নতুন চুল গজানোর ব্যাপারে আগ্রহ নেই এমন মানুষ খুব কম আছেন। এই ধরুন, কেউ যদি বলে অমুক পাহাড়ের উপর একটি ভেষজ গাছ আছে যেটার পাতা খেলে চুল গজায়, তাহলে যে যেভাবে পারুক সেই গাছ হয়তো যোগাড় করেই ছাড়বে! আসলে চুলের ব্যাপারে আমরা বরাবরই সিরিয়াস কিনা। কারণ বর্তমানে চুল পড়া একটি মারাত্মক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আমরা কেমিক্যাল বা বায়োলজিক্যাল যেভাবেই পারছি তা দিয়েই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাই। এখন ঘন ও হেলদি চুল পেতে গিয়ে কোনো প্রোডাক্ট ব্যবহারের আগে সেটি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া খুবই জরুরি। নতুন চুল গজাতে পেপটাইড এখন বেশ হাইপড একটি ইনগ্রেডিয়েন্ট। এটিকে হেয়ার গ্রোথের ম্যাজিকাল ইনগ্রেডিয়েন্টও বলা হয়। আজকের ফিচারে থাকছে পেপটাইড সম্পর্কে বিস্তারিত।
পেপটাইড সম্পর্কে কিছু তথ্য
পেপটাইড আসলে অ্যামাইনো অ্যাসিডের শর্ট চেইন। এটি যখন বন্ড হিসাবে থাকে, তখন অনেকগুলো অ্যামাইনো অ্যাসিড যুক্ত হয়ে প্রোটিন তৈরি করে। আমাদের হেয়ার ও স্কিনের জন্য প্রোটিন যে কতটা জরুরি যেটা বলার অপেক্ষা নিশ্চয়ই রাখে নাহ্। বিশেষ করে আমাদের চুল কেরাটিন নামক প্রোটিন দিয়ে তৈরি দিয়ে তৈরি বলে চুলের যত্নে প্রোটিনের গুরুত্ব একটু বেশি ই বটে। দুধ, ডিম, মাংস এগুলো হচ্ছে পেপটাইডের বেশ ভালো সোর্স।
নতুন চুল গজাতে পেপটাইড কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ?
চুল ভালো রাখতে সবার আগে ডায়েটে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। যদি আপনার ডায়েটে পর্যাপ্ত প্রোটিন থাকে, তাহলে তা চুলের হেলথ ভালো রাখতে কাজ করে। ডায়েটের পাশাপাশি সরাসরি চুলের যত্নে পেপটাইড ইউজ করলে চুলের গ্রোথের জন্য সবচেয়ে কার্যকরী হয়। চলুন এখন জানা যাক নতুন চুল গজাতে পেপটাইড কীভাবে বেনিফিট দিতে পারে।
হেলদি হেয়ার গ্রোথ প্রোমোট করে
পেপটাইড আমাদের চুলের ফলিকলে ব্লাড সার্কুলেশন বাড়াতে সাহায্য করে, যাতে করে অক্সিজেন ও প্রয়োজনীয় নিউট্রিয়েন্টস চুলের গোড়ায় পৌঁছে যেতে পারে। এতে করে হেলদি হেয়ার গ্রো করতে পারে।
চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে
হেয়ার গ্রো করা একটি স্বাভাবিক ঘটনা হলেও DHT বা ডাই হাইড্রোটেস্টোসটেরোন নামের একটি হরমোন হেয়ার গ্রোথ কমিয়ে দিতে পারে। এটিকে বাধা প্রদান করে এই পেপটাইড। পাশাপাশি এটি চুলে কোলাজেন ও ইলাস্টিন প্রোডাকশনও বাড়ায়। এতে করে চুল পড়া কমে, চুল মজবুত হয়, চুলের গ্রোথ বাড়ে এবং নতুন চুলও গজায়।
চুলকে ঘন করে
চুল ঘন ও হেলদি হওয়ার জন্য স্ক্যাল্পের হেলথ ভালো থাকাটাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ স্ক্যাল্পে যদি ইনফ্ল্যামেশন হয়, তাহলে চুল আস্তে আস্তে পাতলা ও দুর্বল হতে থাকে। পেপটাইডের অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি প্রোপার্টিজ চুলের স্ক্যাল্প ভালো রাখে ও হেয়ার ফলিকলের পরিমাণ বাড়ায়। ফলে নতুন চুল গজায় এবং চুল আগের চাইতে ঘন হতে পারে।
স্ক্যাল্প ও চুলকে হাইড্রেটেড রাখে
যদি ড্রাই হেয়ার হয়ে থাকে, তাহলে হেয়ার কেয়ার রুটিনে পেপটাইড বেইজড প্রোডাক্ট ইউজ করা উচিত। কেননা পেপটাইড চুলকে নারিশ করে এবং হাইড্রেটেড রাখতে হেল্প করে। এতে করে ধীরে ধীরে চুল হেলদি, সফট ও শাইনি হয়ে উঠতে পারে।
ফ্রি রেডিক্যাল ড্যামেজ থেকে চুলকে প্রোটেক্ট করে
অ্যান্টি অক্সিডেন্ট প্রোপার্টিজ থাকায় পেপটাইড ফ্রি রেডিক্যাল ও টক্সিন থেকে চুলকে প্রোটেক্ট করে৷ সেই সাথে এটি চুল পেকে যাওয়ার প্রবণতাও নিয়ন্ত্রণ করে।
কারা পেপটাইড ইউজ করতে পারবেন?
সব ধরনের চুলের জন্যই পেপটাইড ব্যবহার করা যায়। তবে যাদের ড্রাই ও ড্যামেজড হেয়ার, তাদের জন্য এটি ব্যবহার করা মাস্ট। আপনারা পেপটাইড আছে এমন হেয়ার মাস্ক, সিরাম, কন্ডিশনার এসব ব্যবহার করতে পারেন। পরামর্শ থাকবে, পেপটাইড আছে এমন কোনো প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে চাইলে অবশ্যই প্যাচ টেস্ট করে নিবেন। তাছাড়াও অনেকেই ডায়েটে কোলাজেন বা পেপটাইডের সাপ্লিমেন্টস অ্যাড করতে চান। সেক্ষেত্রেও আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিবেন।
এক কথায় যদি বলা হয়, নতুন চুল গজাতে পেপটাইড খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। হেয়ার কেয়ার রুটিনে যদি এটি অ্যাড করা হয় এবং নিয়মিত ইউজ করা হয়, তাহলে আশা করি দ্রুতই ভিজিবল রেজাল্ট দেখতে পাবেন। অথেনটিক মেকআপ, স্কিনকেয়ার ও হেয়ারকেয়ার প্রোডাক্টসের জন্য আমি সবসময়ই সাজগোজ এর উপর ভরসা রাখি। আপনারাও ভিজিট করুন সাজগোজের ওয়েবসাইট, অ্যাপ বা ফিজিক্যাল স্টোরে। সাজগোজের বেশ কয়েকটি ফিজিক্যাল শপ রয়েছে। এ শপগুলো যমুনা ফিউচার পার্ক, সীমান্ত সম্ভার, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, ইস্টার্ন মল্লিকা, ওয়ারীর র্যাংকিন স্ট্রিট, বসুন্ধরা সিটি, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে), মিরপুরের কিংশুক টাওয়ারে ও চট্টগ্রামের খুলশি টাউন সেন্টারে অবস্থিত। এই শপগুলোর পাশাপাশি চাইলে অনলাইনে শপ.সাজগোজ.কম থেকেও কিনতে পারেন আপনার দরকারি বা পছন্দের সব প্রোডাক্টস।
ছবিঃ সাজগোজ
The post নতুন চুল গজাতে পেপটাইড কতটুকু কার্যকরী? appeared first on Shajgoj.