ছোট বেলায় নানীর বানানো এই নাড়ু অনেক পছন্দের ছিল। নানার বাড়ী গেলে নানী বানিয়ে খাওয়াতো, তারপর মায়ের হাতে বানানোটা খেয়েছি মজা করে। কিন্তু এখন নিজেই যাতে বানিয়ে খেতে পারেন তাই এর পুরো প্রণালী দেয়া হল।
উপকরণ
- চাল ১ কেজি
- গুড় ১ কেজি
- নারিকেল ১ টা
- লবন আধা চা চামচ
- দারুচিনি বড় এক টুকরা
- সাদা এলাচ ২ টা
- জিরা আস্ত আধা চা চামচ
- পানি ২ টেবিল চামচ
প্রণালী
( ১ ) প্রথমে একটি বড় বাটিতে চাল নিয়ে তার সাথে লবন আর পানি দিয়ে হাত দিয়ে ভালো ভাবে মাখিয়ে ১ ঘন্টা রেখে দিতে হবে ।
( ২ ) ১ ঘন্টা পরে চালগুলো ভালো করে ভেজে নিতে হবে । মুড়ি ভাজার সময় চাল আধা ভাজা হলে দেখতে যেমন হয় , তেমন করে চালগুলো ভেজে নিতে হবে ।
( ৩ ) এবার ভাজা চালগুলো ভালোভাবে গুড়ো করে নিতে হবে । চাল গুড়ো করার কাজটি আপনি বাসায় পাটায় বা গ্রাইন্ডারে করতে পারেন । অথবা বাজারে চাল গুড়া করার মেশিন থাকে, বেশি চাল হলে মেশিনে গুড়া করে আনতে পারেন ।
( ৪ ) এরপর নারিকেল কুড়িয়ে রেখে দিতে হবে । নারিকেল কুড়ে দিতে না চাইলে ছোট ছোট করে কেটে পাটায় থেঁতো করে দিতে পারেন ।
( ৫ ) এবার দারুচিনি, সাদা এলাচ ও আস্ত জিরা একটি কড়াইয়ে হালকা টেলে নিয়ে ভালো করে গুড়ো করে নিতে হবে । এরপর গুড় ভালো করে গুড়ো করে রেখে দিতে হবে ।
( ৬ ) এখন চালের নাড়ু তৈরীর সব প্রস্তুতি শেষ , এবার হাতে নাড়ু বানানোর পালা । একটি বড় গামলায় চালের গুড়া নিয়ে তার মধ্যে গুড়া করে রাখা গুড়, মশলা গুড়া ও নারিকেল দিয়ে দিতে হবে ।
( ৭ ) এবার হাত দিয়ে ভালো ভাবে চালের গুড়ার সাথে সব কিছু মাখাতে হবে । অনেক ক্ষন ধরে এভাবে মেশানোর ফলে গুড়ের কারণে আঠালো ভাব চলে আসবে । তখন হাত দিয়ে মুঠি করে চেপে চেপে আপনার পছন্দ মত সাইজের নাড়ু বানাতে হবে ।
পরিবেশন
চালের নাড়ু প্লাষ্টিক এর বক্সে করে রেখে বেশ কিছু দিন ধরে খাওয়া যায় । আরো বেশী দিন ভালো রাখতে চাইলে বক্সে ভরে নরমাল ফ্রিজে রেখে দিন ।
ছবি ও রেসিপি – আফরুজা শিল্পী