ছবি আঁকতে ভালোবাসেন ? হাতের কাজে আগ্রহ রয়েছে আপনার ? বেশ তো, হাতের কাজের দারুণ এক মাধ্যম ফেব্রিক পেইন্টিং করার উপায় বলে দিচ্ছি আজকে । হাতের কাজও হবে, আঁকার সাধও মিটবে । নিজের কুর্তি, স্কার্ফ, কিংবা কারো জন্য উপহারের শাড়ি , টিশার্ট নিজের হাতে এঁকে নিতে পারেন ফেব্রিক পেইন্টিং করার মাধ্যমে ।
কাজ শুরু করতে আপনি খুব ছোট কাপড়ের টুকরো বেছে নিতে পারেন । দুর্ভাগ্যবশত যদি কাজটা নষ্টই হয়ে যায়, অল্প ক্ষতি হবে ! স্কার্ফ বা টিশার্ট , এগুলি আদর্শ ক্যানভাস আপনার প্রথম ফেব্রিক পেইন্টিংয়ের পাঠে ।
যা যা লাগছে -
রঙ তো অবশ্যই লাগছে। ফেব্রিক পেইন্টিংয়ে ব্যবহার করা যাবে অ্যাক্রিলিক রঙ।
সঠিক ঘনত্বের রঙ পেতে রঙের সাথে মিডিয়াম মিশিয়ে নিতে হবে । বাটিতে সামান্য মিডিয়াম নিয়ে তাতে রঙ মেশাতে থাকবেন অল্প করে ।
ক্যানভাসটাই তো কাপড় । যেমনটা বলেছি, শুরুর দিকে ছোট কাপড়ের টুকরো নিয়ে কাজ করুন । নতুন কাপড় না নিয়ে পুরনো কাপড়েই আঁকিবুকি করুন প্রথম প্রথম । কাপড়টা অবশ্যই ভালো মতোন ধুয়ে শুকিয়ে নেয়া লাগবে ।
আরো লাগছে তুলি বা ব্রাশ। চিকন তুলি না মোটা তুলি দরকার হচ্ছে, তা নির্ভর করে নকশার উপর । সূক্ষ্ম কাজ করার বেলা সবসময় চিকন তুলিই প্রয়োজন হয় । নকশা চওড়া হলে মোটা তুলি ব্যবহার করুন ।
কাপড়ের গায়ে আঁকার রয়েছে নানা রকম উপায় । প্রচলিত সহজ উপায়ই বেছে নেয়া ভালো প্রথম বার আঁকার ক্ষেত্রে ।
জিনিসপত্র নিয়ে বসার পর কিন্তু কাজ তেমন কঠিন কিছু নয় । ইচ্ছে মতো রঙ মিশিয়ে আঁকতে থাকুন !
যাই আঁকতে চলেছেন , যতো সহজই নকশা হোক তা , কাঠ পেনসিলে এঁকে নিন আগে । কাপড়ে আঁকিবুকি করার অভ্যাস না থাকলে শুরুতেই রঙ নিয়ে কাজ করতে যাবেন না ।
- নকশা আঁকা হয়ে গেলে রঙ নিয়ে বসুন । বাটিতে খানিক রঙ নিয়ে আগে মিডিয়ামের সাথে মিশিয়ে নিন।
- রঙের ঘনত্ব সঠিক পাওয়া গেলে তবে কাপড়ে আঁকা নকশার গায়ে রঙের আঁচড় কাটা শুরু করুন।
মূল কাজ এখানেই শেষ! তবে পুরোটা কিন্তু শেষ হয়ে যায়নি । তারপরেও আরো কিছু করার আছে আপনার ।
- কাপড়টাকে পুরো একদিন শুকোতে দেবেন।
- দিন তিনেক পানি লাগাবেন না কাপড়ে ।
সবচেয়ে জরুরী কাজ, যদি ফেব্রিক পেইন্টিং করে ভালো লেগে থাকে , তবে প্রায় সময়ই আঁকার চর্চা করুন । শখের কাজ ছাড়তে নেই। কে বলতে পারে , শখটাই কখন কার পেশায় বদলে যায় !
ছবি- ইউটিউব, পিন্টারেস্ট, সিলিফার্ম, স্টেশনারি বাজার
মুমতাহীনা মাহবুব