বাঙালির কাছে গরম গরম মুচমুচে কচুরির কদরটাই অন্যকরম, তাই না? কচুরির প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এটি থাকবে একেবারে পুরে ভরপুর। আর এখানেই কিন্তু পুরি বা লুচির সাথে কচুরির পার্থক্য। ভারতীয় উপমহাদেশের জনপ্রিয় একটি খাবার এটি। মসলাদার পুরের সমন্বয়ে বানানো কচুরির স্বাদ আসলেই মুখে লেগে থাকার মতো। সকালে হোক বা বিকালে, পুর ভরা কচুরি পেলে নাস্তার টেবিল একদম জমে যাবে। কিভাবে ঝটপট বানিয়ে নেওয়া যায়, সেটা নিয়েই ভাবছেন তো? তাহলে জেনে নিন, কচুরি তৈরির সবথেকে সহজ রেসিপিটি!
কচুরি তৈরির পদ্ধতি
উপকরণ
- মটরশুঁটি সেদ্ধ- ১ কাপ
- আলু সেদ্ধ- ১/২ কাপ
- ধনেপাতা কুঁচি- ২ চা চামচ
- পেঁয়াজ কুঁচি- ১ টেবিল চামচ
- কাঁচামরিচ বাটা- ১ চা চামচ
- লবণ- স্বাদমতো
- রসুন বাটা- ১/২ চা চামচ
- শুকনো প্যানে টেলে রাখা জিরা গুঁড়ো- ১ চা চামচ
- গরম মসলার গুঁড়ো- ১/২ চা চামচ
- ময়দা- ১ কাপ
- ঘি- ২ টেবিল চামচ
- তেল- ভাজার জন্য
প্রস্তুত প্রণালী
১) প্রথমে একটি বড় বোলে সেদ্ধ করে রাখা আলু ও মটরশুঁটি নিয়ে ভালোভাবে ম্যাশড করে নিন।
২) এতে এক এক করে কাঁচামরিচ বাটা, রসুন বাটা, পেঁয়াজ কুঁচি ও লবণ দিয়ে মাখিয়ে নিতে হবে।
৩) তারপর মিহি করে কুঁচি করা ধনেপাতা, গরম মসলার গুঁড়ো ও সবশেষে টেলে রাখা জিরা গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। ব্যস, কচুরির পুর রেডি!
৪) অন্যদিকে ময়দা, সামান্য লবণ ও ঘি দিয়ে খামির তৈরি করে নিন। লুচি বা পরোটার জন্য যেভাবে ময়ান দেওয়া হয়, ঠিক সেভাবেই করে নিতে হবে।
৫) এবার ছোট ছোট করে রুটি তৈরি করে ভেতরে পুর ভরে দিন। সামান্য তেল লাগিয়ে হালকা করে আবারও বেলে নিন।
৬) এভাবে সবগুলো কচুরি বানিয়ে নিন। খেয়াল রাখতে হবে পুর যেন বের না হয়ে যায়!
৭) তারপর কড়াইতে তেল গরম করে অল্প আঁচে সময় নিয়ে কচুরিগুলো ভাজতে হবে।
৮) দুইপিঠ হালকা গোল্ডেন রঙ হলে তেল নামিয়ে কিচেন টিস্যুতে রাখুন। এতে এক্সট্রা তেল টেনে নেবে।
দেখলেন তো, কত সহজে গরম গরম ফুলকো কচুরি বাসাতেই তৈরি করা যায়! এবার পছন্দের সস বা কেচাপের সাথে পরিবেশন করুন। বাসায় হটাত করে গেস্ট চলে আসলে বা হুটহাট খিদে মেটাতে কিংবা বাচ্চার টিফিনের জন্যও বানিয়ে নিতে পারেন মজাদার এই খাবারটি।
ছবি- সংগৃহীত: ইউটিউব চ্যানেল তানহির পাকশালা
The post পুর ভরা কচুরি appeared first on Shajgoj.