ব্রণের সমস্যার মুখোমুখি হইনি এমন খুব কম মানুষই আছি। বেশ কয়েকদিন ধরেই আমার মুখে অনেক ব্রণ হচ্ছিলো। স্কিন কেয়ারের সব স্টেপই ফলো করি ঠিকঠাক। আবার ফেইসওয়াশ দিয়ে ফেইসও ক্লিন করি ভালোভাবে। তবুও ব্রণের সমস্যা কমছিল না। তখন আমি আমার এক ফ্রেন্ডের সাথে ব্যাপারটা শেয়ার করলাম এবং স্কিন ক্যাফের ক্লেনজিং অয়েল সম্পর্কে জানতে পারলাম। তারপর ঠিক ১ মাস আমি বাহির থেকে এসে ডাবল ক্লেনজিং করছি। এটি ব্যবহার করেই বুঝতে পারলাম, আমাদের ত্বকের যত্নে এবং ভেতর থেকে ত্বক পরিষ্কারে ক্লেনজিং অয়েল কতখানি দরকার।
আমাদের ত্বকে প্রতিনিয়ত ডার্ট, পলিউশন, ঘাম তো লেগেই থাকে। এছাড়া আমরা মেয়েরা বাহিরে বের হওয়ার সময় কিন্ত সানক্রিন, কাজল, লিপস্টিক ব্যবহার করছি। বাহির থেকে আসার পর ফেইসওয়াশ দিয়ে ক্লিন করলেও ডার্ট, পলিউশন, ঘাম, মেকআপ কিন্তু ত্বকে লেগেই থাকে। এর ফলে ত্বকের পোরস ক্লগড হয়ে যায়। আর সে থেকেই একনে, পিম্পল, ব্ল্যাকহেডস সহ নানান সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাই ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখা খুবই জরুরী। আর সেক্ষেত্রে অয়েল ক্লেনজার কার্যকরী একটি পদ্ধতি। আর আমার ব্যবহার করা স্কিন ক্যাফের ক্লেনজিং অয়েল ব্যবহার করে আমি এত বেশি স্যাটিসফাইড ভাবলাম রিভিউ লিখে ফেলি। আপনাদের তাহলে স্কিন ক্যাফের ক্লিনজিং অয়েল সম্পর্কে ধারণা আসবে এবং বুঝতে পারবেন কেন ব্যবহার করছি।
কেন স্কিন ক্যাফের মেকআপ ক্লিনজিং অয়েল ব্যবহার করি?
স্কিন ক্যাফের অয়েল ক্লেনজার ব্যবহারের পর থেকে আমার আর ত্বকের যত্ন নিয়ে এত চিন্তা করতে হয় না। কারণ ত্বক যদি ভেতর থেকে পরিষ্কার হয়, তাহলে ত্বকের অন্যান্য সমস্যা এমনিতেই অনেকটা কমে যায়। এই অয়েল ক্লেনজারটি ব্যবহারের পর থেকেই আমি দেখতে পারছি আমার ত্বকের সমস্যাগুলো ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। এটি ব্যবহারে আমার যে পোরস ক্লগিং এর সমস্যা ছিল তা এখন আর নেই। মেকআপ বা সানস্ক্রিন যেইটাই ব্যবহার করি না কেন এসব প্রোডাক্টের মধ্যে যে ক্যামিকেলগুলো থাকে, সেগুলোর ক্যামিকেল বন্ড ভাঙতে ক্লেনজিং অয়েল খুব ভালো কাজ করে। আর আমি যেহেতু আমার স্কিন কেয়ার রুটিনে সানস্ক্রিন যোগ করেছি, তাই আমার জন্য অয়েল ক্লেনজার ব্যবহার করা মাস্ট!
যা যা ভালো লেগেছে
১। চিটচিটে ভাবের জন্য আমি অয়েল ব্যবহার করতে চাইতাম না। স্কিন ক্যাফের এই ক্লেনজিং অয়েলে গ্রেপসীড অয়েল থাকার কারণে কোন চিটচিটে ভাব নেই।
২। এই অয়েলটি খুব লাইটলি স্টিকি, আর এই স্টিকিনেস স্কিনের ভেতর থেকে মেকআপ, ডার্ট, পলিউশন বের করে আনে।
৩। অয়েলটি খুব সহজে ত্বকের সাথে মিশে যায়।
৪। এই ক্লেনজিং অয়েলটি ভালো লাগার আরেকটি কারণ হচ্ছে- আমার যেহেতু ত্বক সেন্সেটিভ, এই অয়েলটি ত্বকের ভেতর থেকে ক্লিন করেছে কোন রকম ইরিটেশন ছাড়াই।
৫। এই ক্লেনজিং অয়েলে আরও আছে ভিটামিন-ই, সূর্যমুখী অয়েল। যা ত্বককে রাখে ময়েশ্চারাইজড এবং স্মুথ।
৬। স্কিন ক্যাফের এই অয়েলটি ত্বকের অয়েলের ভারসাম্য বজায় রাখে।
৭। এই ক্লেনজিং অয়েলটিতে কোনরকম ক্ষতিকারক কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়নি এবং খুবই মাইল্ড একটি ফ্লেভার ব্যবহার করা হয়েছে।
৮। স্কিন ক্যাফের অয়েলটি ত্বকের ভেতর থেকে সব ময়লা পরিষ্কার করে এবং পোরস ক্লগিং থেকে স্কিনকে দূরে রাখে।
কীভাবে ব্যবহার করি আমি?
যারা আমার মত নতুন ক্লেনজিং অয়েল ব্যবহার করতে চান তাদের জন্য ব্যবহারের কিছু নিয়ম বলে দেই। এতে ঝামেলার কিছুই নেই।
- বাহির থেকে এসে পরিমাণ মতো ক্লেনজিং অয়েল নিয়ে নিতে হবে।
- ফেইসে হালকা করে চেপে চেপে লাগিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে। ম্যাসাজ করার সময় রিং ফিংগার ব্যবহার করবেন, এতে প্রেসার কম পড়ে। আর ম্যাসাজটাও সব সময় সঠিক নিয়মে করতে হবে। নাহলে ত্বকে ভাঁজ পড়ে যাবে।
- সাথে একটু পানি নিয়ে আবার কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করতে হবে। আমি কিন্তু খেয়াল রাখি যাতে চোখের ভেতর না চলে যায়।
- এরপর একটি মাইল্ড ফেইসওয়াশ দিয়ে ফেইসটা ক্লিন করে নিতে হবে। আপনি চাইলে হালকা কুসুম গরম পানিও ব্যবহার করতে পারেন।
প্যাকেজিং এবং দাম
স্কিন ক্যাফের মেকআপ ক্লেনজিং অয়েলটির প্যাকেজিংটা আমার বেশ ভাল লেগেছে। ১২০ এম.এল এর প্লাস্টিকের একটি ওয়াটার কালার বোতলে ক্লেনজিং অয়েলটি পাওয়া যায় এটি। এর দাম মাত্র ৫৫০ টাকা। দামের তুলনায় প্রোডাক্টটির কার্যকারিতা অনেক বেশি। একবার ব্যবহার করলে আপনাদের অবশ্যই ভালো লাগবে।
স্কিন ক্যাফের এই ক্লেনজিং অয়েলটি আমি কিনেছি শপ.সাজগোজ.কম থেকে। অথেক্টিক প্রোডাক্টের জন্য সাজগোজই আমার ভরসা। আপনারা স্কিন ও হেয়ার কেয়ারের অথেনক্টিক প্রোডাক্ট কিনতে চাইলে সাজগোজের দুটি ফিজিক্যাল শপ ভিজিট করতে পারেন, যার একটি যমুনা ফিউচার পার্ক ও অপরটি সীমান্ত স্কয়ারে অবস্থিত। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, সুন্দর থাকবেন।
The post ত্বক পরিষ্কারে ক্লেনজিং অয়েল ব্যবহার করছেন তো? appeared first on Shajgoj.