Quantcast
Channel: Shajgoj
Viewing all articles
Browse latest Browse all 3049

ত্বকের যত্নে মনে রাখুন জরুরী ১২টি টিপস

$
0
0

রোজ বেশ কয়েকটা আর্টিকেল পড়া হয়ে যায় তিন/চার জায়গা থেকে। কতো কতো পরামর্শ, শরীরচর্চা এবং রূপচর্চার কতো কথা। কিছু জরুরী কথা মাথায় থেকেই যায়, কিছু হয়তো কাগজে টুকেও রাখা হয়। আর কতোকিছুই মনে না থাকার দলে রয়ে যায়। তাই খুব সাধারন কিন্তু কাজের পাঁচমিশালি কথাবার্তা নিয়ে এই লেখাটা সাজানো হলো।

  •  শসার রস, আলুর রস এই দুই জিনিষই চোখের ক্লান্তি বা কালো দাগ দূর করতে সক্ষম। যেকোন একটা ব্যবহার করতে পারেন নিজের পছন্দ কিংবা সুবিধামতো। তফাৎ বলতে তেমন কিছুই নেই এই ক্ষেত্রে।
  • ময়েশ্চারাইজার পুরো শুকনো ত্বকে না মেখে কিছুটা ভেজা থাকা অবস্থায় ত্বকে মাখুন। সেটা ত্বকের পক্ষে বেশি ভালো।
  •  অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বকের পক্ষে তেল সবচেয়ে বেশি ভালো। কাজেই ত্বক তেমন হলে তাতে নিয়মিত খানিকটা তেল ব্যবহারের অভ্যাস করুন। বাদাম তেল, জলপাই তেল বা নারকেল তেলও আপনার ত্বকের বন্ধু।
  •  ত্বকের দাগ দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী উপাদান হলো ঘৃতকুমারী। যাকে সবাই অ্যালোভেরা নামে চেনে। রোজ একবার খানিকটা অ্যালোভেরা জেল নিয়ে ত্বকে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। ধৈর্য ধরে নিয়মিত করুন এটা, দাগ মিলিয়ে যাবে ঠিক। ফ্রিজে সপ্তাহ খানেক ভালো মতন সংরক্ষণ করতে পারবেন অ্যালোভেরা।
  • ফেসপ্যাক লাগানো হয়? এই শীতের রুক্ষতায় যখনই ফেসপ্যাক ব্যবহার করবেন, দুই/তিন ফোঁটা গ্লিসারিন যোগ করে নিন ফেসপ্যাকের মিশ্রণ বানানোর সময়। এটি ত্বকে পর্যাপ্ত আর্দ্রতা যোগাবে, ত্বক নরম করবে। মুখ ধুয়ে নেয়ার পর গাল থেকে হাত সরাতেই মন চাইবে না আপনার! বেশি শুষ্ক ত্বকের অধিকারী যারা তারা সবসময়ই গ্লিসারিন মেশাতে পারেন ফেসপ্যাকের সাথে।
  • আলসেমি কাটিয়ে ফেসপ্যাক ব্যবহারের আগে ত্বক অবশ্যই ধুয়ে নিন। ক্লিনজিং এর পরেই আপনার ত্বক ফেসপ্যাকের উপকারিতা পুরোটা নেয়ার জন্য তৈরি থাকে। নয়তো ফেসপ্যাক লাগানোটাই অযথা।
  • ঠান্ডার দোহাই দিয়ে ভালো মতন মুখ ধোবেন না, ওদিকে ময়েশ্চারাইজার লাগাবেন দফায় দফায়, তার কিন্তু কোন দরকার নেই। ত্বক পরিষ্কার রেখে তবেই তাতে আর্দ্রতার যোগান দেয়া সম্ভব, এই কথা ভুলে গেলে চলবে না।
  •  হলুদ গুঁড়ো ত্বকের যত্নে বেশ কার্যকর উপাদান। আলাদা স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট হিসেবে কিনতে পারেন অথবা রান্নার জন্য কেনা হলুদ গুঁড়োর প্যাকেট খুলেই খানিকটা অন্য কৌটোয় নিয়ে রাখুন নিজের জন্য।
  •  র‍্যাশ ,  পিম্পল বা যেকোন রকম অ্যালার্জিপ্রবণ ত্বকে স্ক্রাব ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। এসব ক্ষেত্রে স্ক্রাবিং আপনাকে কোন উপকার দেবে না, উল্টো ত্বকের বারোটা বাজিয়ে দিতে পারে।
  • নতুন কোন প্রোডাক্ট সম্পর্কে আগে থেকে ভালো করে জেনে তবেই কিনুন নিজের জন্য। কিনে তারপর খোঁজ নেয়া বা রিভিউ চাওয়া অনেকটাই বোকামি হয়ে যায় না? দেখা গেলো আপনি ওই জিনিষটা ব্যবহার করতেই পারলেন না। তাই নিশ্চিত হন কিছু কেনার আগেই।
  •  নিমপাতা হলো ত্বকের আরেক উপকারী বন্ধু। অ্যালার্জি বা পিম্পলের সমস্যায় আক্রান্ত ত্বকে নিমপাতার রস লাগালে উপকার পাওয়া যাবে। বেটে মিশ্রণ ব্যবহার করা যায়, আবার নিমপাতা পানিতে নিয়ে জ্বাল দিয়ে ঠান্ডা করে নিয়ে সেই পানিও ব্যবহার করতে পারেন।
  •  নিজের ত্বকের ধরন বুঝে তবেই যেকোন কিছু লাগানো উচিত। যেমন, অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বকে শসার রস, বা তেল চপচপে ত্বকে দুধের সর মাখলে তাতে উল্টো আপনারই বিরক্তি বাড়বে। কেননা শসা আপনার ত্বক আরো শুকনো করবে বা দুধের সর ত্বকের তেল বাড়িয়েই দেবে আরো।

 

লিখেছেন –  মুমতাহীনা মাহবুব

ছবি – স্টাইলিংটিপস.কম


Viewing all articles
Browse latest Browse all 3049

Trending Articles