্তত কিছু ফেসটিভ, ফ্লারটি ফ্রেম রাখতেই পারেন, কোন পার্টি অথবা গেট টুগেদারের জন্য… মুহূর্তে আপনার লুক চেঞ্জ করে ফেলার জন্য আপনার ফ্রেমই যথেষ্ট। দেরি না করে বড় কোন আই ওয়্যার শপে গিয়ে দেখুন কোন ধরণের ফ্রেম আপনার ফেসের সাথে মানানসই!! আবার অনলাইনেও আজকাল ঘরে বসে পেয়ে যাবেন মনের মত চশমার ফ্রেম…

বোরিং লুকগুলো একটু বাদ দিন না-

কেনই যেন আমাদের দেশের বেশিরভাগ মেয়ে ভাবে, চোখে চশমা থাকলে বোধহয় কালো কাজল বা লাইনার ছাড়া আর কিছু পড়া যায় না…! এটা খুবই ভুল ধারনা। বরং কাজল লাগাতে লাগাতে উল্টো কাজলের লুকটাই বোরিং হয়ে যায়। মনে রাখবেন কালো ফ্রেম থাকলে আপনি চোখে যেকোনো ধরণের, যেকোনো রঙের কাজল / লাইনার লাগাতে পারেন। কালোর সাথে সব রঙ ভালো যায়। আপনার লুক চেঞ্জ করার সাথে সাথে বিভিন্ন রঙের লাইনার আপনার চোখকে আরও হাইলাইট করবে। চোখ বড় দেখাবে এবং চোখের টায়ার্ডনেস কাটবে…

54ac0cd534333_-_elle-bobbi-brown-glasses-look-1-4-elh

মাসকারার শক্তি সম্পর্কে জানুন-

যারা চোখে চশমা পরেন তাদের আরেকটা বড় ভুল হচ্ছে চোখে শুধু কাজল/ লাইনার দেয়া কিন্তু মাসকারা না দেয়া!! আমাকে জিজ্ঞাসা করা হলে আমি বরং লাইনার বাদ দিয়ে মাস্কারা ইউজ করতে বলব। কারণ যারা সবসময় চশমা পরেন তাদের চোখ সবসময় টায়ার্ড লাগে দেখতে… চোখের এই ঘুম ঘুম ভাব দূর করার জন্য তাই উচিত আই ল্যাস কার্ল করে ভালো করে দুই কোট কারলিং মাস্কারা লাগিয়ে নেয়া। চোখের লুকের চেঞ্জ দেখে নিজেই অবাক হয়ে যাবেন…

কন্সিলারের কথা কখনই ভুলবেন না-

 যদি চশমা থাকে আপনার চোখে তবে নিশ্চয়ই জানেন, যাদের চোখের পাওয়ার কম তাদের চোখের নিচে কতো বেশি ডার্ক শেড থাকে। চশমা পড়ে একটু লাইনার দিলে চোখ এত হাইলাইট হয়ে যায় যে চোখের এই ডার্ক সার্কেল আরও বেশি বাজে ভাবে ফুটে থাকে… সুতরাং মেকআপ করলে কখনই চোখের নিচে কন্সিলার লাগাতে ভুলবেন না। ভালোভাবে কন্সিলার না লাগানো মেকাপের সবচেয়ে বড় ভুলের একটা…

ভ্রুর দিকে দিন আলাদা নজর-

 অবশ্যই মেকাপের সময় ভালোভাবে ভ্রুর শেপ দিন। ভ্রু আপনার পুরো মুখকে একটা ফ্রেমে বেধে ফেলে।  সুন্দর করে ভ্রু একে নিলে তাই চশমার ফ্রেমের  ভেতরেও আপনার চোখ থাকবে উজ্জ্বল আর প্রাণবন্ত… ভালো একটা আই ব্রাও পালেট ইউজ করুন। ভ্রুর চুলগুলো একটু উপরের দিকে আঁচরে নিয়ে জেল দিয়ে সেট করে নিন। সারাদিনের চশমা খোলা পড়ায় আপনার ভ্রু থাকবে সুন্দর এবং পরিপাটি। আর চশমা খুলে ফেললে যারা রেগুলার চশমা পরে তাদের যেমন হঠাৎ দুর্বল, অন্যরকম লাগতে থাকে, তেমনটাও আর হবে না।

আইলাইনার ট্রিকস-

এই ট্রিক টা মনে রাখুন-

আপনার চশমার ফ্রেম যত মোটা হবে আপনি চোখের উপরেও তত মোটা করে লাইনার দেবেন। ফ্রেম যদি চিকন হয়/ রিমলেস চশমা হয় তবে লাইনার ও হবে চিকন লাইনে। কখনই মোটা ফ্রেমের সাথে চিকন করে লাইনার দেবেন না আর চিকন ফ্রেমের সাথে মোটা করে দেবেন না।

54ac0c8b774e7_-_elle-bobbi-brown-glasses-look-1-2-elh

আর অবশ্যই ব্লাস-

চশমা আপনার চোখ আর চোখের আসে পাশের অংশকে হাইলাইট করে। সো মেকআপের সময় এই মুখের মাঝের অংশের দিকে স্পেশাল খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষকরে আপনার চোখ যদি ছোট, ক্লান্ত আর ডার্ক সার্কেল যুক্ত হয়। সঠিক শেডের ব্লাসের ব্যাবহার আপনার চেহারায় প্রাণ ফিরিয়ে আনবে আর চোখের ত্রুটি থেকে ফোকাস সরিয়ে নেবে।

বোল্ড লিপস-

এইমাত্র যেমন বললাম, চশমা চেহারার মাঝে ফোকাস নিয়ে আসে। তাই ঠোটেও দিন আলাদা দৃষ্টি। ইন্ডিয়ান ব্রাউন স্কিন টোণে ডার্ক ফ্রেমের চশমার সাথে যেকোনো গাঢ় ওয়ার্ম কালার খুব ভালো মানায়। সুতরাং একটু ভারি সাজগোজে স্মোকি আইয়ের কথা বাদ দিয়ে বোল্ড লিপ লুকে যান। ভারি আই মেকআপ চশমার সাথে মানায় না। তাই চোখের অংশে হাল্কা মেকআপ আর উজ্জ্বল শ্যাডো ইউজ করে ঠোটের জন্য বেছে নিন- লাল, লালচে কমলা, মভ, ডাস্টি রোজ, ওয়াইন, বেরি টোনের লিপ কালার। দেখবেন ভারি আই মেকআপের চেয়ে এতে আপনাকে বেশি ফ্রেশ লাগবে।

বেস মেকআপে আরেকবার চোখ বুলান-

মেকআপের লাস্ট ধাপে অবশ্যই দেখে নিন আপনার মেকআপ পাউডারি হয়ে আছে কিনা। এবং বেস মেকআপ পুরো স্মুথ হয়েছে কিনা। নিশ্চয়ই চান না আপনি যে আপনার লুজ সেটিং পাউডারের গুঁড়ো ছড়িয়ে থাকুক আপনার চশমার উপরে। অথবা ফ্রেমের ভেতর থেকে দেখা যাক আপনার ক্রিজ পড়ে যাওয়া কন্সিলার আর প্যাচি ফাউনডেশন…!!! খুবি ভালো ভাবে, মনোযোগ দিয়ে বেস ব্লেনড করুন।

এই অল্প কিছু চেঞ্জেই দেখবেন, আপনার বোরিং লুক কতটা বদলে গেছে… আরও কোন টপিকে টিপস চান তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু…

লিখেছেন – তাবাসসুম মুস্তারি মিম

ছবি – এলে.কম

বয়সভেদে নানা ধরনের সমস্যা এবং সমাধান

$
0
0

আমাদের অনেকের মধ্যেই একটা প্রবনতা দেখা যায় যে, অসুখে না পড়লে আমরা ডাক্তারের কাছে যাইনা। কিংবা হালকা মাথা ব্যাথা, গ্যাস্ট্রিক বা অনেক ছোট-খাট মেয়েলি সমস্যা আমরা এড়িয়ে যাই। কিন্তু এটা বুঝতে হবে যে, বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের শরীরের ভেতরে নানা ধরনের পরিবর্তন আসে। একেকটা বয়সে একেক ধরনের পরিবর্তন। এই পরিবর্তনগুলো অবশ্যই লক্ষ করতে হবে। বয়সের প্রতিটা ধাপেই নানা ধরনের  সমস্যার সম্ভাবনা থাকে। এই বিষয়গুলো আগে থেকে জানা থাকলে, সেটা সম্পর্কে সচেতন হওয়া সম্ভব হয় এবং আগে থেকে প্রতিকারের উপায় জানা যায়। চলুন তাহলে জেনে নিই সেগুলো।

 বয়স যখন বিশের কোঠায়

বিশের কোঠায় বয়স চলে আসলেই আমরা যেন একটা স্বাধীন জগতে চলে যাই। আগের মত বাবা মায়ের শাসন ও থাকে না, আবার সেরকম কোন বড় দায়িত্বও অনেক সময় সবাইকে নিতে হয়না। এসময় মন থাকে উৎফুল্ল, শরীরে থাকে প্রচুর প্রাণশক্তি। অনেকেই এসময় বেশ অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রায় চলে যান। কেউ হয়তো করেন অতিরিক্ত মাত্রার ডায়েট, আবার কেউ ভাবেন এইতো সময় ইচ্ছে মত খেয়ে নেয়ার। স্বাস্থের বিষয়টাতো অবহেলা করেনই, উপরন্তু ডাক্তার ও দেখাতে চান না অনেকে। কিন্তু এই সময়টায় জীবনযাত্রার সামান্য পরিবর্তন ও প্রিভেনটিভ কেয়ার আপনার পরবর্তী সময়ে অনেক বড় কোন স্বাস্থ্য সমস্যার হাত থেকে বাঁচাতে পারে।

19-well-women-health-package-big

১) ভ্যাক্সিন: এই বয়সে এসে আপনাকে অনেকগুলো ভাক্সিন সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে এবং নিজে নেয়ার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। এক্ষেত্রে প্রথমেই আসে টিটেনাস ভাক্সিন। যদি এখনো না নিয়ে থাকেন, তাহলে দেরি করবেন না। আপনার যদি এখনো চিকেনপক্স না হয়ে থাকে, তাহলে সেটারও ভ্যাক্সিন নিতে পারেন।

২) PAP Smear Test:  বয়স বিশ পার হলেই প্রতি তিন বছরে একবার এই টেস্ট টি করানো উচিত, যদি আপনি সারভিক্যাল ক্যান্সার থেকে বাঁচতে চান।

৩) স্তন পরীক্ষা: এসময় আপনি নিজেই ঘরে বসে এই পরীক্ষাটি করতে পারেন। সাধারন অবস্থার কোন ব্যতিক্রম ঘটলেই শুরুতেই তা অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

 এগুলো ছাড়াও আপনার ওজন যদি বেশি হয়ে থাকে তাহলে একবার প্রি-ডায়বেটিস চেক করানোটাও জরুরি।

বয়স যখন ত্রিশের কোঠায়ঃ

এই সময়টায় অনেকেই হয়তো মা হবার কথা ভাবছেন, বা কেউ কেউ মা হয়েও গেছেন। সংসার, অফিস, বাজার সদাই সামলে নিজের কথা ভাববার সময় কোথায় আপনার। কিন্তু তাই বলে কি হয়? সংসারের বাকি মানুষদের ভালো রাখতে চাইলে আগে আপনাকেই তো ভালো থাকতে হবে। তাই জেনে নিন এই সময়ে কোন বিষয় গুলোতে খেয়াল রাখতে হবে।

১) কোলেস্টেরল চেক: ভাবছেন আমি তো মোটা নই, কেন কোলেস্টেরল চেক করাব? কোলেস্টেরল কোন অসুখ নয়। বরং আপনার শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা দেখে খানিকটা অনুমান করা সম্ভব যে  হৃদ রোগের আশংকা আপনার কতটুকু।

13_Truck_Petrolium_041213

২) থাইরয়েড চেক: খিটখিটে মেজাজ, বাড়তি ওজন, ডিপ্রেশন। ভাবছেন এগুলো সংসারের ঝামেলার কারণে হচ্ছে? মোটেই না। ত্রিশের পর থেকে থাইরয়েড হরমোনে পরিবর্তন শুরু হয়। এই থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন টেস্ট (TSH) এর মাধ্যমে জানতে পারবেন কেন আপনার ওজন বাড়ছে বা কমে যাচ্ছে, কেন কাজের প্রতি অনিহা আসছে, অল্পেই মেজাজ খারাপ হচ্ছে বা কেন রাতে কোন কারণ ছাড়াই ঘুম হচ্ছে না। এই সমস্যাগুলো দেখা দিলে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে এই পরীক্ষাটি করাবেন।

৩) ব্লাড প্রেশার চেক: আগে হয়তো কালে ভদ্রে ডাক্তারের বাড়ি গেলে বিপি চেক করতেন, কিন্তু এখন সময় হয়েছে মাসে অন্তত দুবার বিপি চেক করার। তাহলে হয়তো অনাকাঙ্ক্ষিত কোন ঘটনা ঘটে যাওয়ার আগেই আপনি তার প্রতিকার করতে পারবেন।

বয়স যখন ৪০ এর কোঠায়

এই সময় টাতে একজন মহিলার শরীরে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে শুরু করে। তাই এসময় থেকে নিয়মিত ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মেডিক্যাল চেকাপ করানো উচিত।

১)ম্যামোগ্রামঃ: এসময় সব মহিলারই উচিত একবার স্তন পরীক্ষা করানো। কেননা ব্রেস্ট ক্যান্সার এর ঝুঁকি এসময় বেশি থাকে। যদি আপনার পরিবারের কেউ আগে এই সমস্যায় ভুগে তাহলে দেরি করা একদমই উচিত না।

২) চক্ষু পরীক্ষা: আপনি যদি আগে থেকেই চশমা ব্যবহার করে থাকেন থাহলে তো নিয়মিত চেকাপ করাবেনই। আর যদি চোখের সমস্যা নাও থাকে, তবুও এই পর্যায়ে একবার চোখের চেকাপ আপনাকে পরবর্তীতে ক্যাটারাকট বা গ্লুকোমার মত অসুখের হাত থেকে প্রতিকার পেতে সাহায্য করতে পারে।

৩) ডায়বেটিস: এখনো যদি আপনি আপনার ডায়বেটিস চেক না করে থাকেন, তাহলে আমি বলব ভুল করছেন। কারণ অনেক সময় ডায়বেটিস হয়ে থাকলেও চেকাপ না করার কারনে সেটা আমরা বুঝতে পারিনা, যেটা অনেক বড় দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই আপনি যদি হয়ে থাকেন চল্লিশঊর্ধ্ব তাহলে দেরি না করে আজই চেকাপ করিয়ে নিন।

৪) রেকটাল এক্সাম: যদি পায়ুপথে রক্ত যায় তাহলে বুঝতে হবে, এবার সময় হয়েছে রেকটাল এক্সামের। কেননা অবহেলায় তা কোলন কান্সারে রুপ নিতে পারে।

তাহলে আর দেরি কেন? নিজেকে সুস্থ রাখতে চাইলে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত এই বিষয়গুলোতে সচেতন থাকুন। শুধু নিজেই নন। নিজের পাশাপাশি আপনার মা, বোন বা একুশ বছরের মেয়েটিকেও সচেতন করুন।

ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

লিখেছেন -  মাহবুবা বীথি

ছবি – হেলথ.কম

ঝিনুক পিঠা বা চিরুনি পিঠা

$
0
0

আজকের রেসিপি আয়োজনে রয়েছে সিরায় ডুবানো ঝিনুক পিঠা বা চিরুনি পিঠা। চলুন দেখে নিই, কীভাবে তৈরি করতে হয় ঝিনুক পিঠা বা চিরুনি পিঠা। দেখতে অনেকটা ঝিনুকের মতো এবংচিরুনির সাহায্যে তৈরি করা হয় বলে এমন নামকরণ।

উপকরণ

  • চালের গুড়া – ৪ কাপ
  • লবন – ১ চা চামচ
  • পানি – পরিমান মত
  • তেল – ভাজার জন্য
  • সিরার জন্য – চিনি + পানি

chiruni pitha

প্রণালী
পানি ফুটিয়ে চালের গুড়া সিদ্ধ করে নিন। ভাল করে মথে নিন।ছবির মত করে ছোট ছোট আকারে করে নিন। দুটো পরিষ্কার নতুন চিরুনি তে তেল মাখিয়ে নিন। দুই চিরুনির মাঝে চাপ দিয়ে ডিজাইন করে নিন। সব পিঠা বানানো হয়ে গেলে তেলে ভেজে নিন।মুচমুচে করার জন্য দুবার ভাজুন।ঘন সিরায় মেখে পরিবেশন করুন। এই পিঠা বেশ কয়েকদিন রেখে দেয়া যায়। শুভ কামনা সকলের জন্য।
ছবি ও রেসিপি - খুরশিদা রনী

ভ্যালেন্টাইন ডে মেকাপ লুক উইথ নাইট ট্রান্সফর্মেশন!

$
0
0

সবাই নিশ্চয়ই ভ্যালেন্টাইন ডের প্রস্তুতি নিচ্ছেন! ভ্যালেন্টাইন ডে’টি কিন্তু কেবল কপোতকপতির জন্য এমনটা ভাবার কোন কারণ নেই। পরিবারের সদস্যদের নিয়েও ভ্যালেন্টাইন ডে যে উদযাপন করা যায় তা আমরা ভুলেই যাই। আজকে এমনই এক লুক নিয়ে আমাদের সবার প্রিয় মেকাপ স্পেশালিষ্ট নিলয় ফারহানা উপস্থিত হয়েছেন। তবে বাড়তি পাওনা হল এই মেকাপ টিউটোরিয়ালের মাধ্যমে কীভাবে ডে মেকাপ লুককে রাতের মেকাপ লুকে পরিবর্তন করা যায় তাই দেখিয়েছেন।

প্রয়োজনীয় প্রোডাক্টগুলো ঘরে বসেই পেতে  পারেন। সেক্ষেত্রে  SAPPHIRE এই লিঙ্কে ক্লিক করে পছন্দের পণ্য বেছে নিন। ধন্যবাদ।

ছবি: শিরি ফারহানা

হঠাৎ করে জ্বর এলে কী করবেন?

$
0
0

শীত শেষ হয়ে এলো, সামনেই গরমকাল। এই মাঝখানের হালকা ঋতু পরিবর্তনেই অপ্রত্যাশিত জ্বর কাশি হতে দেখা যায় অনেকের মাঝেই। এটা স্বাভাবিক, কারণ আবহাওয়ার পরিবর্তনের সাথে সাথে তাপমাত্রার একটা তারতম্য ঘটে। আমাদের শরীর সেটা হঠাৎ করে মানিয়ে নিতে পারে না বলেই জ্বর কাশি দেখা যায়।

 

জ্বর হবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে জ্বর হলে শুরু থেকেই যদি কিছু ছোট নিয়ম কানুন মেনে চলা যায় তাহলে জ্বরের কারণে কষ্ট কম হবে এবং দ্রুত জ্বর সারিয়ে তোলা সম্ভব হবে। জ্বর সবারই হয় কিন্তু সবাই এই ছোটখাট টিপস সম্পর্কে অবগত নয়। আজকের লেখায় কয়েকটি ছোট টিপস দিয়ে দেয়া হলো –

 

১. জ্বর হলে সবার আগে আপনি দূর্বল বোধ করবেন। ভেতর থেকে উত্তাপ বোধ হবে। এমতাবস্থায় থার্মোমিটার নিয়ে আপনার শরীরের তাপমাত্রা মেপে ফেলুন। মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট। যদি এর বেশি তাপমাত্রা ধরা পড়ে তাহলে বুঝবেন আপনি জ্বরে ভুগছেন।

 

২. জ্বর হলেই একদম ভয়ে দিশেহারা হয়ে যাওয়ার কিছু নেই। যতটুকু সম্ভব শান্ত থাকার চেষ্টা করুন। পরিবারের সদস্যদের যতটা কম বিরক্ত করবেন ততই ভালো। জ্বর যদি খুব বেশি মারাত্মক না হয়ে থাকে তাহলে তাদের কাছে না যাওয়াই উত্তম। বরং তাদের থেকে দূরে থাকুন, কারণ ফ্লু ছোঁয়াছে হয়ে থাকে। ফলে আপনার থেকে আপনার পরিবারের অন্য সদস্যদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনাও থেকে যায়।

 

৩. জ্বর হলে বাসায় অবস্থান করুন। কারণ জ্বর থাকাকালীন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সুস্থাবস্থার চাইতে হ্রাস পায়। বাইরে গেলে ধুলোবালিতে থাকা জীবানু শরীরে ঢুকে বিভিন্ন রোগের কারণ হয়ে উঠতে পারে। এছাড়াও জ্বর গায়ে শরীর সঞ্চালনে শরীর আরো বেশি দূর্বল হয়ে পড়ে। তাই যতসম্ভব বিশ্রামে থাকার চেষ্টা করুন।

 

৪. ঘুমান। জ্বর হলে যত বেশি সম্ভব ঘুমানোর চেষ্টা করুন। কারণ ঘুমালে আপনার শরীরের আভ্যন্তরীন কাজগুলো দ্রুত হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তার শক্তি ফিরে পায়। এছাড়া ঘুম আপনার শরীর কে জ্বরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত করে তোলে।

 

৫. নিয়মিত থার্মোমিটার দিয়ে জ্বর পরীক্ষা করুন। কারণ জ্বর পরীক্ষার মাধ্যমেই আপনি বুঝতে পারবেন আপনার শরীর এর তাপমাত্রা বাড়ছে নাকি কমছে। যদি তাপমাত্রা কমতে থাকে তাহলে উঠে হাতমুখ ধুয়ে নিন, এতে ফ্রেশ লাগবে এবং শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। কিন্তু যদি তাপমাত্রা বাড়তে থাকে তাহলে আগে থেকে সাবধান হয়ে যান। খেয়াল করুন জ্বরের পাশাপাশি শরীরে অন্যান্য উপসর্গ যেমন মাথাব্যাথা, শরীরের ব্যাথা, খাবারে অরুচি ইত্যাদি আছে কি না। থাকলে দ্রুত ডাক্তারের শরনাপণ্ন হোন।

 

৬. হালকা খাবার খান। জ্বরের সময় খুব বেশি ভারী খাবার খেতে হবে এমন কোন কথা নেই। হালকা খাবার খান। এতে খাবার হজম করতে সুবিধা হবে। জ্বরের শরীরে খালি পেটে কষ্ট বেশি হয়। তাই একেবারে বেশি না খেয়ে অল্প অল্প করে খেতে থাকুন। এতে শরীরের শক্তি তে ঘাটতি পড়বে না।

 

৭. যদি তাপমাত্রা না কমে, তাহলে ভেজা কাপড়ের পট্টি দিন। কিছুক্ষণ পর পর কাপড় পরিবর্তন করুন। এতে তাপমাত্রা কিছুটা হলেও প্রশমিত হবে। যদি খুব বেশি তাপমাত্রা লক্ষ্য করেন তাহলে কাপড় ভিজিয়ে গা হাত পা মুছে ফেলুন। এতে শরীরের প্রশান্তি বোধ হবে।

 

৮. হালকা জ্বরের ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল টাইপের ওষুধ খেলে এমনিতেই জ্বর সেরে যায়। তাই জ্বর এর মাত্রা অনুযায়ী প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে প্যারাসিটামল খেয়ে নিতে পারেন। কিন্তু জ্বর যদি অনেক বেশি হয় তাহলে প্যারাসিটামলের উপর ভরসা না করে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। অনেকে আবার না বুঝে এন্টিবায়োটিক খেয়ে ফেলেন, এটা উচিত নয়। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া জ্বরের ওষুধ হিসেবে কোন এন্টিবায়োটিক খাবেন না।

 

৯.  জ্বরের সাথে অন্যান্য উপসর্গ আছে কি না খেয়াল রাখুন। যদি এমন কিছু থাকে যেমন বমি বমি ভাব, মাথা ব্যাথা, চোখে ঝাপসা দেখা, বমি হওয়া, খিঁচুনী কিংবা মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার অবস্থা হয় তাহলে দ্রুত হাসপাতালে চলে যান।

 

এই জিনিসগুলো করা খুবই সহজ এবং মনে রাখার মতই। তাই সুস্থতা বজায় রাখতে চাইলে জ্বর আসার সাথে সাথে এই নিয়মগুলো মেনে চললে সহজেই জ্বর থেকে সুস্থ হওয়া সম্ভব।

 

লিখেছেন – ফরহাদ রাকিব

ছবি – মেডিকফটো.কম

 

Viewing all 3053 articles
Browse latest View live