Quantcast
Channel: Shajgoj
Viewing all articles
Browse latest Browse all 3010

রেডিয়্যান্ট, গ্লোয়িং এবং ফ্রেশ স্কিন পেতে স্লিপিং মাস্ক

$
0
0

ভাবছেন, স্লিপিং মাস্কের কাজ আবার কী? স্লিপিং মাস্ক মূলত এশিয়ান স্কিন কেয়ার টেকনোলজিতে তৈরি একটি প্রোডাক্ট। এই মাস্ক সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার কিংবা প্রয়োজন অনুযায়ী এর চেয়ে বেশি ব্যবহার করতে হয়। রাতে স্কিন প্রপারলি ক্লিন করার পর পাতলা ভাবে এই মাস্ক মুখে লাগিয়ে না ধুয়ে ঘুমিয়ে পড়তে হয়। সারা রাত মাস্ক স্কিনের নানা সমস্যাকে টার্গেট করে কাজ করে। সকালে উঠে হালকা কুসুম কুসুম  গরম পানি দিয়ে মাস্ক ধুয়ে ফেললেই হয়ে গেল! আমি এখন পর্যন্ত বেশ কিছু ব্র্যান্ডের স্লিপিং মাস্ক ব্যবহার করেছি। খুবই অসাধারণ কাজ করে এ ধরনের মাস্কগুলো। যারা অলরেডি তাদের স্কিন কেয়ার রুটিনে স্লিপিং মাস্ক ব্যবহার করছেন তারা খুব ভাল করেই এর গুণাগুণ সম্পর্কে জানেন। এই প্রথম আমি ইন্ডিয়ান ব্র্যান্ডের  স্লিপিং মাস্ক ব্যবহার করেছি। তাই ভাবলাম, আপনাদের সাথেও নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে ফেলি। আজকে আমি কথা বলব, মামাআর্থ ভিটামিন সি স্লিপিং মাস্ক নিয়ে। আর রিভিউটিতে আমি চেষ্টা করবো খুবই টু দ্য পয়েন্টে জানিয়ে দিতে এই স্লিপিং মাস্ক এর যাবতীয় খুঁটিনাটি নিয়ে।

প্রথমেই আসে প্যাকেজিং

মামাআর্থ ভিটামিন সি স্লিপিং মাস্ক এর প্যাকেজিং আমার কাছে খুবই স্ট্যান্ডার্ড লেগেছে। একটি কার্ডবোর্ড বক্সে পাওয়া যাবে এটি। যেখানে ম্যানুফ্যাকচারিং ডিটেইলস পেয়ে যাবেন। সাদা এবং হালকা টিয়া রঙের একটি গোল প্লাস্টিকের জারে প্রোডাক্টটি পাওয়া যাবে।

পরিমাণে কতটুকু থাকবে?

এই স্লিপিং মাস্কের জারে ১০০ গ্রাম পরিমাণ প্রোডাক্ট পেয়ে যাবেন। যা সহজেই অনেকদিন ব্যবহার করা যায় নিশ্চিন্তে।

কখন ব্যবহার করবো?

প্যাকেজিং এ বলা আছে এটি একটি ভিটামিন সি যুক্ত স্লিপিং মাস্ক অর্থাৎ ঘুমানোর আগে এটি ফেইসে অ্যাপ্লাই করতে হবে। অনেকের মনেই প্রশ্ন আসে, এটি মেখে সারারাত কি রেখে দিতে হবে? হ্যাঁ! নামেই বুঝা যাচ্ছে। এটি অ্যাপ্লাই করে আপনি নিশ্চিন্তে সারারাত ঘুমিয়ে থাকতে পারবেন।

কী কী উপাদান এর গুণাগুণ থাকছে এতে?

ত্বকের যত্নে দারুণ কার্যকরী ভিটামিন সি এবং অ্যালোভেরার গুনাগুণ আছে মামাআর্থ ভিটামিন সি স্লিপিং মাস্কে। যা ক্লেইম করে, এটি সারারাত ফেইসে ব্যবহার করার ফলে পরদিন আপনার স্কিন দেখাবে ফ্রেশ, রেডিয়্যান্ট এবং গ্লোয়িং।

আচ্ছা! এর স্মেল এবং টেক্সচার কেমন হবে?

ঢাকনাটি খোলার সাথে সাথেই ভেতর থেকে খুব সুন্দর রিফ্রেশিং একটা স্মেল আসবে। যেহেতু এতে ভিটামিন সি রয়েছে, স্মেলটা খুবই ফ্রেশ একটা ফিল দিবে।

এর টেক্সচারটা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ইন্টারেস্টিং লেগেছে। ঢাকনাটি খুলে প্রথমে আপনি বুঝতেই পারবেন না ভেতরে কী রয়েছে। প্রোডাক্টটা অনেকটা বরফের মত দেখতে। এবং খুবই ম্যাট একটা কালার। আর লাইট ওয়েট। তবে স্লিপিং মাস্ক এর টেক্সচার একবারে জেলের মতোও না আবার ক্রিমের মতও না। অনেকটাই ফোমের মতো। অনেক বেশি ট্র্যান্সপ্যারেন্ট।

কীভাবে এবং কতটুকু পরিমাণে ব্যবহার করবো?

প্যাকেটের গায়ে যদিও বলা নেই ঠিক কতটুকু পরিমাণে নিতে হবে এবং কতবার লাগাতে হবে তবে, পুরো ফেইস কভার করার জন্যে হাফ চা চামচ পরিমাণে নিলেই পুরা ফেইস সুন্দর কভার হয়ে যাবে।

অ্যাপ্লাই এর স্টেপ কেমন হবে?

স্টেপ ১ঃ

 ঘুমাতে যাওয়ার আগে প্রথমেই মুখটি একটি ভাল ফেইস ওয়াশ দিয়ে ক্লিন করে কিন।

স্টেপ ২ঃ

এবার হাফ চা চামচ পরিমাণে স্লিপিং মাস্ক হাতে নিয়ে পুরো ফেইসে আলতো করে লাগিয়ে নিন।

স্টেপ ৩ঃ

ফেইসে মাস্ক পুরপুরি মিশে যেতে ২ থেকে ৩ মিনিট সময় দিন এবং এভাবেই সারারাত রেখে দিন।

স্টেপ ৪ঃ

পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে ফেইসটি পরিষ্কার করে নিতে হবে!

সবচেয়ে মজার ব্যপার হলো, মাস্কটি অ্যাপ্লাই করার পর আপনার মনেই হবেনা আপনি মুখে কিছু লাগিয়েছেন! একদমই ভেসে থাকেনা। স্কিনের সাথে সাথে সাথে মিশে যাবে। এটি মোটেও অন্য কোনো ময়েশ্চারাইজারের মতো না। কিন্তু এত রিফ্রেশিং একটা ফিল দিবে, যা স্কিনের জন্যে খুবই আরামদায়ক এবং সুদিং।

চলুন জেনে নেই, এই স্লিপিং মাস্কের বেনিফিটস নিয়ে

এই স্লিপিং মাস্কটি ক্লেইম করে বেশ কিছু স্কিন বেনেফিটস নিয়ে। তাদের মধ্যে যা না বললেই নয়-

(১) স্লিপিং মাস্কটির নিয়মিত ব্যবহারে আমাদের স্কিন একদম রেডিয়্যান্ট এবং গ্লোয়িং হতে থাকবে।

(২) এতে থাকা ভিটামিন সি, মুখে বয়সের ছাপ এবং বলিরেখা কমাতে হেল্প করবে।

(৩) স্কিনে খুবই সুদিং এবং রিফ্রেশিং ফিল দেয়।

(৪) সারাদিনের টায়ার্ডনেস দূর করে এক নিমিষেই।

(৫) যেকোন স্কিন টাইপের জন্যে স্যুটেবল।

(৬) কোন ধরনের ক্ষতিকারক রাসায়নিক, টক্সিন বা প্যারাবেন নেই এই স্লিপিং মাস্কটিতে।

(৭) ব্যবহারের জন্যে ১০০% সেইফ।

ব্যবহারের পর আমার ব্যক্তিগত কিছু টুকিটাকি কথা!

(১) এই ফেইস মাস্কটি আমি প্রায় ১ মাস ধরে ব্যবহার করছি। আমার ফেইসে মোটামুটি একটু ফ্যাঁকাসে ভাব ছিল। তার অনেকটাই এই স্লিপিং মাস্ক ব্যবহারের সাথে সাথে কমে এসেছে।

(২) যাদের স্কিনে আমার মতো একটু মলিন বা ফ্যাঁকাসে ভাব রয়েছে, তারা নিশ্চিন্তে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এই মাস্কটি ব্যবহার করতে পারবেন।

(৩) আমার কাছে মামাআর্থ ভিটামিন সি স্লিপিং মাস্কটি খুবই ডিসেন্ট কোয়ালিটির একটা প্রোডাক্ট মনে হয়েছে।

(৪) এতে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যালোভেরার গুনাগুণ আমি খুব সহজেই বুঝতে পেরেছি। আমার স্কিন অনেকটাই রিফ্রেশিং লাগে এখন।

(৫) এটা অ্যাপ্লাই করার সাথে সাথে আমার মনে হয় সারাদিনের টায়ার্ডনেস এক মুহূর্তেই শেষ হয়ে যায়। কারণ এটি অ্যাপ্লাই এর সাথে সাথেই আমার স্কিনে খুবই অ্যামেজিং কুলিং একটা ফিলিং আসে।

(৬) আমার স্কিনকে খুবই ন্যাচারাল রাখে। কোন রকম সাইড ইফেক্ট নেই।

(৭) আপনার স্কিন টাইপ যেমনই হোক আপনি নিশ্চিন্তে এটি ব্যবহার করতে পারবেন।

(৮) খুবই লাইট ওয়েট এবং এর ওয়াটারি টেক্সচার হওয়ায় আমার খুবই ভাল লেগেছে।

 

এইতো জেনে নিলাম রিসেন্ট আমার খুবই পছন্দের মামাআর্থ ভিটামিন সি স্লিপিং মাস্ক নিয়ে। মুখের ফ্যাঁকাসে ভাব এবং মলিনতা দূর করে ত্বককে রেডিয়্যান্ট এবং গ্লোয়িং রাখতে মাস্কটি খুবই হেল্পফুল মনে হয়েছে আমার কাছে। যারা নাইট স্কিন কেয়ারের জন্যে একটি ভাল ব্র্যান্ডের স্লিপিং মাস্ক খুঁজছিলেন মনে মনে, তাদের জন্যে নিঃসন্দেহে মামাআর্থ ভিটামিন সি স্লিপিং মাস্ক হতে পারে একটি বেস্ট চয়েজ। আজ তাহলে এ পর্যন্তই। আশা করছি, আজকের রিভিউটি আপনাদের কিছুটা হলেও হেল্প করতে পারবে এ প্রোডাক্টটি কিনতে।

স্কিন ও হেয়ার কেয়ারের জন্য অথেনটিক প্রোডাক্ট কিনতে চাইলে আপনারা সাজগোজের দুটি ফিজিক্যাল শপ ভিজিট করতে পারেন, যার একটি যমুনা ফিউচার পার্ক ও অপরটি সীমান্ত স্কয়ারে অবস্থিত। আর অনলাইনে কিনতে চাইলে শপ.সাজগোজ.কম থেকে কিনতে পারেন। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, সুন্দর থাকবেন।

The post রেডিয়্যান্ট, গ্লোয়িং এবং ফ্রেশ স্কিন পেতে স্লিপিং মাস্ক appeared first on Shajgoj.


Viewing all articles
Browse latest Browse all 3010

Trending Articles