ব্যস্ত শহরের ব্যস্ত দিনগুলোতে প্রতিনিয়ত আমাদের বিভিন্ন দিকে বিভিন্ন কাজে লেগে থাকতে হয়। গৃহিণী থেকে শুরু করে যারা অফিস করেন কিংবা পড়াশুনা করছেন তাদের এই কর্মশ্রান্ত জীবনে ত্বকের যত্ন নেয়া অনেকটাই হয়ে উঠে না। এই রমজান জুড়ে পরিশ্রমের পরিমাণটা যেনো আরো বেড়ে গিয়েছে। খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে রাত অবধি যে পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে থাকতে হয় তার প্রভাব কিন্তু আমাদের ত্বকের উপরও পরে। ফলাফল ড্রাই, ড্যামেজড স্কিন। কয়েকদিন পড়েই ঈদ। ঈদের মত আনন্দের দিনে আমাদের মলিন দেখাক, কিংবা ত্বকে ড্রাইনেস ফুটে উঠুক তা নিশ্চয়ই আমরা কেউই চাই না। তাই এ ধরণের স্কিনের জন্য চাই এক্সট্রা যত্ন।
ড্রাই, ড্যামেজড স্কিনের যত্নে আপনাদের জন্য রয়েছে একটি ময়েশ্চারাইজিং ফেস মাস্ক রেসিপি। এই মাস্কটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি। তাছাড়া তৈরি করা খুবই সহজ।
মাস্কটি তৈরি করতে হাতের কাছে রাখুন-
১। ক্যাস্টর অয়েল ( অর্ধেক অথবা এক চা চামচ সমপরিমাণ )
২। মধু ( এক চা চামচ সমপরিমাণ )
৩। প্লেইন ইয়োগার্ট ( এক টেবিল চামচ সমপরিমাণ )
৪। পাকা অ্যাভোকাডো ( একটির চার ভাগের এক ভাগ সমপরিমাণ )
যেভাবে তৈরি করবেন-
একটি পরিষ্কার পাত্রে ক্যাস্টর অয়েল, মধু, প্লেইন ইয়োগার্ট, অ্যাভোকাডো একে একে নিয়ে নিন। তারপর কাঁটা চামচের সাহায্যে ম্যাশ করে নিন। খুব নরম মিশ্রণ করে তা মুখ আর গলায় লাগিয়ে নিন। লাগানোর আগে অবশ্যই মুখ আর গলা ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিবেন। মেকাপ থাকলে তুলে নিবেন। ফেস মাস্কটি লাগানোর পর ১৫ মিনিট রাখুন। তারপর কুমকুমে গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এরপর টোনার আর ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম লাগিয়ে নিন।
এই ফেস মাস্কটি বানিয়ে ফ্রিজে রেখে ব্যবহার না করাই উত্তম। এতে করে এর কার্যকারীতা কমে যেতে পারে। তাই প্রতিবার ব্যবহার করার জন্য অল্প পরিমাণে তৈরি করবেন।
উপকারিতা-
১। এই ফেস মাস্ক ডিপ ময়েশ্চারাইজিং ট্রিটমেন্টের কাজ করে।
২। ত্বকে তৎক্ষণাৎ সফট আর সাপল অনুভূত হয়।
৩। ত্বকের শুষ্কতা দূরীভূত হয়।
৪। ড্যামেজড ত্বককে রিপেয়ার করতে সক্ষম।
তাই আপনার মূল্যবান সময় থেকে কিছুটা সময় বের করে অনায়াসেই যত্ন নিয়ে নিন আপনার এই অতি মূল্যবান ত্বকের। আর এই ঈদে হয়ে উঠুন আকর্ষনীয় ত্বকের অধিকারিণী।
ছবি – শিচয়েস.কম
লিখেছেন- নীল