Quantcast
Channel: Shajgoj
Viewing all 3053 articles
Browse latest View live

স্কিন ক্যাফে রোজ ওয়াটার |১০০% ন্যাচারাল ফেইস ও বডি মিস্ট

$
0
0

স্কিন কেয়ারের ক্ষেত্রে যুগ যুগ ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে গোলাপ জল। ত্বকের যত্নে গোলাপ জল অথবা রোজ ওয়াটার খুবই উপকারী। তাই আজকে আমরা আপনাদের দেখাবো স্কিন ক্যাফে ১০০% ন্যাচারাল রোজ ওয়াটার ফেইস অ্যান্ড বডি মিস্টের বিভিন্ন উপকারিতা ও ব্যবহার।

ভিডিও টিউটোরিয়াল – সাজগোজ ডট কম

The post স্কিন ক্যাফে রোজ ওয়াটার | ১০০% ন্যাচারাল ফেইস ও বডি মিস্ট appeared first on Shajgoj.


টিনেজারদের ত্বকের যত্ন |১১টি ধাপেই করে নিন স্কিন কেয়ার!

$
0
0

ক্লেনজিং, টোনিং এবং ময়শ্চারাইজিং এই ৩টি ধাপ সবার জন্যে হলেও, এক এক বয়সের স্কিন কেয়ার কিন্তু এক এক রকমের হয় যেমন, টিনেজ। এই সময়টা সবার কাছে অনেক মধুর হলেও, টিনেজারদের কিন্তু পড়াশোনা, সোশ্যাল লাইফ, ক্যারিয়ার, হরমোনাল প্রবলেম ইত্যাদি ছাড়াও অনেক কিছু বজায় রাখতে হয়। তার উপরে রয়েছে ত্বকের যত্ন। বেশীরভাগ টিনেজাররা কনফিউশনে ভোগেন যে, কোনটা তাদের স্কিনের জন্য করা উচিত, আর কোনটা উচিত নয়। একনি (Acne), ব্রেক আউটস (Break out), অয়েলি স্কিন এইগুলো থাকে তাদের কমপ্লেইন লিস্ট এর শুরুতেই। তাই বলা যায়, এই সময়টা তাদের জন্য কিছুটা স্ট্রেসফুলও হয়ে থাকে এছাড়া ভুলভাল ভাবে ত্বকের যত্ন নিতে গেলে উলটো স্কিনেরই বারোটা বেজে যেতে পারে। তাই, টিনেজাররা সঠিকভাবে কিভাবে তাদের ত্বকের যত্ন নিবেন, তা জানাটা খুবই জরুরি। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেই, টিনেজারদের ত্বকের যত্ন সম্পর্কে।

টিনেজারদের ত্বকের যত্ন করার পদ্ধতি 

১. টিনেজারদের ত্বকের ধরন বোঝা 

প্রথমেই যে বিষয়টির উপর গুরুত্ব দিতে হবে, তা হচ্ছে স্কিনটিকে বোঝা। আপনার স্কিনের টাইপ কি? নরমাল, ড্রাই, অয়েলি নাকি কম্বিনেশন? এটা জানতে, সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে একটা টেস্ট করতে পারেন। ঘুম থেকে উঠে মুখের স্কিনে হাত বুলিয়ে দেখুন। যদি, আপনার স্কিন সফট ফিল হয়, তেমন ব্লেমিশ বা প্যাচ না থাকে এবং স্কিনে অয়েল ব্যালেন্সড থাকে, তবে আপনার নরমাল স্কিন। নরমাল স্কিনের অধিকারীরা নন-অ্যালকোহল মাইল্ড ক্লেনজার ব্যবহার করবেন।

আর যদি ত্বকে স্মুদ ফিল না হয়, ড্রাই প্যাচ, ডাল ফিল হয়। তবে আপনার স্কিন টাইপ ড্রাই। স্কিন ড্রাই হলেও মাইল্ড ক্লেনজার ব্যবহার করবেন। স্কিনে অতিরিক্ত স্ক্রাবিং করবেন না এবং গরম পানিতে গোসল কম করবেন।
টিনেজারদের ত্বকের ধরন বোঝা - shajgoj.com

যদি স্কিনটি তৈলাক্ত ফিল হয়, পিম্পল, ব্রেক আউটস, পোরস ইত্যাদি থাকে, তবে আপনার স্কিন টাইপ অয়েলি। অয়েলি স্কিন হলে, দিনে ৩ বার মুখটা ফেইসওয়াস দিয়ে পরিষ্কার করবেন।

আপনার স্কিনের টি-জোনে যদি অয়েলি ফিল হয় এবং ফেইসের অন্য অংশগুলো ড্রাই ফিল হয়, তবে আপনার কম্বিনেশন স্কিন।
কম্বিনেশন স্কিন হলে, অয়েলি স্কিনের জন্যে তৈরি ক্লিনজার গুলোই ব্যবহার করতে পারেন।

২. ক্লেনজিং 

ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ত্বক ক্লিন করা খুবই জরুরী। নয়তো, ত্বকে জমে থাকা অয়েল, ঘাম, ময়লা কিন্তু স্কিনের ক্ষতিই করবে। সবসময় ভালো মানের ক্লেনজার ব্যবহার করবেন এবং ফেইস জোরে জোরে ঘষা থেকে বিরত থাকবেন।

৩. ময়েশ্চারাইজ    

টিনেজারদের ত্বকের যত্নে ময়েশ্চারাইজ - shajgoj.com

সব ধরনের ত্বকেই ময়েশ্চারাইজার কিন্তু মাস্ট। হোক সেটা অয়েলি বা খুব বেশি প্রবলেমেটিক স্কিন। সবসময় স্কিন টাইপ এবং প্রবলেমকে মাথায় রেখে লাইট ধরনের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন এবং যেন তা আপনার ত্বকে স্যুট করে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

৪. এক্সফোলিয়েট 

টিনেজারদের ত্বক ব্লক হয়ে যাওয়া থেকে রোধ করতে এক্সফোলিয়েটিং করা খুবই ইম্পরট্যান্ট। এজন্য, সপ্তাহে ২/১ বার ত্বকে স্ক্রাব ব্যবহার করবেন। তবে, দোকান থেকে কেনা স্ক্রাবার ব্যবহার না করে, হোমমেইড স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন। যেমন, চালের গুড়ো বা ওটস এর গুড়ো এবং মধু মিলিয়ে স্ক্রাব বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। তবে, সবসময় খুব ধিরে ধিরে স্কিন স্ক্রাব করবেন।

৫. ফেইস মাস্ক   

টিনেজারদের ত্বকের যত্নে ফেইস মাস্ক - shajgoj.com

যদি সপ্তাহে একদিন ফেইস মাস্ক ব্যবহার করেন, তবে আপনার স্কিন অবশ্যই আপনাকে ধন্যবাদ জানাবে। তবেই বোঝে নিন, মাস্ক ব্যবহার কতটা ভালো স্কিনের জন্য। মাস্ক শুধু স্কিন থেকে ময়লা, টক্সিনস (Toxin), ইমপিউরিটিস (Impurities) দূরই করে না, বরং আপনার স্কিনকে ময়েশ্চারাইজডও (Moisturized) রাখে। দোকানের কেনা মাস্কগুলো চাইলে ব্যবহার করতে পারেন। তবে, বাড়িতে বানানো ন্যাচারাল  ইনগ্রিডিয়েন্টসের (Ingredient) মাস্কগুলো টিন স্কিনের জন্য বেশি ভালো হবে। তাই, বেসন এবং হলুদ, মধু এবং লেবু, টমেটো এবং মুলতানি মাটি, চন্দন এবং মধু ইত্যাদি ইনগ্রিডিয়েন্টস মিলিয়ে মাস্ক বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

৬. পাউডারের ব্যবহার   

অয়েলি স্কিনের অধিকারী টিনেজাররা এই ভুলটি করেন। তারা ত্বকের অয়েলি শাইন দূর করতে পাউডার অ্যাপ্লাই করে থাকেন। এটা তো হেল্প করেই না উলটো আপনার পোরস ক্লগ করে দেয় অথবা লোমকূপগুলো বন্ধ করে দেয়। তাই পাউডার ব্যবহার না করে টিস্যু বা ব্লটিংপেপার (Blotting paper) ব্যবহার করুন।

৭. মেকআপ 

টিনেজারদের ত্বকের যত্নে টিনটেড ময়শ্চারাইজার ব্যবহার - shajgoj.com

টিনেজাররা মেকআপ পছন্দ করলেও সেক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখবেন। টিন স্কিনে ফাউন্ডেশন ব্যবহার না করাই ভালো। এর বদলে টিনটেড ময়শ্চারাইজার (Tinted moisturizer) ব্যবহার করুন। মেকআপ ব্রাশ এবং স্পঞ্জ সবসময় ক্লিন রাখুন।

৮.ফেইসে বার বার হাত দিবেন না    

আপনি কি জানেন, বার বার ফেইসে হাত দেয়ার ফলে হাতে থাকা ব্যাকটেরিয়া গুলো ফেইসে চলে যায়? তাই বার বার ফেইসে  হাত দেয়া থেকে বিরত থাকুন। সবসময় ফেইস টাওয়াল, মেকআপ ব্রাশ ক্লিন রাখবেন। মেকআপ প্রোডাক্ট এবং ব্রাশ অন্য কারও সাথে শেয়ার করবেন না।

৯. পিম্পল বা ব্রণ খোঁটাখুঁটি করবেন না   

ত্বকের ব্রণ খোঁটাখুঁটি করবেন না - shajgoj.com

আমি জানি পিম্পল হলে, সেটা গেলে দেয়া থেকে অনেকেই বিরত থাকতে পারেন না। কারণ, এটা অনেক তৃপ্তিদায়কও বটে। আমিও একটা সময় পিম্পল গেলে দিতাম। যার ফলাফল, স্কিনে দাগ বসে গেলো। তাই, পিম্পল খোঁটাখুঁটি থেকে বিরত থাকুন। পিম্পলের উপরে সামান্য টি ট্রি অয়েল লাগিয়ে রাতে ঘুমাতে যান।

১০. ডক্টরের পরামর্শ নিন 

স্কিনের প্রবলেম যেমন, পিম্পল, ব্রেক আউট, র‍্যাশ ইত্যাদি হলে কারও থেকে শুনে বা নিজে নিজে কিছু একটা কিনে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। স্কিন ডক্টরের সাথে কথা বলুন, সমস্যাগুলো জানান এবং পরামর্শ নিন। কারণ, এই সময়ে  হরমোনাল সমস্যাগুলো দেখা যায় অনেক বেশি। তাই, ডক্টরের পরামর্শ নিয়ে কিছু করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। টিনেজারদের ত্বকের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই এই দিকগুলি লক্ষ্য রাখতে হবে।

 ১১. সানব্লক

টিনেজারদের ত্বকের যত্নে সানব্লক ব্যবহার - shajgoj.com 

হেলদি এবং ট্যান ফ্রি স্কিন পেতে প্রতিদিন সানব্লক বা সানস্ক্রিন ব্যবহার করতেই হবে। বাইরে যাওয়ার ২০ মিনিট আগে সানব্লক ব্যবহার করবেন। সানব্লকটিতে যেন কমপক্ষে এস পি এফ ৩০ থাকে।

আপনি চাইলে আপনার পছন্দমতো ত্বকের যত্নে প্রোডাক্ট কিনতে পারেন অনলাইনে শপ.সাজগোজ.কম থেকে। আবার যমুনা ফিউচার পার্ক ও সীমান্ত স্কয়ার এ অবস্থিত সাজগোজের দুটি ফিজিক্যাল শপ থেকেও কিনতে পারেন আপনার পছন্দের প্রোডাক্টটি!

আপনি যেহেতু টিনেজার, আপনার ত্বকও কিন্তু ইয়ং। তাই টিনেজারদের ত্বকের যত্ন নিতে ভারী কিছু না মেইনটেইন করে সবসময় সিম্পল একটি স্কিন কেয়ার রুটিন ফলো করুন। এর সাথে ব্যালেন্সড ডায়েট (Balanced diet) এবং প্রচুর পানি খেতে ভুলবেন না। কারণ, সৌন্দর্য ভেতর থেকে আসাটাই কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। ভালো থাকুন।

 

ছবি সংগৃহীত: সাজগোজ;ইমেজেসবাজার.কম;মিরর.সিও;মেলানোমাপাটেইন্টস.ওআরজি;ইয়াম্মিলুকস.কম

The post টিনেজারদের ত্বকের যত্ন | ১১টি ধাপেই করে নিন স্কিন কেয়ার! appeared first on Shajgoj.

ভেজিটেবল মাশরুম সালাদ

$
0
0

ফিট থাকতে আজকাল আমরা অনেক ধরনের ডায়েট খাবার খেয়ে থাকি। এইসব খাবার হেলদি তো হয় কিন্তু সুস্বাদু তেমন একটা হয় না। অথচ আমরা চাইলেই কিন্তু ডায়েট খাবারগুলো সুস্বাদু করে তৈরি করে নিতে পারি। আজকে আমরা আপনাদের একটি হেলদি এবং টেস্টি সালাদের রেসিপি জানাবো। মজাদার এই সালাদটি হচ্ছে ভেজিটেবল মাশরুম সালাদ। সামান্য কিছু উপকরণ দিয়েই খুব সহজে তৈরি করতে পারেন হেলদি এই খাবারটি। চলুন তাহলে দেড়ি না করে জেনে নেই ভেজিটেবল মাশরুম সালাদ তৈরির পুরো প্রণালীটি।

ভেজিটেবল মাশরুম সালাদ তৈরির পদ্ধতি 

উপকরণ 

১. শসা টুকরো করে কাটা- ১ কাপ
২. লেটুস পাতা কুঁচি- ২ কাপ
৩. মাশরুম স্লাইস করে কাটা- ৫টি
৪. ডিম- ১টি
৫. টমেটো কুঁচি- ১ কাপ
৬. ক্যাপসিকাম কুঁচি- ১ কাপ
৭. গোলমরিচ গুড়া- স্বাদমতো
৮. লবণ- স্বাদমতো
৯. সালাদ ড্রেসিং- আপনার পছন্দমতো

ভেজিটেবল মাশরুম সালাদ - shajgoj.com

প্রস্তুত প্রণালী 

১) প্রথমে একটি ননস্টিক প্যানে ১ টেবিল চামচ তেল দিয়ে প্রথমে ক্যাপসিকাম আর টমেটো হালকা ভেজে নিন।

২) এবার ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন ৫ মিনিট।

৩) এরপর মাশরুম স্লাইস ঢেলে নিন এবং এতে গোলমরিচ গুড়া আর লবণ দিয়ে হালকা ভেজে নিন।

৪) তারপর মিশ্রনটি তুলে রাখুন একটা পাত্রে।

৫) এবার ঐ ননস্টিক প্যানেই একটা ডিম ফেটে নিয়ে স্ক্র‍্যাম্বল করে নিন।

৬) এবার একটা সালাদ বোলে টুকরো করে রাখা শশা আর লেটুস নিয়ে নিন এবং তাতে ভেজে রাখা মিশ্রন দিয়ে দিতে হবে।

৭) সব শেষে স্ক্র‍্যাম্বল করে রাখা ডিম দিয়ে দিন।

8) এবার এক টেবিল চামচ সালাদ ড্রেসিং ছড়িয়ে দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।

ব্যস হয়ে গেল হেলদি সালাদ! লাঞ্চ কিংবা ডিনারে খেতে পারেন হেলদি এবং মজাদার ভেজিটেবল মাশরুম সালাদ।

 

ছবি- সংগৃহীত: সাজগোজ

The post ভেজিটেবল মাশরুম সালাদ appeared first on Shajgoj.

ফেইস ব্রাশের ব্যবহার |মেকআপ ১০১

$
0
0

মেকআপ কতটা ফ্ললেস হবে তার অনেকটাই ডিপেন্ড করে ব্রাশ সেটের উপর। পারফেক্ট মেকআপের জন্য কিন্তু খুব বেশি ব্রাশ প্রয়োজন নেই। অল্প কয়েকটি ব্রাশের সঠিক ব্যবহার জানলেই কিন্তু আপনিও করতে পারেন ফ্ললেস মেকআপ লুক। আজকে আমরা আপনাদের দেখাবো ফেইস ব্রাশের ব্যবহার। চলুন তবে দেখা যাক……

ভিডিও টিউটোরিয়াল – সাজগোজ ডট কম

The post ফেইস ব্রাশের ব্যবহার | মেকআপ ১০১ appeared first on Shajgoj.

শীতের কাপড় ব্যবহারের পূর্বশর্ত ও এর যত্নে ৭টি টিপস

$
0
0

বছর ঘুরে আবারো চলে এলো শীতের মৌসুম। চারদিকে এখনই হিম হিম আবহ ঘিরে ধরেছে। বাতাসে বইছে শীতের আমেজ। শেষ রাতের দিকে এখন আমাদের কাঁথার দরকার পড়ে যায়। আর যারা ভোর বেলা হাঁটাহাঁটি করেন তারা দেখতে পান কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের স্নিগ্ধ সকাল। সেই সাথে শিশির ভেজা ঘাস, রাস্তাঘাট, গাছপালা। কুয়াশা ঘেরা ঠাণ্ডা আবহাওয়াই জানান দিচ্ছে যে কিছু দিনের মধ্যেই জেঁকে ধরবে শীত। কাজেই সবাই এখন আলমারি থেকে তাদের শীতের কাপড় নামানো প্রায় শুরুই করে দিয়েছেন। কিন্তু শীতের কাপড় আলমারি থেকে বের করে সরাসরি ব্যবহার করাও উচিত না। কারণ বছর ধরে আলমারি বা বক্সে পড়ে থাকা অব্যবহৃত গরম কাপড়গুলো ভ্যাপসা একটা ভাব হয়ে নেতিয়ে থাকে। এছাড়া পোকা আক্রমণেরও সম্ভাবনাও থাকে আর সাথে গুমোট একটা গন্ধতো আছেই। কাজেই এসব কাপড় আলমারি থেকে বের করে সরাসরি গায়ে দেয়া মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত না। এতে করে শরীরে অ্যালার্জিজনিত সমস্যা, র‍্যাশ উঠা ও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। কাজেই শীতের কাপড় ব্যবহারের পূর্বে বিশেষ কিছু দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

শীতের কাপড় যত্ন নেয়ার ৭টি টিপস 

শীতের কাপড় বলতে তো সোয়েটার, জ্যাকেট, মোজা, টুপি, কাঁথা, কম্বল, লেপ এসবই। সুতরাং দীর্ঘদিন বস্তা বন্দি এসব গরম কাপড়গুলো ব্যবহারের পূর্বে ভালোভাবে ২/৩ দিন কড়া রোদ লাগিয়ে ঝেড়ে পরিষ্কার করে আর যেগুলো ধোয়ার উপযোগী সেগুলো ধুয়ে ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও আরও বিস্তারিত জানতে চলুন একটু ডিটেইলে যাওয়া যাক!

১) সোয়েটার

শীতের সোয়েটারের যত্ন - shajgoj.com

সোয়েটার ব্যবহারের আগে ধুয়ে নেয়া ভালো। সোয়েটার মূলত উলেন বা পশমের হয়ে থাকে। কাজেই এটা ধুতে সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার না করে ঠান্ডা পানিতে শ্যাম্পু মিশিয়ে ধোয়া উচিত। আর সাথে অল্প পরিমাণ ভিনেগার মিশিয়ে  নিলে কাপড়টা আরো ঝকঝকে থাকবে, তবে সাদা কাপড়ের বেলায় পানিতে ভিনেগার না মিশানোই ভালো। তার বদলে লেবুর রস মিশিয়ে নিলে উপকার পাওয়া যায়। এগুলো ছাড়াও বাজারে উলেন কাপড় ধোয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের লিকুইড সামগ্রী পাওয়া যায়, যা কাপড়ের যত্নে অনেক উপকারী। সোয়েটার কখনই ব্রাশ বা হাত দিয়ে রগরিয়ে ঘষে বা কেচে ধোয়া উচিত নয়। তাতে করে সোয়েটারের আকার নষ্ট হয়ে যাবে। যতটা সম্ভব ওয়াশিং মেশিন এড়িয়ে চলাই ভালো তবে নিতান্তই দরকার পড়লে উলেন অপশনে দিয়ে কাপড় পরিষ্কার করুন। ধোয়ার পর অন্যান্য কাপড়ের মতো না চিপে হালকাভাবে নিংড়ে নিয়ে রোদে শুকাতে দিন।

৪) ফ্লানেলের কাপড় অন্যান্য চাদর

এসব কাপড়ের ক্ষেত্রেও সাবান ও ডিটারজেন্ট দিয়ে না ধুয়ে শ্যাম্পু দিয়ে ধুলে কাপড়ের উজ্জ্বলতা ঠিক থাকে এবং ঘন্টা খানেক ভিজিয়ে রেখে একটু কচলে নিলেই ময়লা পরিষ্কার হয়ে যায়। তবে বেশি ময়লা হলে এক্ষেত্রে হালকা গরম পানি মিশিয়ে নিয়ে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে সামান্য কচলে নিলেই ময়লা উঠে যাবে, পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

২) কোট বা লেদারের কাপড়

শীতের লেদার জ্যাকেটের যত্ন - shajgoj.com

কোট আর লেদারের কাপড় ঘরে না ধুয়ে লন্ড্রিতে ড্রাই ক্লিন করিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এসব কাপড় ব্যবহারের সময় যতটা যত্নশীল হতে হয় তেমনি ব্যবহারের পর হালকাভাবে নরম ব্রাশ দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করে হ্যাংগারে ঝুলিয়ে রাখতে হবে।

৫) লেপ কম্বল

লেপ ব্যবহারের পূর্বে কড়া রোদ লাগিয়ে কভারে ভরে গায়ে দিতে হবে। আর কম্বল ব্যবহারের আগে ড্রাই ক্লিন করিয়ে নিলে ভালো। সপ্তাহে একবার লেপ কম্বল দুটোই রোদ লাগিয়ে ঝেড়ে রাখতে হবে। কম্বলে খুব দ্রুতই ময়লা জমে আর এটা ধোয়ার মতো জিনিসও না। কাজেই কম্বলে কভার লাগিয়ে ঢেকে রাখলে ময়লা হবে না। নিয়মিত কম্বল আর লেপের কভার ধুয়ে পরিষ্কার রাখলেই হবে।

৩) কাশ্মীরি  পশমী চাদর

শীতের চাদরের যত্ন - shajgoj.com

এগুলো ব্যবহারের আগে ভালোভাবে রোদ লাগিয়ে গায়ে দিতে হবে। এই চাদরগুলো সারাসরি পানি দিয়ে ধোয়া উচিত না। এগুলো কেবল ড্রাইওয়াশ করাতে হয়।

৬) মোজা, মাফলার টুপি

শীতের মাফলার ও টুপির যত্ন - shajgoj.com

শীতে সোয়েটার, চাদরের চেয়ে বেশি ময়লা হয় মোজা, টুপি ও মাফলার। কাজেই কয়েকদিন পরপর এগুলো সাবান অথবা ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে।

৭) কাঁথা

কাঁথার জন্য আলাদা কোন যত্নের প্রয়োজন হয় না। ব্যবহারের আগে ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে এবং যতবার ময়লা হবে ততবারই একই পদ্ধতিতে পরিষ্কার করলেই কাঁথার যত্ন নেয়া হয়ে যায়।

এই সাধারণ বিষয়গুলো অনুসরণ করলেই শীতের কাপড় নিয়ে তেমন একটা ঝামেলায় পড়তে হবে না এবং অ্যালার্জি ও শ্বাসকষ্টের মতো কোন সমস্যাও হবে না! সেই সাথে শীতে সুস্থ ও নিরাপদে থাকতে পারবেন। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন!

ছবি- সংগৃহীত: সাজগোজ; ইমেজেসবাজার.কম; ইন্ডিয়া মার্ট.কম;

The post শীতের কাপড় ব্যবহারের পূর্বশর্ত ও এর যত্নে ৭টি টিপস appeared first on Shajgoj.

শীট মাস্ক |শীতে ত্বকের যত্ন করুন ৬টি মাস্কের সাহায্যে!

$
0
0

শীতে রেগ্যুলার ময়েশ্চারাইজার তো ব্যবহার করছেন, তারপরও মুখে একটা হেলদি গ্লো আপনি মিস করছেন কি? পার্লারে গিয়ে ট্রিটমেন্ট বা ফেসিয়াল নেয়ার মত সময় নেই, কিন্তু ত্বক একটা ইনস্ট্যান্ট নারিশমেন্ট (Instant nourishment) চায়, কিভাবে চটজলদি গ্লো আনবেন এটা নিয়ে ভাবছেন কি? জি হ্যাঁ, শীতে আমরা সবাই স্কিন নিয়ে কম বেশি প্রবলেম ফেইস করি।শীতকাল মানেই বিয়ের সিজন, সেই সাথে পিকনিক, ঘুরতে যাওয়া আরও কত প্ল্যান। শীতের জন্য সারাটা বছর ঠিক যেন অপেক্ষা করে বসে থাকা! কিন্তু এসময়ে স্কিনটা কেমন যেন রুক্ষ হয়ে যায় আর নিষ্প্রাণ লাগে। চলুন আজ আমরা জেনে নেই কোরিয়ান বিউটি ট্রেন্ডের একটা ম্যাজিকাল প্রোডাক্ট “শীট মাস্ক” কিভাবে আপনাকে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিবে।

শীট মাস্ক পরিচিতি 

কে-বিউটি অথবা কোরিয়ান বিউটি ট্রেন্ড এখন বিউটি ওয়ার্ল্ডে জনপ্রিয়। আর কোরিয়ান স্কিন কেয়ার রুটিনে শীট মাস্ক অ্যাসেনশিয়াল একটি পার্ট। শীট মাস্ক হচ্ছে ফেইস শেপের পাতলা ফেব্রিস্ক বা পেপার যেটা একটি প্যাকেটে পুরোপুরি অ্যাসেন্স অথবা সিরামে ভেজানো থাকে, এক কথায় প্যাকেটজাত ফেসিয়াল মাস্ক বলতে পারেন। এটা-সেটা বাটাবাটি করা, ওটা মুখে মাখা, এরপর ধোয়া এসব ঝামেলায় যারা যেতে চান না, তাদের জন্য বেস্ট প্রোডাক্ট এটি।

শীট মাস্ক এর ব্যবহার   

জাস্ট প্যাকেট খুলে মাস্কটি সাবধানে বের করে নিন, হেঁচকা টান দিবেন না যাতে ভেতরের নরম কাপড়/কাগজের মাস্ক ছিঁড়ে যায়। পরিষ্কার মুখে মাস্কটি লাগিয়ে রেখে ১৫-২০ মিনিট পরে সিরাম স্কিনে শুষে নিলে মাস্কটি তুলে ফেলে দিতে হয়। আলতো হাতে কাজটি করতে হবে এবং স্মুদলি যেন মাস্কটা স্কিনে লেগে থাকে সেদিকে একটু খেয়াল রাখলেই হবে। তুলে ফেলার পর মুখ ধোয়ার প্রয়োজন নেই। সিম্পল না? আর এই মাস্ক ব্যবহার করে আপনি যেকোনো কাজ করতে পারবেন তাই আলাদা করে কোন সময় কিন্তু নষ্ট হবেনা।

কী আছে এই শীট মাস্কে?     

কি আছে এই মাস্কে এবং আপনার স্কিনে এটা কিভাবে কাজ করবে- নিশ্চই জানতে ইচ্ছা করছে। বিভিন্ন স্কিন প্রবলেমকে টার্গেট করে বা স্কিনের রকমফের ভেদে নানারকম শীট মাস্কের কালেকশন আছে কোরিয়ান স্কিন কেয়ার রেঞ্জে। এটি সাধারণত বায়ো সেলুলোজ (Bio Cellulose) শীট যেটা অ্যাসেন্সটাকে আপনার স্কিনে পাস করে দিতে হেল্প করে। যে অ্যাসেন্স অথবা সিরামে ভেজানো থাকে এটা মূলত ভিটামিন-ই, গ্লিসারিন, মধু, অ্যালোভেরা, টমেটো, ক্যামেলিয়া, গ্রিন-টি, পার্ল, আঙ্গুরের নির্যাস সমৃদ্ধ। তারা এতে ন্যাচারাল প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করে যাতে ব্যাকটেরিয়াল বা ফাঙ্গাল অ্যাটাক না হয়। শীট মাস্ক এমনভাবে প্রস্তুত করা হয় যাতে অ্যাসেন্স অথবা সিরাম সহজেই আপনার স্কিনে শোষিত হয়ে ডিপ লেয়ার পর্যন্ত যায় এবং আপনার ত্বককে হেলদি করে তোলে।

কোথায় পাবো কোরিয়ান শীট মাস্ক

শীট মাস্ক কি তা তো জানা হল, এখন প্রশ্ন হলো কোথায় পাবো অরিজিনাল কোরিয়ান স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট? শপ.সাজগোজে আছে কে-বিউটি ক্যাটাগরি (Category), আছে কোরিয়ার নাম করা ব্র্যান্ডের বিভিন্ন শীট মাস্কের কালেকশন। আপনি অনলাইনে অথেনটিক (Authentic) কোরিয়ান স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট কিনতে পারেন শপ.সাজগোজ.কম থেকে। তাছাড়া, সাজগোজের দু’টি ফিজিক্যাল শপে নিজে গিয়েও কিনতে পারেন, যা যমুনা ফিউচার পার্ক ও সীমান্ত স্কয়ারে অবস্থিত। বিভিন্ন শীট মাস্কের প্রপার্টিজ আলাদা, ভেরিয়েন্ট শীট মাস্কের কালেকশন থেকে আপনার পছন্দ অনুযায়ী বেছে নিতে পারবেন।

শীট মাস্কের ধরন  

বিভিন্ন ধরনের শীট মাস্ক রয়েছে। ত্বকের ধরন দেখে নিজে পছন্দ করে মাস্ক সিলেক্ট করতে পারেন। আমার পছন্দের কিছু শীট  মাস্কের কথা শেয়ার করছি, চাইলে এই শীট মাস্কগুলো আপনিও ট্রাই করতে পারেন।

১) ইনিসফ্রি মাই রিয়েল স্কুইজ মাস্ক-অ্যালো (Innisfree My Real Squeeze Mask– Aloe)

 

অ্যালোভেরা ত্বকের জন্য কতটা উপকারী, সেটা আমরা সবাই কমবেশি জানি। এতে অ্যালো ছাড়াও ক্যামেলিয়া, অর্কিড সহ বিভিন্ন হারবাল নির্যাস থাকে। এই মাস্কটি আপনার টায়ার্ড স্কিনকে উজ্জ্বল ও সুন্দর করে তুলবে নিমিষেই, ঠিক ম্যাজিকের মত। কি অবাক হচ্ছেন? একবার ব্যবহার করে দেখুন। দাম মাত্র ১৫০ টাকা।

২) নোইবি পার্ল অ্যাসেন্স মাস্ক  (Noibe Pearl Essence Mask)       

এই মাস্কটা ইভেন টোন, স্মুদ আর ফ্রেশ স্কিনের জন্য আপনি বেছে নিতে পারেন। হায়ালুরনিক এসিড (Hyaluronic acid), পার্ল এক্সট্রাক্ট (Pearl Extract), গ্লিসারিন সমৃদ্ধ এই মাস্কটি আমার বেশ পছন্দ হয়েছে। পার্লারের ফেসিয়ালের মতই ২-৪ দিন স্কিন গ্লোইং থাকে। দাম মাত্র ১০০ টাকা।

৩) কোয়েলশিয়া গেট সাম শীট মাস্ক হানি (koelcia Get Some Shit Mask Honey)   

এক কথায় বেস্ট একটা মাস্ক। একটা জারে ৩০টি মাস্ক পাবেন, চিমটা থাকে মাস্ক তোলার জন্য আর ভেতরে একটা আয়নাও দেয়া আছে। অত্যন্ত ড্রাই এবং এইজড স্কিনেও চমৎকার কাজ করে। হেলদি রেডিয়েন্স আর ডিউয়ি ত্বকের জন্য কোয়েলশিয়ার এই মাস্কটি বেশ জনপ্রিয়। এই মাস্কটির দাম পড়বে ১৪০০ টাকা।

৪) ইনিসফ্রি মাই রিয়েল স্কুইজি মাস্ক- রোজ  (Innisfree My Real Squeeze Mask– Rose)

গোলাপের এক্সট্রাক্ট সমৃদ্ধ এই মাস্কটি ওয়াটার-টাইপ রিফ্রেশিং মাস্ক যেটা আপনার ত্বককে ভেতর থেকে ময়েশ্চারাইজ করে স্মুদ ফিলিং দিবে। দাম ও আপনার হাতের নাগালে, মাত্র ১৫০ টাকা।

৫) মিশা এয়ারি ফিট শীট মাস্ক (গ্রিন টি) (Missha Airy Fit Sheet Mask- Green Tea)

এটি বেশ লাইট একটা মাস্ক এবং অ্যাপ্লাই করার সাথে সাথে ফ্রেশ লুক দেয়। সব স্কিনে এটি মানিয়ে যায় সুন্দর করে। বাইরে থেকে এসে ঝটপট এই মাস্কটা মুখে লাগিয়ে রাখলে ইনস্ট্যান্ট এটি ময়েশ্চার রিস্টোর করবে। দাম পড়বে মাত্র ১০০ টাকা।

৬) দ্যা ফেইস শপ ইনটেন্স সুদিং মাসক্রিম শীট মাস্ক (The Face Shop Intense Soothing Mascream Sheet Mask) 

এটা ত্বকের নারিশমেন্ট (Nourishment) আর ব্রাইটনেসের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। এতে হায়ড্রেটিং সিরাম আর গ্লুটাথিওন (Glutathione) থাকে। এটির দাম পড়বে ৩৫০ টাকা।

এছাড়াও আরও অনেক মাস্ক আছে, আপনি নিজে ইগ্রিডিয়েন্স দেখেও সিলেক্ট করে নিতে পারেন।

আপনি চাইলে আপনার পছন্দমতো মাস্ক কিনতে পারেন অনলাইনে শপ.সাজগোজ.কম থেকে। আবার যমুনা ফিউচার পার্ক ও সীমান্ত স্কয়ার এ অবস্থিত সাজগোজের দুটি ফিজিক্যাল শপ থেকেও কিনতে পারেন আপনার পছন্দের মাস্কটি!

তো, যারা ট্রাই করতে চাচ্ছেন এখনই করে ফেলুন নিশ্চিন্তে। শুধু কিছু বিষয় খেয়াল রাখবেন,

  • শীট মাস্ক সপ্তাহে দু’টো ব্যবহার করাই যথেষ্ট। পার্টি অথবা স্পেশাল অকেশনের আগে ব্যবহার করতে পারবেন।
  • কোনভাবেই ইউজড মাস্ক দ্বিতীয়বার ব্যবহার করার ট্রাই করবেন না।
  • পরিষ্কার হাতে মাস্কটি হেন্ডেল করবেন, মাস্কটি মুখ থেকে তুলে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করবেন তাতে আপনার ত্বক সিরামটুকু শুষে নেবে।
  • ঠাণ্ডা স্থানে রাখবেন এতে সিরামের গুনাগুন ঠিক থাকে।

ব্যস, এইটুকুই! শীট মাস্ক ব্যবহার করে ইনস্ট্যান্ট একটা সিগ্নিফিকেন্ট (Significant) চেইঞ্জ দেখতে পারবেন আপনি নিজেই। ব্যস্ত জীবনে এই একটা ছোট প্রোডাক্ট দিয়েই আপনার অল ইন ওয়ান সল্যুশন হয়ে যাবে। তাই আজই ট্রাই করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের জানাতে ভুলবেন না।

 

ছবি-সংগৃহীত: সাজগোজ;মেরডেকা.কম;মিসিবক্স.কম;বিব্লুবেরি;বিউটিস্নেইল.কম;মেওকসমেটিক.ভিএন;কোরিয়ানকসমেটিক্সগ্যালারি.কম

The post শীট মাস্ক | শীতে ত্বকের যত্ন করুন ৬টি মাস্কের সাহায্যে! appeared first on Shajgoj.

মধুর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানা আছে কি?

$
0
0

আজকাল মধুর গুণাগুণ গুলো তো বোধহয় আমরা ভুলতেই বসেছি ! তাই মধুর প্রয়োজনীয়তা, ব্যবহার এবং গুণাগুণ নিয়ে কথা বলতে আজ আমাদের সাথে আছেন ডায়টেশিয়ান নুসরাত জাহান দিপা। সাথেই থাকুন……

 

ভিডিও টিউটোরিয়াল – সাজগোজ ডট কম

The post মধুর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানা আছে কি? appeared first on Shajgoj.

মুলার ভর্তা

$
0
0

ভর্তা আমার পছন্দের খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম। ভর্তা খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ পাওয়াও দুষ্কর। অনেক পদের ভর্তাই আমরা খেয়ে থাকি। গরম ভাতের সাথে ভর্তা খাওয়ার মজাই আলাদা। ভর্তা প্রেমীদের জন্য আজকে আমরা দেখাবো মুলার ভর্তা বানানোর রেসিপি। খুবই মাজাদার এই ভর্তাটি। মুলা খেতে যারা পছন্দ করে না তাদেরও ভালো লাগবে মজাদার এই ভর্তাটি। চলুন তাহলে দেখে নেই মুলার ভর্তা তৈরির পদ্ধতিটি।

মুলার ভর্তা তৈরির পদ্ধতি

উপকরণ

  • মুলা- ১টি
  • বড় মাছ (রুই/কই)- ১ টুকরা
  • পেঁয়াজ কুঁচি- ১/২ কাপ
  • লবণ- পরিমাণমতো
  • শুকনা মরিচ- ৩/৪ টি
  • সরিষার তেল- পরিমাণমতো
  • ধনেপাতা কুঁচি- ২ চা চামচ

প্রস্তুত প্রণালী 

১) প্রথমে একটি মুলা গ্রেটারে ভালো করে গ্রেট করে লবণ মাখিয়ে রেখে দিতে হবে ১০-১৫ মিনিট।

২) এবার একটি পাত্রে মাছের কাঁটা ছাড়িয়ে  রাখুন এবং আরেকটি পাত্রে মুলা কুঁচি ভালো করে চিপে পানি ঝাড়িয়ে নিতে হবে।

৩) এবার মাছের সাথে একে একে মুলা কুঁচি, পেঁয়াজ কুঁচি, লবণ, শুকনা মরিচ, সরিষার তেল ও ধনেপাতা কুঁচি দিয়ে ভালো করে মেখে মিশিয়ে নিতে হবে।

দেখলেন তো! কিভাবে খুব সহজেই তৈরি হয়ে গেলো মজাদার মুলার ভর্তা। দেড়ি না করে আজই তৈরি করে ফেলুন এবং উপভোগ করুন সুস্বাদু মুলার ভর্তা।

 

ছবি- সংগৃহীত: সাজগোজ;ইউটিউব

The post মুলার ভর্তা appeared first on Shajgoj.


ফেইক নেইলস পড়ে নিন খুব সহজে!

$
0
0

সুন্দর হাত আপনার ব্যক্তিত্বকে করে তোলে আরও আকর্ষণীয়। যাদের হাতের নখ সহজে বড় হয় না বা নখ কামড়ানোর মতো বাজে অভ্যাস আছে, আজকের এই ভিডিও তাদের জন্য। দেখুন তবে…

ভিডিও টিউটোরিয়াল – সাজগোজ ডট কম

The post ফেইক নেইলস পড়ে নিন খুব সহজে! appeared first on Shajgoj.

মেকআপের পূর্বে ত্বকের প্রস্তুতি |আপনার স্কিনকে কিভাবে প্রিপেয়ার করবেন?

$
0
0

মেকআপের পর একটা ফ্ললেস লুক আমরা সবাই চাই। কিন্তু এর জন্য কিছু স্টেপস ফলো করা প্রয়োজন যাতে আমাদের স্কিনটা মেকআপ করার জন্য প্রিপেয়ার্ড হয়। চলুন তবে দেখে নেই মেকআপের পূর্বে ত্বকের প্রস্তুতি হিসেবে স্কিনের প্রিপারেশন কিভাবে করতে হয়!

The post মেকআপের পূর্বে ত্বকের প্রস্তুতি | আপনার স্কিনকে কিভাবে প্রিপেয়ার করবেন? appeared first on Shajgoj.

আপনার স্কিন মেকআপে হাইলাইটার সঠিকভাবে ব্যবহার করছেন কি?

$
0
0

এখন সব নারীরাই সৌন্দর্য সচেতন। সৌন্দর্যের কথা ভাবলে প্রথমেই মাথায় আসে মেকআপের কথা। এখন দেখা যায় প্রায় প্রতিদিনই মেয়েরা মেকআপ করেই বের হচ্ছেন। পরিবেশ ও অনুষ্ঠানের সাথে পরিবির্তন হচ্ছে মেকআপের ধরনও। কোন বিয়ের অনুষ্ঠানে খুব ভারী মেকআপ, আবার প্রতিদিনের অফিস, ইউনিভার্সিটি, দাওয়াতের জন্য আবার হালকা গ্লোয়িং মেকআপ। প্রত্যেকটি লুকের সাথে সাথে চেঞ্জ হচ্ছে মেকআপের ধাপগুলোও। মেকআপের অন্যতম একটি ধাপ হচ্ছে হাইলাইটার ব্যবহার। এখন সবার মধ্যেই মেকআপের পছন্দের তালিকায় হাইলাইটার সবার উপরে। মেকআপে হাইলাইটারের ব্যবহার আপনার সম্পূর্ণ লুকটিকেই বদলে দিতে পারে। যেমন আজকাল মেকআপের ক্ষেত্রে নারীদের পছন্দের মধ্যেও ভিন্নতা দেখা যায়। কারো কাছে ম্যাট (matt) লুক পছন্দ হচ্ছে আবার কারো ক্ষেত্রে গ্লোয়িং (glowing) লুক। এই লুকগুলো ডিপেন্ড করছে হাইলাইটার ব্যবহাররের উপরে। চলুন জেনে নেই হাইলাইটার সঠিকভাবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক যা আপনার মেকআপ লুকটিকে দিতে পারে একটি পারফেক্ট ফিনিশ।

হাইলাইটার সঠিকভাবে ব্যবহার নিয়ে যত কথা

হাইলাইটার নির্বাচন 

আপনার স্কিনের জন্য যেকোনো হাইলাইটারই কি ব্যবহার করবেন? আপনি কি জানেন, ত্বকের ধরন অনুযায়ী হাইলাইটার রয়েছে? আমরা বেশিরভাগ মেয়েরাই এটা জানি না আসলে। চলুন এবার স্কিন টাইপ ও হাইলাইটার নিয়ে একটু জানা যাক!

হাইলাইটারের ধরন

মেকআপের দুনিয়ায় সাধারণত তিন ধরনের হাইলাইটার দেখা যায়-

১. লিকুইড হাইলাইটার

২. পাউডার হাইলাইটার

৩. ক্রিম হাইলাইটার

স্কিন টাইপ অনুযায়ী হাইলাইটার 

১) ড্রাই স্কিন 

আপনার যদি ড্রাই (Dry) স্কিন হয়, অর্থাৎ অধিকাংশ সময় আপনার ত্বক শুষ্ক থাকে, তাহলে আপনার লিকুইড হাইলাইটার ব্যবহার করতে হবে। কারণ লিকুইড হাইলাইটার আপনার স্কিনের নমনীয়তা ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং হাইলাইটারটি আপনার স্কিনে সুন্দরভাবে ব্লেন্ড (Blend) হতে সাহায্য করে।

২) তৈলাক্ত স্কিন

অয়েলি (oily) স্কিনে অর্থাৎ ত্বক যদি তৈলাক্ত ধরনের হয় তবে পাউডার হাইলাইটার ব্যবহার করতে হবে, এতে করে পাউডার হাইলাইটার ত্বকের তৈলাক্ত ভাবকে কমিয়ে সুন্দর গ্লোয়ি লুক দিবে।

৩) কম্বিনেশন স্কিন

কম্বিনেশন অর্থাৎ মিশ্র স্কিনে ক্রিম বা পাউডার হাইলাইটার ব্যবহার করা যায়। এতে করে ত্বকে খুব বেশি ড্রাই (dry) বা ওয়েলি (oily) মনে হবে না।

হাইলাইটার ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি

লিকুইড হাইলাইটার ব্যবহার 

লিকুইড (liquid) হাইলাইটার তিনভাবে ব্যবহার করা যায়-

১. ফাউন্ডেশন বা ময়েশ্চারাইজারের সাথে মিক্স করে

২. ফাউন্ডেশনের পূর্বে ফেইসে লিকুইড হাইলাইটার দেওয়ার পর ফাউন্ডেশন ব্যবহার করে।

৩. মেকআপের শেষে হালকা করে ফেইসের হাই পয়েন্টসগুলোতে।

পাউডার হাইলাইটার ব্যবহার

১. ফেইসের হাই পয়েন্টসগুলোতে ব্রাশের সাহায্যে

২. গালের দু’পাশে লিকুইড হাইলাইটার দেওয়ার পর তার উপর পাউডার হাইলাইটার দিয়ে। এতে করে হাইলাইটার আরো বেশি হাইলাইট করবে এবং লং লাস্টিং হবে।

ক্রিম হাইলাইটার ব্যবহার 

ক্রিম হাইলাইটার ব্যবহারের জন্য হাতের আঙুলে বা ব্রাশের সাহায্যে প্রথমে ব্লেন্ড করে নিন। তারপর ক্রিমটি সেট করার জন্য এর উপর পাউডার হাইলাইটার ব্যবহার করে নিন। এছাড়া ক্রিম হাইলাইটার কিনতেও পাওয়া যায়।

কীভাবে হাইলাইট করবেন?

ফেইসের যে পয়েন্টগুলোতে আলো পরে সেইসব জায়গায় হাইলাইটার ব্যবহার করতে হবে। এতে করে আপনার ফেইসে একটি পারফেক্ট স্ট্রাকচার (structure) তৈরি হবে। যেমন- গালের দুপাশে হাড়ের উপরে, নাকের উপর, কপালে, থুতনিতে এবং হালকা একটু ঠোঁটের উপরে ব্যবহার করতে পারেন।

হাইলাইটার ব্যবহারের প্রয়োজনীর টুলস

১. হাইলাইটিং ব্রাশ

২. বিউটি স্পঞ্জ

৩. হাতের আঙুল দিয়ে ব্লেন্ড করা যাবে।

ত্বকের রং অনুযায়ী হাইলাইটার নির্বাচন

যেকোন স্কিনটোনে যেকোন হাইলাইটার ব্যবহার করা যাবে না। এতে করে মেকআপ দেখতে অসামঞ্জস্য লাগে। স্কিনের আন্ডার টোন অনুযায়ী হাইলাইটার নির্বাচন করতে হবে। গোল্ডেন আন্ডারটোনে একটু গোল্ডেন (golden) বা শ্যাম্পেইন (champaign) কালারের হাইলাইটার ব্যাবহার করতে হবে। পিংক আন্ডার টোন অর্থাৎ একেবারেই ফর্সা স্কিন কালারের যারা, তারা পিংক (pink)/সিলভার (silver) কালারের হাইলাইটার ব্যবহার করবেন। নিউট্রাল (neutral) আন্ডারটোনে সিলভার/ শ্যাম্পেইন কালার ব্যাবহার করা যেতে পারে।

হাইলাইটার লং লাস্টিং করার কিছু টিপস

১. হাইলাইটার যেখানে যেখানে ব্যবহার করবেন সেখানে আগে ভ্যাসলিন ইউজ করে নিন তার উপর হাইলাইটার অ্যাপ্লাই করুন এতে করে হাইলাইটার সরে যাবে না এবং সারাদিন গ্লোয়িং থাকবে।

২. প্রায়ই মেকআপের শেষে সেটিং স্প্রে ব্যবহার করার পর হাইলাইটারের গ্লো কমে যায়, তাই সেটিং স্প্রে দেওয়ার পরে পুনরায় আরেকবার হাইলাইটার অ্যাপ্লাই করে নিন।

সুন্দর একটি মেকওভারের জন্য হাইলাইটার খুবই জরুরি। এই ছিলো হাইলাইটার ব্যবহারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। হাইলাইটার ব্যবহারের এই দিকগুলো মাথায় রাখলে আপনার মেকআপ লুকটি হবে একদম পারফেক্ট।

ছবি- সংগৃহীত: সাজগোজ; ইমেজেসবাজার.কম

The post আপনার স্কিন মেকআপে হাইলাইটার সঠিকভাবে ব্যবহার করছেন কি? appeared first on Shajgoj.

গ্রুমি প্রফেশনাল মেকআপ ব্রাশ সেট |কোনটির কেমন ব্যবহার?

$
0
0

ইউটিউবে বা সোশ্যাল মিডিয়াতে মেকআপ টিউটোরিয়াল দেখছেন আর ভাবছেন কি সুন্দর ফ্ললেস এবং স্মুদ ফিনিশিং। আপনিও প্রতিটা স্টেপ ফলো করে স্কিন টোনের সাথে ম্যাচ করে ভালো ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট লাগাচ্ছেন কিন্তু তারপরও আপনার মেকআপে কোথায় যেন সেই ফ্ললেস ভাবটা আসছে না বা নামকরা শ্যাডো প্যালেট দিয়েও যেন আই মেকআপটা মনের মতো হচ্ছে না। বিগেনার অবস্থায় এই সমস্যাগুলো ফেইস করছেন কি? খেয়াল করলে দেখবেন যে মেকআপ টিউটোরিয়ালে প্রফেশনালরা আই বা বেইজ মেকআপে বিভিন্ন টুলস ইউজ করছেন এবং পারফেক্ট মেকআপের জন্য কোন ব্রাশ কিভাবে কাজ করে সেটা প্রতিটা স্টেপে দেখিয়ে দিচ্ছেন। ধরুন, প্রিমিয়াম কোয়ালিটির মধ্যে অ্যাসেনশিয়াল ব্রাশগুলো যদি একটা আকর্ষণীয় ব্যাগে আপনি পেয়ে যান তাহলে কেমন হয়? মাস্ট হেভ একটা মেকআপ ব্রাশ সেট আর মেকআপ ব্রাশ ক্লিনার নিয়ে আমার পারসোনাল এক্সপেরিয়েন্স আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। যেই প্রোডাক্ট-টি নিয়ে আজ কথা বলবো সেটি হচ্ছে গ্রুমি প্রফেশনাল মেকআপ ব্রাশ সেট। বিগেনারদের জন্যও এটা পারফেক্ট কারণ এতে ৭টি বেসিক মেকআপ ব্রাশ আছে, ২টি ফেইসের জন্য এবং বাকি ৫টি আই মেকআপের জন্য।     

গ্রুমি প্রফেশনাল মেকআপ ব্রাশ সেট পরিচিতি 

এই ব্রাশ সেটটিতে মোট ৭টি ব্রাশ রয়েছে। চলুন জেনে নেই কি ধরনের ব্রাশ রয়েছে গ্রুমি প্রফেশনাল মেকআপ ব্রাশ সেটটিতে।

১) ফ্ল্যাট ফাউন্ডেশন ব্রাশ 

ফ্ল্যাট ফাউন্ডেশন ব্রাশ - shajgoj.com

ট্র্যাডিশনাল ফাউন্ডেশন ব্রাশ যেটা অনেক আগে থেকে মেকআপ এক্সপার্টরা ব্যবহার করে আসছেন এবং এখনও এটা সমানভাবে জনপ্রিয়। এটি দিয়ে আপনি ফেইসে সহজেই ক্রিম ফরমুলেটেড ফাউন্ডেশন (Cream Formulated Foundation) বা লিকুইড ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাই করতে পারবেন। ব্রাশের সঠিক ব্যবহার আপনাকে ফ্ললেস, এয়ার-ব্রাশড লুক দিবে। তাই, স্মুদ বেইজ মেকআপের জন্য এটা অ্যাসেনশিয়াল একটি ব্রাশ।       

২) পাউডার ব্রাশ 

পাউডার ব্রাশ - shajgoj.com

এটা দিয়ে আপনি আন্ডার আই এরিয়াতে লুজ পাউডার লাগিয়ে নিতে পারবেন যাতে আই মেকআপের সময় শ্যাডোর ডাস্ট আপনার বেইজ মেকআপ নষ্ট না করতে পারে, পরে অতিরিক্ত পাউডার ঝেড়ে নিতে পারবেন। এটি ব্যবহার করে আপনি পছন্দমতো ফেইস পাউডার বা লুজ পাউডার দিয়ে মেকআপ সেট করে নিতে পারবেন। 

৩) স্মল কন্সিলার ব্রাশ 

স্মল কন্সিলার ব্রাশ - shajgoj.com

এই ব্রাশটি দিয়ে আপনি আইলিডে আর আন্ডার আই এরিয়ায় ডার্ক সার্কেল হাইডের জন্য এবং আইব্রো ডিফাইনের (Eyebrow Define) জন্য কনসিলার অ্যাপ্লাই করে নিতে পারবেন। এই ব্রাশের সাহায্যে সামান্য কনসিলার নিয়ে মুখে ব্রণের দাগ, পিগমেন্টেশন (Pigmentation) কিংবা ইম্পারফেকশন ঢেকে নিতে পারবেন সহজেই। অনেক সময় আইলাইনার কিংবা লিপস্টিক দিতে গেলে ছড়িয়ে যায়, স্মল কনসিলার ব্রাশ দিয়ে এটা ফিক্স করে নিলেই আপনার প্রবলেম সল্ভড।

৪) স্মল ব্লেন্ডিং ব্রাশ   

স্মল ব্লেন্ডিং ব্রাশ - shajgoj.com

পারফেক্ট আই মেকআপের জন্য এই ব্লেন্ডিং ব্রাশটা বেস্ট, কারণ এটা দিয়ে আপনি কাট ক্রিস আই লুকে ক্রিস ডিফাইন করতে পারবেন কিংবা আউটার কর্নার স্মাজ করে স্মোকি ভাব আনতে পারবেন। আই মেকআপে এখন বেশ বৈচিত্র্য দেখা যায়, যেমন বিভিন্ন ভাইব্রেন্ট কালারের (Vibrant color) ব্যবহার, সফট গ্ল্যাম লুক, ড্রামাটিক লুক আরও কত কি! স্মল ব্লেন্ডিং ব্রাশ দিয়ে সহজেই আপনি বিভিন্ন আই লুক ক্রিয়েট করতে পারবেন।

৫) ফ্ল্যাট আইশ্যাডো ব্রাশ

ফ্ল্যাট আইশ্যাডো ব্রাশ - shajgoj.com

নরমালি আই শ্যাডো অ্যাপ্লাই করতে পারবেন এই ব্রাশের সাহায্যে। হাফ কাট ক্রিসের জন্য আইলিডে কনসিলারও লাগিয়ে নিতে পারেন এটি ব্যবহার করে। আইশ্যাডোর ব্যবহার এখন আর পার্টি মেকআপে সীমাবদ্ধ নেই। অনেকে রেগ্যুলার বেসিসে হালকা  আর ন্যাচারাল কালারের শ্যাডো ইউজ করে। এই ব্রাশটাকে আই মেকআপের বেসিক একটা টুল বলা যায়। 

৬) স্মল আইশ্যাডো ব্রাশ 

স্মল আইশ্যাডো ব্রাশ - shajgoj.com

ক্রিসে বা আইলিডে গ্লিটার আইশ্যাডো লাগানোর জন্য স্মল আইশ্যাডো ব্রাশ ব্যবহার করা হয়। চোখের নিচের পাতায় আইশ্যাডো স্মাজ করার জন্যও বেশ উপকারী টুল এটা। ন্যুড বা হোয়াইট কাজল ব্যবহার করলে লোয়ার লাইনে ব্ল্যাক, ব্রাউনিশ বা ভাইব্রেন্ট কালারের আইশ্যাডো অ্যাপ্লাই করে গ্ল্যামারাস লুক ক্রিয়েট করা হয়, সেক্ষেত্রে স্মল ব্রাশ দিয়ে ব্লেন্ড করে নেয়াটা সুবিধাজনক। 

৭) অ্যাঙ্গেলড আইব্রো ব্রাশ   

অ্যাঙ্গেলড আইব্রো ব্রাশ - shajgoj.com

খুব সহজেই আইব্রো পাউডার কিংবা ব্রো পমেড ব্যবহার করে আইব্রো ড্র করে নিতে পারবেন অ্যাঙ্গেলড এই ব্রাশ দিয়ে। প্রতিদিন বাইরে যাওয়ার সময় আমরা আইব্রোটা ঠিকঠাক করতে অনেকটা সময় নষ্ট করে ফেলি। অ্যাঙ্গেলড আই ব্রো ব্রাশ দিয়ে চট জলদি আপনি ব্রো ড্র করে নিতে পারেন। একবার ব্যবহার করেই দেখুন, এটা আপনার রেগ্যুলার ব্যবহারের প্রোডাক্টের একটি হয়ে যাবে।

গ্রুমি প্রফেশনাল মেকআপ ব্রাশ সেট সাজেস্ট করার কারণ 

পারসোনালি এই প্রফেশনাল মেকআপ ব্রাশ সেটের যে জিনিসগুলো আমার ভালো লেগেছে সেগুলো শেয়ার করছি। 

  • গুড কোয়ালিটির একটা লেদার ব্যাগ আর ভেলভেট ইনার কভারিং এই মেকআপ ব্রাশ সেটকে একটা প্রিমিয়াম লুক দিয়েছে।
  • ট্রাভেল ফ্রেন্ডলি, ইজি টু হ্যান্ডেল, মেকআপের বেসিক সাতটি ব্রাশ একসাথে ক্যারি করা যায়।
  • লাইট ওয়েট, ব্যাগটার মেসারমেন্ট ২১× ৯.৮ সেমি (হাইট×ওয়াইড)।
  • এর উডেন হ্যান্ডলটি সহজে নষ্ট হয় না, ওয়াটারপ্রুফ আর কমফোর্টেবল। 

বাজারের অন্য মেকআপ ব্রাশ থেকে কেন এটা আলাদা? 

গ্রুমি প্রফেশনাল মেকআপ ব্রাশ সেট - shajgoj.com

অনেক রকম মেকআপ ব্রাশ সেট এখন বাজারে পাওয়া যায় কিন্তু গ্রুমি প্রফেশনাল মেকআপ ব্রাশ সেটের বিশেষত্ব কি? এই প্রশ্নটা মনে আসছে তো? লোকাল ব্রাশের থেকে এর মূল পার্থক্য হচ্ছে এর ফাইন ফাইবার হেয়ার (Fine Fiber Hair)।  প্রতিটি ব্রাশের ব্রাসেলস সফট আর স্মুদ, সহজে পড়ে যাবে না আর হেয়ার টেক্সচার আপনি হাতে নিয়েই বুঝতে পারবেন। হাই কোয়ালিটির ব্রিসেলে গ্রিপিং পাওয়ার বেশি থাকে, মিনিমাম অ্যামাউন্ট মেকআপ প্রোডাক্ট দিয়ে সুন্দর করে বেইজ মেকআপ করে নিতে পারবেন। বেসিক কয়েকটি ব্রাশের সঠিক ব্যবহার জানলেই ফ্ললেস মেকআপ লুক আপনিও ক্রিয়েট করতে পারেন।    

অনেককেই বলতে শুনি, ফাউন্ডেশন বা কনসিলার লাগানোর পর নাকি ভেসে ভেসে থাকে, ঠিকমতো আই মেকআপ ব্লেন্ড হয়না, ক্রিস ঠিকমতো ডিফাইন হয়না, পারফেক্টলি ব্রো ড্র করতে যেয়ে সময় বেশি লাগছে আরও কত কি! এই অভিযোগগুলো যারা করছেন, তারা এই প্রফেশনাল মেকআপ ব্রাশ সেট ব্যবহার করে দেখুন।

কিভাবে মেকআপ ব্রাশ ক্লিনার দিয়ে ব্রাশের যত্ন নেব?  

মেকআপ ব্রাশের সাজেশন তো পেলেন। সেটা দিয়ে পারফেক্ট মেকওভার করে বাইরে গেলেন, বাইরে থেকে এসে খুব যত্ন করে নিজের মুখটা ক্লিনও করলেন। কিন্তু বাইরে যাওয়ার আগে যে মেকআপ ব্রাশগুলো ব্যবহার করেছিলেন, সেগুলো প্রোপারলি ক্লিন করছেন তো? এটা ঠিক যে নিয়মিত মেকআপ ব্রাশ পরিষ্কার না করলে, ব্রাশে লেগে থাকা প্রোডাক্ট থেকে ফাঙ্গাস (Fungus) আর ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি হয়। সেই ব্রাশ বারবার ব্যবহার করলে স্কিনে দেখা দেয় ইচিং, পিম্পল, র‍্যাশ আরও কত সমস্যা।  

মেকআপ ব্রাশ ক্লিনার এবং ব্রাশ পরিষ্কার করার উপায়  

মেকআপ ব্রাশ ক্লিন  করার উপায় - shajgoj.com

 

 

 

 

ছোট সাইজের, সিলিকন বেইজড মেকআপ ব্রাশ ক্লিনার যেটা দিয়ে যেকোন মেকআপ ব্রাশ ক্লিন করা যাবে। ব্রাশ এগে খাঁজকাটা কিছু অংশ থাকে, যা মেকআপ ব্রাশ থেকে খুব সহজেই ময়লা দূর করতে সাহায্য করে। এটি ব্যবহার করাও খুব সিম্পল। স্টেপস গুলো জেনে নিন।  

  • একটা ব্রাশ নিয়ে, ব্রাশের ব্রিসেলগুলো পানিতে ভিজিয়ে নিতে হবে। 
  • তারপর ব্রাশের ব্রিসলগুলো একবার অলিভ অয়েলে হালকা চুবিয়ে এরপর হ্যান্ড ওয়াশে চুবিয়ে নিতে হবে। অথবা একটা মাইল্ড শ্যাম্পু বা ফেইস ক্লেনজার ব্যবহার করতে পারবেন। খেয়াল রাখবেন, ব্রাশের যে অংশ হ্যান্ডেলের সাথে যুক্ত হয়েছে, সেই অংশ যেন পানিতে না ভেজে। শুধু ব্রিসল ক্লিন করবেন।      
  • এবার ব্রাশ এগের খাঁজকাটা অংশের উপর ঘষে নিতে হবে কিছুক্ষণ। দেখবেন ফাউন্ডেশন, ক্রিম বা আইশ্যাডো ফেনার সাথে বের হয়ে আসছে। পরিষ্কার করার সময় বেশি ঘষাঘষি করা যাবে না, এতে ব্রিসেলসগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে। 
  • তারপর পানি দিয়ে ব্রাশের ব্রিসলগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিন।   
  • এবার ব্রাশগুলো আলো বাতাস যুক্ত স্থানে রাখুন। পুরোপুরিভাবে শুকানোর আগে ব্যবহার না করাই ভালো। 

ব্যস, এটাকে আপনার রুটিনে যোগ করে নিন। আপনার ত্বকের মতো মেকআপ ব্রাশগুলোও এবার যত্নে থাকবে। প্রতিটা ক্ষেত্রেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার চেষ্টা করুন এবং সুস্থ থাকুন।    

এখন প্রশ্ন হলো কোথায় পাবো অরিজিনাল প্রোডাক্ট? শপ.সাজগোজে আছে গ্রুমি প্রফেশনাল মেকআপ ব্রাশ সেট এর এই কালেকশন আর মেকআপ ব্রাশ ক্লিনার। আপনি অনলাইনেও কিনতে পারেন শপ.সাজগোজ.কম থেকে। তাছাড়া, সাজগোজের দুটি ফিজিক্যাল শপে নিজে গিয়েও কিনতে পারেন, যা যমুনা ফিউচার পার্ক সীমান্ত স্কয়ারে অবস্থিত। আর রিভিউ দিতে কিন্তু ভুলবেন না।     

 

ছবি- সংগৃহীত: সাজগোজ;কংগা.কম

The post গ্রুমি প্রফেশনাল মেকআপ ব্রাশ সেট | কোনটির কেমন ব্যবহার? appeared first on Shajgoj.

ঝটপট অফিস লুক |কম সময়ে কিভাবে রেডি হবেন?

$
0
0

সকাল সকাল হাতে যখন একেবারেই সময় নেই, কিন্তু অফিসের জন্য রেডি হতে হবে এমন সময় কি করবেন তা নিয়ে চিন্তিত? তাহলে চিন্তার কিছুই নেই। আজ এফা আপনাদের দেখাবে কিভাবে পাবেন ঝটপট অফিস লুক। দেখে নিন তবে মেকআপ কিভাবে করবেন কম সময়ে?

ভিডিও টিউটোরিয়াল – সাজগোজ ডট কম

The post ঝটপট অফিস লুক | কম সময়ে কিভাবে রেডি হবেন? appeared first on Shajgoj.

অফিসের কাজ দ্রুততার সাথে করার ৭টি উপায় 

$
0
0

একসাথে অনেক কিছুতে মনোযোগ দিতে গিয়ে প্রায়ই আমরা সময়মতো অফিসের কাজ শেষ করতে পারি না। প্রত্যকটা মানুষের কাজের একটা নির্দিষ্ট ধরন আছে, একেক রকম টাইমিং আছে। তাই এটাই স্বাভাবিক যে একেকজনের কাজ একেক সময় শেষ হবে। কিন্তু কর্মজীবনে আমাদের সবাই সেই ছাড় পায় না। অনেকের সব কিছুই এখনি চাই, এই মুহূর্তে চাই। অনেক সময় মনে হয়- “বাকি কলিগরা কিভাবে ফটাফট কাজ শেষ করে ফেলছে! ওদের কাছে এমন কী জাদুমন্ত্র আছে যে ওরা দুই ঘণ্টার কাজ বিশ মিনিটে শেষ করে ফেলে? আমি কি তাহলে ওদের চেয়ে কাজে খারাপ?” আসলে ব্যাপারটা মোটেও সেরকম না। আপনার কাজ করার ধরনে কিছু পরিবর্তন আনলে আপনিও পারবেন ঝটপট অফিসের কাজ শেষ করতে। এই ৭টি উপায়ে আপনি বাড়িয়ে ফেলতে পারেন আপনার প্রোডাক্টিভিটি! চলুন তবে উপায়গুলো জেনে নেই!

অফিসের কাজ দ্রুততার সাথে করার ৭টি উপায় 

১) কাজের প্রাধান্য অনুসারে লিস্ট করুন

অফিসের কাজ দ্রুত করতে কাজের লিস্ট - shajgoj.com

একজন ভালো কর্মচারীর সবচেয়ে বড় গুনের একটা হল প্রায়োরিটি সেট করতে পারা। আপনাকে বুঝতে হবে কোন কাজটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেটা আগে ধরা। অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ কাজটা জটিল ও সময় সাপেক্ষ হতে পারে। তখন আপনাকে বুঝে নিতে হবে কাজটিতে যথেষ্ট সময় দেওয়ার জন্য আপনি আগে সেটা করবেন নাকি ছোট খাটো কাজগুলো আগে সেরে নিবেন। যদি কোনভাবেই গুরুত্বপূর্ণ কাজটির জন্য বাড়তি সময় ম্যানেজ না করা যায়, তাহলে আগে সেটা শেষ করে বাকিগুলো ধরুন। প্রতিদিন অফিসে ঢুকেই আপনাকে টু ডু লিস্টটা প্রায়োরিটি অনুসারে সাজাতে হবে।

২) নিজের কাজের অভ্যাস বুঝুন

একেক মানুষ একেকভাবে কাজ করে। কেউ কানে হেডফোন দিয়ে গান শুনলে ভালো কাজ করতে পারে, আবার কেউ গান শুনলে ফোকাস হারিয়ে ফেলে। আপনি খেয়াল করে দেখুন আপনি কিভাবে কাজ করলে আপনার মনোযোগ দিতে সুবিধা হয়। যা যা কাজের সময় আপনার মনোযোগে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়, সে সব কিছু দূরে সরিয়ে রাখুন। আপনার ডেস্ক এমনভাবে সাজিয়ে রাখুন যেন আপনার মনোযোগ দিতে সুবিধা হয়।

৩) বড় কাজগুলো ছোট ছোট অংশে ভাগ করুন

আমাদের কাজে যখন বড় কোন কাজ আসে, যেটা আমাদের কাছে জটিল মনে হয়, তখন আমনা জেনে বা নিজের অজান্তে সেই কাজটা পিছাতে থাকি। কাজটা থেকে সারাদিন ধরে পালাতে থাকি। কিন্তু কাজটা আসলে ভয় না পেয়ে আমাদের উচিত বড় কাজকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে নেওয়া। ধরুন আপনাকে সারা বছরের একটা কাজের ক্যালেন্ডার বানাতে হবে। আপনি সেটা ছোট অনেকগুলো পার্টে ভেঙ্গে সেগুলোতে ফোকাস করুন, একবারে পুরো ক্যালেন্ডারের কোথা ভাবলে সব তালগোল পাকিয়ে যাবে। আগে ভাবুন আপনি প্রথম সপ্তাহের জন্য কী করবেন। একবার কাজের ছোট কোন অংশে ঢুকে গেলে বাকিটা আপনা আপনিই আপনার মধ্যে চলে আসবে। শুরু করাটাই সবচেয়ে বড় স্টেপ।

৪) ব্রেক নির্ধারণ করুন

অফিসের কাজ দ্রুত করতে মাঝে ব্রেক - shajgoj.com

টানা অনেক্ষণ কাজ করলে কাজের গুনগত মান খারাপ হয়ে যায়, আবার আমরা তাড়াতাড়ি ক্লান্তও হয়ে পড়ি। সেজন্য আমাদের একটু পর পর ছোট বিরতির প্রয়োজন। যেমন টানা দুই ঘন্টা কাজ না করে আপনি নিজেকে বলবেন আমি টানা বিশ মিনিট কাজ করবো, তারপর ৫ মিনিটের একটা ব্রেক নিব। তারপর আবার ২০ মিনিট, আবার ব্রেক। এভাবে যতক্ষণ কাজটা করবেন, ততক্ষণ আপনি কাজটায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে পারবেন।

৫) কিছু শর্ট কাট শিখে নিন

অনেক সময় আমাদের মস্তিষ্ক যত তাড়াতাড়ি কোন ভাবনা ভাবে, আমাদের হাত ততো তাড়াতাড়ি সেটা লিখে নিতে পারে না। তাই নিজের টাইপিং স্পিড বাড়ান। কম্পিউটারের কিছু কমন শর্ট কাট শিখে নিন। এতে আপনার অনেক সময় বাঁচবে। এক কাজ বারবার না করে কিভাবে এই সময়টা বাঁচানো যায়, তার জন্য কী-বোর্ডের শর্ট কাট অপশনগুলোর সাথে নিজেকে অভ্যস্ত করে ফেলুন।

৬) অন্যান্য মানুষদের সাথে কাজ করুন

অফিসের কাজ দ্রুত করতে টিম ওয়ার্ক - shajgoj.com

অনেক সময় আমরা একা একা কাজ করলে বেখেয়াল হয়ে যাই। দিবা স্বপ্ন দেখতে থাকি, কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় হারিয়ে যাই। কিন্তু অন্যান্য কলিগদের মাঝে কাজ করলে তাদের কাজ করতে দেখে আপনারও কাজের মুড আসবে। অন্যদের সামনে আপনি লজ্জায় পড়ে হলেও এদিক ওদিক মনোযোগ দিতে পারবেন না। সেজন্য চেষ্টা করুন আপনার প্রোডাক্টিভ কলিগদের পাশে বসে কাজ করতে।

৭) কাজ শুরুর আগে নিজেকে সময় দিন

যেকোন কাজ শুরু করার জন্য আমাদের একটা মুডে যেতে হয়। যতক্ষণ কাজের মুড আসে না, ততক্ষণ আমরা খুব সহজেই বেখেয়াল হয়ে পড়ি। তাই কাজ শুরুর আগে শান্ত হয়ে বসে নিজেকে কিছুক্ষণ সময় দেওয়া উচিত। মাত্র অল্প কয় মিনিট নিজেকে সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলুন। তারপর মনে মনে কাজটা নিয়ে ভাবুন। এতে আপনার মনোযোগ অনেক অংশে বেড়ে যাবে।

তবে অফিসের কাজের চাপ না নিয়ে এবার নিজেকে তৈরি করুন নতুনভাবে। আশা করি আপনার অফিসের কাজ হবে একইসাথে দ্রুততার সাথে ও সার্থকভাবেও!

ছবি- সংগৃহীত: সাজগোজ; ইমেজেসবাজার.কম

The post অফিসের কাজ দ্রুততার সাথে করার ৭টি উপায়  appeared first on Shajgoj.

ওজন কমাতে যে ১০টি কাজ কখনোই করবেন না!

$
0
0

ওজন বেড়ে যাওয়া আজকাল প্রায় প্রত্যেকের জীবনেই একটি বিরাট সমস্যা। নিজেকে সুন্দর পরিপাটি রাখতে সবাই সুন্দর স্লিম স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে চায়। এমনি অনেক রোগ বালাই থেকেই মুক্ত থাকতে ডাক্তার-রাও এখন ওজন কম রাখার পরামর্শ দেন। কিন্তু ওজন কমাতে গিয়ে আমাদের কিছু ভুল ধারণা রয়েছে। যেসব ভুলের কারণে অজান্তেই অনেক চেষ্টার পরও ওজন কমার পরিবর্তে ওজন বেড়ে যাচ্ছে। চলুন জেনে নেই, ওজন কমাতে যে ১০টি কাজ কখনোই করা যাবে না।

ওজন কমাতে যে ১০টি কাজ করবেন না 

১. খাবারে ক্যালোরির পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া 

একজন স্বাভাবিক মানুষের খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন নূন্যতম ১২০০ ক্যালোরি পূরণ করতে হয়। তাই ওজন কমাতে খাদ্য তালিকায় কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, চর্বি জাতীর খাবার অবশ্যই রাখতে হবে।

ওজন কমাতে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, চর্বি জাতীর খাবার - shajgoj.com

যেসব খাবার ওজন কমাতে সাহায্য করে 

জলপাইয়ের তেল, সূর্যমূখীর তেল, এভোক্যাডো, বাদাম, আটার রুটির পরিবর্তে গমের রুটি, হোল হুইল ব্রেড (Whole Wheel Bread), বার্লি (Barley), পরিমাণমতো মাংস, মাছ, তেল ছাড়া পপকর্ন ইত্যাদি খাবার কখনোই আপানার ওজন বাড়াবে না।

২. পুরো খাবার গ্রহণ না করা    

পেটে ক্ষুধা রেখে, খাবার গ্রহণ না করা কখনই উচিত না। এতে শারীরিক দুর্বলতা সৃষ্টি হতে পারে। স্বাস্থ্যকর খাবার তিনবেলা খেতে হবে এবং অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে।

৩. খাবার এড়িয়ে যাওয়া   

ওজন কমাতে তিন বেলা খাবার খেতে হবে - shajgoj.com

ওজন কমানোর জন্য অনেকেই সকালের নাস্তা বা রাতের খাবার এড়িয়ে যান,  এটি একটি ভুল ধারণা। সকালের খাবার না খেলে ওজন বৃদ্ধি পায় এবং খালি পেটে গ্যাস্ট্রিক (Gastric) এবং অ্যাসিডিটির (Acidity) মতো রোগ দেখা দিতে পারে। তিন বেলা খাবার না খাওয়া ওজন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।

৪. ব্যায়ামের পর অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ    

ব্যায়ামের পর স্বভাবতই বেশি ক্ষুধা লাগে, কিন্তু ব্যায়ামের পর কখনোই ফাস্টফুড জাতীর খাবার গ্রহণ করা যাবে না বা ব্যায়াম করেছেন বলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া যাবে না। এটি আপনার ওজন বৃদ্ধি করে।

৫. অতিরিক্ত ব্যায়াম  

ওজন কমাতে ভুল অতিরিক্ত ব্যায়াম - shajggoj.com

অনেকেই দ্রুত ওজন কমানোর জন্য অতিরিক্ত ব্যায়াম করেন, এটি ঠিক না। অতিরিক্ত ব্যায়ামের ফলে আপনার মাংসপেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এবং আপনি অসুস্থ হতে পারেন। ব্যায়ামের মাত্রা হতে হবে সহনীয় এবং ধীরে ধীরে এর মাত্রা বাড়াতে হবে।

৬. রাতের খাবার খেয়েই ঘুমিয়ে পরা 

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ৩-৪ ঘন্টা আগে রাতের খাবার খেতে হবে, যাতে খাবারটি হজম হয়ে যায়। ওজন বৃদ্ধিতে একটি বড় কারণ রাতের খাবার হজম না হওয়া। অবশ্যই রাতে খাবারের পর কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করবেন তা না হলে খাবার হজম হতে সময় নিবে।

৭. অনিয়মিত ঘুম

ওজন বাড়ার কারণ অনিয়মিত ঘুম - shajgoj.com

আমাদের একটি প্রচলিত ধারণা হলো ঘুমালে মানুষ মোটা হয় বা ওজন বৃদ্ধি পায়। কিন্তু অনিয়মিত ঘুম অর্থাৎ কম ঘুমানো বা বেশি ঘুমানো ওজন বৃদ্ধিতে সহায়ক। স্বাভাবিক মানুষের জন্য প্রতিদিন ৬-৮ ঘন্টা ঘুমানো আবশ্যক। তাই পর্যাপ্ত ঘুম অবশ্যই নিশ্চিত করবেন।

৮. মানসিক চাপ   

অতিরিক্ত মানসিক চাপে মানুষ বেশি খাবার গ্রহণ করে, এটি ওজন বৃদ্ধির একটি অন্যতম কারণ। মানসিক চাপে নিজেকে অন্য কোন কাজে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করুন এবং ফাস্টফুড জাতীর খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন।

মানসিক চাপ ওজন বৃদ্ধির কারণ - shajgoj.com

৯. পানি কম পান করা

পানি খাবার হজম করতে সাহায্য করে, দিনে অন্তত ১ লিটার পানি খেলে, বছরে ২ কেজি ওজন কমে যায়। পানি কম পান একেবারেই ঠিক নয়। প্রতিদিন তাই পরিমিত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

১০. ক্র্যাশ ডায়েট     

ওজন কমাতে ক্র্যাশ ডায়েট থেকে বিরত থাকা - shajgoj.com

ক্র্যাশ ডায়েটকে না বলুন। ক্র্যাশ ডায়েটে খুবই দ্রুত ওজন কমে যায় এবং এই ডায়েটে আপনার খাদ্য তালিকায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য বাদ পরে যায়। এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। খুব দ্রুত ওজন কমানোর পর, ক্র্যাশ ডায়েট ছেড়ে দিলে আবার দ্বিগুণ হারে আপনার ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।

সর্বপরি ওজন কমাতে এই ভুলগুলোর কারণে আপনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হতে পারেন। তাই এই ১০টি কাজ কখনোই করবেন না।

 

ছবি- সংগৃহীত: ইমেজেসবাজার.কম;টাইমসঅফইন্ডিয়া;নাটস.কম;শিখাডায়েট.কম

The post ওজন কমাতে যে ১০টি কাজ কখনোই করবেন না! appeared first on Shajgoj.


শীতের দিনে শুষ্ক ঠোঁটে লিপস্টিক দেয়ার পূর্ববর্তী যত্ন কেমন হবে?

$
0
0

shaআজকাল ম্যাট লিপস্টিকের যুগ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ম্যাট লিপস্টিক ঠোঁটে থাকার কারণে এমনিতেই ঠোঁট বেশ ড্রাই হয়ে যায়। আর এখনতো শীত চলে এসেছে। সকাল বেলাতেই দেখা যায় ঠোঁট বেশ টানটান হয়ে আছে। আর শুষ্ক ফেটে যাওয়া ঠোঁটে লিপস্টিক বা লিপগ্লস কোন কিছুই মানায় না। তাহলে পুরো শীতের মৌসুম জুড়ে কিভাবে শুষ্ক ঠোঁটে লিপস্টিক অ্যাপ্লাই করবেন এবার তাই জেনে নেই!

শীতের দিনে শুষ্ক ঠোঁটে লিপস্টিক অ্যাপ্লাই করার টিপস

শুষ্ক ঠোঁটে লিপস্টিক অ্যাপ্লাই করার জন্য কিছু টিপস ফলো করতে পারেন। লিপস্টিক অ্যাপ্লাই করার জন্য আপনার যা যা লাগবে-

১. এক মগ হালকা গরম পানি

২. বেবি টুথ ব্রাশ বা নরম সুতি কাপড়

৩. যেকোনো ভালো কোল্ড ক্রিম 

৪. লিপ বাম

৫. কটন বাড বা কটন বল

৬. ফাউন্ডেশন

৭. পছন্দসই লিপলাইনার এবং লিপস্টিক

যেভাবে শুষ্ক ঠোঁটে লিপস্টিক অ্যাপ্লাই করবেন

১. এক মগ গরম পানিতে টুথব্রাশ অথবা সুতি কাপড়টি ভিজিয়ে রাখুন। কখনোই নতুন টুথব্রাশ ব্যবহার করবেন না। পুরনো টুথব্রাশ ভালোভাবে পরিস্কার করে নিয়ে তবেই ব্যবহার করবেন। কাপড় ব্যবহার করলে পুরনো গামছা বা সুতি ওড়নার কাপড় ব্যবহার করতে পারেন।

শুষ্ক ঠোঁটে লিপস্টিক অ্যাপ্লাইয়ের আগে ব্রাশ দিয়ে ঘষা - shajgoj.com

২. এবার এই টুথব্রাশ বা কাপড়টি দিয়ে ঠোঁট প্রথমে ভিজিয়ে নিয়ে হালকাভাবে সার্কুলার মোশনে ম্যাসাজ করুন। এতে আস্তে আস্তে ঠোঁটের উপর জমে থাকা শুকনো চামড়া উঠে যাবে। সময় নিয়ে ম্যাসাজ করুন। ঘষাঘষি করবেন না। এতে করে পরে লিপস্টিক লাগানোর সময় ঠোঁট জ্বালা পোড়া করবে।

শুষ্ক ঠোঁটে লিপস্টিকের উপর লিপগ্লস অ্যাপ্লাই - shajgoj.com

৩. এরপরে ঠোঁট মুছে নিয়ে কোল্ড ক্রিম লাগিয়ে নিন পুরু করে। পাঁচ মিনিট রেখে কটন বল দিয়ে মুছে নিন। এবার একটা লিপ বাম লাগিয়ে নিলেই আপনার ঠোঁট লিপস্টিক লাগানোর জন্য রেডি। যেহেতু শীতে আমরা একটু ক্রিমি টেক্সচারের লিপস্টিক বা লিপ গ্লস লাগাতে পছন্দ করি, তাই লিপ গ্লস যাতে ছড়িয়ে না যায় সেজন্য লিপস্টিক লাগানোর আগে, লিপব্রাশ দিয়ে হালকা করে একটু ফাউন্ডেশন  লাগিয়ে নিন। এরপরে  ফাউন্ডেশন ঠিকভাবে বসে গেলে প্রথমে লিপ লাইনার দিয়ে ঠোঁট একে এর ভেতরে লিপস্টিক লাগিয়ে নিন। বাড়তি হিসেবে হালকা একটু গ্লস লাগাতে পারেন, তবে সেটা যদি রাতের অনুষ্ঠান হয় তবেই।

এইতো গেল লিপস্টিক দেয়ার আগে কিভাবে ঠোঁট প্রিপেয়ার করবেন সেই আলাপ, কিন্তু আপনি যদি একটু নিয়মিত যত্ন নেন,তাহলে কিন্তু আপনার ঠোঁট পুরো শীতকাল জুড়েই থাকবে নরম এবং কোমল।

শুষ্ক ঠোঁটের যত্নে কিছু স্ক্রাবার

শুষ্ক ঠোঁটকে মসৃণ ও কোমল করতে নিয়মিত স্ক্রাবার ব্যবহার করা উচিত। চলুন তবে শুষ্ক ঠোঁটের যত্নে কিছু ঘরোয়া স্ক্রাবার জেনে নেই!

১. ১/২ চা চামচ দারচিনি গুঁড়া, হাফ টেবিল চামচ মধু এবং সামান্য অলিভ অয়েল মিশিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে স্ক্রাব করার মতো করে ম্যাসাজ করতে থাকুন। এরপরে পাতলা সুতি কাপড় গরম পানিতে ভিজিয়ে ঠোঁট মুছে ফেলুন। সাথে সাথে লিপ বাম লাগিয়ে নিন!

২. এক টেবিল চামচ মধু, এক টেবিল চামচ ব্রাউন সুগার, দুই তিন ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অ্যাসেনশিয়াল অয়েল একসাথে ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে ঠোঁটে স্ক্রাব করুন। এরপরে উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ঠোঁট ধুয়ে ফেলুন।

শুষ্ক ঠোঁটের যত্নে মধু ও কফির স্ক্রাব - shajgoj.com

৩. এক টেবিল চামচ কফির গুঁড়োর সাথে মিশিয়ে নিন এক টেবিল চামচ মধু। হালকা করে আঙ্গুলের সাহায্যে পুরো ঠোঁটে ম্যাসাজ করে নিন। এরপরে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৪. একটি গোলাপের পাপড়ি ভালো করে ধুয়ে সামান্য দুধ মিশিয়ে বেটে পেস্টের মতো বানিয়ে নিন। এরপরে ঠোঁটে পুরু করে লাগিয়ে কিছুক্ষন অপেক্ষা করুন। একটু শুকিয়ে আসলে আবার দুধ দিয়ে ভিজিয়ে নিয়ে ঘষে ঘষে তুলে ফেলুন। এটা নিয়মিত করলে ঠোঁট নরমও হবে আবার গোলাপিও হবে।

শুষ্ক ঠোঁটের যত্নে দুধ ও গোলাপের পাপড়ির স্ক্রাব - shajgoj.com

৫. এক টেবিল চামচ মধু, এক টেবিল চামচ নারকেল তেল, দুই টেবিল চামচ ব্রাউন সুগার, হাফ টেবিল চামচ উষ্ণ গরম পানি। প্রথমে তেল আর মধু মিশিয়ে নিন। এরপরে মেশান ব্রাউন সুগার এবং সবশেষে পানি। হালকা হাতে কয়েক মিনিট ধরে ঘষে নিন পুরো ঠোঁটে। এরপর উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপরে লিপ বাম লাগিয়ে নেবেন।

৬. দুই টেবিল চামচ কমলার খোসা গুঁড়ো, দুই টেবিল চামচ ব্রাউন সুগার আর দশ থেকে বারো ফোঁটা বাদাম তেল। একদম মিহি কমলার গুঁড়োর সাথে ব্রাউন সুগার এবং তেল মিশিয়ে ঠোঁটে সার্কুলার মোশনে ম্যাসাজ করতে করতে স্ক্রাব করুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন করতে পারলে, ঠোঁট কোমলতো হবেই পাশাপাশি ঠোঁটের কালচেভাবও দূর হয়ে যাবে।

শুষ্ক ঠোঁটের যত্নে ভ্যাসলিন ও চিনির স্ক্রাব - shajgoj.com

৭. এক চা চামচ ভ্যাসলিন বা ভালো কোন পেট্রোলিয়াম জেলির সাথে এক টেবিল চামচ চিনি মিশিয়ে নিন ভালোভাবে। এরপরে এতে মেশান এক টেবিল চামচ লেবুর রস। এরপরে ঠোঁটে ম্যাসাজ করুন এক মিনিট ধরে। তারপর ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটিও ঠোঁট নরম করার পাশাপাশি ঠোঁটের কালচেভাব দূর করবে।

শেষ করবার আগে বলি, ওপরে যে স্ক্রাবগুলোর কথা বলা হল, সেগুলো সবসময় রাতে করাই ভালো। স্ক্রাব দিয়ে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে, উষ্ণ গরম পানিতে ঠোঁট মুছে নিয়ে ভালো ব্র্যান্ডের একটা লিপ বাম লাগিয়ে নেবেন। আর সপ্তাহে দুই বারের বেশি স্ক্রাবিং করবেন না। এবং, রোজ সকালে লিপস্টিক লাগানোর আগে কোন একটা লিপবাম অবশ্যই লাগাবেন। আর রাতে ঘুমুবার আগে ভ্যাসলিন লাগাতে ভুলবেন না। এবার তাহলে শুষ্ক ঠোঁটে আর নির্জীব রঙ নয়, কোমল ও নরম ঠোঁটে লিপস্টিক লাগিয়ে ঠোঁট হবে আরও আকর্ষণীয়!

আপনি যদি অথেনটিক লিপস্টিক কোথায় পাবেন তা নিয়ে চিন্তায় থাকেন, তাহলে শপ.সাজগোজ.কম হতে পারে আপনার অনলাইনের নির্ভরযোগ্য স্থান। আর নিজে গিয়ে কিনতে চাইলে সাজগোজের ফিজিক্যাল শপে চলে যেতে পারেন, যার একটি যমুনা ফিউচার পার্ক ও অপরটি সীমান্ত স্কয়ারে অবস্থিত। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন!

ছবি- সংগৃহীত: সাজগোজ; ইমেজেসবাজার.কম; ডার্ক লিপস টিপস.কম

The post শীতের দিনে শুষ্ক ঠোঁটে লিপস্টিক দেয়ার পূর্ববর্তী যত্ন কেমন হবে? appeared first on Shajgoj.

মেকআপ ছাড়া পরিপাটি থাকার ৭টি টিপস

$
0
0

এখন এমন একটা সময় চলে এসেছে যে ঘরের বাইরে শপিং মলে, অফিসে, এমনকি জিমেও সাজগোজ ছাড়া মেয়ে দেখাই যায় না। তার মাঝেও অনেকেই আছেন যারা একটুও মেকআপ করতে পছন্দ করেন না। মেকআপ মানেই সৌন্দর্য বর্ধন না। কারণ ন্যাচারাল সৌন্দর্যের কোন তুলনা হয় না। তাছাড়া আমাদের স্কিনের কিছুটা ব্রেকেরও প্রয়োজন আছে। তবুও চারিদিক একদম টিপটপ থাকা মেয়েদের পাশে মেকআপ ছাড়া হয়তো আপনাকে কিছুটা মলিন লাগতে পারে। নিচের টিপস ফলো করলে আপনি মেকআপ ছাড়াই আরও সুন্দর হয়ে থাকতে পারবেন। চলুন তবে দেখে নেই মেকআপ ছাড়া পরিপাটি থাকার ৭টি টিপস!

মেকআপ ছাড়া পরিপাটি থাকা যায় যেভাবে

১) উজ্জ্বল রঙের কাপড়

মেকআপ না করেও আপনাকে মনে হবে আপনি নিজেকে যত্ন করে গুছিয়ে রেখেছেন, যদি আপনি উজ্জ্বল রঙের জামা পরেন। ব্রাইট হলুদ, গোলাপি, লাল, আকাশী, হালকা বেগুনী ইত্যাদি রঙের জামা পরলে আপনি আত্মবিশ্বাস অনুভব করবেন। বিশেষ করে লাল রঙের জামা আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়িয়ে দেয়। সাজগোজ করেন নি বলে সুন্দর জামাটা পরবেন না, এমন কোন কথা নেই। আলমারি থেকে আপনার পছন্দের সুন্দর কোন উজ্জ্বল জামা পড়ে ফেলুন, তাহলে মেকআপের প্রয়োজন হবে না।

২) চুলের যত্ন নিন

আমাদের একটা অভ্যাস হলো মেকআপ না করলে আমরা আর কোন কিছুরই খেয়াল রাখি না। চুলটা এলোমেলো করে বাঁধি, গুছিয়ে থাকার চেষ্টাও করি না। কিন্তু ন্যাচারাল লুকের সবচেয়ে বড় এলিমেন্ট হলো খুব সুন্দর কোন হেয়ার স্টাইল। দেখে যেন মনে হয় আপনি চুলের পেছনে কিছুটা হলেও সময় দিয়েছেন। সারাদিনের জন্য বের হলে কিছুক্ষণ পর পর খেয়াল রাখা উচিত চুলটা এলোমেলো হয়ে গেছে নাকি। চুল গোছানো না থাকলে আপনি নিজেও আত্মবিশ্বাস পাবেন না, নিজের কাছেই নিজেকে সুন্দর লাগবে না। এছাড়া পরিপাটি চুল থাকলে বাইরের মানুষ আপনাকে গোছানো ভাববে। চুল সামলে রাখতে যদি আপনার খুব ঝামেলা মনে হয় তাহলে চুল কিছুটা ছোট করে সুন্দর কোন হেয়ার কাট দিয়ে রাখুন। গোসলের পর হালকা ব্লো ড্রাই করে নিন, তাহলে চুল সেট হয়ে থাকবে।

৩) এক্সেসরিজ পড়ুন

ন্যাচারাল লুকের জন্য আপনি জায়গার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন এক্সেসরিজ পরে আপনার লুকে কিছুটা “গ্ল্যাম” যোগ করতে পারেন। আর কিছুই না করলেন, এক জোড়া সুন্দর কানের দুল পরুন, একটা সুন্দর ব্যাগ নিন, সুন্দর একটা ঘড়ি পড়ুন। একেবারাই সাধারণভাবে গেলে কিছু যায়গায় আপনি ভীড়ের সাথে একেবারে মিশে যেতে পারেন। তাই হালকা ও ইউনিক কিছু দুল, লকেট, ঘড়ি, ব্যাগ, জুতা ইত্যাদি দিয়ে নিজের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করুন।

৪) গ্রুমড থাকুন

মেকআপ না করলেও কিছু জিনিস আমাদের “ওয়েল গ্রুমড” একটা লুক দেয়। সাধারণত মেকআপ করলে যা চোখে পরে না, খালি চেহারায় সেসব চোখে পরে। তাই নিয়মিত আইব্রাউ, আপারলিপ করে রাখা উচিত। এছাড়া কিছু পার্সোনাল হাইজিন মেইন্টেইন করা উচিত। ঘর থেকে বের হওয়ার সময় মুখ ভালোমত ফেইসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে ভালো কোন ময়েশ্চারাইজার লাগানো উচিত। এছাড়া মেকআপ করুন বা না করুন সানস্ক্রিন অবশ্যই মেখে বের হওয়া উচিত। তা না হলে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। ঘর থেকে বের হওয়ার আগে গোসল করে নিলে আপনাকে ফ্রেশ দেখাবে। ঠোঁট যেন ফেটে না থাকে সেজন্য পেট্রোলিয়াম জেলি সাথে রাখা উচিত। এছাড়া পারফিউম মেখে নেওয়া উচিত।

৫) ত্বকের যত্ন নিন

মেকআপ দিন কিংবা না দিন, ত্বকের যত্ন অবশ্যই নেওয়া উচিত। আমাদের সবারই উচিত একটা ভালো স্কিনকেয়ার রুটিন ফলো করা। প্রতিদিন দুইবেলা ভালো ফেইসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন, টোনার লাগান, সিরাম অ্যাপ্লাই করুন, আই ক্রিম মাখুন। সপ্তাহে একবার এক্সফোলিয়েট করুন, ন্যাচারাল স্ক্রাবার কিংবা দোকানের এক্সফোলিয়েটার দিয়ে। ছুটির দিনগুলোতে কোন ন্যাচারাল প্যাক মাখুন। খুব আলসেমি লাগলে অন্তুত দুধ আর লেবু মিশিয়ে মাখুন। চেহারার পাশাপাশি হাত পায়েরও যত্ন নিন। নিয়মিত হাত-পা ময়েশ্চারাইজ ও এক্সফোলিয়েট করুন। প্রতিদিন চেহারার যত্ন নিলে আপনার আর কিছুর প্রয়োজন হবে না। ন্যাচারালি আপনাকে সুন্দর লাগবে। মেকআপের কেমিক্যাল ছাড়া চেহারার উজ্জ্বলতা দিন দিন বাড়তেই থাকবে।

৬) স্বাস্থ্যকর খাবার খান

আমাদের ডায়েটের উপর আমাদের চেহারা অনেকখানি নির্ভরশীল। আপনি যত ভালো খাবেন, ততই সেটা আপনার চেহারায় প্রকাশ পাবে। তৈলাক্ত খাবার, ফাস্ট ফুড, জাঙ্কফুড, অতিরিক্ত মসলা ইত্যাদি খেলে আপনার চেহারায় ব্রণ দেখা যাবে, লোমকূপ বড় হবে, চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট হবে। তাই পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার খান। তাহলে আপনার চেহারার উজ্জ্বলতা যেমন বাড়বে, তেমনি আপনার শরীর ও মনও ভালো থাকবে।

৭) প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন

আমরা খুব ভালোমতই জানি সুস্থ থাকতে পানির কোন বিকল্প নেই। ত্বকের সুস্থতা আর গ্লো এর জন্যও পানি অপরিহার্য। বেশি বেশি পানি পান করলে আপনার শরীরের সব টক্সিন বেরিয়ে যাবে, আপনাকে ন্যাচারালি সুন্দর দেখাবে।

তাহলে দেখলেন তো মেকআপ ছাড়াই কিভাবে পরিপাটি থাকা যায়! নিজেকে প্রেজেন্ট করতে খুব বেশি মেকআপের প্রয়োজন হয় না। শুধু একটু গুছিয়ে চললেই অনেক সুন্দর ও ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মনে হবে। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

ছবি- সংগৃহীত: সাজগোজ; ইমেজেসবাজার.কম

The post মেকআপ ছাড়া পরিপাটি থাকার ৭টি টিপস appeared first on Shajgoj.

মুলা চিংড়ি ভাজি

$
0
0

মুলা খুবই পুষ্টিকর একটি সবজি। কিন্তু অনেকেই এটি খেতে পছন্দ করেন না। আমিও মুলা খেতে পছন্দ করি না। তাই আমার মা একবার চিংড়ি দিয়ে মুলা ভাজি করে দিলেন। সেদিন থেকে আমিও খুব পছন্দ করে মুলার এই ভাজিটি খাচ্ছি। বিশ্বাস করুন, খুবই সুস্বাদু এই আইটেমটি! আজকে আমি মজাদার এই মুলা চিংড়ি ভাজি তৈরির রেসিপিটি আপনাদের জানাবো। চলুন তাহলে দেড়ি না করে জেনে নেই পুরো প্রণালীটি।

মুলা চিংড়ি ভাজি তৈরির পদ্ধতি 

উপকরণ

  • মুলা- ১ কেজি
  • ছোট চিংড়ি– ১.৫ কাপ
  • রসুন ছেঁচা- ১ টেবিল চামচ
  • পেঁয়াজ কুঁচি- ১ টেবিল চামচ
  • হলুদ গুঁড়া- ১ টেবিল চামচ
  • মরিচ গুঁড়া- ১ টেবিল চামচ
  • ধনেগুঁড়া- ১ টেবিল চামচ
  • কাঁচামরিচ ফালি- ৩-৪টি
  • লবণ– স্বাদমতো
  • তেল- পরিমাণমতো 

প্রস্তুত প্রণালী

১) প্রথমে মুলা কুঁচি করে কেটে নিতে হবে।

২) এবার একটি প্যানে তেল দিয়ে তাতে একে একে পেঁয়াজ কুঁচি, রসুন ছেঁচা, হলুদ গুঁড়া, ধনেগুঁড়া, লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিতে হবে।

৩) কষানো হলে এতে চিংড়ি মাছগুলো দিয়ে ৫-৭ মিনিট রান্না করুন।

৪) চিংড়ি রান্না হলে এতে মুলাকুঁচি ও কাঁচামরিচ ফালি দিয়ে ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে অল্প আঁচে ঢেকে দিন। .

৫) পানি শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। পানি শুকিয়ে গেলে নামিয়ে নিন। চাইলে উপরে ধনেপাতা কুঁচিও দিতে পারেন।

গরম ভাতের সাথে খেতে খুবই ভালো লাগে মুলা চিংড়ি ভাজি। অবশ্যই রান্না করে খাবেন। যাদের আমার মতো মুলা একেবারেই পছন্দ না আশা করছি তাদেরও খুব ভালো লাগবে সুস্বাদু মুলা চিংড়ি ভাজি!

 

ছবি- সংগৃহীত: সাজগোজ;ইউটিউব

 

The post মুলা চিংড়ি ভাজি appeared first on Shajgoj.

বেসিক ব্রাউন ব্ল্যাক স্মোকি আই |মেকআপ ১০১

$
0
0

হুডেড আইয়ের মেকআপ নিয়ে চিন্তিত? ঝটপট কিন্তু স্মোকি আই করে ফেলতে পারেন। সাথে এই মেকআপে একটু ভিন্নতা আনতে চাইলে অ্যাড করতে পারেন সামান্য গ্লিটার। আজকে মেকআপ ১০১ এর নিউ এপিসোডে তাবাসসুম আপনাদের শেখাবে কিভাবে করবেন বেসিক ব্রাউন ব্ল্যাক স্মোকি আই উইথ গ্লিটার। চলুন দেখে নেওয়া যাক…

ভিডিও টিউটোরিয়াল – সাজগোজ ডট কম

The post বেসিক ব্রাউন ব্ল্যাক স্মোকি আই | মেকআপ ১০১ appeared first on Shajgoj.

গার্লিক বিফ

$
0
0

গরুর মাংস খেতে সবাই-ই কম বেশি পছন্দ করে। সচরাচর খুব বেশি মসলা দিয়েই গরুর মাংস রান্না করা হয়। কিন্তু অনেক মানুষ আছে যারা বেশি মসলা খেতে পছন্দ করে না। তাই বলে কি গরুর মাংস খাবেন না? অল্প মসলা দিয়ে খুব সহজেই রান্না করে খেতে পারেন মজাদার গার্লিক বিফ। ঝাল খেতে যারা খুব পছন্দ করেন তাদের খুবই ভালো লাগবে এই ডিশটি। তাই আজকে আমরা আপনাদের কম মসলা দিয়ে কিভাবে সহজেই তৈরি করবেন স্পাইসি গার্লিক বিফ তার পদ্ধতি জানাবো। চলুন তাহলে জেনে নেই পুরো প্রণালীটি।

গার্লিক বিফ তৈরির পদ্ধতি  

উপকরণ

  • গরুর মাংস- ১ কেজি
  • পেঁয়াজ কুঁচি- ১ কাপ
  • মরিচ গুড়া- ১ কাপ
  • হলুদ গুড়া- ১ কাপ
  • রসুন বাটা- ১/২ চা চামচ
  • আদা বাটা- ১/২ চা চামচ
  • রসুনের কোয়া- ৫/৬টি
  • ধনে গুড়া- ১ চা চামচ
  • জিরা গুড়া- ১/২ চা চামচ
  • তেল– ১/২ কাপ
  • মাংসের মসলা- ১/২ চা চামচ
  • টক দই- ১ কাপ
  • টমেটো সস- ১/২ কাপ
  • গরম মসলা গুড়া- ১/২ চা চামচ
  • লবণ– স্বাদমতো

প্রস্তুত প্রণালী

১) প্রথমে গরুর মাংস ধুয়ে ভালো করে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে।

২) এবার একটি পাত্রে মাংস নিয়ে তাতে একে একে তেল, টকদই, হলুদ, মরিচ, রসুন, আদা, পেঁয়াজ, লবণ দিয়ে ভালোভাবে মেখে মেরিনেট করে ৩০ মিনিট রাখতে হবে।

৩) এবার একটি প্যানে তেল দিয়ে তাতে পেঁয়াজকুঁচি দিয়ে বাদামী করে ভেজে নিতে হবে।

৪) তারপর এতে মাংস দিয়ে ভালো করে নেড়ে কষিয়ে নিতে হবে। কষানো হলে সামান্য পানি দিয়ে নেড়ে অল্প আঁচে ঢেকে দিতে হবে।

৫) মাংস সিদ্ধ হয়ে এলে টমেটো সস, রসুনের কোয়া ও কাঁচামরিচ ফালি দিয়ে আরো ১০ মিনিট দমে রাখতে হবে।

হয়ে গেলে নামিয়ে ভাত, পোলাও, রুটি কিংবা নানের সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন মজাদার গার্লিক বিফ।

 

ছবি- সংগৃহীত: সাজগোজ;লর্ডবাইরংকিচেন.কম

The post গার্লিক বিফ appeared first on Shajgoj.

Viewing all 3053 articles
Browse latest View live