Quantcast
Channel: Shajgoj
Viewing all articles
Browse latest Browse all 3010

কালার কারেক্টিং কনসিলার |মেকআপের সময় কখন কোনটা ইউজ করবেন?

$
0
0

ধরুন, আপনার বেস্ট ফ্রেন্ডের বিয়ে, স্বাভাবিকভাবেই আপনি খুব এক্সাইটেড! বিয়ের প্রোগ্রামে অ্যাটেন্ড করবেন বলে আপনি অনেকক্ষণ সময় নিয়ে ফুল ফেইস মেকআপ করলেন। কিন্তু মেকআপ শেষ হওয়ার পর আয়নায় দেখতে পেলেন চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল যেন আরও বেশি ভিজিবল মনে হচ্ছে, সাথে ফেইসের পিম্পলের দাগ আর পিগমেন্টেশনও ক্লিয়ারলি বোঝা যাচ্ছে! ফ্ললেস ও পারফেক্ট মেকআপ লুকের জন্য কী করা যায় তাহলে? আপনি কিন্তু ফাউন্ডেশন আর কনসিলার দু’টোই ইউজ করেছেন! তাও কেন এমন হলো বলতে পারেন?

আমিই বলে দিচ্ছি! আসলে ফাউন্ডেশন আর কনসিলার ছাড়াও পারফেক্ট মেকআপ লুক পেতে আরেকটি প্রোডাক্ট ইউজ করা খুবই ইম্পরট্যান্ট, সেটি হচ্ছে কালার কারেক্টর অথবা কালার কারেক্টিং কনসিলার। যদি আপনি কালার কারেক্টিং কনসিলার সম্পর্কে জানতে ইন্টারেস্টেড হন, তাহলে পড়ে ফেলুন আজকের আর্টিকেলটি।

কালার কারেক্টিং কনসিলার কী?

চলুন শুরুতেই জেনে নেওয়া যাক কালার কারেক্টিং কনসিলার সম্পর্কে। এটি এক ধরনের মেকআপ প্রোডাক্ট যেটি ইউজ করার মাধ্যমে ফেইসের যেকোনো ধরনের পিগমেন্টেশন বা ডিসকালারেশন, একনে, ডার্ক সার্কেল, স্পটস ইত্যাদি হাইড করে ফেলতে পারেন খুব সহজে। এটি কালার কারেক্টর নামেই সবার কাছে বেশি পরিচিত। কালার কারেক্টিং কনসিলার জেনারেলি গ্রিন, ল্যাভেন্ডার, ইয়েলো, পিচ ও অরেঞ্জ কালারের হয়। এই একেকটি কালারের কনসিলার স্কিন কনসার্ন অনুযায়ী ফেইসের বিভিন্ন এরিয়াতে অ্যাপ্লাই করা হয়।

পারফেক্ট মেকআপ লুক পেতে কালার কারেক্টিং কনসিলার

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, স্কিনটোনের সাথে ম্যাচ করে এমন শেইডের ফাউন্ডেশন ও কনসিলার আমাদের ফেইসে থাকা হালকা ডিসকালারেশন, ডার্ক সার্কেল বা পিম্পলের দাগ হাইড করতে পারে। তবে যাদের ফেইসে স্পট, পিগমেন্টেশন বা একনে একটু বেশি, তাদের ক্ষেত্রে শুধু ফাউন্ডেশন দিলে এগুলো হাইড হয় না। বরং ফেইসের পিগমেন্টেড এরিয়াতে বা চোখের নিচে মেকআপ ভেসে ভেসে থাকে! আবার অনেক সময় দেখা যায়, পিম্পলের দাগ মেকআপের পর আরও বেশি ভিজিবল হয়ে যায়! এটা বেশ কমন একটি প্রবলেম, তাই না?

এই প্রবলেমগুলো সল্ভ করতে কালার কারেক্টিং কনসিলার ম্যাজিকের মতো কাজ করে। যেহেতু এই কনসিলার স্কিনের সব ধরনের ডিসকালারেশন ও স্পটস হাইড করে ফেলে, তাই এটি ইউজ করার পর যখন ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাই করা হয়, তখন স্কিন দেখতে ইভেন টোনড মনে হয়। এতে খুব সহজেই ফ্ললেস ও পারফেক্ট মেকআপ লুক পাওয়া যায়।

কখন কোন কালার কারেক্টিং কনসিলার ইউজ করবেন?

যেহেতু একেকটি কালার কারেক্টর একেকটি পারপাসে ইউজ করা হয়, তাই পারফেক্ট মেকআপ লুক পেতে হলে কোন কালার কারেক্টর কখন ইউজ করতে হবে সেটি জেনে রাখা কিন্তু জরুরি। চলুন এবার জেনে আসা যাক ফেইসে কখন কোন কালার কারেক্টর ইউজ করবেন সে সম্পর্কে।

১) গ্রিন কালার কারেক্টর

স্কিনের যেকোনো ধরনের র‍্যাশ, একনে অথবা বার্থ মার্ক হাইড করে স্কিন ইভেন টোনড করতে গ্রিন কালার কারেক্টর ইউজ করতে পারেন৷ পাশাপাশি গ্রিন কালার কারেক্টর স্কিনের রেডনেস কমিয়ে দিতেও হেল্প করে। যাদের স্কিনটোন লাইট বা ফর্সা, তাদের স্কিনে অনেক সময় লাল লাল ছোপ দেখা যায়। সেক্ষেত্রে এই কালার কারেক্টর ইউজ করতে হবে।

২) অরেঞ্জ ও পিচ কালার কারেক্টর

এবার আসা যাক অরেঞ্জ অথবা পিচ কালার কারেক্টর নিয়ে। এই দু’টো কালার কারেক্টরের মূল কাজ হচ্ছে স্কিনের যেকোনো ডিসকালারেশন বা পিগমেন্টেশন হাইড করা। তাই যদি আপনার চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল থাকে, ঠোঁটের চারপাশে পিগমেন্টেশন থাকে অথবা ফেইসের কোনো এরিয়াতে সানবার্নের জন্য ডিসকালারেশন থেকে থাকে, তাহলে অরেঞ্জ অথবা পিচ কালার কারেক্টর ইউজ করুন।

 

এক্ষেত্রে যাদের স্কিনটোন ফেয়ার বা মিডিয়াম ফেয়ার, তারা পিচ কালার কারেক্টর বেছে নিন৷ অন্যদিকে যারা মিডিয়াম বা ব্রাউন স্কিনটোনের রয়েছেন, তাদের জন্য অরেঞ্জ কালার কারেক্টর বেস্ট অপশন!

৩) ইয়েলো কালার কারেক্টর

ইয়েলো কালার কারেক্টর মূলত আমাদের চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল হাইড করে আন্ডার আই এরিয়া ব্রাইটেনিংয়ের জন্য ইউজ করা হয়। এছাড়াও যদি আপনার স্কিনে কোনো প্রকার কাটা দাগ বা ক্ষত থাকে, সেটিও ইয়েলো কারেক্টর দিয়ে হাইড করতে পারেন। বিশেষ করে এশিয়ান স্কিনটোনে ইয়েলো কালার কারেক্টর বেশ স্যুট করে।

কালার কারেক্টর কীভাবে ইউজ করবেন?

মেকআপ করার সময় কালার কারেক্টর অ্যাপ্লাই করতে হয় একদম শুরুর দিকে৷ মেকআপ স্টার্ট করার আগে ফেইস ক্লিন করে ভালোভাবে ময়েশ্চারাইজ করে নিন। ও হ্যাঁ, যদি দিনের বেলার মেকআপ লুক হয়, তাহলে সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই করতে ভুলবেন না।

  • স্কিন টাইপ অনুযায়ী প্রাইমার লাগিয়ে নিন
  • প্রাইমারের পর পরই কালার কারেক্টর অ্যাপ্লাই করুন
  • মেকআপ ব্রাশ অথবা ভেজা বিউটি ব্লেন্ডার দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন
  • এরপর স্কিনটোনের সাথে ম্যাচ করে এমন শেইডের ফাউন্ডেশন ও কনসিলার অ্যাপ্লাই করুন
  • তারপর নিজের পছন্দমতো লুজ পাউডার, ব্রোঞ্জার, ব্লাশ, হাইলাইটার ইত্যাদি অ্যাপ্লাই করে নিন

শেষকথা

ব্যস! এভাবেই মেকআপ রুটিনে কালার কারেক্টর অ্যাড করে সহজেই পেতে পারেন একদম ফ্ললেস ও পারফেক্ট মেকআপ লুক। একটা সাজেশন দেই, ভালো কোয়ালিটির কালার কারেক্টরে ইনভেস্ট করুন। কারণ এই একটি প্রোডাক্ট আপনার পুরো মেকআপ লুকে বেশ বড় ডিফারেন্স এনে দিতে পারে। চাইলে সিঙ্গেল কালার কারেক্টিং কনসিলার কিনতে পারেন, আবার চাইলে কালার কারেক্টর প্যালেটও কিনতে পারেন।

 

হাই কোয়ালিটির কালার কারেক্টরের পাশাপাশি অন্যান্য মেকআপ প্রোডাক্টস কেনার জন্য সাজগোজ এর ওয়েবসাইট, অ্যাপ অথবা আউটলেটে ভিজিট করতে পারেন নির্দ্বিধায়! অনলাইনে অথেনটিক প্রোডাক্ট কিনতে পারেন শপ.সাজগোজ.কম থেকে অথবা সাজগোজের ৪টি শপ- যমুনা ফিউচার পার্ক, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, উত্তরার পদ্মনগর ( জমজম টাওয়ারের বিপরীতে) ও সীমান্ত সম্ভার থেকেও বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের প্রোডাক্টটি।

ছবি- সাজগোজ, মাতেজা’স বিউটি ব্লগ

The post কালার কারেক্টিং কনসিলার | মেকআপের সময় কখন কোনটা ইউজ করবেন? appeared first on Shajgoj.


Viewing all articles
Browse latest Browse all 3010

Trending Articles