Quantcast
Channel: Shajgoj
Viewing all articles
Browse latest Browse all 3010

ELF Acne Fighting Foundation’টি আসলে কেমন?

$
0
0

কেমন আছেন সবাই? আজকে রিভিউ দেব ELF ব্র্যান্ডের পপুলার আর টপ রেটের একটি প্রোডাক্টের। ELF Acne Fighting Foundation. নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে পিম্পল বা  একনের বিরুদ্ধে কার্যকরী এই প্রোডাক্ট। আদতেই আমার মত সুপার অয়েলি স্কিনের মেয়েদের জন্য অনেক বেশি মানানসই এই প্রোডাক্টটি।  এমনিতেও আমি এই ব্র্যান্ডের ভক্ত ছিলাম, এই প্রোডাক্ট ব্যাবহার করে আরও বেশি পছন্দ করি। তাই এই ফাউণ্ডেশনটির সাথে আমার এক্সপেরিয়েন্স কেমন তাই শেয়ার করব আপনাদের সাথেও ।

শুরুতেই কথা বলব এর ফর্মুলেশন নিয়ে। পিম্পল প্রতিরোধক বেশ কয়েকটি উপাদান নিয়ে তৈরি এই ফাউণ্ডেশন পিম্পল এর দাগ ছোপ ঢেকে দেওয়ার কাজটি করে অনেকটা ম্যাজিকের মত। পাশাপাশি নতুন উঠতে থাকা ব্রণকেও বাড়তে দেয় না।  আমি প্রথমবার ইউজ করেছিলাম যখন আমার ত্বক ছিল ব্রনে পরিপূর্ণ আর এগুলোকে কাভার আপ করবে এমন একটা প্রোডাক্ট খুঁজছিলাম হন্যে হয়ে। তখন থেকে গরমের সময়ে ব্যবহার করার জন্য আমার একমাত্র ফাউণ্ডেশন এটিই।  ত্বকের বিভিন্ন অংশের অসামঞ্জস্যতাকে ঢেকে দিয়ে পারফেক্ট একটা বেইজ তৈরি করে।

অয়েলি স্কিনের জন্য বানানো অন্য সব ফাউণ্ডেশনের তুলনায় যে কারনে এইটি আমার ভালো মনে হয়েছেঃ

  • অয়েলি স্কিন এর জন্য বিশেষ ফর্মুলায় তৈরি এই ফাউণ্ডেশনে রয়েছে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড রয়েছে, যেটি অয়েলি স্কিনের অয়েল কন্ট্রোল করে অ্যাকনে সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
  • টী ট্রি আর অ্যালো আছে যেটি পিম্পলের ট্রিটমেন্ট করে এবং দাগ কমিয়ে আনতে অনেকাংশে সাহায্য করে।
  • আমার গালে ও কপালে বেশ কয়েকটি লালচে ব্রন ছিল যেটি এই ফাউণ্ডেশন  ইউজ করার ২-৩ মাসের মধ্যে বেশ হাল্কা হয়ে গেছে।
  • সেমি ম্যাট ফিনিশিং লুক দেয়, তবে ত্বককে অতিরিক্ত শুষ্ক করে না।
  • অনেক বেশি পিগমেনটেড। তাই পরিমানে খুব অল্পই লাগে।
  • প্রায় ৪-৫ ঘণ্টা টাচ আপ প্রয়োজন হয়না। তবে আমার টি জোন বেশি অয়েলি, তাই ২.৫ ঘণ্টা পর টি জোনে হাল্কা টাচ আপ দরকার পড়ে।
  • কম্বিনেশন স্কিন যাদের তারাও ইউজ করতে পারবেন।
  • মিডিয়াম টু সেমি ফুল কাভারেজ দেয়, তাই পার্টি মেকাপের সময়ও ইউজ করা যায়।
  • ময়েশ্চারাইজার এর সাথে মিক্স করে দিনের বেলাতেও ইউজ করা যায়।ন্যাচারাল  লুক আসে এতে।
  • ব্রাশের সাহায্যে খুব সহজেই ব্লেন্ড করা যায় স্কিনে।
  • ডার্ক সারকেল না থাকলে আলাদা করে কন্সিলার ব্যবহার করতে হয় না।

এই প্রোডাক্টের খারাপ লাগার মত আসলে তেমন কোন দিক নেই, তবে এর প্লাস্টিক জার প্যাকেজিংটা আরও একটু ভালো হতে পারত। প্রোডাক্ট ইউজ করার পরে অনেকটাই রয়ে যায় ভেতরে, যেটা পুরোপুরি ওয়েস্ট হয়। আর যারা সংবেদনশীল ত্বকের অধিকারী, তাদের ত্বকে সামান্য জ্বালাভাব অনুভুত হতে পারে।   তবে অন্য সব দিক থেকেই এই ফাউণ্ডেশনটি প্রশংসার দাবিদার।

লাইট, মিডিয়াম আর ডার্ক মিলিয়ে এতে মোট ৭ টি শেড রয়েছে। আমি আমার মিডিয়াম স্কিন টোনের জন্য বেছে নিয়েছি বেইজ শেড টি। শেড ম্যাচ করাটা বেশ সহজ করে দিয়েছে তাদের অফিসিয়াল ওয়েব সাইটটিই।

কোথায় পাবেন ভাবছেন? যমুনা ফিউচার পার্কের স্যাফায়ার এ আসলেই পেয়ে যাবেন এই ফাউন্ডেশন। দাম পড়বে ১২৫০ টাকা। সামনে যেহেতু গরম আসছে, অয়েলি আর  একনে প্রোন স্কিনের অধিকারীরা অনায়াসেই এই প্রোডাক্টের ওপর ভরসা করতে পারেন।

লিখেছেন – চৌধুরী তাহাসিন জামান


Viewing all articles
Browse latest Browse all 3010

Trending Articles