নাকের ডগায় কালো কালো দানাদার ব্ল্যাকহেডস খুবই বিরক্তিকর, তাই না? এটা খুবই কমন স্কিন প্রবলেম। টিনেজে তো বটেই, বয়স বাড়ার সাথে সাথে ব্ল্যাকহেডস আর হোয়াইটহেডস-এর সমস্যা বেড়ে যায়। শুধু মেয়েদেরই না, ছেলেদের ক্ষেত্রেও অনেকের দেখা যায় নাকে ছোট গোটা গোটা ব্ল্যাকহেডস। যতই ফিটফাট ড্রেসআপ করেন না কেন, নাকে ভিজিবল ব্ল্যাকহেডস থাকলে কিন্তু দেখতে সেটা ভালো দেখায় না আর আপনার কনফিডেন্স লেভেলটা কোথাও একটু কমে যায়! ঠিক বলেছি না? এই নাছোড়বান্দা ব্ল্যাকহেডস দূর করবো কীভাবে? মাত্র ১০ মিনিটের এই বিরক্তিকর ব্ল্যাকহেডস রিমুভ করা সম্ভব! নোস পোর স্ট্রিপ দিয়ে সহজেই হবে এর সল্যুশন। চলুন বিস্তারিত জেনে নিই এখনই।
কেন হয় এই ব্ল্যাকহেডস?
আমাদের স্কিনের পোরসগুলোতে প্রতিনিয়তই ময়লা জমতে থাকে। সাধারণত আমাদের ফেইসের টি-জোনে তেল্গ্রন্থিগুলো মুখের অন্যান্য অংশের তুলনায় বেশি সক্রিয় থাকে। যার ফলে সেবাম বা তেল প্রোডাকশন বেশি হয়, আর তেল নিঃসরণ বেশি হওয়ায় সেখানে ধুলোবালি জমে ব্ল্যাকহেডস হয়ে যায়। এটা অতি স্বাভাবিক বিষয়। স্কিন পরিষ্কার না রাখলে, বেসিক স্কিন কেয়ার রুটিন ফলো না করলে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। আর অয়েলি স্কিনে এই সমস্যাটা বেশ কমন।
আপনি চাইলে খুব সহজেই এই বিরক্তিকর ব্ল্যাকহেডস থেকে মুক্তি পেতে পারেন। ইজি সল্যুশনটা এখনই বলে দিচ্ছি!
ব্ল্যাকহেডস রিমুভালে নোস পোর স্ট্রিপ
আমাদের এই ব্যস্ত জীবনে ঝটপট সমাধান চায়। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে রূপচর্চা বা টোটকা সবসময় ফলো করা সম্ভব হয়ে ওঠে না, তাই না? রেডিমেড সল্যুশন হচ্ছে নোস পোর স্ট্রিপ। ইউজ করা খুবই সহজ, ডিপলি নাকের শালগুলো উঠে আসে আর সময়ও কম লাগে। অনেকে পার্লারে যেয়ে ব্ল্যাকহেডস উঠায়, যেখানে খুঁটে খুঁটে তোলা হয় স্টিক দিয়ে, এটা খুবই পেইনফুল। এত ঝামেলার কী দরকার বলুন তো? নোস পোর স্ট্রিপ দিয়ে সহজেই আপনি বাসায় বসেই ব্ল্যাকহেডস রিমুভ করতে পারবেন। আমার খুব ফেবারিট একটি নোস পোর স্ট্রিপ-এর রিভিউ শেয়ার করবো আজকে।
Groome Charcoal Purifying & Deep Cleansing Nose Strip
অলরেডি এটা অনেকেই ব্যবহার করেছেন, তারা তো জানেনই এটা কতটা কার্যকরী। যারা এখনও এটা ট্রাই করেননি, ব্ল্যাকহেডস রিমুভ করা নিয়ে চিন্তিত, কীভাবে ইউজ করতে হয় বুঝতে পারছেন না, তাদের জন্যই আজকে লেখা। এক কথায় বেস্ট প্রোডাক্ট, বিজি লাইফের ইজি সল্যুশন আর কী! কেন আমার এটা ইউজ করে ভালো লেগেছে সেটা এখন বলবো।
- এতে আছে চারকোলের পাওয়ার, যা ডিপ ক্লিনিংয়ে খুব ভালো কাজ করে।
- পোরস পরিষ্কার রাখে আর ইনস্ট্যান্টলি নাকের ডগার সব ছোট বড় ব্ল্যাকহেডস আর হোয়াইটহেডস রিমুভ হয়।
- সহজেই ব্যবহার করা যায়, সময় কম লাগে আর দামটাও হাতের নাগালে।
কীভাবে ব্যবহার করতে হবে?
আমি সাধারণত সপ্তাহে ১ দিন করে নোস পোর স্ট্রিপ ইউজ করি। ব্যবহার প্রণালী খুবই সহজ। মেকআপ করার আগে, বাসায় বসে ফেসিয়ালের সময় বা সপ্তাহে ১ দিন আপনার প্রয়োজন অনুসারে এটি ইউজ করতে পারবেন। কোথাও গেলে এটা ব্যাগেও ক্যারি করতে পারবেন, সিঙ্গেল প্যাকেটে গ্রুমি নোস স্ট্রিপ পাওয়া যায়। আবার ৬ পিসের মান্থলি প্যাকেজিংও আছে।
১) প্রথমেই মুখ ভালোকরে ক্লিন করে নিতে হবে যাতে কোনো ক্রিম বা মেকআপ না লেগে থাকে। নাকের এরিয়া ভালোভাবে ভিজিয়ে নিতে হবে। তুলা বা সুতি কাপড় দিয়ে নাক ভিজিয়ে নিলে ভালো হবে।
২) এবার গ্রুমি নোস স্ট্রিপ-এর প্লাস্টিক লাইনার থেকে স্টিপটি সাবধানে উঠিয়ে নিন। এক কোণা থেকে আস্তে টান দিলেই এটা উঠে আসবে।
৩) খোলার পর কালো সাইডটা নাক বরাবর বসিয়ে দিন চেপে চেপে। সাদা রঙের সাইডটা উপরে থাকবে। যেহেতু নাকের শেইপ অনুযায়ী প্রোডাক্টটি ডিজাইন করা আছে, তাই নাকে কীভাবে বসাতে হবে সেটা দেখলেই বুঝে যাবেন।
৪) ১০ মিনিট অপেক্ষা করে তুলে ফেলুন আস্তে আস্তে। ব্যস, বাই বাই ব্ল্যাকহেডস! তোলার পর দেখতেই পারবেন নিজে যে কালো সাইডটা ব্ল্যাকহেডস আর হোয়াইটহেডস দিয়ে ভরে আছে। একদম ম্যাগনেটের মত সব ইম্পিউরিটিস টেনে তুলে ফেললো, ছবিতেই দেখতে পারছেন।
৫) এবার ভালোভাবে মুখ, নাক ধুয়ে ফেলে আপনার পছন্দের ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। আয়নায় দেখুন বেশ ফ্রেশ লাগছে আর সব ব্ল্যাকহেডস গায়েব! সুন্দর ঝকঝকে ত্বক পেতে অন্যতম বড় বাঁধা হল ব্ল্যাকহেডস। কেন এই প্রবলেমটা নিয়ে ঘুরে বেড়াবেন? যখন ঝটপট সল্যুশন আপনার সামনেই আছে।
আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য হেল্পফুল ছিল। আমি নোজ স্ট্রিপ কিনেছি শপ.সাজগোজ.কম থেকে। সাজগোজের দুটি ফিজিক্যাল শপ আছে, যার একটি যমুনা ফিউচার পার্ক ও অপরটি সীমান্ত সম্ভারে অবস্থিত। আপনি চাইলে সেখান থেকেও কিনতে পারেন। কিংবা ঘরে বসে অনলাইনেও অর্ডার করে নিতে পারেন। আজকে তাহলে এ পর্যন্তই।
ছবি- সাজগোজ
The post ব্ল্যাকহেডস রিমুভ করুন মাত্র ১০ মিনিটেই! appeared first on Shajgoj.