নিজের সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তুলতে আমাদের কতো না আয়োজন।কিন্তু সবসময় কি সম্ভব হয় একদম পারফেক্টভাবে নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে। অসুস্থতা এবং সময়ের অভাবে যত্ন না নেওয়ার ফলে স্কিনের অবস্থাও সবসময় ভালো থাকে না। ডার্ক সার্কেল, পোরস, রুক্ষ এবং খসখসে স্কিন এবং ঠোঁটের কারণে আপনার আসল সৌন্দর্য ঢাকা পড়ে যায়। আর তখনই যদি থাকে কোনো প্রোগ্রাম! তাড়াহুড়োয় তখন কী করবেন?? কীভাবে মেকাপ করলে স্কিনের খুতগুলো অনেকখানি ঢেকে যাবে।তা নিয়েই আজ বলবো।
স্ক্রাবিং
হাতে সময় থাকলে ফেইস এবং লিপ স্ক্রাবিং করে নিন। এতে করে কিছুটা হলেও আপনার স্কিন এবং লিপস মসৃণ হয়ে উঠবে।
প্রাইমার
প্রাইমার মেকাপকে সারাদিন ধরে রাখতে সাহায্য করে। মেকাপের জন্য একটি সুন্দর ক্যানভাস তৈরি করে। বিভিন্ন ধরনের প্রাইমার রয়েছে। কিন্তু আপনি বেছে নিন, পোর মিনিমাইজার প্রাইমার।ফেইস এ বড় পোর থাকলে মেকাপ করলেও তা বাজে দেখা যাবে। পোর মিনিমাইজিং প্রাইমারগুলো পোর এর আকার অনেক ছোট করে ফেলবে। যার ফলে মেকাপের পরেও আপনার খারাপ স্কিনের অবস্থা কারো চোখে পড়বে না।
পোর মিনিমাইজার প্রাইমার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন – বেনিফিট পোরফেশনাল, মেইবিলিন বেবী স্কিন পোর ইরেজার এবং রিমেল ফিক্স অ্যান্ড প্রটেক্ট প্রাইমার ।
ইল্যুমিনেটর
স্কিনের অবস্থা অনেক বেশী খারাপ থাকলে এবং রুক্ষ থাকলে তা ঢাকার জন্য আপনাকে ফেসএ ফেক গ্লো তৈরি করতে হবে। এজন্য কাজে দিবে লিকুইড ইল্যুমিনেটর/ হাইলাইটার অথবা স্ট্রোব ক্রিম। প্রাইমার লাগানোর পর লিকুইড ইল্যুমিনেটর লাগান ফেস এর হাই পয়েন্টগুলোতে। স্ট্রোব ক্রিম ময়েশ্চারাইজার হিসেবে প্রাইমার এর আগেই লাগিয়ে নিতে পারেন।
লিকুইড ইল্যুমিনেটর হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন – এন.ওয়াই. এক্স বরন টু গ্লো লিকুইড ইল্যুমিনেটর, বেকা শিমারিং স্কিন পারফেক্টরর লিকুইড হাইলাইটার। অথবা স্ট্রোব ক্রিম হিসেবে – ম্যাক স্ট্রোব ক্রিম।
কালার কারেক্টিং
আপনার ডার্ক সার্কেল,ফোলা চোখ, দাগ ঢাকার জন্য ব্যবহার করুন কালার কারেক্টর। আপনার স্কিন শেড যদি লাইট হয়, তবে ব্যবহার করুন পিচ কালার কারেক্টর। আর স্কিন যদি মিডিয়াম অথবা ডার্ক এর দিকে হয়।তখন ব্যবহার করুন অরেঞ্জ কারেক্টর।
ফেস এ রেডনেস থাকলে গ্রিন কারেক্টর লাগান। ফাউন্ডেশন লাগানোর আগে কারেক্টর লাগিয়ে ব্লেন্ড করে নিন।
কালার কারেক্টর হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন – এল.এ গার্ল কালার কারেক্টর , ম্যাক কালার কারেক্টর।
কন্টুরিং এবং হাইলাইটিং
ফেসকে একটু ব্রাইট, ফ্রেস দেখাতে ফেস এর হাই পয়েন্ট গুলোতে ক্রিম হাইলাইটিং করে নিন। ফাউন্ডেশন লাগানোর পর হাইলাইটিং করুন। হাইলাইটিং কন্সিলার টা ফেস এর থেকে ২-৩ শেড লাইট ব্যবহার করুন। কন্টুরিং একটু হালকাভাবে করুন। যাতে কন্টুরিং নয়, হাইলাইটিং ভালোভাবে ফুটে ওঠে।
ক্রিম ব্লাশ
ফেস এ সুন্দর এবং ন্যাচারাল কালার যোগ করার জন্য গালে ক্রিম ব্লাশ ব্যবহার করুন। পাউডার ব্লাশ এর থেকে ক্রিম ব্লাশ অনেক সুন্দর গ্লো দিবে এবং ময়শ্চারাইজ দেখাবে ফেস কে। পছন্দের কালারের লিপস্টিককেও ব্যবহার করতে পারেন ক্রিম ব্লাশ হিসেবে।
ক্রিম ব্লাশ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন – ই.এল.এফ ক্রিম ব্লাশ প্যালেট।
পাউডার
ফেস এ যতসম্ভব পাউডার প্রোডাক্ট কম ব্যবহার করুন। ফেস সেট করার জন্যেও অতিরিক্ত পাউডার ব্যবহার করবেন না।অতিরিক্ত পাউডার আপনার ফেস এর গ্লো নষ্ট করে দিবে।
হাইলাইটার
ফেস এ সুন্দর গ্লো যোগ করে এবং স্কিনের খুতগুলো ঢাকতে অনেকাংশে সাহায্য করবে শিমারী হাইলাইটার। তাই ফেস এর হাই পয়েন্টস যেমন- চিক বোন, নাকের হাড়ে, থুতনি, আইব্রো বোনে হাইলাইটার লাগিয়ে নিতে ভুলবেন না।
হাইলাইটার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন – ম্যাক সফট এন্ড জেন্টল হাইলাইটার, দ্যা বাম ম্যারিল্যু মানিজার।
লিপস্টিক
লিপস্টিক হিসেবে ম্যাট টাইপ লিপস্টিককে একদম না বলুন। ব্যবহার করুন স্যাটিন ফিনিশের লিপস্টিক।
স্যাটিন ফিনিস লিপস্টিক এর জন্যে ব্যবহার করতে পারেন - কালার পপ স্যাটিন ফিনিশ লিকুইড লিপস্টিক, ম্যাক স্যাটিন ফিনিশ লিপস্টিক।
এই তো ছিল কিছু মেকাপ টিপস। এই টিপসগুলো মেকাপে ফলো করে, স্কিনের অবস্থা খারাপ থাকলে অথবা অসুস্থ থাকলেও আপনি নিজেকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন।
ছবি - পিন্টারেস্ট ডট কম , স্টাইল ক্রেজ ডট কম, নভেলবিউটিটিপস ডট কম
লিখেছেন - জান্নাতুল মৌ