আগেই বলে রাখি , সাজগোজে এটাই আমার ফার্স্ট রিভিউ। এর আগে লেখা হয় নি, কারণ আমি স্কিন কেয়ারেও আসলে নতুন! খুব বেশি প্রোডাক্ট ট্রাই করাও হয় নি আর রিভিউ দেয়াও হয় নি। তাছাড়া প্রোডাক্ট-এর পেছনে অনেক খরচ করতেও আমার একটু কেমন যেন লাগে এখনও! নিশ্চয়ই অনেকেই আমার ব্যাপারটা বুঝতে পারছেন, তাই না? ভাবলাম, তবুও নিজের ব্যবহার করা এই আয়ুষ স্যাফ্রন ফেইস ওয়াশ নিয়ে রিভিউ দিলে যদি কারও হেল্প হয়! সেটাই ভালো… তাই লেখাটা শুরু করলাম।
প্রোডাক্টটা কি?
এটা হচ্ছে, লিভার আয়ুষ ন্যাচারাল ফেয়ারনেস স্যাফ্রন ফেইস ওয়াশ (Lever Ayush Natural Fairness Saffron Face wash)।
স্যাফ্রন মানে হচ্ছে- জাফরান বা কেশর। পৃথিবীর অন্যতম আয়ুর্ভেদিক উপকরণ। অসম্ভব সুন্দর রঙ আর গন্ধের এই আয়ুর্ভেদিক উপকরণটি আমার কাছে খুবই আকর্ষনীয় লাগে।
আয়ুষ স্যাফ্রন ফেইস ওয়াশ সম্পর্কে যা যা দেখেছিলাম
এতে জাফরানের নির্যাসের পাশাপাশি আছে কুমকুমাদি তেল। এই জিনিসটা কী আমি আগে জানতাম না! এরপর খুঁজে খুঁজে বের করলাম যে কুমকুমাদি তেল অনেক প্রাচীন একটা আয়ুর্বেদিক ফর্মুলা, যাতে আছে স্কিন-এর দাগ ছোপ কমানো, স্কিন কোয়ালিটি ইমপ্রুভ করার মতো ১৪ টা প্রুভেন হার্বের ব্লেণ্ড!
দাম টাম কেমন?
৮০ গ্রামের টিউবটা আমি কিনেছিলাম ১৬০ টাকায়!
প্যাকেজিং?
স্যাফ্রন ফেইস ওয়াশ-এরপ্যাকেজিং-এর একটা ছবি দিয়ে দিলাম।
দেখতেই পাচ্ছেন এটা টিউব প্যাকেজ-এ আসে। টিউব নিয়ে আসলে জার্নি করা বা ব্যাগে রাখায় খুব সুবিধা, তাই না? আমি সবসময় আমার ব্যাগে টিউবটা নিয়ে কলেজে গিয়েছি। আজ পর্যন্ত ঝামেলা হয় নি। তাই, বলব প্যাকেজিং কোয়ালিটি ভালোই।
ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন এটার ক্যাপটা হচ্ছে ফ্লিপ টপ ক্যাপ।
প্যাকেজিং-এ এই টিউবে কতটুকু কুমকুমাদি তেল, জাফরান আছে তা খুব ক্লিয়ারলি দেয়া আছে। আর আছে প্রোডাক্ট-এর ম্যানুফ্যাকচারিং ডেট এবং এক্সপায়ারিং ডেট।
টেক্সচার
এটা একটা ক্রিমি টেক্সচার-এর ফেইস ওয়াশ। এক মটর দানার মতো পরিমাণের ফেইস ওয়াশ হাতে নিয়ে পানি মিক্স করলেই বেশ অনেকটা ফেনা হয়ে যায়! আমি অ্যাকচুয়ালি যত ফেইস ওয়াশ লাগবে প্রতি ওয়াশে ভেবেছিলাম তার চেয়ে অনেক অনেক কম ফেইস ওয়াশ লাগে!
প্রথম কয়েকদিন তো নরমাল ফেইস ওয়াশের মতো গাদাখানিক হাতে নিয়ে পানি দিয়ে মুখে ঘষাঘষি স্টার্ট করলাম! এরপর দেখি, ওমা! একি? ফেনা হয়েই যাচ্ছে!
এরপর বুঝলাম পরিমাণ আসলে আমি যা নিয়েছি তার অর্ধেক হলে ঠিক হত!
আয়ুষ স্যাফ্রন ফেইস ওয়াশ আমার কেমন লাগলো?
প্রথমেই বলি এটা কেমন ক্লিন করে।
আমি ডেইলি এই ফেইস ওয়াশটা ২-৩ বার ইউজ করেছি। সকালে একবার, খুব দরকার হলে দুপুরে আর রাতে তো অবশ্যই…!
লিভার আয়ুষ স্যাফ্রন ফেইস ওয়াশের টিউবে লেখা আছে, এটা স্কিনে একটা গোল্ডেন গ্লো নিয়ে আসবে। রেগ্যুলার ইউজ করলে আসলেই গোল্ডেন গ্লো চলে আসে!
আর নরমাল ফেইস ওয়াশ ইউজ করার ১-২ ঘণ্টা পর স্কিন-এ যে কালচে একটা ভাব চলে আসে, অনেক তেল এসে চিটচিটে একটা ফিল আসে যে জন্য স্কিনটা অনেক ডাল, রাফ আর টায়ার্ড লাগে, ঐ ব্যাপারটা না আমি একেবারেই দেখি নি!
এই কারণেই আসলে অবাক হয়ে এক টানে এক্কেবারে রিভিউ লিখতে বসে গেলাম!
এবার তাহলে এক নজরে একটু দেখি !
এটার ঘ্রাণ ভালোই। স্মেলটা আসলে এটার ভেতরে থাকা হারবাল কুমকুমাদি তেল আর জাফরানেরই। যাদের পিওর হারবাল স্মেল ভালো লাগে আমার মনে হয় তারা এই স্মেলটা বেশ এনজয় করবেন!!
এইতো! মোটামুটি সবটুকু কাভার করে ফেললাম। এই প্রাইস-এ এই কোয়ালিটির আর একদম আসল কুমকুমাদি তেল , জাফরান অ্যাড করা প্রোডাক্ট ট্রাই করতে পেরেই আসলে আমি খুশি!
আশা করি ফিউচারে আরও অনেক অনেক প্রোডাক্ট ট্রাই করে আপনাদের জন্য আরও অনেক রিভিউ নিয়ে আসতে পারব। আজ এখানেই শেষ করি?
ছবি- সাজগোজ
The post আয়ুষ স্যাফ্রন ফেইস ওয়াশ | ত্বকে এনে দেবে গোল্ডেন গ্লো appeared first on Shajgoj.