আমাকে যদি বলা হয় আমার স্কিন এবং হেয়ারকেয়ারে সবথেকে প্রিয় কী জিনিস, আমার উত্তর হবে অ্যালোভেরা জেল। আমি আমার স্কিন ও হেয়ার কেয়ার অ্যালোভেরা জেল ছাড়া ভাবতেই পারি না! সব ধরনের হেয়ারপ্যাক, ফেইসপ্যাকে আমি অ্যালোভেরা জেল ইউজ করি। আমার মনে হয় এটা একটা ম্যাজিকাল প্ল্যান্ট, কারণ সৌন্দর্যচর্চা থেকে শুরু করে সুস্বাস্থ্যের জন্য অ্যালোভেরার ব্যবহার যুগ যুগ ধরে। গাছের অ্যালোভেরা জেল আমার বেশ স্যুট করে কিন্তু সমস্যা হলো আমি সবসময় গাছের অ্যালোভেরা পাই না আর বাইরে গেলেও সবসময় পাওয়া যায় না।
আমি ন্যাচারস রিপাবলিক ৯২% অ্যালোভেরা জেল ইউজ করছি কয়েক বছর ধরে। এটা ব্যবহার করে আমার স্কিন অনেক সফট আর হেলদি লাগছিলো, বলতে গেলে খুব ভালো লেগে যায় প্রোডাক্টটা। তাই এটি এখন আমার মাস্ট হ্যাভ বিউটি প্রোডাক্ট। আজকের রিভিউটা এই হাইপড প্রোডাক্ট নিয়েই! জানি, আমার মতো অনেকেই এটা ইউজ করে বেনিফিট পেয়েছেন। কিন্তু যারা এখনও এই অ্যালোভেরা জেল সম্পর্কে জানেন না, তাদের জন্যই আজকের লেখা।
ন্যাচারস রিপাবলিক ৯২% অ্যালোভেরা জেল রিভিউ
সবুজ ট্রান্সপারেন্ট প্লাস্টিকের ৩০০ এম.এল. কন্টেইনারে আসে অ্যালোভেরা জেলের প্যাকেজটি। এটা ক্লেইম করে যে এই প্রোডাক্টটি সম্পূর্ন ন্যাচারাল অ্যালোভেরা যুক্ত। কন্টেইনারের ভেতরে ট্রান্সপারেন্ট জেল আছে যার হাল্কা একটা স্মেল আছে। এটা হাত, পা, ফেইস সবখানেই ইউজ করা যাবে। এটা স্কিন টাইট করবে, স্কিন হেলদি করবে আর চুল সফট ও স্মুথ রাখবে। যাদের ব্রণের সমস্যা আছে তাদের জন্য খুব উপকারী। মোট কথা হল আপনি গাছের অ্যালোভেরা থেকে যেই উপকারগুলো পেতেন, সেই সেইম বেনিফিট এই প্রোডাক্টটি আপনাকে দিচ্ছে!
এতে কী কী উপাদান আছে?
এর উপাদানগুলোর লিস্ট দেখে নিন এক নজরে। প্রতিটি প্রোডাক্ট কেনার আগে সেটার ইনগ্রেডিয়েন্ট দেখে নেওয়া উচিত।
১.অ্যালোভেরা জেল ২.অ্যালকোহল ৩.গ্লিসারিল পলিয়াক্রিলেট (Glyceryl polyacrylate) ৪.Dipropylene glycol ৫.Butylene Glycol ৬.গ্লিসারিন (Glycerin) ৭.প্রপিলিন গ্লাইকল (Propylene Glycol) ৮.1,2-Hexanediol ৯.পলিগ্লুটামিক এসিড(Polyglutamic Acid) ১০.বেটাইন(Betaine) ১১.হায়ালুরোনেট (Hyaluronate) ১২.Calendula Officinalis Extract ১৩.Zanthoxylum Alatum Fruit Extract ১৪.থুজা ওসিডেনশিয়ালস(Thuja occidentalis) ১৫.কার্বোমার(Carbomer) ১৬.পিইজি-৬০ হাইড্রোজেনেটেড ক্যাস্টর অয়েল (PEG-60 Hydrogenated Castor Oil) ১৭.ট্রাইইথানোলামাইন(Triethanolamine) ১৮.ফেনোক্সি ইথানল (Phenoxyethanol) ১৯.পানি (Water) ২০.পারফিউম (perfume) ২১.ডিসোডিয়াম ইডিটিএ(Disodium EDTA)
আমি কিভাবে এটা ইউজ করি?
আমি রাতে ঘুমানোর আগে ফেইস ক্লিন করে এটা মেখে ৩০ মিনিট রাখি, এরপর ভালোভাবে ধুয়ে নিই, স্কিন অনেক গ্লোয়িং আর হেলদি লাগে। আমার একনি-প্রন স্কিনে এটা খুব ভালো কাজ করে, দাগও আস্তে আস্তে অনেক কমে গেছে। সব ধরনের হেয়ার মাস্কে ও ফেইস প্যাকে আমি এটা মিক্স করে দেই। সানট্যান কমাতে এটা বেশ হেল্প করেছে, সুদিং একটা ইফেক্ট দেয় স্কিনে। মেকআপ করার আগেও এটা ইউজ করি যাতে ত্বকে মেকআপ ভালোভাবে বসে, কেকি না লাগে। এই অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করে যা যা ভালো লেগেছে তা হলো, এটা খুব হালকা, স্কিনের সাথে ভালোভাবে মিশে যায়।
ন্যাচারস রিপাবলিক অ্যালোভেরা জেল যেভাবে ব্যবহার করতে পারেন
১. সানবার্ন কমাতে অ্যালোভেরা জেল সরাসরি ত্বকে লাগাতে পারেন।
২. ত্বক সতেজ রাখার জন্য অ্যালোভেরার প্যাক লাগাতে পারেন। দুই চামচ অ্যালোভেরার রসের সঙ্গে একটি ডিমের সাদা অংশ এবং হাফ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে ভালোভাবে প্যাক তৈরি করুন। পুরো মুখে লাগান, শুকিয়ে এলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৩. ত্বকে প্রতিদিন দুইবার অ্যালোভেরা লাগালে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। ইউজ করার সাথে সাথে সুন্দর একটা হেলদি গ্লো আসে।
৪. অ্যালোভেরা জেল, টকদই এবং ডিম মিলিয়ে হেয়ার প্যাক তৈরি করতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহারে চুল বাড়বে দ্রুত।
৫. কাটাছেড়ায়, হেয়ার রিমুভালের পর, আফটার সেভে, ময়েশ্চারাইজার হিসেবেও লাগাতে পারেন অ্যালোভেরা জেল। যেহেতু অল্প পরিমান অ্যালকোহল আছে, তাই অনেকের ফেইসে বেশি সময় লাগিয়ে রাখলে ডিহাইড্রেটেড ফিল হতে পারে। আপনাকে যদি ভালোভাবে স্যুট করে তাহলে ইউজ করতেই পারেন।
এটা আমার ক্ষেত্রে খুব ভালো কাজ করেছে, তাই বার বারই কেনা হয়। একবার ব্যবহার করে দেখুন আপনাদেরও অবশ্যই ভালো লাগবে, মাল্টি পারপাস প্রোডাক্ট বলে কথা! তবে অ্যালোভেরাতে অ্যালার্জি আছে কি না, সেটা একটু খেয়াল রাখবেন। অবশ্যই প্যাচ টেস্ট করে তারপর ব্যবহার করবেন। শপ.সাজগোজ.কম-এ পেয়ে যাবেন এই প্রোডাক্টটি, সাজগোজের দুটি ফিজিক্যাল শপ যার একটি যমুনা ফিউচার পার্ক ও অপরটি সীমান্ত স্কয়ারে অবস্থিত, সেখান থেকে কিনতে পারেন। চাইলে ঘরে বসে অনলাইনেও অর্ডার করে নিতে পারেন।
ছবি- সাজগোজ, jeanquiambao
The post ত্বক ও চুলের যত্ন হোক অ্যালোভেরা জেল দিয়েই! appeared first on Shajgoj.