অনেকে বলে চায়ের নাকি কোনও গুণ নেই!! ভুল কথা। একাধিক গবেষণায় এ কথা প্রমাণিত হয়েছে যে নিয়মিত হারবাল টি খেলে শরীর সব দিক থেকে ভালো থাকে। শুধু তাই নয়, নানা ধরনের জটিল রোগের হাত থেকে বাঁচাতেও চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। রিফ্রেশমেন্ট-এর জন্য় তো কেউ স্বভাববশতই দিনে কয়েক কাপ চা পান করে থাকেন। আবার অফিসের কাজের ফাঁকে একটু এনার্জি পেতেও অনেকে গরম চায়ের পেয়ালায় চুমুক মারেন। আর যারা মনে করেন এই অভ্য়াস শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর, তাদের কথা ভেবেই এই প্রবন্ধে চায়ের এমন কিছু উপকারিতার কথা উল্লেখ করা হল যা পড়তে পড়তে যে কারও চোখ কপালে উঠতে পারে!
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়
রোজ টি-তে রয়েছে ভিটামিন সি, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
ক্যাফেইন-এর পরিমাণ কম থাকে
কফির তুলনায় চায়ে ক্যাফেইন-এর পরিমাণ কম থাকার কারণে চা পান করলে কফির তুলনায় কম ক্ষতি হয়। তাই তো কফিকে টাটা বাই-বাই বলে আজ থেকেই সকাল বিকাল শুরু করুন চা পান।
হার্টকে ভালো রাখে
লিকার চায়ে এমন কিছু এনজাইম থাকে, যা হার্টে রক্ত সরবরাহ বাড়িয়ে দিয়ে হৃদপিন্ডকে সুস্থ রাখে। তাই তো চিকিৎসকেরা দিনে কম করে দুবার লিকার চা খাওয়ার পরামর্শ দেন।
ক্যানসার প্রতিরোধ করে
একাদিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে গ্রিন টি-তে এমন কিছু উপাদান থাকে যা শরীরে ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি আটকে দেয়।
মাইগ্রেন-এর কষ্ট কমায়
এক্ষেত্রে ল্যাভেন্ডার চা খুব কাজে দেয়। আসলে এই চায়ে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রপাটিজ, যা মস্কিষ্কে রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দিয়ে মাইগ্রেন-এর যন্ত্রণাকে কমিয়ে ফেলে।
নার্ভ-কে শান্ত করে
চায়ে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রপাটিজ মস্তিষ্কে রক্ত ও অক্সিজেনের সরবরাহ বৃদ্ধি করে। ফলে নার্ভ শান্ত হয়। সেই সঙ্গে শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তিও দূর হয়।
যন্ত্রণা কমায়
শরীরে কোথাও চোট লেগেছে? বেশ যন্ত্রণাও হচ্ছে? চিন্তা নেই এক কাপ মধু চা খেয়ে ফেলুন। দেখবেন সব কষ্ট কেমন নিমেষে কমে যাবে। আসলে মধু চা প্রদাহ হ্রাস করে। সেই সঙ্গে ক্ষতস্থানের ফোলা ভাব কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
ইউ ভি রেডিয়েশন-এর হাত থেকে বাঁচায়
প্রতিদিন চা পান করলে ইউ ভি রেডিয়েশন-এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে কোষেরা রক্ষা পায়। ফলে স্কিন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।
আসলে অনেকেই আছেন যে, দিনে রাতে পাগলের মত চা না খেয়ে থাকতে পারে না। যদিও আমি দুধ চা দিনে একবার খাই আর বাকি সময় আদা, লং আর লেবু দিয়ে বানানো রং চা। কারণ সারাটাক্ষণ অফিসে থাকা হয়। এক চুমুক চায়ে দিনের শুরুটা না হলে যেন জমেই না! কাজেও যেন মন বসে না! তাই চা-টা যে কতটা জরুরী ভুমিকা পালন করে আমাদের জীবনে, তা আমার মত চা পাগলরা খুব ভালভাবেই জানেন। চা না থাকলে কী হত আমাদের, বলেন তো?!
ছবি- ইমেজেসবাজার.কম