Quantcast
Channel: Shajgoj
Viewing all articles
Browse latest Browse all 3010

কালার চুলের রাফনেস দূর করুন খুব সহজে!

$
0
0

হালের ফ্যাশনে বা নিজের লুকে একটু পরিবর্তন আনতে অনেকেই এখন চুলে কালার করে থাকে। অমব্রে, হাইলাইটার, ফ্যাশন কালার আরও অনেক কিছুই তো এখন ট্রেন্ডে চলছে, তাই না? অনেকে আবার পাকা চুল ঢাকতেও প্রতি মাসে কালার করে থাকেন। নিজের মধ্যে হঠাৎ এই পরিবর্তন দেখতে কিন্তু ভালোই লাগে। এত কষ্ট করে কালার করে যখন দেখবেন যে চুল বেশ রাফ হয়ে গেছে, আগা ফেটে যাচ্ছে, চুল পড়া বেড়ে গেছে, তখনই খারাপ লাগে! নাজেহাল অবস্থা থেকে কালার চুলকে রক্ষা করার জন্য যত্ন নিতে হবে, খেয়াল রাখতে হবে কিছু বিষয়ের উপর। আজকে আমি কালার চুলের রাফনেস দূর করতে কিছু টিপস শেয়ার করছি। আশা করছি, ব্লিচ ও কালার করা হেয়ারের রাফনেস নিয়ে যারা চিন্তিত আছেন, তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি হেল্পফুল হবে।

কালার করার আগে কিছু কথা জেনে নেয়া ভালো

১। চুলে কালার করার ১-২ মাস আগে থেকেই ক্যামিকেল ট্রিটমেন্ট নেয়া বন্ধ করে দেয়া উচিৎ। এই সময় কোনভাবেই মেহেদি অ্যাপ্লাই করা যাবে না। এতে আপনার পছন্দের কালার কিন্তু চুলে ঠিকমত নাও বসতে পারে।

২। চুল স্বাস্থ্যজ্জ্বল রাখতে কালার করার আগে থেকেই ডিপ কন্ডেশনিং করা শুরু করুন।

৩। কালার করার আগের দিন অবশ্যই চুল পরিষ্কার করে নিতে হবে।

৪। চুলে রঙে চেঞ্জ আনতে অবশ্যই ভালো ব্র্যান্ডের কালার চুজ করতে হবে।

৫। অনেকেই এখন বাসায় বসে চুল কালার করে থাকে। খেয়াল রাখবেন, স্ক্যাল্পে যাতে কালার না লাগে, এতে চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে। এছাড়া স্ক্যাল্পে কালার লাগলে অনেকেরই চুল পেকে যায়।

৬। যদি ব্লিচ ব্যবহার করে চুল কালার করেন, তাহলে কোন এক্সপার্টের সাহায্য নিয়েই চুল কালার করা উচিৎ। কারণ ঠিকমত ব্লিচ করতে না পারলে চুলের রাফনেস বাড়ার সাথে সাথে ড্যামেজ বেড়ে যায়।

রাফনেস দূর করতে যেই বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখতে হবে

অয়েলিং

“অয়েলিং” হ্যাঁ ঠিক পড়েছেন! কালার চুলেও সপ্তাহে অন্তত ২ দিন তেল দিতে হবে। এতে চুলের রাফনেস কিন্তু অনেকটাই কমে আসবে। নারিকেল তেলের সাথে যদি কয়েক ড্রপ ক্যাস্টর অয়েল বা অ্যাভোক্যাডো অয়েল ইউজ করা হয়, তাহলে চুল নারিশড থাকবে এবং চুল পড়াও কমবে। সপ্তাহে ২ দিনের বেশি অয়েল লাগানোর প্রয়োজন হয় না!

শ্যাম্পু

কালার চুলের যত্নে শ্যাম্পুর দিকেও নজর দিতে হবে। শ্যাম্পু ব্যবহারে কিন্তু চুলের রাফনেস আরও বেড়ে যায়, সাথে কালার ওয়াশআউটও বেশি হয়। কালার ট্রিটেড, সালফেট-ফ্রি লেখা দেখেই শ্যাম্পু সিলেক্ট করুন। কারন সালফেট-ফ্রি শ্যাম্পু স্ক্যাল্পের উপর হার্শ হয় না। চুলকে জেন্টলি পরিষ্কার করার সাথে সাথে এটা ড্যামেজ থেকেও রক্ষা করে। কালার ট্রিটেড শ্যাম্পু ওয়াশআউট করে না, চুলকে সফট রাখে। তাছাড়া কালার ট্রিটেড শ্যাম্পুগুলোতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, প্রোটিন এবং অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে। ফলে হেয়ার কিউটিকলগুলো শক্তিশালী হয়, চুলের রাফনেস কমে, চুল পড়া বন্ধ হয় এবং কালার লং লাস্টিং হয়। এছাড়া এটি চুলের পি এইচ ব্যালেন্স ঠিক করে চুলের শাইন ধরে রাখতে সাহায্য করে। কালার ট্রিটেড শ্যাম্পু বা সালফেট-ফ্রি শ্যাম্পু ব্যবহার করা হলে ওয়াশআউট অনেক কম হবে আর চুলের ড্যামেজ কমে আসবে।

কন্ডিশনার

শ্যাম্পুর পর আরেকটি এসেনশিয়াল পার্ট হচ্ছে কন্ডিশনার লাগানো। কন্ডিশনার চুলকে সফট, স্মুথ করে থাকে, সেটা আমরা সবাই জানি। কালার চুলে ঠিকমতো কন্ডিশনার অ্যাপ্লাই করলে সেটা রাফনেস কমিয়ে আনে। এছাড়া সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মির কারনে চুলের কালার ফেইড হতে থাকে। কালার ট্রিটেড কন্ডিশনার সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে চুলকে রক্ষা করে। এতে আপনার চুল থাকবে ঝলমলে ও সুন্দর।

কালার চুলের রাফনেস দূর করতে হেয়ার মাস্ক 

হেয়ার মাস্কের বাড়তি পুষ্টি চুলের রাফনেস কমিয়ে আনতে অনেক সাহায্য করে। যাদের চুল কালার ট্রিটেড, তাদের নিয়মিত শ্যাম্পু কন্ডিশনার ছাড়াও প্রতি সপ্তাহে হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করা দরকার। হেয়ার মাস্ক কালার লক করতে সাহায্য করে, হেয়ার সফট রাখে। হেয়ার মাস্কের ব্যবহার বিধি নিয়ে অনেকের কনফিউশন আছে! তাই ব্যবহারবিধি দেখে নিন এক নজরে-

(ক) প্রথমে হালকা করে চুল ভিজিয়ে নিতে হবে।

(খ) পুরো চুলে হেয়ার মাস্ক অ্যাপ্লাই করে নিতে হবে। খেয়াল রাখুন স্ক্যাল্পে যাতে এটা না লেগে যায়, এতে গোঁড়া নরম হয়ে যাবে, চুল পড়ার সম্ভাবনা থাকবে।

(গ) একটি তোয়ালে হালকা গরম পানিতে ডুবিয়ে পানি চিপড়িয়ে নিতে হবে এবং পুরো চুল কভার করে নিতে হবে। স্টিমিং করবেন যাতে চুলে গরম ভাপটা যায়। এতে মাস্কের গুণাগুণ চুলে ভালোভাবে যেতে পারে, ডিপ নারিশমেন্ট যেটাকে বলে আর কী! এর ফলে ভিতর থেকে চুলের রাফনেস রিপেয়ার হয়।

(ঘ) ১৫-২০ মিনিট চুলে মাস্ক রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চুলের পরিবর্তন নিজেই বুঝতে পারবেন।

হেয়ার প্যাক

অনেকেই ঘরোয়া হেয়ার প্যাক ব্যবহার করতে পছন্দ করে। কালার চুলে মেহেদি ছাড়া অন্য হেয়ার প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। মেহেদির প্রাকৃতিক রঙের জন্য হেয়ার কালার পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বাজারে বিভিন্ন হেয়ার প্যাক কিনতে পাওয়া যায়। পছন্দমতো প্যাকের সাথে টক দই, ডিম, কলা, এসেনশিয়াল অয়েল বা অন্য কোন অয়েল মিক্স করে সপ্তাহে একদিন হেয়ার প্যাক ব্যবহারে চুলের রাফনেস দূর হবে, চুল পড়া কমবে এবং চুলের আগা ফাটাও কমে আসবে।

হেয়ার সিরাম

অনেক সময় আমাদের হেয়ার মাস্ক অ্যাপ্লাই করার সময় হয় না। আর চুল ধুয়ে ফেলার পরে ময়েশ্চার চুলে ধরে রাখার জন্য দরকার হেয়ার সিরাম। আধভেজা চুলে কয়েক ফোঁটা হেয়ার সিরাম মেখে নিন, চুল নিয়ে আর কোনও চিন্তাই থাকবে না!

হিট প্রটেক্টর

হিট প্রটেক্টর কালার চুলের যত্নে দরকারী একটি স্টেপ। বিভিন্ন কারনেই চুলে হিট প্রয়োগ করা হয়, যার ফলে চুলের কালার ফেইড হতে থাকে, সাথে ড্যামেজও হয়। হেয়ার প্রটেকটোর চুলের উপর একটি লেয়ার ক্রিয়েট করে থাকে, যার ফলে চুলের কালার লক রাখে। এছাড়া প্রটেক্টর চুলে ন্যাচারাল ময়েশ্চার লেভেল ধরে রাখে, চুলকে সফট ও স্মুথ করে। চুলে যদি কালার নাও থাকে, ড্যামেজ থেকে চুলকে রক্ষা করতে স্টাইলিংয়ের আগে হিট প্রটেক্টর ব্যবহার করা উচিৎ।

বোনাস টিপস 

মনে রাখুন, চুল কালার করার পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা চুল পানি দিয়ে ধোয়া যাবে না। তখন চুলের কিউটিকল খুলে থাকে, এই সময় শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার যাই ব্যবহার করেন না কেন, তা সরাসরি চুলের ভিতরে প্রবেশ করে। ফলে কালার চুলে বসার আগেই ওয়াশআউট হতে থাকে! তাই ৪৮ ঘণ্টার পর চুলে শ্যাম্পু, কন্ডিশনার অ্যাপ্লাই করা ভালো। কালার চুল কখনই গরম পানি দিয়ে ধোয়া যাবে না, এতে চুলের কালার ফেইড হয়ে যাবে তাড়াতাড়ি। এই টিপসগুলো আপনাদের কাজে আসবে আশা করি।

কোথায় পাবেন হেয়ার কালার রিলেটেড প্রোড্যাক্ট?

হেয়ার কালার রিলেটেড প্রোডাক্টগুলো পেয়ে যাবেন শপ.সাজগোজ.কম থেকে। অথেনটিক সব প্রোডাক্ট এর জন্য সাজগোজ-ই ভরসা। এছাড়া তাদের দুটি আউটলেট থেকে গিয়েও কিনে নিতে পারেন। আউটলেট দুটির একটি, যমুনা ফিউচার পার্ক ও অপরটি সীমান্ত সম্ভারে অবস্থিত।

এত কথা শুনে হয়তো মনে হচ্ছে, কোন দরকারই নেই চুলে কালার করার!! কিন্তু একটু খেয়াল করলেই দেখবেন, নরমাল চুলের ক্ষেত্রেও শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ব্যবহার করা হচ্ছে। কালার চুলের যত্নে শুধু প্রোডাক্টে পরিবর্তন আসছে। প্রোডাক্টে পরিবর্তন এনেই কিন্তু কালার চুলের রাফনেস কমিয়ে আনতে পারেন। জাস্ট একটু সতর্ক থাকবেন প্রোডাক্ট সিলেকশনের সময়! আশা করি, আজকের টপিকটি আপনাদের জন্য হেল্পফুল ছিল। এভাবে একটু যত্ন নিয়ে দেখুন, যাদের চুল কালার করা, তাদের চুলের রাফনেস কমে আসবে, চুল হবে সুন্দর ও স্বাস্থ্যজ্জ্বল। আর যারা কালার করতে চাচ্ছেন, তারা নির্দ্বিধায় চুলে কালার করে ফেলুন!

ছবি- সাজগোজ

 

The post কালার চুলের রাফনেস দূর করুন খুব সহজে! appeared first on Shajgoj.


Viewing all articles
Browse latest Browse all 3010

Trending Articles