সুন্দর একজোড়া চোখ, সবারই নজর কাড়তে বাধ্য। আর চোখকে আরো সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে চোখের মেকাপ বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। চোখের মেকাপে কাজল, আইলাইনার, মাশকারার পাশাপাশি যে কসমেটিকটির কথা না বললেই নয়, তা হলো আইশ্যাডো। এটি ছাড়া তো চোখের মেকাপ পরিপূর্ণই হবে না। তবে, আইশ্যাডো কেনার কথা মাথায় আসলে অনেকেই কনফিউজড হয়ে যায়। কোনটা কেনা উচিত, কোনটা যে কম দামের মধ্যে ভালো হবে, আর কোনটা আসলেই দরকার আপনার জন্যে এসব নিয়ে দ্বিধার শেষ থাকে না। আর আপনি যদি মেকাপের জগতে নতুন হন, তাহলে তো কোনো কথাই নেই। তাই আজ জানাবো, আপনার নিজের জন্যে সঠিক আইশ্যাডো প্যালেট নির্বাচনের ৮ টি টিপস।
(১) আইশ্যাডো প্যালেট কেনার আগে মাথায় রাখতে হবে, কোন ধরণের আইশ্যাডো আপনি কিনতে চাচ্ছেন। বাজারে ম্যাট, শিমারী, মেটালিক, স্যাটিন, ক্রিম আইশ্যাডো রয়েছে। যদি আপনি প্রতিদিনকার চোখের সাজের জন্যে কিনতে চান, তবে ম্যাট অথবা স্যাটিন ফিনিশের আইশ্যাডোকিনতে পারেন। তবে ম্যাট আইশ্যাডো কালেকশনে রাখা ভালো। কারণ এগুলো যে কোনো ধরণের আই মেকাপে ক্রিজে আইশ্যাডো ব্লেন্ডিং এর কাজে লাগে।এছাড়া যে কোনো পার্টি আই মেকাপের জন্যে বেছে নিন শিমারী অথবা মেটালিক ফিনিশের আইশ্যাডো। এছাড়া লং লাস্টিং আই মেকাপ পেতে বেছে নিতে পারেন ক্রিম আইশ্যাডোগুলো।
(২) এমন আইশ্যাডো প্যালেট বাছবেন, যেগুলোতে শেড রেঞ্জ ভালো। কারণ লাইট, মিডিয়াম এবং ডার্ক কালারের আইশ্যাডো দিয়ে আপনি অনেকগুলো লুক করতে পারবেন।
(৩) আইশ্যাডো কেনার আগে আপনার চোখের কালারের দিকে নজর রেখে কিনবেন। প্যালেটের কালারগুলো যেন আপনার চোখের কালারের সাথে মানানসই হয়, তা খেয়াল রাখবেন। তবে, ব্রাউন, গোল্ডেন, কপার, সিলভার বারগেন্ডি, ব্লাক ইত্যাদি কালারগুলো সব ধরনের চোখের সাথেইমানিয়ে যায়।
(৪) অনলাইন রিভিউগুলো আপনার ভালো বন্ধু হতে পারে। অনলাইনে সার্চ করলেই বিভিন্ন ব্রাণ্ডের আইশ্যাডো সম্পর্কে অনেক রিভিউ পাওয়া যায়। সেখান থেকে দেখে আপনি অনেকটা আইডিয়া পেতে পারবেন।
(৫) আপনি যদি আই মেকাপে নতুন হন, তবে যে কোনো ধরনের নুড/ ন্যাচারাল কালারের আইশ্যাডো প্যালেট বেছে নিন। কারণ এ কালারগুলো যেমন সব ধরণের ড্রেসের সাথে মানিয়ে যায়, তেমনি ব্রাউন, নুড, ব্ল্যাক ইত্যাদি কালারগুলো থেকে আপনি কোন কালার চোখের কোন অংশে ব্যবহার করা উচিত তা সম্পর্কে বেসিক ধারণা পেয়ে যাবেন ।
(৬) এমন আইশ্যাডো প্যালেট কেনার চেষ্টা করবেন, যেটার কালারগুলো ওয়্যার্যাবল। অনেক প্যালেটে এমন সব কালার থাকে, যেগুলো দেখতে সুন্দর হলেও ঐ সব কালার দিয়ে আই মেকাপ করাটা খুব একটা মানানসই লাগে না। যে কালারগুলো বেশী ইউসফুল, সেগুলো কেনাই ভালো। তাই এক্ষেত্রে একটু মাথা খাটিয়ে প্যালেট নির্বাচন করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
(৭) আপনি মেকাপে নতুন/ বিভিন্ন কালারের আইশ্যাডো দিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে ভালোবাসেন / এবং অনেকগুলো আইশ্যাডো প্যালেট কিনে টাকা নষ্ট করতে চান না? তাহলে বেছে নিতে পারেন ১২০, ১৮০ কালারের আইশ্যাডোগুলো।এগুলো দামে অনেক বেশী রিজনেবল এবং মানও খুব একটা খারাপ না।
(৮) বাজেটের মধ্যে ভালো মানের আইশ্যাডো খুঁজলে, বেছে নিন ড্রাগস্টোরের ব্রাণ্ডগুলো। মেকাপ রেভ্যুলেশন, বি এইচ কস্মেটিক্স, ল’রিয়াল, মেইবিলিন, মেকাপ একাডেমী ইত্যাদি ব্রান্ডে রিজনেবল দামে ভালো মানের আইশ্যাডো রয়েছে। হাই এন্ড প্যালেটগুলোর মধ্যে রয়েছে – আরবান ডি কে, টু ফেইসড, এ.বি.এইচ ইত্যাদি প্যালেটগুলো।
এই তো ছিলো, আইশ্যাডো প্যালেট নির্বাচনের ৮ টি দারুণ টিপস। আশা করছি এখন থেকে পারফেক্ট আইশ্যাডো প্যালেটটি বেছে নিতে আর আসুবিধা হবে না।
লিখেছেন – জান্নাতুল মৌ