আজকাল খুব বেশি পরিচিত একটি না অ্যাপেল সিডার ভিনেগার। সাধারনত এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে, চুল পরা রোধ করা এবং গোড়া মজবুত ও চুল সিল্কি করতে সাহায্য করে। তাছাড়াও এটি স্কিন এর সৌন্দরয্য বাড়াতে সাহায্য করে। তাই এই পানীয়টি আজকাল খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু এই পানীয়টির রয়েছে আরো কিছু গুনাগুন। আসুন জেনে নিই অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এর কিছু অজানা উপকারিতা।
১। যাদের নাক প্রায় বন্ধ থাকে বা সর্দির সমস্যাতে নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয় তাদের জন্য অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খুব উপকারী। এতে রয়েছে এসেটিক এসিড যা অনুজীব প্রতিরোধ করে। প্রতিদিন ১ গ্লাস পানিতে ১ টেবল চামচ ভিনেগার মিশিয়ে পান করুন। এটি সাইনাসের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।
২। প্রতিদিন সকাল বেলা অ্যাপেল সিডার ভিনেগার পানির সাথে মিশিয়ে গার্গেল করুন। এটি দাঁত এ জমে থাকা দাগ ও হলদে ভাব দূর করে সাথে মুখে জমে থাকা অনুজীব দূর করে থাকে। তারপর সাধারন নিয়মে দাঁত ব্রাশ করে ফেলুন।
৩। মাথার খুশকি হতে রেহায় পেতে এই অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খুব ভালো কাজ করে। এতে থাকা এসিড খুশকি জন্মানোতে বাধা দান করে। ১/৪ টেবিল চামচ ভিনেগার, ১/৪ কাপ পানিতে মিশিয়ে ১টি বোতলে ভরে মাথার স্কাল্পে স্প্রে করে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে ২ বার এভাবে ব্যবহার করা যায়।
৪। অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এর আন্টিব্যাক্টেরিয়াল প্রভাব প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে কাজ করে। যা মুখে ব্রণের বৃদ্ধি কমিয়ে আনে এবং ব্রণ দূরীকরণে সাহায্য করে। এর এসিড মুখের পি এইচ এর মাত্রা ঠিক রাখে এবং অন্যান্য দাগ দূর করতে সহায়তা করে।
৫। ব্যাক্টেরিয়া সংক্রামণ এর কারণে যদি ডায়রিয়া হয়ে থাকে তবে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এর ১ চামচ সেই ডায়রিয়া নিরাময়ে সহায়তা করতে পারে। কারণ এর মধ্যে তার জীবাণুধ্বংসী বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান।
৬। ১ চা চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার আপনার হাঁচি রোধ করতে পারে। ভিনেগার এর টক স্বাদ হাচির উদ্রেক প্রতিহত করে।
৭। যখনি কোন ব্যায়াম বা জিম করার পর পেশিগুলোতে শক্তির প্রয়োজন পরে বা অতিরিক্ত পরিশ্রম এর পর যখন শক্তি চাহিদা বেড়ে যায় তখন অ্যাপেল সিডার ভিনেগার শক্তির সঞ্চয় করে, এতে রয়েছে পটাসিয়াম ও বিভিন্ন রকম এনজাইম যা দুর্বলতা থেকে পরিত্রান দেয়।
৮। অনেকেরই পায়ের নিচের দিকে ব্যথা হয় যাকে লেগ ক্রাম্পস বলে, এটি মুলত পটাসিয়ামের ঘাটতির কারণে হয়ে থাকে । সেক্ষেত্রে ভিনেগারটি উচ্চ পটাসিয়াম বলে তা উপকারি। তাই ২ চা চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার, ১ চা চামচ মধু গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এছাড়াও এর আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে। কোলেস্টেরল কমাতে এবং ডায়েবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার পরিমান ঠিক রাখতেও অ্যাপেল সিডার ভিনেগার সাহায্য করে থাকে। তবে যাদের মারাত্তক এসিডিটির সমস্যা আছে তাদের অ্যাপেল সিডার ভিনেগার না গ্রহন করাই ভালো।
কোথায় পাওয়া যাবে এই বহুগুণের অধিকারি অ্যাপেল সিডার ভিনেগার? যে কোন সুপার শপ যেমন মিনা বাজার, প্রিন্স বাজার, এগোরাতে পেয়ে যাবেন এই অ্যাপেল সিডার ভিনেগার।
ছবি – দ্যালাইফস্কয়ার.কম
লিখেছেন – ফারিয়া ইসলাম (ডায়েট কনসালটেন্ট, স্মাইলএজ বাংলাদেশ)