গ্লাস পেইন্টিং করার নতুন সাধ হয়েছে যাদের, কাঁচের গায়ে আঁকিবুকি করার চিন্তা করছেন কিন্তু উপায় জানা নেই, তারা উপায় পাবেন এই লেখায়। পেইন্ট করার মূল ধাপগুলো দেখে নিয়ে তারপর ইচ্ছে মতো গ্লাস পেইন্টিং চলুক।
যা যা লাগছে-
- স্বচ্ছ কাঁচের গ্লাসশিট। ঘরে থাকা কাঁচের কোন পাত্রও হতে পারে। ওয়াইন গ্লাস, ঘড়ির কাঁচ এসব কিছু চলতে পারে।
- কাগজ লাগতে পারে, যদি নকশাটা প্রথমে কাগজে এঁকে নিয়ে তার উপর কাঁচ বসিয়ে আউটলাইন করেন।
- হরেক রকম রং তো লাগছেই, নকশা আউটলাইন করার জন্যও একটি আলাদা রং লাগবে। এটা হতে পারে কালো, কিংবা সোনালি-রূপালি।
- তুলি লাগতে পারে, যদি আপনি ব্যবহার করতে চান।
বাজারে হরেক রকম রং সহজলভ্য, নিজের সুবিধা বা পছন্দ মতন বেছে নিতে পারেন।
গ্লাসশিট ধুয়ে মুছে ভালো মতন শুকিয়ে নিন কাজের শুরুতেই। ময়লা কাঁচে আঁকলে জিনিষটা বরং নষ্টই হবে।
গ্লাসে নকশার আউটলাইন আঁকতে হবে এবার। কালার টিউবে চিকন নজল ব্যবহার করবেন আউটলাইন করার জন্য।
কাগজ থেকে ছাপ নিয়ে আঁকতে চাইলে নকশা আঁকা কাগজের টুকরোটা গ্লাসের নিচে রাখুন।
এতোটুক কাজ হবার পর কাঁচের টুকরোটা শুকোতে দিন। এই রং শুকিয়ে যেতে সময় নেবে তিন-চার ঘন্টা। তারপর নকশার মাঝে মনের মতো রং ছড়িয়ে দিলেই হলো। এক্ষেত্রে টিউব আর নজল ব্যবহার করতে পারেন চাইলে, অথবা তুলি দিয়েই রং করতে পারেন।
রং করার শখ মিটিয়ে এবার গ্লাসটিকে শুকোতে দিন পুরো দিন। শুকিয়ে গেলে আলোর বিপরীতে ধরে দেখুন কাজটা ভালো মতো করা হয়েছে কিনা, রং কোথাও কম কিংবা বেশি পড়েছে কিনা।
নতুন নতুন যেকোন কাজ করতে গেলে খানিকটা ছোট পরিসরে করা ভালো। তাতে কাজ নষ্ট হলেও ক্ষতির পরিমাণ কম থাকে। তাই গ্লাস পেইন্টিং এর জন্যেও শুরুতেই বিশাল কাঁচে খুব হিবিজিবি নকশা করার চিন্তা রাখবেন না। ছোট আকারের কাঁচ আর হালকা নকশা বেছে নিন বরং। কাজ করতে করতে দক্ষতা বাড়লে তখন বড়সড় কিছু করবেন না হয়!
ছবি – ক্লিয়ারট্রিপ.কম, ইউটিউব
লিখেছেন – মুমতাহীনা মাহবুব