স্কিন কেয়ারে সানস্ক্রিন কতটুকু ইম্পরট্যান্ট সেটা কি নতুন করে বলার দরকার আছে? সাজগোজ থেকে সবসময় সাজেস্ট করা হয় সানস্ক্রিন ঠিকমতো ব্যবহার করার ব্যাপারে। প্রতিদিন আমরা যে স্কিন কেয়ার করছি, ত্বকে বিভিন্নরকম প্যাক লাগিয়ে যত্ন নিচ্ছি, প্রটেকশন ছাড়া কিছুক্ষণ রোদের তাপে থাকলেই সব প্রচেষ্টা অনর্থ হয়ে যাবে! তাই, দিনের বেলা সানস্ক্রিন ইউজ করা মাস্ট! এতে আপনার ত্বক সুরক্ষিত থাকবে, আর্লি এজিং সাইন দেখা যাবে না, স্কিনে কালো ছোপ পরবে না, এমন আরও কত বেনিফিট যে আছে। আজকে যেই প্রোডাক্টটির রিভিউ দিচ্ছি সেটা স্কিন ক্যাফে সানস্ক্রিন এস পি এফ ৫০। সবসময়ই চেষ্টা করি জেনুইন ইনফরমেশনটা শেয়ার করতে যেটা আপনাদের জন্য হেল্পফুল হবে।
স্কিন ক্যাফে সানস্ক্রিন কোন ধরনের ত্বকের জন্য উপযোগী?
কোনো প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানতে গেলে যেই প্রশ্নটা আমাদের মাথায় প্রথমেই আসে সেটা হল, এটা আমার স্কিনে স্যুট করবে কি না! ত্বকের ধরন অনুযায়ী স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট আলাদা হয়, এটা আমরা জানি। স্কিন ক্যাফে সানস্ক্রিনটি সব ধরনের ত্বকের জন্য সুইটেবল। নন-গ্রিজি এবং লাইটওয়েট, যেটা লুমিনাস ম্যাট কভারেজ দেয়। অল স্কিন টাইপ প্রোডাক্ট, কিন্তু আপনার যদি অতিরিক্ত অয়েলি স্কিন হয়ে থাকে বা ফেইসে ঘামের সমস্যা হয়, সেক্ষেত্রে লুজ পাউডার দিয়ে সেট করে নিতে পারেন। ড্রাই, নরমাল স্কিনে এটা সুন্দরভাবে মিশে যাবে, আলাদা করে পাউডার দেয়ার দরকার হয় না।
টিনেজাররা কি এটা ব্যবহার করতে পারবে?
অবশ্যই! এতে স্কিনের জন্য হার্শ কোনো কেমিক্যাল নেই, পোর ক্লগড করে দেয় না। ১৩-১৪ বছর থেকেই এটা ইউজ করা যাবে। টিনেজাররা স্কিন কেয়ারের ব্যাপারে খুব বেশি সিরিয়াস থাকে না, কারন ঐ বয়সে স্কিন এমনিতেই সুন্দর থাকে। কিন্তু সান প্রোটেকশন মিস করে গেলে খুব তাড়াতাড়ি ত্বকে বয়সের ছাপ চলে আসে, স্কিনে ট্যান পরে যায়, চোখের নিচে ফাইন লাইন্স দেখা যায়। আমরা কেউই তো চায় না যে স্কিনে এজিং সাইন চলে আসুক, তাই না? সেজন্য আগে থেকেই সানস্ক্রিন ব্যবহার, রিঅ্যাপ্লাই, ডাবল ক্লেনজিং এসব ব্যাপারে আমাদের সচেতন হওয়া উচিত।
স্কিন ক্যাফে সানস্ক্রিন কেন বেছে নিবো?
হ্যাঁ, বাজারে তো কত রকমের সানস্ক্রিন আছে, কিন্তু স্কিন ক্যাফে কেন নিবো! এই প্রশ্নটা মনে আসা খুবই স্বাভাবিক। ফাস্ট অফ অল, এটা নন কমেডোজেনিক। আরেকটা ভালো দিক হচ্ছে, এটাতে প্যারাবেন নেই। মুখে লাগানোর পরে স্কিন চিটচিটে লাগে না, কিছুক্ষণ পর মুখ কালো হয়ে যাওয়ার চান্স নেই। এটা কেমিক্যাল ও ফিজিক্যাল সানস্ক্রিনের মিশ্রণ, ঠিকমতো অ্যাপ্লাই ও রি-অ্যাপ্লাই করলে ইউ ভি এ ও ইউ ভি বি থেকে সুরক্ষিত থাকা যাবে। এর কনসিসটেন্সি ক্রিমের মত, লাইটওয়েট, গন্ধটাও সুন্দর। সবকিছু মিলিয়ে এটাকে দারুন একটি প্রোডাক্ট বলা যেতেই পারে।
কিভাবে ও কখন এটা ইউজ করতে হবে?
বাইরে বের হওয়ার আগে তো অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। শুধু মুখে লাগালেই হবে না, গলা, ঘাড়, হাত, পায়ের তালু সব উন্মুক্ত অংশেই সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিবেন। এমন কী বাসায় থাকলেও, মেঘলা দিনে বা বৃষ্টি হলেও দিনের বেলা সানস্ক্রিন মিস দেওয়া যাবে না। ৩-৪ ঘণ্টা পর পর রি-অ্যাপ্লাই করলেই হবে। রাতের বেলা ডাবল ক্লেনজিং করে ফেলবেন। প্রথমে অয়েল ক্লেনজার দিয়ে ফেইস ক্লিন করে রেগুলার ফোম ক্লেনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলবেন। এতে স্কিন পুরোপুরি পরিস্কার হবে, ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কমে যাবে।
কোন জিনিসটা আমার কাছে ভালো লাগে নি
আমি গত একমাস ধরে স্কিন ক্যাফে সানস্ক্রিন এস পি এফ ৫০ ইউজ করছি নিয়ম করে। আমার স্কিন অয়েলি এন্ড সেনসিটিভ। সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই করার পর লুজ পাউডার বা ফেইস পাউডার দিয়ে সেট না করলে মাঝে মধ্যে অয়েলি দেখায় স্কিনটা। এটা অবশ্য সব ক্রিম বেইজড প্রোডাক্টের জন্যই প্রযোজ্য! সাদা হয়ে ভেসে ভেসে থাকে না, এটাই বেষ্ট পার্ট। এই প্রোডাক্টটি ইউজ করার পর আমার ব্রেকআউট হয়নি, যদিও আমার স্কিন সেনসিটিভ। আপনারা অবশ্যই প্যাচ টেস্ট করে নিয়ে অ্যাপ্লাই করবেন। অভারঅল প্রোডাক্টটা আমার কাছে ভালোই লেগেছে, দাম অনুযায়ী কোয়ালিটি অনেক ভালো এটা বলতেই হচ্ছে।
যারা বাজেট ফ্রেন্ডলি এবং লাইটওয়েট সানস্ক্রিন খুঁজছেন, তারা অবশ্যই এটি ট্রাই করতে পারেন। সানস্ক্রিন ইউজ করে মেকআপ করলেও সুন্দরভাবে বসবে, ঘাম হবে না, সময়মতো রিটাচ করলে আপনি দিনভর সুরক্ষিত থাকবেন। আশা করছি, আজকের রিভিউটা অনেকবেশি হেল্পফুল ছিল। ভালো থাকবেন।
ছবি- সাজগোজ
The post স্কিন ক্যাফে সানস্ক্রিন রিভিউ | ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে কার্যকরী একটি প্রোডাক্ট! appeared first on Shajgoj.