Quantcast
Channel: Shajgoj
Viewing all articles
Browse latest Browse all 3010

ড্যামেজড ও কালার করা চুলের যত্ন হবে ৩টি হোমমেড হেয়ার মাস্ক দিয়ে!

$
0
0

যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এবং নিজের লুকে একটু চেঞ্জ আনতে চুলে কালার করছেন অনেকেই! আবার অনেকের শখ থাকলেও চুল নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে চুলে কেমিক্যাল ইউজ করতে চান না। ঘন কালো চুলে মেয়েদের অনেক সুন্দর লাগে মানছি, কিন্তু নিজেকে একটু ভিন্ন রুপে দেখতে বা ফ্যাশন ট্রেন্ডে তাল মেলাতে এইটুকু এক্সপেরিমেন্ট করা যেতেই পারে। পাকা চুল ঢাকতেও অনেকে চুলে রঙ করে থাকেন। ঠিকঠাক যত্ন নিলে চুল ড্যামেজ বা রুক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। চুল কালার করুন, কিন্তু চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রেখে! ড্যামেজড ও কালার করা চুলের যত্নে ৩টি হোমমেড হেয়ার মাস্ক সম্বন্ধে আজ আমরা জেনে নিবো।

ড্যামেজড ও কালার করা চুলের যত্ন

চুলে কালার করার পর প্রায় সবাই কালার প্রোটেকশন শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, মাস্ক এসব খুঁজে থাকেন। কিন্তু হেয়ার প্যাকের ব্যাপারটা সেভাবে গুরুত্ব দেয়া হয় কি? ঘরোয়াভাবে চুলের যত্ন নিতে সপ্তাহে অন্তত ২ দিন হেয়ার মাস্ক অ্যাপ্লাই করা উচিৎ। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়েই চুলের পরিচর্যা করুন। পাশাপাশি মাইল্ড শ্যাম্পু, ডিপ কন্ডিশনার এগুলো তো ব্যবহার করতেই হবে। চুলের ধরন বুঝে যত্ন নিতে পারলে রুক্ষ-শুষ্ক চুল নিয়ে চিন্তা করতে হবে না, সেই সাথে চুলের কালারটাও ফেড হবে না।

ফ্রিজি, ড্যামেজড ও কালার করা চুলের যত্ন নিতে ৩টি কার্যকরী মাস্ক

১) কলার মাস্ক

কালার করার পর চুলের শাইনিভাব ধরে রাখতে এবং চুলকে কোমল করতে এই নারিশিং হেয়ার মাস্কটি দারুন কাজ করবে। চুলের লেন্থ অনুযায়ী একটি বা দুটি কলা ম্যাশ করে তাতে পরিমাণমতো টকদই ও এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে স্মুথ পেস্ট বানিয়ে আপনার চুলের পুরো অংশে লাগিয়ে নিন। এবার এই মাস্ক আপনার চুলে মিনিমাম ২০ মিনিট রেখে ভালোমানের হারবাল বা মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে স্বাভাবিক ভাবে ধুয়ে ফেলুন। ব্যস, সপ্তাহে ২দিন এভাবে প্যাক লাগালে রঙ করার পরও আপনার চুল সফট ও শাইনি থাকবে।

২) গ্রিন টি হেয়ার মাস্ক

গ্রিন টি লিকারের সাথে পানি ও আপেল সিডার ভিনেগার মিলিয়ে নিয়ে ঐ পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এটি ন্যাচারাল কন্ডিশনারের কাজ করবে এবং ড্রাই হেয়ারকে কোমল করে তুলবে। এই সবুজ চা আরও একভাবে ইউজ করতে পারেন, গ্রিন টির লিকারের সাথে টকদই ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে হেয়ার মাস্ক বানিয়ে নিন। এটি চুলে লাগিয়ে রেখে ২০-২৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন মাইল্ড কোনো শ্যাম্পু দিয়ে। সপ্তাহে ১-২ দিন এভাবে প্যাক লাগিয়ে নিন। এতে থাকা ন্যাচারাল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও প্রয়োজনীয় মিনারেলস চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখবে এবং সেই সাথে চুল হবে মজবুত ও সিল্কি।

৩) আমলার হেয়ার মাস্ক

কালারড চুলের যত্নে আমলকির হেয়ার মাস্ক দারুন কাজ করে। রাফনেস ও ফ্রিজি হেয়ারের প্রব্লেম থাকলে এটি সপ্তাহে ২দিন ব্যবহার করতে পারেন। আমলার সাথে ডিমের সাদা অংশ, অ্যালভেরা জেল ও বিশুদ্ধ নারকেল তেল কয়েকফোটা দিয়ে স্মুথ করে প্যাক বানিয়ে নিন। নারকেল তেলের বদলে নারকেল দুধটাও ব্যবহার করতে পারবেন। এই প্যাকটি ৩০ মিনিট চুলে রেখে ধুয়ে ফেলুন মাইল্ড কোনো শ্যাম্পু দিয়ে। এই প্যাকের সবগুলো উপাদানই চুলকে ময়েশ্চারাইজড করবে, চুলের ফাটা ভাব দূর করবে এবং কালার করার পর চুলে যে রুক্ষতা আসে, সেটারও রিপেয়ার করবে।

তাহলে রঙ করা চুলের যত্নে কোন কোন হেয়ার মাস্কগুলো সত্যি সত্যি ইফেক্টিভ হবে, সেটা জানা হয়ে গেলো! আপনার চুল কালার করা না হয়ে থাকলেও যদি রাফ, ফ্রিজি, ড্রাই হয়ে থাকে তাহলেও এই ঘরোয়া প্যাকগুলো ব্যবহার করে উপকার পাবেন। যারা কালার করতে চাচ্ছেন বা কালার করেছেন তাদের জন্য বোনাস একটি টিপস, রোদ থেকে চুলকে রক্ষা করতে হবে। রোদ আর দূষণে হেয়ার কালার নষ্ট হয়ে যায়। হিট স্টাইলিং যতটা সম্ভব কম করবেন। প্রচুর পরিমানে পানি পান করবেন, প্রোটিনযুক্ত খাবার খাবেন, চুলের জন্য অথেনটিক হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্ট বেছে নিবেন। ভালো থাকুন!

ছবি- gaiagoodhealth, urbanclap, সাজগোজ

The post ড্যামেজড ও কালার করা চুলের যত্ন হবে ৩টি হোমমেড হেয়ার মাস্ক দিয়ে! appeared first on Shajgoj.


Viewing all articles
Browse latest Browse all 3010

Trending Articles