সাধের বারান্দা বা খোলা ছাদে অনেক গাছ আছে আপনার, তা বেশ ভালো কথা। কিন্তু নিজের সাথে ঘরের ভেতরেই গাছের বসত করেছেন কি? সব গাছই যে বাসগৃহের ভেতর রাখার উপযোগী নয় তা নিশ্চয় জানা আছে আপনার। যেসব গাছ ঘরের মধ্যে আপনার সাথেই থাকতে পারে, যাদের বায়ু পরিশোধন করার ক্ষমতা দারুণ, সেসব গাছের খবর নিয়েই কথা হচ্ছে। জেনে নিতে পারেন কোন গাছগুলিকে অনায়াসে নিজের ঘরের ভেতর ঠাঁই দিতে পারবেন।
খেয়াল রাখবেন একটি কথা, এই গাছেদের অনেকেই আবার আপনার শিশু বা পোষ্য বিড়াল-কুকুরের জন্য অপকারী। তারা না বুঝে পাতা মুখে পুরে দিলে ক্ষতি হতে পারে। তাই গাছের দলকে দূরেই রাখবেন শিশু আর পোষাপ্রাণীর থেকে।
প্রথমেই যে নামটা এই গাছদের দলে আসবে তা হলো মানিপ্ল্যান্ট। টাকার গাছ, বাংলা অর্থে তাই বোঝালেও সে আশায় থাকবেন না! তবে এই গাছ আপনাকে যা উপকার দেবে তার মূল্য টাকায় মাপতেও যাবেন না।
শোবার ঘরে কয়েকটি মানিপ্ল্যান্টের উপস্থিতি আপনাকে কতোটা স্বাস্থ্যকর পরিবেশের নিশ্চয়তা দেবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই গাছটা বেঁচে থাকতে পারে যেকোন পরিবেশেই। সে খুব বেশি আলো চায় না, তাই তাকে অল্প আলোতে থাকতে দিন। যত্নের প্রয়োজনও খুব কম। ঝুড়িতে কিংবা বোতলে ভরে জানালার তাক বা টেবিলে রেখে দিতে পারেন। ঝুলিয়েও রাখা যায় কায়দা করে, সুন্দর দেখাবে বেশ। এই গাছ আপনার ঘরের পরম বন্ধু হতে পারে। তাই ঘরের জন্য গাছ কিনতে গেলে একে নিয়েই আসুন সঙ্গে।
সর্পগাছ, দারুণ নাম না? দেখলেই বুঝবেন, এমন নামকরণ তার সার্থক। আকৃতিতে সাপের সাথে বেশ মিল রয়েছে এই গাছের। এর আছে আরেকটা মজার নাম, এই গাছকে “মাদার ইন ল’স টাঙ্গ” বলা হয়! তো এই সর্পগাছকে চাইলে শ্বাশুড়ি মায়ের জন্যেও উপহার হিসেবে নিতে পারেন, বা নিজের কাছেই রাখতে পারেন চমৎকার এই হাউজপ্ল্যান্টকে।এর আছে অসাধারণ বায়ুশোধক ক্ষমতা।
ঘরের যেকোন জায়গা বেছে নিন এই গাছকে রাখার জন্য। তবে গাছটি আলো-অন্ধকার এর মিশেলে থাকতেই ভালোবাসে, তাই কড়া রোদ বা বেশি অন্ধকার মতন কোন জায়গায় একে রাখবেন না। মাটি শুকনো দেখালে তবেই বুঝে পানি দেবেন।
কাঁটাগাছের অন্যরকম রূপকে আপন করে নিতে পারেন আপনার গৃহবান্ধব গাছ হিসেবে। এই গাছ জাতে কিন্তু অভিজাত। ঘরের শোভা বাড়িয়ে দেবে অনেকখানি। মাটি শুকনো হলেই পানি দেবেন। রাখবেন বেশি আলো পড়ে তেমন জানালার কাছে, কেননা সে আলো পছন্দ করে খুব।
স্পাইডারপ্ল্যান্ট
লম্বাটে পাতার দল, পাশে সাদা রেখা আর মাঝটুকু সবুজ। মাকড়শার পায়ের সাথে মিল রেখে পাতাগুলো ছড়ানো বিন্যাসে থাকে। গোলগাল ঝুড়ি এর জন্য চমৎকার বাসা হতে পারে। পানি দেবেন সেই এক নিয়মে, মাটি শুকনো কিনা দেখে। বেশি আলো ভালো লাগে না এর, তাই কড়া রোদে রাখতে যাবেন না। মাকড়শার মতন কিন্তু ভয় দেখাবে না এই গাছ কাউকে, বরং আপনার ঘরে একরাশ সতেজতা বিলিয়ে যাবে দিনরাত।