রান্না থেকে শুরু করে রূপচর্চায় টক দইয়ের ব্যবহার কতোভাবেই না করা হয়।তাই নিজ হাতে টক দই তৈরির কৌশল জেনে রাখলে সুবিধা অনেকখানি। বাজারের অস্বাস্থ্যকর টক দইয়ের উপকারিতা কতটুকুই বা থাকে বলুন। তাই আজকের রেসিপি আয়োজনে রাখা হল বহুগুণের অধিকারী টক দইয়ের সবচেয়ে সহজ রেসিপি।
উপকরণ
- দুধ দেড় লিটার
- গুড়া দুধ আধা কাপ
- টাটকা টক দই ৪ টেবিল চামচ
প্রণালী
( ১ ) প্রথমে দুধ চুলায় দিয়ে জ্বালাতে হবে । দুধ কিছুটা কমে এলে একটা কাপে অল্প গরম দুধ নিয়ে গুড়া দুধ তার সাথে মিশিয়ে বাকি দুধের সাথে মিশিয়ে দিন । জ্বালিয়ে দুধ অর্ধেক করে নিন আর তারপর চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন ।
( ২ ) এবার দুধ চামচ দিয়ে নেড়ে নেড়ে একটু ঠাণ্ডা করে নিতে হবে, কিন্তু খেয়াল রাখবেন যেন পুরোপুরি ঠান্ডা না হয়ে যায় । দুধটা হালকা গরম বা কুসুম গরম রাখতে হবে । আবার খেয়াল রাখতে হবে দই মেশানোর সময় দুধ যেন বেশি গরম না থাকে, তাহলে কিন্তু দই জমবে না । দুধে যেন কোন সর না থাকে এজন্য ছেকে নিতে হবে, সর থাকলে দই ভালো জমবে না ।
( ৩ ) একটা বাটিতে আগের টাটকা টক দইটা নিয়ে নরমাল এগ বিটার বা চামচ দিয়ে সামান্য ফেটে নিয়ে কুসুম গরম দুধের সাথে চামচের সাহায্যে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে । এই দইটা কিন্তু অবশ্যই টাটকা হতে হবে আর এতে পানি থাকা যাবে না, পানি থাকলে বানানো দই ও পানি ছাড়বে । দই মেশানোর সময় দুধ এমন গরম থাকবে যেন দই মেশাবার পরেও দুধ হালকা গরম থাকে ।
( ৪ ) এখন যে পাত্রে দই বসাবেন সেটাতে দই মেশানো দুধ টা ঢেলে ভালোভাবে ঢেকে রান্না ঘরে একটা গরম জায়গায় রেখে দিন । বাসায় ওভেন থাকলে ওভেনটা অফ করে ভিতরে দই এর পাত্র রেখে ওভেনের দরজা বন্ধ করে রেখে দিতে পারেন । আর নাড়াচাড়া করবেন না , একবারে ৮-৯ ঘন্টা পরে দেখবেন দই জমে গেছে । তখনি খাওয়ার জন্য ব্যস্ত হবেন না, দইটা ঠান্ডা হয়ে সেট হবার জন্য নরমাল ফ্রিজে রেখে দিন ৩-৪ ঘন্টা ।
পরিবেশন
ফ্রিজে ঠান্ডা হয়ে সেট হয়ে গেলে বের করে পরিবেশন করুন । এই উপকরনে ১ কেজি দই হবে । দই বসানোর জন্য মাটির পাত্র ব্যবহার করলেই বেশি ভালো হয় । তবে আপনি চাইলে সিরামিক, কাচ বা প্লাষ্টিক যেকোন পাত্রে দই বানাতে পারবেন । দই জমতে দেবার পর নির্দিষ্ট সময়ের আগে ঢাকনা খুলে চেক করতে যাবেন না, সবচেয়ে ভালো হয় যদি দই রাতে জমতে দেয়া হয় সারারাতে দই জমবে আর সকালে সেট হবার জন্য ফ্রিজে রেখে দিবেন ।
ছবি -উইরেসিপিজ.কম
রেসিপি - আফরুজা শিল্পী