আজকাল আমাদের রুটিনটাই এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে, যে প্রতিদিন বাইরে যাওয়া ছাড়া আমাদের চলেই না। এছাড়াও সপ্তাহ শেষে দু/একটা দাওয়াত বা গেট টুগেদার তো লেগেই থাকে। এজন্য দরকার হয় নানা রকম পোশাক। কিন্তু প্রতিদিন বা প্রতিটি দাওয়াতে কি আর নতুন পোশাক পরা সম্ভব? এর সলিউশন আছে আপনার হাতেই। নিজের ওয়ারড্রব গোছানোর সময় একটু খেয়াল করে জিনিস পত্র কিনলেও একই পোশাকেও আপনাকে দেখাবে নতুন।
প্রথমেই যেটা খেয়াল করতে হবে তা হল, গাদা গাদা জিনিস কেনা বন্ধ করুন। পছন্দ হলেই কিনে ফেললাম, এটা বাদ দিতে হবে। দেখা যায় এভাবে প্রচুর জিনিস ড্রেসিং টেবিলে জমে জমে ধুলো কাটে শুধু। এটা পোশাক থেকে শুরু করে কসমেটিকস এর বেলায়ও প্রযোজ্য। বাজারে নতুন কিছু আসলেই সেটা কিনতে হবে এমন কোনও কথা নেই!
(১) আলমারিতে বেসিক রংয়ের কিছু কাপড় রাখুন। যেমন- একটা করে কালো ও সাদা রংয়েরসালওয়ার, কালো ও সাদা ওড়না (এক্ষেত্রে ওড়নাটা সুতির না হয়ে জর্জেট এর ওপর এমব্রয়ডারি করা হলে ভালো লাগবে), একটা করে গোল্ডেন ও মালটিকালারের ব্লাউজ, একটা ব্লু জিনস। এই জিনিসগুলো দিয়ে আপনি অনেকগুলো কাপড় পড়তে পারবেন।
(২) একটু বুদ্ধি খাটিয়ে পোশাক বানান। যেমন সাদা রংয়েরভারী এমব্রয়ডারি করা সুতির কামিজ একেক দিন একেক রংয়ের ওড়না দিয়ে পরতে পারেন। একদিন হয়তো লাল ওড়নায়, আরেকদিন মালটি কালারের বাটিক ওড়নায়। একইভাবে যেকোনো এক রঙা কামিজই কিন্তু এভাবে দু-তিন রংয়ের ওড়না দিয়ে মিলিয়ে পরা যায়। এতে করে একই কাপড়েও বেশ একটা নতুনত্ব আসে।একইভাবে একটু রঙচঙে দু-তিনটে স্কার্ফ কিন্তু অনেকগুলো টপস বা ফতুয়ার সাথে অনায়াসে পরতে পারেন।
(৩) শাড়ীর ক্ষেত্রেও এরকম হতে পারে। একটা খুব সাধারন সুতি শাড়ীর সাথে ভারী কাজের ব্লাউজ পরলে কিন্তু গর্জিয়াস লাগবে। সাথে অনুষঙ্গ হিসেবে চুলে একটা বেলি ফুলের গাঁজরা লাগিয়ে নিলেই ব্যাস। সব সময় দামি শাড়ি পড়লেই যে সুন্দর দেখাবে, তা কিন্তু নয়।
(৪) সাজগোজের ক্ষেত্রে অনুষঙ্গ অনেক বড় একটা ভূমিকা পালন করে। কিন্তু তার মানে এই না যে, আপনাকে এক গাদা অলংকার কিনে ঘর ভর্তি করতে হবে। বেসিক কিছু গয়না কিনে রাখুন। যেমন- এক জোড়া রুপার দুল, মুক্তোর টপ, সোনালি রংয়েরপাথর বসানো টপ বা দুল, সাদা পাথরের লকেট ও টপ, মুক্তোর ব্রেসলেট ও মালা। এই গয়নাগুলো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আপনি অনেক পোশাকের সাথে পরতে পারবেন। দাওয়াতের জন্য নিজের সংগ্রহে রাখতে পারেন গোল্ড প্লেটেড দু’জোড়া ভারী ডিজাইনের চুরি। সাথে কিছু কাঁচের চুড়ি মিলিয়ে নিলে তো কথাই নেই।
(৫) ব্র্যান্ডের একটা ঘড়ি কিনে রাখতে পারেন। ছিমছাম টিপটপ একটা লুক দিতে ভালো ঘড়ির কোন বিকল্প নেই।
নিজের প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় নিজের রুচি ফুটিয়ে তুলুন। কাউকে নকল করতে যাবেন না। বরং এমন একটা স্টাইল স্টেটমেন্ট তৈরি করুন যা একেবারেই আপনার নিজের। সেটা হতে পারে সাদা রঙ দিয়ে। বা নিজস্ব কোন হেয়ার স্টাইল এর মাধ্যমে। তবে যাই করবেন, সেটা যেন আপনার ব্যক্তিত্ব এর সাথে মানিয়ে যায়।
ভালো থাকুন।
মডেল – সাবিনা রিমা
লিখেছেন – মাহবুবা বীথি