সুপ্রিয় পাঠকগণ গত দুই পর্বে মাদক এবং মাদকাসক্তি সম্পর্কে অনেকখানি তথ্য আপনাদের দিয়েছি। আজকের শেষ পর্বে জানতে পারবেন মাদকাসক্তির স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব, মাদক প্রতিরোধে পরিবারের করণীয় এবং এর চিকিৎসা সম্পর্কে।
মাদকাসক্ত ব্যাক্তির স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব:
মাদক গ্রহণের ফলে মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বড় প্রভাব পড়ে।এছাড়াও শরীরে উপর কার্যকর প্রভাব ফেলে । মাদক গ্রহণকারীরা একাধিক ব্যাক্তি একই সিরিঞ্জ ব্যবহার করার ফলে এইডস হওয়ার আশংকা থাকে।আবার হেপাটাইটিস, ফুসফুসে ক্যান্সার, স্ট্রোক, হৃদরোগ, জন্ডিস, মস্তিষ্কে ও মেরুদন্ডে রোগ হতে পারে।
মাদক গ্রহণ প্রতিরোধে পরিবারের ভূমিকা:
- সন্তান তার পরিবারের পরিবেশ দ্বারা অনেক প্রভাবিত হয়। তাই পারিবারিক পরিবেশ হতে হবে ধূমপান মুক্ত।
- সন্তানদের কার্যকলাপ ও সঙ্গীদের ব্যাপারে খবর রাখতে হবে। সন্তানরা যেসব জায়গায় যাওয়া আসা করে সে জায়গাগুলো সম্পর্কে জানতে হবে।
- সন্তানদের সাথে খোলামেলা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। যাতে তারাই নিজ থেকে তাদের বন্ধুবান্ধব ও কার্যাবলী সম্পরকে আলোচনা করে ।
- ধৈর্য ধরে তাদের সব কথা শুনতে হবে ।পরিবারের সকল সদ্যসদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।
- সন্তানদের মাঝে নিরাপত্তা বোধ তৈরি করতে হবে।
- পিতামাতার গুড প্যারেন্টিং বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
মাদকাসক্ত হয়ার পর করণীয়:
মাদকাসক্ত হয়ে গেলে পরিবাররে প্রতিটি সদ্যসকে মাদকাসক্ত ব্যাক্তিকে সেই অবস্থা থেকে বের করে আনার সর্বাত্মক প্রয়াস চালাতে হবে।প্রয়োজনে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে।
সন্তান মাদকাসক্ত থেকে সুস্থ্য হয়ে ফিরে আসলে পুনরায় যেন মাদকে জড়িয়ে না পড়ে পিতামাতাকে সর্বদা সচেতন থাকতে হবে।
সন্তানদের জন্য নির্মল পরিবেশ তৈরি করতে হবে ।চিকিৎসকদের সকল পরামর্শ অনুযায়ী সন্তানকে লালন পালন করতে হবে।
প্রত্যেক পিতামতাই চায় তাঁর সন্তানের সুস্থ্য ও সুন্দর জীবন ।সেজন্য পিতামাতাকে বুঝে নিতে তাঁর সন্তানের জন্য কোনটি সঠিক , কোনটি ভুল । ‘মাদক ও মাদকাসক্তি’ নিয়ে এ প্রতিবেদন কিছুটা হলেও প্রত্যেক কাজে আসবে আশা করি এবং তাঁরা সচেতন হতে পারবেন।
ছবি – হেলথকেয়ার ডট কম
লিখেছেন – জোহরা হোসেন
মাদক ও মাদকাসক্তি: মাদক দেহে ও মস্তিষ্কে কীভাবে কাজ করে ? (পর্ব ১)