শ্বাসকষ্টের রোগীদের কাছে যার গুরুত্ব বর্ণনাতীত । আমাদের অনেকের পরিবারের এমন অনেক সদস্য আছেন যাদের নিয়মিত ইনহেলার ব্যবহার করতে হয় । তবে অনেক মানুষকেই অভিযোগ করতে শোনা যায় যে ,ইনহেলার ব্যবহার করে কোন উপকার পাচ্ছেন না , কিংবা ঘন ঘন ইনহেলার নিতে হচ্ছে । আপনি জানেন কি ,ভুল নিয়মে ইনহেলার ব্যবহার করা হতে পারে এর অন্যতম কারণ?
প্রায় এক তৃতীয়াংশ ব্যবহারকারী ভুল নিয়মে ইনহেলার নিয়ে থাকে। ভুল নিয়মে ইনহেলার নেয়ার কারণে প্রায় ৯০% ইনহেল্ড সাবস্টেন্স মুখে রয়ে যায় । যার ফলে অনেক রোগীকেই ঘন ঘন ইনহেলার নিতে হয় । আমাদের আজকের লেখার উদ্দেশ্য সঠিক ইনহেলার টেকনিক সম্পর্কে সচেতনতা । চলুন তার আগে ইনহেলারের বিভিন্ন পার্টস সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক ।
চলুন এবার জেনে নেই সঠিকভাবে ইনহেলার ব্যবহারের নিয়ম।
১. প্রথমে ইনহেলারে ক্যাপটি খুলুন । ১-২ সেকেন্ড ইনহেলারটি ভাল ভাবে ঝাঁকান । ইনহেলার টি সোজা ভাবে ধরুন , যেন ক্যানিস্টার টা উপরের দিকে থাকে ।
২. মাউথ পিসটি দাঁতের মাঝে রেখে , তার চারপাশে ঠোঁট দিয়ে চেপে মুখ বন্ধ করুন ।তবে মাউথপিসে কামড় দেয়া যাবে না ।
৩.ধীরে শ্বাস ছাড়ুন ।
৪. মাথা সামান্য পেছনের দিকে হেলিয়ে দিন ,আর থুতনি কিছুটা উপরে তুলুন ।
৫.এরপর যখন আপনি ধীরে ধীরে মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে শুরু করবেন , তখনি ক্যানিস্টারে ভাল ভাবে প্রেস করুন ( ১ বার ) । এবার শ্বাস নিন এবং ধরে রাখুন অন্তত: ৩-৫ সেকেন্ড । এই সময়ে নাক দিয়ে শ্বাস নেবেন না ।
৬.মুখ থেকে মাউথ পিস টি সরিয়ে নিন । ১০ সেকেন্ড শ্বাস ধরে রাখুন । এরপর ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন ।
৭.এরপর ১ মিনিট স্বাভাবিক ভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নিন । প্রয়োজনবোধে এক ই নিয়মে আবার ইনহেলার নিতে পারেন ।
কিছু জরুরী কথা : যদি দেখেন গ্যাস নিঃস্বরনের জায়গায় পাউডার জমে আছে , তাহলে ইনহেলারটি পরিষ্কার করে ফেলুন । ইনহেলার পরিষ্কার করার জন্য ক্যানিস্টার টি প্লাস্টিক L শেপড বডি খুলে নিন । এবার মাউথ পিস এবং ক্যাপ টি গরম পানিতে ধুয়ে নিন এবং বাতাসে শুকিয়ে নিন । সঠিক ভাবে ব্যবহার করার পর ও যদি আপনাকে খুব ঘন ঘন ইনহেলার নিতে হয় , তাহলে আপনার চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন । যদি আপনার ব্যবহারকৃত ইনহেলারটি স্টেরয়েড হয়ে থাকে । তবে ইনহেলার ব্যবহারের পর মুখ ভালোভাবে গার্গল করে কুলি করে ফেলুন । এছাড়া স্পেসার ও ব্যবহার করতে পারেন ।
সবাই ভাল থাকুন , সুস্থ্য থাকুন । সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি ।
ছবি – ড্রাগস.কম, ডেইলিমেইল.ইউকে.কো
লিখেছেন – ডাঃ মোশাররাত জাহান কণা