চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া, চুলের আগা ফেটে যাওয়া, অতিরিক্ত চুল পড়ার মত সমস্যা কমবেশি আমাদের সবার চুলেই দেখা দিয়ে থাকে। যেমন- সারাদিন বাইরে থাকার কারণে আমার চুলও অনেক ড্যামেজ হয়ে গিয়েছিল। অনেক কিছু ব্যবহারের পরেও চুলের ড্যামেজ কোনোভাবেই কমানো যাচ্ছিল না। কিছুদিন আগে অনলাইনের মাধ্যমে আমি লেডর পারফেক্ট হেয়ার ফিল-আপ হেয়ার অ্যাম্পুলের কথা জানতে পেরেছি। আমি গত ২ মাস আমি এই হেয়ার অ্যাম্পুলটি ব্যবহার করেছি এবং আমার চুলের ড্যামেজ কমাতে হেয়ার অ্যাম্পুলটি বেশ ভাল পরিবর্তন এনেছে। তাই ভাবলাম, এর সম্পর্কে একটি রিভিউ লিখে ফেললে কেমন হয়? লেডর পারফেক্ট হেয়ার ফিল-আপ হেয়ার অ্যাম্পুলে থাকা উপাদান সম্পর্কে ধারণা দিয়ে দিলে সহজেই বুঝতে পারবেন কীভাবে এই প্রোডাক্টটি আমাদের চুলের নানা সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে থাকে।
কী কী উপাদান রয়েছে লেডর হেয়ার অ্যাম্পুলে ?
চুলকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করতে আমরা অনেকেই আজকাল কেরাটিন হেয়ার ট্রিটমেন্ট করছি। কিন্তু কেরাটিন কী? এটি কীভাবেই বা কাজ করে আমাদের চুলে? আমরা অনেকেই না বুঝেই নানান রকম ট্রিটমেন্ট করে অনেক অর্থ ব্যয় করছি। কেরাটিন মূলত আমাদের চুলের মূল উপাদান, যা চুলকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে। কেরাটিন আমাদের চুলে প্রাকৃতিকভাবে থাকলেও অনেক সময় বিভিন্ন কারণে তার কার্যকারিতা কমে আসে। লেডর হেয়ার অ্যাম্পুলে আছে কেরাটিন। কেরাটিন আমাদের চুলের সব ধরনের ড্যামেজ কমাতে সাহায্য করে।
এছাড়াও এতে বেশ কয়েকটি উপাদান রয়েছে। যেমন- কোলাজেন, সিল্ক এবং সিরামাইড; যা চুলের রুক্ষতা কমাতে, চুলের আগা ফেটে যাওয়ার মত সমস্যা কমাতে, চুলকে ময়েশ্চারাইজড রাখতে সাহায্য করে। আর এতে মেথিলাপারাবেন, প্রপালপারাবেন থাকার কারণে চুলের গুনাগুণ বজায় থাকে। এছাড়াও এই অ্যাম্পুলে রয়েছে খুব সুন্দর একটা মাইল্ড স্মেল, যা খুবই রিফ্রেশিং!
কীভাবে ব্যবহার করতে হয়?
দুইটি উপায়ে লেডর পারফেক্ট হেয়ার ফিল-আপ হেয়ার অ্যাম্পুল ব্যবহার করা যায়। তা হলো-
(১) চুল শ্যাম্পু করার পর সরাসরি চুলে অ্যাম্পুল অ্যাপ্লাই করতে হবে। চুলে ম্যাসাজ করলে ক্রিমের মত একটি টেক্সচার তৈরী হবে। এরপর কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করে চুল ধুয়ে ফেলুন।
(২) ১:১ অনুপাতে অ্যাম্পুল এবং ঠাণ্ডা পানি নিয়ে মিক্স করে নিতে হবে। ক্রিমের মত টেক্সচার আসলে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করে নিতে হবে এবং এরপরে ধুয়ে ফেলবেন।
যেই পদ্ধতিতেই ব্যবহার করুন না কেন, চুলে অ্যাপ্লাই করার পর ২০-৩০ মিনিট রেখে ম্যাসাজ করার পর ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে ১ বার করে ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
অ্যাম্পুল এর উপকারিতা এবং ব্যবহার করে আমার অভিজ্ঞতা
(১) চুলে কালার করার কারণে এবং অতিরিক্ত হিট ব্যবহারের কারণে আমার চুল অনেক রুক্ষ হয়ে গিয়েছিল। অ্যাম্পুলটি বেশ কয়েকবার ব্যবহার করার ফলে আমার চুল হারানো সতেজতা ফিরে পেয়েছে।
(২) অ্যাম্পুলটি ব্যবহারের পর আমার মনে হয়েছে, চুলে প্রোটিনের ঘাটতি অনেকটা পূরণ হচ্ছে।
(৩) এটি চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
(৪) চুলকে মজবুত করতে সাহায্য করে।
(৫) চুলের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে থাকে।
(৬) চুলে চমৎকার টেক্সচার দিয়ে থাকে।
এটা আমার চুলের যত্নে খুব ভালো কাজ করেছে। একবার ব্যবহার করে দেখুন আপনাদেরও অবশ্যই ভালো লাগবে। ঘরে বসেই পার্লারের মত চুল পেতে সাহায্য করবে। শপ.সাজগোজ.কম-এ পেয়ে যাবেন এই প্রোডাক্টটি। সাজগোজের দুটি ফিজিক্যাল শপ রয়েছে। যার একটি যমুনা ফিউচার পার্ক এবং অন্যটি সীমান্ত স্কয়ারে অবস্থিত। আপনারা চাইলে সেখান থেকে খুব সহজেই কিনে নিতে পারেন। আবার চাইলে ঘরে বসে অনলাইনেও অর্ডার করে নিতে পারেন।
ছবি- সাজগোজ
The post চুলের ড্যামেজ কমাতে হেয়ার অ্যাম্পুল appeared first on Shajgoj.