জল থৈ থৈ চারিদিক। অনেকের বর্ষা খুব পছন্দের সময়। আবার অনেকেরই বর্ষার নাম শুনলেই মুখভার। মুনসুনের দিনগুলোতেও প্রফুল্ল থাকুন।খুঁজে নিন এই সিজনের প্রপার আউট-ফিট। কালারফুল পোশাকে বোরিং বর্ষাকে বাই বাই বলুন। আর এই মৌসুমে সতেজ, প্রাণোচ্ছল এবং স্টাইলিস থাকুন।মুনসুন ফ্যাশনে একটাই মন্ত্র – ডিপকালার, ইজি টু ওয়্যার এবং ট্রেন্ডি।
এই সময় সাদা কিংবা হাল্কা রং-এর পোশাক দূরেই রাখুন। হাল্কা রং -এ জল ও কাদার ছিটে লাগলে দেখতে খুব বাজে লাগে।আর সেজন্য ফুল লেনথ ড্রেস, ম্যস্কি ড্রেস, অ্যাভোয়েড করাই ভালো এই সিজনে। মুনসুনের দিনগুলোতে ওয়ারড্রবে রাখুন কেপরি, শটস, নি-লেনথ স্কার্ট, পেনসিল স্কার্ট, হারেমপ্যাণ্ট, লেগিন্স, পাটিয়ালা, কুর্তি, ট্রাউজার, এই ধরনের আউটফিট। অফিসে নির্দিষ্ট ড্রেস- কোড না থাকলে তো কথাই নেই। সালোয়ার কামিজ, পেনসিল স্কার্ট, তার সাথে কালারফুল সামার ব্লেজার খুব ফ্যাশনেবল দেখাবে। কুর্তি এবং লেগিন্স মিস্ক ম্যাচ করে পরুন তার সাথে জুড়ে নিন প্রিন্টেড স্কার্ফ। পাটি ওয়ারে পলকা ডট ড্রেস কিংবা চেকস। কটনের এর উপর ফেব্রিক কিংবা ডিজাইনার আনারকলিও হট চয়েস। লেসের প্লিটেট স্কার্ট অথবা লেস ফেব্রিক এখন ফ্যাশন ইন তাই অবশ্যই ট্রাই করুন।
বাঙ্গালি মেয়েদের শাড়িতে অনবদ্য লাগে। শাড়িই আমাদের সবসময়ের সঙ্গী।লাইট ওয়েট সুতি অথবা শিফন শাড়িই বর্ষায় পরুন। ইলেকট্রিক ব্লু, প্যাস্টেল, ব্রাইট পিংক, অরেঞ্জ, বটল গ্রিন শিফনে নজর কাড়বেন সকলের। মেঘলা দিনে একটু লাউড কালারেরে পোশাক মাস্ট।
স্পেশালি বষাকালে সুতি, সিন্থেটিক, গুজরাটি, খাদি, লিনেন, পলিস্টার, বাটিক, জয়পুরি এই ধরনের ম্যাটিরিয়াল এর পোশাক বেস্ট অপশন। এই ধরনের কাপড় নরম হয় ভিজে গেলেও খুব তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।বষাকালে এই ধরনের কাপড় মেন্টেন করা সহজ।
এই সিজনে ব্যাগ এর ক্ষেত্রে একটু বদল আনুন।বর্ষা সময়ে আমাদের সকলের চিন্তা জল যেন ব্যাগের ভেতরে না যায়।অনেক সময় বৃষ্টির নাকালে পড়ে দরকারি ডকুমেন্টের ক্ষতি হয়।তাই রিস্ক না নিয়ে বর্ষায় ব্যবহার করুণ প্লাস্টিকের টোটা ব্যাগ কিংবা শ্লিং ব্যাগ।এগুলো ওয়াটার প্রুফ। নানা রং-এর পাওয়া যায়।ভেতরে প্লাস্টিকের আবরণ থাকে। অতএব টেনশন ফ্রি।
জামা,ব্যাগ ছাড়াও এই সিজনে যেটা অবশ্যই নজরে রাখতে হবে, সেটি হল একজোড়া ফ্যান্সি জুতো।ক্যানভাস, স্নিকার্স, লেদারের, কভার-সু বর্ষাকালে একেবারেই নয়।রেট্রো লুক পেতে বর্ষাই নিয়ে আসুন কালারফুল ফ্লিপ ফ্লপ অথবা ফ্লোটারস।পা খোলা জুতো ভালো এই সিজনে।জেলি-সু পরতে পারেন। এছাড়া পমপম দেওয়া স্লিপার হলে তো কথাই নেই তবে এগুলো একেবারেরই ক্যাজুয়াল সু।এখন মারকেটে নন-স্লিপি জুতো পাওয়া যায়।সেটাও ট্রাই করতে পারেন।ড্রেসের সঙ্গে প্লাস্টিকের পামসু খুব ফ্যাশনেবল লাগে।টিন-এজের বন্ধুরা শট ড্রেসের সঙ্গে বর্ষাকালে রাবার বুট পরে চমকে দাও সকলকে।এতে খুব ফাঙ্কি দেখায়। ডাল ওয়েদারে ডার্ক কালারের রবার বুট দেখতে খুব রিফ্রেশিং লাগে।এছাড়াও টল-বুট কিংবা গাম বুট মনসুনে অ্যাপ্রোপিয়েট। এই বুটে পা সুরক্ষিত থাকে। বর্ষায় অনেকরকম স্কিন ইনফেকশন হ্য়।বুট পড়লে পা ক্লিন এবং ড্রাই থাকে।
মুনসুনের দিনগুলো যতই একঘেয়ে হোক।সেই আচ আমাদের সাজগোজে থেকে দুরে থাকুক।মুনসুনের কালেকশনে হোক কালারের ছড়াছড়ি।
সবশেষে বর্ষাকালের ফ্যাশনে যেটা ছাড়াই অসম্পূর্ণ সেটা হল একটি কুল রেনকোট। প্রচুর ধরনের রেনকোট অ্যাভেলেবল মার্কেটে। বর্ষা- বাদল দিনে ব্যাগে একটা রেনকোট অথবা ছাতা অবশ্য দরকার। প্রিন্টেট, কালারফুল, ট্রান্সপারেন্ট, রেনকোট দারুন লাগবে। ছাতাতেও নিয়ে আসুন ভ্যারিয়েশন। নীল, হলুদ, লাল, ফ্লাওয়ার প্রিন্ট, ছাতা নিয়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দাও।
লাস্ট বাট নট দ্যা লিস্ট বষাকালে চাই স্যাঁতস্যাঁতে ঠান্ডাই একটা জ্যাকেট। ডেনিম জিনসের জ্যাকেট কিংবা ক্লাসিক ট্রাঞ্চ কোট অথবা লাইট ওয়েট কারডিগান। বন্ধুরা জানাতে ভুলো না কেমন কাটছে তোমাদের মুনসুন। শুধু একটাই টিপস স্টে পজিটিভ। আর সেটাই পড় যা নিজের মনে হবে সুটেবল এবং কমফোর্টেবল।
ছবি – আইডিভা.কম
লিখেছেন – পারমিতা রায়