Quantcast
Channel: Shajgoj
Viewing all articles
Browse latest Browse all 3010

শীতেও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য রাইস ফেস মাস্ক

$
0
0

ঠাণ্ডাটা একটু জেঁকে বসার সাথে সাথে অনেকের বাসাতেই নিশ্চয়ই পিঠা পুলির আয়োজন শুরু হয়ে গেছে, তাই না? আর আমাদের শীতের পিঠা কি চালের গুঁড়া ছাড়া হয় নাকি? বাসায় ফ্রেশ চালের গুঁড়া তৈরি করে রাখার সাথে সাথেই তাই একটা সুযোগ পেয়ে একটা ব্রাইটেনিং ফেস মাস্ক তৈরি করে ফেললাম। যেটা এই শীতে সব ধরনের ত্বকের রুক্ষতা আর শীতে ত্বকের বিরক্তিকর কালচে ডাল ভাব দূর করতে ভীষণ কার্যকরী। জানতে চান কীভাবে খুব সহজে তৈরি করবেন ইজি এই মাস্কটি?

দেখে নিন এই সহজ রাইস ফেস মাস্কের রেসিপি। আপনাদের সুবিধার জন্য কিছু ছবি তুলে রেখেছিলাম সেগুলোও দিয়ে দিলাম-

আপনার যা যা লাগবে-

o

-     চালের গুঁড়া (১ টেবিল চামচ)

চালের গুঁড়া খুব ভালভাবে স্কিন এক্সফলিয়েট করে। তাছাড়া জেদি ট্যান দূর করে স্কিন ব্রাইট আর গ্লোইং করার জন্য এর আছে আলাদা কদর। ফ্রেশ আতপ চালের গুঁড়া শুকিয়ে একটা আলাদা কৌটায় করে রেখে দিন যাতে যখন সময় পাবেন স্কিন কেয়ার আর মাস্ক তৈরিতে ইজিলি ব্যবহার করতে পারেন। আর হ্যাঁ, সেনসিটিভ স্কিনেও চালের গুঁড়া ব্যবহারে কোন সমস্যা হয় না।

 

-     গুঁড়া দুধ (১/২ টেবিল চামচ)

শীতকালে অনেকেরই ত্বক রুক্ষ আর ডাল হয়ে যায়। অনেকেই বলেন ফেস কালচে লাগে, বিভিন্ন জায়গায় শুষ্ক হয়ে চামড়া ওঠে। সাধারন ক্রিমে যা কোনভাবেই কন্ট্রোল করা যায় না। এই সব সমস্যার সমাধানে গুড়ো দুধ ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া ত্বক উজ্জ্বল করা এবং দাগ ছোপ দূর করার জন্য গুঁড়া দুধের ভূমিকা প্রমাণিত।

 

-     মধু (১/২ টেবিল চামচ)

স্কিনের আদ্রতা ধরে রাখে আর দেয় শিশুদের মত কোমল ত্বক। ড্রাই স্কিনের চুলকানি আর রেডনেস দূর করার জন্য যেকোনো দামি ক্রিম/মাস্ক থেকে মধু বেশি কার্যকরী। যদি আপনার স্কিনে ব্রণ থাকে অথবা খুব অয়েলি স্কিন হয় অথবা মধুতে অ্যালার্জি থাকে তবে এটা বাদ দিতে পারেন।

 

-     কড়া গ্রিন টি লিকার

স্কিনের ড্যামেজ দূর করে (স্পেসালি সান ড্যামেজ)। এর আছে অ্যান্টি অক্সিডানট আর অ্যান্টি এজিং গুণাবলী। কড়া লিকার তৈরি করার জন্য এক কাপের তিন ভাগের একভাগ ফুটন্ত পানিতে একটি গ্রিন টি ব্যাগ ১-২ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। ঠাণ্ডা করে নিয়ে ব্যবহার করুন।1 2

এবার কি করবেন?

-     সব উপকরণ একত্রে মেশাতে পারবেন না। প্রথমে একটা ছোট পাত্রে চালের গুঁড়া আর গুঁড়া দুধ একত্রে মেশান।

-     এবার এতে মধু মেশান এবং যতক্ষণ মিশে না যাবে নাড়তে থাকুন।

-     সবশেষে কড়া গ্রিন টির লিকার মিশিয়ে নাড়ুন এবং একটু ঘন পেস্ট কনসিসটেন্সিতে নিয়ে আসুন। দেখে নিন মাস্কের ঘনত্ব কেমন হওয়া উচিৎ।

4

তৈরি হয়ে গেল ব্রাইটেনিং অ্যান্ড রিজুভিনেটিং রাইস মাস্ক!

ব্যবহারের নিয়মঃ

সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করুন। এই মাস্কটি আপনার মুখে, গলায়, ঘাড়ে এবং শরীরের শুষ্ক, রুক্ষ অংশে এবং হাতে পায়েও ইউজ করতে পারবেন। রেগুলার ইউজ করলে জেদি ট্যান আর কালচে দাগ হালকা হয়ে আসবে।

একটু মোটা পরতে মাস্ক ত্বকে লাগান। এতে দুধ এবং মধু থাকায় সহজে শুকাবে না। ১৫ মিনিট পড়ে একটু পানির ছিটা দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে হালকা হাতে স্কিনে ম্যাসাজ করুন। সবসময় নিচ থেকে উপরের দিকে ম্যাসাজ করবেন। এভাবে ১-২ মিনিট ম্যাসাজ করে হালকা উষ্ণ পানিতে মাস্ক ধুয়ে ফেলুন।

দেখলেন তো কতো ইজি? তো এবার নিজেই তৈরি করুন রাইস ফেস মাস্ক। কেমন লাগলো আমাদের জানাতে ভুলবেন না কিন্তু!

লিখেছেন – তাবাসসুম মুস্তারি মীম

ছবি – সাজগোজ ঈদ অ্যালবাম


Viewing all articles
Browse latest Browse all 3010

Trending Articles