Quantcast
Channel: Shajgoj
Viewing all articles
Browse latest Browse all 3010

বয়সভেদে ঋতুস্রাবের পরিবর্তন সম্পর্কে জানা আছে কি?

$
0
0

একটি মেয়ের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন অধ্যায় হচ্ছে পিরিয়ড। সাধারণত ৮ থেকে ১৩ বছরের মেয়েদের প্রথম মাসিক হয়ে থাকে। মাসিকচক্রের প্রথম ধাপকে মেনারকি বলা হয়। শারীরিক গঠনভেদে বয়সের তারতম্য হতে পারে। অনেকের ৭-৮ বছরেও হয়ে যায় আবার অনেকের ১৮ বছর পর্যন্ত মাসিক শুরু নাও হতে পারে। কিন্তু মাসিক শুরু হওয়ার ৬ থেকে ১২ মাস আগ থেকেই এর কিছু লক্ষণ দেখতে পাবেন। তবে ১৭ বছরের পরও যদি মাসিক না হয় তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। পিরিয়ড শুরু হওয়ার ক্ষেত্রে যেমন বয়সের তারতম্য থাকে তেমনি বয়সভেদে পিরিয়ডের কিছু পরিবর্তনও হয়ে থাকে। আজকে আমরা বয়সভেদে ঋতুস্রাবের পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করবো। চলুন জেনে নেই বয়সভেদে ঋতুস্রাবের পরিবর্তন কিভাবে হয়ে থাকে।

বয়সভেদে ঋতুস্রাবের পরিবর্তন

পিরিয়ড সাধারণত ৮ থেকে ১৩ বছরের মধ্যে শুরু হয় এবং ৪০ থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। এর মাঝে বয়সভেদে অনেকধরনের পরিবর্তন হয়ে থাকে।

২০ বছরে পিরিয়ড

পিরিয়ডে পেটের ব্যথা - shajgoj.com

এ বয়সে পিরিয়ড খুবই অনিয়মিত হয়ে থাকে। তাছাড়া পেটে ব্যথা এবং ইরিটেশন (irritation) এই বয়সে বেশি হয়ে থাকে। পিরিয়ড অনিয়মিত হওয়ার কারণে মেয়েদের পিএমএস (PMS) এর লক্ষণ দেখা দেয়। আবার ২০ বছর বয়সে আরেকটি হরমোনাল পরিবর্তন হয় যা গর্ভনিরোধের বড়ি সেবনের কারণে হয়ে থাকে।

মেয়েরা এই সময়ে সাধারণত বেশি গর্ভনিরোধের বড়ি সেবন করে থাকে যা হরমোনাল পরিবর্তনের পাশাপাশি পিএমএস (PMS) এর লক্ষণগুলোকে হ্রাস করে। এটি করলে অনেক সময় অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যাও দূর হয়।

৩০ বছরে পিরিয়ড

এই বয়সে সাধারনত পিরিয়ড স্বাভাবিক এবং নিয়মিত থাকে। কিন্তু মাঝেমধ্যে পেট ভারি ভারি হয়ে যাওয়া মারাত্বক তলপেটে পেইন হওয়া এই সময়ের পিরিয়ডের আরেকটি পরিবর্তন। পেট ভারি হয়ে গেলে ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে।

এসময়ের আরেকটি প্রধান পরিবর্তন হয় সন্তান প্রসবের সাথে। ৩০ বছর বয়সে বেশীরভাগ মেয়েরা সন্তান প্রসব করে থাকে। যার ফলে গর্ভাবস্থায় মায়েদের মাসিকচক্রে পরিবর্তন হয়ে থাকে। তাছাড়া বাচ্চাকে স্তন্যদানের সাথে পিরিয়ডের পরিবর্তন নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। সাধারণত এসময়ে পিরিয়ড খুবই অনিয়মিত হয়ে থাকে।

সন্তান প্রসবের কারণে এসময়ে মেয়েদের পিএমএস এরও পরিবর্তন হয়ে থাকে।

৪০ বছরে পিরিয়ড

পিরিয়ডের সময় মন খারাপ - shajgoj.com

এসময়টি পিরিয়ডের শেষের দিকের সময়। সাধারণত এই সময়গুলোতে অনেকের পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময় হয়ে যায়। তাই অনিয়মিত পিরিয়ড, মিস পিরিয়ডের মতো সমস্যা দেখা দেয়। তবে এর অর্থ এই নয় যে আপনি গর্ভবতী হতে পারবেন না।

এছাড়াও, এই সময়ের মধ্যে আপনার পিএমএস উপসর্গগুলি আরও খারাপ হতে পারে কারণ পিরিয়ড অনিয়মিত হয়ে যাওয়া।  মেজাজ খারাপ হওয়া, অতিরিক্ত গরম লাগা, ঘাম হওয়ার মতো সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে। এই সমস্যাগুলো পিএমএস এর কারণেই হয়ে থাকে।

পিরিয়ড একটি স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া এতে লজ্জা কিংবা ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। তাছাড়া এতে গোপনীয়তারও কিছু নেই। পিরিয়ড চলাকালীন পরিবর্তন গুলো একেবারেই স্বাভাবিক। কিন্তু অতিরিক্ত পরিবর্তন দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।

 

ছবি- সংগৃহীত: সাজগোজ; ইমেজেসবাজার.কম

The post বয়সভেদে ঋতুস্রাবের পরিবর্তন সম্পর্কে জানা আছে কি? appeared first on Shajgoj.


Viewing all articles
Browse latest Browse all 3010

Trending Articles