ঘর সাজানোর জন্য আমরা অনেক টাকা খরচ করি, অনেক দামি জিনিস কিনে থাকি। কিন্তু একটু চিন্তা করলেই খুব কম খরচে,কম সময়ে আর ঘরের পুরনো অপ্রয়োজনীয় জিনিস দিয়েই আমরা সুন্দর কিছু শোপিস বানিয়ে ফেলতে পারি। যা ঘরে সাজিয়ে রাখা যায়। শুধু দরকার একটু ধৈর্য আর সময়।
চলুন শিখে নেই পুরনো মাটির হাড়ি দিয়ে কীভাবে বানাবেন শোপিস:
- অনেক সময় দেখবেন বাজারে, মাটির জিনিসের দোকানে ছোট ছোট মাটির হাড়ি বা কাপ পাওয়া যায়। অনেক জায়গায় আবার এগুলো ওয়ান-টাইম-ইউজ হিসেবে ব্যবহার করে। এগুলো ফেলে না দিয়ে রেখে দিন।
- ৩-৪ টা মাটির হাড়ি নিন।
- আপনার পছন্দ মতো কয়েকটি রঙ নিন।
- হাড়িগুলোতে রঙ দিয়ে খুব সাধারণ কিছু ডিজাইন করে ফেলুন। আর যদি রঙ না থাকে তাহলে পুরনো নেইলপলিশ ব্যবহার করতে পারেন।(আমি এখানে নেইলপলিশ ব্যবহার করেছি।)
নিচে ছবি দেয়া আছে–
- এরপর রঙিন কাগজ গোল বা হার্ট সেপ করে কেটে নিন।
- কাগজগুলোতে নিজের পছন্দমতো স্মাইলি-ফেস একে নিন।
- হাড়ির রঙ শুকিয়ে গেলে তাতে কাগজগুলো সমান ভাবে আঠা দিয়ে আটকে দিন।
- হাড়ির অন্য পাশগুলোতে রঙিন কাগজ আপনার মন মতো কেটে আঠা দিয়ে আটকে দিন।
- একটা শক্ত কাগজ নিন।
(আমি এখানে জুতার বক্সের শক্ত কাগজ ব্যবহার করেছি)
- শক্ত কাগজটি সমান ভাবে,আপনি যেভাবে চান কেটে নিন।
- কাগজটি পুরোটা একটি রঙিন কাগজ দিয়ে আঠার সাহায্যে মুড়িয়ে দিন।
- হাড়িগুলো একটা একটা করে,সমান ভাবে ঐ কাগজে বসিয়ে আটকে দিন।
এই কাজটি খুব সাবধানে করতে হবে। না হলে এক পাশ অন্য পাশের সমান হবেনা।
- বাতাসে কিছুক্ষণ শুখাতে দিন।
শুখিয়ে গেলে আপনার পছন্দ মতো জায়গায় যেমন-টেবিল,ওয়ারড্রব অথবা শোকেসে সাজিয়ে রাখুন! দেখুন কতো সহজে তৈরি হলো সুন্দর একটি শোপিস। এভাবে আপনিও সহজে আর কম খরচে বানাতে পারেন এই শোপিস। যা আপনার ঘরের সৈন্দর্যও কিছুটা বারিয়ে দেবে ,আর করে তুলবে আরো আকর্ষণীয়।
কিছু ডিজাইন দেখে নিন
সতর্কতা
- ভালো আঠা ব্যবহার করতে হবে। বাজারে অনেক ধরনের আঠা পাওয়া যায়। যেটা ভালো সেটা একবার দেখে,ব্যবহার করে আনবেন।
- অনেক আঠা হাতে লাগলে পুড়ে যায়। এজন্য বেশিক্ষণ ধরে রেখে ব্যবহার করবেন না। হাতের কাছে একটা কাপড় রাখবেন যেন আঠা লাগানর পর পরই হাত মুছতে পারেন।
- হাড়িতে রঙ লাগানোর সময় হাড়ির ভিতরে হাত রেখে করবেন। এতে অন্য কোথাও রঙ লাগবেনা।
- কাগজে মুখগুলো আঁকার সময় গারো করে আকবেন। এতে মুখগুলো ফুটে উঠবে।
- মুখগুলো বড় বড় করে আঁকবেন।
- রঙ,নেইলপলিস ব্যবহার ছাড়াও আপনি মার্কার-পেন ব্যবহার করতে পারেন।
লিখেছেন – সোহানা মোরশেদ