রোজা রাখার কারণে শরীরে পানির পরিমান কমে যায়। পানির অভাবে ত্বকের আর্দ্রতা কমে গিয়ে ত্বক প্রাণহীন ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এছাড়া বেশি ভাজা পোড়া খাবার খাওয়ার কারণে ত্বকে ব্রণের উপদ্রব বেড়ে যায়। এই সময়ে ত্বকের একটু যত্ন নিলে ত্বক থাকবে সতেজ ও সজীব। রোজা রাখলেও বাড়বে ত্বকের সজীবতা।
সপ্তাহে ৩দিন
১ টেবিল চামচ কাঁচা হলুদের গুঁড়ো ও ১ টেবিল চামচ চন্দন কাঠের গুঁড়োর সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করে ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বকের ব্রণ দূর কারার পাশাপাশি ব্রণের দাগ দূর করবে।
সপ্তাহে ২দিন
সমপরিমানকমলা লেবুর খোসা, মসুরির ডাল ও চাল বাটা একসঙ্গে পেস্ট করে ত্বকে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
সপ্তাহে ৩দিন
চন্দনের গুঁড়ো, মুলতানি মাটি ও নিমপাতা বাটা একত্রে মিশিয়ে ত্বকে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এতে ত্বকের সব সমস্যা দূর করে ত্বক রাখবে সতেজ।
এছাড়া ১ টেবিল চামচ পাকা পেঁপে চটকে তার সঙ্গে এক টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস এবং প্রয়োজন অনুযায়ী চালের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন।মিশ্রণটি মুখসহ পুরো গলায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট রেখে ম্যাসাজ করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। পানিশূন্য ত্বকে নিয়মিত কাঠবাদাম বাটা, ঠাণ্ডা দুধ এবং গোলাপ জল দিয়ে তৈরি ফেস প্যাক ব্যবহার করুন।এটি শুষ্ক পানিশূন্য ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
টমেটো, কলা, শশা একসঙ্গে মিলিয়ে প্যাক তৈরি করে ইফতারের ঘণ্টাখানেক পর ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।নিয়মিত এই প্যাকটি ব্যবহারে ত্বকের শুষ্কতা দূর হবে।
যাদের ত্বক শুষ্ক তারা নিয়মিত ত্বকে ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করতে পারেন।এতে ত্বকের শুষ্কতা দূর হওয়ার পাশাপাশি ত্বক সজীব হবে।যাদের ত্বক সাধারণ বা তৈলাক্ত তারা ওয়াটার বেইজড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন আর যাদের ত্বক শুষ্ক তারা ওয়াক্স বা ইমোলিয়েন্ট সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন।এগুলো ত্বকের গভীরে আর্দ্রতা যোগানোর পাশাপাশি ত্বক ফেটে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করবে।
যাদের ত্বক শুষ্ক তারা অবশ্যই রমজান মাসে সব রকমের টোনার জাতীয় প্রসাধনী এড়িয়ে চলবেন।টোনার জাতীয় প্রসাধনী ত্বককে আরো শুষ্ক করে তোলে।রমজানে অনেকের ঠোঁট ফেটে যায়।যাদের ঠোঁট ফেটে যায় তারা রাতে ঘুমাবার আগে ঠোঁটে ভালো করে ভ্যাসলিন বা পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে ঘুমাবেন।বেশি শুষ্ক ঠোঁটের যত্নে হালকা গরম নারিকেল তেল ম্যাসাজ করতে পারেন।প্রতিদিন চার থেকে পাঁচবার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।ত্বক ভালো রাখতে ইফতারিতে ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার কম খেয়ে ঘরে তৈরি জুস খাবেন।বেশি বেশি ফল, দই, চিড়া ও শরবত খান।
লিখেছেন – পাপিয়া সুলতানা