Quantcast
Channel: Shajgoj
Viewing all articles
Browse latest Browse all 3010

চোখের যত্নে আই ক্রিম কেন ও কীভাবে ইউজ করবেন?

$
0
0

সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন চোখের নিচের ডার্ক সার্কেলটা বেশ ভিজিবল লাগছে। আবার রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগেও সেইম অবস্থা! কেন সব সময় এই ডার্ক সার্কেল বোঝা যায়? প্রতিদিনের স্ট্রেসফুল লাইফ, রাত জেগে কাজ বা পড়াশোনা করা, অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম সবকিছু মিলিয়ে আমাদের চোখ বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়ে। আর সেই ক্লান্তির ছাপ রয়ে যায় চোখেই। একজোড়া সতেজ চোখ কিন্তু বলে দেয় আপনার দৈনন্দিন জীবন কতটা হেলদি। কারণ চোখই তো মনের কথা বলে। তাই চোখের যত্ন নেয়া খুব জরুরি। এছাড়াও প্রিম্যাচিউর এজিং রোধ করতে হলে চোখের চারপাশের যত্ন নিতে হবে নিয়মিত। কেননা বয়সের প্রথম ছাপটা প্রথম বোঝা যায় আই এরিয়া দেখেই। আর এই বয়সের ছাপ অথবা ক্লান্তি দূর করতে হেল্প করে আই ক্রিম। আজকের ফিচারে আমরা জানবো চোখের যত্নে আই ক্রিম ইউজ করা কেন জরুরি, এতে কী কী ইনগ্রেডিয়েন্ট থাকা উচিত এবং কীভাবে ইউজ করবেন সে সম্পর্কে।

আই ক্রিম কী?

অনেকেই ভাবতে পারেন, ‘স্কিন টাইপ অনুযায়ী ফেইসে ময়েশ্চারাইজার তো লাগাচ্ছি, তাহলে আলাদা করে কেন আই ক্রিম ইউজ করতে হবে?’ বয়স বাড়ার সাথে সাথে চোখের আশেপাশের এরিয়াতেই এর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে। আর যত্নের অভাবে দেখা দেয় রিংকেল, ফাইন লাইন, পাফিনেস, ডার্ক সার্কেল। ফেইসে যে ময়েশ্চারাইজার বা ক্রিম ইউজ করা হয় সেটি আই এরিয়ার প্রবলেম আইডেন্টিফাই করে বানানো হয় না। আই ক্রিম এক ধরনের ময়েশ্চারাইজার, যা বানানো হয় স্পেসিফিক আই এরিয়ার জন্যই। চোখের চারপাশের এরিয়াকে বলা হয় পেরিঅরবিটাল এরিয়া। এই এরিয়াটুকু ফেইসের অন্যান্য অংশের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি সেনসিটিভ হয়ে থাকে। তাই এর দরকার বিশেষ যত্ন। আর এই যত্ন নিতে কার্যকর আই ক্রিম। এটি ব্যবহারে চোখের চারপাশ নারিশড থাকে। ফুটে ওঠে চোখের সৌন্দর্য।

চোখের যত্নে আই ক্রিম

চোখের যত্নে আই ক্রিম ব্যবহার করবেন যে কারণে 

১) চোখের চারপাশের ত্বকের লেয়ার পাতলা হওয়ার কারণে এই এরিয়া বেশ সেনসিটিভ হয়। তাই সাধারণ ময়েশ্চারাইজার দিয়ে চোখের এরিয়ার পুরোপুরি যত্ন নেয়া হয় না। অন্যদিকে আই ক্রিমের উপাদানগুলো অন্যান্য ময়েশ্চারাইজারের তুলনায় একটু বেশি কোমল হয়ে থাকে, যা চোখের চারপাশের নরম ত্বককে কোনোরকম ক্ষতি করা ছাড়াই প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা দেয়।

২) ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের চোখের ওপর চাপ পড়তেই থাকে। আমরা যখন কথা বলি, হাসি, ফেইসে কোনো ধরনের এক্সপ্রেশন দেই, তখনও কিন্তু আমাদের চোখের আশেপাশের এরিয়ার মাসলগুলো মুভ হয়। রেগুলার এই মুভমেন্ট বা স্ট্রেসের কারণে চোখের এই এরিয়াতে ড্রাইনেস দেখা দেয় এবং ইলাস্টিসিটির অভাব হতে পারে। রিংকেলস পড়ার জন্য এটি অন্যতম একটি কারণ। আর এই প্রবলেম কমাতে হেল্প করে আই ক্রিম।

 

৩) সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির কারণে আমাদের ত্বক ধীরে ধীরে উজ্জ্বলতা হারায়। একই ঘটনা ঘটে চোখের আশেপাশের এরিয়ার ক্ষেত্রেও। চোখের নিচে রিংকেল, ফাইন লাইন ক্রিয়েট হয় এই সান ড্যামেজ থেকেই। এছাড়া ধীরে ধীরে কমে যায় কোলাজেন প্রোডাকশন। কোলাজেন স্কিনের ইলাস্টিসিটি ধরে রাখতে হেল্প করে। আই ক্রিমে থাকা নির্দিষ্ট কিছু উপাদান এই কোলাজেন বুস্ট আপ করতে হেল্প করে।

আই ক্রিমে যে উপাদানগুলো থাকা জরুরি

চোখের যত্নে আই ক্রিম জরুরি এটা তো বলছি, কিন্তু কোন উপাদানগুলোর কারণে এটি হেল্পফুল? চলুন জেনে নেই-

১) সিরামাইডঃ স্কিনকে ময়েশ্চারাইজড রাখে।

২) নিয়াসিনামাইডঃ এই উপাদানটি কাজ করে স্কিনের ব্রাইটনেস বাড়াতে। সেই সাথে দেয় হাইড্রেটিং ইফেক্ট। স্কিনের এক্সেস সিবামও রিডিউস করে নিয়াসিনামাইড।

৩) হায়ালুরোনিক অ্যাসিডঃ স্কিনকে ময়েশ্চারাইজড রাখে, সেই সাথে স্কিনের ইলাস্টিসিটি বাড়ায়।

৪) আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিডঃ স্কিনের হাইপারপিগমেন্টেশন কমিয়ে আনে এবং স্কিন ইভেন টোন করতে হেল্প করে আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড। AHA এর পপুলার কয়েকটি ভ্যারিয়েন্ট হচ্ছে ল্যাকটিক অ্যাসিড, গ্লাইকোলিক অ্যাসিড, ম্যালিক ও ম্যানডেলিক অ্যাসিড।

৫) ভিটামিন সি, ই ও কেঃ ভিটামিন সি স্কিনকে সান ড্যামেজের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখে এবং এতে আছে ব্রাইটেনিং প্রোপার্টিজ। স্কিন ময়েশ্চারাইজড রাখে এবং সুদিং ফিল দেয় ভিটামিন ই। ব্লাড সার্কুলেশন ইমপ্রুভ করে এবং ডার্ক সার্কেল কমাতে হেল্প করে ভিটামিন কে।

আই ক্রিম

৬) ক্যাফেইনঃ আন্ডার আই সার্কেল ও পাফিনেস কমায় ক্যাফেইন।

৭) রেটিনলঃ রিংকেলস রিডিউস করতে হেল্প করে রেটিনল। তবে আই ক্রিমে রেটিনল থাকলে সেটি শুধু রাতে ইউজ করতে হবে।

৮) এসপিএফঃ আই ক্রিমে যদি এসপিএফ লেখা থাকে তাহলে বুঝতে হবে এটি সূর্যরশ্মি থেকে সুরক্ষা দিবে এবং চোখের চারপাশে রিংকেলস পড়া রোধ করবে।

৯) হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ও শিয়া বাটারঃ এই উপাদান দুটি চোখের চারপাশের ত্বককে হাইড্রেট করে এবং প্রয়োজনীয় ময়েশ্চার জোগায়।

১০) পেপটাইডঃ কোলাজেন প্রোডাকশন বুস্ট করে স্কিন আরও প্লাম্পি ও ইয়ুথফুল করে তুলতে হেল্প করে পেপটাইড।

কখন থেকে আই ক্রিম ব্যবহার করা উচিত?

চোখের যত্নে আই ক্রিম কখন থেকে ব্যবহার করা উচিত- এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর হচ্ছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। ২০ বছর বয়সের পর থেকেই উচিত আই ক্রিম ব্যবহার করা। কারণ প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিওর। তাই ভালো মানের একটি আই ক্রিমে টাকা ইনভেস্ট করা মানে ক্ষতি নয়, বরং ত্বকের যত্নে এক ধাপ এগিয়ে থাকা।

কোন বয়স থেকে চোখের যত্ন নেওয়া উচিত

কোন সময়ে ইউজ করবেন?

আই ক্রিম দুই বেলাই ইউজ করা যায়। তবে এক্ষেত্রে উপাদানের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

সকালেঃ সকালে বাইরে বের হওয়ার আগে যদি আই ক্রিম ইউজ করতে চান, তবে খেয়াল রাখতে হবে সেটি যেন লাইট ওয়েট ফর্মুলার হয়। এতে মেকআপ ইউজ করলেও কমফোর্ট ফিল হবে। সকালের আই ক্রিমে কিন্তু এসপিএফ অবশ্যই থাকতে হবে!

রাতেঃ রাতে আই ক্রিম অ্যাপ্লাই করলে ওভারনাইট সেটি স্কিনে ভালোভাবে অ্যাবজর্ব হয়। এমন আই ক্রিম চুজ করতে হবে যেটিতে হাইড্রেটিং ইনগ্রেডিয়েন্টস থাকে। রাতে ইউজ করলে তাতে এসপিএফ থাকা যাবে না।

সকালে ও রাতেঃ বেটার বেনিফিটসের জন্য দুই বেলা আই ক্রিম ইউজ করতে পারেন। তবে অবশ্যই ডিফারেন্ট ফর্মুলার।

চোখের যত্নে আই ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম

আই ক্রিম তো কিনলেন, কিন্তু সঠিকভাবে অ্যাপ্লাই না করার কারণে ফলাফল ভালো নাও হতে পারে। তাই জানতে হবে আই ক্রিম অ্যাপ্লাইয়ের সঠিক নিয়ম-

১) ক্লেনজার দিয়ে ফেইস ক্লিন করে টোনার অ্যাপ্লাই করে নিন।

২) স্কিন টাইপ অনুযায়ী সিরাম অ্যাপ্লাই করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন।

আই ক্রিম ম্যাসাজ করা

৩) আঙুলে অল্প পরিমাণ আই ক্রিম লাগিয়ে নিন। ক্রিম লাগানোর সময় কোনোভাবেই বেশি চাপ দেয়া যাবে না। ম্যাসাজ করার জন্য রিং ফিঙ্গার ইউজ করুন। চোখের ঠিক নিচে ছোট ছোট ফোঁটায় আই ক্রিম লাগিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন। চোখের ইনার কর্ণার এরিয়াটুকুও যেন ভালোভাবে কভার হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

৪) এবার ময়েশ্চারাইজার অ্যাপ্লাই করে নিন।

৫) মেকআপের সময় চোখ সাজানোর আগে প্রথমেই আই ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। খুব হালকা হাতে লাগিয়ে নিয়ে অপেক্ষা করতে হবে দেড় থেকে দুই মিনিট। এতে আই মেকআপ লাগালে সেটা বসবেও ভালো, সেই সাথে যত্নটাও চলবে।

 

এই তো জেনে নিলেন চোখের যত্নে আই ক্রিম কেন ইউজ করা উচিত সে সম্পর্কে। সাজগোজে পেয়ে যাবেন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আই ক্রিম। এছাড়া স্কিন ও হেয়ার কেয়ার, মেকআপ রিলেটেড যে কোনো প্রোডাক্ট কেনার জন্য সাজগোজের চারটি আউটলেট- যমুনা ফিউচার পার্ক, সীমান্ত সম্ভার, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার এবং উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে) থেকে এবং অনলাইনে শপ.সাজগোজ.কম থেকে কিনতে পারেন আপনার প্রয়োজনীয় প্রোডাক্টগুলো।

ছবিঃ সাজগোজ

The post চোখের যত্নে আই ক্রিম কেন ও কীভাবে ইউজ করবেন? appeared first on Shajgoj.


Viewing all articles
Browse latest Browse all 3010

Trending Articles