Quantcast
Channel: Shajgoj
Viewing all articles
Browse latest Browse all 3010

ডার্ক স্পট-হাইপারপিগমেন্টেশন |দূর করুন ১টি ফেইস মাস্কেই!

$
0
0

এশিয়ানদের মধ্যে খুব কম মানুষই হয়, যাদের স্কিনে কোনো ধরনের দাগ-ছোপ থাকে না। সবার স্কিনতো আর এই রকম আশীর্বাদী হয় না। বেশীরভাগ মানুষই ব্রনের দাগ, পিগমেন্টেশন, ডার্ক প্যাচ ইত্যাদি সমস্যাতে ভোগেন। তাছাড়া, এশিয়ানদের মুখের চারপাশে ন্যাচারালি এক ধরনের পিগমেন্টেশন দেখাই যায়। আর মেকআপ করে সব সময় কি দাগ-ছোপ লুকানো সম্ভব? তার থেকে দাগ-ছোপ একদম দূর করে ফেলার চেষ্টা করা যাক। কীভাবে?

চলুন, জেনে নেই এমন একটি ফেইস মাস্ক সম্পর্কে, যেটা স্কিনের দাগ-ছোপ এবং পিগমেন্টেশন প্রবলেম দূর করে দিতে সাহায্য করবে।

 

ফেইস মাস্কটি বানাতে যা যা লাগবে

১. বেসন

বেসন স্কিনকে ব্রাইট করে তুলতে সাহায্য করে, সান ট্যান রিমুভ করে এবং স্কিনের ডেড সেলস দূর করতে সাহায্য করে।

২. হলুদ গুঁড়া

হলুদে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টিসেপ্টীক, অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি প্রপারটিস রয়েছে। এটি বিশেষ করে স্কিনটোন লাইটেনিং-এ বেশ ভালো কাজ করে।

তবে, স্কিন কেয়ারের জন্যে রান্না ঘরে গিয়ে হলুদের কৌটা থেকে হলুদ গুঁড়া  নিয়ে আবার ব্যবহার করতে যাবেন না যেন! সবসময়, হলুদ কেনার পর স্কিন কেয়ারের জন্যে ছোট একটি আলাদা কৌটায় হলুদ গুঁড়া রাখবেন বা হলুদ গুঁড়ো করে নিবেন।

৩. লেবু পাতা

লেবু পাতায় ন্যাচারাল ক্লিঞ্জিং প্রোপার্টিস রয়েছে যা আমাদের স্কিনকে রিফ্রেশ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি ব্রণ, দাগ-ছোপ, পিগমেন্টেশন দূর করতে বিশেষ ভুমিকা পালন করে।

৪. আলু

আলু স্কিনের ডার্ক স্পট, পিগমেন্টেশন দূর করতে খুবই কার্যকরী। এছাড়াও এটি সান ট্যান রিমুভ করে, স্কিন লাইটেনিং-এ সাহায্য করে থাকে।

ফেইস মাস্কটি যেভাবে তৈরি এবং ব্যবহার করবেন

১. প্রথমে একটি ছোট সাইজের আলু নিয়ে এর খোসা ছাড়িয়ে গ্রেটারের মিহি করে কুচানোর সাইড দিয়ে গ্রেট করে নিন। এবার আলুর রসটা এখান থেকে ছেঁকে আলাদা করে নিন।

২. অন্যদিকে ৫ টি লেমন লিফ বা লেবু পাতা নিয়ে ভালো করে ধুয়ে এটাকে ছোট ছোট টুকরা করে নিন। এর সাথে কিছু পরিমাণ পানি মিলিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এবার, এর জুসটুকুও ছেঁকে আলাদা করে নিন।

৩. একটি বাটিতে ২ চা চামচ বেসন, এক চিমটি হলুদ গুঁড়া, ২ চা চামচ আলুর রস এবং ২ চা চামচ লেবু পাতার রস নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে একটা স্মুদ পেস্ট তৈরি করুন। ব্যস, আপনার ফেইস মাস্কটি অ্যাপ্লাই করার জন্য রেডি।

৪. মুখ ভালোভাবে ক্লিন করে নিয়ে এই মাস্কটি ফেইস-এর যে সকল স্থানে ডার্ক স্পট এবং হাইপারপিগমেন্টেশন রয়েছে, সেখানেই লাগাবেন। পুরো মুখে লাগানোর দরকার নেই। এরপর ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলে টোনার এবং ময়েশ্চারাইজার লাগাবেন।

৫. এই মাস্কটি সপ্তাহে ২ দিন লাগাবেন। আস্তে আস্তে রেজাল্ট দেখতেই পাবেন। কয়েকদিন লাগিয়েই যদি ভাবেন কই, স্পট কমছে না তো! তাহলে কিন্তু বোকামি করবেন। কারণ, ন্যাচারাল ইনগ্রেডিয়েন্টস কাজ করতে একটু সময় নেয়। আর এই সকল সমস্যা দূর হতেও একটু বেশী সময় ই লাগে।

এইতো জেনে নিলেন, কীভাবে একটি ফেইস মাস্কের সাহায্যেই ডার্ক স্পট এবং হাইপারপিগমেন্টেশন দূর করবেন। আশা করছি, আপনাদের জন্য উপকার হবে।

 

ছবি- সংগৃহীত: ইন্ডিয়া.কম, ইমেজেসবাজার.কম


Viewing all articles
Browse latest Browse all 3010

Trending Articles