Quantcast
Channel: Shajgoj
Viewing all 3053 articles
Browse latest View live

ব্রণ তাড়াতে ৩টি ঘরোয়া ফেস প্যাক

$
0
0

সুন্দর ব্রণমুক্ত ত্বকতো সবাই চায়। কিন্তু আমাদের চারপাশের দূষণ এবং খাদ্যাভাসের জন্য কারণে ত্বকে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। ব্রণের সমস্যা কমানোর জন্য নানান রকমের প্রসাধনী পাওয়া যায় স্কিন কেয়ার প্রডাক্টের স্টোরগুলোতে। কিন্তু প্রকৃতিতেই আছে ব্রণ সমস্যা সমাধানের ওষুধ। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক কিছু উপাদান ব্যবহারের মাধ্যমেই ব্রণ সমস্যা কমানোর দুটি ফেস প্যাক সম্পর্কে জেনে নিন।

অ্যালোভেরা এবং হলুদ প্যাক

অ্যালোভেরা এবং হলুদ ন্যাচারাল অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণ আছে অ্যালোভেরার। আর তাই ব্রণ সমস্যা সমাধানে অ্যালোভেরার জুড়ি নেই। হলুদে আছে অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি গুনাগুণ যা পিম্পল কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

প্যাক তৈরির পদ্ধতি

প্রথমে অ্যালোভেরা থেকে এর রসটাকে আলাদা করে নিতে হবে। তারপর এক টেবিল চামচ অ্যালোভেরার রস এর সাথে আধা চা চামচ হলুদ মেশাতে হবে। এরপর পুরো মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে কমপক্ষে তিনবার ব্যবহারে ত্বকে ব্রণের সমস্যা ধীরে ধীরে কমে যাবে।

সাইট্রাস প্যাক

টক জাতীয় ফল যেমন লেবু, কমলাতে আছে ভিটামিন সি এবং অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট। এই উপাদানগুলো ত্বকের থেকে ব্যাকটেরিয়া দূর করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করে তুলতে সহায়তা করে। সেই সঙ্গে ত্বকের দাগ দূর করতেও এই উপাদানগুলোর জুড়ি নেই। এই প্যাকে মুলতানি মাটিও ব্যবহার করা হয়েছে। মুলতানি মাটি ব্রণের বৃদ্ধি কমিয়ে দিতে সহায়তা করে।

প্যাক তৈরির পদ্ধতি

দুই টেবিল চামচ মুলতানি মাটি, ১/২ টেবিল চামচ লেবুর রস, প্রয়োজনমতো পানি মিশিয়ে নিন। পুরো মুখে লাগিয়ে নিন প্যাকটি। যেই স্থানে ব্রণ আছে সেই স্থানে একটু পুরু করে লাগিয়ে নিন প্যাকটি। ১৫ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিন থেকে চার বার ব্যবহার করুন প্যাকটি। ধীরে ধীরে ব্রণের জ্বালাতন থেকে মুক্তি পাবেন আপনি।

হলুদ এবং নিম প্যাক

ঔষধি গুণ সম্পন্ন নিমের আছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ব্রণ কমাতে সহায়তা করে। নিম ত্বকের উপরের লেয়ার থেকে ব্যাকটেরিয়া সরিয়ে ত্বকে ব্রণের সমস্যার সমাধান করে। হলুদ এবং নিম দুটিতেই আছে অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান। ফলে এই দুটি উপাদানের মিশ্রণ ত্বকে ব্যবহার করলে ব্রণের আকৃতি ছোট হয়ে যায় বেশ দ্রুত এবং নতুন ব্রণের থেকে ত্বককে মুক্ত রাখে।

প্যাক তৈরির পদ্ধতি

কাঁচা হলুদ এবং তাজা নিম পাতা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে হবে কিংবা শিল-পাটায় পিষে নিতে হবে। এরপর প্যাকটা পুরো মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন ঠান্ডা পানি দিয়ে। সপ্তাহে তিনবার ব্যবহারে ব্রণের সমস্যা কমে যাবে ধীরে ধীরে।

ছবি – রেমিডিজফরমি ডট কম

লিখেছেন – নুসরাত শারমিন


জেনে নিন হেয়ার স্প্রের অজানা ৮ ব্যবহার

$
0
0

আসলে আমারা অনেকেই জানি না যে হেয়ার স্টাইলিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হেয়ারস্প্রে  দিয়ে  কেবল চুল সামলাতেই নয়, আরও অনেক দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করা যায়। হলফ করে বলা যেতেই পারে হেয়ার স্প্রের এই মাল্টিটাস্কিং রূপ আপনার গুড বুকে জায়গা করে নিতে সক্ষম হবে। একটি বিউটি প্রোডাক্ট থেকে সবটুকু সুবিধা ভোগ করার পাশাপাশি অন্যান্য কাজেও ব্যবহার করার সুযোগ পেলে তো সোনায় সোহাগা। হ্যাঁ হেয়ার স্প্রে এমনই একটি প্রোডাক্ট। যা দিয়ে আপনি এক ঢিলে সাত পাখি মারতে পারবেন। সাত পাখি মারার কথা কেন বললাম ! পড়তে থাকুন নিজেই বুঝে যাবেন।

যাই হোক, কিছুটা হলেও আন্দাজ করতে পেরেছেন আমার গুড বুকে এবার যোগ হয়েছে হেয়ার স্টাইলিং হেয়ার স্প্রে প্রোডাক্ট। কেন এবং কীভাবে তাই আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। চলুন তাহলে জেনে নিই, হেয়ার স্প্রের এমন  ৮টি ব্যবহার যা আপনি জানেন না।

(১) জুতো পিচ্ছিল হয়ে যাওয়া বন্ধ করতে

আমার বেশিরভাগ জুতো ফিট হলেও এমন কিছু জুতো আছে যেগুলোর ভেতরের  ম্যাটেরিয়ালটা পিচ্ছিল। কাজেই যখন আমার পা ঘেমে যায় তখন একটু হাঁটতে গেলেই বিরক্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। কখনো কখনো তো জুতো থেকে পাও বেরিয়ে আসে। এই বিরক্তিকর পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে আমি আমার জুতো এবং পায়ে তলায় চুলের স্প্রেটাই একটু স্প্রে করে নিই। যাতে করে পা এবং জুতো ফিট থাকে এবং স্যান্ডেল থেকে পা বেরিয়ে আসে না।

hairsprayuse03

(২) আই ব্রো সেট করতে

আই ব্রোকে  সেট করতে এবং ক্রাঞ্চি দেখাতে অনেকেই আই ব্রো জেল ইউজ করে থাকেন। কিন্তু সেটা অযথাই অপচয় যদি আপনার কাছে থাকে হেয়ার স্প্রের একটি বোতল। বুঝতেই পারছেন আমি কি বলতে চাচ্ছি! আই ব্রো ব্রাশে খানিকটা মিডিয়াম হোল্ড হেয়ার স্প্রে করে লাগিয়ে সাথে সাথে আই ব্রোতে আঁচরে নিন। ব্যাস আপনার আই ব্রো সেট। কি আই ব্রো জেল কেনা থেকে বেঁচে গেলেন তো!

(৩) কাপড় থেকে মেকাপ বা কালির দাগ উঠাতে

সাজুগুজু করতে গিয়ে সবসময় ড্রেসের কোথাও ফাউন্ডেশনের দাগ না লাগলেও ব্লাউজের গলায় তো লাগবেই। যেহেতু এটা প্রায়ই হয় তাই একটা সহজ সমাধান খুঁজে করা চাই। কি বলেন? ড্রেসের যেখানেই মেকাপের দাগ লেগে গেছে সেখানে হেয়ার স্প্রে করে মুছে ফেলুন এবং পরে ধুতে দিন। দেখবেন দাগ উঠে গিয়েছে। একই পদ্ধতি অ্যাপ্লাই করুন কলমের কালির ক্ষেত্রে।

(৪) টাইটস ছিড়ে যাওয়া বন্ধ করতে

যারা টাইটস পরেন তারা জানেন সুতোয় টান লাগলে পুরো বুনন খুলে আসে। সেই টাইটস আর পরার যোগ্য থাকে না। তবে আমার কাছে এর জন্যও রয়েছে হেয়ার স্প্রে টিপস। যে জায়গার বুনন ছিড়ে গেছে সেখানে হেয়ার স্প্রে লাগিয়ে নিন। এরপর ফ্যানের নিচে রেখে শুকিয়ে নিন। ব্যাস এরপর নতুন আরেকটি টাইটস কেনার আগ পর্যন্ত বেশ অনেক দিন ব্যবহার করতে পারবেন ছিড়ে যাওয়া টাইটস। দারুন না!

embeddedIMG_Hairspray_850px_3-600x600

(৫) ক্লথ লিন্ট তুলতে

প্যান্ট, সোয়েটার এমন কি স্যুট বেশ কিছুদিন ব্যবহারের পর লিন্ট দেখা দেয়। এমন অবস্থায় সেই পোশাক পরে আর বাইরে যাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। তখন বাধ্য হয়ে অনেকেই লিন্ট রোলার কিনে থাকি। কিন্তু আপনার বিউটি ব্যাগেই যে রয়েছে অনেক কাজের কাজি হেয়ার স্প্রে, যেটা লিন্ট রোলারের কাজ করে দিতে সক্ষম। তবে শুনুন, পেপার টাওয়েলে খানিকটা হেয়ার স্প্রে করুন এবার কাপরের উপর হেয়ার স্প্রে করা টাওয়েল চেপে চেপে তুলুন দেখবেন লিন্টগুলো উঠে আসছে।

(৬) পোকামাকড় থেকে বাঁচতে

উফফ! এই কাজটা আমার খুব প্রিয়!  মাকড়শা, তেলাপোকা ছোটোখাটো পোকামাকড় থেকে বাঁচতে এই ট্রিক্সটি দারুণ মজার। মজার বলছি এ কারণে যে পোকা উড়ে বেড়াতে থাকলে কার না বিরক্তিকর লাগে! এক বোতল হেয়ার স্প্রে থাকলেই অনায়েশে কীটগুলোর নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতে। ঐগুলির দিকে তাক করে হেয়ার স্প্রে মেরে দেখুন পোকামাকড়ের নড়তে কষ্ট হবে উড়তে পারবে না।   অবাক লাগলেও একবার অবশ্যই এই পদ্ধতি অ্যাপ্লাই করে দেখবেন।

(৭) আঁকার সময় রং ছড়িয়ে গেলে

ইভেন বিউটি প্রোডাক্ট ক্যান সেভ ইয়োর আর্ট ওয়ার্ক! রং করছেন কিন্তু ছড়িয়ে যাবার সম্ভবনা আছে! রং করার সময় একটু হেয়ার স্প্রে করুন । রং জায়গায় থাকবে।

(৮) শুকনো ফুল অক্ষত অবস্থায় সংরক্ষণ করতে

হ্যাঁ ঠিক শুনেছেন। হেয়ার স্প্রে এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারবে। সেক্ষত্রে ফুলগুলো উল্টে ধরুন ফুল নিচের দিকে এবং ডাল উপরের দিকে রেখে হেয়ার স্প্রে করুন এবং শুকাতে সময় দিন। দেখবেন অনেক দিন পর্যন্ত অক্ষত অবস্থায় সংরক্ষণ করতে পারবেন প্রিয়জনের দেয়া ফুলগুলো।

লিখেছেন – আসমা আখতার

মজাদার কালারফুল ট্রুটি ফ্রুটি

$
0
0

ডেজার্ট সাজাতে বা সোনামনিদের খাবারকে একটু রঙ্গিন করে তোলার জন্য ট্রুটি-ফ্রুটির জুড়ি নেই। দোকান থেকে না কিনে তাজা ফল দিয়ে ঘরেই বানিয়ে নিতে পারেন মজাদার ট্রুটি ফ্রুটি।

উপকরণ

  • কাচা পেপে – ১ কেজি
  • চিনি – ১/২ কাপ
  • ফুড কালার – কয়েক ফোটা

প্রণালী

- কাঁচা টাটকা পেপে কিউব করে কেটে নিন।
- ফুটন্ত পানিতে ৩ মিনিট ফুটিয়ে ছেঁকে নিন।
- এবার আলাদাভাবে যে কয় কালার এ টুটি ফ্রুটি বানাবেন যেভাবে আলাদা করে নিন।
- চিনি, ফুড কালার, ৪ চা চামচ পানি দিয়ে আবারো একটু জ্বাল করে নিন অল্প আছে।
- পানি শুকিয়ে গেলে ছড়ানো প্লেটে রেখে বাতাসে শুকিয়ে নিন।
- ঝরঝরে হয়ে এলে ফ্রিজে রাখুন।

শুভ কামনা সকলের জন্য

ছবি ও রেসিপি –  খুরশীদা রনী

নানা রকম চা এবং তাদের স্বাস্থ্যগুণ

$
0
0

‘এক কাপ চা’ আমাদের প্রতিদিনের সঙ্গী। সকাল ও বিকালের নাস্তায় এক কাপ চা না হলে যেন চলেই না। পৃথিবীতে নানা দেশের খাবারের ধরনে নানা পার্থক্য থাকলেও এই চা সবদেশেই জনপ্রিয়, প্রায় প্রতিটি দেশেই চাপ্রেমী মানুষ আছে। এই চায়ের উৎপত্তি চীন থেকে, চা গাছ  থেকে চা পাতা পাওয়া যায়। চা গাছের  বৈজ্ঞানিক নাম “ক্যামেলিয়া সিনেনসিস”। চা পাতা কার্যত চা গাছের পাতা, পর্বও মুকুলের একটি কৃষিজাত পণ্য যা বিভিন্ন উপায়ে প্রস্তুত করা হয়।

বর্তমানে বিভিন্ন ধরণের চা পাওয়া যায়। নানা স্বাদের এই চা যেমন আমাদের নানা স্বাদে মাতিয়ে তোলে তেমনি এর আছে অসাধারণ স্বাস্থ্যগুন।

(১) ব্ল্যাক টি

সাধারণ চা পাতা থেকে এটি তৈরি করা হয়। নাম কালো চা হলেও এটির রঙ হয় লাল। লাল চা আর কালো চায়ের মধ্যে পার্থক্য এতটুকুই লাল চা স্বাদে কিছুটা ধোঁয়াটে গন্ধযুক্ত হয়ে থাকে।

(২) গ্রীন টি

এটিও বেশ জনপ্রিয়। বাজারে গ্রীন টি অত্যন্ত সহজলভ্য। গ্রীন টি আপনার ত্বক পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এটি সুন্দর স্বাস্থ্য গঠনেও সাহায্য করে।

(৩) লেবু চা

লেবু চা ওজন কমাতে অসাধারণ কার্যকরী। কালো চা বা লিকার চায়ের তুলনায় পুষ্টিগুনে এটি বেশি উপকারী। এর রেসিপিতে আপনাকে লিকার চা তৈরি করে পরিবেশনের সময় পরিমানমত লেবুর রস মিলিয়ে দিলেই হবে। কিন্তু বেশিক্ষন লেবু চুবিয়ে রাখলে চায়ে তেঁতো স্বাদ চলে আসতে পারে।

(৪) আদা চা

সাধারণ সর্দি, মাথা ব্যথা, গলা ব্যথায় আদা চায়ের উপকারিতা আমরা প্রায় সবাই জানি। গরম এক কাপ চা জাদুর মত মাথা ব্যথা সারাতে সাহায্য করে। এর রেসিপিতে আপনাকে পানি গরম করার সময় আদা টুকরা করে দিয়ে কিছুক্ষন জ্বাল দিতে হবে। এরপর চা পাতা ও চিনি দিয়ে নামিয়ে নিতে হবে। এছাড়া চা বানিয়ে তাতেও আদার কিছুটা রস মিশিয়ে চা পান করা যায়।

(৫) তুলসি চা

অসাধারণ উপকারী এই তুলসি চা সর্দিজনিত মাথা ব্যাথা, কাশি, সর্দি জ্বর ও ঠান্ডা লাগা দূর করে।এটি দুশ্চিন্তা থেকে রক্ষা পেতেও সাহায্য করে। ২ থেকে ৩ কাপ পানিতে ৫/৬ টি তুলসি পাতা ফুটতে দিন। পানি ফুটে ১ কাপ পরিমাণ হয়ে এলে তা নামিয়ে গরম গরম পান করুন যন্ত্রণার উপশম হবে। এটি অ্যাসিডিটি  নিরাময়ে অনেক জনপ্রিয়। তাছাড়া নিয়মিত তুলসি চা পানে হাপানি বা এ্যাজমা রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তুলসি চা প্যাকেটে বাজারে কিনতেও পাওয়া যায়।

(৬) পুদিনা চা

পুদিনা চা পেটের বাড়তি মেদ কমাতে সাহায্য করে। পুদিনা চা বানাতে তাজা অথবা শুকনো দু’রকম পাতাই ব্যবহার করা যায়। ২ কাপ পানি, দেড় কাপ তাজা পাতা অথবা ১ চা চামচ শুকনো পাতা, স্বাদের জন্য চিনি, মধু ও লেবু দেয়া যেতে পারে। পানি ফুটিয়ে পান করার ২-৩ মিনিট আগে গরম পানিতে পাতা দিয়ে রেখে দিতে হবে নির্যাস বের হবার জন্য।

পরিমিত পরিমাণ চা পান দেহের জন্য উপকারী কিন্তু অতিরিক্ত চা পানের অভ্যাস থাকলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থাকে।

ছবি – টেস্টঅবথেরাপি ডট কম

লিখেছেন –  সারাহ

মুলার টক ঝাল চাটনি

$
0
0

মুলার নাম শুনলেই নাক সিটকে থাকেন অনেকেই। এর তীক্ষ্ণ ঘন্ধ বিরক্তির কারণ হলেও স্বাস্থ্যের  জন্য বেশ উপকারি। আর একটু ভিন্নতা এনে রান্না করলে কিন্তু খেতে বেশ লাগে! তাই আজকের রেসিপি আয়োজনে রাখা হল মুলার টক ঝাল চাটনি।

উপকরণ

  • মুলা মিহি কুচি আধা কাপ
  • কারি পাতা ১ টেবিল চামচ
  • জলপাই তেল ২ টেবিল চামচ
  • আস্ত সরষে আধা চা-চামচ
  • আস্ত জিরা সিকি চা-চামচেরও কম
  • আস্ত ধনে সিকি চা-চামচের কম
  • শুকনা মরিচ ১০ থেকে ১২টি
  • লবন ১ চা-চামচ (স্বাদমতো)
  • তেঁতুলের ক্বাথ ২ টেবিল চামচ

প্রণালী

- মাঝারি আঁচে তেল গরম করে সরষে, জিরা, ধনে ও শুকনা মরিচ ফোড়ন দিন। 

- মিনিট দুয়েক ভেজে এতে কারি পাতা মিশিয়ে নিন। নামিয়ে বেটে ফেলুন।

- অল্প তেলে মুলা কুচি ভেজে নিয়ে লবণ ও তেঁতুল মেশান। নামিয়ে বেটে নিন।

- এর মধ্যে পরিমাণমতো মরিচ বাটা মিশিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

রেসিপি –  শুমি’জ কিচেন 

শীতে ঠোঁটের কমপ্লিট কেয়ার

$
0
0

শীত তো এসেই গেল। আমাদের স্কিন টাইপ যেমনই হোক, শীত আসার সাথে সাথে আমাদের স্কিনে তার প্রভাব দেখতে পাওয়া যায়। আর এই প্রভাব থেকে মুক্তি পায় না আমাদের ঠোঁট ও। দেখা যায়, ঠোঁটকে সব থেকে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হতে। এর ফলে, আমাদের ঠোঁট ফেটে যায়, রুক্ষ হয়ে যায়, ঠোঁটের চামড়া উঠে যায় এবং ঠোটের ন্যাচারাল কালার হারিয়ে যায়। তাই চলুন জেনে নেই এই শীতে কীভাবে ঠোঁটের যত্ন নিবেন এবং এই সব সমস্যার সমাধান করবেন। শীতে ঠোঁটের জন্যে অনেক ভালো কাজ করে লিপ স্ক্রাবার। লিপ স্ক্রাবার ঠোটের মরা চামড়া দূর করে, ঠোটকে নরম করে তোলে। চলুন জেনে নিই, লিপ স্ক্রাবার কীভাবে বানাবেন।

যা যা লাগবে:

  • ১ চিনি
  • মধু
  • লেবু

যেভাবে তৈরি করবেন এবং ব্যবহার করবেন:

চিনি একটু হালকা ভেংগে গুড়া করে নিবেন। বেশী গুড়ো যেন না হয়। চিনির মধ্যে দানা দানা ভাব যেন থাকে। চিনির মধ্যে মধু মিশিয়ে নিন।  এই মিশ্রণটি ফ্রিজে রেখে ব্যবহার করতে পারবেন ৭ দিন। প্রতিবার ব্যবহারের সময় একটা লেবু মোটা চাক করে কেটে নিবেন এবং লেবুর চাক টি চিনি মধুর স্ক্রাবের মধ্যে ডুবিয়ে নিয়ে ঠোঁটে স্ক্রাব করে নিন। ঠোঁটে লেবুর চাক টি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে স্ক্রাব করুন। ২-৩ মিনিট স্ক্রাব করে একটি ভেজা টাওয়াল দিয়ে ঠোঁট মুছে নিন। সপ্তাহে ৩-৪ দিন করুন।

স্ক্রাবের পর আসে ময়েশ্চারাইজিং এর পালা। ময়েশ্চারাইজার ঠোঁটের ময়শ্চার লক করে রাখে এবং ঠোঁটকে নরম রাখে সারাদিন। ঠোঁটের জন্য ময়েশ্চারাইজার তৈরি করতে যা যা লাগবে :

  • নারিকেল তেল ১ চা চামচ
  • ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল ১ টি
  • আমন্ড অয়েল হাফ চা চামচ

কীভাবে বানাবেন এবং ব্যবহার করবেন:

তিনটি উপকরণ একসাথে মিক্স করে নিন এবং একটি খালি কৌটায় রাখুন। মিশ্রণটি ফ্রিজে রেখে দিন ২ ঘন্টা। ২ ঘন্টা পর দেখবেন মিশ্রণটি জমে লিপবামের মতো হয়ে গেছে।  এই মিশ্রন থেকে একটু খানি  আপনার রিং ফিংগারে নিয়ে ঠোঁটে ম্যাসাজ করে লাগিয়ে নিন। যখনই মনে হবে ঠোট ড্রাই হয়ে যাচ্ছে তখনই ব্যবহার করবেন।

এবার আসি ঠোঁটের ট্রিটমেন্টে। শীতে আমাদের অনেকেরই ঠোঁটের ন্যাচারাল রঙ হারিয়ে যায়। ঠোঁট কালচে দেখতে লাগে।

এই সমস্যার সমাধানের জন্য যা যা লাগবে :

  • বিটরুট। (বিটরুট না থাকলে তাজা লাল গোলাপের পাপড়ি ব্যবহার করতে পারবেন।)
  • কাঁচা হলুদ
  • গ্লিসারিন

যেভাবে তৈরি করবেন এবং ব্যবহার করবেন:

প্রথমে  বিটরুট এবং কাঁচা হলুদ গ্রেট করে নিন। এবার গ্রেট করা বিটরুট এবং হলুদ ব্লেন্ডারে দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন। ব্লেন্ড হয়ে গেলে একটি ছাঁকনিতে জুসটা ছেঁকে নিন। এবার এই জুস এর মধ্যে ১ টেবিল চামচ গ্লিসারিন ভালোভাবে মিক্স করে নিন। এই মিশ্রণটি প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে লাগিয়ে নিন। সকালে ঠোঁট ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে নিন। এই মিশ্রনটি ফ্রিজে ৩ দিন ভালো থাকবে। এই ট্রিটমেন্টটি আপনার ঠোঁটের কালচে দাগ দূর করবে, ঠোঁটে একটা সুন্দর কালার নিয়ে আসবে এবং ঠোঁটকে নরম রাখবে। এটি ব্যবহার করে নিজেই নিজের ঠোঁটের তফাৎ বুঝতে পারবেন।

এই তো ছিল শীতে ঠোঁটের যত্নের কিছু কথা। এই শীতে এভাবেই ঠোটের যত্ন নিয়ে ঠোঁট কে রক্ষা করতে পারবেন শীতের প্রকোপ থেকে।

ছবি – ব্লগ ডট নেভার ডট কম

লিখেছেন –  জান্নাতুল  মৌ

কাটা জলপাই আচার

$
0
0

জলপাই এর টক-ঝাল এই আচার খিচুরি বা ভাতের সাথে খাওয়ার জন্য পারফেক্ট । যারা জলপাই পছন্দ করেন, তারা এই আচার বেশি করে বানিয়ে রেখে সারা বছর জলপাই এর মজা নিতে পারবেন। তৈরি করা খুব সহজ।

উপকরণ

- জলপাই ২ কেজি
- শুকনা মরিচ ৫+ ৫ টি
- আস্ত জিরা দেড় চা চামচ
- আস্ত ধনিয়া দেড় চা চামচ
- আস্ত মৌরি দেড় চা চামচ
- আস্ত কালোজিরা ১ চা চামচ
- হলুদ গুড়া আধা চা চামচ
- পাঁচফোড়ন মসলা ১ চা চামচ
- রসুন কুচি ২ টেবিল চামচ
- তেজপাতা ২ টি
- দারুচিনি ২-৩ টুকরা
- ভিনেগার বা সিরকা ২ টেবিল চামচ
- সরিষার তেল আধা লিটার
- লবন ২ চা চামচ

প্রণালী

( ১ ) প্রথমে জলপাইগুলো ভালোভাবে ধুয়ে পরিস্কার করে আঁটির চারপাশ থেকে ফালি করে কেটে নিতে হবে । এরপর সব আস্ত মসলা আলাদাভাবে অল্প আঁচে তাওয়ায় হালকা টেলে নিতে হবে । একসাথে সব দেয়া যাবে না, এতে কিছু মসলা পুড়ে যেতে পারে । খেয়াল রাখতে হবে যেন মসলাগুলো কিছুতেই বেশি ভাজা না হয় বা পুড়ে না যায় , তাহলে স্বাদ খারাপ হয়ে যাবে । টেলে নেয়া মসলাগুলো গ্রাইন্ডারে বা পাটায় মিহি করে গুড়া করে নিতে হবে ।

( ২ ) এবার একটি প্যানে ১ কাপ তেল গরম করে তেজপাতা ও দারুচিনি দিয়ে একটু নেড়ে রসুন কুচি, পাঁচফোড়ন ও আস্ত শুকনা মরিচ ৪-৫ টি দিতে হবে । মিডিয়াম আঁচে রান্না করতে হবে । রসুন কুচি হালকা বাদামি হলে কেটে রাখা জলপাইগুলো দিয়ে দিতে হবে ।

( ৩ ) এখন লবন, হলুদ, ভিনেগার, টেলে গুড়া করে রাখা সব মসলা দিয়ে দিতে হবে । এবার বাকী তেল দিয়ে দিতে হবে । তারপর মিডিয়াম আঁচে ৭-৮ মিনিট ভেজে নামিয়ে ফেলতে হবে । নামানোর আগে অবশ্যই লবন টেষ্ট করে লাগলে দিয়ে দিবেন।

পরিবেশন

খিচুরী, গরম ভাত বা যেকোন ধরনের খাবারের সাথে পরিবেশন করা যায় দারুন মজার টক-ঝাল এই আচার । যারা জলপাই পছন্দ করেন, তারা এই আচার বেশি করে বানিয়ে রেখে সারা বছর জলপাই এর মজা নিতে পারবেন । ভিনেগার দিলে আচার অনেক দিন ভালো থাকে , যেহেতু আমি ভিনেগার দিয়েছি এই আচার পরিস্কার কাঁচের বয়ামে ভরে বাইরে বা নরমেল ফ্রিজে রেখে অনেকদিন সংরক্ষন করতে পারবেন।

ছবি ও রেসিপি – আফরুজা শিল্পী

বাসায় পড়ে থাকা পুরানো ফ্রেম দিয়ে চাবির হোল্ডার

$
0
0

বাসার চাবিগুলো প্রায়ই আমরা এলোমেলোভাবে রেখে দেই, তাই দরকারের সময় তা খুজে পেতে যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হয়, সাথে অনেক সময়ও নষ্ট হয়। তাই অবসর সময়টুকু কাজে লাগিয়ে বাসায় পড়ে থাকা পুরানো কোন ছবির ফ্রেম দিয়ে খুবই কম খরচে তৈরি করে ফেলা যায় কি হোল্ডার। এতে প্রয়োজনের সময় দরকারি চাবিটা পাওয়া যাবে সহজেই। আসুন দেখে নেয়া যাক এর ধাপসমূহ-

প্রয়োজনীয় উপকরণ

  • ছবির ফ্রেম
  • হুক/পিন
  • কালার স্প্রে অথবা রঙ ও কালার ব্রাশ

কার্যপদ্ধতি

  • প্রথমে ফ্রেমটি নিয়ে কাঠের অংশটুকু আলাদা করে ফেলতে হবে।

23

  • কাঠের অংশ আলাদা করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে অংশটুকু কোনভাবে নস্ট না হয়।

4

  • এবার কাঠের উপর সৌন্দর্যের জন্য কালার স্প্রে অথবা ব্রাশের সাহায্যে পছন্দমত রঙ করতে হবে। রঙ করা হয়ে গেলে শুকানোর জন্য কিছুক্ষন রেখে দিয়ে হবে।

6

  • রং শুকিয়ে গেলে উল্টো পিঠে রেখে তাতে পিনগুলো আস্তে আস্তে ঘুরিয়ে লাগাতে হবে। তাড়াহুড়া অথবা বেশি চাপ দেয়া যাবে না এতে ফ্রেমটি ভেঙ্গে যেতে পারে।

789

  • এভাবে বেশ কয়েকটি পিন লাগিয়ে নিতে হবে।

10

  • এবার দরজার পাশে সুবিধাজনক স্থানে ও হাতের নাগালের মধ্যেই পাওয়া যায় এমন জায়গায় কি হোল্ডারটি লাগিয়ে দিতে হবে।

ছবি – ক্রাফট ডট কম

লিখেছেন – সারাহ


সুইট অ্যান্ড সাওয়ার চিকেন উইংস

$
0
0

অল্প সময়ে মজার কিছু রান্না করতে চাইলে সুইট অ্যান্ড সাওয়ার চিকেন উইংস কিন্তু মন্দ হয় না। ছুটিরদিনে খাবার টেবিলে এই মুখরোচক আইটেমটি বাড়ির সোনামণি থেকে শুরু করে বয়স্করাও মজা নিয়ে খাবে। ফ্রাইড রাইস বা পোলাওয়ের সাথে পরিবেশন করতে পারেন  সুইট অ্যান্ড সাওয়ার চিকেন উইংস।

উপকরণ 

  • চিকেন উইংস ১২ টি (উইংস থেকে চামড়া খুলে ফেলে দিন ওপরের অংশ কেটে ললিপপ এরমতো করে নিন)
  • আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
  • রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ
  • সয়াসস ২ টেবিল চামচ
  • পাপরিকা পাউডার অথবা লাল মরিচের গুড়া স্বাদমত
  • লবণ স্বাদমত ভাজা
  • তেল ভাজার জন্য
  • কর্ণ ফ্লাওয়ার ৪টেবিল চামচ
  • গ্রেভীর উপকরন
  • টমেটো সস ১ কাপ,
  • ১/২ চা চামচ ভিনেগার
  • ১ কাপ সুইট এন্ড সাওয়ার সস
  • ১/২ চা চামচ গোলমরিচের গুঁড়া
  • ২টি বড় পেঁয়াজ কুচি
  • ১ চা চামচ আদা বাটা
  • ১ চা চামচ রসুন বাটা
  • চিনি সামান্য
  • লবন স্বাদমতো
  • কাচামরিচ-২/৩টি
  • ধনেপাতাকুচি-
  • কর্ণ ফ্লাওয়ার-১চাচমচ

প্রণালী

প্রথম ধাপে- তেল বাদে সমস্ত উপকরণ দিয়ে উইংগুলো মাখিয়ে রাখুন। তারপর ডুবো তেলে লাল করে ভেজে নিন।

ধাপ-২- প্রথমে কড়াইতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে গরম হলে আদা ও রসুন বাটা এবং পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে হালকা করে ভেজে নিন। এরপর ক্যাপসিকাম আর টমেটো দিয়ে খানিকক্ষণ নেড়ে নিয়ে এতে চিনি, লবন, গোলমরিচ, ভিনেগার ও সস দিয়ে নাড়তে থাকুন। সবজি ভাজা হয়ে গেলে এবং সব উপকরণ একসাথে মিশে গেলে এতে উইংস দিয়ে মিশিয়ে নিন। সামান্য কর্ণ ফ্লাওয়ার পানিতে গুলে দিয়ে দিন।  কাচামরিচ ও ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে নিন। 

ছবি ও রেসিপি – সামিয়া’জ হোম কিচেন

মাত্র ৫টি বিষয়ে খেয়াল করলেই আপনার শিশুটি এই শীতে সুস্থ থাকবে

$
0
0

শীতকাল প্রায় চলেই আসল। শীতে বাচ্চাদের অতিরিক্ত খেয়াল রাখতে হয়, নয়ত ঠান্ডা-কাশি, নিউমোনিয়া, হাঁপানীসহ নানা রকম রোগের কবলে পড়তে পারে। এটি একদম ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শীতের শুরু থেকেই বাচ্চাদের প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস সব সময় সংগ্রহে রাখা উচিত যাতে করে দরকারের সময় ঝামেলায় না পড়তে হয়। চলুন জেনে নিই, এমন বিশেষ প্রয়োজনীয় কিছু শীত বান্ধবের কথা।

(১) ডায়াপার

শীতের সময় বাচ্চারা যেন সব সময় শুকনো থাকে সে বিষয়ে খেয়াল রাখা সবচেয়ে জরুরী। সেক্ষেত্রে ভালো মানের ডায়াপারের ভূমিকা অনবদ্য। রাতের বেলায় অতিরিক্ত সুরক্ষা দেয় এমন ডায়াপার ব্যবহার করা উচিত যেন স্যাতস্যাতে ভাবের জন্য বাচ্চাদের ঘুমে কোন বিঘ্ন না হয় কিংবা সর্দিও না লাগে। সেই সাথে নজর দিতে হবে গুণগত মানের দিকেও। ভালো ব্র্যান্ডের ডায়াপার পড়তে যেমন আরামদায়ক তেমনি বাচ্চার নাজুক স্কিনেও কোন ক্ষতি করে না।

নবজাতক থেকে শুরু করে যে কোন বয়সের, যে কোন সাইজের, যে কোন ব্র্যান্ডের ডায়াপারের সম্ভার পাচ্ছেন ডায়াপার ডটকম এ।

(২)  সুলভে ভালো মানের বেবী ওয়াইপস

যেহেতু শীতকাল, একই কারণে বেবী ওয়াইপস ও গুরুত্বপূর্ণ। কেননা বারবার বাচ্চার হাত-পায়ে পানি না লাগিয়ে ওয়াইপ্স দিয়ে সহজেই বাচ্চার সারা শরীরই মুছে নেয়া যায়। বেবী ওয়াইপস এ সাধারণত ময়েশ্চারাইজার ও থাকে যা বেবী স্কিনে শীতে দেয় বাড়তি যত্ন। সুলভে ভালো মানের  বেবী ওয়াইপস ও পেয়ে যাবেন এখানে

(৩) সাবান, শ্যাম্পু, ক্রীম, লোশন

বাচ্চাদের ত্বক বড়দের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি নাজুক হয়ে থাকে। তাই বাচ্চাদের স্কিন আমাদের ব্যবহার্য প্রসাধনী ব্যবহার করা একদমই উচিত না। এতে র‍্যাশ, অ্যালার্জি হবার সম্ভাবনা থাকে। শীতকালে বাচ্চাদের ত্বক ফাটতে দেখা যায়। এমতাবস্থায় বেবী ক্রিম ও বেবী লোশন ব্যবহার করতে হবে। মুখের ত্বকে, ঠোঁটে ক্রীম ও সারা গায়ে লোশন ব্যবহার করুন। আর গোসলের সময় বাচ্চাদের জন্য যে সাবান, শ্যাম্পু রয়েছে সেগুলোই ব্যবহার করতে হবে।

 শিশুদের প্রয়োজনীয় সব স্কিন কেয়ার সামগ্রী পেয়ে যাবেন এখানে

(৪) গরম কাপড়

বাচ্চাদের সর্দি-কাশির টেন্ডেসিও বেশি থাকে। কাজেই তাদের সব সময় গরম কাপড় পড়িয়ে রাখতে হবে। বেশি শীতের সময় সোয়েটার, পাজামার পাশাপাশি উলের মোজা, জুতা ও টুপিও ব্যবহার করুন যাতে ঠান্ডা বাচ্চার ধারে কাছেও না আসতে পারে।

(৫) লেপ বা কম্বল

ভালো মানের ফেব্রিকের নরম, পাতলা, আরামদায়ক এবং সেই সাথে শীত নিবারণে সক্ষম এমন কম্বল বা লেপ ব্যবহার করুন। বেশি ভারি কিছু ছোট বাচ্চাদের জন্য উপযুক্ত নয়। তাই কেনার সময় খেয়াল রাখবেন লেপ বা কম্বল যেটাই  কিনছেন সেটার ফেব্রিক যেন পাতলা উলের ফেব্রিক হয়।

আজ এ পর্যন্তই।  সবার শীতকাল খুব ভালো কাটুক এই প্রত্যাশায় শেষ করছি। ভালো থাকবেন সবাই।

লিখেছেন – রোজা স্বর্ণা

মেকাপের মাধ্যমে দাগ এবং ডার্ক সার্কেল কীভাবে ঢাকবেন ?

$
0
0

আমাদের সবার ফেস পারফেক্ট নয়। আমাদের সবার ফেসেই কিছু ইম্পারফেকশন যেমন, বিভিন্ন স্পট, পিগমেন্টেশন, ব্রণের দাগ, ডার্ক সার্কেল ইত্যাদি থাকে। আর মেকাপ ব্যবহার করা হয় এই সব কিছু ঢেকে ফেলে নিজের সৌন্দর্য কে আরো ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্যে। কিন্তু মেকাপের মাধ্যমে দাগ-ছোপ ঢাকবেন কি করে? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

unnamed (4)
এখানে আমার ফেস একদম খালি। আমি শুধু আমার ময়েশ্চারাইজার এবং প্রাইমার ব্যবহার করেছি। আমার ফেসে অনেক স্পট রয়েছে এবং ডার্ক সার্কেল তো আছেই। আমি অনেককেই বলতে শুনি, শুধুমাত্র  কনসিলার ব্যবহার করেও পারফেক্টলি তাদের দাগ ঢেকে না । তাই আমি বলবো কালার কারেক্টর ব্যবহার করতে।  আমি সেই ট্রিকসটাই দেখাবো ছবির মাধ্যমে। এখানে আমি একটি অরেঞ্জ কালারের কারেক্টর নিয়েছি। যাদের স্কিন অনেক লাইট, তারা পিচ কালারের কারেক্টর নিবেন।

এবারে, কারেক্টরটি নিয়ে আপনার ফেসের যে যে স্থানে দাগ আছে ওইসব স্থানে অল্প অল্প করে লাগিয়ে নিন। একটি বিউটি ব্লেন্ডার অথবা ব্রাশের সাহায্যে কারেক্টরটি ব্লেন্ড করে নিন। ঘষে ঘষে ব্লেন্ড করা যাবে না। চেপে চেপে কারেক্টর টি বসিয়ে দিন।

unnamed

কারেক্টরটি ব্লেন্ড করা হয়ে গেলে ফাউন্ডেশন লাগিয়ে নিন এবং ব্লেন্ড করে নিন। এখানে, একটি কথা বলবো, আমার ফাউন্ডেশনটি ফুল কভারেজ ছিল, তাই আমার আর এক্সট্রা কোন কনসিলার প্রয়োজন হয়নি।

unnamed (1)
এক্ষেত্রে আপনার ফাউন্ডেশন যদি ফুল কভারেজ না হয়, তবে চাইলে আপনি কালার কারেক্টর ব্লেন্ড করার পর আপনার স্কিন কালারের একটি কনসিলার লাগিয়ে নিতে পারেন, যেখানে যেখানে কালার কারেক্টর লাগিয়েছিলেন সেখানে। এতে আপনার স্কিনের দাগ- ছোপ পারফেক্ট ভাবে ঢেকে যাবে। কনসিলারটি ব্লেন্ড করে নিতে ভুলবেন না। 
এরপর ফাউন্ডেশন এবং বাকি মেকাপ করে নিন।

এখানে আমি যে সকল প্রোডাক্ট ব্যবহার করেছি —
1. Rimmel Stay Matte Primer
2. L.A. girl orange corrector
3. Kryolan Supracolor Foundation (Shade – fs40)
4. Rimmel Stay Matte Powder (shade – sliky beige)

unnamed (3)

এই ট্রিকসগুলো ফলো করে আপনি মেকাপের মাধ্যমেই আপনার দাগ এবং ডার্ক সার্কেল পুরোপুরিভাবে ঢেকে ফেলতে পারবেন।

ছবি ও লিখেছেন –  জান্নাতুল মৌ

স্পঞ্জ রসগোল্লার পারফেক্ট রেসিপি

$
0
0

দারুন সফট আর নরম তুলতুলে স্পঞ্জি। স্পঞ্জ রসগোল্লা। আমরা এই মিষ্টিকে স্পঞ্জ মিষ্টিও বলে থাকি। শক্ত হবে না আর ভেঙ্গেও যাবে না, একদম পারফেক্ট হবে। দেখে নেয়া যাক  পারফেক্ট স্পঞ্জ রসগোল্লা তৈরির পুরো প্রণালী।

উপকরণ

  • দুধ ১ লিটার
  • লেবুর রস বা ভিনেগার ১-২ টেবিল চামচ
  • চিনি ১ কাপ
  • সাদা এলাচ ২ টি
  • গোলাপ জল আধা চা চামচ
  • পানি ৪ কাপ

প্রণালী

( ১ ) প্রথমে একটি পাত্রে দুধ নিয়ে চুলায় ফুটতে দিতে হবে । দুধ প্রথমবার ফুটে বা উতলে ওঠা মাত্র চুলা বন্ধ করে দিতে হবে।  তারপর দুধের মধ্যে অল্প করে লেবুর রস বা ভিনেগার দিতে হবে আর চামচের সাহায্যে নেড়ে মেশাতে হবে । এভাবে করতে করতে যখন হালকা সবুজ পানি বের হয়ে ছানা আর পানি আলাদা হয়ে যাবে, তখন লেবুর রস দেয়া বন্ধ করতে হবে ।

( ২ ) এরপর সাথে সাথে একটা পাতলা কাপড়ের সাহায্যে ছানা থেকে গরম পানি ছেকে ফেলে দিয়ে ট্যাপের নিচে নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে যেন ছানাতে লেবুর রস বা ভিনেগারের গন্ধ না থাকে। এবার কাপড়ের পুটলিকে হাত দিয়ে চেপে চেপে পানি যতটুকু বের করা যায় করতে হবে। তারপর ছানার বাকি পানি ঝরার জন্য কয়েক ভাঁজ করে রাখা শুকনা সুতি কাপড়ের উপর ছড়িয়ে দিয়ে হাত দিয়ে আলতোভাবে ডলে নিতে হবে ।

( ৩ ) এভাবে ৫ মিনিট করলে ছানার পানি শুকনা কাপড় শুষে নিবে । বেশি জোরে ডলে বেশি শুকিয়ে ফেলবেন না, ছানা নরম থাকবে যেন ছানা দিয়ে বল বানানো যায়। তারপর ছানা স্পঞ্জ রসগোল্লা তৈরীর জন্য রেডি।

রসগোল্লার জন্য সিরা তৈরী

চুলায় একটি ছড়ানো পাত্রে ৪ কাপ পানি, ১ কাপ চিনি ও ২ টা সাদা এলাচ দিয়ে জ্বালিয়ে চিনি আর পানি ভালোভাবে মিশে গেলেই চুলার আঁচ কমিয়ে অল্প করে রেখে দিতে হবে ।

রসগোল্লা প্রস্তুত প্রনালী

( ১ ) স্পঞ্জ রসগোল্লা তৈরিতে ছানার সাথে কিছুই মেশানোর প্রয়োজন নেই , শুধু ছানা ১০ মিনিট ধরে ভালোভাবে হাত দিয়ে ডলে মথে নিতে হবে । এতো ভালোভাবে মসৃন করে মথে নিতে হবে যেন ছানার মধ্যে কোনো দলা দলা না থাকে এবং বল বানালে খুব মসৃন বল হয় ।

( ২ ) এরপর মথে নেওয়া ছানা দিয়ে একটু বড় করে বল বানাতে হবে, কারণ স্পঞ্জ মিষ্টি নরমাল রসগোল্লার চেয়ে সাইজে একটু বড় হয় । বল মসৃন না হয়ে ফেটে গেলে আবার ভালো করে মথে নিয়ে তারপর বল বানাতে হবে ।

( ৩ ) সবগুলো বল বানানো হয়ে গেলে সিরার আঁচ বাড়িয়ে মাঝারি করে দিতে হবে এবং গোলাপজল দিতে হবে । সিরা ফুটতে শুরু করলে বলগুলো একসাথে সিরাতে ছেড়ে দিতে হবে এবং ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৫ মিনিট ফুটাতে হবে । এ অবস্থায় মিষ্টি নাড়াচড়া করা যাবে না ৫ মিনিট পর চুলার আঁচ কমিয়ে অল্প করে আরো ১০ মিনিট জ্বাল দিতে হবে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে সিরা যেন বেশি ঘন না হয় ।

( ৪ ) এরপর রসগোল্লা হয়ে গেছে কিনা তা চেক করার জন্য একটা বাটিতে নরমাল পানিতে একটা রসগোল্লা ছেড়ে দিতে হবে। যদি ডুবে যায় তবে বুঝবেন হয়ে গেছে। না ডুবলে আরো ৫ মিনিট অল্প আঁচে সিরায় জ্বালাতে হবে ।

স্পেশাল টিপস

এই মিষ্টি বানাতে ছানায় পানি থাকা যাবে না, পানি থাকলে মিষ্টি ফেটে যাবে, ভেঙ্গে যাবে । আবার ছানা বেশি শুকিয়ে ফেলা ও যাবে না, এতে ছানা শক্ত হয়ে যাবে মসৃন মিষ্টি বানানো যাবে না । আর সিরায় বেশি সময় জ্বালালে মিষ্টি শক্ত হয়ে যাবে । মনে রাখবেন, রসগোল্লা আর স্পঞ্জ রসগোল্লা এক নয় উপকরণ, প্রস্তুত প্রনালী এবং টেষ্ট সব কিছুতেই সামান্য পার্থক্য আছে ।

পরিবেশন
স্পঞ্জ রসগোল্লা হয়ে গেলে নামিয়ে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন, এই স্পঞ্জ মিষ্টি হালকা গরম খেতেও অসাধারন লাগে। আমার রেসিপি ফলো করে ঠিকমত বানাতে পারলে আর দোকানের মিষ্টি ফ্রি পেলেও খেতে চাইবেন না, এটা আমার গ্যারান্টি । এই উপকরণে ৬-৭ জনকে পরিবেশন করা যাবে।

ছবি ও রেসিপি –  আফরুজা শিল্পী

রূপচর্চায় আলুর গুণাগুণ

$
0
0

শুধুই কি ফ্রেঞ্চফ্রাই?নাহ! আলুর আছে আরো নানান গুণ। তাও রুপচর্চায়! ভিটামিন বি আর সি সমৃদ্ধ আলু আপনার স্কিন, বডি আর চুলকে করবে উজ্জ্বল, শীতল আর ঝলমলে। সাথে সাথে অ্যান্টিরিঙ্কেল  হিসেবেও আলুর আছে সু্খ্যাতি। তাই আলুকে আপনার স্কিনের বন্ধু ভাবতেই পারেন। ভাবছেন, আলুকে কাজে লাগাবেন কীভাবে? একেক ধরনের স্কিন প্রব্লেম সামলাতে একেকভাবে আলুকে  ব্যবহার করতে হবে। আসুন দেখি আলুর গুণগুলো কীভাবে কেমন করে কাজে লাগাতে হবে।

চোখের সৌন্দর্যে  আলুর ব্যবহার :

  • ডার্ক সার্কেল ও চোখের ফোলা ভাব কমাতে : চোখে আলুর প্রলেপ ডার্ক সার্কেল কমাতে সব থেকে সেফ এবং ন্যাচারাল পদ্ধতি। আলু পাতলা গোল গোল করে কেটে চোখের ওপর দিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ভালো হয় যদি আলুটা ফ্রিজ রেখে ঠান্ডা করে নেয়া যায়। তাহলে একি সাথে এটা চোখের ফোলা ভাব ও কমিয়ে দিবে।
  • চোখের নিচের রিঙ্কেল কমাতে : আলু ছেচে রস করে এর সাথে মধু মিশিয়ে চোখের নিচে লাগিয়ে আলতো হাতে ম্যাসাজ করতে হবে। নিয়মিত লাগালে আস্তে আস্তে চোখের নিচের রিঙ্কেল দূর হয়ে যাবে।

মুখের ত্বকের জন্য আলু :

  • ব্রণের দাগ সারাতে ও উজ্জল ত্বকের জন্য আলু  : ব্রণের দাগ সারাতে আলুর রস সরাসরি দাগের উপর ও লাগাতে পারেন অথবা রস নিয়ে টোনারের মত মুখে লাগিয়ে নিয়ে কিছুক্ষন পরে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বক উজ্জল হয়ে যাবে কয়েক শেড। কয়েকদিনেই বুঝতে পারবেন পার্থক্যটা।
  • এক্সফলিয়েটিং  টোনার : কাচা আলু ছেচে রস বের করে এর সাথে দুই চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। এটা হাইপার পিগমেন্টেসন, অতিরিক্ত মুখ ঘামান ও স্কিনের মরা চামরা দূর করে স্কিনকে ঝকঝকে করে তুলবে।

ত্বকের রিঙ্কেল সারাতে আলুর বিভিন্ন ব্যাবহার:

  • আলুর ক্লিঞ্জার: একটা  শশা, একটা আলু একসাথে মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। এরসাথে  মিশান এক চা চামচ বেকিং সোডা ও এক চামচ পানি। একটা  বোতল এ ভরে ফ্রিজে রাখুন। প্রতিবার ব্যবহারের আগে ঝাকিয়ে নিন। ব্যস তৈরী হোমমেইড সুদিং ক্লিঞ্জার।
  • অয়েলি স্কিন মাস্ক হিসেবে: আলু ছিলে ভালো মত ছেচে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। এর সাথে মিশাতে হবে এক চা চামচ গোলাপ জল অথবা এক চা চামচ চাল ফুটানো পানি ও এক চা চামচ লেবুর রস। এবার মুখে মেখে কমপক্ষে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
  • ড্রাই স্কিন মাস্ক হিসেবে: অয়েলি স্কিনের মাস্ক এর মতই বানাতে হবে শুধু লেবুর রস এর জায়গায় মধু দিতে হবে।
  • অ্যান্টিএজিং মাস্ক হিসেবে: আলু ভালোমত পেস্ট বানিয়ে এর সাথে এক চা চামচ টক দই মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন আধা  ঘণ্টা। ভালোমত মুখ ধুয়ে ফেলুন। দেখুন স্কিনের কোমলতা।
  • ত্বকের উজ্জলতা বাড়ানোর জন্যে মাস্ক: একটা টিস্যু, ওয়াশক্লথ অথবা পেপার টাওয়েল নিয়ে ফ্রেশ আলুর রসে ভিজিয়ে মুখে দিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। নিয়মিত করে দেখুন ফ্লোলেস ত্বক কাকে বলে।

বডির স্কিনে আলুর উপকারীতা 

  • সানর্বান দূর করতে: আলু কেটে নিয়ে সরাসরি সানর্বানের ওপর লাগাতে পারেন অথবা এর রস অ লাগাতে পারেন। পোড়া ভাব একদম চলে যাবে।
  • পোকামাকরের কামড়, ইচিং ও র‍্যাশ এর চিকিৎসায়: আলু কেটে নিয়ে আক্রান্ত জায়গায় চেপে ধরুন। দিনের মধ্যে কয়েকবার করে করুন তাড়াতাড়ি সেরে উঠতে।

চুলের  যত্নে আলু :

  • ময়েশ্চারাইজিং হেয়ার প্যাক: তিন চা চামচ আলুর রস, দুই চা চামচ অ্যালোভেরা জেল ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে মাথায় লাগিয়ে রাখুন এক ঘণ্টা। ড্যামেজ কতটা গভীরের  ওপর নির্ভর করে সময় কম বেশী করবেন। চুল কোমল, মসৃণ চকচকে হয়ে উঠবে নিমিষে।  আলু শুধু খাবার হিসেবে না দেখে একে প্রতিদিনের স্কিন কেয়ারের অনুষঙ্গ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে নিন। ঠকবার কোন প্রশ্নই আসে না। একদম সেইফ এই সবজীটি আপনার ন্যাচারাল সৌন্দর্য্যকে বাড়িয়ে তুলবে ভীষনভাবে।

ছবি –  স্টাইলিশটিপস ডট কম

লিখেছেন –  সুমনা ফাল্গুনী

কোকোনাট বানানা কেক

$
0
0

কলা পেকে গেলে অনেকেই সেটা খেতে পছন্দ করেন না। পাকা কলা ফেলে না দিয়ে এর সাথে সামান্য কিছু উপাদান জুড়ে খুব সহজে বানিয়ে ফেলুন কোকোনাট বানানা কেক। খাবার সময় ভ্যানিলা আইসক্রিম এর সাথে পরিবেশন করুন।

উপকরণ

  • ৫০ গ্রাম বাটার
  • ২ টা ডিম
  • পাকা কলা ২ টি
  • হাফ কাপ ময়দা
  • হাফ কাপ কাস্টার্ড সুগার /চিনি
  • ১/৩ কাপ ড্রাই কোকোনাট
  • ১ চা চামচ বেকিং সোডা
  • ১ চা চামচ বেকিং পাউডার
  • ১ টেবিল চামচ ভ্যানিলা ফ্লেভার/ এসেন্স
  • একটা বাটিতে হাফ কাপ ময়দা ১/৩ কাপ ড্রাই কোকোনাট
  • হাফ কাপ কাস্টার সুগার /চিনি
  • ১ চা চামচ বেকিং সোডা
  • ১ চা চামচ বেকিং পাউডার মিক্স করে নিন

প্রণালী 

- বাটিতে পাকা কলা ডিম ভ্যানিলা ফ্লেভার/ এসেন্স, ৫০ গ্রাম বাটার ফেটিয়ে মিশিয়ে নিন। এতে ময়দার মিক্সটা মিশিয়ে নিন। খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। (আমি কোনো মিক্সার মেশিন দিয়ে করিনি হাতে করেছি। চাইলে মিক্সার দিয়ে করতে পারেন।)

- যেকোনো নন স্টিক বেকিং প্যান বাটার ব্রাস করে নিন।

- এবার এই মিশ্রণটা ঢেলে নিয়ে বেক করুন এখন ওভেন ১৮০ ডিগ্রীতে ৩০ মিনিট। ওভেন আগে প্রি-হিট করে নিবেন।

 

ছবি – রেসিপিজ হাব ডট নেট

রেসিপি – রোমান্টিক কিচেন স্টোরিজ 

 

ত্বকের চরম রুক্ষতায় পরম বন্ধু!

$
0
0

শীতে ত্বক ও চুলের সুরক্ষায় তেলের ভূমিকা মোটেও হেলাফেলা করবার নয়। শরীরের সার্বিক যত্নেই তেল বেশ কার্যকর। যারা বছরের অন্যান্য সময়ে তেলের পরশ এড়িয়ে চলেন তারাও শীত এলে তেলের কাছে সাহায্য খোঁজেন। ত্বকের চরম রুক্ষতায় এর চেয়ে উপকারী বন্ধু আর হয় না কিন্তু। বছর ঘুরে আবারও এসেছে শীতকাল, শরীরে শুষ্ক অনুভূতি ভালোই টের পাইয়ে দিচ্ছে শীতের বিড়ম্বনা। হরেক জাতের তেলের হরেক রকম ব্যবহার জেনে নিয়ে এই শীত আপনার স্বস্তিতে কাটুক বরং।

  • নারকেল তেল

দেশীয় চিরচেনা নারকেল তেলের কথা সবার প্রথমে আসবেই। প্রচলিত ধারনায় এই তেল ব্যাপকভাবে চুলের যত্নেই ব্যবহৃত হয়। তবে এর জাদুকরী গুণের কথা যারা জানেন এবং আস্থা রাখেন তারা ত্বকের যত্নে এক্সট্রা ভার্জিন নারকেল তেল বেছে নিতে পছন্দ করেন। খুব ভালো প্রাকৃতিক ময়েশ্চারের নিশ্চয়তা দেয় এই নারকেল তেল। গোসলের আগে অথবা গোসল করার পরপর হাতে খানিকটা তেল ঢেলে নিয়ে শরীরে আলতো মালিশ করে লাগিয়ে নিন। এতোটুক করলেই বিচ্ছিরি শুষ্কতা থেকে অনেকটাই মুক্তি মিলবে। মারাত্মক শুষ্কতায় ভুগলে পেট্রোলিয়াম জেলির সাথে মিশিয়েও ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন, বাড়তি আর্দ্রতা পাবেন তাতে।

  • জলপাই তেল

জলপাই তেল আরেকটি খুব পরিচিত তেলের নাম। এর ব্যবহার শরীরের ত্বকেই বেশি হয়। নারকেল তেলের মতোই এটি সারা শরীরে লাগাতে পারেন এই শীতকালে। কৌটোতে করে কিছুটা তেল স্নানঘরে রাখা থাকলে গোসলের আগে বা পরে সহজেই ইচ্ছে মতন লাগিয়ে নিতে পারবেন ত্বকে। ডিপ ময়েশ্চারাইজিং এর জন্য পেট্রোলিয়াম জেলি বা গ্লিসারিনের সাথে সঠিক অনুপাতে ভালো মানের অরগানিক এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল  মিশিয়ে ক্রিম বানিয়ে সংরক্ষণ করুন। অতিরিক্ত শুস্কতা কাটাতে এই ক্রিম উপকারে আসবে আপনার। বিশেষ করে ফাটা চামড়া ঠিক করতে এই ক্রিম ভীষণ কার্যকরী।

  • সরিষার তেল

মন মাতানো ঘ্রাণ নেই বলে তার গুণ নেই, এমন বদনাম সরিষার তেলকে দিতে পারবেন না! শরীরে এই তেলের নিয়মিত মালিশ কতো উপকারী তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ঘ্রাণ নিয়ে খুব খুঁতখুঁতে না হলে নিজের শরীরের উপকারের কথা ভেবে মাঝেমাঝেই সরিষার তেলকে আপনার ত্বকচর্চার সামগ্রীর তালিকায় রাখুন। ঠাণ্ডার সমস্যা থেকে আপনাকে আগলে রাখবে বাংলার আদি ঐতিহ্যের পরিচায়ক এই তেল। শীতে যাদের সর্দি-ঠান্ডা বেড়ে যাওয়ার প্রকোপ রয়েছে তারা গোসলের আগে খানিকটা সরিষার তেল নিশ্চিন্তে মেখে নিন গায়ে, অনেক উপকার হবে।

পায়ের ফাটা গোড়ালিতে পেট্রোলিয়াম জেলিসহ কোন তেল মেখে রাখুন বাসায় থাকলে। বাদাম তেল বা নারকেল কিংবা জলপাই তেল, যা খুশি। মিশ্রণ পায়ে লাগানোর পর নরম মোজা ব্যবহার করুন। কয়েক দিনেই পরিবর্তন চোখে পড়বে, ফাটা গোড়ালি মসৃণ হয়ে আসবে।

লোশন বা ক্রিমে কাজ না হলে রাতে ঘুমের সময় মুখের ত্বকেও খানিকটা তেল মেখে নিতে পারেন। শরীরের ত্বকে জলপাই তেল ব্যবহারে অভ্যস্ত হলে সেটাই মাখুন। অতিরিক্ত শুষ্ক জায়গাতে পেট্রোলিয়াম জেলি মাখুন।নারকেল তেলে সামান্য চিনি মিশিয়ে রুক্ষ হাত-পায়ে মালিশ করুন। রুক্ষতা কমে আসবে। একই কাজ ঠোঁটের যত্নেও করতে পারেন চাইলে।

ছবি – রিডমোর ডট ওয়ার্ডপ্রেস ডট কম

লিখেছেন –  মুমতাহীনা মাহবুব


চাটগাঁর মুখরোচক পদ দোমাছা

$
0
0

চট্রগ্রামের খুব মজাদার শুঁটকি ও মাছের এই পদের নাম দোমাছা। শীতকালে  দুপুরে ধোঁয়া উঠা গরম গরম ভাতের সাথে এই দোমাছা খেতে কিন্তু দারুণ মজা। তাহলে দেখে নিন, চট্রগ্রামের  মজাদার দোমাছা তৈরির পুরো প্রণালী।

উপকরণ

  • শিং/মাগুর/কোরাল মাছ-১/২কেজি
  • রূপচাদা/ছুরি শুঁটকি মাছ-৩০০গ্রাম
  • আলু গোল করে কাটা-২০০গ্রাম
  • বেগুন টুকরা করে কাটা ২টা
  • সিমের বিচি-১কাপ
  • পেঁয়াজ কুচি-১/২কাপ
  • রসুন কুচি-৩কোয়া
  • মরিচ গুড়া-৩চা চামচ
  • হলুদ গুড়া-১/২চা চামচ
  • ধনে গুড়া-১/২চা চামচ
  • টমেটো ফালি-৪টি
  • ধনেপাতা কুচি-১/৪কাপ
  • লবন-২চা চামচ
  • পানি-২কাপ

প্রণালী

- শুঁটকি ধুয়ে পরিষ্কার করে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
– সসপ্যানে তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি দিয়ে নরম হলে মরিচ গুড়া,হলুদ ও ধনে গুড়া দিয়ে  কষান।
– কষানো হলে আলু, লবন ও মাছ দিয়ে দিতে হবে।
– কিছুক্ষন পরে শুঁটকি ,সিমের বিচি,বেগুন,ও টমেটো দিয়ে পানি দিতে হবে।
– মাছ ও শুঁটকি হয়ে আসলে ধনেপাতা ছিটিয়ে নামিয়ে নিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

ছবি ও রেসিপি –  সামিয়াজ হোম কিচেন 

ম্যাট মেকাপ লুককে ডিউয়ি / গ্লোয়ি করে তোলার ১২টি দারুণ উপায়

$
0
0

আজকাল মেকাপ করতে পছন্দ করে না এমন নারী খুজে পাওয়া মুশকিল। তবে মেকাপ লুকটা যে ম্যাট ফিনিসই হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। মেকাপে গ্লোয়ি একটা লুক আসলে দেখতেও অনেক সুন্দর লাগে। আর এই ডিউয়ি মেকাপ লুক করতে বাড়তি কোন মেকাপ প্রোডাক্টের দরকার নেই। মেকাপ পাউচে থাকা সাধারণ প্রোডাক্টগুলো দিয়েই এই লুকটি আনা সম্ভব। আজকাল প্রায় সবাই মেকাপে গ্লোয়ি/ ডিউয়ি লুকটা পছন্দ করে। তাই মেকাপকে কীভাবে ডিউয়ি / গ্লোয়ি করে তোলা যায়, এজন্য রয়েছে কিছু টিপস।

(১) ক্লিঞ্জিং,  টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং এরপর রেগুলার প্রাইমারের সাথে ব্যবহার করুন একটি ইল্যুমিনেটিং প্রাইমার। অনেক ধরনের ইল্যুমিনেটিং প্রাইমার রয়েছে। আপনার পছন্দমত বেছে নিতে পারেন। ইল্যুমিনেটিং প্রাইমার আপনার পুরো ফেসে একটা গ্লো তৈরি করবে।

(২) ব্যবহার করতে পারেন লিকুইড হাইলাইটার / ইল্যুমিনেটর। ফাউন্ডেশন ব্যবহারের আগে  লিকুইড হাইলাইটার নিয়ে ফেস এর হাই পয়েন্টগুলো যেমন- চিক বোন, নাকের ব্রিজ, থুতনি, ঠোঁটের উপরের দিকে, কপালে, আই ব্রো বোনের উপরে এবং নিচে  লাগিয়ে নিন এবং ব্লেন্ড করুন হাতের সাহায্যে। এরপর ফাউন্ডেশন লাগান।

(৩) ফাউন্ডেশন একটু ন্যাচারাল এবং গ্লোয়ি করে তুলতে ফাউন্ডেশন প্রথমে হাতে নিয়ে এর সাথে এক ফোটা বেবী অয়েল মিক্স করে নিন। এরপর ফাউন্ডেশন মুখে লাগিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। এতে ফাউন্ডেশন অনেক গ্লোয়ি লাগবে। যাদের অয়েলি স্কিন তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এটা ফেসের অয়েলিনেস বাড়িয়ে তুলবে না। তাই নিশ্চিন্তে এই টিপসটি ফলো করতে পারেন।

(৪) গালে পাউডার ব্লাশের পরিবর্তে ব্যবহার করুন কালার লিপ গ্লস। অল্প একটু কালার লিপ গ্লস নিয়ে লাগিয়ে নিন গালে। এবং ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন। তবে খেয়াল রাখবেন, অনেক বেশী পরিমানে যেন নেয়া না হয়।
লিপ গ্লস গালে একটা ডিউয়ি ইফেক্ট দিবে।

(৫) নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন এক্সট্রা গ্লো এর জন্য। এটিও লিকুইড হাইলাইটারের মতো ফেস এর হাই পয়েন্টগুলোতে ব্যবহার করুন ফাউন্ডেশন এর আগে।

(৬) বেইজ মেকাপে পাউডার হাইলাইটার ফেস এ গ্লো যোগ করে। তবে আরো গ্লোয়ি করে তুলতে  প্রথমে হাই পয়েন্টস এ ব্যবহার করুন লিকুইড হাইলাইটার। তার উপরে ব্যবহার করুন পাউডার হাইলাইটার।

(৭) বেইজ মেকাপের শেষের দিকে পাউডার হাইলাইটার ব্যবহার করুন। এরপর সেটিং স্প্রে নিয়ে পুরো মুখে স্প্রে করে নিন। এরপর সাথে সাথে আবার পাউডার হাইলাইটার ব্যবহার করুন। এই ট্রিকসটি ফলো করলে আপনি নিজেই দেখতে পারবেন পার্থক্য। আগের চেয়ে অনেক গ্লোয়ি দেখতে লাগছে হাইলাইটার।

(৮) লিপস্টিকের ক্ষেত্রে ২ টি লিপস্টিক একসাথে মিক্স করে ঠোটে লাগান। একটি মোটামুটি ম্যাট, অন্যটি গ্লসি। এতে অনেক সুন্দর একটা ফিনিস আসবে।

(৯) কানের দিকে এবং গলার এরিয়াতে সামান্য ভ্যাসলিন লাগিয়ে নিন। এতে পুরো ফেস এর মেকাপের সাথে সামাঞ্জস্যতা আসবে।

(১০) ডিউয়ি / গ্লোয়ি মেকাপের পূর্বশর্ত মসৃন স্কিন। এজন্য মেকাপের আগে স্ক্রাবিং করে নিন। যাতে ত্বকের মরা চামড়া, ব্লাক হেডস, হোয়াইট হেডস চলে যায়।

(১১) চোখের পাতায় ব্যবহার করুন শিমারি আইশ্যাডো। এটি গ্লোয়ি মেকাপের সাথে মানানসই হবে।

(১২) মেকাপ শেষে একটি ডিউয়ি ফিনিস এর মেকাপ সেটিং স্প্রে ব্যবহার করুন। এ ধরনের সেটিং স্প্রে সারাদিন আপনার মেকাপকে গ্লোয়ি রূপ ধরে রাখতে সাহায্য করবে।

জেনে নিলেন, ডিউয়ি / গ্লোয়ি মেকাপের টিপসগুলো। এ ধরনের মেকাপ উইন্টারে অনেক বেশী প্রযোজ্য। উইন্টারে এক্সট্রা গ্লো তৈরি করবে। চাইলে অন্যান্য সময়ে বিশেষ করে পার্টির জন্য অনেক ভালো লাগবে দেখতে।

ছবি – মেকাপঅ্যান্ডবিউটি ডট কম

লিখেছেন – জান্নাতুল মৌ

বিফ ইন ওয়েস্টার সস

$
0
0

আজকের রেসিপি আয়োজনে রয়েছে বিফ ইন ওয়েস্টার সস।  ভাতের সাথে কিংবা ফ্রায়েড রাইস এর সাথে দারুণ লাগে এই ডিশটি। হাতে সময় থাকলে এবং মজার কিছু রান্না করতে চাইলে এই রেসিপিটি ট্রাই করে দেখতে পারেন। চলুন তাহলে দেখে নিই, বিফ ইন ওয়েস্টার সস তৈরির পুরো প্রণালী।

উপকরণ

  • লম্বা করে কাটা গরুর মাংস ২ কাপ
  • পেয়াজ কিউব করে কাটা হাফ কাপ 
  • ওয়েস্টের সস ৪ টেবিল চামচ 
  • আদা মিহি কুচি ৪ টেবিল চামচ
  • রসুন মিহি কুচি ২ চা চামচ
  • কর্ণ ফ্লাওয়ার ২ চা চামচ
  • তেল ৩ টেবিল চামচ 
  • লবন স্বাদমত 
  • বাইকার্বোনেট সোডা হাফ চা চামচ
  • ব্রকলি হাফ কাপ ( না দিলেও হবে )

 

প্রণালী 

- একটা বাটিতে লম্বা করে কাটা মাংসের সাথে আদা কুচি ২ টেবিল চামচ, বাইকার্বোনেট সোডা নিয়ে মিক্স করে রাখুন ১ ঘণ্টা।

- এখন প্যানে তেল দিয়ে তাতে আদা কুচি ২ টেবিল চামচ আর মিহি রসুন কুচি দিন। হালকা লাল হয়ে আসলেই এতে মেরিনেট করে রাখা মাংস দিয়ে দিন। নাড়াচাড়া করে রান্না করুন ৮ থেকে ১০ মিনিট।

- এখন এতে ওয়েস্টের সস, লবন স্বাদমত দিয়ে নাড়াচাড়া করে নিন।

- আরো ৫ মিনিট রান্না করুন। যখন একটু লাল হয়ে আসবে এই সময় হাফ কাপ পানিতে কর্ণ ফ্লাওয়ার গুলে দিয়ে দিন।

- ২ থেকে ৩ মিনিট পর পেয়াজ কিউব দিয়ে ধিমি আঁচে রান্না করুন আরও ১০ মিনিট।

 

ছবি ও  রেসিপি - রোমান্টিক কিচেন স্টোরিজ 

মাত্র ২টি উপাদানে ত্বক হবে টানটান,তারুণ্যদীপ্ত ও লাবন্যময়!

$
0
0

আনইভেন স্কিন,সান ট্যান এবং ওপেন পোরস আজকের দিনে প্রায় সবারই কমন সমস্যা। আজকে আমি আপনাদের জন্যে নিয়ে এসেছি এই সব সমস্যার  অতি সাধারন কিন্তু খুবই ফলপ্রসূ একটি সমাধান। এই একটি মাত্র মাস্কই আপনাকে এনে দিবে কুড়ি বছর বয়সী ত্বকের জেল্লা। মাস্কটি আপনার ঝুলে পড়া স্কিনকে করবে টানটান,তারুণ্যদীপ্ত ও লাবন্যময় সানট্যান দূর করে স্কিনকে দিবে ঝলমলে লুক। এই হোয়াইটেনিং লাইটেনিং মাস্ক আপনার স্কিনের রঙ হালকা ও ফর্সা করার পাশাপাশি আপনার স্কিনে এনে দিবে গ্লসি লুক।

এই মাস্কে আপনার দরকার হবে মাত্র দুটি উপাদান। উপাদান দুটি হল-

  • টমেটো
  • এবং মধু

এই দুটি উপাদানই সাধারণত আমাদের রান্নাঘরে সহজেই পাওয়া যায়। এখন আমি আপনাদের বলবো কীভাবে সহজেই মাস্কটি আপনারা তৈরী করবেন।  মাস্কটি সকল স্কিনের জন্যে সুইটেবল সুতরাং নিশ্চিন্তে মাস্ক টি ব্যবহার করতে পারেন। মাস্কটি দুইভাবে স্কিনে অ্যাপ্লাই করতে পারেন।

একটি  টমেটো নিয়ে এটিকে মাঝখান থেকে কেটে  দুই ভাগ করুন। এরপর এক ভাগ টমেটো নিয়ে এর মাঝে খানিকটা মধু ঢেলে আঙুল দিয়ে টমেটোটা একটু খুঁচিয়ে দিতে হবে যাতে টমেটোর রস আর মধু এক সাথে মিশে যায়।

এবার টমেটোটা ভালো করে মুখে আর গলায় হালকা করে ঘষে ঘষে লাগাতে হবে।জোরে ঘষার কোন দরকার নেই।আপনি চাইলে মাস্কটি  হাতে পায়ে ও লাগাতে পারেন। যদি লাগাতে লাগাতে মনে হয় টমেটোটা শুকনো শুকনো লাগছে তাহলে আঙুল দিয়ে আরেকটু খুঁচিয়ে নিলেই হবে।

অথবা টমেটোটিকে ফুড প্রসেসর এ অথবা ব্লেন্ডারে ঢেলে ভালো করে ব্লেন্ড করুন। এরপর এর মধ্যে এক চা চামচ মধু  ঢালুন। এরপর মুখ ভালো করে ধুয়ে একটি ব্রাশের সাহায্যে মুখ এবং গলায় লাগান। আপনি চাইলে হাত দিয়েও লাগাতে পারেন। যেটা  আপনি সাচ্ছন্দ বোধ করেন। মাস্কটি লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিটস রেখে নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

এরপর আপনি চাইলে রেগুলার ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন।ময়েশ্চারাইজার স্কিনের আদ্রতা ভেতর থেকে লক করে রাখে ফলে আপনার স্কিন থাকে গ্লসি ও সতেজ। মাস্কটির রেগুলার অ্যাপ্লিকেশন  আপনার স্কিন কমপ্লেক্সকে করবে ফর্সা, হালকা, সুপার গ্লসি ও দশ বছর কম বয়সী টানটান স্কিন।

জেনে নেয়া যাক স্কিন হোয়াইটেনিং এন্ড পোরস টাইটেনিং মাস্কের উপকারিতা সম্পর্কে-

  • যেহেতু এটি ন্যাচারাল ও কেমিকেল ফ্রি মাস্ক তাই এতে কোনো সাইড এফেক্ট নেই। আপনি ইচ্ছে করলে এই মাস্কটি সপ্তাহের প্রতিদিন লাগাতে পারবেন। যদি আপনার মধুতে অ্যালার্জী থাকে তাহলে আপনি শুধু টমেটো ও মুখে লাগাতে পারেন একি ধরনের ফল পেতে। তবে মধুর গুণে মাস্কটি আরো অনন্য হয়ে ওঠে।
  • মধু, টমেটোর এই মাস্কটি আপনার স্কিনকে বাহ্যিক দূষণ ও সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির হাত থেকে বাচাবে।
  • এটি যে শুধুমাত্র আপনার ত্বককে ফর্সা ও গায়ের রঙ হালকা করে ন্যাচারাল গ্লো এনে দিবে তাই ই নয় সাথে সাথে আপনার ত্বকের রিঙ্কেল ও বুড়িয়ে যাওয়া ও রোধ করবে।
  • টমেটো স্কিন কমপ্লেক্সন হালকা করার জন্যে সুপরিচিত। স্কিন ট্যানিং, হাইপার পিগমেন্টেসন ও ওপেন পোরস কমাতে টমেটোর জুড়ি মেলা ভার।
  • এটি স্কিনের ঝুলে যাওয়া রোধ করে যার  ফলাফল বাচ্চাদের মত নরম আর কোমল ত্বক।
  • টমেটো জুস অত্যন্ত উচ্চ পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারি।এর মধ্যে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, লাইকোপেন, প্রোটিন ও অ্যান্টি অক্সিজেন থাকে। মাস্কটি আপনি প্রতিদিন একবার করে লাগাতে পারবেন এবং মাত্র এক সপ্তাহের ভেতর আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আপনার  স্কিনের পরিবর্তন।

বিঃ দ্রঃ

যেকোন মাস্ক মুখের সাথে সাথে গলায় ও অ্যাপ্লাই করতে হয়। তা না হলে গলা আর মুখের রঙের মধ্যে অসামঞ্জস্যতা দেখা দিবে, যা দেখতে খুবই বাজে লাগবে। সুতরাং এদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

ছবি – স্টাইলক্রেজ ডট কম

লিখেছেন –  সুমনা ফাল্গুনী

স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার মূলমন্ত্র (পর্ব ০১)

$
0
0

জীবন একটাই। এই জীবনের প্রতিটি দিন যেন সুস্থতায় কাটে তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদেরই। আর এটি আমরা খুব সহজেই করতে পারি। শরীর সুস্থ থাকলে মন ও ভালো থাকে, কাজ-কর্মে আলাদা মনোযোগ পাওয়া যায়। স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করতে চাইলে একটু নিয়ম মেনে চলতে হবে আর গড়ে তুলতে হবে কিছু দরকারী অভ্যাস।  আমি কিছু ধারাবাহিক আর্টিকেলের মাধ্যমে এ বিষয়টি বিস্তরভাবে চুলে ধরার চেষ্টা করব। চলুন তবে জেনে নিই, কীভাবে আপনার জীবনযাত্রাকেও সহজেই স্বাস্থ্যকর করে তুলতে পারেন।

(১) দাঁত ব্রাশ ও ফ্লসের ব্যবহার

আপনার মূল্যবান দাঁত ও মাড়িকে সবল রাখতে প্রতিদিন ২ বার ব্রাশ করা ও ১ বার ফ্লসিং করা জরুরি। দু’বার ব্রাশ করার কথা আমরা প্রায় সবাই জানি, কিন্তু নানা কারণে মানতে চাই না। ফলে দাঁত ও মাড়ির নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। অথচ যদি প্রতিদিনের এ স্বাস্থ্যকর অভ্যাসটি রপ্ত করা যায় তবে অকালে দাঁত ব্যথা, হলদে ভাব, ক্ষয়, দাঁত থেকে রক্ত পড়া, দূর্বল মাড়ির নানা রকম সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। প্রতিদিন ফ্লস করলে দাঁতের গোড়া থেকে সব ময়লা বেড়িয়ে আসে এবং স্কেলিং এর কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। আরো একটি কথা, ফুটপাতের সস্তা টুথব্রাশ এর ব্রিস্টল আপনার নাজুক মাড়ির জন্য ভীষণ ক্ষতিকর, যার ফলে অনেকেই কোন কারণ ছাড়াই দাঁত ও মাড়ির ফাঁকে ফাঁকে রক্ত দেখতে পান। সেক্ষেত্রে ডেন্টিস্টদের অনুমোদিত ভাল ব্র্যন্ডের নরম ও আঁকা-বাঁকা ব্রিস্টলের ব্রাশ ব্যবহার করুন।

সঠিক টুথব্রাশ, টুথপেস্ট, ডেন্টাল ফ্লস ও মাউথ ওয়াশ কিনতে পারেন এখান থেকে  । এতে আপনি ঘরে বসেই পেয়ে যাবেন আপনার দরকারি জিনিস গুলো আর এসব খুঁজে যে সময়টা নষ্ট হত সে সময়ে আপনি আরামে আপনার দাঁত ও মাড়ির যত্ন নিতে পারবেন।

(২) প্রচুর পরিমাণে পানি ও পানীয় পান করা

একথা আর নতুন করে বলার কিছু নাই। পানির অপর নাম জীবন। প্রতিদিন কম পক্ষে ২ লিটার পানি আপনাকে পান করতেই হবে, এর কোন বিকল্প নেই। সেই সাথে মৌসুমী ফলের ও সব্জির জুস, শরবত, গ্রীন টি আপনাকে দিতে পারে সজীবতা। আম, কমলা, আপেল, আনারস, আঙ্গুর, কলা, পেঁপে, গাজর, পুদিনা, শশা ইত্যাদি দিয়ে তৈরি হতে পারে দারুন সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর জুস। যা দিনের যে কোন সময় স্ন্যাক্সের পরিবর্তে ব্যবহৃত হতে পারে সহজেই।

ফলের জুসের ক্ষেত্রে চেষ্টা করবেন টাটকা ফল ব্যবহার করতে। নিকটস্থ সবজি ও ফলের দোকানগুলো থেকে ফ্রেশ, ফরমালিন মুক্ত ফল সংগ্রহ করতে পারেন অথবা ঘরে বসে কিনতে চাইলে চলে যেতে পারেন এখানে

(৩) পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম

ব্যস্ততার কারণে দেরী করে রাতে ঘুমানো আজকাল অনেকেরই অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, যা স্বাস্থের জন্য খুবই ক্ষতিকর। রাত ৯ টার মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে ১১ টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস করতে হবে। পর্যাপ্ত ঘুম স্ট্রেস দূর করে, ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে সেই সাথে ক্ষুধার ভারসাম্য বজায় রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা দেরি করে ঘুমান তাদের ‘হাঙ্গার হরমোন’ ভারসাম্যতা হারায় আর মোটা হতে সাহায্য করে।

(চলবে)

লিখেছেন – রোজা স্বর্ণা

Viewing all 3053 articles
Browse latest View live