Quantcast
Channel: Shajgoj
Viewing all 3053 articles
Browse latest View live

কুমড়ো পাতার বড়া

$
0
0

কুমড়ো দিয়ে বিভিন্ন আইটেম আমরা খেয়ে থাকি। আজকে আমরা আপনাদের কুমড়ো পাতা দিয়ে ভিন্ন একটি বড়া তৈরির রেসিপি দেখাবো। খুব সহজেই তৈরি করতে পারবেন মজাদার কুমড়ো পাতার বড়া। চলুন তাহলে জেনে নেই ভিন্ন এই বড়া তৈরির রেসিপিটি।

কুমড়ো পাতার বড়া তৈরির পদ্ধতি 

উপকরণ

  • কুমড়ো পাতা কুঁচি- ১ কাপ
  • পেঁয়াজ বাটা- ১ টেবিল চামচ
  • চালের গুড়ো- ১/২ কাপ
  • রসুন বাটা- ১ চা চামচ
  • আদা বাটা- ১ চা চামচ
  • মরিচ গুড়ো- ১ চা চামচ
  • ধনিয়া গুড়ো- ১/২ চা চামচ
  • হলুদ গুড়ো- ১ চা চামচ
  • জিরা গুড়ো- ১/২ চা চামচ
  • ধনেপাতা কুঁচি- ২ টেবিল চামচ
  • তেল- পরিমাণমতো
  • লবণ- স্বাদমতো

প্রস্তুত প্রণালী

১) প্রথমে একটি বাটিতে কুমড়ো পাতা, চালের গুড়ো, পেঁয়াজ বাটা, রসুন বাটা, আদা বাটা, মরিচ গুড়ো, ধনিয়া গুড়ো, হলুদ গুড়ো, জিরা গুড়ো, ধনেপাতা কুঁচি, লবণ দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিন।

২) তারপর হাতের তালুতে নিয়ে গোল গোল করে শেইপ করে নিন।

৩) এবার প্যানে তেল দিয়ে অল্প আঁচে গরম করে নিন।

৪) এবার শেইপ করা বড়াগুলো তেলে দিয়ে ডিপ ফ্রাই করে নিতে হবে।

৫) হয়ে গেলে নামিয়ে নিন।

হয়ে গেলো মজাদার কুমড়ো পাতার বড়া। গরম ভাত দিয়ে কিংবা বিকেলের নাস্তায় পরিবেশন করতে পারেন সুস্বাদু এই কুমড়ো বড়া। চাইলে টমেটো সস দিয়েও খেতে পারেন।

 

ছবি- সংগৃহীত: সাজগোজ; মজাররান্না.কম

The post কুমড়ো পাতার বড়া appeared first on Shajgoj.


ত্বকের বলিরেখা |কী, কারণ ও দূর করার কার্যকারী ঘরোয়া উপায় জানেন কী?

$
0
0

সময় ঘড়ির কাটা যখন তারুণ্যের কোঠা পেরোতে থাকে তখন যেন ত্বকের বলিরেখার কথা হরহামেশাই শোনা যায়। এই বলিরেখাকে বুড়িয়ে যাবার লক্ষণ ধরে স্বাভাবিক মনে মেনে নেই। কিন্তু মাঝে মাঝে সমবয়সী কাউকে যখন খুব সুন্দর টানটান ত্বকের অধিকারী দেখেন, তখন অজান্তেই মনটা খারাপ হয়ে যায়। তাই না? আচ্ছা, সমবয়সী হবার পরও দুজনের ত্বকের এমন ভিন্নতা কেন? বলিরেখা একজনের আগে আবার একজনের পরে দেখা যায় কেন? আজ আপনাদের সাথে ত্বকের বলিরেখা নিয়েই আলোচনা করব। চলুন তবে জেনে নেই ত্বকের বলিরেখা কী, এর কারণ ও কিভাবে এটি রোধ বা দূর করা যায়!

ত্বকের বলিরেখা নিয়ে যত কথা

বলিরেখা কী?

আমাদের যখন বয়স বাড়ে, তখন কোষের কার্যক্ষমতা কমে যায়। অর্থাৎ, জৈবিক ক্ষমতা হ্রাস পায়। এই প্রক্রিয়াটি শরীরে, বিশেষ করে ত্বকে সহজেই ফুটে ওঠে। মানুষের বয়স হলে এনজাইম কাজ করা বন্ধ করে দেয়। তখন ত্বকে যে রেখা ফুটে উঠে তাই বলিরেখা।

বলিরেখা হবার কারণ

অনেক কারণে একজন ব্যক্তির শরীরে বা ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে পারে। যেমন- বংশগতি, জীবনধারা, খাদ্যাভ্যাস এবং যে পরিবেশে সে বাস করে ইত্যাদি। বয়স বাড়ার সাথে সাথে হাসলে বেশির ভাগ মানুষের ক্ষেত্রে গালে, চোখের চারপাশে বলিরেখার ভাঁজের সৃষ্টি হয়। যা বয়সের সবচেয়ে খারাপ চিহ্ন। এটা শুধু যে বয়সের চিহ্ন তা নয় অনেক সময় কোনো কারণে কোলাজেনের উৎপাদন কমে গিয়ে ত্বকের ইলাস্টিসিটি কমে গেলেও এমন হতে পারে। আবার অন্যান্য কারণেও হতে পারে যেমন অত্যাধিক মানসিক চাপ, অতিরিক্ত ধূমপান, পানি কম খাওয়া, কম ঘুমানো, ত্বকে অতিরিক্ত আলট্রা ভায়োলেট রশ্মির প্রভাব ইত্যাদি।

ত্বকের বলিরেখা রোধ ও দূর করার উপায়

দোকানে এমন অনেক প্রসাধন রয়েছে যা ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ার গতিকে ধীর করতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও চোখের যত্নে আমরা রেটিনল যুক্ত আইক্রিম ব্যবহার করতে পারি। এক্ষেত্রে ভালো ব্র্যান্ডের আইসক্রিম কিনতে হবে। ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ার গতিকে ধীর করার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে জীবনযাপনের ধারা পাল্টানো। এর মধ্যে খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক ব্যায়াম ও পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম (৮ ঘন্টা) উল্লেখযোগ্য। এর মাঝে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে খাদ্যাভ্যাস। এই অভ্যাস বয়সের ছাপ পরার আগেই শুরু করা উচিত। অনেক ধরনের খাবারই রয়েছে যা ত্বকের স্বাস্থ্য ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারে।

ত্বকের বলিরেখা প্রতিরোধে কিছু খাবার

১) গাঢ় সবুজ শাক-সবজি

 

গাঢ় সবুজ শাক-সবজিতে আছে প্রচুর খনিজ উপাদান ও ভিটামিন এ, সি এবং ই। এগুলো কোলাজেন তৈরির জন্য দরকারি। খাদ্য তালিকায় শাক, বিশেষ করে পালংশাক, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শালগম ,ডাটা ও শিম রাখুন। বেশির ভাগ সবজি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়াতে বেশি করে সবজি খেলে তা ত্বকে বার্ধক্য আসার গতিকে ধীর করে দেয়। বেশি করে সবজি খান, সেটা কাঁচাই হোক বা রান্না করেই হোক।

২) বেদানা

বেদানায় থাকে দ্রুত হিমোগ্লোবিন তৈরির উপাদান। শুধুমাত্র হিমোগ্লোবিন তৈরির উপাদানই নয়, এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ফলে ত্বকের বলিরেখা রোধে এই ফলটি খুব কার্যকরী।

৩) সবুজ চা

ফল ও সবজির মতো সবুজ চাও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। গবেষণায় জানা যায় যে, এটি সূর্য রস্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে যা ত্বকে বলিরেখা সৃষ্টির জন্য দায়ী।

৪) গাজর

গাজর ত্বকের জন্য খুবই উপকারি এবং প্রচুর পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে। ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষণাবেক্ষণ ও বলিরেখা রোধে গাজর খাওয়া অত্যাবশ্যক।

৫) টমেটো

টমেটো তে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। কাজেই প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় টমেটো রাখা উচিত।

৬) লেবু

ত্বকের বলিরেখা ও ক্ষত দূর করতে লেবুর জুড়ি নেই। রোজ সকালে চিনি ছাড়া এক গ্লাস লেবুর রস খেলে ত্বক সজীব থাকে।

৭) কাঠবাদাম

কাঠবাদামে প্রচুর ভিটামিন ই, সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। ভিটামিন ই ভিটামিন সি এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে কোলাজেন তৈরি করে। তাই ৩০ বছর বয়সের পর নিয়মিত পাঁচ-ছয়টি করে কাঠবাদাম খাদ্যতালিকায় রাখুন।

৮) টক দই

বলিরেখা কমাতে টক দইয়ের জুড়ি নেই। দইয়ের মধ্যে রয়েছে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ারোধী উপাদান,যা রোগ-প্রতিরোধ পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণ করে, প্রদাহরোধ করে বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে।

৯) পাকা পেঁপে

উজ্জ্বল কমলা রঙের এই ফলটি কার্যকর ভাবে মুখের ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে।

ত্বকের বলিরেখা দূরীকরণে ঘরোয়া টিপস

বলিরেখা রোধে ত্বকের বাহ্যিক কিছু চর্চাও গুরুত্বপূর্ণ। ঘরোয়া উপায়ে যদি নিয়মিতভাবে সেই উপায়গুলো মেনে চলা যায় তাহলে বলিরেখা দূর করে ত্বকের বয়স বেশ কয়েক বছর কমিয়ে ফেলা সম্ভব। চলুন তবে দেখে নেই এবার……

১) জোজোবা অয়েল 

জোজোবা অয়েলে ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করবার গুণ থাকে। এই তেল চটচটে নয়। প্রতিদিন এর ব্যবহার ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখে এবং ত্বকের বলিরেখা রোধ করে।

২) গোলাপজল

গোলাপজল ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। দুই চা চামচ গোলাপ জল, তিন-চার ফোঁটা গ্লিসারিন এবং অর্ধেকটা লেবুর রস দিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। একটি তুলোর বলে এই প্যাকটি ভিজিয়ে প্রতিরাতে ত্বকে ব্যবহার করুন। এটি ত্বকের বলিরেখা পড়া রোধ করে  ত্বকের নমনীয়তা বৃদ্ধি করে থাকে।

৩) অ্যালোভেরা জেল

অ্যালোভেরা জেল ক্ষতিগ্রস্ত ত্বককে মেরামত করে, ত্বককে আর্দ্র ও টানটান করে বলিরেখা রোধ করে।

৪) শসার প্যাক

শসাতে সিলিকা নামক একটি উপাদান আছে যা ত্বকের চামড়া ঝুলে যাওয়া রোধ করতে সাহায্য করে । ৩ চা চামচ শসার পেষ্ট, ১ চা চামচ ডিমের সাদা অংশ, ২ চা চামচ লেবুর রস, ২ চা চামচ পুদিনা পাতার রস, পর্যাপ্ত পরিমাণে আপেলের পেষ্ট দিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি সারা মুখে লাগান। ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৫) টমেটো প্যাক

টমেটোতে রয়েছে বিপুল পরিমাণে আয়রন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ফলে ত্বকের গুণমান বজায় রাখতে এবং ত্বক টানটান রাখতে টমেটো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

উপরোক্ত উপায়গুলো অবলম্বন করলে আমাদের ত্বক দ্রুত বুড়িয়ে যাবে না আর বলিরেখা থেকেও মুক্ত থাকবে।

ছবি- সংগৃহীত: সাজগোজ; ইমেজেসবাজার.কম

The post ত্বকের বলিরেখা | কী, কারণ ও দূর করার কার্যকারী ঘরোয়া উপায় জানেন কী? appeared first on Shajgoj.

কর্মজীবী নারীর বিউটি হ্যাকস |মাথায় রাখুন মাত্র ৫টি বিষয়!

$
0
0

ঘড়িতে সকাল ৯টা বাজে! এক ঘন্টা আগেই মর্নিং অ্যালার্মটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আজকে আবার অফিসের জন্য লেট!! বেশিরভাগ কর্মজীবী ​​মহিলাদের জন্য এটি প্রায় রোজ সকালের কাহিনী। এই অবস্থাতে হাতে একদমই সময় থাকে না ভালোমতো গুছিয়ে অফিসের জন্য তৈরি হবার। সবাই সমাধান খোঁজে কিছু সহজ এবং দ্রুত বিউটি হ্যাকের, যা খুব কম সময়ে অফিসের জন্য রেডি হতে সাহায্য করে। তাই আমি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব কিছু বিউটি হ্যাকস যা আমি অফিসে যাবার ক্ষেত্রে মেইনটেইন করি। ​​চলুন তবে জেনে নেই কর্মজীবী নারীর বিউটি হ্যাকস যা সময় সাশ্রয় করার সাথে সাথে নিজেকে সুন্দরভাবে প্রেজেন্ট করতেও সাহায্য করে।

কর্মজীবী নারীর বিউটি হ্যাকস নিয়ে ৫টি টিপস

১) শুষ্ক শ্যাম্পুর ব্যবহার

কর্মজীবী নারীর বিউটি হ্যাকে ড্রাই শ্যাম্পু - shajgoj.com

আপনার চুলগুলো খুব তেলতেলে হয়ে আছে আর এদিকে আপনার হাতে চুল শ্যাম্পু করে আবার চুল শুকানোর সময় নেই। কি করবেন তাই ভাবছেন তো? সেক্ষেত্রে ড্রাই শ্যাম্পু সবথেকে ভালো অপশন। ড্রাই শ্যাম্পু চুলের এই তেলতেলে দূর করে এবং নেতিয়ে পরা চুলকে নতুন করে ভলিউম দেয়।

২) অগোছালো চুলে স্টাইল

কর্মজীবী নারী হেয়ার স্টাইল হিসেবে মেসি বান - shajgoj.com

প্রতিদিন সকালে চুলের স্টাইলের জন্য চুল স্ট্রেইট বা কার্ল করা, স্প্রে দিয়ে ফিক্স বা সেট করা, প্রোপারলি আঁচড়ে চুল বাঁধা অনেক বেশি সময় সাপেক্ষ। এজন্য সময় বাঁচাতে অগোছালো চুল দিয়েই করে নিতে পারেন মেসি বান বা মেসি ব্রেইড। এটি করতে যেমন সময় কম খরচ হয়, তেমনি দেখতেও স্টাইলিশ লাগবে।

৩) ফেইক আইল্যাশ এবং আইলাইনার ছাড়া আইলুক

অফিস পার্টি বা ক্লায়েন্ট মিটিং? কিন্তু চোখের সাজের জন্য অতিরিক্ত সময় হাতে নেই? কোন চিন্তা না করে সহজ দুইটি কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। ল্যাশে ভলিউম আনতে ফেইকল্যাশের পরিবর্তে মাস্কারা ব্যবহার করুন। সেক্ষেত্রে মাস্কারা অ্যাপ্লাই করার আগে আপনার আইল্যাশে বেবি পাউডার লাগিয়ে নিন। এতে মাস্কারা থিক ও ভলিউমাইজড দেখাবে। চটজলদিতে আইলাইনার অ্যাপ্লাই করাটা খুবই ঝামেলার বিষয়। এরকম সময় আইলাইনার অ্যাপ্লাই না করে কালো আইশ্যাডো ব্রাশ দিয়ে চোখের পাতার লাইনে হাল্কা করে স্মাজ করে নিলেই দারুন একটা আইলুক তৈরি হয়ে যাবে।

৪) বি বি ক্রিম ব্যবহার

কর্মজীবী নারীর ঝটপট মেকআপে বি বি ক্রিম - shajgoj.com

তাড়াহুড়োতে ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাই করাটা অনেক কঠিন। বিশেষ করে ব্লেন্ড করাটা। ফাউন্ডেশন ভালোমত ব্লেন্ড না হলে পুরো লুকটাই শেষ। এখন কি করবেন তাই ভাবছেন তো? এক্ষেত্রে সব থেকে সহজ সমাধান হলো বি বি ক্রিম। বি বি ক্রিম আলাদাভাবে ব্লেন্ড করার কোন প্রয়োজন নেই। এটি ক্রিমের মত করে লাগিয়ে নিলেই গ্ল্যামারাস একটা লুক পাওয়া যায়।

৫) পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে পেডিকিউর ও মেনিকিউর

পেডিকিউর মেনিকিউরের জন্য পার্লারে যাওয়ার সময় পাচ্ছেন না? রাতে ঘুমানোর আগে হাতে এবং পায়ে পেট্রোলিয়াম জেলি অ্যাপ্লাই করে মোজা পরে নিন। এটি ন্যাচারাল ময়েশচারাইজারের কাজ হয় যাতে হাত ও পা সফট এবং স্মুদ হয়।

তো সকালে অফিসের জন্য ঝটপট রেডি হতে আর অসুবিধাই থাকলো না! আর আপনি যদি অথেনটিক প্রোডাক্ট ব্যবহারের ক্ষেত্রে চিন্তিত হয়ে থাকেন, তবে আপনি সাজগোজের দুটি ফিজিক্যাল শপ যার একটি যমুনা ফিউচার পার্ক ও অপরটি সীমান্ত স্কয়ারে অবস্থিত, সেখানে গিয়ে আপনার পছন্দের প্রোডাক্ট কিনতে পারেন। এছাড়াও অনলাইনে শপ.সাজগোজ.কম থেকে প্রোডাক্ট কিনতে পারেন।

ছবি- সংগৃহীত: সাজগোজ; ইমেজেসবাজার.কম

The post কর্মজীবী নারীর বিউটি হ্যাকস | মাথায় রাখুন মাত্র ৫টি বিষয়! appeared first on Shajgoj.

কিটো ডায়েট ওজন কমাতে কতটা কার্যকরী জানা আছে কী?

$
0
0

গত কয়েক বছরে কিটো ডায়েটের জনপ্রিয়তা বেড়েছে চোখে পড়ার মতো। যারা নিজেদের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকেন এবং এ নিয়ে জানা-শোনার চেষ্টা করেন তাদের কাছে কিটো বা কিটোজনিক ডায়েট একটি বেশ পরিচিত নাম। এই ডায়েটে খাদ্যতালিকায় কার্বোহাইড্রেট বা শর্করার পরিমাণ একেবারে কমিয়ে পরিমাণমতো প্রোটিন চর্বি যোগ করে। এতে খিদে কমে যায়। চলুন জেনে নেই ওজন কমাতে কিটো ডায়েট কতোটা কার্যকরী।

কিটো ডায়েট সম্পর্কে কিছু ব্যাপার চলুন জেনে নেওয়া যাক

কিটোজেনিক ডায়েট হল সুপার লো-কার্ব ডায়েট। এই ডায়েটে কার্ব এক্সট্রীম (extreme) লেভেলে কম থাকবে আর ফ্যাট অনেক হাই থাকবে আর প্রোটিন মিড লেভেলে (mid level) থাকবে। টিপিক্যাল কিটোজেনিক ডায়েটে টোটাল ক্যালোরিক নিডের কার্ব ৫%, প্রোটিন ২৫% আর ফ্যাট থাকে ৭০%। মানে আপনি সারাদিন যতটা খাবার খাবেন তার মধ্যে খাবারের পার্সেন্টেজ এমন হবে। আমাদের নরমাল ডায়েটে ৫০% কার্বোহাইড্রেট থাকে, ২০% প্রোটিন আর ৩০% ফ্যাট থাকে। ধরা যাক আপনি ১২০০ ক্যালরি খাবেন সারাদিনে। তার ৫০% কার্ব মানে আপনাকে ৬০০ ক্যালরির কার্ব খেতে হবে।

বিভিন্ন ধরনের কিটো ডায়েট আছে

 

১. স্ট্যান্ডার্ড কিটোজেনিক ডায়েট (Standard Ketogenic Diet)-(SDK)  

এটাতে কার্ব ৫%, প্রোটিন ২৫ % আর ফ্যাট ৭৫% থাকে।

কিটো ডায়েট এর প্রকারভেদ - shajgoj.com

২. টারগেটেড কিটোজেনিক ডায়েট (Targeted Ketogenic Diet)-(TKD)  

একটা স্ট্যান্ডার্ড কিটোজেনিক ডায়েটের মতোই এই ডায়েট অনুসরণ করতে হয়। তবে একজন মানুষের  শারীরিক পরিশ্রম কেমন হয় তার ধরণ ও পরিমাণ অনুযায়ী খাদ্যতালিকায় শর্করা যোগ করা হয়।

৩. সাইক্লিকাল কিটোজেনিক ডায়েট (Cyclical Ketogenic Diet)- (CKD)  

এই ডায়েটে সপ্তাহে খাবারে পাঁচ দিন শর্করা বাদ দিতে হয়  এবং বাকি দু’দিন বেশি শর্করা যোগ করতে হয়।

৪. হাই প্রোটিন কিটো ডায়েট (High Protein Keto Diet)

এ পদ্ধতিতে প্রোটিন ২৫% থেকে বেড়ে ৩৫% হয়ে যায়। এটাতে ফ্যাট ৬০%, প্রোটিন ৩৫% আর শর্করা ৫%. বডি বিল্ডার বা এথেলেটরা এটা করে থাকে।

এই ডায়েটে যেসব খাবার খেতে পারবেন না 

১. চিনি বা মিষ্টিজাতীয় কোন কিছু একদম বাদ। কোক, ফলের জুস, কেক, আইসক্রীম, চকোলেট, স্মুদি, যেকোন ধরনের মিষ্টি

কিটো ডায়েট এ মিষ্টি খাবার নিষিদ্ধ - shajgoj.com

২. আটার তৈরি কিছু, ভাত, পাস্তা, নুডলস, ওটস, কর্নফ্লেক্স সব বাদ।

৩. সব ধরনের ফল নিষেধ। সাধারণত অন্যান্য ডায়েটে ফলের জায়গাটুকু থাকলেও কিটো ডায়েটে সেটা নেই। কারণ, ফলে প্রচুর পরিমাণ শর্করা থাকে। আপনি কিটো ডায়েটে মাত্র ২০ গ্রাম শর্করা গ্রহণ করতে পারবেন। অন্যদিকে একটি বড় আপেল থেকেই ২৫ গ্রাম শর্করা পাবেন।

৪.সব ধরনের ডাল নিষেধ, ডালে প্রোটিনের পাশাপাশি ভালো পরিমানে কার্বো থাকে।

৫.আলু, মূলা, গাজর, কচু সব বাদ দিতে হবে।

কিটো ডায়েট এ প্রসেসড ফুড নিষিদ্ধ - shajgoj.com

৬. যে কোন ধরনের প্রসেস ফুড একদম বাদ দিতে হবে।

কি কি খেতে পারবেন

গরু, মুরগী, সব ধরনের মাছ, ডিম, বাটার, পনির, দই, ঘি, বাদাম, হেলদি অয়েল-যেমন অলিভ ওয়েল, কোকনাট ওয়েল, সূর্যমুখী অয়েল, যে কোন লাল-সবুজ সবজি, পালং, ব্রকলি, বাধাকপি, ফুলকপি, লাউ, মোটামুটি সবধরনের মসলা, ফলের মধ্যে জলপাই, অ্যাভোকাডো, স্ট্রবেরি, লেবু খেতে পারবেন।

কিটো ডায়েটে সমস্যা   

১. হোল গ্রেইন ফুড বন্ধ থাকার কারণে ফাইবার কম হবে। আর ফাইবার কম হলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হবে। সবুজ শাক সবজি, বাদাম, সাথে রাতে ঘুমানোর আগে ১-২ চা চামচ ইসবগুল এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে খেলে অনেকটা সমস্যা কমে যায়।

কিটো ডায়েট এর সমস্যা দূর করতে পানি পান - shajgoj.com

২. কার্ব কম হওয়ার কারণে বডি পানি কম হোল্ড করে। তাই শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। প্রতি ১ গ্রাম কার্ব ৩ গ্রাম পানি হোল্ড করে। তাই বডিকে হাইড্রেটেড রাখতে বেশি পানি খেতে হবে। দিনে ৩-৪ লিটার মিনিমাম। পানি আর মিনারেলের ঘাটতি কমাতে দিনে ১.৫ -২ চা চামচ লবণ সারাদিনের খাবারে খেতে হয়।

৩. ফল আর গ্রেইন ফুড সব বন্ধ করার কারণে শরীর সব ধরনের ভিটামিন, মিনারেল পাবে না, সেজন্য আপনাকে মাল্টিভিটামিন সাপ্লিমেন্ট খেতে হবে সে ঘাটতি পূরণের জন্য। দিনে একটা ভিটামিন সি আর একটা মাল্টিভিটামিন ক্যাপসুল খেতে হবে।

৪. কার্বোহাইড্রেট বডিকে ইন্সট্যান্ট এনার্জি প্রোভাইড করে। যেহেতু কার্ব কম থাকবে তাই আপনি কম এনার্জেটিক ফিল করবেন। কার্ডিও টাইপ ওয়ার্কআউট করতে সমস্যা হবে। সব ওয়েটলস ডায়েটে কিছুটা এনার্জি লস হয়।

কিটো ডায়েট এর ফলে মাথা ব্যথা হওয়া - shajgoj.com

ঠিক ঠিক নিয়ম অনুযায়ী এই ডায়েট প্ল্যান অনুসরণ না করলে একাধিক শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষত মাথা যন্ত্রণা, ক্লান্তি, খিদে বেড়ে যাওয়া, ঘুম কমে যাওয়া, মাথা ঘোরা এবং শরীরিক ক্ষমতা কমে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও কিছু কিছু ক্ষেত্রে মুখ থেকে দুর্গন্ধ বেরোনো, মাসল ক্র্যাম্প, নানা ধরনের পেটের রোগ এবং কিডনিতে স্টোন হওয়ার মতো রোগও হতে পারে। তাই কখনও যদি কোনও সমস্যা দেখা দেয় তাহলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে আর ডায়েটিশিয়ানের সঙ্গে আলোচনা করে সঙ্গে সঙ্গে কিটো ডায়েট বন্ধ করে দিতে হবে।

শেষ কথা

কিটো ডায়েট - shajgoj.com

এ ডায়েট-টি তাদের জন্যই যারা অনেক বেশি ডেডিকেটেডভাবে ডায়েট করতে পারবে। কারণ কার্ব ৪০-৫০ গ্রামের বেশি হয়ে গেলে বডি কিটোসিস থেকে বেরিয়ে যাবে। কত ক্যালরির চার্ট বানাবেন সেটা নিয়ে যারা কনফিউজ তারা নিজের বি এম আর  (BMR) হিসেব করবেন আর কতটা সময়ে কতটা ওজন কমাতে চান সে হিসেবে চার্ট বানাবেন। ১ পাউন্ড কমাতে ৩৫০০ ক্যালরি বার্ন করা লাগে। প্রতি ১৫-২০ দিনে একদিন ফ্রি ডে হিসেবে রাখতে পারেন। সেদিন আপনি কার্ব খেতে পারেন ২০০-৩০০ গ্রামের মতো, তবে মাথায় রাখতে হবে সে কার্ব যেন চিনি জাতীয় কিছু থেকে না আসে। আরেকটা কথা হল মিনিমাম ৩০ দিন যদি এ  ডায়েট করতে না পারেন তবে এটা না করাই উচিত। কারণ দেখা যাবে এ ডায়েটে আপনি প্রথম ২ সপ্তাহে ৩-৪ কেজি ওজন কমিয়ে ফেললেন তারপর গিভআপ করে অন্য ডায়েটে গেলেন বা ছেড়ে দিলেন তখন চান্সেস থাকে আবার আপনি আগের ওজনে ফিরে গেছেন। এ ডায়েটে আপনি একটানা সর্বোচ্চ তিনমাস করতে পারেন, এর বেশি না।

 

ছবি- সংগৃহীত: ইমেজেসবাজার.কম;বায়োকিটো.কম;মেলিসামিত্রি.কম

The post কিটো ডায়েট ওজন কমাতে কতটা কার্যকরী জানা আছে কী? appeared first on Shajgoj.

তেঁতুলিয়া থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা |ঘুরে আসুন পঞ্চগড়ের আকর্ষনীয় স্থানটিতে!

$
0
0

বাংলাদেশের সবচেয়ে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এই পঞ্চগড়। শীতপ্রবণ এই পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া গেলেই দেখা মিলবে পৃথিবীর তৃতীয় বৃহৎ পর্বতমালা কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতশৃঙ্গ। অদূরে চোখে পরবে হিমালয় এবং কাঞ্চনজঙ্ঘার মায়াবী রূপ! প্রকৃতিপ্রেমী এবং ভ্রমন পিপাসুদের জন্য খুবই আকর্ষনীয় জায়গা এই কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতশৃঙ্গ। আজকে আমরা গল্প করবো পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া থেকে দৃশ্যমান তৃতীয় বৃহৎপর্বতমালা কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতশৃঙ্গ নিয়ে। চলুন জেনে নেই কিভাবে যাবেন পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতশৃঙ্গটিতে।

তেঁতুলিয়া থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতশৃঙ্গ

তেঁতুলিয়া থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতশৃঙ্গ - shajgoj.com

কাঞ্চনজঙ্ঘা পৃথিবীর তৃতীয় বৃহৎ পর্বতশৃঙ্গ। এই পর্বতমালাটির উচ্চতা ২৮,১৬৯ ফুট। বাংলাদেশ এবং ভারত সীমান্তের বুক দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মহানন্দা নদী। এ নদীর তীর থেকেই দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতশৃঙ্গটির অপূর্ব দৃশ্য। কিন্তু কয়েকবছর ধরেই তেঁতুলিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে খালি চোখেই দেখা মিলছে এই অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা পর্বতশৃঙ্গটির। তেঁতুলিয়ার উপজেলা সদরে কোচবিহারের রাজার নির্মিত একটি ঐতিহাসিক ডাকবাংলো রয়েছে। ভিক্টোরিয়ান ধাঁচে বানানো এই ডাকবাংলোটি জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রনে আছে। বাংলোর পাশেই জেলা পরিষদের উদ্যোগে একটি পিকনিক স্পট তৈরি করা হয়েছে। ভারতের সীমান্ত ঘেঁষা মহানন্দা নদীর তীরে অবস্থিত এই  ডাকবাংলোটির বারান্দা থেকেই হেমন্ত ও শীতকালে উপভোগ করতে পারেন কাঞ্চনজঙ্ঘার অপার সৌন্দর্য। পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা গেলেও তেঁতুলিয়ার ডাকবাংলোটির বারান্দা থেকে সবচেয়ে সুন্দর দেখা যায়। স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায় সকালে কাঞ্চনজঙ্ঘা একটু কালচে দেখায় তারপর আস্তে আস্তে টুকটুকে লাল, কমলা, হলুদ এবং সাদা রং ধারণ করে।

কখন যাবেন

কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতশৃঙ্গটির দেখা সারাবছর মিলে না। স্থানীয়দের মতে অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বরের মাঝামঝি সময়ে আকাশ মেঘহীন থাকে আর এই সময়টাতেই দেখা যায় পৃথিবীর তৃতীয় বৃহৎ পর্বতমালাটি। বরফে ঢাকা অসাধারণ এই পর্বতশৃঙ্গটি দেখতে চাইলে অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বরের মাঝামঝি সময়ে যেতে হবে। এই সময়গুলোতে আকাশ পরিষ্কার থাকলে দেখা মিলবে অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে  ঘেরা কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতশৃঙ্গটির।

কিভাবে যাবেন

কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতশৃঙ্গ - shajgoj.com

ঢাকা থেকে পঞ্চগড় যেতে বেশকটি বাস রয়েছে। নন-এসি বাসগুলোর মধ্যে হানিফ এবং নাবিল পরিবহণ করে পঞ্চগড় যেতে পারেন। এক্ষেত্রে ভাড়া হবে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে। ঢাকা থেকে পঞ্চগড় পর্যন্ত সরাসরি কোন এসি বাস নেই। এসি বাসে করে যেতে চাইলে প্রথমে রংপুর যেতে হবে। এসি বাসগুলোর মধ্যে টি আর ট্রাভেলস, গ্রীণলাইন এবং আগমণি দিয়ে  রংপুর যেতে পারেন। এসি বাসগুলোর ভাড়া ৭০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে। রংপুর থেকে অন্য পরিবহণে পঞ্চগড় যেতে পারেন।

পঞ্চগড় থেকে তেঁতুলিয়ার উদ্দেশ্যে সারাদিনই বেশকিছু বাস চলাচল করে। এক্ষেত্রে বাস ভাড়া জনপ্রতি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা হবে। আপনি চাইলে ঢাকা থেকে তেঁতুলিয়ায় সরাসরি বাসে করে যেতে পারেন। ঢাকা থেকে হানিফ এবং বাবুল পরিবহণে জনপ্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা ভাড়ায় তেঁতুলিয়ায় যেতে পারেন।

কোথায় থাকবেন

তেঁতুলিয়া থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা - shajgoj.com

পঞ্চগড়ে বেশকিছু থাকার হোটেল রয়েছে। এগুলো খুব সাধারণ মানের আবাসিক হোটেল। এসব হোটেল গুলোতে নন-এসি রুমগুলো ৩০০-৭০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। আর এসি রুমগুলো ১০০০-১২০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। এছাড়াও মহানন্দা নদীর কাছে রয়েছে ৩টি ডাকবাংলো। সবচেয়ে ভালো হয় এই বাংলোগুলোতে থাকতে পারলে। এই বাংলোগুলোতে থাকতে হলে আগে থেকেই তেঁতুলিয়া উপজেলা বা জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে। এসব বাংলোর রুমের ভাড়া হচ্ছে ৪০০ টাকা করে। এছাড়াও রয়েছে বনবিভাগের রেস্ট হাউজ। এই রেস্ট হাউজে থাকতে চাইলে জেলা সদর অথবা তেঁতুলিয়ার বন বিভাগ থেকে অনুমতি নিতে হবে। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরেও জেলাপরিষদের ডাকবাংলো রয়েছে। অনুমতি নিয়ে এখানে থাকতে হবে এবং রুম ভাড়া পরবে ২০০ টাকা।

হাজার বছরের গৌরব-গাথা ও প্রাচীন ইতিহাস-ঐতিহ্যের অগণিত স্মৃতিমণ্ডিত পঞ্চগড়। পর্যটকদের জন্য সব ব্যবস্থা থাকায় ও এই জেলার অপরূপ সৌন্দর্যের কারণে দিন দিন ভ্রমণপিপাসুদের কাছে পঞ্চগড় খুবই আকর্ষনীয়পরিবার কিংবা বন্ধুদের নিয়ে ঘুরে দেখে আসুন তেঁতুলিয়া থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতশৃঙ্গ এবং ব্যস্থতাপূর্ণ জীবন থেকে কিছুটা সময়ের জন্য হারিয়ে যান প্রকৃতির বুকে।

 

ছবি- সংগৃহীত: সাজগোজ;দাডেইলিস্টার.নেট

The post তেঁতুলিয়া থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা | ঘুরে আসুন পঞ্চগড়ের আকর্ষনীয় স্থানটিতে! appeared first on Shajgoj.

থিন লিপস হ্যাকস জেনে ঠোঁট করুন আকর্ষণীয়!

$
0
0

আমাদের মধ্যেই অনেকেরই থিন লিপস আছে যারা একটু বিগ কিংবা থিক দেখাতে চান লিপস। কিন্তু কিভাবে সঠিক উপায়ে লিপস্টিক অ্যাপ্লাই করলে লিপ বিগ অথবা থিক দেখাবে তা জানা নেই। তাই আজকে খুব সহজেই মেকআপের সাহায্যে কিভাবে লিপস বড় দেখাবেন সেই হ্যাকস নিয়েই কথা বলবেন ইয়ানা।

ভিডিও টিউটোরিয়াল – সাজগোজ ডট কম

The post থিন লিপস হ্যাকস জেনে ঠোঁট করুন আকর্ষণীয়! appeared first on Shajgoj.

আইব্রো নিয়ে ৫টি ভুল এড়িয়ে চলবেন যেভাবে

$
0
0

একটু চিন্তা করে বলুন তো, আপনার ফেইসের কোন অংশটি আপনার পারসনালিটিকে সব থেকে বেশি ফুটিয়ে তোলে??? ঠিক ধরেছেন!!! আপনার আইব্রোস। এক জোড়া পারফেক্ট আর্চড আইব্রো পারে আপনার পুরো লুকটাকে তুলে ধরতে। আমাদের মাঝে কিছু সৌভাগ্যবতী আছেন যাদের আইব্রো শেইপ ন্যাচারালি পারফেক্ট কিন্তু বাকিদেরকে বিভিন্নভাবে ঠিকঠাক করে নিতে হয়। আইব্রো শেইপের সময় বেশ কিছু কমন ভুল আমরা প্রায় সবাই করে থাকি। আজকে এরকম মেজর কিছু মিস্টেকের কথা বলবো, যেগুলো আপনি চাইলেই এড়িয়ে চলতে পারবেন। আসুন জেনে নেই এরকম ৫টি কমন ভুলের কথা যা আমাদের এড়িয়ে চলা উচিত।

আইব্রো নিয়ে ৫টি ভুল কিভাবে এড়াবেন?

১) ভুল শেইপ সিলেকশন

আইব্রো এর বিভিন্ন শেইপ - shajgoj.com

এ ভুলটি আমরা সব থেকে বেশি সময়ে করে থাকি। আমরা কয়জন ভ্রুর শেইপ সিলেক্ট করার সময় মুখের আকৃতির কথা চিন্তা করি বলুন তো? অথচ এই ভুলের কারণেই আইব্রো দেখতে মোটেই মানানসই লাগে না। অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে আপনার ফেইসের সাথে কোন শেইপটি পারফেক্ট। সবসময় আপনার মুখের আকৃতির সাথে মিলিয়ে আইব্রো করতে চেষ্টা করুন। 

২) ওভার প্লাক করা

অতিরিক্ত চিকন ব্রো লাইন আপনার ওভারঅল লুকটাকে নষ্ট করে ফেলতে পারে। একবার যদি আপনি ভ্রূ ওভারপ্লাক করে ফেলেন তাহলে পরবর্তীতে সঠিক সাইজে আনাটা খুবই কঠিন হবে। তাই প্লাক করার সময় অবশ্যই সফট হ্যান্ডে করার ট্রাই করবেন।

৩) ভুল শেড পিক করা

ফর্সা ত্বকে ব্রাউন কালার আইব্রো পেন্সিল - shajgoj.com

আমরা অনেকে ঠিক বুজতেই পারি না যে আইব্রো ফিল করার জন্য কোন শেড ব্যবহার করা উচিত। এজন্য অবশ্যই কোন স্কিন টোনের জন্য কোন শেডটি উপযুক্ত তা জেনে নিন। যেমন- ফেয়ার স্কিন টোনে একটু ব্রাউনিশ শেড যায়। আবার যাদের স্কিন টোন একটু ট্যান, তারা ডার্ক চকলেট শেড ব্যবহার করবেন।

৪) আইব্রো’স আইডেন্টিকাল করার চেষ্টা

দুই পাশের আইব্রোস কখনই পারফেক্টলি সমান হবে না। তাই জোর করে দুই ভ্রূকে আইডেন্টিকাল বা একই রকম দেখানোর চেষ্টা করতে যাবেন না। এটা করতে গেলেই আপনার আইব্রোস দেখতে একদমই আনন্যাচেরাল লাগবে। আবার অতিরিক্ত ম্যাচ করার ট্রাই করতে গিয়ে ওভার প্লাক হয়ে যাবে। 

৫) আইব্রো এর মাঝে অতিরিক্ত গ্যাপ

দুই আইব্রো এর মাঝে বেশি গ্যাপ - shajgoj.com

আমরা অনেকেই জোড়া ভ্রূ একদমই পছন্দ করি না। এ কারণেই দুই ভ্রূ এর মাঝখানের হেয়ারগুলো রিমুভ করে ফেলি। কিন্তু মাথায় রাখবেন, মাঝের হেয়ার প্লাক করার সময় যেন ভ্রূ জোড়ার মধ্যে বেশি গ্যাপ না হয়ে যায়। এতে পুরো ফেইসের সাথে আইব্রোস খুবই বেমানান লাগবে। 

তাহলে জানলেন তো আইব্রো নিয়ে কেমন সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত! আসলে খুব বেশিই সতর্ক থাকা উচিত কারণ, আমাদের লুকটা আইব্রো যেমন স্টানিং করে তুলতে পারে, তেমনি বাজেও করে দিতে পারে। সেজন্য নিজের মুখের গড়ন বুঝে এক্সপার্টদের পরামর্শে ভ্রূ প্লাক করুন আর থাকুন সুন্দর সব সময়!

ছবি- সংগৃহীত: সাজগোজ; রিডার্স ডাইজেস্ট; ফিল গুড ইন ইওর স্কিন.কম

The post আইব্রো নিয়ে ৫টি ভুল এড়িয়ে চলবেন যেভাবে appeared first on Shajgoj.

বাঁধাকপির পায়েস

$
0
0

পায়েস বাঙ্গালীদের ঐতিহ্যবাহী খাবার। বিভিন্ন ধরনের পায়েস আমরা খেয়ে থাকি। আজকাল অনেকেই ঝামেলা মনে করে পায়েস রান্না করতে। আমরা হয়তো জানি না খুব সহজেই কিন্তু রান্না করা যায় এই পায়েস। আজকে আমরা আপনাদের ভিন্নধর্মী মজাদার বাঁধাকপির পায়েস রান্নার পদ্ধতি জানাবো। চলুন তাহলে জেনে নেই বাঁধাকপির পায়েস রান্নার পদ্ধতিটি।

বাঁধাকপির পায়েস রান্নার পদ্ধতি

উপকরণ

  • বাঁধাকপি কুঁচি- ২ কাপ
  • দুধ– ৩ লিটার
  • চিনি- ২ কাপ
  • কিসমিস- ১ টেবিল চামচ
  • পেস্তা বাদাম কুঁচি- ২ টেবিল চামচ
  • লবণ- পরিমাণমতো

প্রস্তুত প্রণালী

১) প্রথমে দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিতে হবে।

২) তারপর বাঁধাকপি কুঁচি হালকা করে ভাপ দিয়ে নিবো।

৩) এবার আবার চুলায় ঘন দুধ বসিয়ে গরম হলে তাতে বাঁধাকপি কুঁচি, চিনি এবং লবণ দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করুন।

৪) কিছুক্ষণ জ্বাল দেওয়ার পর ঘন হয়ে এলে পেস্তা কুঁচি ও কিসমিস দিয়ে নামিয়ে নিন।

দেখলেন তো কিভাবে খুব সহজেই তৈরি হয়ে গেলো মজাদার বাঁধাকপির পায়েস। ঘরে বসেই তৈরি করে উপভোগ করুন সুস্বাদু বাঁধাকপির পায়েস।

 

ছবি- সংগৃহীত: সাজগোজ;দৈনিকআজাদী.নেট

The post বাঁধাকপির পায়েস appeared first on Shajgoj.


ফ্যাশনে নাকফুল |জানুন অলংকরণের ইতিহাস ও ৯ ধরনের নোজ পিন সম্পর্কে!

$
0
0

নাকফুল নারীদের পছন্দের গয়নাগুলোর মধ্যে অন্যতম। নাকে এক টুকরো গয়না যেন নারীর সৌন্দর্য অনেকাংশে বাড়িয়ে তোলে। আকৃতি, নকশা বা রং বদলে নাকফুল বারবার ঠাঁই করে নিয়েছে মেয়েদের সাধের গয়নার তালিকায়। বর্তমানে মেয়েদের ফ্যাশনে নাকফুল খুবই পছন্দনীয় হয়ে উঠেছে। আজকে আমরা আমাদের নাকফুল সমাচার সাজিয়েছি ইতিহাসের পাতা এবং নাকফুলের বিভিন্ন ধরন আলোকপাত করে।

নাকফুলের ইতিহাস

বিভিন্ন ঐতিহাসিক তথ্য থেকে জানা যায় যে নবম এবং দশম শতাব্দী থেকে জনপ্রিয় হতে শুরু করে নাকফুল। ধারণা করা হয়, নারী প্রথম যে অলঙ্কার ব্যবহার করেছিল সেটি ছিল নাকফুল। কিন্তু ইতিহাসে নাকফুল নিয়ে বিভিন্ন মতবাদ রয়েছে। এখানে আমরা কিছু টুকরো ইতিহাস আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি।

ইসলামিক ইতিহাসের দিকে নাকফুল নিয়ে আলোকপাত করলে দেখা যায় নাকফুলের চল মুসলিম নারীদের মধ্যে অনেক আগ থেকেই রয়েছে।

কথিত আছে, ইব্রাহিম (আঃ) এর প্রথম স্ত্রী ছিলেন বিবি সারা। বিবি সারার কোন সন্তান হতো না তাই তিনি নিজের ইচ্ছায় বিবি হাজেরার সাথে ইব্রাহীম (আঃ) এর বিয়ে দেন। ইব্রাহীম (আঃ) বিবি হাজেরার প্রতি অনেক ভালোবাসায় মগ্ন ছিলেন। তাই বিবি সারা রেগে গিয়ে হাজেরার নাক কান ফুটা করে দেন। ইব্রাহিম (আঃ) হাজেরাকে পছন্দ যেন না করেন তাই তিনি এ কাজ করেন। কিন্তু ইব্রাহিম (আঃ) যখন বিবি হাজেরার নাক কানে গহনা পরিয়ে দেন তখন তাকে আরও বেশি সুন্দর দেখায়!

ফ্যাশনে নাকফুল এর ব্যবহার - shajgoj.com

আবার, অনেক অনেক আগে ফেরাওউনের স্ত্রী আসিয়া এর সময়ের কথা। ফেরাওউনের স্ত্রী আসিয়া দেখতে সবচেয়ে বেশি সুন্দর ছিলেন তাই অন্যান্য স্ত্রীরা হিংসার বশবর্তী হয়ে তার নাক এবং কান ফুটা করে দেয় যাতে তাকে দেখতে অসুন্দর লাগে। কিন্তু এতে হয় হিতের বিপরীত। নাক এবং কান ফুটা করার পর তাকে আরও বেশি সুন্দর লাগে। তখন থেকেই মেয়েরা সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে নাক কাট ফুটা করছে।

আবার হিন্দু রীতিতে নাকফুলের ব্যবহারের প্রথার প্রমাণ মেলে তাদের প্রতিমা দেখলেই। হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারীরাও সেই আদিকাল থেকেই নাকফুল ব্যবহার করে আসছে।

খৃষ্টানদের বাইবেলে লেখা আছে, ভূমধ্য সাগরীয় অঞ্চলে ছেলের বউ রেবেকাকে স্নেহ এবং ভালবাসার চিহ্ন স্বরূপ নাকফুল উপহার দেন আব্রাহাম। এর কিছুদিন পর থেকেই বেদুইন এবং যাযাবরদের মাধ্যমে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে নাকে গয়না পড়ার রীতি।

আবার এও কথিত আছে যে ষোড়শ শতাব্দিতে ভারতীয় উপমহাদেশে মুঘলদের আগমনের পরই ওইসব অঞ্চলে মেয়েদের নাক ফোঁড়ানোর রেওয়াজ শুরু হয়। সে সময় সেখানে নারীরা ঢাউস আকৃতির নাকফুল পড়তো, এখন সেখানে এর আকারে এসেছে পরিবর্তন, তবে এখনও কেউ কেউ জয়পুরি বড় নাকফুল পড়তে ভালবাসেন।

ফ্যাশনে নাকফুল বা নোজপিন

একসময় বিবাহিত মেয়েরাই নাকফুল বেশি পড়তো। কিন্তু আজকাল মেয়েদের পছন্দের গয়নার মধ্যে ছোট একটি নাকফুল সবার আগেই স্থান পেয়ে গেছে। নাকফুল মেয়েদের সৌন্দর্য অনেক বৃদ্ধি করে। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া তরুণী, কর্মজীবী ও সদ্য বিবাহিতা নারীদের মধ্যে ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে নাকফুল। তাই বলাই চলে মেয়েদের ফ্যাশনে নাকফুল খুবই পছন্দনীয়।

নাকফুল সিলেকশন 

মেয়েরা বিভিন্ন ধরনের নাকফুল ব্যবহার করে থাকে। নাকফুল নিয়ে মেয়েদের সবচেয়ে বড় সমস্যাই হচ্ছে যে সবার নাকে সব নাকফুল মানায় না। এক্ষেত্রে ফেইসের শেইপ অনুযায়ী নাকফুল সিলেক্ট করতে হবে। নাক ও মুখের আকৃতির সঙ্গে নাকফুলের সমীকরণ মেলাতে পারলেই আপনার লুক বদলানো সম্ভব। এই যেমন মুখ ছোট হলে নাকফুল ছোট হবে, মুখ বড় হলে নাকফুলও বড়। আবার কাপড় মেকআপের সাথে সামঞ্জস্য রেখেও সিলেক্ট করতে পারেন। তবে নাকফুলে বেশি ফোকাস করতে চাইলে মেকআপ হালকা করে করাই ভালো। শাড়ি, সেলোয়ার কামিজ, ফতুয়া, টি-শার্ট সবকিছুর সাথেই মানিয়ে যাচ্ছে ছোট এই গয়নাটি। বিয়ে থেকে শুরু করে যেকোন অনুষ্ঠানে মেয়েরা তাদের পছন্দের গয়নার তালিকায় নাকফুলকে অবশ্যই রাখে।

নাকফুল বা নোজপিনের প্রকারভেদ   

নাকফুল এর প্রকারভেদ - shajgoj.com

 

আজকাল মেয়েদের ফ্যাশনে নাকফুল এর চাহিদা অনেক। বিভিন্ন প্রকারের নোজপিন রয়েছে। ছোট বড় পাথরের নাকফুল, স্বর্ণের, রুপার, হীরার, অ্যান্টিকের ইত্যাদি এমন অনেক ধরনের নোজপিন মেয়েরা পড়ে থাকে। এছাড়াও নথ, নোলক, নাকছাবি, নাকপাশা, ট্রাইবাল নথ, মারাঠি নথ ইত্যাদি আরও অনেক ধরনের গয়নাই শোভা পাচ্ছে মেয়েদের নাকে।

নাক ফোঁড়ানো

অনেকেই ব্যথার ভয়ে নাক ফোঁড়াতে চায় না। কিন্তু আজকাল পার্লারে খুব সহজেই ব্যথা ছাড়াই নাক ফোঁড়ানো হয়। পার্লারে পুশপিন লাগানো গানমেশিনের সাহায্যে নাকের সঠিক স্থানে ফুঁটা করা হয়। এর আগেই নাকে অ্যান্টিবায়োটিক স্প্রে করা হয় যেন ক্ষত না হয়। ৩-৪ দিন পর এই পুশপিন খুলে নিয়ে আপনার পছন্দমতো নাকফুল কিংবা নথ পড়তে পারেন। তবে নাক ফোঁড়ানোর পর সোনার নাকফুল বা নথ পড়াই ভালো এতে ফোঁড়ানো অংশ পেকে যাওয়ার আশংকা থাকবে না।

নাক ফোঁড়ানোর পর পেকে গেলে করনীয়

(১) নাক ফোঁড়ানোর পর তিন দিন পর্যন্ত লক্ষ্য রাখবেন নাকে পানি কিংবা ঘাম যেন না লাগে।

(২) পেকে গেলে প্রথমেই সেভলন বা হেক্সিসল দিয়ে আক্রান্ত স্থানটি ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে।

(৩) অনেক সময় নাক ফোঁড়ানোর সময় শিরায় লাগলে এমন হয়। এক্ষেত্রে এই ছিদ্র বন্ধ করে নতুন করে আবার ফোঁড়াতে হবে।

(৪) শুকনা মরিচের ভেতর সরিষার তেল দিয়ে গরম করে সে তেল লাগালে ২ দিনেই শুকিয়ে যাবে। তবে শিরায় ফোঁড়ানো হলে সেক্ষেত্রে শুকাবে না।

(৫) রসুনের কোয়া ছেঁচে একটুখানি সরিষার তেল দিয়ে গরম করে আক্রান্ত স্থানে লাগালে জলদি শুকিয়ে যাবে।

(৬) সমস্যা বেশি হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

বিভিন্ন ধরনের নাকফুল পরিচিতি

১) ছোট পাথরের নাকফুল

ছোট পাথরের নাকফুল - shajgoj.com

বিভিন্ন রঙের এক পাথরের নাকফুল মেয়েরা আজকাল পড়ে থাকে। রেগ্যুলার ব্যবহারের জন্য এ ধরনের নাকফুল বেছে নিতে পারেন। শাড়ি, সেলোয়ার কামিজ, ফতুয়া, টি-শার্ট সবকিছুর সাথেই এক পাথরের ছোট নাকফুল মানানসই। সাধারণত মেয়েরা সাদা রঙ এর পাথরের নাকফুলই বেশি পড়ে থাকে কিন্তু বাজারে এখন বিভিন্ন রঙের পাথরের নাকফুল পাওয়া যাচ্ছে। আপনি চাইলে ড্রেসের সাথে ম্যাচ করে পছন্দের রঙ এর নাকফুলটি সিলেক্ট করে নিতে পারেন। মেয়েরা ফ্যাশনে নাকফুল ব্যবহারের ক্ষেত্রে ছোট পাথরের নাকফুলই বেশি পছন্দ করে।

২) নথ

ফ্যাশনে নথ - shajgoj.com

 

একসময় মেয়েরা খালি নাকফুল পড়তে সাচ্ছ্বন্দ্যবোধ করতো। কিন্তু আজকাল নাকফুলের পাশাপাশি নথের উপরও ঝুঁকে পড়ছে মেয়েরা। ফ্যাশনে নাকফুল এর পাশাপাশি পছন্দের তালিকায় নথও এখন অনেক আলোচনায় আছে। গোলাকার, ত্রিকোণ বা চৌকোণ বিভিন্ন ডিজাইনের নথ এসেছে বাজারে। শুধু সোনা বা সোনার মধ্যে পাথর বসানো নথেই রয়েছে বেশ কয়েকটি নকশা। এছাড়াও অ্যান্টিক, রুপা এবং ডায়মন্ডের নথও মেয়েদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে।

৩) নোলক

ফ্যাশনে নোলক - shajgoj.com

আগে গ্রামাঞ্চলে নোলকের চল অনেক বেশি ছিলো। আজকাল মেয়েদের তেমন একটা নোলক পড়তে দেখা যায় না। কেও কেও হয়তো নিজের ফ্যাশনের ট্রেন্ড হিসেবে নোলককে বেছে নিচ্ছেন। এছাড়া নোলক তেমন একটা পড়তে দেখা যায় না।

(৪) নাকছাবি  

ফ্যাশনে নাকছাবি - shajgoj.com

 

নাকছাবি হচ্ছে এমন একটি ফ্যাশন অ্যাকসেসরি, যা চট করে পাল্টে দিতে পারে আপনার লুকটা। নাকছাবি খুবই ফ্যাশনেবল এবং আকর্ষনীয় একটি লুক নিয়ে আসে। এটি সোনালী রঙ এর হলে সবচেয়ে ভালো। সোনার তৈরি কিংবা ইমিটেশন ও হতে পারে। তবে ট্র্যাডিশনাল সাজ, শাড়ি কিংবা সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে সোনার নাকছাবিই বেশি মানাবে।

(৫) টিপ নাকফুল 

ফ্যাশনে টিপ নাকফুল - shajgoj.com

নাকফুল পড়তে সব মেয়েরাই পছন্দ করে। বিশেষ করে ট্র্যাডিশনাল সাজ দিলে নাকফুল না পড়লে সাজটা যেন অসম্পূর্ণই থেকে যায়। কিন্তু নাক ফোঁড়াতে অনেকেই পছন্দ করে না। আবার অনেকে ব্যথা পাওয়ার ভয়েও নাক ফোঁড়ায় না। কিন্তু তাই বলে কি নাকফুল পড়বে না? তা কি হয়? আজকাল বাজারে অনেক ধরনের টিপ নাকফুল পাওয়া যাচ্ছে। মেয়েরা নাক না ফোঁড়ালেও এখন খুব সহজেই নিজের নাকফুল পড়ার শখ পূরণ করে নিচ্ছে।

(৬) মারাঠি নথ

ফ্যাশনে মারাঠি নথ - shajgoj.com

এই নথটি মূলত মারাঠি মেয়েরা পড়লেও আজকাল ফ্যাশন জগতে এটি খুব ট্রেন্ডি। সাধারণ সোনা মুক্তা ও লাল-সবুজ পাথর দিয়ে তৈরি হয় এই মারাঠি নথ। এককালে নাক ফোঁড়ানো না থাকলে এই নথ পড়াটাই সম্ভব ছিল না। কিন্তু এখন ফলস মারাঠি নথও পাওয়া যায়। ফলে সাজতে চাইলে যখন খুশি পরতে পারেন এরকম নথ।

(৭) নাকপাশা

ফ্যাশনে নাকপাশা - shajgoj.com

এটি একটু বড় আকারের হয়ে থাকে। সাধারণত সোনালী রঙের নাকপাশাই মানানসই। কিন্তু বিভিন্ন ধরনের নাকপাশা আজকাল বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। যাদের নাক এবং ফেইস একটু বড় তাদের এই ধরনের পাশাগুলো বেশি মানাবে। ফেইস ছোট হলে এই নাকপাশাগুলো ব্যবহার না করাই ভালো।

(৮) ব্রাইডাল নথ

ফ্যাশনে ব্রাইডাল নথ - shajgoj.com

বিয়ের গয়নায় নথের আবেদনই সবচেয়ে বেশি। বউ সাজবেন আর নথ পড়বেন না তা কি হয়? বিয়ের সবচেয়ে আকর্ষণীয় গয়না হচ্ছে ব্রাইডাল নথ। কনের নাকে একবিন্দু ঝকমকে নথ চারদিকের আলো আরও বাড়িয়ে দেয়। বিভিন্ন ধরনের নথ ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে ওভারসাইজড নথের চাহিদা এখন একটু বেশি। হেভি নথ না পরতে চাইলে ছোট নথেও নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন। তবে মুখের আকার অনুযায়ী নথ সিলেক্ট করাই সবচেয়ে ভালো।

(৯) ট্রাইবাল নথ

ফ্যাশনে ট্রাইবাল নথ - shajgoj.com

এ ধরনের নথগুলো মাল্টি কালারের পাথর এবং পার্ল দিয়ে তৈরি হয়। অনেক কালারফুল হয় এই ট্রাইবাল নথ। শাড়ি, লেহেঙ্গা ইত্যাদি যেকোন আউটফিটের সাথে মানানসই এইসব নথ। ট্রাইবাল নথ আপনাকে খুবই দারুণ একটা লুক এনে দিবে।

আজকাল মেয়েদের ফ্যাশনে নাকফুল খুবই মূল্যবান স্থান গ্রহণ করে রেখেছে। যেকোন অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে কলেজ, ভার্সিটি কিংবা অফিসে মেয়েরা নোজপিন বা নাকফুল ব্যবহার করেই থাকে।

 

ছবি- সংগৃহীত: সাজগোজ

জুয়েলারি; ফয়সাল তুষার

The post ফ্যাশনে নাকফুল | জানুন অলংকরণের ইতিহাস ও ৯ ধরনের নোজ পিন সম্পর্কে! appeared first on Shajgoj.

ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক ৫টি প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানা আছে কি?

$
0
0

আজকাল আমরা অনেকেই ত্বকের ব্যাপারে কমবেশি সচেতন হয়েছি। সবাই অন্তত চেহারার কিছুটা যত্ন নেওয়ার চেষ্টা করি। ত্বককে সুন্দর, ঝকঝকে ও মোলায়েম করার জন্য আমরা বুঝে না বুঝে অনেক রকমের প্রোডাক্ট ব্যবহার করে ফেলি, এটা ঠিক না। আমাদের সবার ত্বকই আলাদা, তাই সবসময় সব কিছু সবার ত্বকে কাজ করে না।  মাঝে মাঝে ত্বকের উন্নতির বদলে এসব প্রোডাক্ট ব্যবহার করে ত্বকের ক্ষতিও হয়ে যায়। তাই চেহারায় কি মাখবেন না মাখবেন সে ব্যাপারে অনেক ভেবেচিন্তে, রিসার্চ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। তবে এখন যে পাঁচটি জিনিসের কথা বলবো, সেগুলো আপনি নির্দ্বিধায় এড়িয়ে যেতে পারেন। কারণ এসব ব্যবহারের কারণে আমাদের ত্বকের নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। চলুন জেনে নেই ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক প্রোডাক্টগুলো সম্পর্কে।

ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক ৫টি প্রোডাক্ট 

১) সাবান

ত্বকের জন্য সাবান ক্ষতিকারক - shajgoj.com

এটা খুবই আশ্চর্যজনক ব্যাপার যে বাজারে নানা রকমের ফেইসওয়াশ থাকার পরও অনেক মানুষ এখনো ত্বকে সাবান ব্যবহার করে। আমাদের শরীরের ত্বক সাবান সহ্য করতে পারলেও আমাদের চেহারার ত্বকের জন্য সাবান একদমই ভালো না। বাজারে কিছু হোয়াইটেনিং সাবান আছে যেগুলো মানুষ নির্দ্বিধায় ত্বকে ব্যবহার করে। কিন্তু বেশিরভাগ সাবান ব্যবহার করলে ত্বকের ময়েশ্চার চলে যায়, ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, বলিরেখা তাড়াতাড়ি দেখা যায়। এমনকি তৈলাক্ত ত্বকেও সাবান ব্যবহার করা উচিত না। কারণ আমাদের মস্তিষ্ক তখন ত্বকে সিগন্যাল পাঠায় আরও তেল উৎপাদন করার জন্য। তখন চেহারা আরও তেলতেলে হয়ে যায়। ফলে আরও বেশি পিম্পল উঠে। আমাদের অনেকের ধারণা তৈলাক্ত ত্বক হলেই আর ত্বকে ময়েশ্চারাইজ করতে হবে না। কিন্তু তৈলাক্ত ত্বকেও ময়েশ্চারাইজেশনের প্রয়োজন আছে। ত্বককে রুক্ষ করে দেওয়ার মতো কোন রকমের প্রোডাক্ট চেহারায় ব্যবহার করা উচিত না, ত্বক যতই তৈলাক্ত হোক না কেন। তাই যেকোন ধরনের সাবানই চেহারা থেকে দূরে রাখুন। কারণ সাবান ত্বকের  জন্য ক্ষতিকারক।

২) পেট্রোলিয়াম জেলি

আমরা অনেকেই ফেইসের ময়েশ্চারাইজেশন এর জন্য পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করি। মনে করি এতে চেহারার রুক্ষতা দূর হবে। কিন্তু আসলে এতে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। পেট্রোলিয়াম জেলি চেহারায় ব্যবহার করলে ত্বকের লোমকূপ গুলো বন্ধ হয়ে যায়। সেজন্য ত্বকে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি বেড়ে যায়।

৩) অ্যালকোহল সমৃদ্ধ প্রোডাক্ট

ত্বকের জন্য অ্যালকোহল সমৃদ্ধ প্রোডাক্ট ক্ষতিকারক - shajgoj.com

আমরা অনেকেই প্রোডাক্টের গায়ে উপাদান না দেখে আমাদের ত্বকে ব্যবহার করি। অনেক সময় আরেকজন চেহারায় কি ব্যবহার করে উপকার পেয়েছে সেটা দেখে হুট করে সেটাই ব্যবহার করে ফেলি, এটা দেখি না আমাদের ফেইসের ত্বকের ধরণ কেমন। কিন্তু আমাদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে ত্বকের জন্য কোন উপাদানগুলো ক্ষতিকর। রাবিং অ্যালকোহল (Rubbing alcohol) সব ধরণের ত্বকের জন্য খুব খারাপ। কারণ রাবিং অ্যালকোহল ব্যবহার করলে ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়, বয়স তাড়াতাড়ি বেড়ে যায়। অনেক মেকআপ রিমুভার, টোনার আমরা ত্বক পরিষ্কার করতে ব্যবহার করি কিন্তু সেগুলোতে অ্যালকোহল থাকে।

আমরা অনেক ধরনের মেকআপ রিমুভিং ফেস ওয়াইপ ব্যবহার করি মেকআপ তুলতে যাতে অ্যালকোহল থাকে। এমন ওয়াইপ কেনা উচিত যেটা অ্যালকোহল ফ্রি। মেকআপ তোলার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী ও সাশ্রয়ী একটি পণ্য হলো নারিকেল তেল। নারিকেল তেল দিয়ে আলতো করে চেহারা ম্যাসাজ করে কটন প্যাড বা টিস্যু দিয়ে মুছে ফেললে ত্বকের ক্ষতি হয় না, ত্বক মোলায়েম ও হয়। এছাড়াও আরেকটা প্রোডাক্ট আছে যেটা আমরা না বুঝেই চেহারার কাছাকাছি, ঘাড়ে, হাতে স্প্রে করি। সেটা হলো পারফিউম। আমাদের পারফিউমে প্রচুর পরিমাণ অ্যালকোহল থাকে যা ত্বকে কখনোই সরাসরি স্প্রে করা উচিত না, আর চেহারার কাছে তো অবশ্যই না। পারফিউম শুধু কাপড়ের উপর দিয়ে স্প্রে করা উচিত। এছাড়া শরীরের কোথাও মাখা উচিত না।

৪) শ্যাম্পু

অনেকেই গোসল করার সময় ইচ্ছাকৃত কিংবা অনিচ্ছাকৃতভাবে চেহারায়ও শ্যাম্পু লাগিয়ে ফেলে। আমাদের সচেতনভাবে এই কাজটি থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ আমাদের ত্বক চুলের চেয়ে আরও অনেক সেনসিটিভ। শ্যাম্পুর কেমিক্যাল আমাদের ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।

৫) বডি লোশন

ত্বকের জন্য বডি লোশন ক্ষতিকারক - shajgoj.com

আমাদের শরীরের ত্বক আর চেহারার ত্বকে অনেক পার্থক্য রয়েছে। যেসব প্রোডাক্ট বাকি শরীরে ব্যবহার করার জন্য তৈরি করা সেগুলো কখনোই ফেইসে ব্যবহার করা ঠিক না। এরকম হলে খুবই সহজ হতো যদি আমরা গায়ে লোশন মেখে সেই একই লোশন চেহারায়ও মেখে ফেলতে পারতাম। কিন্তু এরকম কখনোই করা উচিত না। কারণ বডি লোশন আমাদের চেহারার ক্রিমের চেয়ে আরও অনেক ঘন। তাই আমাদের ফেইসে ব্যবহার করলে লোমকূপ বন্ধ করে ফেলতে পারে। বেশিরভাগ লোশনেই সুগন্ধি যোগ করা থাকে যা আমাদের চেহারার ত্বকে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে। ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক প্রোডাক্টগুলোর মধ্যে বডি লোশন উল্লেখযোগ্য।

ত্বকের যত্ন অবশ্যই করবেন, কিন্তু লক্ষ্য রাখবেন যত্ন করতে গিয়ে ত্বকের ক্ষতি করে ফেলছেন না তো!! ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক প্রোডাক্টগুলো সম্পর্কে জেনে নিয়ে সঠিক যত্ন নিন। সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।

 

ছবি- সংগৃহীত: ইমেজেসবাজার.কম

The post ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক ৫টি প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানা আছে কি? appeared first on Shajgoj.

পটলের ভর্তা

$
0
0

ভর্তা বাঙ্গালিদের খুবই পছন্দনীয় একটি খাবার। অনেক ধরনের ভর্তাই আমরা খেয়ে থাকি। আজকে আমরা আপনাদের পটলের ভর্তা তৈরির পদ্ধতি জানাবো। চলুন তাহলে জেনে নেই পটলের ভর্তা কিভাবে খুব সহজেই অল্প সময়ে তৈরি করে নিবেন।

পটলের ভর্তা তৈরির পদ্ধতি

উপকরণ

  • পটল সেদ্ধ খোসা ছাড়া- ১.৫ কাপ
  • চিংড়ি মাছ সেদ্ধ- ৫-৬টি
  • সরষে বাটা- ১ চা চামচ
  • রসুন- ১ কোয়া
  • শুকনা মরিচ ভাজা- ৩-৪ টি
  • পেঁয়াজ কুঁচি- ১.৫ টেবিল চামচ
  • লবণ- পরিমাণমতো
  • ধনেপাতা- স্বাদমতো

প্রস্তুত প্রণালী

১) প্রথমে একটি পাত্রে সেদ্ধ পটল নিয়ে তাতে সরষে বাটা ও চিংড়ি মাছ সেদ্ধ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিবো।

২) তারপর একটি প্যানে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ ও রসুন হালকা করে ভেজে নিবো।

৩) ভাজা পেঁয়াজ ও রসুন পটলের মধ্যে দিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে।

৪) মেশানো হলে শুকনা মরিচ, লবণ ও ধনেপাতা দিয়ে মাখিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার পটল ভর্তা।

গরম ধোয়া উঠা ভাতের সাথে খেতে খুব ভালো লাগে এই ভর্তাটি। দেরি না করে আজই তৈরি করুন এবং উপভোগ করুন মজাদার পটল ভর্তা।

 

ছবি- সংগৃহীত: সাজগোজ; পিন্টারেস্ট.কম

The post পটলের ভর্তা appeared first on Shajgoj.

নন্দিত নরকে |হুমায়ুন আহমেদের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস

$
0
0

বিংশ শতাব্দীতে বাংলাদেশে লেখালেখি ভুবনের প্রবাদ পুরুষ, জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক, বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তী- শ্রদ্ধেয় হুমায়ূন আহমেদ! বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী শ্রেষ্ঠ লেখক হিসেবে তাঁকে বিবেচনা করা হয়। সত্তর দশকের শেষ ভাগ থেকে শুরু করে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনিই ছিলেন একমাত্র বাংলা গল্প উপন্যাসের অপ্রতিদ্বন্দ্বী কারিগর। আজও তার জনপ্রিয়তা আকাশ স্পর্শী। তিনি একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোট গল্পকার, নাট্যকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং গীতিকার। তিনি বেশ কিছু সায়েন্স ফিকশন লিখেও কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। তিনি তার প্রতিটা গল্প উপন্যাসে মধ্যবিত্ত জীবনের চলমান কথকতা এমন সহজ সরলভাবে উপস্থাপন করেছেন, যার জন্য পাঠকরা মন্ত্রমুগ্ধের মতো আচ্ছাদিত হয়ে থাকে। মনে হয় তিনি যেন আমাদের প্রত্যেকের গল্পই বলছেন। তার বেশ কিছু গ্রন্থ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে এবং বেশ কিছু স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যসূচীর অন্তুর্ভুক্ত করা হয়েছে। তার রচিত গল্পগ্রন্থ ও উপন্যাসের সংখ্যা প্রায় ২০০ এর উপরে।

লেখক হুমায়ুন আহমেদের জলচিত্র - shajgoj.com

প্রথম উপন্যাস নন্দিত নরকে’র মাধ্যমেই সাহিত্য অঙ্গনে তার আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল। যদিও তার প্রথম লিখিত উপন্যাস ছিল “শঙ্খনীল কারাগার” কিন্তু নন্দিত নরকে তার প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস। ১৯৭০ সালে লিখিত এই উপন্যাস ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রকাশ করা সম্ভব হয় নি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ঢাকা থেকে প্রকাশিত মাসিক “মুখপাত্র” নামের একটি সংকলনে নন্দিত নরকে উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়। তার লেখনিতে আকৃষ্ট হয়ে বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবি ও সাহিত্যিক আহমদ সফা উপন্যাসটি পুস্তকাকারে প্রকাশের উদ্যোগ নেন। উপন্যাসটি তখন খান ব্রাদার্স এন্ড কোং কর্তৃক গ্রন্থাগারে প্রথম প্রকাশিত হয়। প্রখ্যাত বাংলা ভাষা শাস্ত্র পন্ডিত আহমদ শরীফ স্ব-প্রণোদিত হয়ে এ উপন্যাসটির ভূমিকা লিখে দিয়েছিলেন। প্রথম প্রকাশিত উপন্যাসেই সফলতার মুখ দেখেছিলেন তিনি। পরবর্তীতে ২০০৬ সালে এই উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্রও নির্মাণ করা হয়। অসংখ্য গল্প উপন্যাস সৃষ্টির জনক হুমায়ূন আহমেদের অন্যতম জনপ্রিয় উপন্যাস “নন্দিত নরকে” নিয়ে আমি আজ ছোট্ট একটি রিভিউ দিচ্ছি।

নন্দিত নরকে বইয়ের বিবরণ

১. বইয়ের নাম- নন্দিত নরকে 

২. ধরন- সামাজিক

৩. লেখক- হুমায়ূন আহমেদ (১৯৪৮-২০১২)

৪. প্রকাশনাকাল- ১৯৭২

৫. প্রকাশক- খান ব্রাদার্স এন্ড কোং (প্রথম প্রকাশ), দিব্য প্রকাশ (দ্বিতীয় প্রকাশ)

৬. প্রচ্ছদ- প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ও সাহিত্যিক মুহম্মদ জাফর ইকবাল (প্রথম সংস্করণ), বিখ্যাত চিত্র শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী (দ্বিতীয় সংস্করণ), ধ্রুব-এষ (তৃতীয় সংস্করণ)

কাহিনী সংক্ষেপ

উপন্যাসটি খুব সাধারণ একটা নিম্নবিত্ত পরিবারের জীবন সংগ্রাম নিয়ে লেখা, যে পরিবারেরই মানসিক বিকারগ্রস্ত মেয়ে রাবেয়া। রাবেয়াকে ঘিরেই পুরো গল্পের পটভূমি। এছাড়া এ গল্পে আছে মা, বাবা, ভাই, বোন, শফিক সহ অনেকেই। চার ভাই-বোনের মধ্যে বড় মেয়ে রাবেয়া বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। তার এক বছরের ছোট খোকা যে কিনা মাস্টার্স পরীক্ষার্থী, এর পর বেখেয়ালী স্বভাবের মন্টু, যে রাবেয়ার বাবার প্রথম বউ এর ছেলে আর সবচেয়ে ছোট মেয়ে রুনু। ছয় সদস্যের এ পরিবারটির সাথে থাকে তাদের বাবার ভার্সিটি জীবনের বন্ধু শফিক। শফিক সাহেবকে তাদের বাবা তাদের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিলেন। শফিক একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন সেই সাথে রাবেয়াদের ভাই-বোনদের পড়ান।

উপন্যাসটিতে লেখক পাশের বাড়ির ধনী পরিবারের মেয়ে শিলু ও তার ভাই হারুনকেও তুলে এনেছেন। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী রাবেয়ার প্রতি হারুনের রয়েছে দূর্বলতা আর শিলুকে নিয়ে আছে খোকার মনে চাপাপড়া আবেগের ঘটা, যা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের কাছে স্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই নয়। পুরো গল্পটি জুড়েই আছে একটি পরিবারের দুঃখ ও কষ্টের এক বিষাদ বর্ণনা।

"নন্দিত নরকে" হুমায়ুন আহমেদের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস - shajgoj.com

চৈত্রের এক দুপুরে হঠাৎ একদিন রাবেয়া হারিয়ে যায়! অনেক খুঁজাখুঁজি করেও তাকে যখন পাওয়া যাচ্ছিলো না। তখন স্কুল থেকে ফেরার সময় মাস্টার কাকা তাকে পেয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে। কিছুদিন যাওয়ার পর হঠাৎ রাবেয়ার শারীরিক পরিবর্তন ধরা পরতে থাকে! তখন তার মা শাহানার বুঝতে অসুবিধা হয় না যে রাবেয়া সন্তান সম্ভবা। কিন্তু মানসিকভাবে অসুস্থ রাবেয়া মা, ভাই এর শত জিজ্ঞাসার পরও কিছুই বলতে পারে না! বাবা তখন রাবেয়াকে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। সামাজিক লোক লজ্জার ভয়ে একদিন ভোর বেলায় নিজ ঘরেই রাবেয়াকে গোপনে গর্ভপাত করানো হয়। কিন্তু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে রাবেয়া মারা যায়!এই ঘটনায় মন্টু মাস্টার কাকাকে দায়ী করে বাড়ি ভর্তি লোকজনের সামনেই তাকে ধারালো বটি দিয়ে কুপিয়ে খুন করে। পুলিশ মন্টুকে ধরে নিয়ে যায় আর ঠান্ডা মাথায় মাস্টারকে খুন করার অপরাধে তার ফাঁসির রায় হয়ে যায়। গল্পে লেখক রাবেয়া কার লালসার স্বীকার হয়েছিল তা সরাসরি না বললেও পাঠকরা গল্প পড়ে বা মাস্টার কাকার উপর মন্টুর এরূপ আক্রমণে বুঝতে পারবে যে মাষ্টারই তার সর্বনাশ করেছিল। উপন্যাসের শেষ অংশটি লেখক খুবই করুণভাবে উপস্থাপন করেছেন। জেল গেটে একজন দুঃখ-শোকে কাতর বাবা আর অসহায় এক ভাই ভোর রাতে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে তাদের প্রিয় মন্টুর মৃতদেহের অপেক্ষায়!

হুমায়ুন আহমেদের আয়ুষ্কাল - shajgoj.com

শেষ কথা

উপন্যাসটিতে বাইরের দুনিয়ায় মেয়েরা যে কতটা অনিরাপদ সেটাই রাবেয়ার জীবনের করুণ পরিণতির মাধ্যমে লেখক বুঝিয়ে দিয়েছেন। সবদিক দিয়ে বিবেচনা করলে বলা যায় “নন্দিত নরকে” হুমায়ূন আহমেদের এক অনবদ্য সৃষ্টি। এক কথায় শ্রেষ্ঠ একটি উপন্যাস!

 

ছবি- সংগৃহীত: সাজগোজ; বাংলা আওয়ার.কম; বই পড়ি.কম

The post নন্দিত নরকে | হুমায়ুন আহমেদের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস appeared first on Shajgoj.

ছোট মাছের চচ্চরি

$
0
0

বাঙ্গালিরা সবসময়ই মাছের ভক্ত। ছোট বড় সব ধরনের মাছই আমরা পছন্দ করে খেয়ে থাকি। বাঙ্গালিরা বিয়ে থেকে শুরু করে যেকোন অনুষ্ঠানে মাছের একটা আইটেম করেই থাকে। আজকে আমরা আপনাদের ছোট মাছ দিয়ে তৈরি মজাদার ছোট মাছের চচ্চরি রান্নার পদ্ধতি জানাবো। যেকোন ছোট মাছ দিয়েই তৈরি করতে পারবেন সুস্বাদু এই আইটেমটি।

ছোট মাছের চচ্চরি তৈরির পদ্ধতি

উপকরণ

  • যেকোন ছোট মাছ- ৩০০ গ্রাম
  • পেঁয়াজ কুঁচি- ১ কাপ
  • কাঁচামরিচ ফালি- ৬-৮ টি
  • গুঁড়া মরিচ- ১/২ চা চামচ
  • হলুদ গুঁড়া- ১/২ চা চামচ
  • ধনে গুঁড়া- ১/২ চা চামচ
  • তেল- ১/২ কাপ
  • লবণ- পরিমাণমতো
  • পানি- পরিমাণমতো
  • ধনেপাতা কুঁচি- ২ টেবিল চামচ

প্রস্তুত প্রণালী 

১) প্রথমে মাছ কেটে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।

২) এবার একটি প্যানে তেল দিয়ে তাতে পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচ ফালি দিয়ে একটু লাল করে ভেজে নিবো।

৩) এবার একটি পাত্রে ছোট মাছ নিয়ে তাতে সব মসলা দিয়ে ভালো করে মেখে নিতে হবে।

৪) তারপর মাখিয়ে রাখা মাছ প্যানে দিয়ে ঢেকে রেখে অল্প আঁচে রান্না করতে হবে। পানি শুকিয়ে আসা পর্যন্ত ঢেকে রাখবেন।

পানি শুকিয়ে গেলে নামিয়ে ধনেপাতা দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার ছোট মাছের চচ্চরি। গরম ভাতের সাথে খেতে খুবই ভালো সুস্বাদু এই আইটেমটি। চটজলদি রান্না করে ফেলুন এবং উপভোগ করুন মজাদার ছোট মাছের চচ্চরি।

 

ছবি- সংগৃহীত: সাজগোজ;ইউটিউব

The post ছোট মাছের চচ্চরি appeared first on Shajgoj.

অয়েলি-কম্বিনেশন ত্বক |মর্নিং স্কিন কেয়ার রুটিন কেমন হবে?

$
0
0

ঘুম থেকে ওঠার পর সারাদিনের জন্য স্কিনকে প্রিপেয়ার করা অনেক জরুরি। চলুন তাহলে দেখে নেই সিম্পল কিছু স্টেপ নিয়ে অয়েলি টু কম্বিনেশন স্কিনের জন্য ঝটপট বেসিক মর্নিং স্কিন কেয়ার কিভাবে করা যায়!

ভিডিও টিউটোরিয়াল – সাজগোজ ডট কম

The post অয়েলি-কম্বিনেশন ত্বক | মর্নিং স্কিন কেয়ার রুটিন কেমন হবে? appeared first on Shajgoj.

উরুর ফ্যাট কমাতে কিছু কার্যকরী কৌশল সম্পর্কে জানা আছে কি?

$
0
0

আমাদের কারও শরীরের শেপ জন্মগতভাবে একেবারে পারফেক্ট থাকে না। অনেকের শরীরের উপরের অংশ খুব একটা মোটা না থাকলেও নিচের অংশ অর্থাৎ উরু বেশ মোটা হয়। শরীরের উপরের অংশের চেয়ে নিচের অংশে মেদ জমে বেশি। বিশেষ করে উরুর দিকে অনেক বেশি মেদ জমে শরীরের গঠন নষ্ট করে ফেলে। উরু কমাতে যেয়ে রীতিমত ঘাম ছুটে যায় সকলের। সঠিক ব্যায়াম, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আর সঠিক ডায়েট মেনে চললেই আমরা আমাদের উরুর ফ্যাট কমাতে পারি।

উরুর ফ্যাট কমাতে কার্যকরী কৌশল 

প্রথমেই আসি খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন নিয়ে

উরুর ফ্যাট কমাতে শাকসবজি - shajgoj.com

যতটা পারা যায় কম ক্যালোরি যুক্ত খাবার খেতে হবে, বেশী করে ফলমূল আর শাকসবজি খেতে হবে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার ফ্যাট কমানোর জন্য ভালো কাজ করে। সেই সাথে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। তবে আপনি যদি লো ক্যালোরি ডায়েট চার্ট ফলো করেন তাহলে অবশ্যই জেনে রাখা দরকার কোন কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ ডায়েট চার্ট মেনেও ওই সব খাবারগুলো খেলে কিন্তু কোন লাভ হবে না। যেমন রুটি, কেক, পাস্তা এগুলো বাদ দিলেই ভালো। এছাড়া প্রসেসড ফুড কম খেতে হবে। শর্করা জাতীয় সবজি যেমন আলু, বীজ এসব সবজি একটু কম খাওয়া ভালো। যতটা পারা যায় সবুজ শাকসবজি খেতে হবে।

নীচে কয়েকটি ডায়েট নিয়ে আলোচনা করা হলো যা আমাদের উরুর ফ্যাট কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে- 

(১) এটকিন্স ডায়েট (Atkins Diet): কয়েক বছর ধরে এটকিন্স ডায়েট ওজন কমানোর ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। বিশেষ করে স্বল্পমেয়াদী, সহজ এবং খুব জনপ্রিয় একটি লো-কার্ব ডায়েট এটি। এ ডায়েটে শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বল্প কার্বহাইড্রেটযুক্ত খাবার গ্রহণে উৎসাহ দেয়া হয়। অতিরিক্ত কার্বহাইড্রেটের (Carbohydrates) পরিমাণ মানব দেহে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। শরীরে তখন শক্তি কমে যায় আর ফ্যাট জমতে থাকে বেশি।   

উরুর ফ্যাট কমাতে এটকিন্স ডায়েট - shajgoj.com

এটকিন্স ডায়েট যারা গ্রহণ করবেন তারা প্রোটিন এবং চর্বিজাতীয় খাবার খেতে পারবেন কিন্তু শর্করা খাওয়া বাদ দিতে হবে। এ ডায়েট আপনার শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমায় এবং কম কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করে চর্বি তৈরি হওয়া রোধ করে। ফলে শরীরের অন্যান্য অংশের সাথে আপনার উরুর ফ্যাট কমাতেও সাহায্য করে এটকিন্স ডায়েট।

(২) কিটো ডায়েট(Keto Diet): একেবারে সীমিত মাত্রার কার্বহাইড্রেট এবং উচ্চ মাত্রার চর্বি জাতীয় খাবার গ্রহণ এ ডায়েটের প্রধান বৈশিষ্ট্য। সারাদিনে  মাত্র ৫% পর্যন্ত শর্করা গ্রহণ করতে হয় এ ডায়েটে। কেবল মনে রাখতে হবে খাবারে যেন কোন চিনি বা অতিরিক্ত শর্করা না থাকে। আপনার উরুর ফ্যাট কমাতে অনেক কার্যকরী এই কিটো ডায়েট। 

উরুর ফ্যাট কমাতে কিটো ডায়েট - shajgoj.com

(৩) পালিও ডায়েট(Paleo diet): যারা প্রসেসড ফুড এর উপর নির্ভরশীল তারা যদি এসব খাবারের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে চান তাদের জন্য বিশেষ করে এই ডায়েট তৈরি করা হয়েছে। ফ্যাট  জাতীয় খাবার কে বর্জন করে এমন খাবার এই ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যাতে অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। সাথে পরিমিত প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে এবং পরিমিত খাবার খেতে হবে।  তবে এখন পর্যন্ত অনেকেই এই ডায়েটকে আসলে ডায়েট বলে মেনে নিতে নারাজ। কেননা এই ডায়েট আপনার শরীরের চাহিদা অনুযায়ী কতটা কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন আর ফ্যাটের দরকার তা বিচার করে না। এর মূল উদ্দেশ্য কেবল আপনার খাদ্য তালিকা থেকে প্রসেসড ফুড সরিয়ে প্রাকৃতিক খাবারকে একত্রিত করা। নিজের শরীর বুঝে অন্য যেকোনো ডায়েট এর সাথে এই ডায়েট-টি সমানভাবে ফলো করতে পারেন।

উরুর ফ্যাট কমাতে পালিও ডায়েট - shajgoj.com

আসুন জেনে নেই এমন কয়েকটি ব্যায়াম সম্পর্কে, যা করলে আমরা আমাদের উরুর ফ্যাট থেকে মুক্তি পেতে পারি।

(৪) স্কোয়াট ব্যায়াম: এই ব্যায়াম পায়ের মাসলের শেপ সুন্দর করে এবং উরুর ফ্যাট কমায়। এটি একটি স্ট্রেংথ ট্রেনিং (strength training) ব্যায়াম। স্কোয়াট ব্যায়ামে পায়ের মাসল গুলোকে ব্যবহার করার পাশাপাশি কোমর, পেট, ব্যাক, ঘাড়, হাত ইত্যাদিরও ব্যবহার হয়। শরীরের এই অংশ গুলোকেও স্কোয়াট এর সময় কাজে লাগানো হয়, তাই স্কোয়াটকে এক কথায় পুরা বডির ব্যায়াম বলা হয়।  

কিভাবে স্কোয়াট করবেন?

১. প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়ান। হাত কাঁধ বরাবর সোজা রাখুন, মাথাও একবারে সোজা রাখুন। পায়ের পাতা সোজা সামনের দিকে রাখুন, মাথা সোজা সামনের দিকে, দৃষ্টি সামনের দিকে থাকবে। পেট ভেতরের দিকে টেনে রাখুন, হাঁটু পায়ের পাতা বরাবর একদম সোজা থাকবে।

২. এবার পা দু’টো মোটামোটি দুরত্বে রেখে  দাড়ান। খুব বেশিও না বা খুব কম না, আপনার সুবিধা মতো দুরত্ব রাখুন।

৩. ধীরে ধীরে হাঁটু সামনের দিকে হিপ সহ ভাঙ্গতে থাকুন ও মেঝের দিকে নামতে থাকুন। মনে করুন আপনি পা দুরত্বে রেখে চেয়ারে বসতে যাচ্ছেন। এই সময়ে শরীর থাকবে উপরের দিকে একদম সোজা, বিশেষ করে মেরুদন্ড একদম সোজা থাকতে হবে। আর হিপ ও থাই থাকবে মেঝের সাথে সমান্তরাল। এসময় জোরে নিঃশ্বাস নিতে হবে।  

৪. শরীরের ব্যালেন্স ঠিক রাখার জন্য হাত দুটো সামনে শরীর থেকে বাইরের দিকে কাঁধ বরাবর রাখতে পারেন। এখন আপনার বডির পুরোটা সামনের দিকে সামান্য ঝুঁকে থাকবে এবং হিপ পেছনের দিকে নামবে। এই অবস্থায় কয়েক সেকেন্ড থাকুন। এখন আপনি আপনার হাঁটু থেকে হিপ পর্যন্ত স্ট্রেচ (stretch) অনুভব করবেন এসময় শ্বাস থাকবে স্বাভাবিক।   

উরুর ফ্যাট কমাতে স্কোয়াট ব্যায়াম - shajgoj.com

৫. এবার আস্তে আস্তে আগের অবস্থায় আসুন। মনে করুন আপনি চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়াচ্ছেন। উঠার সময় জোরে নিশ্বাস ছাড়ুন। উঠার সময়ও উরুর মাসলে চাপ অনুভব করবেন। আর উঠার সময় থাই ব্যবহার করতে হবে, চেস্ট দিয়ে উঠবেন না। পায়ের পাতায়ও সামান্য চাপ অনুভব হবে, পেট ভেতরের দিকে টানা থাকবে ও পিঠ সোজা থাকবে। সুবিধার জন্য পেছনে একটি চেয়ার দিয়ে নিতে পারেন, কিন্তু চেয়ারে বসবেন না।  

৬. হাঁটুতে বেশি চাপ দিবেন না, হাঁটু পায়ের পাতার চাইতে বেশি বাইরের দিকে যাবে না বা নিচের দিকেও ঝুকবে না।

৭. নামার বা উঠার সময় দুই হাঁটুই একই ভাবে থাকবে। নামার বা উঠার সময় দুই পায়ের উপর সমান ভাবে চাপ পড়বে। বেশি তাড়াহুড়ো করতে যাবেন না, তাহলে মাসলে ব্যথা লাগবে।   

সাঁতার

উরুর অতিরিক্ত ফ্যাট কমাতে হলে সাঁতার কাটতে পারেন। সাঁতারের মাধ্যমে যেহেতু শরীরের সব অংশেরই ব্যায়াম হয়, সেই সাথে এটি পায়ের উপরও চাপ ফেলে। ফলে এটি শরীরের অন্যান্য অংশের সাথে উরুরও ফ্যাট কমায়।

এই ব্যায়ামগুলো  নিয়মিত করলে আপনার উরুর ফ্যাট পুরো কমে যাবে। আপনি পাবেন পছন্দমতো ফিগার।

 

ছবি- সংগৃহীত: ইমেজেসবাজার.কম; সিম্পলমোস্ট.কম ; লস্টবার্ড.ভিএন

The post উরুর ফ্যাট কমাতে কিছু কার্যকরী কৌশল সম্পর্কে জানা আছে কি? appeared first on Shajgoj.


মেকআপ ফর গ্লাস ইউজার’স |চশমা ব্যবহারকারীদের কেমন সাজ চাই?

$
0
0

চশমা বা গ্লাসেস এর সাথে মেকআপ কেমন হবে তা নিয়ে অনেকেই যথেষ্ট কনফিউজড থাকেন। চলুন তাহলে দেখে নেই মেকআপ ফর গ্লাস ইউজার’স টিউটোরিয়ালটি, যে লুক সব স্টাইল ও ফ্রেমের সাথেই মানিয়ে যাবে!

ভিডিও টিউটোরিয়াল – সাজগোজ ডট কম

The post মেকআপ ফর গ্লাস ইউজার’স | চশমা ব্যবহারকারীদের কেমন সাজ চাই? appeared first on Shajgoj.

মায়ের যত্ন |বাচ্চা হওয়ার পর সেলফকেয়ার কিভাবে করবেন?

$
0
0

মা হওয়া পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর অনুভূতিগুলোর মধ্যে একটি। এই মাতৃত্বের জন্য একজন নারীকে দীর্ঘ ১০ মাস এক নাজুক শারীরিক ও মানসিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। মা হওয়ার পরবর্তী কয়েক মাস বা কয়েক বছর পর্যন্ত চলে এই টানাপোড়েন। কিন্তু মা হওয়া মানেই যে পুরোনো “আমি” কে হারিয়ে ফেলা তা কিন্তু নয়। সন্তান জন্মের পর নবজাতকের প্রতি সমস্ত মনোযোগ ও যত্ন নেয়ার ফলে নিজের প্রতি যত্ন নেওয়া হয় কম। অথচ মায়ের যত্ন নেয়াটাও অনেক জরুরি। তাহলে চলুন দেখা যাক মা হবার জন্য কী কী পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায় ও কিভাবে নিজের যত্ন নেয়া উচিত সে সম্পর্কে!

একজন মেয়ে থেকে মা হবার পথে পরিবর্তনসমূহ

গর্ভধারণ থেকে শুরু করে প্রসব পরবর্তী সময়গুলোতে একজন নারীর অনেক মানসিক ও শারীরিক পরিবর্তন হয়। বিশেষ করে ত্বক, স্বাস্থ্য ও চুলের ক্ষেত্রে অপরিমেয় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এছাড়া ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যাতো আছেই। গর্ভাবস্থায় ওজন বাড়াটাই স্বাভাবিক। প্রসব পরবর্তী সময়ে যেহেতু মা শিশুকে স্তন্যপান করান সেহেতু তার খুব বেশি খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করাও উচিত না। এসময়ে একজন নারীর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ক্যালরিযুক্ত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন।বিশেষজ্ঞদের মতে- “সন্তান জন্মের পর মা আবার আগের স্বাভাবিক ওজন ফিরে পেতে পারেন, যদি কিছু ব্যাপারে খেয়াল রাখা হয়।” শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য মাকে বেশি করে খেতে হবে এটা যেমন ঠিক, তেমনি খেয়াল রাখতে হবে যেন প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাওয়া না হয়। সেই সাথে মাকে স্বাভাবিক কাজকর্মও করে যেতে হবে।

প্রসবের পর কিছু সাধারণ ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়। যেমন-

১) ফাটা দাগ

ওজন বৃদ্ধির কারণে প্রসবের পর মহিলাদের শরীরের অনেক অংশে বিশেষ করে পেটে প্রসারণ চিহ্ন বা ফাটা দাগ দেখা দেয়। এ নিয়ে প্রায় সব মা-ই অস্বস্তিতে ভুগেন।

২) চোখের নীচে ফোলাভাব ও কালি পড়া

শিশু জন্মের পর হরমোনের পরিবর্তন এবং ঘুমের অভাবের ফলে চোখের নীচে ফোলাভাব ও কালো দাগ দেখা দেয়। প্রসব পরবর্তীতে যে ক্লান্তি থাকে যা চোখ প্রকাশ করে। আর শিশুকে খাওয়ানোর জন্য বার বার জেগে ওঠার কারণে কালো দাগ পড়ে যায়।

৩) ব্রণের সমস্যা

গর্ভাবস্থার সময় বা পরে শরীরে উচ্চ প্রোজেস্টেরনের মাত্রা ব্রণ তৈরি করতে পারে।

৪) মানসিক অবসাদ

সন্তান জন্মের পর অনেক মায়েরাই মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পরেন। একে তো নিজের শারীরিক পরিবর্তন তার সাথে পুরোনো রুটিন পরিবর্তন আর বাড়ির সবার বাচ্চার প্রতি মনোযোগের কারণে নতুন মায়ের প্রতি অমনোযোগ সব মিলিয়ে মায়েরা অবসাদে ভুগতে থাকেন।

মায়ের যত্ন যেভাবে নেয়া যাবে

একজন মা চাইলেই খুব সহজে ফিরে পেতে পারেন আগের মতো ফিটনেস। প্রয়োজন নিজের প্রতি সামান্য যত্নশীল হলেই। কিভাবে চলুন দেখে নেই তবে-

১) স্ট্রেচ মার্ক দূরীকরণ

পেটে প্রসারণ চিহ্ন বা ফাটা দাগ দূর করার জন্য অলিভ অয়েলের তুলনা হয় না। কোনো ঝামেলা ছাড়াই অল্প সময়ে দূর করা যাবে এই দাগ। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে দাগের ওপর অলিভ অয়েল লাগিয়ে শুয়ে পড়ুন এবং সকালে গোসল করে ফেলুন। এতে ত্বক থাকবে মসৃণ। দেখবেন কিছুদিন পর দাগ হালকা হওয়া শুরু হয়েছে। অ্যান্টি স্ট্রেচ মার্ক ক্রিম ব্যবহার করলেও ভালো ফল পাবেন। এছাড়াও পেটের দাগ দূর করার আরো নানা রকম ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে।

২)  হালকা কিছু ব্যায়াম করুন

নরমাল ডেলিভারি হলে অন্তত দেড় মাস এবং সিজারিয়ান হলে অন্তত তিন মাস থেকে ছয় মাস কোন প্রকার ভারী ব্যায়াম করা উচিত না। কিন্তু প্রতিদিন হাঁটা এবং ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করাটাকে ইদানিং চিকিৎসকরা উৎসাহ দিয়ে থাকেন। এই হাঁটাহাঁটি শুরু করা যায় একেবারে ৩/৪ সপ্তাহ পর থেকেই। তলপেটের চামড়া, পেশি ও অঙ্গগুলোকে পুনরায় টাইট করার জন্য পেলভিক এক্সারসাইজও শুরু করতে হবে একবারে প্রথম দিকেই।

৩) নিয়মিত ব্রেস্ট ফিডিং করান

ব্রেস্ট ফিডিং বা স্তন্যপান করানোর মাধ্যমে একজন মা প্রতিদিন প্রচুর ক্যালরি খরচ করেন। সত্যিকার অর্থে ব্রেস্ট ফিডিং-ই হচ্ছে মায়ের ওজন কমানোর সবচেয়ে প্রথম ও ভালো পদ্ধতি। ব্রেস্ট ফিডিং শুধু শিশুর জন্যই যে দরকার তা নয়, মায়ের হরমোনাল ও মানসিক শারীরিক পরিবর্তনের জন্যও এটি সহায়ক।

৪) ত্বক ও চুলের যত্ন

প্রচুর পানি পান করুন। এতে ত্বক হাইড্রেটেড থাকবে এবং ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফিরে আসবে। সময়মতো ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস নতুন মায়ের ত্বক ও শরীরকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে। গর্ভাবস্থায় হরমোনের তারতম্যের কারণে মুখ সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বাদামী বা কালো ছোপ ছোপ দাগ পড়ে। এগুলোকে মেলাজমা বা মেছতা বলে। গর্ভাবস্থার পর এই হরমোন ধীরে ধীরে হ্রাস পায় যার কারণে দাগগুলোও ধীরে ধীরে মুছে যায়। ব্রণের জন্য ভালো ক্লেনজার ব্যবহার করুন ও মুখ পরিষ্কার রাখুন। আর সবসময় সানস্ক্রিন ব্যবহারতো অবশ্যই করতে হবে। এছাড়াও সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খান। সুষম খাবার খাওয়ার পাশাপাশি চুলের যত্নও নিতে হবে। ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স, ভিটামিন-ই, আইনোসিটোল, জিংক, বায়োটিন ও কো-এনজাইম কিউ-১০ চুলের উপকারী বন্ধু।

৫) যা আপনার পছন্দ তাই পরবেন

সন্তান জন্মের পর শারীরিক পরিবির্তন ও মুটিয়ে যাওয়ার কারণে পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে মায়েরা হীনমন্যতায় ভুগেন। ভাবেন কোন পোশাকেই তাদের মানবে না। এসব চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দিয়ে নিজের যা পছন্দ তাই পরবেন। নিজের পছন্দের পোশাকে নিজেকে সাজান, এতে করে মন ভালো থাকবে। নিজের পছন্দ মতো বই পড়ুন, গানও শুনতে পারেন। একজন নতুন মায়ের মন ফুরফুরে থাকলে সন্তানের উপরও ভালো প্রভাব পড়ে।

৬) অন্য মায়েদের সাথে তুলনা বন্ধ করুন

পাশের বাড়ির ভাবী সন্তান জন্ম দেয়ার পরও কী সুন্দর শরীর ফিট রেখেছে বা ত্বক কত সুন্দর, কোন পরিবর্তন হয় নি, অনেক সুন্দর দেখায় তাকে অথচ আমি কেন এত মোটা হয়ে গেলাম, আমার ত্বক কেন উজ্জ্বলতা হারালো-এসব তুলনা বন্ধ করুন। ঐ মানুষটা আর আপনিতো এক না, দু’জনেই আলাদা দুটো মানুষ। দু’জনের স্বভাব, ব্যক্তিত্ব, রুচি, মানসিকতা সব আলাদা। কাজেই কেন আপনি অন্য মায়েদের সাথে নিজেকে তুলনা করবেন? নিজের স্বাভাবিক সৌন্দর্য আবার কিভাবে ফিরিয়ে আনা যায় আর ফিট হওয়া যায় সেইভাবে নিজের যত্ন নিন।

৭) পজেটিভ চিন্তা করুন

নিজেকে নিয়ে পজেটিভ চিন্তা করুন। এতে আপনার, আপনার সন্তান এবং পরিবার সব কিছুতেই ভালো প্রভাব পরবে। সন্তান ধারন থেকে জন্ম দেয়ার পর আপনাকে যেসব সমস্যার ভেতর দিয়ে যেতে হয় এগুলো সব সাময়িক সমস্যা। সময়ের সাথে সাথে আর আপনার চেষ্টায় সব আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। এই পজেটিভ চিন্তা যদি সবসময়  মাথায় রেখে চলেন তাহলে আপনি দ্রুত আপনার আগের ফিটনেস ফিরে পাবেন।

আশা করি লেখাটি সবার ভালো লাগবে। মায়েদেরও অধিকার রয়েছে নিজের জন্য একটু ভাবা। এতে কেউ স্বার্থপর হয়ে যায় না বরং মায়ের মানসিক ও শারীরিক উভয় শক্তিই দৃঢ় হয়। আর এই শক্তিই তাকে করে তোলে একজন মহীয়সী নারী। প্রসব পরবর্তীকালীন কোন সমস্যাই যে স্থায়ী নয় এটা মনে রাখলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আজ এ পর্যন্তই। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন!

আর হ্যাঁ, নিজের যত্নে অথেনটিক প্রোডাক্ট কিনতে মায়েরা তা কিনতে পারেন অনলাইনে শপ.সাজগোজ.কম থেকে আর সাজগোজের দুটি ফিজিক্যাল শপ থেকে যা সীমান্ত স্কয়ার ও যমুনা ফিউচার পার্কে অবস্থিত।

ছবি- সংগৃহীত: সাজগোজ; ইমেজেসবাজার.কম

The post মায়ের যত্ন | বাচ্চা হওয়ার পর সেলফকেয়ার কিভাবে করবেন? appeared first on Shajgoj.

জাফরান এর কার্যকারিতা ও উপকারিতা সম্পর্কে জানা আছে কি?

$
0
0

আমরা সবাই কিন্তু স্যাফরন অথবা জাফরান সম্পর্কে শুনি বা জানি। কেউ কেউ ব্যবহারও করি। কিন্তু এটি এতোটাই ব্যয়বহুল যে সবার পক্ষে ব্যবহার করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। কিন্তু অল্প পরিমাণ জাফরান ব্যবহার করেই এর উপকারিতা পাওয়া যায় তাই সেই দিক চিন্তা করলে অনেকটাই সাশ্রয়ী। এই ন্যাচারাল এবং জনপ্রিয় উপাদানটির উপকারিতাও কিন্তু অনেক। আজকে আমরা জাফরানের উপকারিতা ও কার্যকারিতা সম্পর্কে আপনাদের জানাবো।

জাফরানের পরিচিতি   

জাফরান ক্রোকাস স্যাটিভা (crocus sativa) নামের একটি এক্সোটিক (Exotic) বা বহিরাগত ফুল থেকে আহরিত হয়। এটি মূলত ইরান, ভারত এবং গ্রিসের কিছু এলাকাতে হয়। বাংলাদেশে না হওয়ার কারণে এর দামটা একটু বেশি। এটি মূলত ফুড কালারিং এজেন্ট (Food coloring agent) হিসেবে বিভিন্ন খাবার এবং পেস্ট্রিতে ব্যবহার করা হয়। ৩৫০০ বছর আগ থেকে এর চাষ হয়ে আসছে এবং প্রায় ৯০টিরও বেশি রোগের সমাধান দিয়ে থাকে এই উপাদানটি। ঠান্ডা, কাশি, ঘুম না হওয়া, কার্ডিও ডিজিজ বা হার্টের সমস্যা, গর্ভাবস্থায় ত্রৈমাসিক বিকাশ (Pregnancy Trimester Development) সহ আরও অনেক সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকে।

জাফরান পরিচিতি - shajgoj.com

এছাড়াও জাফরানে আছে ম্যাংগানিজ (Manganese), এন্টি ইনফ্লামেটরি( Anti-Inflammatory) এবং এন্টি ফাংগাল এজেন্ট (Antifungal agent) যা ব্লাড সুগার নিরাময় করে শরীরের প্রয়োজনীয় হরমোন বিকাশ করে। এছাড়া আছে ভিটামিন সি (Vitamin C), যা ফেইস এবং শরীরকে ইনফেকশন বা সংক্রমণ হওয়া থেকে রক্ষা করে। এর স্পেশাল সুগন্ধযুক্ত স্বাদ খাবারে আনে একস্ট্রা টেস্ট। এতে আছে এন্টিমুটাজেনিক (Antimutagenic) এবং এন্টিটেসিভ এজেন্ট (Antitussive Agent) যা টক্সিকেশন (Toxication) সরিয়ে স্কিনের সেন্সিটিভিটি (Sensitivity) দূর করে। এছাড়া এর এন্টিসোলার এজেন্ট (Anti solar agent) রোদে পোড়া কালচে দাগ দূর করে সানবার্ন থেকে রক্ষা করে। ত্বকে খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার  হিসেবে কাজ করে। এটি স্কিনের ইরিটেশন (Irritation) দূর করে স্কিনকে হাইড্রেড করে। এতে ত্বক ভেতর থেকে গ্লো করে এবং স্কিনকে করে আরও সজিব।

জাফরানের স্বাস্থ্য উপকারিতা    

১) জাফরানে রয়েছে বিস্ময়কর রোগ নিরাময় ক্ষমতা। মাত্র ১ চিমটি জাফরান আপনাকে প্রায় ১৫টি শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। জাফরানে রয়েছে পটাশিয়াম যা উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদপিণ্ডের সমস্যাজনিত রোগ দূর করে।

জাফরান উচ্চ রক্তচাপ দূর করে - shajgoj.com

২) হজমে সমস্যা এবং হজম সংক্রান্ত যেকোনো ধরনের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে জাফরান।

৩) জাফরানের পটাশিয়াম আমাদের দেহে নতুন কোষ গঠন এবং ক্ষতিগ্রস্ত কোষ সারিয়ে তুলতে সহায়তা করে।

৪) এর নানা উপাদান আমাদের মস্তিষ্ককে রিলাক্স (Relax) করতে সহায়তা করে, এতে করে মানসিক চাপ ও বিষন্নতা জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

৫) জাফরানের ক্রোসিন (Crocin) নামক উপাদানটি অতিরিক্ত জ্বর কমাতে সহায়তা করে।

৬) নিয়মিত জাফরান সেবনে শ্বাস প্রশ্বাসের নানা ধরনের সমস্যা যেমন অ্যাজমা (Asthma), পারটুসিস (Pertussis), কাশি এবং বসে যাওয়া কফ দূর করতে সহায়তা করে।

৭) মেয়েদের মাসিকের অস্বস্তিকর ব্যথা এবং মাসিক শুরুর আগের অস্বস্তি দূর করতে জাফরানের জুড়ি নেই।

জাফরান মেয়েদের মাসিকের অস্বস্তিকর ব্যথা দূর করে - shajgoj.com

 

৮) জাফরানের রয়েছে অনিদ্রা সমস্যা দূর করার জাদুকরী ক্ষমতা। ঘুমোতে যাওয়ার আগে গরম দুধে সামান্য জাফরান মিশিয়ে পান করলে অনিদ্রা সমস্যা দূর হবে।

৯) সামান্য একটু জাফরান নিয়ে মাড়িতে ম্যাসাজ করলে মাড়ি, দাঁত এবং জিহ্বার নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

১০) গবেষণায় দেখা যায় জাফরান দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে এবং চোখের ছানি পড়া সমস্যা প্রতিরোধেও কাজ করে।

১১) জাফরানের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান বাতের ব্যথা, জয়েন্টে ব্যথা, মাংসপেশির ব্যথা এবং দুর্বলতা দূর করতে অব্যর্থ ঔষুধ।

১২) অ্যাসিডিটির (Acidity) সমস্যা থেকে রেহাই দিতে পারে সামান্য একটুখানি জাফরান।

জাফরান অ্যাসিডিটি দূর করে - shajgoj.com

১৩) জাফরান দেহের কোলেস্টেরল (Cholesterol) এবং ট্রাইগ্লিসারাইড (Triglyceride) নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

১৪) মস্তিস্কের গঠন উন্নত করতে জাফরানের ভূমিকা অনস্বীকার্য। স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তা ক্ষমতা উন্নত করতে এটি খুবই কার্যকরী।

১৫) এটি আলজাইমার (Alzheimer) এবং পার্কিনসন (Parkinson) রোগ থেকে দূরে রেখে অক্সিডেটিভ (Oxidative) স্ট্রেস থেকে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে বাঁচায়।

১৬) কিডনি, যকৃৎ এবং মুত্রথলির রোগ থেকে মুক্তি দেয় জাফরান। ক্যান্সার ও টিউমার নিরাময়েও জাফরান খুবই কার্যকরী।

এছাড়াও আমাদের প্রত্যেকেরই প্রতিদিন ১ গ্লাস দুধের সাথে কয়কটি জাফরান মিশিয়ে খাওয়া উচিত। এতে আমাদের অজানা অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। ১ গ্লাস জাফরান মিল্ক আপনার বাচ্চার মস্তিষ্ক সক্রিয় করতে অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে।এছাড়া ভেতর থেকে ত্বক উজ্জ্বল করতে চাইলেও দুধের সাথে জাফরান মিক্স করে খান। কারণ ত্বকের বাহিরে যা কিছুই মাখি না কেনো ভেতর থেকে উজ্জ্বলতা আমাদের সবার চাওয়া থাকে। জাফরান ত্বকে বলিরেখা দূর করতেও সহায়তা করে। এছাড়াও  দুধের সঙ্গে জাফরান মিশিয়ে মাথায় লাগালে চুল পড়া বন্ধ হয় এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।

ত্বকের যত্নে জাফরানের ব্যবহার 

স্যাফরন বা জাফরানের সঠিক কিছু ব্যবহার আছে। আসুন স্টেপ বাই স্টেপ জেনে নেই এর সঠিক ব্যবহার।

১) জাফরান ও চন্দন মাস্ক

জাফরান ও চন্দন মাস্ক - shajgoj.com

প্রস্তুত প্রণালী  

  • একটি পাত্রে ৪ চা চামচ দুধের মধ্যে জাফরান দিয়ে জাফরানের হলুদ রঙ আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
  • হলুদ রঙ আসলে এর সাথে চন্দন মিশিয়ে ভালো করে পেস্ট বানিয়ে পুরো ফেইসে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট।

এই মাস্কটি স্কিনকে এক্সফোলিয়েট (Exfoliate) করে পরিষ্কার করবে এবং ত্বক ভেতর থেকে উজ্জ্বল করবে। এটি সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করলেই কার্যকরী ফল পাওয়া যাবে।

২) ব্রণ দূর করতে

ব্রণ দূর করতে জাফরান ও কাঁচা দুধ - shajgoj.com

  • প্রথমে জাফরান আর কাঁচা দুধ মিশিয়ে দুই ঘন্টা রেখে দিন।
  • এবার মিশ্রণটি ফেইসে লাগিয়ে একটু ম্যাসাজ করে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

সপ্তাহে ১-২ ব্যবহার করলে ব্রণের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

৩) গ্লো ফেইস মাস্ক  

জাফরান, দুধ, অলিভ অয়েল, চিনি - shajgoj.com

  • প্রথমে একটি বাটিতে ১ চামচ চিনি, ৩ চা চামচ কাঁচা দুধ, ৪-৫টি জাফরান আর একটু অলিভ অয়েল ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
  • এবার মিশ্রণটি ঘার সহ পুরা ফেইসে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একদিন ব্যবহারেই আপনি পাবেন উজ্জ্বল ত্বক

৪) ড্রাই স্কিনের জন্য মাস্ক

জাফরান ও টকদই - shajgoj.com

  • একটু অলিভ অয়েলের সাথে টক দই এবং জাফরান মিশিয়ে রাতের বেলা ফেইসে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • মিল্ক পাউডার, জাফরান এবং গোলাপজল ভালো করে মিশিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে নিন। এবার এই প্যাকটি ফেইসে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ভালো করে ধুয়ে নিন।

এই প্যাক দু’টি ত্বকের শুষ্কতা দূর করার পাশাপাশি ত্বকের সেনসিটিভিটি, র‍্যাশ, এবং স্কিনের চামড়া ওঠা দূর করবে।

৫) জাফরান ও আমন্ড মাস্ক

জাফরান, আমন্ড ও মধুর মাস্ক - shajgoj.com

  • প্রথমে আমন্ড এবং জাফরান একসাথে ব্লেন্ড করে নিন।
  • এবার এতে অল্প একটু মধু মিশিয়ে ফেইসে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

আমন্ড এর ন্যাচারাল অয়েল আর জাফরানের এন্টি অক্সিডেন্ট মিলে স্কিনের ডেড সেলস, ডার্ক সার্কেল, ব্ল্যাক স্পট দূর করে স্কিনকে সফট আর হেলদি করে।

জেনে নিলেন জাফরানের কার্যকারিতা ও উপকারিতা সম্পর্কে। এটি ব্যবহার করে আপনি ত্বক ও চুলের পাশাপাশি স্বাস্থ্যেরও যত্ন নিতে পারবেন। নিয়মিত নিজের যত্ন নিন সুস্থ ও সুন্দর থাকুন।

 

ছবি- সংগৃহীত: ইমেজেসবাজার.কম;সুইয়ারলিস্টার.এনডিটিভি;লাইফবেরিস.কম

The post জাফরান এর কার্যকারিতা ও উপকারিতা সম্পর্কে জানা আছে কি? appeared first on Shajgoj.

চুল পড়ার সমাধানে এখন নতুন কুমারিকা হেয়ার ফল কন্ট্রোল অয়েল

$
0
0

ঘন, সুস্থ ও মজবুত চুল কে না চাই! চুল ভালো রাখতে কত কিছু আমরা বুঝে অথবা না বুঝে ব্যবহার করছি, কিন্তু চুলের সুরক্ষায় প্রাকৃতিক উপায়ে যত্নের যে কোনো তুলনা নেই সেটা আমরা সবাই জানি। দূষণ, আনহেলদি জীবন-যাপন, স্ট্রেস, স্টাইলিইং প্রোডাক্ট ব্যবহার সবকিছু মিলিয়ে চুল পড়ার হারও কিন্তু বেড়ে গিয়েছে। ব্যস্ত জীবনে চুল পড়ার খুব ইজি সল্যুশন আমরা সবাই খুঁজে থাকি। আজ তাই তেমন কিছুই আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক!

কুমারিকা হেয়ার ফল কন্ট্রোল অয়েল নিয়ে এক্সপেরিয়েন্স

আপনাদের সাথে আমার এক্সপেরিয়েন্সটা জাস্ট শেয়ার করছি। কারণ, আমার মত সমস্যায় অনেকেই ভুগছেন চুল নিয়ে। আমি চুলের যত্ন নেয়ার সময় পাই না, সময় পেলেও হাতের কাছে প্রাকৃতিক উপাদানগুলো পাই না, তেলই ভরসা। ইজি সল্যুশন খুঁজছিলাম যেটা আমার চুল পড়া কমাবে আর সাথে চুল হেলদি করবে। এক ফ্রেন্ডের রেকমেন্ডেশনে কিনলাম কুমারিকা হেয়ার ফল কন্ট্রোল অয়েল।

কুমারিকা হেয়ার ফল কন্ট্রোল অয়েল যেভাবে কাজ করে

কুমারিকা ক্লেইম করছে নতুন হেয়ার অয়েলে আছে দ্বিগুণ প্রাকৃতিক নির্যাস এবং আমন্ড বাদামের ভিটামিন ই। প্যাকেজিং-টা দেখে ভালো লাগলো এবং ব্যবহার করা শুরু করলাম সপ্তাহে ৩ দিন করে। প্রথম দুই সপ্তাহে একটা চেঞ্জ খেয়াল করলাম। চুল আগের মতন জট লাগছে না আর একটা মসৃণভাবও চলে এসেছে। জট কম হবার কারণে মনে হলো চুল পড়াটাও কমেছে।
আমার হেয়ার টাইপ ড্রাই। তাই একটু নারিশমেন্ট প্রয়োজন ছিল। মাঝে মধ্যে এই তেলে একটু মধু, পাকা কলা মিশিয়ে হেয়ারে  লাগাতাম। শ্যাম্পু করার পর চুল শুকিয়ে গেলে ফিল করতাম চুল আগের থেকে সিল্কি হয়েছে। ৩ মাস কন্টিনিউ করলাম এবং খেয়াল করলাম চুল পড়া আগের থেকে অনেক কমেছে। চুল আগের থেকে বেশি ঝলমলে আর মজবুত মনে হলো নিজের কাছে।
যে বিষয়গুলো হাইলাইট করতে চাচ্ছি সেটা হলো, তেলের সাথে যখন হারবাল উপাদান যুক্ত হচ্ছে, সেটা চুলের গোড়ায় যেয়ে চুলকে পুষ্টি দিচ্ছে। আমরাতো জানি যে ভিটামিন-ই চুলের গোড়ায় পুষ্টি যোগায়, চুলের আদ্রতা ধরে রেখে চুল নরম আর প্রানবন্ত করে, চুল পড়া লক্ষণীয়ভাবে কমাতে সাহায্য করে। আমলার নির্যাস, অ্যালোভেরাসহ আরো অনেক হারবাল উপাদান যেটা চুলকে মজবুত করে দূষণজনিত ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। চুল পড়ার সমাধানে বাদাম তেল অনেক উপকারি। সেই সাথে আমলার ওষুধি গুন চুলের স্বাভাবিক পিএইচ ধরে রাখে।

নতুন কুমারিকা হেয়ার ফল কন্ট্রোল অয়েল কিভাবে আলাদা?

অনেক আগেও একবার কুমারিকা তেল ব্যবহার করেছিলাম। তখন যে জিনিসটা ভালো লাগে নি, সেটা হলো শ্যাম্পু করতে একটু বেশি টাইম লেগেছিল কিন্তু এখনকার নতুন কুমারিকা ব্যবহার করে অনেক কমফোরটেবল ফিল করলাম। শ্যাম্পু করতে আর আগের মত সমস্যা হচ্ছে না!

শেষ কথা

ওভার অল এটা আমার জন্য ভালো কাজ করেছে এবং আমি রেগ্যুলার ইউজার হয়ে গিয়েছি। হেলদি আর মজবুত চুল আমাকে কনফিডেন্ট করেছে আগের থেকে অনেক বেশি। আপনার হাতের কাছেই এখন চুল পড়ার সমাধান! এটি আসলে ব্যস্ত জীবনে একটা ছোট্ট সমাধান। সেই সাথে প্রোপার ডায়েট, পরিমিত ঘুম সবকিছু মিলিয়ে আপনিও কমিয়ে ফেলতে পারবেন চুল পড়ার সমস্যা। চুল পড়লে কার ভালো লাগে, বলুন? তেলের সাথে যখন ভিটামিন-ই এর পুষ্টি এক্সট্রা পাচ্ছেন, একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন। আপনার চুল হোক আপনার পরিচয়।

যাবার আগে একটা হেল্প করেই যাই। এত এত নকল সামগ্রীর ভীড়ে অথেনটিক প্রোডাক্ট খুঁজে পেতে পারেন সাজগোজের দু’টি ফিজিক্যাল শপে যার একটি যমুনা ফিউচার পার্ক ও অপরটি সীমান্ত স্কয়ারে অবস্থিত। আর যদি অনলাইনে কিনতে চান, তবে শপ.সাজগোজ.কম এ অর্ডার করলেই পেয়ে যাচ্ছেন আপনার কাঙ্ক্ষিত প্রোডাক্টটি! সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন!

ছবি- সংগৃহীত: সাজগোজ; ইমেজেসবাজার.কম

The post চুল পড়ার সমাধানে এখন নতুন কুমারিকা হেয়ার ফল কন্ট্রোল অয়েল appeared first on Shajgoj.

চিকেন টিক্কা কাবাব

$
0
0

কাবাব খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। একটুখানি বিফ কিংবা চিকেন কাবাব খেতে আমরা ছুটে যাই রেস্টুরেন্টে। অথচ খুব সহজেই ঘরে বসেই তৈরি করতে পারবেন মজাদার কাবাব। আমরা আপনাদের দেখাবো কিভাবে খুব সহজে ঘরে বসেই তৈরি করবেন মজাদার চিকেন টিক্কা কাবাব। চলুন তাহলে জেনে নেই চিকেন টিক্কা কাবাব তৈরির সহজ উপায়।

চিকেন টিক্কা কাবাব তৈরির পদ্ধতি

উপকরণ

  • হাড় ছাড়া মুরগির মাংস কিউব করে কাটা- ২ কেজি
  • আদা বাটা- ৩ টেবিল চামচ
  • রসুন বাটা- ৩ টেবিল চামচ
  • শুকনা মরিচ- ৩-৪ টি
  • হলুদ গুঁড়া- ১ চা চামচ
  • লেবুর রস- ৪ টেবিল চামচ
  • টকদই- ১.৫ কাপ
  • লবণ– পরিমাণমতো
  • ধনেপাতা কুঁচি- ১.৫ কাপ
  • টমেটো কিউব করে কাটা- ১ কাপ
  • বড় পেঁয়াজ কিউব করে কাটা- ১টি
  • শিক বা সাসলিক কাঠি

প্রস্তুত প্রণালী

১) প্রথমে একটি বাটিতে সব মশলা মিশিয়ে নিন। মেশানো হলে তাতে ধনেপাতা এবং টকদই মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে ফেলুন।

২) এবার মিশ্রণটিতে কেটে রাখা মুরগির মাংসগুলো দিয়ে মেরিনেট করে ২-৩ ঘন্টা ফ্রিজে রেখে দিতে হবে।

৩) এখন শিক বা সাসলিক কাঠিতে প্রথমে মেরিনেট করা মুরগি তারপর টমেটো তারপর পেঁয়াজ কিউব দিয়ে সাজিয়ে নিতে হবে। চুলায় কিংবা ওভেনে দুই ভাবেই এই কাবাব তৈরি করতে পারেন।

৪) চুলায় করতে চাইলে একটি গ্রিল ফ্রাইং প্যানে তেল কিংবা ঘি ব্রাশ করে তাতে শিক বা সাসলিক কাঠি রেখে অল্প আঁচে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে প্রতি পাশ ভালো করে রান্না করতে হবে।

৫) ওভেনে করতে চাইলে আগে থেকে ২০০ ডিগ্রীতে ওভেন হিট দিয়ে রাখতে হবে। হিট হয়ে এলে তাতে শিক বা সাসলিক কাঠি দিয়ে যতক্ষণ না সবদিক নরম হয় এবং সোনালী রঙ এর হয় ততোক্ষন রাখুন।

৬) হয়ে গেলে নামিয়ে উপরে লেবুর রস এবং ধনেপাতা কুঁচি দিয়ে পরিবেশন করুন।

দেখলেন তো কিভাবে খুব সহজেই তৈরি হয়ে গেলো মজাদার চিকেন টিক্কা কাবাব। রুটি, নান কিংবা পরোটার সাথে খেতে খুবই সুস্বাদু এই মজাদার কাবাবটি।

 

ছবি- সংগৃহীত: সাজগোজ;অর্থসূচক.কম

The post চিকেন টিক্কা কাবাব appeared first on Shajgoj.

Viewing all 3053 articles
Browse latest View live