Quantcast
Channel: Shajgoj
Viewing all articles
Browse latest Browse all 3010

হাইড্রেটেড স্কিন পাওয়ার জন্য কেমন হওয়া উচিত স্কিন কেয়ার রুটিন?

$
0
0

ফ্রেশ ও হেলদি স্কিন আমরা সবাই চাই। কিন্তু আবহাওয়া, পরিবেশ এমনকি বয়সের সাথে সাথে স্কিন তার ন্যাচারাল হাইড্রেশন হারিয়ে নিষ্প্রাণ ও মলিন হয়ে পড়ে। আর ডিহাইড্রেটেড স্কিনে ফাইন লাইনস, রিংকেলসের মতো এজিং সাইনস দ্রুত দেখা দেয়। তাই শুধু ত্বকের সৌন্দর্যের জন্যই নয়, ত্বক সুস্থ রাখার জন্যও হাইড্রেশন প্রয়োজন। ডিহাইড্রেটেড স্কিনে নানা ধরনের স্কিন প্রবলেম দেখা দিতে পারে, সেই সাথে অস্বস্তিকর অনুভূতি তো আছেই। সহজ ভাষায়, আপনি যদি একইসাথে সুস্থ ও সুন্দর ত্বক পেতে চান তাহলে অবশ্যই স্কিন হাইড্রেটেড রাখতে হবে। কিন্তু হাইড্রেটেড স্কিন পাওয়ার জন্য স্কিন কেয়ার রুটিন কেমন হওয়া উচিত সেটা নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন থাকে। চলুন আজকের আর্টিকেল থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেই।

হাইড্রেটেড স্কিন পাওয়ার জন্য স্কিন কেয়ার রুটিন কীভাবে মেনটেইন করবেন?  

ত্বকের ধরন বুঝে ময়েশ্চারাইজার অ্যাপ্লাই করুন

স্কিন কেয়ার রুটিনে যতগুলো স্টেপ আছে তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি স্টেপ হচ্ছে ত্বকের ধরন বুঝে ময়েশ্চারাইজার অ্যাপ্লাই করা। স্কিন টাইপ যেমনই হোক না কেন, এই স্টেপটি ফলো করা মাস্ট। আমাদের অনেকেরই ধারণা গরমের সময় স্কিনে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। এ ধারণাটা কিন্তু সম্পূর্ণ ভুল। কারণ সামার হোক বা উইন্টার, সব সিজনেই ময়েশ্চারাইজার মাস্ট অ্যাপ্লাই করতে হবে। ড্রাই, কম্বিনেশন বা অয়েলি সব ধরনের স্কিনেই ময়েশ্চারাইজারের প্রয়োজন আছে। ময়েশ্চারাইজার ত্বকের আর্দ্রতা ফিরিয়ে দেয়। সেই সাথে স্কিনের আপার লেয়ারে একটি আস্তরণ তৈরি করে ওয়াটার লসকে কন্ট্রোল করে। ড্রাই স্কিন হলে ক্রিম বেইজড থিক ময়েশ্চারাইজার, অয়েলি স্কিন হলে ওয়াটার বেইজড লাইটওয়েট ময়েশ্চারাইজার এবং কম্বিনেশন স্কিন হলে জেল ও ক্রিম বেইজড ময়েশ্চারাইজার ইউজ করুন।

হাইড্রেটেড স্কিন পাওয়ার জন্য ময়েশ্চারাইজার অ্যাপ্লাই করুন

ক্লেনজিং এর জন্য সঠিক ক্লেনজার চুজ করুন

আমরা অনেকেই আমাদের স্কিন টাইপ জানি না। তাই না বুঝেই ক্লেনজার কিনে ফেলি। আবার অনেকেই ভাবেন স্কিন ক্লিন রাখার জন্য বারবার ক্লেনজার দিয়ে ফেইস ওয়াশ করতে হবে। অথচ বারবার ক্লেনজার ব্যবহারের কারণে স্কিন হাইড্রেশন হারিয়ে ফেলতে পারে। যার কারণে ত্বক হয়ে পড়ে ডিহাইড্রেটেড। তাই ঘনঘন ইউজ না করে ডে অ্যান্ড নাইট স্কিন কেয়ার রুটিন অনুযায়ী ক্লেনজার ইউজ করুন। অয়েলি টু কম্বিনেশন স্কিনের জন্য ফোম ক্লেনজার, অল টাইপ স্কিনের জন্য জেল ও অয়েল বেইজড ক্লেনজার, নরমাল টু ড্রাই স্কিনের জন্য ক্রিম বেইজড ক্লেনজার চুজ করুন।

দিনে বাইরে গেলে ফেইস মিস্ট অ্যাপ্লাই করুন

কাজের জন্য আমাদের অনেককেই সারাদিন বাইরে থাকতে হয়। তাই ময়েশ্চারাইজার রি-অ্যাপ্লাই করার সুযোগ খুব কম থাকে। আবার এসি অফিসে দীর্ঘ সময় বসে থাকার জন্যও স্কিন দ্রুত হাইড্রেশন হারায়। এসব কারণে স্কিন অল্প সময়েই ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়। তাই স্কিনে হাইড্রেশন ফিরিয়ে আনতে ফেইস মিস্ট বা রোজ ওয়াটার ইউজ করতে পারেন। স্কিন ডিহাইড্রেটেড লাগলে যেন ইনস্ট্যান্ট হাইড্রেশন পাওয়া যায়, সেজন্য ব্যাগে সব সময় একটি ফেইস মিস্ট বা রোজ ওয়াটার ক্যারি করুন।

সিরাম অ্যাপ্লাই করুন

প্রতিদিনের ব্যস্ততা, বাইরের দূষণ, সূর্যরশ্মি সবকিছুই আমাদের ত্বকে নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট ফেলে। আর এসব কারণে স্কিনে প্রিম্যাচিউর এজিং সাইনস দেখা দেয়, স্কিন রাফ ও ড্রাই হয়ে যায়, স্কিনের হাইড্রেশন ব্যালেন্সেও ব্যাঘাত ঘটে। হাইড্রেটেড স্কিন পাওয়ার জন্য স্কিন কেয়ার রুটিনে সিরাম অ্যাড করতে পারেন। ফেইস সিরামে হায়ালুরনিক অ্যাসিড, ভিটামিন সি, গ্লাইকোলিক অ্যাসিডের মতো বেশ কয়েকটি অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট থাকে যেগুলো স্কিনের স্পেসিফিক প্রবলেমকে টার্গেট করে সল্যুশন দেয়। স্কিনের ডালনেস ও ড্রাইনেস কমিয়ে, ময়েশ্চার ধরে রাখার জন্য সিরাম বেশ হেল্পফুল। স্কিন কেয়ার রুটিনে সিরাম অ্যাড করলে সকালে বাইরে যাওয়ার আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই করতে হবে।

হাইড্রেটেড স্কিন পাওয়ার জন্য সিরাম অ্যাপ্লাই

সিজন অনুযায়ী স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট সিলেক্ট করুন

প্রকৃতিতে যখন পরিবর্তন আসে, তখন তার প্রভাব শুরুতে বোঝা যায় ত্বকে। শীতের সময়ে ত্বক আর্দ্রতা হারিয়ে শুষ্ক হয়ে ওঠে, গরমে ত্বক বেশি ঘামে। বছরের একেক সময় তাই স্কিন কেয়ার রুটিন হতে হবে একেক রকম। স্কিনের হাইড্রেশন ধরে রাখার জন্য সিজন ও স্কিনের টাইপ অনুযায়ী সানস্ক্রিন, ময়েশ্চারাইজার, শিট মাস্ক, সিরামের মতো স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট চুজ করুন। ঠোঁটের যত্নে সিলেক্ট করুন লিপবাম বা ভ্যাসলিন।

ওয়াটার বেইজড প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন

স্কিনের হাইড্রেশন ধরে রাখার জন্য স্কিন কেয়ার রুটিনে যে প্রোডাক্টই অ্যাড করা হোক না কেন, সেগুলো যেন ওয়াটার বেইজড হয় সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। একইভাবে মেকআপ প্রোডাক্ট চুজ করার ক্ষেত্রেও এই বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ ওয়াটার বেইজড প্রোডাক্ট ইউজ করলে স্কিনে বেশ লাইট ফিল হয়, ড্রাই ও ডিহাইড্রেটেড স্কিনে ময়েশ্চার লক থাকে, একনে ও অয়েলি প্রন স্কিনেও স্যুট করে। সেই সাথে স্কিন করে তোলে ফ্রেশ ও রেডিয়েন্ট।

রেডিয়েন্ট স্কিন

খেয়াল রাখুন আরও কিছু বিষয়ে 

পর্যাপ্ত পানি ও শাকসবজি গ্রহণ করুন 

স্কিন হাইড্রেটেড রাখার জন্য নানা ধরনের প্রোডাক্ট ইউজ করা হয়। কিন্তু শুধু বাহির থেকে চেষ্টা করলেই কিন্তু হাইড্রেশন ধরে রাখা যাবে না। এ জন্য প্রয়োজন সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা। সেই সাথে প্রচুর পানি পান করতে হবে। সিজন অনুযায়ী বাজারে নানা ধরনের ফলমূল ও শাকসবজি পাওয়া যায়। এগুলো প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ইনক্লুড করতে হবে। এক কথায়, হাইড্রেটেড ও ফ্রেশ স্কিন পাওয়ার জন্য হেলদি ডায়েট মেনটেইন করা খুবই জরুরি।

হট শাওয়ার নেয়ার সময় সতর্ক থাকুন

সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে আমরা অনেকেই হট শাওয়ার নিতে পছন্দ করি। মাঝেমধ্যে নিলে হয়তো তেমন প্রবলেম হবে না, কিন্তু রেগুলার হট শাওয়ার স্কিনের জন্য হার্মফুল হতে পারে। স্কিন ড্রাই হয়ে ইচিনেসের প্রবলেম দেখা দিতে পারে, সেই সাথে ময়েশ্চারও লস হয়। যার কারণে অল্প সময়েই স্কিন তার হাইড্রেশন হারিয়ে ফেলে। স্কিন ডিহাইড্রেটেড হয়ে গেলে ড্রাইনেস ও রাফনেস দেখা দিতে পারে। তাই হট শাওয়ার নেয়ার সময় সতর্ক থাকুন।

 

হেলদি, ব্রাইট ও বিউটিফুল স্কিন পাওয়ার জন্য স্কিনের হাইড্রেশন ধরে রাখা জরুরি। স্কিন টাইপ যেমনই হোক না কেন, সঠিকভাবে স্কিন কেয়ার রুটিন ফলো করলে স্কিন ডিহাইড্রেটেড হয়ে যাওয়া নিয়ে একদমই ভাবতে হবে না। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। স্কিন কেয়ার, হেয়ার কেয়ার ও মেকআপ প্রোডাক্টগুলো কিনতে পারেন সাজগোজ থেকে। সাজগোজের চারটি ফিজিক্যাল শপ রয়েছে। শপগুলো যমুনা ফিউচার পার্ক, সীমান্ত সম্ভার, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার এবং উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে) এ অবস্থিত। এই শপগুলোতে ঘুরে নিজের পছন্দমতো অথবা অনলাইনে শপ.সাজগোজ.কম  থেকে কিনতে পারেন আপনার দরকারি প্রোডাক্টগুলো।

ছবিঃ সাজগোজ

The post হাইড্রেটেড স্কিন পাওয়ার জন্য কেমন হওয়া উচিত স্কিন কেয়ার রুটিন? appeared first on Shajgoj.


Viewing all articles
Browse latest Browse all 3010

Trending Articles