Quantcast
Channel: Shajgoj
Viewing all articles
Browse latest Browse all 3010

উদ্বিগ্নতা ও বিষণ্ণতার জন্য দায়ী খাদ্যাভ্যাসগুলো এড়িয়ে চলুন

$
0
0

স্বাস্থ্যকর খাবার মানেই সুস্থ দেহ এটা সবাই জানেন। যদিও এটা সত্য কিন্তু সুস্থ মনের জন্যও যে, স্বাস্থ্যকর খাবার প্রয়োজন এটা কি আপনি জানেন? কখনো কখনো আমাদের খুব ভালো লাগার অনুভূতি হয়, খুব এনার্জেটিক, ইতিবাচক, সন্তুষ্ট এবং ভারসাম্য পূর্ণ থাকি আমরা। আবার কখনো কখনো অলস, ক্লান্ত, দুঃখিত এবং কোন কাজেই উৎসাহ না পাওয়ার অনুভূতি দেখা যায় তেমন কোন কারণ ছাড়াই।

(১) সকালের নাশতা না খাওয়া

দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার হচ্ছে সকালের নাশতা। অনেকেই সময় নেই বলে সকালের নাশতা বাদ দেন। এর ফলে ব্লাড সুগার কমে যায়। তখন মস্তিষ্কের এনার্জিও কমে যায়। ডিপ্রেশন থেকে বের হয়ে আসার জন্য মস্তিষ্কের কাজ পূর্ণ উদ্যমে হওয়া প্রয়োজন। তাই সকালে পুষ্টিকর নাশতা খাওয়া উচিৎ। তাহলে আপনার শরীর ও মন আপনাকে ধন্যবাদ জানাবে।

(২) অনেক বেশি ভাজা খাবার খেলে

অনেকেরই যখন খারাপ লাগে তখন পুরি, শিঙাড়া, আলুর চপ, চিপস, ফ্রাই ইত্যাদি খাওয়া হয়। কিন্তু আসলেই কি এগুলো খেলে ভালো লাগা তৈরি হয়? আমাদের ধারণাই নেই যে, এই খাবারগুলো আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর কী প্রভাব ফেলে। ভাজাপোড়া খাবার শুধু ওজন বৃদ্ধিতেই সাহায্য করেনা বরং বিষণ্ণতাও সৃষ্টি করে।

(৩) অনেক বেশি লবন খাওয়া

অধিক মাত্রায় লবণ খাওয়ার ফলে ব্লাড প্রেশার বৃদ্ধি পায়। এর ফলে হৃদপিন্ডের কাজ কঠিন হয়ে পড়ে।

(৪) অনেক বেশি চিনি খাওয়া

মাত্রাতিরিক্ত চিনি খাওয়া শরীরের জন্য খারাপ এটা আমরা সবাই জানি। শারীরিক অনেকগুলো কাজের সাথেই সেরেটোনিন জড়িত যেমন- ঘুম চক্র, ব্যথা নিয়ন্ত্রণ, হজম প্রক্রিয়া ইত্যাদি। সেরেটোনিনের কম মাত্রা ইমিউন ফাংশনকেও কমিয়ে দেয়।

ব্লাড প্রেশার বৃদ্ধি পেলে কর্টিসলের উৎপাদন ও বৃদ্ধি পায়। কর্টিসোলের উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে থাইরয়েড হরমোনের উৎপাদন ও বৃদ্ধি পায়। ফলে হজমের সমস্যা দেখা দেয়। এটি প্রজনন তন্ত্রের সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে। কর্টিসলের মাত্রা অনেক বেশি হয়ে গেলে বন্ধ্যাত্ব ও গর্ভপাতের মত সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে।

(৫) ক্যাফেইনের উপর নির্ভরতা

কফি এমন একটি জিনিস যা সারাদিনে আমাদের সক্রিয় থাকতে সাহায্য করে। আমরা যখন কাজে যাই তখন আমরা প্রথমেই ১ কাপ কফি পান করি নিজেকে চাঙ্গা করার জন্য। দুপুরে খাওয়ার পরের ক্লান্তি দূর করার জন্য আবার ১ কাপ কফি পান করা হয়। দুর্ভাগ্যবশত আমরা যা আশা করি কফি আসলে সেই কাজটি করেনা বরং আমাদের মস্তিষ্কের জন্য অনেক ক্ষতি করে।

নিয়মিত ক্যাফেইন গ্রহণ করলে আপনার শরীর তার কাজ সম্পন্ন করার জন্য ক্যাফেইনের উপর নির্ভর হয়ে পড়ে। ইয়ং ইনভেস্টিগেটরস নামক জার্নালের মতে, ক্যাফেইন এর অনুপস্থিতিতে সেরেটোনিনের নিঃসরণ কমে যায়, ফলে উদ্বেগ, খিটখিটে মেজাজ এবং মনোযোগের অভাব দেখা দেয়।

ছবি – অল্টারনেট ডট কম

লিখেছেন –  লিন্নি


Viewing all articles
Browse latest Browse all 3010

Trending Articles