ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশী, ঈদ মানে দিক-বিদিক ঘুরে বেড়ানো, নতুন সাজ, নতুন স্টাইল। প্রায় সময়ই কাঙ্খিত সাজের খোজে, বিশেষ করে ঈদের সময়ে, আমরা আমাদের মসৃণ স্ট্রেইট চুলের সাজ পাল্টে বেছে নেই তরঙ্গময় কোঁকড়া চুল, কেউ হয়তো বা বেছে নেই চুলের হাইলাইট, যার কারণে আমাদের চুলের ক্ষতি হয় এবং চুলের স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যায়। চুলের রং ও স্টাইলের জন্য ব্যবহৃত অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও কেমিক্যালের কারণে ঈদ পরবর্তী সময়ে চুল হয়ে উঠে রুক্ষ, শুষ্ক ও ভঙ্গুর, যা অবশ্যই কাঙ্খিত নয়। আমরা ঘরোয়া উপায়ে যত্ন নিয়ে ঠিক করে নিতে পারি আপনার চুল। চলুন জেনে নিই ঘরোয়া উপায়ে চুলের যত্নের কিছু টিপস :
১। ঈদের সময় চুল কালার করেছেন। চুলের এই কালার বহু দিন ধরে রাখতে সানস্ক্রিনের সাথে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। কারণ অতিরিক্ত সূর্যরশ্মি আপনার চুলের কালার দ্রুত নষ্ট করে দেয় এবং চুল হয়ে যায় রুক্ষ।
২। স্ট্রেইটনার দিয়ে চুলের স্টাইলিং করে আপনার চুল শুষ্ক ও ভংগুর হয়ে গেছে? এই ক্ষতি নিরাময় করতে পারে কুসুম-গরম নারিকেল তেলের ম্যাসাজ, যা চুলের গভীরে পৌছে ভিতর থেকে পুষ্টি যোগায়, স্ক্যাল্পের রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে এবং এটির কন্ডিশনার স্বরূপ বৈশিষ্ট্য চুলকে কন্ডিশন করে। এর ফলে চুলের গোঁড়া ও চুল হয় আরও মজবুত। সপ্তাহে কমপক্ষে তিনবার চুলে নারিকেল তেল দিয়ে ম্যাসাজ করুন এবং থাকুন নিশ্চিন্ত, আজীবনের জন্য ।
৩। শুষ্ক চুলে স্টাইলিং এর প্রসাধনী ব্যবহার করে চুলকে সহজেই নিজের ইচ্ছেমত সাজিয়ে তোলার প্রলোভন এড়ানো দায়। কিন্তু বেশিরভাগ প্রসাধনীতে কেমিক্যালের ব্যবহার মাত্রাতিরিক্ত; যা সময়ের সাথে সাথে আপনার চুলের ক্ষতি বাড়িয়ে দেয়। তাই ঘরে তৈরী হেয়ার প্যাক ব্যবহার করুন। এছাড়া স্ট্রেইটনার ব্যবহারের পর অবশ্যই হিট স্টাইলিং লোশন বা স্প্রে ব্যবহার করবেন।
৪। যদি আপনি সতর্ক না হন তাহলে স্টাইলের প্রসাধনী যেমন হেয়ার মুস ও হেয়ার স্প্রে আপনার মনমাতানো চুলের সাজ থেকে খুলে নেয়ার সময় চুলের অনেক ক্ষতি হয়। অনেক সময় চুল ছিঁড়ে যায়। কেমিক্যাল গুলো দূর করতে আপনার চুলে নারিকেল তেল ম্যাসাজ করে নিন যা ক্ষতিকর কেমিক্যাল শুষে নিবে এবং একই সাথে চুলকে কন্ডিশন করবে। এরপর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন, এতে চুল থাকবে কোমল ও নমনীয়।
৫। শুনতে একটু উদ্ভট মনে হতে পারে, কিন্তু ঘন ঘন চুলে শ্যাম্পু দেয়া থেকে বিরত থাকুন; কেননা স্কাল্পের প্রাকৃতিক তেল আপনার চুলের জন্য ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। তাই প্রতিদিন শ্যাম্পু করে চুলের ময়েশ্চারাইজার না হারিয়ে সপ্তাহে তিন দিনের বেশী শ্যাম্পু ব্যবহার না করাই ভালো।
ছবি – সাজগোজ ফটো অ্যালবাম
লিখেছেন – মরিয়ম আকতার