ভালো কোন অনুষ্ঠানে সবসময় পার্লারে গিয়ে সাজা সম্ভব হয়ে ওঠে না। সাজের মধ্যে সব ঠিকঠাক মতো হলেও অনেকেই বেজ মেকাপ করতে পারেন না ঠিকভাবে। আর মেকাপের বেজটা ঠিক মতো না হলে চেহারা ফুটে উঠে না। বেজ মেকাপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ত্বকে মেকাপ দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য বেজ মেকাপ অনেক জরুরী।
তাই চলুন শিখে নিই ঘরে বসেই বেজ মেকাপ করার পদ্ধতি।
- প্রথমে ভালো করে মুখ ধুয়ে পরিষ্কার নিন। যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা তুলা দিয়ে টোনার লাগান, তারপর অয়েল ফ্রি ময়েশ্চারাইজার লাগান। আর যাদের ত্বক শুষ্ক তারা ময়েশ্চারাইজার লাগান। এরপর দশ মিনিট অপেক্ষা করুন।
- এবার কনসিলার লাগান চোখের নিচে ও চেহারার যেসব জায়গায় কালো দাগ আছে সেসব জায়গায় লাগান। আস্তে আস্তে সময় নিয়ে লাগান। যেসব জায়গায় কালো ছোপ আছে সেখানে যত্নের সাথে লাগান।
- লিকুইড ফাউন্ডেসন দিতে পারেন। অথবা প্রেসড পাউডার লাগাবেন। তবে মনে রাখবেন দিনের বেলা পাউডার ফাউন্ডেসন হিসেবেই লাগাবেন। আর রাতে ফাউন্ডেসন স্পঞ্জ ভিজিয়ে লাগাবেন। এরপর শুকনো পাউডার লাগাবেন। নিয়মিত ব্যবহার করলে এক মাস পর পর স্পঞ্জ বদলাতে হবে।ফাউন্ডেসন ত্বকের রঙয়ের সাথে মিলিয়ে নেবেন।
- রাতের বেলা প্যান ফাউন্ডেসন ব্যবহার করবেন। এরপর লুজ পাউডার লাগাবেন। দিনে সান্সক্রিন লাগাবেন মেকাপের আগে। বেজ মেকাপের জিনিস অবশ্যই ভালো ব্র্যান্ডের হতে হবে।
- ফাউন্ডেসন না দিতে চাইলে টোনার বা ময়েশ্চারাইজার দিয়ে সেরে ফেলুন মেকাপ। এরপর পাউডার ব্রাশ দিয়ে লাগিয়ে নিন। এতে ত্বক উজ্জ্বল দেখাবে।
- যাদের ত্বকসাধারণ তারা লুমিনেটর লাগাতে পারেন।এটি একটি লিকুইড লোসন, যা ত্বকে উজ্জ্বল আভা আনে। রাতে এটি বেশি ভালো লাগে। হাতে নিয়ে আলতো করে লাগাবেন।
- চিকবোন বরাবর ব্লাশ লাগানো ভালো। আপনার পছন্দ মতো রঙের ব্লাশ লাগান।
- ভ্রু আঁকতে ভুলবেন না। কারণ বেজ মেকাপের পর ভ্রু হালকা হয়ে যায়।
মনে রাখবেন
১। মুখে মেকাপ দেওয়ার আগে ভালো করে মুখ স্ক্রাব করুন। যেকোনো ফলের তৈরি স্ক্রাব অথবা চালের গুঁড়া, মধু, চিনি দিয়ে স্ক্রাব বানিয়ে ব্রাশ দিয়ে মুখে ঘড়ির কাটার উল্টো দিকে যেভাবে ঘুরবে ঠিক সেভাবে পুরো মুখ ভালো ভাবে স্ক্রাবিং করুন।
প্রসঙ্গত প্রোডাক্টগুলো সম্পর্কে আপনাদের জিজ্ঞাসা থাকতেই পারে। কোথা থেকে পাবেন? আদৌ আসল পণ্য নাকি নকল পণ্য কিনছেন? দাম কত? আপনার সুবিধার্থে সাজগোজ পুর পক্রিয়াটি সহজতর করে তুলেছে SAPPHIRE ( সাফায়ার) এর মাধ্যমে। পণ্যটি সম্পর্কে জানতে এবং কিনতে, দেয়া লিঙ্কগুলোতে ক্লিক করুন।
২। স্ক্রাবিং-এর পর বরফ নিয়ে মুখে ৫ মিনিট ঘষুন।
৩। মুখে টোনার লাগান। নিজের ত্বকে স্যুট করে এমন কোন ক্রিম লাগিয়ে মাসাজ করুন ।
৪। মুখকে কিছু সময় শুকনো রাখুন।
৫। ত্বকে মেকাপ দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য প্রাইমার অথবা বিবি ক্রিম দিয়ে মুখের বেস করে নিন।
৬। মশ্চারাইজার বেজড প্রাইমার দিয়ে মুখ এবং ঘার মাসাজ করুন।
৭। কনসিলার সব সময় আপনার ত্বকের রঙ থেকে এক শেড গার নেবেন।
৮। ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে যদি কোনো ব্যত্যয় ঘটে তবে ক্রিম বা লিকুইড বেজ ব্যবহারে সমস্যা হওয়ার কথা। এ ছাড়া ত্বকের যত্ন যথাযথভাবে নিলে ক্রিম বা লিকুইড বেজ ব্যবহারে আপনার সমস্যা হওয়ার কথা নয়। বিশেষ করে ক্লিঞ্জিং, টোনিং এবং ময়েশ্চারাইজারের রুটিন মেনে চলা জরুরি।
৯। ব্লাশ কম-বেশি ব্যবহারের ওপর নির্ভর করে মেকাপের উগ্রতা। লিপস্টিক এবং ব্লাশের রঙের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখাটা মেকাপের জন্য খুবই জরুরি।
১০। আজকাল বাজারে বিবি ক্রিম অথবা একধরনের কমপ্যাক্ট পাওয়া যাচ্ছে, যা ব্যবহার করলে আলাদা করে অনেক কিছু ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। ত্বকে যাঁদের কোনো দাগ নেই তাঁরা হালকা একটু পাউডার পাফ করে গালে ব্লাশন বুলিয়ে নিলেই বাড়তি মেকাপের প্রয়োজন পড়ে না।
১১। মেকাপ ভারী হলে অলিভ অয়েল দিয়ে মুখে কিছুক্ষণ মালিশ করে মেকাপ ওঠান। এরপর ব্যবহার করেন ক্লেনজার এবং ময়েশ্চারাইজার ।
লিখেছেন- সোহানা মোর্শেদ
ছবি- ফ্যাশনলগ.নেট