ঝকমকে আর স্টাইলিশ পোশাকের ডিজাইন নিয়ে তো সবসময় ভাবা হয়। কথাও ঘুরতে গেলে এমনকি কাজে বাইরে গেলেও একটু স্টাইলিশ পোশাকের কথাই আমরা আগে চিন্তা করে নেই। কিন্তু সবসময় কি আর এরকমভাবে চলা ভালো লাগে? তাই মাঝে মাঝে সাধারণ পোশাক নির্বাচন করে পড়লে অন্যান্য দিনের থেকে ভিন্ন লাগবে আপনাকে।
এই সময়ে হালকা রঙের পোশাক পরুন।অনেক সময় গাড় হলুদ, সবুজ,টিয়া রঙ অন্যের চোখে বিরক্তিকর হয়ে দাড়ায়! তাই এসব রঙ এরকম আবহাওয়ায় না পড়াই ভালো। কমল রঙগুলো বেছে নিন নিজের মতো করে।
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কি পরবেন সেটা নির্ভর করবে কোন সময় আপনি অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন এবং অনুষ্ঠানের ধরন। যেমন- বিয়ের বা বড় কোন অনুষ্ঠান দুপুরের দিকে হলে ভারী পোশাক না পড়াই ভালো। আর রাতে হলেও নিজের আরাম বুঝে পোশাক পড়া ঠিক হবে। আবার বন্ধুদের সাথে কোন জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার সময় ক্যাজুয়াল পোশাকই ভালো হবে।
গরমের সময় পালাজ্জো বেশ স্বাচ্ছন্দ্য এনে দিবে। তাই একি রকম কাটের পালাজ্জো না পরে কাটের মধ্যে ভিন্নতা নিয়ে আসুন। যেমন- অনেক বেশি ঘের দিয়ে অথবা মাঝে হালকা সরু হয়ে নিচের দিকে বেশি ঘের দিয়ে বানাতে পারেন। আবার কুচি দিয়ে বানিয়েও অনেকে পরছেন পালাজ্জো। ঘেরের নিচে দিতে পারেন গাড় রঙের পাইপিং। পালাজ্জোর সাথে ফতুয়া আজকাল মানিয়ে যায় বেশ।তবে সেটা খুব বেশি লম্বা না হলেই ভালো দেখায়। ফতুয়ার জন্য বেছে নিন হালকা গোলাপি, সবুজ রঙ। যদি সাদা পরতে না চাইলে বাদামী বা আকাশী রঙ বেছে নিন। থ্রি-কোয়াটার হাতা বা ফুলহাতা অল্প ঘটি দিয়ে বানিয়ে নিন। সাথে সুতার কাজ করা ফতুয়ার জমিন বেছে নিন। ঝামেলা না হলে এর সাথে পরে নিতে পারেন মাটি বা কাঠের মালা!
আবার জমকালো অনুষ্ঠানে ভারী পোশাক বা খুব কাজ করা পোশাক না পরে আরামদায়ক সাথে ভিন্নধর্মী পোশাক বানিয়ে নিয়ে পরতে পারেন। যেমন- সর্ট জর্জেটের ফতুয়ার সাথে বেছে নিন লিলেন বা নেট কাপড়ের পালাজ্জো তাতে অবশ্যই ভেতরে আস্তর দিতে হবে, এটা অন্য রঙের দিলেও ভালো লাগবে, কাপড়ে ভিন্ন শেড আসবে।
এক রঙা পালাজ্জো বা ডিভাইডার পরতে পারেন এই সময়ে। আবার এক রঙা পালাজ্জো বা ডিভাইডারের নিচে গাড় রঙের সুতার কাজ বা গাড় রঙের ব্লকের কাজ করিয়ে নিন। এতে কাপড়ের রঙ ফুটে উঠবে।
তবে রাতের অনুষ্ঠানে শাড়ি পরতে পারেন। শাড়ির ক্ষেত্রে বেছে নিন জমকালো পাড়ের মসলিন বা সিল্ক শাড়ি। হাফসিল্ক শাড়িও পরতে পারেন তা অনেকটাই আরামদায়ক হবে।
একরঙা শাড়ি বাদ দিয়ে হালকা রঙের শাড়ি পরুন, সাথে গাড় রঙের পাড় এবং ঘন কাজ করা ব্লাউজ।ব্লাউজের কাজ ভালো হলে হাই নেক বা ছোট কলার দিয়ে পানিয়ে নিন। এরকম রঙের কম্বিনেশন আপনাকে সবথেকে ভিন্ন করে তুলবে!
এসময়ে সাজগোজ যতটা কমিয়ে আনা যায় ততো ভালো। যেমন- যেকোনো জায়গায় আপনি চাইলে শাড়ির পরার পর হাত খোঁপা করে কাটা দিয়ে আটকিয়ে নিতে পারেন এবং অল্প সাজের সাথে শুধু বড় কানের দুল পরে নিতে পারেন। আর সালওয়ার কামিজের সাথে চুল ছেরে ক্লিপ লাগিয়ে ব বেনি করে নিন, সাথে অল্প সাজুন। আপনাকে এসবে স্নিগ্ধ দেখাবে।
দুপুরের অনুষ্ঠানে সুতি শাড়ি সুতার কাজ বা এপ্লিক করা শাড়ি পরে নিন। এটা আপনার জন্য অবশ্যই আরামদায়ক হবে। এভাবেই আপনি চাইলে এরকম গরম আবহাওয়ায় সাজগোজ আর পোশাকের সাথে স্নিগ্ধতা নিয়ে আসতে পারেন সহজেই!
ছবি – স্টাইলসগ্যাপ.কম
লিখেছেন – সোহানা মোরশেদ